এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • মর্যাদার সাথে উন্নয়ন- অমিত ভাদুড়ি

    r
    বইপত্তর | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ | ৫০৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • shyamal | 24.117.80.243 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০০:৪৬406433
  • শিবু,
    শ্যামল সারপ্লাস ভ্যালু স্বীকার নাই করতে পারে। স্বীকার বা অস্বীকার করব যদি ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলেন।
  • shyamal | 24.117.80.243 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০১:৪১406435
  • আমি কিন্তু বহু টইয়ে বলে এসেছি যে সরকারের দায়িত্ব জিরো নয়। সরকার দায়িত্ব নিয়ে ঠিক কাজ করেনা বলে গরিবী কমেনা। এগুলো রিপিট করছি:
    ১) Doing business is NOT government's business। সরকারকে সব পাবলিক সেকটর সংস্থা বেচে দিতে হবে।
    ২) সরকারের কাজ হল বেসরকারি সেক্টরের পরিপূরক হওয়া। অর্থাৎ এমন কাজগুলো করা যেগুলো দরকার অথচ লাভ করা যায়না, লোকসান হয়।
    এই লোকসান পুরনের জন্যই আমরা ট্যাক্স দেই। আমলা আর কেরানি পোষার জন্য নয়। কি কাজ? বলে বলে মুখ ব্যাথা হয়ে গেছে তাও
    ক) স্কুল শিক্ষা : স্কুল বাড়ি, শিক্ষক, তার ট্রেনিং, বিনা বেতনে প্রতি ছাত্রকে ১২ ক্লাশ অবধি শিক্ষা দেওয়া, অখাদ্য নয় এমন মিড-ডে মিল। কোন গাফিলতি হলে সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষককে ছাঁটাই।
    খ) বেসিক স্বাস্থ্য : ইমিউনাইজেশন, পুষ্টি ইত্যাদি নিয়ে ট্রেনিং। বহু গবেষণায় দেখা গেছে ভারতে অপুষ্টির কারণ দারিদ্র নয়। টাকা থাকতেও অশিক্ষা ও মহিলা/শিশুর পুষ্টিকে অবহেলা করা।
    গ) বাথরুম ব্যবহার করতে উৎসাহ দান। অধিকাংশ রোগ হয় গ্রামে মল পানীয় জলে যাওয়ার ফলে। লোকে মাঠে মলত্যাগ করে।
    ঘ) নগরায়ণ, নগরায়ণ, নগরায়ণ : গ্রামে পরিষেবা দেওয়া অসম্ভব। চাষে ১ জনের কাজ ১০ জনে করে। তাই সবাই গরীব। কর্পোরেট ফার্মিং, নগর তৈরী করা, বেসরকারি সেক্টরকে সস্তায় জমি দেওয়া যাতে তারা সস্তায় কোটি কোটি ফ্ল্যাট তৈরী করতে পারে। ল্যান্ড-সিলিং আইন বেআইনী করা।

    দেশের উন্নতির জন্য সরকারের বিপুল দায়িত্ব আছে। সেগুলো সরকার করেনা অথচ ব্যবসা করতে যায়। সরকার যদি এই কাজগুলো না করে তবে বিশ্বায়নকে দোষী করে লাভ নেই।
  • bitoshok | 128.101.220.108 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০১:৪৩406436
  • শিবু-র আইনস্টাইন/ফিজিক্সের উদাহরন গুলো ঠিক হচ্ছে না।
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০২:৫০406437
  • শ্যামল বাবুকে পরপর কতকগুলি প্রশ্ন করি। দু এক কথায় উত্তর দিন।

    ১। এই যে ওয়ালমার্ট, এলজি, ইন্টেল অপারেটিং কস্ট, ট্যাক্স, সুদ ইত্যাদি বাদ দিয়ে যে মুনাফা করল সেটা তারা কি করবে?

  • nyara | 67.88.241.3 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০৩:০০406438
  • শ্যমলবাবুর স্যাম্পল সাইজ এক। তাই দিয়ে উনি থিওরির সপক্ষে যুক্তি চালাচ্ছেন। যেমন ভারতের অর্থনীতি উন্মুক্ত করে দেবার ফলে সফটওয়্যার শ্রমিকদের ওয়েজ বেড়ে গেছে। অন্য শ্রমিকদের ওয়েজ কি বেড়েছে? যদি না বাড়ে কেন বাড়েনি? উন্মুক্ত তো শুধু আর সফটওয়্যার সেকটর শুধু হয়নি।

    কিম্বা, এই যে অ্যামেরিকান ইকোনমি - যা উন্মুক্ত হতে হতে এখন একদম ন্যাংটো - তাতে গেল পঞ্চাশ বছর ধরে শ্রমিকদের রিয়্যাল ওয়েজ কমে চলেছে কেন?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০৩:১৩406439
  • শ্যামলবাবু। সারপ্লাস ভ্যালু ব্যাপারটা সোজা। ধরুন একতাল লোহা ছিল। প্রচুর শ্রম টম করে লোহা গলিয়ে কাস্টিং টাস্টিং করে, ধরুন তা দিয়ে একটা বল্টু বানানো হল। ঐ তালেও যা লোহা ছিল, বল্টুতেও তাই। কিন্তু বল্টুর "মূল্য' এক তাল লোহার চেয়ে বেশি। এবার বল্টুর মূল্য - লোহার তালের মূল্য = সারপ্লাস ভ্যালু। যেটা মূলত: মানুষের শ্রমের দান।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০৩:২৫406440
  • আমি তো ফিজিসিস্ট নই। তবে http://en.wikipedia.org/wiki/Quantum_mechanics পাতাতে দেখুন। "Einstein himself is well known for rejecting some of the claims of quantum mechanics. While clearly inventive in this field, he did not accept the more philosophical consequences and interpretations of quantum mechanics, such as the lack of deterministic causality and the assertion that a single subatomic particle can occupy numerous areas of space at one time. He also was the first to notice some of the apparently exotic consequences of entanglement and used them to formulate the Einstein-Podolsky-Rosen paradox, in the hope of showing that quantum mechanics had unacceptable implications."
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০৩:২৯406441
  • শিবুদা।

    এক। পুরোনো কথাটা শেষই করি। আমার বক্তব্য খুব সোজা। এক লাইনেই বলা যায়। "সোসাল সায়েন্সের ক্যাটিগরিগুলি মূলত: ইন্টারডিসিপ্লিনারি'। এটা নিয়ে গুচ্ছের কথাবার্তা হয়ে গেছে দুনিয়াজুড়ে। আর বাড়ানোর কোনো মানে নেই। :)

    দুই। অন্য প্রসঙ্গ। "মজুরির লোয়ার লিমিট হল শ্রমের পুনরুৎপাদন ব্যয়', এটা আজকের বিশ্বায়িত পরিস্থিতিতে অচল। এবং স্ববিরোধী।

    কেন, ব্যাখ্যা করি। ধরুন ভারতে একজন হাইলি স্কিলড লেবার, ধরা যাক, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের পুনরুৎপাদন ব্যয়, আর একজন আমেরিকান সফটওয়্যার কর্মীর পুনরুৎপাদন ব্যয়, এরা কি এক? একেবারেই না। এই দুই দেশে একজন সফটোয়্যার কর্মীর বেড়ে ওঠার খরচায় আকাশ-পাতাল তফাত। ফলে হিসেব অনুযায়ী, এদের মজুরিরও আকাশ-পাতাল তফাত হওয়া উচিত।

    যদি এই "হওয়া উচিত' টা মেনে নিই, তাহলে, সেটা মার্ক্সের "দুনিয়ার মজদুর এক হও' পলিটিক্সের বিরুদ্ধে গেল। আর যদি মেনে না নিই, তাহলে তো ল্যাটা চুকেই গেল।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০৩:৩৫406442
  • লোয়ার লিমিট আর আসল মজুরী কি এক জিনিষ?

    দুনিয়ার মজদুর এক হবার পলিটিক্স নিয়ে আমি কোন কথা বলি নাই।

    ন্যাচারাল নায়েন্সের ক্যাটিগরিগুলিও ইন্টারডিসিপ্লিনারি। তাই নিয়ে অনেক কথা এখনো হয়।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০৩:৫৩406444
  • ১। তুমি মাক্সকে কোট করেছ। ওটা মার্ক্সের কথা। যে, লং রানে, মূল্য হল তার পুনরুৎপাদনের খচ্চা। সেটা বস্তুর দাম এবং শ্রমিকের মজুরি উভয়ের ক্ষেত্রেই খাটে। মার্ক্সের পুরো থিয়োরিটাই তার উপর দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে আলাদা করে "লোয়ার লিমিট' বলে কিছু নাই।

    ২। তুমি "দুনিয়ার মজদুর এক হও' বলনি। ওটাও মার্ক্স বলেছেন। এবং মার্ক্সের কথাবার্তা আজকের পরিস্থিতিতে পরস্পরবিরোধী। অতএব খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না।

    ৩। ন্যাচারাল সায়েন্সের বর্গগুলি কেউই ইন্টার ডিসিপ্লিনারি নয়, এমন নয়। কিন্তু সোসাল সায়েন্সের সঙ্গে তার কি তফাত, সেটা মার্ক্সের ডিসকোর্সখানির স্ববিরোধ নিয়ে একটু ভাবলেই বোঝা যাবে। :)
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০৪:০৮406445
  • হাতের কাছে তো অন্য বই নাই, উইকি-ই ভরসা। http://en.wikipedia.org/wiki/Surplus_value বলছে "Relative surplus value is obtained mainly by

    * reducing wages — this can only go to a certain point, because if wages fall bellow the ability of workers to purchase their means of subsistence, they will be unable to reproduce themselves and the capitalists will not be able to find sufficient labor power"
    । পড়লে লোয়ার লিমিটের কথাটা বোঝা যায়। ধর আমি যদি বলি বিশু বছরে ১০০ টাকার কম রোজগার করতে পারে না, তাহলে ১০০ টাকা হল বিশুর আয়ের লোয়ার লিমিট।

    ন্যাচারাল সায়েন্সের বর্গগুলি সবাই ইন্টারডিসিপ্লিনারি। তুমি দাবী করেছিলে সোশ্যাল সায়েন্সের বর্গগুলি ইন্টারডিসিপ্লিনারি হবার কারনে তাদের ভবিষ্যৎ প্রেডিক্ট করার ক্ষমতা ইনহেরেন্টলি কম। কিন্তু তুমি বুঝিয়ে বললেনা ইন্টারডিসিপ্লিনারি হবার সাথে ভবিষ্যৎ প্রেডিক্ট করার ক্ষমতা কম হবার কি সম্পর্ক। এখানে অপারেটিং টার্ম হল - ইনহেরেন্টলি।

    মার্ক্সের কথা নিয়ে আমরা অন্য সুতোতে আলোচনা করতে পারি। সেখানে মার্ক্সের গুরুত্বহীনতার দাবী থেকে মজুর ঐক্যের রাজনীতির সারবত্তা, সব কথাই হতে পারবে। আপাতত: এখানে আমার মজুরীর লোয়ার লিমিট = শ্রমের পুনরুৎপাদনের ব্যয়, এটুকুই চাই।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০৪:২৪406446
  • শিবুদা। নেটে ক্যাপিটাল অব্দি আছে। খুঁজে দেব। পরে।

    এখন কাজ কচ্ছি। :)
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০৫:১০406447
  • এই যে।

    বইয়ের নাম Wage Labour and Capital

    চ্যাপ্টার চার : By what are wages determined?

    "" Now, the same general laws which regulate the price of commodities in general, naturally regulate wages, or the price of labor-power. Wages will now rise, now fall, according to the relation of supply and demand, according as competition shapes itself between the buyers of labor-power, the capitalists, and the sellers of labor-power, the workers. The fluctuations of wages correspond to the fluctuation in the price of commodities in general. But within the limits of these fluctuations the price of labor-power will be determined by the cost of production, by the labor-time necessary for production of this commodity: labor-power.

    What, then, is the cost of production of labor-power?

    It is the cost required for the maintenance of the laborer as a laborer, and for his education and training as a laborer.

    Therefore, the shorter the time required for training up to a particular sort of work, the smaller is the cost of production of the worker, the lower is the price of his labor-power, his wages. In those branches of industry in which hardly any period of apprenticeship is necessary and the mere bodily existence of the worker is sufficient, the cost of his production is limited almost exclusively to the commodities necessary for keeping him in working condition. The price of his work will therefore be determined by the price of the necessary means of subsistence.
    ''

    লিংক: http://www.marxists.org/archive/marx/works/1847/wage-labour/ch04.htm

    বইটা পুরোটা পড়লেই ডিটেলটা বোঝা যাবে।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০৫:২০406448
  • আরেকটু কোটই করে দিই:

    Thus, the cost of production of simple labor-power amounts to the cost of the existence and propagation of the worker. The price of this cost of existence and propagation constitutes wages. The wages thus determined are called the minimum of wages. This minimum wage, like the determination of the price of commodities in general by cost of production, does not hold good for the single individual, but only for the race. Individual workers, indeed, millions of workers, do not receive enough to be able to exist and to propagate themselves; but the wages of the whole working class adjust themselves, within the limits of their fluctuations, to this minimum.

    পড়লেই বোঝা যাবে পুনরুৎপাদনের খরচটা "মজুরির লোয়ার লিমিট' কক্ষনো না। লোকে ওর চেয়ে কম মজুরিও পায় বেশিও পায়। কিন্তু মোটের উপর, লং রানে, পুনরুৎপাদনের খচ্চাটসাই হল "মজুরি'।

    অতএব মজুরির লোয়ার লিমিট = শ্রমের পুনরুৎপাদনে ব্যয় নয়। দাবীটা ভুল। মার্কস কখনও এরকম বলেন নি।

    আর মার্ক্সের কথা নিয়ে এই সুতোয় আমরা অলোচনা নাই করতে পারি। সেক্ষেত্রে আমি এক্সপেক্ট করব, তুমি মার্কসকে কোট করবেনা। তুমি কোট করলে আলোচনা আসবেই। কাজেই আলোচনা এড়াতে গেলে কোট না করাই ভালো। ;)
  • sibu | 71.106.244.161 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০৯:২৭406449
  • তোমার কোট দেখাচ্চে যে মার্ক্স বলেছিলেন ওয়েজের লংটার্ম ইকুইলিব্রিয়াম হল শ্রমের পুনরুৎপাদন ব্যয়। এখন তার চেয়ে কম দামে যেহেতু শ্রম তৈরী হবে না, সেহেতু ওর চেয়ে কম দাম দেওয়া সম্ভব নয়। বস্তুত, তোমার কোটই মিনিমাম ওয়েজ হিসাবে ঐ পুনরুৎপাদন ব্যয়ের কথা বলছে। এখন কোন ইনডিভিজুয়াল শ্রমিক ওর চেয়ে কম পেতে পারে। ফর দ্যাট ম্যাটার, কোন ইন্ডিভিজুয়ালকে এক পয়সাও না দিয়ে খাটানো হতে পারে। কিন্তু ওভার অল লেবারফোর্স, ঐটি হল মিনিমাম ওয়েজ, aka লোয়ার লিমিট অফ ওয়েজ।
  • sibu | 71.106.244.161 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০৯:২৮406450
  • ও হ্যাঁ, কিছু কোট করার আগে, এর পর থেকে পড়ে কোট করাই ভাল হবে।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০৯:৫০406451
  • আমার Date:07 Mar 2009 -- 03:53 AM এর পোস্ট দেখ। প্রথম লাইনটাই লিখেছিলাম ""তুমি মার্ক্সকে কোট করেছ। ওটা মাক্সের কথা। যে, লং রানে মূল্য হল তার পুনরুৎপাদনে খচ্চা। সেটা বস্তুর দাম এবং শ্রমিকের মজুরি উভয়ের ক্ষেত্রেই খাটে'। আমার কোটও সেটাই দেখাচ্ছে। তুমিও তাইই লিখেছ। "মার্ক্স বলেছিলেন, ওয়েজের লং টার্ম ইকুইলিব্রিয়াম হল শ্রমের পুনরুৎপাদন ব্যয়। ''

    আর তোমার বাকি লজিক একটু একটু সংখ্যা দিয়ে লিখি।

    এখানে মিনিমাম ওয়েজ হল ১০ টাকা।
    কিন্তু কোনো ইন্ডিভিজুয়াল শ্রমিক ৫ টাকাও পেতে পারে।
    তাতে কি? ১০ টাকাই হল মিনিমাম ওয়েজ। :)
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ০৯:৫১406452
  • আর হ্যাঁ, আমি সাধারণত আসল জিনিসটা পড়ে কোট করি। উইকি পড়ে না। :)
  • sibu | 71.106.244.161 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ১০:৩৯406453
  • মিনিমাম ওয়েজ কথাটা তোমার কোটেই আছে। তুমি কি পড়তে জান না?

    তোমার কোটটা পড়ে দেখ, মার্ক্স নিজেই বলছেন ওভার অল লেবারস, শ্রমের পুনরুৎপাদন ব্যয় হল মিনিমাম ওয়েজ। তুমি আসল জিনিষ পড়ে কোট কর না মামু। তুমি জাস্ট পড়তে জান না।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ১০:৫৪406455
  • ওখানে মিনিমাম কথাটা কেন উল্লেখ করা আছে, সেটাও কোটেই দেওয়া আছে। Thus, the cost of production of simple labor-power amounts to the cost of the existence and propagation of the worker. The price of this cost of existence and propagation constitutes wages. The wages thus determined are called the minimum of wages.

    একটু বাংলা করে বলি? জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় "মিনিমাম' খচ্চা দিয়ে এই ওয়েজ তৈরি হয়। এইভাবে নির্ধারিত মজুরিকে তাই "মিনিমাম অফ ওয়েজেস' বলা হয়। এটা মোটেই "লোয়ার লিমিট' নয়।

    পড়ার জন্য একটা গোটা চ্যাপ্টার দিয়েছিলাম। তার থেকে শুধু "মিনিমাম' শব্দটাকে তুলে নেওয়াকেই বোধহয় প্রাজ্ঞতা বলে। :)
  • sibu | 71.106.244.161 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ১০:৫৯406456
  • তুমি ইংরিজী জান না মামু। তোমার সাথে তক্কো বৃথা। তোমার কথা সত্যি হলে, অনেক শ্রমিক এই ওয়েজের থেকে কম পায়, কিন্তু ওভার অল ক্লাসের জন্য এই ওয়েজ লিমিট - এ কথা আসতো না। যাক গে।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ১১:১৪406457
  • শুধু ইংরিজি না। আমি অঙ্কও বুঝিনা। উইকি তেমনভাবে পড়িনি, তাই মার্কসটাও জানিনা।

    তবে এই সিচুয়েশনটা আমার মতো মূর্খরও হেবি লাগল: আমাদের পাড়ায় কেউ কেউ ৫টাকা মজুরি পায়, কেউ কেউ ২ টাকাও পায়। কিন্তু তাতে কি? মজুরির লোয়ার লিমিট হল ১০০ টাকা। কেউ তার চেয়ে কম পেলেও ১০০ টাকাই লোয়ার লিমিট।

    এই অঙ্কটা অঙ্ক জানা কেউ বুঝিয়ে দিলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। :)
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ১১:৩৩406458
  • অবশ্য আমি ইংরিজিটা জানিনা। লোয়ার লিমিটের বাংলাটা "গড় মান'ও হতে পারে। :)
  • shyamal | 24.117.80.243 | ০৭ মার্চ ২০০৯ ১৯:১৯406459
  • সারপ্লাস ভ্যালু ব্যাপারটা বুঝলাম উইকি পড়ে। দেখুন ঠিক লিখছি কিনা। একজন শ্রমিকের মাইনে মাসে ১০০ ডলার। কিন্তু সে যে কাজ করে তাতে মাসে ১০০ ডলারের কাঁচা মাল থেকে সে তৈরী করে ৫০০ ডলারের প্রডাক্ট। কাজেই সারপ্লাস ভ্যালু ৪০০ ডলার।
    মার্ক্সবাবুর বোধ হয় দু:খ যে শ্রমিক ঐ ৪০০ ডলার পাচ্ছে না কেন।
    প্রথমেই বলি আজকের দুনিয়াতে মার্ক্সবাবুর অনেক অ্যাসাম্পশন খাটেনা। যেমন ওনার সময়ে সরকার ছোট ছিল। ট্যাক্স ছিল ৫%। আজ সব দেশে গড় ট্যাক্স ৩৫ - ৪০% ( কর্পোরেট ট্যাক্সই বলুন বা ব্যাক্তিগত ট্যাক্স, অর্থাৎ আয়কর, সেলস ট্যাক্স, প্রপার্টি ট্যাক্স, সোশ্যাল সিকিউরিটি ট্যাক্স সব যোগ করে)। কাজেই সারপ্লাস ভ্যালুর অনেকটাই সরকারের কাছে গিয়ে রিডিস্ট্রিবিউটেড হয়।
    দ্বিতীয়ত: মার্ক্সবাবুর লজিকে গলদ আছে। একজন ব্যবসায়ী যখন ব্যবসা চালু করে তার প্রচুর ঝুঁকি নিতে হয়। প্রথমত: ধার করতে হয়। দ্বিতীয়ত: সে জানেনা তার প্রডাক্ট বাজারে নেবে কিনা। যেমন বহু টাকা খরচ করে বেটাম্যাক্স বা HD-DVD তৈরী করে দেখা গেল সেগুলো চললনা । তার বদলে জনপ্রিয় হল যথাক্রমে VHS আর blu-ray। ভাগ্যদেবী ব্যবসায়ীকে যে প্রচুর অর্থ দেন তা হল ঝুঁকির মুল্য। সেটাকি মার্ক্সবাবু জানেন?
    অপর পক্ষে শ্রমিকের ঝুঁকি মিনিমাম। সে আসে, কাজ করে। মাসের শেষে টাকা পায়। আগেই বলেছি শোষণ হচ্ছেনা কারণ শ্রমিক যে কোন সময়ে কাজ ছেড়ে দিতে পারে।
    এবারে দেখা যাক শ্রমিকের মজুরী কি ভাবে ঠিক হয়। তার দক্ষতা আর সেই দক্ষতার লোক বাজারে কত আছে , এই দিয়ে। যেমন দুমাস গাড়ি চালানো শিখে ড্রাইভার হওয়া যায়। তাই বাজারে ড্রাইভারের যোগান প্রচুর। তাই মজুরী কম। কিন্তু সার্জন হতে গেলে বহু বছর পড়াশোনা করতে হয়। ডাক্তারিতে চান্স পাওয়া সহজ নয়। এসব কারনে সার্জনের যোগান কম। তাই মজুরী বেশী। সবাই মোটামুটি জানে তার বাজার দর কি। একজন নতুন ড্রাইভার এল আমার বাড়িতে। ভালই চালায়।
    কি কত নেবে?
    ছ্যার, আপনিই বলুন, আমি কি বলব। ( আশা হল, যদি আমি বেশি বলি)
    আচ্ছা, আমার আগের ড্রাইভারকে দিতাম মাসে ২৭০০ আর দুদিন ছুটি। আর ওভারটাইম ঘন্টায় ১০ টাকা। তুমিও তাই পাবে।
    ঐ রেটে কেউ কাজ করবে না। জিনিষের দাম কি বেড়ে গেছে।
    তা তুমি কত চাও সেট বলনা।
    একটা ঠিক ঠাক কিছু দেবেন।
    আরে বলনা কত চাও।
    ঐ ৩৩০০ আর মাসে চারদিন ছুটি।
    শেষে রফা হল ৩১০০ তে। মাসে দুদিন ছুটি আর ওভারটাইম ১২ টাকা।

    দেখা যাচ্ছে আমিও বলিনি ড্রাইভারকে ১৫০০ দেব আর শোষণ করব। ড্রাইভারও ৬০০০ চায়নি। দুজনেই বাজারকে অনুসরণ করেছি। এই পদ্ধতিতে মজুরী ঠিক করায় সিবুর কি আপত্তি?

  • bitoshok | 75.72.245.81 | ০৮ মার্চ ২০০৯ ০৩:৫৬406460
  • শিবু-কে বলছি।

    ১) আপনি wiki থেকে যে অংশ টুকু তুলেছেন সেটা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের 'ব্যাখ্যা' নিয়ে খুব ইন্টারেস্টিং একটা বিতর্ক। উদ্ধৃত অংশে কোথাও কিন্ত বলা নেই, আইনস্টাইন কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বিরোধী ছিলেন।

    ২) রিলেটিভিটি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স দুটো আলাদা 'প্রেসক্রিপশন'

    ৩) 'ন্যাচারাল সায়েন্সের' একটি লক্ষণ হলো 'ব্যক্তি-নিরপেক্ষতা'। আইনস্টাইন কিছু বলেছেন মানেই সেটা অভ্রান্ত নয়। আপনার এই পোস্টের লজিক টাই গোলমেলে।

    ৪) আরিস্টটলের ফিজিক্সে কি অবদান আমি জানি না। নিউটনের তত্ব (ধরে নিচ্ছি আপনি ল'জ অফ মোশনের কথা বলছেন) ইনএকজ্যাক্ট নয়। কোথায় কিভাবে প্রয়োগ হবে সেটা আলাদা প্রশ্ন। এবং সেই প্রশ্নের উত্তর-ও খুব স্পষ্ট ভাবে জানা।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৮ মার্চ ২০০৯ ০৮:৪৪406461
  • শ্যামল। আপনার যুক্তিতে গলতা আছে। ছোটো করে বলি।

    ধরুন, একজন খুচরো প্রোডিউসার/বিক্রেতা ১০০ টাকা খরচা করে একটা জিনিস বানাল। তারপর সেটা বাজারে বেচতে নিয়ে এল। এসে দেখল, যে, জিনিসের জোগান এতো বেড়ে গেছে, যে, সেই জিনিসটা বাজারে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেখে তো তার মাথায় হাত। এমন সময় একজন বাবু এলেন, মাল কিনতে। কত টাকায় দেবে হে? সে বলল, আমি আর কি বলব বাবু, আপনিই বলুন। বাবু বললেন, ৩০ টাকা দেব। সে লোক বলল, তাতে কি হয় স্যার, মরে যাব তো। আপনি ৫৫ টাকা দিন। বাবুর তো শুনে চোখ কপালে। এইভাবে দরাদরি চলল, এবং শেষমেষ, ৫০ বা ৪৫ টাকায় জিনিসটা বিক্রি হল।

    তো, আপনার থিয়োরি অনুযায়ী, এখানে কেউ কাউকে জোর করেনি মাল বেচতে। অতএব, কোনো শোষণ হলনা। সবাই ঠিকঠাক দাম পেল, সব্বাই খুশি। কিন্তু সেটা ঠিক না। যে লোকটা ১০০টাকা খরচা করে মাল বানিয়ে বেচতে এসেছিল, সে, জানে, সে খুশি নয়ই, বরং তার আসলে হাতে হারিকেন।

    মার্কস দেখিয়েছেন, যে, শ্রমের বাজারে, "স্বাধীন' ভাবে বেচাকেনা হলেও, শ্রমের বাজারটা আসলে এই খুচরো বিক্রেতা যে বাজারে এসেছে তার মতই। একজন শ্রমিক যা শ্রম করে, তার দাম হল, জিনিসের উদ্বৃত্ত মূল্য। কিন্তু সে যে দামে শ্রমশক্তিকে বেচে, সেটা শ্রমের দামের চেয়ে অনেক কম। "স্বাধীন' ভাবেই কেনাবেচা হয়, কেউ কাউকে জোর করেনা। অন্তত: ভিসিবলি করেনা। কিন্তু আসলে, লোকটার ঐ দামে শ্রম না বেচে উপায় নেই। সেটাই জোর করা। শোষিত হওয়া।

    এবার, আপনি বলতে পারেন, যে, বলেছেনও, যে, যে লোকটা পয়সার ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগ করেছে বাজারে, উদ্বৃত্ত মূল্যের একটা অংশের উপর তার কি দাবী নেই? ঝুঁকির মি কোনো মূল্য নেই? একশবার আছে। যদি এরকম হত, যে, সমাজে একশটার মধ্যে একশটা লোকেরই ঝুঁকি নেবার সুযোগ থাকত, তার মধ্যে বাই চয়েস কেউ নিত, কেউ নিতনা, তাহলে অবশ্যই আপনি যা বলছেন, তার একটা যুক্তি থাকত। কিন্তু সে সুযোগ তো নেই। শ্রমিক ইচ্ছে করলেই পয়সা খরচ করে ঝুঁকি নিতে পারেনা। সে পয়সাই তার নেই। এই ঝুঁকি টা নিতে একমাত্র পুঁজিপতিই পারে। তার সেই পয়সাটা আছে।

    পুঁজিপতি এই পয়সাটা পেল কিকরে? মার্কস সেটাও দেখিয়েছিলেন। প্রাথমিক পুঁজি সঞ্চয়ের যে প্রক্রিয়াটি, সেটা মূলত: লোক-ঠকানো বা লাঠিবাজি। বা উত্তরাধিকার সূত্রে জমিদারের পুঁজিপতি হয়ে ওঠা। কোনো ঝুঁকি নেবার ক্ষমতা, বা এক্সেপশনাল কোনো পাওয়ার নয়, মূলত: এইভাবেই একদল লোকের হাতে এসেছে "ঝুঁকি নেবার সুযোগ',, আর বাকিদের কাছে সেটা আসেনি। এটা শোষণ না হলে, শোষণ কি?
  • santanu | 217.196.19.45 | ০৮ মার্চ ২০০৯ ১০:৫৪406462
  • যা:, আমি সেই পাস করার পরের দিন থেকে খেটে খুটে চাকরি করে কিছু পয়্‌সা জমিয়ে যদি আজ একটা বিনিয়োগ করি, তো আমার সেই পয়্‌সা লোক ঠকানো বা কাঠিবাজি!! মার্ক্স তো ভারী ইয়ে ছিলেন।

  • arjo | 24.42.203.194 | ০৮ মার্চ ২০০৯ ১১:১৮406463
  • শ্যামল বাবু আপনার Date:07 Mar 2009 -- 12:44 AM পোস্টের উত্তরে একটা প্রশ্ন করেছিলাম আপনি তার উত্তর দেন নি। যাক, আমার যা বলার ছিল বলে দিই।

    বিশ্বায়নের ফলে MNC মুনাফা করলে আমার কোনো আপত্তি নেই। তারা মুনাফা করার জন্যই টাকা ঢেলেছে। আপত্তি ছিল আপনার তার আগের পোস্টের পাই বড় হওয়ার কথায়। পাই বড় হয় নিশ্চয়ই কিন্তু ভারতই যে সেই বড় হওয়া পাইয়ের অংশ পাবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ক্যাপিটালিস্ট ইকনমি বাড়ে মুনাফা এবং সেই মুনাফার ট্রিকল ডাউন এফেক্টে। গ্লোবালাইজেশনেও সেটা হয় শুধুমাত্র সেটা দেশের সীমানা পেরিয়ে যায়। তাই শুধুমাত্র দেশের দরজা খুলে দিয়ে শিক্ষার দিকে নজর দিলে আখেরে শূন্য। যেমন শত চেষ্টা করলেও কলকাতায় চীপ তৈরী করে তাইওয়ানকে টেক্কা দিতে পারবেন না। না, চীপ লেবারের যোগান দিয়েও পারবেন না। তার বহুবিধ কারণ আছে। তাই ইন্টেল তাদের চীপ তাইওয়ান থেকেই করাবে।

    আরও কিছু সমস্যা আছে। যেমন অন্য দেশের পলিসি চেঞ্জ। এই যে বারাক ওবামা এসে ইস্তক আউটসোর্সিং এর অ্যাগেইনস্টে কথা বলে যাচ্ছে এবং হয়ত কিছু পলিসিও চেঞ্জ হবে, তাতে কিন্তু ভারত বা চীনের সাময়িক অসুবিধা হবে। তা ভারত বা চীন একা তো ফ্রি ট্রেড এন্সিওর করতে পারে না, আমেরিকাকেও করতে হবে। তা এই সব কিছু অসুবিধার জন্য সরকার শুধু দেশের দরজা খুলে দিয়ে বসে থাকবে তাতে হবে না। আভ্যন্তরীন অর্থনীতির দিকেও সমান ভাবে নজর দিতে হবে।

    আর আপনার বাড়ি তৈরীর বিজিনেস মডেলটা আর একবার সংক্ষেপে লিখুন বা লিংক দিয়ে দিই। সরি কয়েকটা প্রশ্ন আছে, না পড়ে করতে চাই না।
  • lcm | 69.236.185.129 | ০৮ মার্চ ২০০৯ ১২:১১406464
  • যা! ড্রাইভার-এর চাকরিতে তো ৭০০০ + বেনিফিট্‌স হল বাজার দর (প্রাইভেট কোম্পানী, সরকারি ড্রাইভার)। শ্যামল শস্তায় (৩০০০) মেরে দিল। বাজার দর দিল না। তবে শ্যামল ইঙ্গিত দিয়েছে যদি ড্রাইভার প্রথমেই ১৬০০ বলে ফেলত, তাহলে শ্যামল ১২০০-তে রফা করত :) জয় মার্কেট, জয় হো!
  • lcm | 69.236.185.129 | ০৮ মার্চ ২০০৯ ১৩:১৮406466
  • আগে গুচ-তে কলকাতার গাড়ী/ড্রাইভার/মাইনে এসব নিয়ে এক প্রস্থ আলোচনা হয়েছিল, কৌতূহল ছিল শাইনিং ইন্ডিয়ার এই দিকটা নিয়ে, শ্যামল এবং অন্যান্যদের পোস্টিং-এ দেখেছি জিডিপি গ্রোথ-র পরোক্ষ প্রভাব নিয়ে আলোচনা।
    যাই হোক, ২০০৮ এ কলকাতা ট্রিপে মাঝে মধ্যে গাড়ী ভাড়া নেওয়া হত। একদিন আগে বলে দিলে, লোক্যাল রেন্টাল এজেন্সি গাড়ী উইথ ড্রাইভার পাঠিয়ে দিত। ঘটনাক্রমে একই ড্রাইভার একই গাড়ী নিয়ে আসতে থাকল। বছর ২৫/২৬ বয়স, খুবই রোগা চেহারা। আদি বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। বিবাহিত, একটি চার বছরের ছেলে। কথা প্রসঙ্গে জানা গেল, ডিউটির কোনো ফিক্সড টাইম নেই। সারা দিন কাজ করে, রাত দশটায় বললে বেরিয়ে পড়তে হবে, সারা রাত গাড়ী চালাতে হতে পারে - এরকম হয়। এসবের জন্য কোনো এক্সট্রা কিছু পায় না। কখনও রাতে ঘন্টা চারেক ঘুমিয়ে ভোরে উঠে ভাড়া যায়। মাইনে মাসে ২৮০০। পূজোর সময় ৫০০ দেয়। কিন্তু পুজোর চারদিন জেনারেলি বুকড্‌ থাকে। নারকেলডাঙ্গা খাল পাড়ে ছোট্ট ভাড়া ঘর, মাসে ৮০০, বাথরুম শেয়ারড। এক দেশোয়ালি ভাই সেক্টর ফাইভে গাড়ী চালায়, বেটার আয়, মাসে ৬০০০/৭০০০। চেষ্টা করছে ঐরকম ডিল পাবার। দূরে ট্রিপ থাকলে অনেক সময় ক্লায়েন্ট দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করে দেয়, লাঞ্চ খরচা বেঁচে যায়, সেই পয়সা জমায়। ছেলেকে কর্পোরেশন স্কুলে দিতে চায় না, ইংলিশ মিডিয়ামে নার্সারিতে দিতে চায়, পয়সা জমাচ্ছে। বৌ-কেও কাজে ঢুকিয়ে দেবে।
    শেষ দিন জিগ্গেস করল যে চেনাশোনা কেউ আছে কি না, যে কোনো কোম্পানীতে ছোটখাটো কাজে ঢুকিয়ে দিতে পারবে। বললাম যে, কেন তুমি তো বললে যে গ্রামে ক্ষেতি করলে পেট চলত না, এখন তো তার থেকে ভালো আছো। বলল, এরকম চললে বেশীদিন বাঁচবো না, আর, অনেকে খুব দুর্ব্যবহার করে, ছেলেকে এই লাইনে আসতে দিতে চাই না।
    শাইনিং ইন্ডিয়া-র মর্যাদার সাথে উন্নয়ন-এর একটা দিক দেখতে পেলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন