এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • মর্যাদার সাথে উন্নয়ন- অমিত ভাদুড়ি

    r
    বইপত্তর | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ | ৫০৫৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • h | 203.99.212.224 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ১০:২০406575
  • সৈকত , অমিত বাবুর বইয়ের সম্পর্কে তোর মূল আপত্তি গুলো স্পেসিফিক করে বল। আর্জো নিজেরটা বলেছে, শিবুদা নিজের মত করে উত্তর দিয়েছে। ঐ বিতর্কটা চলছে। আরো চললে ভালো হয়, ফ্রি তে কিসু শেখা যায়। কিন্তু তোর স্পেসিফিক আপত্তি গুলো এবার তুই বল।
    যতটুকু বলেছিস তাতে মনে হয়েছে যে আমার অমিত বাবুর বইটা পড়ে প্রতিক্রিয়া আমার যে হয়েছিল, সেটা অল্প আলাদা।

    আর প্রেডিকশন নিয়ে, আমি শিবুদার সঙ্গে একমত, এই কেসে, গ্রীনস্প্যান যে ছড়াচ্ছেন সেটা অনেক দিন থেকেই অনেকেই বলেছেন।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ১০:২৬406576
  • ডলার ছাপার প্রবলেম কি। বন্ড বেচবে। সারা পৃথিবীতে। ব্যস।

    অতো বেশি ইনফ্লেশনের কথা কে বলেছে। একটু কমসম রাখা হবে হিসেব করে। সেটা কিকরে হবে? খুব সোজা। রেগুলার টাকা ছাপাতে হবেনা। নতুন জব জেনারেটেড হবে তো। কারণ, প্রতি নিয়ত:অই নিত্যনতুন পরিষেবা ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হবে। আজ থেকে কুড়ি বছর আগে কেউ সেলফোন বা ইন্টারনেট কি বস্তু জানতনা। এখন জানে। আর প্রতিটা পরিষেবাই হাজার হাজার জব নিয়ে আসে।

    মানুষের ইনোভেশনকে নিচু নজরে দেখবেন না।
  • sibu | 71.106.244.161 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ১০:৩১406577
  • বন্ড লোকে কিনবে কেন? মানে ২০০% ইনফ্লেশন আর বন্ডে ২% সুদ। সে বন্ড বেচা এত সোজা হবে না।

    নতুন পরিষেবা আবিস্কার করে আম্রিকান মজুরী আর্টিফিসিয়ালি উঁচু করে রাখা সহজ কাজ হবে না। ভেবে দেখুন, সেটা করতে পারলে আজকের ইকনমিক ক্রাইসিসের সমাধান এক্ষুনি হয়ে যায়। যাস্ট আম্রিকানদের আয় তিনগুন বাড়িয়ে দিন। হাউসিং আবার অ্যাফোর্ডেবল হয়ে যাবে, আর আম্রিকান ও গ্লোবাল ইকনমি গড়গড় করে চলতে থাকবে।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ১০:৪৯406578
  • ইনোভেশন হবেই। স্টিম ইঞ্জিন আবিষ্কার না হলে শিল্পবিপ্লব হতনা। বিল গেটস না এলে পিসি বিপ্লব হতনা। মার্কেটিং আর সায়েন্টিফিক জিনিয়াসেরা লড়ে যাচ্ছেন, কোটি কোটি টাকা খচ্চা করছেন, আর আবিষ্কার হবেনা?

    হাসির কথা নয়। দেখুন, ইকনমি কোন দিকে যাএ, তার কতো অজস্র প্যারামিটার। একটা নতুন পরিষেবা আবিষ্কারই সব কিছু বদলে দিতে পারে। এই বাজারে ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলা কি সোজা ব্যাপার? কোনো ইকনমিস্ট বলতে পারবেন, আগামী দশ বছরে কি আবিষ্কার হতে চলেছে?

    এই পটভূমিতে, প্রফেট সাজা নেহাতই মূর্খামির কাজ। ইহাই আমার বক্তব্য। আমি এবার ঘুমোতে যাই। :)
  • shyamal | 24.117.80.243 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ১০:৫০406579
  • অমিতবাবুর বইটা পড়িনি। আমার দু পয়সা :
    ১। শোষণ টোষণ বাজে কথা। যেখানে কর্মি আর মালিক দুজনেই স্বাধীন ( অর্থাৎ কর্মিকে কাজটা করতে বাধ্য করা হচ্ছে না, সে চাইলেই ছাড়তে পারে) সেক্ষেত্রে কোন শোষণ নেই। না পোষালে অন্যত্র দেখ।
    ২। আর্য যেটা বলেছে, সফটওয়্যারে দেশে আয় বাড়ছে গত ১৮ বছর ধরে। এটা শুধু ভারত নয়, কোরিয়া, জাপান, চীন সর্বত্র বিভিন্ন শিল্পে হয়েছে। উৎপাদনশীলতা বাড়লে আয় বাড়তে বাধ্য। তাই দরকার সবচেয়ে কম লোক দিয়ে কাজ করানো।
    ৩। পাঁচজনের কাজ একজন করলে বেকারি বাড়বে, এই ভুল থিওরির বশে সিপিএম বহুদিন কম্পিউটার ঢুকতে দেয়নি। কিন্তু দেখুন, সে সময়ের চেয়ে এখন চাকরী অনেক বেশী। এনাদের ভুলটা হল এনারা বোঝেন না যে নতুন টেকনলজির সাথে সাথে প্রচুর নতুন ধরণের জব তৈরী হয়। কুড়ি বছর আগের তুলনায় আজ কোটি কোটি লোক সাইবার কাফে আর সেলফোনের কার্ড বিক্রির দোকান করে পয়সা করছে।
    ৪। ঈশানের মার্চ ৪, ৯:২৯ এর ২, ৩ আর ৪ পয়েন্টের সাথে একেবারে একমত।
    কিছু মনে করবেন না, শুধু ভারতে নয়, পৃথিবীর সব দেশেই, ও ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি, ল তে চান্স পাইলিনা, যা ইকনমিক্স পড়। চাকরি পাইলেও পাইতে পারস। কাজেই তাদের মত নিয়ে আমার খুব চিন্তা নেই।
    ৫। সিবু বলেছেন শাইনিং ইন্ডিয়া নাকি বাবল। কেন বিশদভাবে বলুন।
    ৬। ডলার ছাপিয়ে আমেরিকা এর থেকে বেরোতে পারবেনা। বিশ্বায়নের ফলে একটা বিরাট শিফ্‌ট হচ্ছে। আমেরিকা, ইউরোপ থেকে ভারত, চীন, ব্রেজিলে।
  • dri | 75.3.201.245 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ১০:৫৪406580
  • :-)। এই থ্রেডের আলোচনাটা ক্রমশ মজাদার হয়ে উঠছে। আমার মনে হয় এখন থেকে চার বছর বাদে -- চার বছর কেন, হয়ত দু বছর বাদেই এই থ্রেডটা পড়তে খুব মজা লাগবে।

    তবে জাস্ট একটা তথ্য। চীন আমেরিকার বন্ড কেনা থামিয়ে দিয়েছে। তবে অলরেডি যেগুলো হোল্ড করছে সেগুলো বেচা শুরু করেনি এখনো। এখন চায়নার বন্ড কিনছে আমেরিকার লোক, এবং কেউ না কিনলে ফেডারাল রিজার্ভই সেটা বায় ব্যাক করছে। এইভাবেই চলছে।

    ইনফ্লেশান হবে, ট্রাস্ট মি। তার আগে ডিফ্লেশানটা পুরো কমপ্লিট হতে হবে। ডিফ্লেশানেরও একটা পারপাস আছে।
  • dri | 75.3.201.245 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ১০:৫৯406581
  • ও হ্যাঁ, এছাড়া আমেরিকার বন্ড কিনছে মিড্‌ল ইস্ট। এখনো পর্য্যন্ত।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ০০:০৯406583
  • র'-র ব্লগটি অনেক্ষণ ধরে পড়লুম, কিন্তু ঠিক বুঝলুম না। বক্তব্যটি কি এই - ছোটখাটো ম্যাঞ্জারি সমস্যায় পথ দেখানো ছাড়া ইকনমিক থিওরীর আর কোন রোল নাই। কেউ ইকনমিক থিওরীতে কোন রকম গ্র্যান্ড ন্যারেটিভ খুঁজলে তিনি ভুল করছেন। আর সেই ভুলের মাপকাঠিতে স্মিথ, রিকার্ডো, মার্ক্স, ফ্রিডম্যান, ভগবতী, ক্রূগম্যান থেকে আমাদের ভাদুড়ীবাবু - হগ্গলেই ভূষিমাল।

    ভাবছিলুম, ফিজিক্সে অ্যারিস্টটল আর নিউটন, দুজনের থিওরিই ইনএকজ্যাক্ট। দুজনকেই তবে এক জায়গায় দাঁড় করানো যায় কিনা।

    হিউমিলিটি শুধু বিজ্ঞানেই দরকার, আর এপিস্টেমোলজিতে ত্যাজ্য?
  • lcm | 128.48.7.142 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ০৩:২৬406585
  • শ্যামল, তোমার ৪ নম্বর পয়েন্টের দ্বিতীয় লাইনটায় একটু হতাশ হলাম। তর্কেও খাতিরে তুমি বোধহয় বেশী আবেগ তাড়িত হয়ে একথা লিখেছ। ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি, ল... যারা পড়েনি তাদের মত শোনার দরকার নেই!!
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ০৯:৩৫406586
  • এই প্রসঙ্গে এবারের অনুষ্টুপে দীপেশ চক্রবর্তী একটা হেবি মজর কথা লিখেছেন। ইতিহাস টিতিহাস করার আগে দীপেশবাবু বিজ্ঞান পড়তেন। মনে হয় ফিজিক্স। তা, বিএসসির প্রথম দিন ক্লাসে এসে তাঁর এক সহপাঠী জোর গলায় দাবী করেছিল, যে আইনস্টাইনের সঙ্গে তার নাকি মতে মেলেনা। সব্বাই শুনে প্রচন্ড হেসেছিল। মায় শিক্ষক পর্যন্ত। পরে, দীপেশ লিখেছ্‌ন, ইতিহাস করতে এসে তিনি বুঝেছিলেন, যে, এই হাসিটা একমাত্র প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ক্লাসেই সম্ভব। ইতিহাসের প্রথম বর্ষের ছত্র ক্লাসে এসে দাবী করতেই পারে, যে, ইরফান হাবিবের সঙ্গে তার মতে মেলেনা। তাতে কেউ কিছু মনে করবেনা। ব্যাপারটা হাস্যকর তো একেবারেই হবেনা।

    তা, ন্যাচারাল সায়েন্স আর সোসাল সায়েন্সের মধ্যে এইটুকু তফাত আছেই। ""মাধ্যাকর্ষণ আছে, সুতরাং সব জিনিসই পৃথিবীর দিকে আকৃষ্ট হয়'', এটা যেমন এক কথায় বলে দেওয়া যায়, সেরকম একই নি:শ্বাসে ""শোষণ ও বঞ্চনা থাকলে বিপ্লব হবেই'' কথাটা বলা যায়না। শোষণ ও বঞ্চনা থাকলে লোকে বিপ্লব করতেই পারে, কিন্তু তা ছাড়াও আরও অনেক অপশন আছে। এলাকা ছেড়ে পালাতে পারে। নিজেদের মধ্যে দাঙ্গা করতে পারে। বা, স্রেফ না খেয়ে মরে যেতে পারে। কিন্তু মাধ্যাকর্ষণ থাকলে সকল বস্তুর পৃথিবীর দিকে আকৃষ্ট না হয়ে উপায় নেই।

    এই তফাতটার জন্যই ন্যাচারাল সায়েন্সকে অনেক সময়ই ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য কাজে লাগানো হয়। কিন্তু সোসাল সায়েন্সকে কক্ষনো হয়না। কবে চন্দ্রগহণ হবে, সেটা জানার জন্য জ্যোতির্বিদের ডাক পড়ে, ভুল বললে লোকে প্যাঁক দিয়ে কাছা খুলে দেয়। কিন্তু "বলুন তো দাদা নেক্সট বিপ্লবটা কবে? এই জাতীয় প্রশ্ন সজাবিজ্ঞানীকে কেয় ভুলেও করেনা। করলে সমাজবিজ্ঞানী প্যান্টুল খুলে নেবেন। ইয়ার্কি পেয়েছ? আমি কি রাস্তায় টিয়াপাখি নিয়ে বসি? এইসব বলবেন।

    এই কনস্ট্রেন্টের মধ্যেও দাঁড়িয়ে মার্ক্স ইত্যাদিরা ইতিহাসকে অনেকটা ব্যাখ্যা করেছেন, সেই জন্যই তাঁরা নমস্য। এমনকি ফিউচারকেও অনেকটা মিলিয়ে দিয়েছেন, সেটা তো আরো বড়ো ক্রেডিট। কিন্তু মার্কসের ভবিষ্যদ্বাণী আদি অনন্তকাল ধরে খাটবে, সেটা মনে করার কোনো কারণ নেই। তাতে মার্কসের কৃতিত্ব একটুকুও খাটো হয়না। সোসাল সায়েন্স মালটাই এরকম। যাতে ভবিষ্যত দেখা যায়না।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ০৯:৪৯406587
  • যে কথাটা লিখব বলে এতো বকলাম, সেটাই ভুলে গেছি। :)

    এই বাজারে ইকনমিস্টদের ভবিষ্যদ্বক্তা হিসাবে ডাক পড়ার কোনো কারণ নেই। সে তিনি যতো ধুরন্ধর ব্যক্তিত্বই হোন। মার্কস বা স্টিগলিত্‌জ যেই হোন না কেন। প্রিজাইজলি কোনো কিছুই ইকনমিক্সে কেউই মেলাতে পারেননি। ইকনমিক্সে বা সোসাল সায়েন্সে। পারি কমিউন হবে, মার্কস বলতে পারেননি। রাশিয়ায় যে বিপ্লব হবে, তাও বলতে পারেননি। ২০০৯ সালে যে ইকনমিতে এরকম ধ্বস নামবে, সেটাও কেউ বলেননি। হাওয়ায় হাওয়ায় "বিপ্লব আসন্ন' বা "আগামী দশ বছরে একটা সংকট আসছেই' এসব বলার জন্য, আর যাই হোক ইকনমিস্ট হতে হয়না।

    এবার, এগুলো বলতে না পারাটা ইকনমিস্টদের দোষ না। সোসাল সায়েন্স মালটাই এরকম, তা ওনারা কি করবেন। কিন্তু প্রবলেমটা হচ্ছে, যেহেতু দেশের পলিসি ফলিসি অনেকাংশেই ইকনমিস্টরা নিয়ন্ত্রণ করেন, তাই জনতা তাঁদের রাজার পার্ট দিয়েছে, আর আরও আশ্চর্যজনক এটা, যে, ইকনমিস্টরা সেই মুকুট মাথায়ও পরে নিয়েছেন। তেড়ে ভবিষ্যত বলার চেষ্টা করছেন, তাও লং টার্মে। এবং জার্গন সহকারে। ভুলেই গেছেন, যে, "আপনার সঙ্গে আমার মতে মেলেনা' কথাটা সোসাল সায়েন্সের প্রাথনিক উপপাদ্য।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ০৯:৫৫406588
  • তো, এইটাই অমিত ভাদুড়ি সম্পর্কে আমার প্রধানতম আপত্তি। যে ব্যাপারে, অনেকদিন পরে, রঙ্গনের সঙ্গে আমি একমত। মাধ্যাকর্ষণ আছে, অতএব ভারি জিনিস নিচে পড়বেই, এটা ফিজিক্সে বলা যায় (এখন আর যায় কিনা জানিনা অবশ্য)। কিন্তু শোষণ হয়েছে, অতএব বিপ্লব হবেই, বা ইকনমি খুললেই তৃতীয় বিশ্বের সর্বনাশ, এটা দুম করে বলে দেওয়া যায়না। অতো সস্তা নয় ব্যাপারটা।
  • h | 203.99.212.224 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ১০:৪৩406589
  • ওভারল ইশানের সঙ্গে একমত, ন্যাচারাল সায়েন্সের সঙ্গে সোশাল সায়েন্সের এইটেই সর্বজনবিদিত পার্থক্য। কিন্তু এর কতগুলোছোটো দিক আছে। প্রথমত: ন্যাচারাল সায়েন্স আস্তে আস্তে নেচারকে বুঝতে শিখেছে এবং কিছু কিছু অব্যর্থ প্যাটার্ন আবিষ্কার করে ফেলেছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেটা পারে নি বা একটু আস্তে আস্তে পারছে। একেকটা বিষয়ে এই নাজানা টা একেকরকমের। মেডিকাল সায়েন্সের ক্ষেত্রে এক ধরণের ফিজিক্সের ক্ষেত্রে আরেক ধরণের (ক্যাওস ইত্যাদি, জেমস গ্লিকের ছাত্র পাঠ্য বইয়ে সোজা করে লেখা, ম্যান্ডেলব্রয়েট এর বক্তব্য ইত্যাদি।) অংকের ব্যাপারটা স্লাইট আলাদা, অংক জ্যামিতি বা নাম্বার থিয়োরীর প্রধান উদ্দেশ্য সব সময়ে এই প্রকৃতির মধ্যে প্যাটার্ন খুঁজে পাওয়া নাও হতে পারে, অবশ্য আমি জাস্ট ডিসকাশনের সুবিধের জন্য এই মুহুর্তে ন্যাচারাল নাম্বার গুলোকে আর জ্যামিতির বিষয় গুলোকে, 'প্রাকৃতিক ঘটনার' যে পদার্থবিদ্যায় ব্যবহৃত অর্থ তার থেকে বাইরে রাখছি। অংক কে ব্যবহার করে কে কি করতে চায়। কোন প্যাটার্ন ধরতে চায় সেটা যে ব্যবহার যে করছে তার প্রেরোগেটিভ।

    অর্থনীতির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা বেশ খানিকটা আলাদা। পোলিটিকাল ইকোনোমি আর মাইক্রো ইকোনোমিক্সের যেটা বিতর্ক সেটা তো সর্বজনবিদিত বিতর্ক। ইকোনোমিক্স এতটাই আইন ও শাসনের নীতির সঙ্গে ও সমাজতঙ্কেÄর সংগে এমনকি এথনোগ্রাফির সঙ্গে , গোদা করে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, যে ইকোনোমিক্স ন্যাচারাল সায়েন্স হিসেবে দাবী করতে পারে না, যে সত্যি সত্যি 'ন্যাচারাল' বা এম্পিরিকাল সায়েন্সের মত, একটা 'আইসোলেটেড' সিস্টেম কে পর্যবেক্ষন করছে। এর সঙ্গে জটিল করে আসছে, অর্থনৈতিক 'সাফল্যের' পদ্ধতি ও ধারণা। এটা প্রায় সব ক্ষেত্রেই অনেক সময়েই 'পলিসির' দান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই পলিসির মধ্যে যুদ্ধ ও থাকতে পারে, ঘটনা হিসেবে দুর্ভিক্ষ ও হতে পারে। ধরেন কালাহান্ডি তে দুর্ভিক্ষ হয়েছে বলে অনেক লোক বড়লোক হয়ে গেছে। ইইরাকে যুদ্ধ হল বলে প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সী বড় লোক হয়ে গেল। এটা ফ্যাকট। এটা কে শুধুই একটি প্রাকৃতিক ঘটনার অবশ্যম্ভাবী ফলাফল হিসেবে দেখা যাবে না।
    ইশানের যেটা মূল প্রতিপাদ্য, যে 'কার্যকারণ সম্পর্ক' দিয়ে সব সময়ে সোশাল সায়েন্সে কাজ হয় না, সেটা একটু উল্টো করে বলতে গেলে, বলতে হয় , ইকোনোমিক্সের ক্ষেত্রে অনেক সময়েই কিন্তু সম্ভব। তার কারণ হল, কোনো ক্ষমতাশালী অর্থনীতিবিদ ও রাজনইতিক ফর্মেশনের (পড়ুন গ্রীনস্প্যান ও আমেরিকার রাজনীতিজ্ঞগণ) এর নীতিতে যদি শুধু কর্পোরা বড়লোক হয় আর ক্রমশ: মেডিকাল ইনশিওরেন্সএর বারোটা বাজে, তাহলে সেটা এই কারণে নয় যে ইকোনোমিক্স এর ক্ষেত্রে প্রেডিকটিভ হওয়া সম্ভব নয়, এটার অনেকটাই বাংলা কারণ হল, পলিসির প্রায়োরিটি।
    অর্থনীতিতে ঠিক এই কারণেই, আমার কাছে, গ্র্যান্ড ন্যারেটিভের দরকার আছে। মাইক্রো ইকোনোমিক্স এর গুরুঙ্কÄ অস্বীকার না করেও বলা যায়, অর্থনীতির সঙ্গে রাজনীতির সম্পৃক্তি অংক দিয়ে কাটানো সম্ভব নয়, অংক ঠুলি নয়।

    কিন্তু এগুলো তো এই টইয়ের আলোচ্য বিষয় নয়। বা একটু আলগা রেফারেন্স মাত্র। মোদ্দা হল অমিতবাবুর বই। র এর ব্লগের লেখা ধরে অবশ্য আমি যতটুকু বুজেছি, একটা কথা বলতেই পারি, আমি র এর সঙ্গে এক দিক দিয়ে একমত(যদি বুঝে থাকি), যে মার্ক্স এর তাঙ্কিÄক কাজ তখনি গুরুঙ্কÄপূর্ণ যখন তাঁর রাজনৈতিক ক্রিয়াকান্ড (অতি সঙ্ক্ষেপে, ম্যানিফেস্টো, ইন্ট্যারন্যাশনাল, অসংখ্য প্যামফ্লেট) কেও এক সঙ্গে দেখা হবে। অমিত বাবুর গ্র্যান্ড ন্যারেটিভের এইটাই সমস্যা। সরাসরি পোলিটিকাল মোবিলাইজেশনের কথা বেশি নেই, থাকলেও মৃদু ভাবে আছে। আমার কাছে, বামপন্থী কর্মী হওয়ার ইতিহাস ওয়ালা ব্যক্তির কাছে, বাংলায়, এন জিও আর মাইক্রো ফাইনান্স এবং সরকারী সদিচ্ছা এবং সিভিল সোসাইটির ওয়াচডগের ভূমিকা, এই গুলো সব কটা মিলিয়েও ১০০% শতাংশ এমপ্লয়মেন্টে পৌঁছনো সম্ভব নয়। ওয়ার্লড সোশাল ফোরাম আর কম্যুনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল ঠিক এক জিনিস নয়। এক শো দেড়শো বছরে বাস্তব বদলেছে ঠিক। সেই জন্যেই অমিত বাবুর বইকে বিপ্লবী মনে হচ্ছে। এটার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মহত আকাডেমিক কাজ ছাড়া আর বেশি কিছু নাই। ভলান্টারিজম দিয়া ১০০% এমপ্লয়মেন্ট হয় না। সোশালিজম ব্যর্থ হয়েছে। অমিতবাবুর বই এখনো অল্টারনেটিভ হয় নি। নতুন দিশা এই আলোচনা আর যাঁরা বিপদে পড়েছেন তাঁদের সংগঠিত হওয়ার মধ্যে থেকে হয়তো বেরোবে, এখনো বেরোয় নাই।
  • sibu | 71.106.244.161 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ১২:০১406590
  • যে কোন তঙ্কÄই অ্যাপ্রক্সিমেশন অফ সাম রিয়েলিটি। এমনকি ন্যাচারাল সায়েন্সের তঙ্কÄও তাই। সুতরাং ন্যাচারাল সায়েন্সেও সব প্রেডিকশন মেলে না। অনেক প্রেডিকশন শুধু খানিক মেলে। এমনকি সব কিছু ডিটারমিনিস্টিকালি প্রেডিক্ট করাও যায় না, হাইজেনবার্গ মনে পড়ছে।

    এখন ন্যাচারাল সায়েন্সের কোন তঙ্কÄই পারফেক্ট নয়, সুতরাং তারা সবই এক রকম খারাপ - এ দাবী বেশ ফানি।

    এবারে সোশ্যাল সায়েন্সে তঙ্কÄগুলো আর একটু বেশী অ্যাপ্রক্সিমেট। কেননা ১) ক®¾ট্রালড এক্সপেরিমেন্ট করা যায় না, তাই শিখতে দেরী হয়, ২) ফার্স্ট লেভেল অনেক সময়েই দ্রুত বদলে যায়, তাই তঙ্কÄ মেটা স্তরে তৈরী করতে হয়, যেখানে শুধুমাত্র ইনডাইরেক্ট অবজার্ভেশন সম্ভব, এবং ৩) তঙ্কÄগুলো যেহেতু সেলফ-রেফারেন্সিং, সেহেতু লজিকাল স্ট্রাকচার তৈরীর কিছু ফান্ডামেন্টাল সমস্যা আছে (তবে সে অংকেও আছে, যারা গোডেল'স থিওরেম পড়েছেন তারা সেটা জানেন, যারা পড়েন নি - এই অংশটাকে নেম ড্রপিং (অ্যাজ ইফ বার্ড ড্রপিং) বলে ইগনোর করুন)।

    সোশ্যাল সায়েন্সের তঙ্কÄগুলোর কোনই প্রেডিকটিভ পাওয়ার নেই এ কথাটা ভাটের কথা। মার্ক্স বলশেভিক রিভোলিউশনের কথা প্রেডিক্ট করতে পারেন নি। ভলক্যানোলজিস্টরা কবে কোথায় ভূমিকম্প হবে বলতে পারেন না। কিন্তু মার্ক্স অন্য কিছু কথা বলেছিলেন যেগুলো মিলেছে। এর থেকে এটুকুই প্রমান হয় যে সোশ্যাল সায়েন্সে উন্নতির অনেক জায়গা আছে। এ কথা প্রমান হয় না সোশ্যাল সায়েন্সের সব তঙ্কÄই একই রকম ভাট।

    বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের সাথে ভিন্নমত হবার অধিকার প্রাকৃতিক বিজ্ঞানেও খুব দরকারী ব্যাপার। আইনস্টাইনের সাথে প্রথম বর্ষের ছাত্রের ভিন্নমত হবার কথা শুনে যাঁরা হেসেছিলেন - বিজ্ঞানী হিসেবে (এবং বিজ্ঞানের ছাত্র/শিক্ষক হিসেবে) তাঁরা আনসফিস্টিকেটেড। সবিনয়ে বলি, আমার ব্যক্তিগতভাবে বহু বছর ইউনিভার্সিটি স্তরে অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা আছে। আমি অল্প বয়েসী ছাত্র খুব বিখ্যাত বিজ্ঞানীর সাথে ভিন্নমত পোষণ করছে এমন ঘটনা বেশ কিছু দেখেছি। প্রায় সব ক্ষেত্রেই সেই ভিন্নমতাবলম্বী ছাত্রের সাথে আলোচনা তার, আমার ও অন্য ছাত্রদের জন্য সুন্দর শিক্ষাদানের/লাভের অভিজ্ঞতায় রূপান্তরিত হয়েছে। অন্তত: একটি ক্ষেত্রে ছাত্রটি ঠিক ছিল এবং তার বক্তব্যকে আরো বিকশিত করে আমরা দুটি পেপার লিখি। কোয়ান্টাম তঙ্কÄকে আইনস্টাইন কখনই গ্রহন করেন নি। এবং যাঁরা কোয়ান্টাম তঙ্কÄ তৈরী করেছিলেন তাঁরা আইনস্টাইনের তুলনায় কম খ্যাতিমান।
  • dri | 75.3.201.245 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ১২:৩৭406591
  • এ কথা একেবারেই ট্রু নয়, কেউ ২০০৯ এর ক্র্যাশ প্রেডিক্ট করতে পারেননি। ২০০৯ কেন, ১৯৯৭ এ এশিয়ান ক্র্যাশ প্রেডিক্ট করেছিলেন এমন লোকও আছে। সোভিয়েত ইউনিয়ানের ব্রেকাপ হবে প্রেডিক্ট করেছিলেন এমন লোকও আছে। এবং এদের প্রেডিকশানে খুব সাউন্ড লজিক ছিল। এগুলো কোনটাই খড়ি পাতা প্রেডিকশান নয়। তবে হ্যাঁ, তারা সব সময় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ নন। একটা সিস্টেমের মডেল যদি অ্যাকিউরেট বা অ্যাকিউরেটের কাছাকাছি হয়, তাহলে প্রেডিক্ট করা সম্ভব।
  • r | 125.18.104.1 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ১৩:১৬406592
  • বালাই ষাট! এত নমস্য মানুষদের আমি ভুষিমাল বলার কে?

    অমিতবাবুর বিরুদ্ধে বক্তব্য একটাই- উনি অর্থনীতির মেথডোলজিকাল দিক নিয়ে ঐ রিলেটিভিস্ট পোজিশন না নিলেই ভালো করতেন। রিলেটিভিস্ট অবস্থান সবসময়ই একটি গভীর গাড্ডা। ভদ্রলোক যদি স্রেফ এইটুকু বলতেন যে ডেফিসিট ফাইনান্সিং নিয়ে মনিটারিস্ট পোজিশনের যুক্তিগুলো ঢপ, কারণ এই এই, বা, যদি বলতেন যে ক্যাপিটাল অ্যাকাউন্ট কনভার্টিবিলিটির ফলে এই এই সমস্যা দেখা দেবে, এবং এই এই দেশে এই সমস্যাগুলো দেখা দিয়েছে- কোনো আপত্তি থাকত না। কিন্তু উনি অন্যদের "ব্যাদে সব আছে" বলার অভিযোগে অভিযুক্ত করে নিজেই একটা ব্যাদ লিখতে বসলেন- এটা একটু কেমন ইয়ে লাগে।

    এর থেকেই দ্বিতীয় সমস্যা আসে, যেটার খানিকটা বোধি বলেছে। "মহান উপন্যাস" লিখতে গেলে শুধু ডেফিসিট ফাইনান্সিং, ক্যাপিটাল অ্যাকাউন্ট কনভার্টিবিলিটি, বা পোর্টফোলিও ইনভেস্টমেন্টের গপ্পো লিখলে চলে না। ক্লাসিকাল পোলিটিকাল ইকোনমিক্সের গপ্পোটা অর্থনীতি-সমাজ-দর্শনের একটা কম্পোজিট গপ্পো ছিল। অ্যাডাম স্মিথের প্রিয় কাজ ছিল "থিওরি অফ মরাল সেন্টিমেন্টস"। এখন ঐধরনের কাজ কেউ করে না। সেটা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। অমিতবাবু আধুনিক স্টাইলে পুরাতন এপিক লিখতে গিয়ে ঘেঁটে ফেললেন। ভদ্রলোকের মডেলের একদম গোড়ায় আছে পোলিটিকাল মোবিলাইজেশনের গপ্পো। বাকি ইকোনমিক্সটা খুব চেনা। কিন্তু বইটা লেখা হল "আমার যেমন বেণী তেমনি রবে" ঢঙে। ওনার মডেল ইমপ্লিমেন্টেশনের মূল সমস্যাটা ধরি মাছ না ছুঁই পানি বলে কাটিয়ে দেওয়া হল। কাজেই, না রইল এদিক, না হল ওদিক।
  • r | 125.18.104.1 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ১৩:৩৬406593
  • আরও দুই এক কথা বলা যেত। কিন্তু আশা করি আগের পোস্ট আমার অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছে। এর পরেও শিবুদার প্রশ্ন থাকলে সেই দুই এক কথা লেখা যাবে।
  • lcm | 69.236.185.129 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ১৪:২৪406594
  • এবার, অমর্যাদার সাথে উন্নয়ন - নিয়ে কিছু হোক :)
  • h | 203.99.212.224 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ১৪:৩৯406596
  • আমার মনে হয় অমিতবাবুর একটা সমস্যা হয়েছিল। আমি যেহেতু স্বীকৃত ও পরিচিত বেঁড়েপাকা, বলেই ফেলি। নতুন করে নজ্জা পাওয়ার কিসু নাই। ইকোনোমিক্স এর থেকেও বেশি, সোশিওলোজিতে এখন যেহেতু বেশি বেশি করে 'ফ্র্যাগমেন্টেশনের' লজিক চলছে, যেটা বেসিকালি সমকালীন লিটেরারি থিয়োরীর দান এবং 'প্রতিবাদ' তথা রাজনৈতিক 'বিরোধী'তার শিবিরে মায় সেন্সিটিভ মেনস্ট্রীমের কাছে এই তঙ্কেÄর একটা সাধারণ কনসেন্‌শাস রয়েছে। নেহাত পাষন্ড ব্যাংকার আর পিনোচেতের ভুত ছাড়া অনেকেই এগ্রি করছে, যে কোনো কারণেই হোক, বড় পরিবর্তন করা যাবে না, একটু একটু করে হোক। এটা কোথাও এন জিও তঙ্কÄ কোথাও ট্রিকল ডাউন থিয়োরী(নিন্দুকের চোখে) কোথাও ক্যাপিটালিজম উইথ হিউম্যান ফেস। তাই এই ফ্র্যাগ্মেন্টেশনের তঙ্কেÄর (যেটা এথোনোগ্রাফিক মাল্টিপ্লিসিটি কে একটা যুক্তি হিসেবে ব্যবহার করে)-ও রাজনৈতিক কর্মী তথা এনজিও কর্মী তথা সিভিল সোসাইটি তথা গভরমেন্টের ওয়েলফেয়ার এজেন্সীর লোকদের কাছে,ওয়ার্ল্ড সোশাল ফোরামের ব্যাপক অডিয়েন্সের কাছে, শুধু বোধগম্য নয়, গ্রহণযোগ্য হতে গিয়ে উনি ওনার থিসিস এমন ভাবে রেখেছেন, যাতে জোর কা ঝটকা ধীরে সে লাগে। কিন্তু যেহেতু ব্যাপারটা ঠিক ফ্র্যাগমেন্টেড নয়, অনেক রকমের সম্পৃক্তি আছে, পুরোটাই সদিচ্ছা আর পার্টিসিপেটরি ডেমোক্রাসি নয়, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে, নন্দীগ্রামে গুলি না চললেই যে ১০০% লোকের কাজ হয়ে যাবে তা ঠিক নয়, বলা যায় না, আস্তে করে শিল্প ও কৃষিনীতির আমূল পরিবর্তন দরকার হতে পারে, তাতেও না কুলোতে পারে, সেই জন্য ওনাকে 'ফ্র্যাগমেন্টেড' পদ্ধতিতেই এই গোদা বড় প্যাঁচাল টাকে নিয়ে আলোচনা করতে হয়েছে।
    অতএব আমার মতে বিষয়ের সঙ্গে বিশ্লেষণের পদ্ধতির একটা স্ববিরোধ রয়ে গেছে। এবং অমিত বাবু বিরাট তাঙ্কিÄক বলেই, উনি ইচ্ছে করলেই এই বিরোধটা না রাখলেই পারতেন।
  • saikat | 202.54.74.119 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ১৪:৪৪406597
  • নাকি তঙ্কÄটাকে পরে আরো ডেভলপ করবেন?
  • saikat | 202.54.74.119 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ১৪:৪৫406598
  • *তঙ্কÄটাকে
  • r | 125.18.104.1 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ১৪:৫০406599
  • বোধি বেশি ভেবেছে। অমিতবাবু চিরকাল প্রচন্ড লড়াকু থিওরিটিশিয়ান। বিপক্ষের দুর্বল জায়গায় আঘাত করতে গিয়ে (দুর্বলতাটা একদম ঠিক ধরেছেন) অগ্রপশ্চাৎ বিশেষ চিন্তা করেন নি। ঘুঁষি মারবার আগে একটু চিমটিও কাটি- এইরকম আর কি। ঐ প্রথম প্যারাগ্রাফটির পরে বাকি কোথাও এই ইস্যুর কোনো উল্লেখ নেই।
  • h | 203.99.212.224 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ১৫:১০406601
  • এই যে অগ্রপশ্চাৎ না ভাবা, এটা কি তার মানে অমিত বাবু 'ঘোরে' লিখেছেন। মানে অমিত বাবুর লেখার সঙ্গে কি জীবনানন্দের মিল পাচ্ছি?

    সরি, জাস্ট ইয়ার্কি ;-)
  • arjo | 24.42.203.194 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ১৭:৫৫406602
  • না 'ঘোরে' লেখেন নি।

    সিম্পল প্রুভ - জীবনানন্দ 'ঘোরে' লিখছিলেন কারণ পরে উনি 'জীবনানন্দ' হবেন। ধরা যাক অমিতবাবু 'ঘোরে' লিখছিলেন তার মানে উনি পরে 'অমিতবাবু' হবেন। কিন্তু উনি এখনি 'অমিতবাবু। মহাকালের সরলরৈখিক চলমান নদীতে কি আর দুইবার 'অমিতবাবু' হওয়া যায় রে পাগল।
    (ডি: ম:)
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ২১:৩৬406603
  • র-র এই পোস্ট থেকে ব্যাপারটা বুঝলাম। এবং র-র অবস্থানের সাথে আমি একমত। একটাই বাজে, লিংকটা খুলতে পারছি না।

    হনুর পোস্টটা ভারী মজার :)))।
  • h | 61.95.144.10 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ২৩:৫১406604
  • এটা কি প্যাঁক? দাঁড়ান দেকাচ্ছি। আগে আপনারা আলোচনা করে নিন, তার পরে যা দোবো না কোচ্চেন ঠুঁসে। মিনিমাম ৮ টা রেডি।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ০০:০৪406605
  • না না, প্যাঁক হবে কেন? কিন্তু অমিতবাবুর মোটিভেশন নিয়ে ঐ পোস্টটা, আহা। মনে পড়ে গেল গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের সাথে আলোচনা। কোন নামী রিসার্চার কোন একটা আনটেনাবল পজিশন নিয়েছে। তার আলটিরিয়র মোটিভ কি তাই নিয়ে বীয়ার খেতে খেতে পিএনপিসি :))।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ০১:১৮406607
  • দাঁড়ান দাঁড়ান। মেলানো খুঁজতে গেলে বেশিদূর যেতে হবেনা। এই ১৯৮৯ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রণয় রায় হিসেব টিসেব করে বলেছিলেন, যে, কংগ্রেস ১৯১ টা সিট পাবে। ভোটের শেষে দেখা গিয়েছিল, কংগ্রেস ঠিক ১৯১ টাই পেয়েছে। (সংখ্যাটা হয়তো ভুল বলতে পারি, কিন্তু মেলানোটা খাঁটি)।

    বিশ্বের ইতিহাসে আরেকটা অঙ্ক কষে মেলানো বিখ্যাত। মানে প্রণয় রায়ের চেয়েও বেশি বিখ্যাত। :) ১৯১৭ সালের নভেম্বর বিপ্লবের সময় লেনিন হিসেব টিসেব করে বলেছিলেন, ৭ তারিখেই ক্ষমতা দখল করতএ হবে। সফল হতে গেলে। ৮ তারিখে খুব দেরি হয়ে যাবে। আর ৬ তারিখে খুব আগে। বলশেভিক পার্টি ৭ তারিখেই ক্ষমতা দখল করে। বাকিটা ইতিহাস।

    তো, সোসাল সায়েন্সে একদম কেউ কক্ষনো কিছুই মেলায়নি, এটা নয়। সেটা আমার বক্তব্যও না। আবার ন্যাচারাল সায়েন্সে সব ঠিকঠাক মিলিয়েই চলেছেন লোকজন, তা হয়না। যেমন ধরুন, এই কৃত্রিম উপগ্রহ ক্র্যাশ করা। প্রেডিকশানে ভুল হয় হয় বলেই তো ক্র্যাশ করে। সব সময় ঠিকঠাক বললে কি আর করত? কক্ষনো না।

    কাজেই ঠিক-ভুল টা কথা নয়। কথা হল এক্সপেক্‌ট্‌শনের। লোকে এক্সপেক্ট করে, যে, কৃত্রিম উপগ্রহ কিভাবে নামবে, সেটা আজ না হোক, কাল, বিজ্ঞানীরা ঠিকঠাক প্রেডিক্ট করতে পারবেন। সেটাই লক্ষ্য। কিন্তু প্রণয় রায়ের কাছে বছর বছর একদম কারেক্ট রেজাল্ট কেউ এক্সপেক্ট করেন না। এইটাইই হল দুটোর তফাত।

    ২০০৯ যে ক্র্যাশ হবে, নির্ঘাত কেউ বলেছিলেন। কত লোকে কত কথাই বলে। এটাও কেউ বলেই থাকবেন। কেউ পাত্তা দেয়নি। কেনই বা দেবে। পাত্তা তখনই পাওয় যাবে, যদি, বারবার কেউ ভবিষ্যত মিলিয়ে দিতে পারেন। যদি মার্জিন অফ এরর, রিপিটেডলি কম থাকে। ন্যাচারাল সায়েন্সের লোকেরা বারবার যেটা করে দেখিয়েছেন। সূর্যগ্রহণ কবে হবে, সেটা আমি এখন বিশ্বাস করি, কারণ প্রতিবারই জিনিসটা মিলে যায়। ইকনমিক্সে সেই জিনিস হবে?

    খুব সোজা জিনিস দিয়েই টেস্ট করা যায়। ২০০৯ এর মার্চ মাসে বসে আমি জানতে চাই ২০০৯ এর ডিসেম্বরে ডলার-রুপির এক্সসে্‌চঞ্জ রেট কতো হবে। জানলে হেবি উপকার হয়। কেউ একটা লিংক টিংক দিয়ে বা অঙ্ক টঙ্ক করে একটু প্রেডিক্ট করে দেখাবেন?

    না, দেখালেই বিশ্বাস করবনা। তবে বার দুই মিললে, থার্ড টাইম থেকে বিশ্বাস করা শুরু করব। গ্রান্টি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন