এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • মর্যাদার সাথে উন্নয়ন- অমিত ভাদুড়ি

    r
    বইপত্তর | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ | ৪৯৬৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ০১:৩২406608
  • ন্যাচারাল সায়েন্সেও অনেক কিছুই খুব প্রিসাইসলি প্রেডিক্ট করা যায় না। বলুন তো আপনি কতদিন বাঁচবেন? কিন্তু আপনি মরবেন সেটা রাইট প্রেডিকশন। আপনার মরার একজ্যাক্ট দিন প্রেডিক্ট করতে পারে না বলে মেডিসিন ননসেন্স নয়।

    ২০০৯-টা কেউ হয়তো বলে নি। কিন্তু গ্রীনস্প্যানের পলিসি উইল শর্টলি লিড টু এ মেজর ইকনমিক ডাউনটার্ণ, সেটা অনেকেই বলেছিল। এবং বলেছিল স্ট্যান্ডার্ড ইকনমিক থিওরি ব্যবহার করেই।
  • nyara | 64.105.168.210 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ০১:৩৫406609
  • মেডিক্যাল সায়েন্সকে যদ্দুর জানি ন্যাচারাল সায়েন্সের মধ্যে ধরা হয় না।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ০১:৩৭406610
  • আমি অন্য রকম জানি। কিন্তু সে তর্কে দরকার নেই। মেডিক্যাল সায়েন্সের বদলে বায়োলজিক্যাল সায়েন্স হলেও আমার চলবে।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ০৩:২৫406611
  • অনেক ন্যাচারাল সায়েন্সই নিখুঁত প্রেডিক্ট করতে পারেনা। বায়োলজি পর্যন্ত যাবার দরকার নেই। গাড়ি বানানোর পর, বা সারানোর পর ম্যানুফ্যাকচারার বা মেকানিক, কক্ষনো প্রেডিক্ট করতে পারেনা, যে, মালটা কদ্দিন চলবে। এরকম নয়, যে, তাদের হাতে যথেষ্ট টুল নেই বলে পারেনা। জিনিসটা থিওরিটিক্যালিই অসম্ভব। কারণ, ন্যাচারাল সায়েন্স সব সময়েই তার ডোমেনটা নির্দিষ্ট করে নেয়, আর সে সেই ডোমেনের ভিতরের ক®¾ট্রালড এনভায়রনমেন্টেই শুধু প্রেডিকশন করতে পারে। গাড়ি যদি ল্যাবে একটাই রাস্তার মধ্যে চালানো হত, তাহলে থিয়োরিটিক্যালি কদ্দিন চলবে, তার প্রেডিকশন সম্ভব ছিল। কিন্তু গাড়ি ল্যাবে না, রাস্তায় চলে, যেখানে খানা খন্দ ও অ্যাক্সিডেন্টের আড়ত। খানা ও খন্দ, অ্যাক্সিডেন্ট, মেকানিক্সের ডোমেনের বাইরে। নিজের ডোমেনের বাইরে ন্যাচারাল সায়েন্স কখনও নাক গলায়না।

    একই গল্প বায়োলজিতেও। যেটুকু বায়োলজি থিয়োরিটিক্যালিই প্রেডিক্ট করতে পারেনা, সেটা তার ডোমেনের বাইরে বলেই পারেনা।

    কিন্তু সোসাল সায়েন্সে কেসটা একেবারে আলাদা। সেখানে একেকটা ক্যাটিগরিই তৈরি হয় অন্য ডোমেনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়ে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডোমেন বলে সোসাল সায়েন্সে কিছু হয়ইনা। যেমন ধরুন, ইকনমিক্সেরই একটা উদাহরণ দিই। একদম বেসিক জিনিস। ডিমান্ড কার্ভ কেন বাঁকা? না মার্জিনাল ইউটিলিটি ক্রমহ্রাসমান বলে। মার্জিনাল ইউটিলিটি কেন ক্রমহ্রাসমান? না, একই জিনিস লোকে পেতে থাকলে জিনিসটার প্রতি আকর্ষণ আস্তে আস্তে হারাতে থাকে। এবার, এই যে, লজিক, যেটা ইকনমিক্সের লজিক বলে পড়ানো হয়, সেটা তো আসলে সাইকোলজির ডোমেনের বিষয়।

    ফলে, সোসাল সায়েন্স সবসময়েই একটা আরেকটার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। ইন্টার ডিসিপ্লিনারি মেথডলজি চাড়া সোসাল সায়েন্স অসম্ভব। আর ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডোমেন নেই বলে, নিজের ডোমেনের ভিতরের কোনো ক®¾ট্রালড এনভারনমেন্টও সোসাল সায়েন্সে বানিয়ে নেওয়া অসম্ভব। তাই প্রেডিকশন, এমনকি "ক®¾ট্রালড এনভায়রমেন্ট' এও অসম্ভব।

    এই হল তফাত।
  • sibu | 71.106.244.161 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ০৭:৪১406612
  • একটা ডোমেনের সাথে আর একটা জড়িয়ে থাকলে প্রেডিকশন কেন অসম্ভব হবে তা বুঝলাম না। সবাই জানে ন্যাচারাল সায়েন্সেও এমনটি হয়। কেমিস্ট্রির অনেক কিছুই ব্যাখ্যা করা হয় মলিকিউলের ভেতরের ফিজিক্স দিয়ে। মলিকিউলার বায়োলজি তো তিন-কোয়ার্টারের বেশী কেমিস্ট্রি। কিছু কিছু বেশ অ্যাকুরেট প্রেডিকশন তো এ সব বিষয়ে করা যায়।

    আসলে প্রেডিকশন কতটা সম্ভব হবে সেটা নির্ভর করে নাম্বার অফ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভ্যারিয়েবলস কতগুনো, আর সেগুলো কতটা ভালভাবে মাপা যায়। সোশ্যাল সায়েন্সে ভ্যারিয়েবল অনেক বেশী, সেগুনো মাপা অনেক শক্ত আর ক®¾ট্রালড এক্সপেরিমেন্ট সম্ভব হয় না বলে মডেল ফিটিং ও রিফাইনমেন্ট করতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু সোশ্যাল সায়েন্সের প্রেডিকটিভ পাওয়ার কেন ইনহেরেন্টলি কম হবে, তার কোন ব্যাখ্যা মামুর পোস্ট থেকে পেলুম না। যা পেলুম, সেটা অ্যানথ্রোপসেϾট্রক প্রেজুডিস। অমানুষেরা প্রেডিকটেবল হতে পারে, তাই বলে আমরা!!!
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ০৯:১০406613
  • শুধু জড়িয়ে থাকার কথা হচ্ছেনা তো। দুটো ডিসিপ্লিন একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতেই পারে। কিন্তু ডিসিপ্লিন জড়িয়ে থাকা আর প্রাথমিক স্বত:সিদ্ধগুলোই একে অপরের উপর নির্ভর করে থাকার মধ্যে একটা গুণগত তফাত আছে। প্সোজা কথায়, ন্যাচাল আর সোসাল সায়েন্সের তফাতটা এরকম:

    সোসাল সায়েন্সের একটা ডিসিপ্লিনের প্রাথমিক উপপাদ্য বা স্বত:সিদ্ধগুলোই অন্য ডিসিপ্লিনের উপর নির্ভরশীল। যথা ডিমান্ড কার্ভের বাঁকা আকারের ধারণাটিই দাঁড়িয়ে আছে সাইকোলজির উপরে। ন্যাচারাল সায়েন্সে তা নয়। সোসাল সায়েন্সের প্রাথমিক ক্যাটেগরিগুলি এমনিতেই ইন্টারডিসিপ্লিনারি চরিত্রের। ন্যাচারাল সায়েন্সের তা নয়।

    এর বাইরে সব সাবজেক্টই এর তার সঙ্গে গা ঘষাঘষি করে। একে অন্যের যন্ত্রপাতিগুলি ব্যবহার করে। তাতে এদের মধ্যে কোনো তফাত নেই।
  • arjo | 24.42.203.194 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ১০:১৮406614
  • সেদিনের শ্রমিক, গ্লোবালাইজেশন, উৎপাদনশীলতা এবং উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে একটি বহু আলোচিত সামুয়েলসনের পেপারের খানিকটা।

    Act I(b) goes on to address how the United States and China will fare when Schumpeterian technical improvement in China has quadrupled her labor’s productivity in good 2, which is the good that China has been exporting to the United
    States. In my stipulated example, Chinas average productivity still remains far
    below that of the United States. But, remember that so too are China’s real wages
    far below the United States.


    গ্লোবালাইজেশনে সমস্ত তাত্বিক আলোচনায় প্রোডাকটিভিটি গেইন ডিউ টু টেকনলজিকাল ইমপ্রুভমেন্ট একটা ভ্যালিড প্রপোজিশন। অমিত বাবু তাঁর বইতে সেটা কেন এড়িয়ে গিয়েছেন সেটাই জিগ্যেস করেছিলাম।

  • h | 203.99.212.224 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ১১:০২406615
  • শিবুদা, আমি কিন্তু মোটিভেশন নিয়ে কথাটা পিএনপিসি করার জন্য বলিনি। দুটো কারণে। প্রথমত: আমি আকাডেমিয়ার লোক নই। অতএব অমিত বাবুর কাজ সম্পর্কে পিএনপিসি করে আমার লাভ নাই। আমার ম্যানেজার দের সম্পর্কে করে আছে! দ্বিতীয়ত: অনেক সময়েই, বিশেষত: ভাবনা চিন্তার পক্ষে বন্ধ্যা সময়ে অনেক সময়েই 'মেনস্ট্রীম' এবং 'প্রতিবাদী' দুই শিবিরেই অনেক সময়েই এমন অনেক কনসেনশাস গড়ে ওঠে, যেটা ভাবনাচিন্তা আলোচনার পক্ষে খুব একটা ভালো কিসু নয়। আমি সোশাল সায়েন্স ও লিটেরারি ক্রিটিসিজমের দিক থেকে অন্তত গোটা পাঁচেক উদা দিতে পারি। প্রত্যেকটাই নাম করা পরিচিত বিতর্ক। গত বিশ বছরের আলোচনার উদাহরণের মধ্যে।
    যাউক গা, আমি আমার পজিশন টা পরিষ্কার করে পরে কখনো বলবো। অমিত বাবুর লেখা সম্পর্কে প্রশ্ন গুলো করার সময়ে। উই উইল টেক ইট অফ লাইন।
    আপনারা এখন কাজের কথাগুলো বলে নিন।
  • sibu | 71.106.244.161 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ১১:৫৭406616
  • ঈশেনের সাথে আলোচনাটা ক্রমশ: সার হারাচ্ছে। ন্যাচারাল সায়েন্সেরা একে অপরের ওপরে প্রাথমিক স্বত:সিদ্ধের স্তরে নির্ভর করে কিনা সেটা বড্ড প্রাথমিকতার সংজ্ঞার ওপর নির্ভরশীল। এটা নিয়ে আর কথা বলে লাভ নেই। ঈশান যদি বিষয়টাকে এপিস্টেমোলজিকাল স্তরে (অর্থাৎ প্রাথমিক স্বত:সিদ্ধ কাকে বলে এবং প্রাথমিক স্বত:সিদ্ধগুলি কিভাবে জড়িয়ে থাকলে দুটি বিষয়ের ভবিষ্যত প্রেডিক্ট করার ক্ষমতা ফান্ডামেন্টালি নষ্ট হয়) আলোচনা করতে চায় তো অন্য সুতোয় সেটা হতে পারে। যদিও সেটা করে খুব লাভ হবে বলে মনে হয় না।

    আর্য্যকে: তোমার এই প্রশ্নটা মনে হয় ইম্পর্ট্যান্ট। কিন্তু আর একটু ডিটেলে করলে ভাল হয়। মানে ঠিক কোন জায়গায় অমিতবাবু প্রোডাক্টিভিটির প্রশ্নটা না আনায় আলোচনার ক্ষতি হয়েছে বলে মনে কর সেটা একটু বললে সুবিধা হবে।

    হনুকে: না না, তুমি কথাটা পিএনপিসি করার জন্য বলেছ এমন কথা বলি নাই। ঐ কথাটা শুনে যাস্ট প্রফেসরি করার দিনগুলা মনে পড়ে গেছল, এই। তোমার মূল কথাটার সাথে আমি খুবই একমত। সব বিষয়েই বর্তমান ফ্যাশনের সাথে মেলাতে গিয়ে বিষয়ের ক্ষতি হয়। একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। কিছুদিন আগে এক স্নেহভাজন অনুজ আমার বন্ধুকে তার লেখা কিছু কবিতা দেখাতে এনেছিল, আমি তখন সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আমার মতে কবিতাগুলো বেশ, কিন্তু একটু রবি-রবি ভাব আছে (সাধু ক্রিয়াপদ, তৎসম শব্দ, ইত্যাদি)। আমার বন্ধু একটি সমালোচনাই বার বার করে করল - এই ফর্ম এখন আর চলে না। ছেলেটি চলে যাবার পর আমি বন্ধুটিকে চেপে ধরলাম ভাল কবিতা লেখা আর ফ্যাশানের সাথে পা মিলিয়ে চলার কি সম্পর্ক তাই নিয়ে। কিন্তু সে আসলে অন্য সুতোর গপ্পো।
  • arjo | 24.42.203.194 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ১৮:০৯406411
  • সেদিনও বলেছিলাম আজও বলছি। অমিতবাবুর এই ছড়ায় ও ছবিতে উন্নয়ন বইতে একটা সহজ সরল সমীকরণ আছে ওপেন ইকনমি => প্রোডাকটিভিটি ইনক্রিজ => শ্রমিক শোষণ। ওনার বক্তব্য অনুযায়ী এটা হবেই হবে (পরে এক্সাট লাইন গুলো তুলে দেব)। কিন্তু উল্টোদিকে বহুসময়েই প্রোডাক্টিভিটির এই উন্নতি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য হয়। সেটাকে একবারও উল্লেখ করা হয় নি। আমাদের মতন লেম্যানদের বোঝাতে গিয়ে উনি একটা বিরাট বড় অ্যাজাম্পশন করে নিলেন অথচ সেটার উল্লেখ কোথাও করলেন না। কেন? শুধুমাত্র গ্লোবালাইজেশন খারাপ সেটা দেখানোর জন্য? তাই যদি হয় তাহলে ধর্মীয় প্যামফ্লেটের মতন লাগে যারা শুধু অপর ধর্মের খারাপ দিক গুলোই শুধু দেখতে পায়।

    এবং আবারও বলি যে যদিও বা শ্রমিক এক্সপ্লয়টেশন হয় তাহলে তা বদ্ধ বা উন্মূক্ত ইকনমির ক্ষেত্রে আলাদা কেন?
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ১৯:০৩406412
  • বদ্ধ ইকনমি তে শ্রমিকদের পলিটিকাল ভয়েস বেশী থাকে, এটাই বুঝলুম পড়ে। যেটা উন্মুক্ত ইকনমি তে সম্ভব না। কিন্তু ঐ প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে আমারো প্রশ্ন। প্রোডাক্টিভিটি বাড়াবার জন্য শ্রমিক এক্সপ্লয়েটেশন বাড়লো হয়তো, কিন্তু তার তো লিমিটেশান থাকবেই। উন্নত প্রযুক্তি ছারা সেভাবে প্রোডাকশান বাড়ানো কি সম্ভব? সেক্ষেত্রে থিওরি দাড়াবে কোথায়?

  • arjo | 168.26.215.13 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ১৯:১৩406413
  • আরও একটু খোলসা করে বললে ভারতে গত এক বছরে যত উগ্রপন্থী আক্রমণ হয়েছে তার অধিকাংশের পিছনে রয়েছে কোনো না কোনো মুসলিম। সঠিক পরিসংখ্যান। কিন্তু কেউ যদি এর থেকে এই কনক্লুসন টানে যে ইসলাম ধর্ম মানেই উগ্রপন্থা তাহলে সেই কনক্লুশনটি ভুল বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

    তেমনি অমিতবাবুর এই সমীকরণটিও প্রশ্নাতীত নয়।

    ব্ল্যাংকিবাবু, উন্মুক্ত অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে সরকারের থেকেও মাল্টি ন্যাশনালরা শক্তিশালী হয়ে উঠে। তাই সরকারের ভয়েস কমে এবং শ্রমিকের ভয়েসও কমে। ব্যপারটা বুঝলাম, অন্যান্যরা আরও ভালো বুঝিয়ে বলতে পারবেন। কিন্তু অন্যদিকে উৎপাদনশীলতা বাড়লে শ্রমের মূল্য বেড়ে যায়, শ্রমের চাহিদা বাড়ে, ফলে শ্রমিকের লাভ হয়। দাঁড়িপাল্লার দুইদিকে বসালে কোনটি বেশি ভারী এবং কোনক্ষেত্রে সেটা বোঝা যায় নি।
  • shyamal | 24.117.80.243 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ১৯:৪৯406414
  • খোলা বাজারে মাল্টি-ন্যাশনালরা সরকারের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এখানে সরকার কে ? মূলত: আমলারা, যারা কোনদিন চায়না তাদের শক্তি কমে যাক। সরকারের ভয়েস কমে। কিন্তু শ্রমিকের ভয়েস কমে এই কথা ভুল।
    যদি তাই হত তবে দিনের পর দিন সফটওয়্যার শ্রমিকদের আয় ভারতে বাড়তনা। শ্রমিকের আয় বা সুবিধা তখনই কমে যদি মনোপলি থাকে। যদি কোক আর পেপসি দুইই থাকে তবে তাদের প্রতিযোগিতার ফলে শ্রমিকের ক্ষতি হয়না।
    শ্রমিকের ক্ষতি হতে পারে যদি সে , বাজার যা দিতে পারে, তার চেয়ে বেশী আয় করে। আগেই বলেছি, শোষণ কথাটার ব্যবহার বাতুলতা। খোলা বাজারে শোষণ থাকতে পারেনা। যাঁরা মনে করেন শোষণ চলছে ভারতে, একটা উদাহরণ দেবেন?
    অমিতবাবুর মত পাবলিকদের অসুবিধা হল, ওনারা ধরে নেন পাইটা একই সাইজের থাকবে চিরদিন। কাজেই প্রডাক্টিভিটি বাড়লে সেই শিল্প/পরিষেবায় শ্রমিক কমবে কাজেই শ্রমিকের ক্ষতি। ওঁরা বোঝেননা যে প্রডাক্টিভিটি বাড়লে সেই শিল্প/পরিষেবার আউটপুট জনতা আরো কম দামে পাবে। তারফলে জনতার হাতে উদ্বৃত্ত টাকা বেশী থাকবে যা দিয়ে সে অন্য কিছু কিনবে যা আগে অ্যাফোর্ড করতে পারত না। কাজেই সেইসব জিনিষের তৈরী ও বিক্রিতে নতুন লোক লাগবে ও আরো জব তৈরী হবে। টোটাল ইকনমি বাড়বে। আমার আত্মীয়রা যারা পঞ্চাশ কি ষাটের দশকে কর্মজীবন শুরু করেছেন, তাঁরা বলেন সে সময়ে বন্ধ অর্থনীতির আমলে কাজ পাওয়া দু:সাধ্য ছিল। আজ সে তুলনায় চাকরীর সংখ্যা অনেক অনেক বেশী।
    ভারতে প্রডাক্টিভিটি বাড়ায় আজ প্রায় সব জিনিষ তিরিশ বছর আগের তুলনায় রিলেটিভলি সস্তা। শাক সব্জি, চাল, ডাল, টিভি, ডিভিডি প্লেয়ার, বাস/ট্রেন ভাড়া ইত্যাদি।
  • h | 203.99.212.224 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ২০:২১406415
  • শ্যামলদার লজিক-মডেলের সুবিধে হল, শ্যামলদা শুধু একটা পরিবর্তনের বেনেফিসিয়ারী দের কাছে সেই পরিবর্তনের সুবিধে অসুবিধে জানতে চান। যেমন ধরুন সফটওয়ার কর্মী দের 'শ্রমিক' দের কাছে জানতে চাইলেন, মাল্টিন্যাশনাল দের হাতে ক্ষমতা বেড়ে সুবিধে হয়েছে কিনা। এই একই প্রশ্ন টা শ্যামলদা কিন্তু ধরেন টেক্সটাইল ইনডাস্ট্রির অসংখ্য সোয়েটশপ ওয়ার্কার দের কাছে জিজ্ঞেস করেন নি। যদি নেহরু কে জিজ্ঞেস করা হত, বলি হাঁগা, নেহরুভিয়ান অর্থনীতি তে তোমার কিসু উপকার হল, বা বংকিমচন্দ্রকে জিজ্‌ণাসা করা হল হ্যাঁ মশাই, ইংরেজ আসায় ঠিঅক এইমুহুর্তে আপনার কেমন লাগছে, আমাদের দর্শকদের একটু বলুন প্লিজ, এতে জিজ্ঞাসাও করা হল, ওপিনিয়ন ও নেওয়া হল, আবার বেশ মনপসন্দ মননশীল উত্তর ও পাওয়া গেল, প্রয়োজনে কেম্ব্রীজের ইংরেজিতে বা কমলাকান্তের বাংলায়।
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ২০:২৩406416
  • না মনে হয়। কারণ মুনাফা যাচ্ছে মাল্টিন্যাশনালদের কাছে। এবারে বিশ্বায়নের ফলে সেই মুনাফা তারা কোথায় ইনভেস্ট করবে সেটা তাদের ব্যপার। যেমন ইন্টেল তাদের চীপ তৈরী করে তাইওয়ান থেকে কিন্তু ড্রাইভার সফটওয়ার লেখায় ভারত থেকে। ক্যাপিটালিস্ট সেখানেই ইনভেস্ট করবে যেখানে একটি বিশেষ কাজের জন্য উন্নত প্রযুক্তি, হাই স্কিলড লেবার এবং কাজের পরিবেশ আছে। তাই ভারতে সফটওয়ার, বিপিও ইত্যাদি পরিষেবা বেড়েছে আর চীনে ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রী। তাই পাই বড় হলেও তার লাভ ডাইরেক্টলি সেই দেশে নাও পাওয়া যেতে পারে।

    ফলে যেটা হচ্ছে তাহল বিশেষ ঐ পরিষেবার সাথে যুক্ত লোকজন ছাড়া গ্লোবালাইজেশনের লাভ আমজনতার কাছে পৌঁছচ্ছে না। ফলত একটা বিরাট অসাম্য তৈরী হচ্ছে। এই ইনকাম ডিসপেয়ারিটি ভয়ংকর। এখানেই সরকারের ভূমিকা। গ্লোবালাইজেশন হল, অনেক লোক চাকরী পেল, আমাদের মতন লোকজন হিল্লি দিল্লী করে বেড়াল, একটা বিশেষ অংশের মানুষের খুব লাভ হল। কিন্তু সেই লাভ না চুঁইয়ে পড়ল না অন্য লোকজনকে টেনে তুলতে সাহায্য করল। সরকার যদি ভাবে দেশের দরজা খুলে দিলাম এবং আমার ভূমিকা শেষ তাহলে ভারতের মতন উন্নয়নশীল দেশে তা ভয়ানক। অমিতবাবু সেই কথাই বলেছেন তাঁর নিজস্ব স্টাইলে।

    শ্যামলবাবু বইটা আনিয়ে নিন। ভালো বই। পড়তে ভালো লাগবে।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ২১:৫৪406417
  • আজ্জোর কথাটার উত্তর এই।

    ১। প্রোডাক্টিভিটি অনেক কারণেই বাড়তে পারে। টেকনোলজির উন্নতি ও শ্রমিক শোষণ, এ দুটো গুরুত্বপূর্ণ কারন।

    ২। এই কারণ দুটো মিউচুয়ালি এক্সক্লুসিভ নয়। টেকনোলজির উন্নতি হলে শ্রমিক শোষণ বাড়বে না (বা বাড়ানো যাবে না) এমন নয়। তেমনি উল্টোটাও সত্যি নয়।

    ৩। প্রোডাকটিভিটি ও প্রফিট দুটো ভ্যারিয়েবলএর ওপরেই মোনোটনিক্যালি নন-ডিক্রিসিং। সুতরাং ইরেসপেকটিভ অফ কারেন্ট স্টেট, টেকনোলজির উন্নতি ও শোষণ, দুটোই ম্যাক্সিমাইজ করতে চাওয়া করপোরেশনগুলোর পক্ষে স্বাভাবিক।

    ৪। সুতরাং টেকনোলজির উন্নতি ও শ্রমিক শোষণ, দুটো ভ্যারিয়েবলকে আলাদা করে আলোচনা করা সম্ভব। ডিসিশন মেকিং প্রসেস হল টু ম্যাক্সিমাইজ দি ভ্যারিয়েবল আন্ডার কনসিডারেশন, গিভেন দি কারেন্ট স্টেট অফ দি আদার। সেই কারণেই অমিতবাবু টেকনোলজিক্যাল প্রগ্রেসের দিকটা আলোচনাতে আনেন নি।

    ৫। শোষণ কতটা সম্ভব তার কিছু আপার লিমিট আছে। একটা যেমন মার্ক্স সাহেব বলে গিয়েছেন, শ্রমের পুনরুৎপাদন এনশিওর করতেই হবে। সরলার্থ শোষণ করে শ্রমিককে মেরে ফেলাটা, যদি ঐ স্কিল লেভেলে শ্রমিকের রেডিমেড অজস্র যোগান না থাকে, তো সুবিধের ব্যাপার হবে না। সাধারনত: এতটা শোষন হয় না, কেন না তার আগেই স্টেট ইন্টারভেন করে (লেবার সেফটি ল, মিনিমাম ওয়েজ ইত্যাদি ইত্যাদি)। বিশ্বায়িত বিশ্বে স্টেটের ইন্টারভেন করার ক্ষমতা কমে যায়। সুতরাং শ্রমিক শোষণ লং রানে বাড়ে।

    মোটামুটি এই হল প্রতিপাদ্য। কিন্তু এই মডেলে অনেক সিম্পলিফিকেশন আছে। আমি এতে অনেক আপত্তি উঠবে আশা করছি। সেই আপত্তিগুনো শোনা যাক।
  • dd | 122.167.5.217 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ২২:০২406418
  • ভাদুরি মশাই সেই যে একবার এক বর্ষার রাতে ,ইষৎ মত্ত অবস্থায়, তার হারিয়ে যাওয়া দাদুকে খুঁজতে বেড়িয়েছিলেন, তার ছাতা ফেটে ফুটে একাক্কার..... মনে নেই? কারো ?

    মহকবি লিখলেন "মত্ত ভাদুরি ডাকে দাদুরে ছাতি গেওল ফাটিয়া"। পদ্যটি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ইকনোমিক পইট্রিতে ছাপা হয়েছিলো। পুরোটা হয়তো টিমের জানা।

    তো, এটাও এই টইতে লেখা জরুরী, ওনার অবস্থানটা বুঝতে।
  • h | 203.99.212.224 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ২২:২২406419
  • শিবুদা আরো আপত্তি শুনতে চান না একই আপত্তি আবার শুনতে চান। কঠিন ধোজ্জো। আমি একটু বলে নি :-))))) প্রথম আপত্তি হল স্বাধীন সমাজে, যখন ক্রীতদাস প্রথা বা উপনিবেশ নাই, তখন শোষণ বলে কিছু হয় না!কারণ সকলেই মার্কেট ফলো করছে।

    এর পরে আপনি বলুন।
  • r | 198.96.180.245 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ২২:২৫406420
  • এইটা শিবুদা কোথায় কইল? এইটা তো শ্যামলবাবু কইলেন।
  • r | 198.96.180.245 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ২২:২৮406423
  • (৩) নম্বর স্টেটমেন্টের প্রথম লাইন বুঝি নাই। ইকোয়েশনটা ল্যাখেন।
  • h | 203.99.212.224 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ২২:২৮406422
  • শিবুদার লাস্ট পোস্ট টা তে শিবুদা সোসন সোসন কচ্চিলেন, তাই আমি একটু বলে দিলাম ওসব সোসন ফোসন হয় না ;-)
  • h | 203.99.212.224 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ২২:৩১406424
  • শ্যামলদার হয়ে প্রক্সি দিলাম।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ২২:৪৬406425
  • মামুর কলে কি কইরা ইকুয়েশন লিখি :)।

    কিন্তু ইকুয়েশনের কি প্রয়োজন পড়ল? ৩ নং তো ইকুয়েশনের রিকোয়ারমেন্ট। মানে যদি দেখা যায় টেকনোলজিক্যাল প্রগ্রেসের ফলে প্রোডাকটিভিটি কমে গেল তো সেটাকে প্রগ্রেস বলা যাবে কি? আবার শোষন বাড়ল (অর্থাৎ সারপ্লাস ভ্যালু বাড়ল), কিন্তু প্রোডাকটিভিটি কমে গেল (আর সব কিছু গিভেন), তাই বা হয় কি করে?
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ২২:৪৮406426
  • শ্যামল সারপ্লাস ভ্যালু স্বীকার না করতেই পারে। আমার এক এক সময় অক্সিজেনের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে ইচ্ছা হয় :)।
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ২৩:৫৮406427
  • ১। তারমানে কি টেকনলজি গিভেন ফর দা ইকনমি অ্যাজাম্পশনটা ভুল ছিল। তাইওয়ানে যে আইবিএম লেনোভোর মাদার বোর্ড তৈরী হয় তার একটা কারণ সুলভ শ্রমিক অন্য কারণ অবশ্যই টেকনলজি এবং স্কিলড লেবার। সেটাকে ইগনোর করা মানে রঙীন চশমা পরে দুনিয়া দেখার মতন। অমিতবাবুর অতি সরলীকৃত এই সমীকরণটি সম্বন্ধে এটাই সবথেকে বড় অভিযোগ। মনে হয় উদার অর্থনীতি মানেই শ্রমিক শোষণ। এবং যেটা ইনেক্সপ্লিসিট তাহল বদ্ধ অর্থনীতি মানে শ্রমিক শোষণ নয়। সেটা ঠিক নয়। একেবারেই ঠিক নয়।

    ২। মার্ক্স কি বলেছিলেন সেটা এখানে অ্যাপ্লিকেবল নয়। কারণ উদার অর্থনীতির উল্টোটা কমিউনে ফিরে যাওয়া নয়। উল্টোটা বদ্ধ অর্থনীতি। সেটাও ক্যাপিটালিস্ট ইকনমি। ধরে নিই যদি শোষণ হচ্ছেই তাহলে বদ্ধ এবং উন্মুক্ত দুই ইকনমিতেই হবে উনিশ কিম্বা বিশ। শ্রমিক হিসেবে আমার কাছে বদ্ধ ইকনমির ফিলিপ্সের ইন-হাউস আইটির থেকে উন্মুক্ত ইকনমির কগনি বেটার অফার। যদিও শোষণ একটু বেশি কিন্তু রিটার্ন আরও বেশি। আমার মতন শ্রমিকের কোনটা ভালো লাগবে তা অমিতবাবু ঠিক করে দেবার কে?

    অমিতবাবুর বইটি পড়লে গ্লোবালাইজেশন মানেই তার সব খারাপ এই রকম একটা জায়গা তৈরী হয়। আপত্তি সেখানেই। যদিও সলিউশন দেবার সময় উনি বলেছেন দুইই থাকবে। দুজনকেই নিয়েই চলতে হবে।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০০:১০406428
  • ১। না, টেকনোলজি গিভেন, এই অ্যাজাম্পশনটাও সঠিক। আমার আগের পোস্টটা যেটা দেখাচ্ছে, সেটা হল, টেকনোলজি গিভেন ফর দি হোল ইকনমি, এই অ্যাজাম্পশনটা নেসেসারি নয়।

    তাইওয়ানে আইবিএম যে টেকনোলজি ব্যবহার করে সেই টেকনোলজি আইবি এম কি অন্য দেশে ব্যবহার করতে পারত না? যদি পারত, তাহলে টেকনলজি এখানে ফ্যাক্টর নয়। স্কিলড লেবার কি আই বি এম আম্রিকায় পেত না? পেত। সব বাদ দিয়ে যে ফ্যাক্টরটা পড়ে থাকল, সেটা হল ঐ চীপ লেবার ও ল্যাক্স লেবার ল।

    উদার অর্থনীতিতে শোষণ বেশী (ইন লং রান), কেন না স্টেটের ইন্টারভেন করার ক্ষমতা কম। কিন্তু বদ্ধ অর্থনীতিতে শোষন নাই এমন কথা অমিতবাবু কন নাই। তুমি যদি ওনার মুখে কথা বসিয়ে দাও তো আর কি বলার থাকতে পারে।

    ২। মজুরীর লোয়ার লিমিট হল শ্রমের পুনরুৎপাদন ব্যয়। মার্ক্সের এই কথাটা নিতে হলে কমিউনে ফিরে যেতে হবে কেন বুঝলাম না।

    আমি অমিতবাবুর হয়ে অ্যাপোলোজাইজ করতে বসি নাই। তাই ধারণা তৈরীর মত সাবজেক্টিভ ব্যাপার নিয়ে কথা বলছি না।
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০০:১৯406429
  • না: এটা একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আমার ভাষা খুবই সীমিত তাই আর বোঝাতে পারব না।

    মার্ক্স সাহেব কি বলেছিলেন সে কথা অবান্তর কারণ তাহলে বদ্ধ ইকনমির বিপরীতে ওনার ইকনমিক থিওরীর সমস্তটা অ্যাপ্লাই করতে হয় যাতে শ্রমিক শোষণ না হয়। সেটা না হওয়া অবধি শোষন হবেই। আমার মনে হয় আগের পোস্টেই সেগুলো খুব ক্লিয়ার করে বলেছি।

    আর অমিতবাবুর মুখে কথা বসাই নি। আমি বলেছি যা উনি না বলে বলেছেন। আমার যা মনে হয়েছে। অন্য কারুর অন্য কিছু মনে হতেই পারে। আই থিংক দ্যাটস অল।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০০:২২406430
  • কারুর একটা কথা নিতে হলে সব প্রেসক্রিপশনটাই মানতে হবে? তবে তো রিলেটিভিটি মানতে হলে কোয়ান্টাম ফিজিক্স বাদ দিতে হবে। আইনস্টাইন তো কোয়ান্টাম ফিজিক্সের বিপক্ষে ছিলেন।
  • shyamal | 24.117.80.243 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০০:৪৪406431
  • প্রথমে আর্যর যুক্তি যে মুনাফা যাচ্ছে MNC দের কাছে। লাভ না বলে মুনাফা বললেই বাঙালীর রক্ত গরম হয়ে ওঠে কারো কালো হাত ভেঙে, গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য। কেউ লাভ করলে চোখ টাটায়। এটা আর্যকে বলছিনা, বাঙালি জাতির রক্তে আছে কাঁকড়া মনোবৃত্তি।
    এবার দেখা যাক লাভ কি ও কত। ধরুন ওয়ালমার্ট বা মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি। এদের কথা বললাম কারণ এদের রিটেল ব্যবসা করতে দেয়নি সরকার।
    লাভ কাকে বলে? ধরুন ওয়ালমার্ট দোকান খুলল বাইপাসের ওপরে। বছরে ১০০ কোটি টাকার বিক্রি হল। তার জন্য বহু ছোট সাপ্লায়ারের কাছে জিনিষ কিনতে হয়েছে। দোকানের মেইটেন্যান্স, কর্মচারির মাইনে। এসব খরচা বাদ দিয়ে লাভ হল ১০ কোটি টাকা। এটাকে বলে অপারেটিং ইনকাম। এর থেকে সরকারকে ট্যাক্স দিল, ধারের সুদ দিল। থাকল ৪ কোটি টাকা। এইটা নেট ইনকাম বা লাভ বা মুনাফা। আগেই রাগ করে লাভ নেই। ব্যাপারটা বুঝুন। ইন্টেল, আই বি এম, ওয়ালমার্ট কারো অপারেটিং ইনকাম বিক্রির (রেভিনিউ) ১০-১৫% এর বেশি নয়। এর থেকে যায় ট্যাক্স ও সুদ।
    তাহলে ওয়ালমার্ট যে ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করল, তার জন্য প্রচুর লোক চাকরি পেল। প্রচুর সাপ্লায়ার লোক রাখল। লাভ হল ৪ কোটি টাকা।
    কিন্তু ভারত তথা প:বঙ্গের বামপন্থীদের মগজ গোমাতার বিশেষ আউটপুট দিয়ে তৈরী। তাই তাঁদের বোঝানো অসম্ভব।

    আর্য একটা কথা ঠিক বলেছে, ইন্টেল, এল জি, জি ই থেকে কেউ কেন ভারতে ম্যানুফ্যাকচারিং করেনা যাতে অল্পশিক্ষিত জনতার চাকরি হয়। পরের পোস্টে বলছি।
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০০:৪৬406434
  • ওয়েল, অ্যাকাডেমিশিয়ানদের বিরুদ্ধে এটা আমার অভিযোগ যে ওনাদের পলিটিকাল ও পার্সোনাল অ্যাজেন্ডাগুলো খুবই সুক্ষ ভাবে চরিতার্থ করেন। তাতে আমার মতন অর্ধশিক্ষিতদের মধ্যে প্রবল কনফিউশন তৈরী হয়। তা বেদ লিখতে বসে কনফিউশন তৈরী করলে ভালো লাগে না। ওনাদের পার্সোনাল অ্যাজেন্ডা হয়ত ফুলফিল হয়, কিন্তু বেদ হয় না। পলিটিকাল লিডার বা এমনসির সিইওদের কাছে এটা এক্সপেকটেড, কিন্তু অ্যাকাডেমিশিয়ানদের কাছেও এই একই জিনিষ ঘুরে ফিরে বিভিন্ন মোড়কে এলে বোরড হই। এই আর কি। অন্যদের অন্যরকম মনে হতেই পারে। চয়েজ আপনা আপনা - মহামতি বোধি বলেছেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন