এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • লোকসভা নির্বাচন ২০০৯

    shyamal
    অন্যান্য | ২৪ এপ্রিল ২০০৯ | ১৫১৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 125.18.104.1 | ২৯ এপ্রিল ২০০৯ ১৩:১৭411312
  • আজ্জো, গুলাইস না। ;-)

    কমিউনিস্ট/ সোশাল ডেমোক্রেসির সাথে মমতা-বিরোধিতার দ্বন্দ্ব কোথায়? বস্তুত: একসময় কমিউনিস্টির সাথে সোশাল ডেমোক্রেসিরও এইরকম দ্বন্দ্ব ছিল না। সোশাল ডেমোক্রেসি ছিল মার্ক্সবাদেরই আরও একটি ধারা। জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টির ইতিহাস পড়ে দেখ। কাউটস্কির লেখা পড়।

    সি পি এমের পোজিশন সি পি এমই বলবে। তবে আমার ধারণা, সি পি এমের আইডিওলজিকাল পোজিশন সি পি এম নিজেও জানে না। তবে যেটুকু বোঝা যায়, সি পি এমের ভবিষ্যৎ ইতিহাসের সাথে মোটামুটি জার্মানির এস পি ডি, বা ইংলন্ডের লেবার, বা ইউরোপের অন্যান্য সোশাল ডেমোক্র্যাট পার্টিদের ইতিহাসের মিল থাকবে। তবে এটা শুধু সি পি এম বলে নয়, ভারতে মাওবাদী ছাড়া যে কোনো কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় এলে এটাই ঐতিহাসিক অনিবার্যতা। আপাতত: মাওবাদীদের বাদ দিলাম, কিন্তু কতদিন বাদ দেওয়া যাবে সেটা জানি না।

    এবার সঙ্গত প্রশ্ন হল, তাহলে কমিউনিস্ট পার্টির সাবেকী সাংগঠনিক মতাদর্শ নিয়ে সি পি এম চলে কেন? চলে কারণ কমিউনিস্ট পার্টির জন্মলগ্ন থেকে প্রতিটি কমিউনিস্ট পার্টি এইভাবেই চলেছে। এটা একধরনের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার যা "রাজ্যে সমাজতন্ত্র করছি না" বললেই উবে যায় না। হয় তো একদিন এই উত্তরাধিকারও লুপ্ত হবে, কিন্তু সেটা কয়েক দশকে হবার নয়। এখানেও সি পি এম ইউনিক নয়। পৃথিবীতে একটিও বড় কমিউনিস্ট পার্টি নেই, যারা "ডেমোক্রেটিক সে¾ট্রালিজম" এবং "পার্টি লাইন"- এই দুই শব্দে বিশ্বাস করে না। এটা রাশিয়ান কমিউনিস্ট পার্টির থেকে নেওয়া শিক্ষা, এবং এর বাইরে কোনো নতুন কমিউনিস্ট মডেল এখনও তৈরি হয় নি।

    যারা সি পি এমের সমালোচনা করেন, তারা যতক্ষণ মতাদর্শহীনভাবে, সাধারন মানুষের ভাষায় সমালোচনা করেন, সমস্যা থাকে না। কিন্তু যদি কেউ বলেন, যে "আমি কমিউনিস্ট, কিন্তু সি পি এম সোশাল ডেমোক্রেসির শর্ত মেনে চলছে না", তখন সমস্যা। বা উলটোদিকে, "আমি সোশাল ডেমোক্র্যাট, কিন্তু সি পি এম কমিউনিজম মেনে চলছে না"- তখন সমস্যা। এটা একধরনের ভুলভাল তর্ক।
    এরপর প্রশ্ন ওঠে দ্বিচারিতার। সিপিএম মুখে বলছে কমিউনিজমের কথা, কিন্তু আচরণ করছে সোশাল ডেমোক্র্যাটদের মত। এটা কত বড় অপরাধ? কেউ যদি কমিউনিস্ট হন, তার কাছে এটা বড় অপরাধ। কিন্তু তাহলে সি পি এম যদি ভুল করে কখনও কমিউনিস্টসুলভ আচরণ করে, তখন কিন্তু সমর্থন জানাতে হবে। এইবার সোশাল ডেমোক্র্যাট সমালোচকদের কথায় আসি। তাদের কাছে একটা মরাল চয়েসের সমস্যা আছে- দ্বিচারিতা বেশি খারাপ, নাকি কমিউনিস্টসুলভ আচরণ বেশি খারাপ? পসন্দ আপনা আপনা। কাজেই ইস্যুটা হল, সি পি এমের মতাদর্শগত স্টান্স যেরকম ইনকনসিস্টেন্ট, সি পি এমকে সমালোচকরাও বিরোধিতার কোনো কনসিস্টেন্ট আইডিওলজিকাল ফ্রেম ওয়ার্ক তৈরি করতে পারেন নি।

    তার কারণ হল, এই পার্টির সরকার বনাম ঐ পার্টির সরকার- এই সংকীর্ণ রাজনৈতিক বিতন্ডার বাইরে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বেরোতে পারে নি।
  • h | 203.99.212.224 | ২৯ এপ্রিল ২০০৯ ১৪:৩৪411313
  • আর্জোর প্রশ্ন গুলো পড়ে আমার ও এই কথাগুলো মনে হয়েছিল। স্লাইটলি অন্যভাবে অবশ্য। বেসিক ব্যাপারটা হল, সিপিএম বিরোধীদের মধ্যেকার আইডিওয়োলোজিকাল ফ্র্যাগমেন্টেশন খুব বেশি। এবং এটা আসলে হয়েছে, খানিকটা খানিকটা বাঙালী জার্নালিজমের ও পরে আবাপর তৈরী ক্রিটিসিজম এর ফ্রেমওয়ার্ক থেকে বেরোতে না পারার কারণে। অনেক দিন আগে থেকে।
    কয়েকটা ছোটো উদাহরণ যথেষ্ট। ধরেন গৌর কিশোর ঘোষের সাগিনা মাহাতো, গপ্পটা। এটার মূল বক্তব্য কি, একক সৎ (এবং মাতাল, লায়ন হার্টেড বোঝানোর জন্য) শ্রমিক নেতা ভালো, বড় শ্রমিক আন্দোলন খারাপ, তো এইটা ধরেন আবাপ প্রমোট করলেন। বা ধরুন, প্রাইভেটাইজেশনের পক্ষে প্রচুর বড় কথা বলে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল হকিকতের জন্য সরকারকে দুশলেন।
    সিপিএম কে একই সঙ্গে যথেষ্ট কম্যুনিস্ট না হওয়ার জন্য, যথেষ্ট মানবতাবাদী না হওয়ার জন্য, যথেষ্ট বাঙালী ও যথেষ্ট ভারতীয় যথেষ্ট আন্তর্জাতিক না হওয়ার জন্য দোষ দেওয়া যাবে না কেন , যায়, তবে একটা ইনকন্সিস্টেন্সি থাকে।
    আইডিয়োলোগরা এই লাইনে ফেল করেছেন। মানে সিপিএমের নির্বাচনী শক্তি কমাতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমি আর্জোর চীনের মধ্যমেধার অনুকরণের অভিযোগের তত্বকে খানিকটা এই জন্যেই সন্দেহের চোখে দেখেছিলাম:-) মানে চীনের 'সাফল্য' কে যদি 'উচ্চমার্গের মেধার' সাফল্য বলে ধরতে হয়, তাইলে প্রশ্ন ওঠে চীনের 'স্পেশিয়াল ইনইকুআলিটিকে' , একদলীয় ব্যবস্থা কে, মানবাধিকার রেকর্ড কে, ব্যাপক গ্রামীণ ও নাগরিক বেকারিঙ্কÄ কে, ক্রমবর্ধমান অসাম্যকে, গ্রামীন বিক্ষোভ কেও সেই সাফল্যের অনুপান হিসেবে ধরে নিতে হয়। এটা যদি সিপিএম করে, তাহলে সেটাকে মধ্য মেধা বলবো, আর আর্জো বা আবপ করলে বলবো, অ্যাকসিডেন্টালি ওভারলুক করেছে, সেটা তো হয় না।
    এই কারণেই মেধাটা ইস্যু নয়, বাস্তবিক পরিস্থিতির পার্থক্যটা ইস্যু।

    ফেডেরালিজম (রাজ্যের হাতে অধিক ক্ষমতার) দাবী অরিজিনালি কেরালার বামপন্থীদের। কেন না তারা প্রথম অকংগ্রেসী সরকার। কেরালায়।পরে এটা প: বঙ্গে এসেছে, যুক্ত ফ্রন্টের আমল থেকে, বেশি করে ৭৭ এর পর থেকে। এই লাইনের সঙ্গে কনসিস্টেন্ট হল,
    মাশুল সমীকরণ নিয়ে, রেভিনিউ ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে সিপিএম এর আপত্তি। এটার এক্সটেনশন হিসেবে, অন্য রাজ্য ভর্তুকী দিয়ে শিল্প আনলে আমরাও আনবো, এই যুক্তি কে জুড়ে দেওয়া হয়েছে, সেটা হল, বেসিকালি, পাবলিক সেক্টর ব্যাপারটা কেন্দ্রীয় পলিসি থেকে উঠে যাওয়ার রেসপন্স।
    মানে এটা অ্যাটলিস্ট রক্ত দিয়ে বিদ্যুত করবো র থেকে বেটার;-)

    কেস হল, রেটোরিকের বাজারে সিপিএমের ইনকনসিস্টেন্সি আর সিপিএম বিরোধীদের ইনকনসিস্টেন্সী একই গোত্রের। সেটা সিপিএম বিরোধীদের নির্বাচনী ব্যর্থতার একটা কারণ হতে পারে।
    সাধারণ মানুষ, দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা
    দিয়ে সিপিএমকে যেখানে যেখানে নষ্টের গোড়া হিসেবে চিহ্নিত করবেন, সেখানে সিপিএম হারবে। যেখানে করবেন না, যেখানে দৈনন্দিন অভিয্‌ঞতা, বা রাজ্যের বা দেশের প্রায়োরিটি তে সিপিএম এর এজেন্দার সঙ্গে ভোটার দের এজেন্ডার মিল হবে সেখানে তারা ভালো ফল করবে। সে এজেন্ডা সোশাল ডেমোক্রাসি, না কম্যুনিস্টি এই নিয়ে মাথা ব্যথা সুদু আমার আর আর্জোর;-)

    র, 'ভবিষ্যত ইতিহাস' কয়েনেজ টা ভালো দিলা। মতান্তরে এটাই চলছে ১১২ ধারা-র ডিবেট অনওয়ারডস;-)
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৯ এপ্রিল ২০০৯ ১৪:৩৯411314
  • :-)
  • arjo | 168.26.215.13 | ২৯ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:৫৭411315
  • র, অবশ্যই সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি মার্ক্সবাদেরই একটি ধারা। কিন্তু শুধুই ধারা, এক নয়। হার্ড কোর কমিউনিস্ট মতাদর্শে বিশ্বাস রাখলে পৃথিবীর সমস্ত বৈপ্লবিক কাজকর্ম্ম যা বুর্জোয়া পলিটিকাল এবং সামাজিক অর্ডারকে চ্যালেঞ্জ করে তাকে মেনে নিতে হবে। দুনিয়ার সমস্ত মজদুর এক হয়ে বুর্গোওসিস দের তুলো ধুনে দিতে হবে, শুধুই কমিউনিস্টদের স্বার্থ দেখতে হবে। তখন যেন তেন প্রকারেন পার্টি কমরেডের স্বার্থ দেখতে হবে এটা বোঝা যায়।

    কিন্তু অন্যদিকে সোশ্যাল ডেমোক্রেটরা পৃথিবীর সর্বত্র সিভিল রাইটসকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। সামাজিক ক্ষেত্রে সিভিল রাইটসের ওপর জোর দিয়েছে। সে জার্মানীর SPD বা ইংল্যন্ডের লেবারই হোক। সিভিল রাইটসের সব থেকে বড় উদ্দেশ্য হল ব্যক্তিকে সরকারের ক্ষমতা থেকে রক্ষা করা।

    এবারে আমাদের চেনা পরিচিত সিপিএমে ফিরে গেলে ক¾ট্রাডিকশন হল, এই দুটো মতকে নিজের সুবিধা মতন ব্যবহার করা। শিল্পায়নের গিমিকের সময় সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট কিন্তু ওদিকে জয় গোস্বামীকে সবক শেখানোর সময় পার্টি কমরেডের স্বার্থ দেখার জন্য সিভিল রাইটসকে জলাঞ্জলি দেওয়া, জোর করে জমি দখল করে নেওয়া এইগুলো মেনে নেওয়া যায় না। কারণ এই ক¾ট্রাডিকশন পলিটিকাল আইডিওলজির মেটাফরফসিস নয়, শুধুই সুবিধাবাদ, নিজেদের কাজকম্মকে বিভিন্ন আইডিওলজির মোড়কে মুড়ে চালানোর অপপ্রচেষ্টা। এই আর কি, বাকীটা একমত।

    হানুদা, আমার অতবড় তত্ব মন দিয়ে পড় নি বোঝাই যাচ্ছে। আমি একবারও বলি নি চীনের পলিসি উচ্চমেধা। শুধু বলেছি যদি সেই পথেই চলতে হয় তাহলে অন্তত সেই কপিটা মন দিয়ে করা হোক। তাহলেও আজকের থেকে বেটার অবস্থা হত। আমার এক বন্ধু ছিল বুঝলে, সে পরীক্ষা হলে টোকার সময় বোঝার চেষ্টা করত (সব থেকে ইরিটেটিং হল কূট প্রশ্ন করত) এবং যথারীতি টুকতে গিয়ে ছড়াতো। আমাদের প:ব: সরকারের অবস্থা অনেকটা সেইরকম। চীনের টুকতে হলে মাছি মারার মতন টোক না আবার বুঝতে টুঝতে গেল এবং নিজের সুবিধামতন আসল ব্যাপার গুলো ইগনোর করে গেল। একে তুমি স্নেহ ভরে অবোধ বলতে পার, আমার স্নেহ কিঞ্চিত কম বলে মধ্যমেধা বলি। আরও আনপার্লামেন্টারী শব্দও উচ্চারণ করা যায়, দেখা হলে বলব বা একটা মেল করে দেব। ;)

    আসলে শিল্পায়নটা মধ্যবিত্তের ভোট কেনার ছল, আর বাকীটা বাজে পলিসি, ততোধিক ধুর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। তা সেসব করতে গিয়ে ৫০০ লোকের পেটের ভাত মেরে ৭০০ লোকের চাকরী পাইয়ে ভোট ব্যাংক বাড়ানোটা কখনই ঠিক নয় এটা মাকু, নকু, বোকা, ন্যাকা সবারই বোঝা উচিত। মানতে অসুবিধা থাকে বলে তখন সংশোধনবাদ, অমুক তমুক হ্যানা ত্যানা তত্ব মত্ব সব চলে আসে। নইলে কমন সেন্স পলিটিক্সের আবার আদর্শই বা কি তত্বই বা কি?
  • h | 203.99.212.224 | ২৯ এপ্রিল ২০০৯ ২০:২৭411316
  • আরেকটা কথা মনে পড়লো। কনসিড করেই লিখছি। যেহেতু আমি মহান তাঙ্কিÄক নই বা হব না, সেহেতু পরে মনে পড়লে বা আদৌ না মনে পড়লে বা টোটাল ভুল হলেও কোন দোষের নাই;-) কেউ মারা যাবে না :-)

    বিংশ শতকের তিরিশের দশক শুরু থেকে এর দশক থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে(বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার পরেও) পর্যন্ত বাঙালী জার্নালিজমের (অর্থাৎ রাজনৈতিক অবস্থানের ডকুমেন্টেশনে) প্রধান যেটা পজিশন, সেটার প্রধান দিক হল হিন্দু উচ্চবর্ণ ল্যান্ডেড জেϾট্রর ইন্টারেস্ট এর আর্টিকুলেশন। এই ঐতিহ্য স্বাধীন ভারতে বজায় রাখা আদৌ কঠিন ছিলনা, জাতীয় পলিটিক্স এ ছোটো দলগুলোর বড় উত্থানের আগে পর্যন্ত এবং ন্যাশনালিজমের দিকে নানা অবিশ্বাসের তীর ছুটে আসার আগে পর্যন্ত। মুশকিল হয়েছে এখন, শুধুই দেশ তথা কংগ্রেসের হাত (তথা উচ্চবর্ণ হিন্দু বাঙালীর হাত কে) শক্ত করতে বললে হাল্কা চাপ হচ্ছে।
    সঙ্গে এটাও বলতে হচ্ছে নানা বাবা, মুসলমানরা সবাই খারাপ না, যদিও অনেকেই সন্ত্রাসবাদী বা অনুপ্রবেশ কারী বা মহিলাদের উপরে অত্যাচারের সংস্কৃতির পৃষ্ঠোপোষক। আবার এটাও বলতে হচ্ছে, নরেন্দ্রমোদী খুব দুষ্টু, মাঝে মাঝে মুসলমানদের বড় কড়া করে কথা কয়, কিন্তু হাজার বার বলতে হচ্ছে, উনি উন্নয়নে সিঙ্গাপুর। মাঝি মেঝেন গুলা বোঝে কি, এটা প্রাইভেট স্পেসে বলে পাবলিক স্পেসে বলতে হচ্ছে, না বাবা আছে বাবা তোদেরো অপ্প অপ্প অধিকার আছে। চালের দাম নিয়ে , পাড়ার ল্যাম্পপোস্ট নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের সময় কথা বললে বড় সব বড় রাজনৈতিক পার্টি আর কাগজকেই কিছুটা গিলতে হচ্ছে। এই গেলাটা কে আক্রমণাত্মক ভাবে সিপিএম বিরোধীরা সিপিএম এর বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন, কারণ এটাই তাঁদের মূল ঐক্য মন্ত্র, এবং এটা আমি আদৌ দোষের কিসু দেখি না। একটা বড় পার্টিকে হারানোর চেষ্টা ডিসপারেট ইন্টারেস্ট এরকম ভাবেই করবে। কিন্তু আমার ধারণা এটা তাঁদের খুব পছন্দের না। কংগ্রেস বা বিজেপির নেতাদের একটু বাজিয়ে দেখলেই বেরিয়ে যায়, একটা ভীষন এক সুর। সেটা হল, এই সব ছোটোখাটো
    (চালের দাম ইত্যাদি ...) কতা কইতে গিয়ে ন্যাশনাল পারস্পেক্টইভ হারিয়ে যাচ্ছে। পারমাণবিক বোমা বানানো হচ্ছে না, যুদ্ধু করা হচ্ছেনা, সরকারী পয়হায় প্রাইভেটাইজেশন আটকে যাচ্ছে হিন্দু আমেরিকা হয়ে ওঠাটা পিছিয়ে যাচ্ছে, দেশের হাত ও পেশী শক্ত হছে না, মধ্যেখান থেকে ছোটোলোক গুলো মাথায় উঠছে, ইত্যাদি;-) এটার একটা রাজ্য ভিত্তিক ভার্সন সিপিএম গ্র্যান্ড ন্যারেটিভ হিসেবে দিয়ে থাকে। সেটার বিরোধিতা হচ্ছে ও হবে।
    জেনেরালি লেফট-রাইট ডিবেট বা লেফট-লেফ্‌ট ডিবেট নিয়ে আমার আপত্তি নাই। ডিবেটের কোয়ালিটি ওভার দ্য ইয়ার্স খারাপ না। শুধু খুন গুলো যদি না হত, আর রাজনৈতিক দলগুলো যদি মারামারি না করতো তাইলে বাঁচা যেত:-)মনের সুখে তর্ক করতাম আর মাছ ধরতাম:-)
    আ: ক: বা:
  • h | 203.99.212.224 | ২৯ এপ্রিল ২০০৯ ২০:৩৬411317
  • আমার যদ্দোর মনে পড়ছে, চীন ব্যালান্স অফ ট্রেডে কত তাড়াতাড়ি উঠে এসেছে এটা তুই বলেছিলি, এবং সেটা যে ওয়ান পার্টি সিস্টেম এবং টেরিবল হিউমান রাইটস রেকর্ড ও স্পেশিয়াল ইনইকুআলিটির পরে এসেছে এ সম্পর্কে তুই কিসু বলিস নি।

    (এটা অবশ্য কিরকম শোনালো জানিসতো, ধর কেউ যদি বলে মার্ক্সিজম তো নারীদের নিয়ে কিসু বলে নি এবং তার বদলে এউ যদি বলেন, নারীবাদ তো বার্মুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে কিছু বলে নি;-) ), যাক গে আমি তোর লেখাটা আরেকবার পড়ে নেবো।

    পরে এসে মহান আলোচনা কন্টি রাখবো, কারণ ভুলবেন না, আমাদের পথ (এখনো) কারোর পথ নয় বা ভবিষ্যতে অনেকের পথ হতে পারার সম্ভাবনাগুছ :-)
  • shyamal | 24.117.212.59 | ২৯ এপ্রিল ২০০৯ ২১:৫২411318
  • এম জে আকবর একটি কাগজে বলেছেন তাঁর কাছে খবর আছে বাম ফ্রন্ট যদি প:বঙ্গে ২৫ টার চেয়ে কম আসন পায় তবে বুদ্ধদেব পদত্যাগ করবেন।

    সেতো হতেই চলেছে। তবে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন? নিরুপম, বিমান ?
  • ranjan roy | 122.168.30.35 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ০০:০৪411319
  • তাতে কার আসবে যাবে? গুরুর? না চন্ডালীর?
  • h | 203.99.212.224 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ০৯:৪৫411026
  • আর্জো টোকা এবং বিশেষত: বাজে টোকা নিয়ে তোর থিয়োরী পড়লাম আবার। নারে আমি নিজের পজিশন বদলানোর মত এখনো কিছু পাচ্ছি না।

    ১। চীন থেকে টোকা নিয়ে তোর আপত্তি নেই, কিন্তু মধ্যমেধার টোকা নিয়ে তোর আপত্তি আছে। আমার ৭৮-৭৯ পরবর্তী চীন কেন ৪৯ থেকে ৭৯ পর্যন্ত ও আদৌ টোকার মত কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ আছে।
    ২। টোকা নিয়েই সন্দেহ আছে। মানে ধর যে কোন কাউকেই টোকা নিয়ে। ভালো করে বা খারাপ করে।
    তবে যারা বলেন চীন থেকে টোকা খারাপ আর আমেরিকা থেকে টোকা ভালো বা আমেরিকার থেকে আসুন আমরা বরঞ্চ মহান ইউরোপ থেকে টুকি সেটাতেও আমার আপত্তি আছে। টুকে কিসু হয় না। ইরেস্পেক্টিভ অফ মেধা।
    ৩। চীন নিজের দেশের বেসিক কন্ডিশন মেনে তার পরে টুকেছে, এটা বলতে পারিস। তবে যা টুকেছে তাতে বেসিক কন্ডিশন কিসু বদলেছে এই আর কি;-)

    বাই দ্য ওয়ে, চীনের উপরে রিসেন্ট কিছু পেপার পড়বি? কিছু ভালো মাল পেয়েছি।
  • Arpan | 122.252.231.12 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১০:০৩411027
  • তুলে দিতে পারবে কোথাও?
  • arjo | 24.42.203.194 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১০:১৮411028
  • ১। আমি বলেছিলাম এসব করতেই হত তা নয়। উল্টোদিকে ডিমান্ড সাইড ইকনমি আছে, ১০০ দিনের কাজ আছে, সেসব দিকে নজর দিতে পারত কিন্তু সেসব কিছু হয় নি।

    ২। চীন থেকে টোকার কথাটা এসে পড়েছে সম্ভবত সিপিএমের চীনের প্রতি দূর্বলতার ইতিহাস থেকে।

    ৩। মূল বক্তব্য ছিল শিল্পায়ন ও উন্নয়ন এক নয়। চীনের কপি কিনা ঠিক ততটা ইম্পর্ট্যান্ট নয়। চীনের কপি হলে মধ্যমেধার কপি। যদি নিজেদের মস্তিষ্ক প্রসূত হয় তাইলে কি বলা যায় জানি না। সরকার শুধুই শিল্প গড়বে আর উন্নয়নের চাকা হড়হড়িয়ে হড়কাবে এই চিন্তাটাই মধ্যমেধার। সেটা চীনকে উদাহরণ হিসেবে রেখে লেখা। সব জায়গা থেকে চীন রিপ্লেস অল করে দিলেও বক্তব্যের যুক্তি একই থাকে।

    পেপার পাঠিও। সোসনের গল্প বা ইনকাম ইনইকিউয়ালিটি নিয়ে তো। পেপার পড়ি নাই কিন্তু কিছু কিছু ইকনমিক ইন্ডেক্সে এসব পরিষ্কার ধরা পড়ছে।

    (বিটিডব্লু চাড্ডি বড় বড় কথা বলেছি বলে পেপার পাঠিয়ে র‌্যাগ করাই কিছু নেই :))।
  • arjo | 24.42.203.194 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১০:২১411029
  • মূলত একটি মডেলকে ক্রিটিসাইজ করেছি। সেখানে অ্যাজাম্পশন হল প:ব:য়ের আজকের পরিস্থিতিতে শিল্প চাই এটা ধরে নিয়ে।
  • h | 203.99.212.224 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১০:৫১411030
  • বেশ তোর যখন জানাই আছে আর পাঠাচ্ছি না। কী পেপার পাঠাতে পারি, সেটাও প্রেডিক্ট করছিস তখন বলতেই হয়, ইন্ডিকেটর রিডিং এ তুই পোচুর এগিয়ে:-)
  • r | 125.18.104.1 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১২:৫৫411031
  • না, তাও নয়। "হার্ডকোর কমিউনিস্ট মতাদর্শ" বলে মোনোলিথিক কিছু নেই। "পার্টি লাইন" এবং "ডেমোক্রেটিক সে¾ট্রালিজম" বলে যে দুটি জীবাশ্ম এখনও সর্বত্র দেখা যাচ্ছে, সেটাও আদি কমিউনিজমের ধারা নয়, বলশেভিক বিপ্লবোত্তর কমিউনিস্ট আন্দোলনের ধারা। এমন কি "বুর্জোয়া পলিটিকাল এবং সামাজিক অর্ডারকে চ্যালেঞ্জ করা" বা "দুনিয়ার সমস্ত মজদুর" এক হওয়া নিয়েও "হার্ড-কোর কমিউনিস্টদের" মধ্যে বিপুল তর্ক হয়েছে ও রয়েছে। স্থান-কাল-পাত্রনিরপেক্ষভাবে মতাদর্শের বিশ্লেষণ হয় না। সি পি আই এম-কে যদি মতাদর্শগতভাবে বিশ্লেষণ করতে হয়, তাহলে ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের সামাজিক চরিত্রের বিবর্তনের দিকে তাকাতে হবে। "হার্ড-কোর কমিউনিস্ট মতাদর্শের" মত নিরালম্ব কিছু স্বত:সিদ্ধ দিয়ে এই বিশ্লেষণ হয় না।

    সি পি এম সুবিধাবাদী নয় এটা বলছি না। কিন্তু ভারতের সব রাজনৈতিক দলই এই দোষে দুষ্ট। অতএব প্রশ্নটা আদৌ এই নয়- যে কে সুবিধাবাদী এবং কে সুবিধাবাদী নয়? সব বেটাকে ছেড়ে বেঁড়ে বেটাকে ধরতে চাইলে ধরাই যায়- ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার। সেটা রাজনৈতিক বিশ্লেষণের অঙ্গ নয়।

    প্রশ্নটা হল- এই ক¾ট্রাডিকশনগুলো কি ভাবে তৈরি হয়েছে? কিছু দুষ্টু লোক সি পি এম চালায়, তাই তারা সুবিধাবাদী- এটা একটা তঙ্কÄ (মমতাপন্থী)। আর একটা তঙ্কÄ হল কমিউনিস্ট মানেই সুবিধাবাদী (শ্যামলপন্থী)। দুটো তঙ্কÄই সর্বাংশে ভুল। কেন বলতে গেলে অনেক কিছু লিখতে হয়। অত চাপ নিচ্ছি না। আমার একটাই ছোটো বক্তব্য ছিল- সি পি এমের মতাদর্শগত ক¾ট্রাডিকশনের বিরুদ্ধে কনসিস্টেন্ট আইডিয়োলজিকাল বিরোধিতা গড়ে তুলতে গেলে ক¾ট্রাডিকশন কিভাবে তৈরি হয়েছে সেটা বুঝতে হবে এবং তার জন্য ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিবর্তনের ইতিহাসকে একটু নতুনভাবে, এবং একটু খুঁটিয়ে দেখতে হবে।

    নইলে যা চলছে তাই চলবে। যদিও তাতেও আমার আপত্তি নাই। ;-)
  • Arijit | 61.95.144.123 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১৩:০২411032
  • লাস্ট লাইনের আগের প্যারাটা নিয়ে এগনো হোক। আমারও অনেক কিছু জানার ছিলো।

    র দুইখান পন্থার নামগুলো বেশ দিয়েছে;-)
  • shyamal | 24.117.212.59 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১৪:৫০411033
  • না না আমি মোটেই কমিউনিস্ট মানেই সুবিধাবাদী বলিনি। কমিউনিজম এমন একটা সিস্টেম যা একদিকে ভয় দেখিয়ে মানুষের বশ্যতা অধিকার করে আর ইট সেলিব্রেটস ইনকম্পিটেন্স। সব দেশে ।
  • jo | 24.42.203.194 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১৬:৪৪411034
  • পরে লিখছি। ঐ দুটো পন্থার বাইরেও আছে।
    ধরা যাক পাড়ায় চায়ের দোকান হচ্ছে, পার্টি কমরেড হলে অন্যের জমিতে তার টীনের চাল চলে যেতেই পারে, কিন্তু ১০০ মিটার দুরে অন্য একজনের দোকান - সে পার্টি কমরেড না হলে - লোক লাগিয়ে পার্টির তত্বাবধানে সেই দোকান উঠিয়ে দেওয়া হবে, কারণ টীনের চাল অন্যের জমিতে চলে যাচ্ছিল।

    বাজার বসছে নতুন, প্রত্যেকের কাছ থেকে পার্টি ফান্ডের জন্য টাকা তোলা হচ্ছে।

    স্কুলে ভর্তির জন্য স্কুলের প্রেসিডেন্টকে ধরতে হচ্ছে আর প্রেসিডেন্ট পার্টি কর্মী।

    এগুলো কোন পন্থী অরিজিত ভালো জানে বা একদমই জানে না। :)

    কমরেডের স্বার্থ রক্ষা ও নেপোটিজমের মধ্যে যে ফাইন লাইন আছে সেটা পার্টি বড় হওয়ার সাথে সাথে মিলে মিশে গেছে। শহর কলকাতা, নন্দন, বিদ্বজন, মমতা ও বলশেভিক আন্দোলনের বাইরে বেরিয়ে গ্রাম ও শহরতলীতে বামপন্থী পার্টি লাইন কিভাবে বেড়ে উঠেছে সেটাও জানতে হবে। অন্য একটা মত মানেই মমতা পন্থী বা রাইটিস্ট এই বাজার চলতি ধারণা থেকে বেরতে হবে প্রথমে নইলে বাস্তবকে অস্বীকার করা হয়।

    আর অন্য পার্টি নয় কেন? কারণ এইসব দেখেশুনে বড় হয়েছি যে। রোজকার জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে। (নামটা একটু বদলে নিই, দিনকাল ভালো নয়)।
  • r | 198.96.180.245 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১৭:০২411035
  • আর-যো, এই সমালোচনা নিয়ে তো কোনো সমস্যাই নেই। আমিও বলেছি, বোধিও বলেছে। একদম ন্যায্য ক্রিটিসিজম। কেউ সি পি এম-বিরোধী মানে নিশ্চয় কিছু ন্যায্য কারণেই সি পি এম-বিরোধী।

    সমস্যা হয় মতাদর্শ ইত্যাদি নিয়ে যখন কথাবার্তা শুরু হয়। সেখানে গল্পগুলো ঘেঁটে যেতে থাকে।
  • h | 203.99.212.224 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১৭:০৫411037
  • সেতো অনেকে অনেক রকম দেখেছে। অনেক সময়ে। তালিকা হাতবদল করে বিতর্ক হয় না, ভোট হয় অবশ্য এবং হচ্ছে। ভোটে যদি শতাংশের হিসেবে ৫০-৫০ হয়, তাইলে বলতে হবে দুটো তালিকা সমান, এর থেকে বেশি সিপিআইএম বিরোধীরা এই মুহুর্তে আশা করছেন কি?
  • Arijit | 61.95.144.123 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১৮:০৯411038
  • আরেট্টু ক্লিয়ার করে বলি - ওই ক¾ট্রাডিকশন, তার ইতিহাস - এইগুলো নিয়ে আমার আগ্রহ আছে। এখন লাইব্রেরীতে গিয়ে বই ঘাঁটলেই হয়তো হত - কিন্তু -

    (১) ঠিক বই ঘাঁটা
    (২) লাইব্রেরী যাওয়া বা বই যোগার করা

    এগুলো চাপের ব্যাপার। আমি একটু ফাঁকি দিতে চাই:-)
  • r | 198.96.180.245 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১৮:১৭411039
  • কমরেড, ফাঁকি দিয়ে বিপ্লব হয় না, প্রতিবিপ্লবও হয় না।

    এই তো বোধি তোমারে একটা বিবলিওগ্রাফি বানাইয়া দেবে খনে। ;-)

    আর পার্টি প্রোগ্রাম আর পার্টি ডকুমেন্ট্‌স তো হাতের কাছেই পাবা।
  • jo | 168.26.215.13 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১৮:৪৫411040
  • হানুদার এই পেপার পড়ার অভ্যেস গেল না। যাই বল, পেপার বা প্রবন্ধের রেফারেন্স না থাকলে হানুদার পছন্দ হয় না। দেখা টেখা, মানুষের অভিজ্ঞতার খুব বেশি দাম নাই, কারণ মানুষ গুল মারে। রাজনীতি মানে রাজার নীতি নয় মানুষজনের জন্য তৈরী নীতির কথা বলবে কিন্তু মানুষের কথা শুনবে না, তা হয় নাকি। পেপার বা থিওরী সবই সেকেন্ডারী, মানুষজনের কথাই প্রাইমারী। সেটাকে বাদ দিয়ে শুধুই পেপার পড়লে রোজি গ্লাস সিন্ড্রোমে ভুগতে হয়। ক্লাস স্ট্রাগল না থাকলে আর ক্লাস স্ট্রাগলের থিওরী কোন কাজে লাগবে?
  • r | 198.96.180.245 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১৮:৫৪411041
  • এটা হনুর হইয়া আমিই কই। ;-)

    মানুষ গুল মারে বলে নয়। মানুষের অভিজ্ঞতা বিভিন্নরকম হয় বলে। শুধু অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তর্ক বা আলোচনা হয় না। একটা ন্যূনতম নৈর্ব্যক্তিক ভিত্তি দরকার, যে কোনো আলোচনা বা তর্কের জন্য। একজন বলল- আমার দেখা সি পি এমের লোকগুলো খুব খারাপ। আর একজন বলল- আমার দেখা সি পি এমের লোকগুলো খুব ভালো। এখানে তর্ক হতে পারে একজন যদি আর একজনকে মিথ্যেবাদী বলে। তবে সেটাকে তর্ক না বলে ঝগড়া বলাটাই মনে হয় ঠিক হবে।

  • vikram | 193.120.76.238 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:০৬411042
  • জো এর কথার পূর্ণ বিরোধীতা কারলাম। ঐ সেকেন্ডারি থিওরি বা পেপার বা মন দিয়ে লেখা প্রবন্ধগুলির exist করার একমাত্র কারণ, যে লোকজন এই 'মানুষের অভিজ্ঞতার' কথাটা মুখে মুখে ঘোরার প্রবলেম বুঝতে পেরেছে এবং একটা বড়ো সময়ের কাজ, যার আগা মাথা আছে, তার মধ্যে সেই কথাগুলো এবং কি ঘটছে সেগুলোকে ফেলার একটা বন্দোবস্ত করতে বাধ্য হয়েছে।

    তা না হলে গুরুচণ্ডা৯ তে বসেই সোশাল স্টাডিজ শেখা যেত।
  • jo | 168.26.215.13 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:২৩411043
  • সামগ্রিক অভিজ্ঞতার কথাই ধরা যাক।

    ত্রিশ বছর ধরে ভোটে জিতছে কিন্তু রাজ্য ক্রমশ পিছিয়ে চলেছে। শুনি কেমন করে?

    কেন্দ্র থেকে টাকা আসছে কিন্তু খরচ করতে না পেরে ফেরত যাচ্ছে কেন? কোন থিওরীতে?

    সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম ইত্যাদি জায়গায় শিল্প গড়ার ভড়ং বাদ দিয়ে গত দুই বছরে উন্নয়নের জন্য কি কি কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে?

    লোকজনের চাকরী বাকরী বিশেষ নেই। কিন্তু অন্যদিকে পার্টি লাইন বেড়েই চলেছে, বিশেষত যুবা লাইন, কোন সম্মোহনী জাদুতে?

    পার্টির ভবিষ্যতের ইতিহাস সোশ্যাল ডেমোক্রেট কিন্তু সিভিল রাইটসের তোয়াক্কা না করে প্রশাসন, মিডিয়া সর্বত্র সিভিল রাইটস ভায়োলেটেড হচ্ছে। কোন থিওরীতে?

    এগুলো ফ্যাক্ট (হানুদা চাইলে পেপার টেপার ও আচে)। ভারতের বামপন্থার বিবর্তনের ইতিহাস ইম্পর্ট্যান্ট তথাকথিত বামপন্থীদের কাছে। আমার মতন সাধারণ লোকের কাছে তারও আগে এগুলো আরও বেশি ইম্পর্ট্যান্ট। এর উত্তরে যদি অমুকে আরও খারাপ শুনি তাহলে হয় সেটা প্রশ্নগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া নইলে বিরোধীদের একটা এক্সট্রিম পোলারাইজেশনে ফেলে কূট তর্ক করার চেষ্টা।
  • jo | 168.26.215.13 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:৩৮411044
  • বিক্রম, অবশ্যই পেপারের, সোশ্যাল স্টাডিজের গুরুত্ব আছে। কিন্তু সোশ্যাল স্টাডিজের ভিত্তিটাই মানুষের অভিজ্ঞতা। মার্ক্স যদি নিজ অভিজ্ঞতায় ক্লাস স্ট্রাগল না দেখতেন তাহলে আজকের মার্ক্সিজম বেরতো না। এই ছিল বক্তব্য। এইভাবেই নতুন নতুন সোশ্যাল স্টাডিজের নিড তৈরী হয়। কিন্তু তারজন্য প্রথম যা দরকার হল সমস্যা আছে সেটাকে রেকগনাইজ করা। দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলো কোনো পেপারে নেই বলে চোখ বুঁজে থাকার মানে নেই। বাকীটা একমত।
  • vikram | 193.120.76.238 | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:৪১411045
  • প্রথম কয়েকটা প্রশ্ন ক্ষোভের বহি:প্রকাশ বা সত্যি প্রশ্ন না হলে ঠিক আছে। এগুলি যদি সত্যি প্রশ্ন হয়, তাহলে অতি অবশ্যই উত্তরগুলো বহু বড় এবং যারা জানে, যাদের কাছে ইনফর্মেশআন আছে তারাই দিতে পারবে।

    যেকটা কথা বলা হচ্ছে সেগুলো ফ্যাক্ট, অন্তত: সেইরকমই যে বোধ করে থাকি তা নিয়ে কোনও সংশয়ই নেই।

    বামপন্থার বিবর্তন বা হাবিজাবি শুধু বামপন্থী কেন, যার ইন্টারেস্ট আছে তার কাছে ইম্পর্টেন্ট। সাধারণ লোকের কাছে উপরের উক্তিগুলো জরুরি সেও ভি ঠিক।

    কিন্তু অমুকে আরও খারাপ, সেটা একজন লোক তার স্ট্যান্ডপয়েন্ট থেকে লিখেছে, লিখতেই পারে। জো তার স্ট্যান্ডপয়েন্ট থেকে সেটাকে আপত্তিকর মনে করেছে।

    আমার মনে হয় পার্সোনাল এক্সপিরিয়েন্স আমাদেরকে একেকরকমভাবে পোলারাইজ করে। এবং প্রায় প্রত্যেকেই তখন পার্সপেক্টিভ বা যা নিয়ে মতদ্বৈধতা তার ডোমেনটাকে ছড়িয়ে ফেলে। হনু তার মতো করে তার পার্সোনাল এক্সপিরিয়েন্স, তার সোশাল এক্সপিরিয়েন্স (এর মধ্যে হনুর চয়েস অফ বুকস ও ইনক্লুড করা হলো) এর ওপর দাঁড়িয়ে বলে। জো এর কাছে তার অনেকগুলি পসিবলি মানে রাখে না অ্যান্ড ভাইসি ভার্সা।

    পসিবলি এখানেই আমার যুক্তি রেফারেন্স বা তথি্‌য়্‌নর্ভর আলোচনায়।

    আর সত্যি যদি কিছু করার থাকে, তবে যে কোনো একটা মাত্র প্রশ্ন নিয়ে কয়েক দশক কাজটাজ করা যেতে পারে।

    বিক্রম
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন