এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • দেশে থাকাকালীন অতি বাম, তার পর "আংকেল স্যাম" - সুবিধাবাদ না পরিস্থিতির শিকার?

    bb
    অন্যান্য | ১২ এপ্রিল ২০০৯ | ৫৮৪৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • arjo | 24.42.203.194 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ০৯:৫৩413021
  • এইটা বিবির জন্য রইল।

    http://www.anandabazar.com/14edit3.htm

    এর পরে আমার আর দু চারটি কথা বলার আছে। সেটা কাল বলব। শুধু বলি যে শিল্পায়নের প্রয়োজন অস্বীকার না করেও শুধুমাত্র মডেলটাকে ভুল বলা যায়। তার জন্য বাম, অতিবাম এসব হওয়ার দরকার পরে না। আমি মনে করি প:ব:য়ে শিল্পায়নের প্রয়াস অত্যন্ত মধ্যমেধার একটা প্রয়াস মাত্র। ইতিহাসের পাতায় নাম তোলার জন্য বুদ্ধবাবুর হুইমস ছাড়া আর কিছুই নয়। কেন তার অনেকটাই এই লেখায় বলা আছে।

    বাকীটা http://tinyurl.com/c24f4x থ্রেডে Date:17 Oct 2008 -- 07:52 PM পোস্টটি দেখে নেবেন। এটা আমার মত।

  • sibu | 71.106.244.161 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১০:০০413022
  • ধুস্‌স্‌স্‌স্‌। সিঙ্গুরের জমির মালিকদের যথেচ্ছ প্রফিটিয়ারিং করতে দিতে হবে, নইলে শিল্প বন্ধ্‌। বেশ বেশ।
  • arjo | 24.42.203.194 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১০:১২413023
  • গেল না সেতো দেখতেই পেলে।
  • sibu | 71.106.244.161 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১০:১৩413024
  • তাই তো বাহবা দিলুম। শুনতে পেলে না?
  • arjo | 24.42.203.194 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১০:১৫413025
  • থ্যাংক ইউ।
  • sibu | 71.106.244.161 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১০:১৬413026
  • সিওর।
  • h | 203.99.212.224 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১১:১৫413027
  • আর্জো যেটা কে মধ্য মেধার হুইম বলছে আর শিবুদা যেটাকে লোকাল ল্যান্ডেড ইন্টারেস্ট এর প্রফিটিয়ারিং বলছেন, সে দুটো-ই আমার মতে ভুল এবং অবাস্তব অবসার্ভেশন।
  • h | 203.99.212.224 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১১:১৭413028
  • এ সম্পর্কে আমি নাতিদীর্ঘ লিখতাছি। টাইম পেলে।
  • h | 203.99.212.224 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১৪:১১413029
  • শিবুদার যেটা পয়েন্ট, সেটা হল ল্যান্ডেড ইন্টারেস্ট (জমির মালিক কৃষক এবং জমির কেনা বেচা করেন যারা) এর প্রফিটিয়ারিং খারাপ। ওয়েল এটাকে খারাপ বলতে আমার আপত্তি নেই, যতক্ষণ কর্পোরেট প্রফিটিয়ারিং কেও আমি 'খারাপ' বলছি। আসলে কেসটা খুব সোজা। দুটো ইন্টারেস্ট এবং তাদের মধ্যে ক্ল্যাশ। এই ক্ল্যাশে আপনি আমি কোন পক্ষে সেটা আমার আপনার ক্লাস ইন্টারেস্ট এর উপরে নির্ভর করছে। ল্যান্ডেড ইন্টারেস্ট মনে করছে, জমি কেনা বেচার মধ্যে সরকার আইলে তাদের ক্ষতি। কর্পো মনে করছে, সরকার না আইলে বেশি দাম দিতে হবে, প্লাস এস ই জেড হাবি জাবি, ট্যাক্স হলিডে ইত্যাদি পাওয়া মুশকিল, প্লাস সিলিং অ্যাকট এর কারণে কর্পোরেট পারচেজের উপরে বিধিনিষেধ ও থাকতে পারে।
    এই পোলিটিকাল ডিবেট টার একটা ইতিহাস আছে। জমির ইন্ডিভিজুআল হোল্ডিং বেড়েছে বলে(ভূমি সংস্কার ইত্যাদি) ধরেন, সিঙ্গুরে ১০০০ একর জমি পেতে ১৩০০০ (রাফলি )লোকের কাছে জমি নিতে হয়েছে। তার মধ্যে হাজার আড়াই রাজি হয় নি, এবং ৪০০ একর মত আটকে দিয়েছে। জমির নেচার, ভেড়ি না কৃষি, কৃষি হলে কটা চাষ, কৃষি না ভেড়ি না বাস্তু এইসব নিয়ে সব পক্ষ গুল মেরেছে, কারণ ল্যান্ড ম্যাপিং এর যে একসিস্টিং রেকর্ড, সেটা পাবলিক ডোমেনে থাকলেও (জে এল আর ও আফিস ইত্যাদি) , ইজিলি সে রেকর্ড কেউ দেখতে পারে না। তাই ডিবেট টা ইন্‌ফর্মড নয়, গাঁট মাত্র। প্লাস মামলা , কনটেনশন ডিসপুট অব্দি আছে। এর সঙ্গে ভাগচাশী, ক্ষেত মজুর এর একটা অংশ রয়েছে। তাদের রিপাট্রিয়েশন প্যাকেজ সিঙ্গুরে যতটা হয়েছে , সেটা অন্য জায়্‌গায় বেশি হয় নি, তার মূল কারণ কারো বদান্যতা নয়, অন্যত্র তাদের রাইট টা কম এস্ট্যবলিশ্‌ড। সেই প্রক্রিয়ায় সিপিআইএম এর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

    এই বার কারখানা যেহেতু বানাচ্ছে একটা কমারশিয়াল ইন্টারেস্ট, তার উপরে বানাচ্ছে কনজিউমার প্রোডাক্ট, তো প্রফিটিয়ারিং এর এথিকাল রেশনেল এমনিতেই কমে যাচ্ছে। এইবারে বলতে পারেন, শিল্প হল প্রগতি, রাজ্যের উন্নতি ইত্যাদি, কৃষির উপরে নির্ভরশীলতা অতিরিক্ত বেশি, যেটা অনগ্রসরতার অন্যতম কারণ , সে সব ঠিক আছে। এমনকি এও বলতে পারেন, চাষার ছেলে ইঞ্জীনীয়ার হলে , বাপের জমিতে চাষ না করে, সেই জমিতে গাড়ির ফেব্রিকেশন করবে। দ্যাট্‌স অল ফাইন বা নাথিং বাট রেটোরিক। তার কারণ, ছেলে ইঞ্জীনীয়ার হয়ে গাড়ি বানাতে চাওয়ার অ্যাম্বিশন পোষন করছে বলে, বাপকে কর্মচ্যুত দেখতে চাইছে, বিশেষত: এমন সমাঅজে যেখানে স্বাস্থ্যের এবং পেনশনের গ্যারান্টি নাই, এইটা ঠিক হয় না।

    বড় রকমের স্ট্র্যাটিফায়েড সমাজে , ইকোনোমিক পরিবর্তনে বড় বড় ডিবেট হবেই, তার পোলিটিসাইজেশন হবে, পক্ষ না নিয়ে থাকা যায় না ঠিকাছে, কারণ আপনার আমার ট্রেড ইন্টারেস্ট আছে ইনডাস্ট্রিয়ালাইজেশনে ঠিকাছে, তবে ক্যাচ টা স্বীকার করে নেওয়াই ভালো।

    এবার একটা দিক আছে, যেটা শুনে আমাকে এতক্ষণ ধরে কান মুলে দিতে ইচ্ছে করছিল, সেটা একটু কমবে। সেটা হল, ভূমি সংস্কারের ফলে ইউনিট জমিতে স্টেক হোল্ডারের সংখ্যা বেড়েছে। কোনো কোনো কোয়ার্টারে, এটাকে শিল্পায়ন প্রচেষ্টার মূল সমস্যা বলে ধরা হয়েছে:-) এই কোয়ার্টার গুলো যদি শুধু চেম্বার অফ কমার্স হত তাইলে রসিকতা সম্পূর্ণ হত না। নবারণ বাবুর একটা পত্রিকা আছে বোঝলেন, তার নাম ভাষাবন্ধন। এটা এমনিতে পড়ুন ও পড়ান গোত্রের(কারণ আমি মাঝে মাঝে লিখি;-) ), অ্যাকচুয়ালি ভালো লেখা বেরোয়, প্রচুর অনুবাদ বেরোয়।
    এইবার এতে একটা সিঙ্গুর বিতর্ক নিয়ে সিরিজ বেরিয়েছিল। তাতে সরকারের সমালোচক একজন লিখেছিলেন, কোট টা একজ্যাক্ট নাও হতে পারে, '... গ্রামীন ভদ্রলোক শ্রেণী কে শেষ করে দিয়ে কি লাভ হয়েছিল কে জানে।...' এটার বাইরের অর্থ হল, গ্রামে উচ্চ শিক্ষিত লোকের সমখ্যা কমাটা কোনো তিরিশ বছরের শাসনের সাফল্যের খতিয়ান হতে পারে না, ভেতরের অর্থ হল, ভূমি সংস্কার টা ভালো কাজ হয় নি, পড়ুন পার ইউনিট ল্যান্ড লোকের সংখ্যা বেড়ে গেছে :-) ভূমিক সংস্কার যখন বিনয় চৌধুরী রা শুড়ু করেন, তখন অশোক রুদ্র বিশাল ভাবে প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, এটাতে নতুন মুত্‌সুদ্দী শ্রেণী তৈরী হচ্ছে। তো বুঝতেই পারছেন, অধিগ্রহণের , শিল্পের জন্য অধিগ্রহণের বিরোধীতার ও একই পোলিটিকাল ও জিওগ্রাফিকাল লোকেল থেকে উঠে আসা নানা ভিউ আছে।

    পক্ষ নিচ্ছেন ঠিকাছে। যাদের বিপক্ষে যাচ্ছেন, তাদের পয়েন্টের ভ্যালিডিটি কেন কল্কে পাচ্ছে সেটা একবার ভাইবা দেখেন;-)
  • ranjan roy | 122.168.230.27 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১৭:১৫412803
  • হনু'র হাত দুহাতে ধরে ঝাঁকালুম।
    ও এটা খুব সুন্দর ভাবে দাঁড় করিয়েছে যে একই ডোমেনের মধ্যে মোটামুটি একই থিওরিটিক্যাল বেসিস থেকে একাধিক অল্টারনেটিভ মডেল গড়ে উঠতে পারে।
    কাজেই বিপরীত মতটা মন দিয়ে শুনলেঅনেক ফালতু কাজানো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
    bb কে স্পষ্ট কথা বলার জন্যে ধন্যবাদ।
    কিন্তু bb, আপনি তঙ্কÄকথা জানেন না এমনতো নয়। এইতো স্পষ্ট বল্লেন যে উন্নয়নের প্রশ্নে ""Trickle Down Effect" নামক ম্যাক্সিমের প্রতি আপনার আস্থা আছে। থাকতেই পারে। অনেকেরই আছে। সেই আস্থা নিয়েও উন্নয়নের অল্টারনেটিভ মডেল হতে পারে।
    কিন্তু, এই মডেলের যাঁরা বিরোধী, অর্থাৎ যাঁরা মনে করেন যে দারিদ্র্য এমন একটা ক্যান্সার যার চিকিৎসা করতে গেলে শুধু মানি-পাম্প করে বিশাল ইন্ডাস্ট্রি করে গেলে কাজ হবে না, এটা আপনা-আপনি একদিন সারবে না, এর জন্যে চাই টার্গেটেড এফোর্ট,এবং স্টেট ইন্টারভেন্‌শন---তাদের একটা ছোট্ট সাব-সেট হল অতি-বাম।
    এই সমালোচকদের দলে অমর্ত্য সেন, যোসেফ স্টিগলিজ এর মত আম্রিকাবাসী নোবেলপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদেরাও আছেন। আছেন অমিত ভাদুড়ী-- প্রণব বর্ধনের মত মেইনস্ট্রীম অ্যাকাডেমিশিয়ান যাঁরা আম্রিকায় থেকে রিসার্চ করেন, পড়ান।
    আর আপনার বক্তব্যের টেস্ট কেস হিসেবে আমার প্রশ্ন
    টাটাসাম্রাজ্যের বৈভবের স্বাতীনক্ষত্রের জল ফোঁটা ফোঁটা হয়ে ঝাড়খন্ডের গরীব চাতকপাখিদের কাছে কবে পৌঁছুবে? আর কত বছরে?
    দুই, আপনার বক্তব্যে স্পষ্ট-- সিপিএম আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য কোন আদর্শগত কারণে নয়, বরং প্রায়োগিক স্তরে যা করছে তা ঐ ট্রিকল্‌ ডাউন উন্নয়ন পদ্ধতির সংগে বেশ খাপখায় বলে।
    তা বেশ। তহলে আপনার অতি-বামদের নৈতিক দ্বিচারিতা নিয়েকোন মাথাব্যথার কোন কারণ তো দেখছি না। ওরা তো একপেশে চিন্তার দৈন্যে(?) আছেই সাইডলাইনে।
    আর প্রণব বর্ধন, অমিত ভাদুড়িদের কী বলবেন?
    আম্রিকায় থেকে স্বচ্ছল জীবন যাপন করে মার্কিন জীবন পদ্ধতি বা উন্নয়নের মডেলকে খিস্তি করা-- এটা কি আপনার মানদন্ডে সুবিধাবাদ নয়?
    এ'রম অকৃতজ্ঞ সুবিধেবাদী আরও আছে।
    ডাচ্‌ ভাষার প্রখ্যাত লেখক পল বেরহেগেন থাকেন আম্রিকার আটলান্টায়।
    ওনার "ওমেগা মাইনর'' নামের ভারী-ভরকম উপন্যস নিয়ে আজকাল খুব চর্চা হচ্ছে।
    উনি ইদানীং দুটো পুরস্কার পেয়েছেন যাঅর মোট মূল্‌য়্‌প্‌রায় ৪৫০০০ ডলার।
    কিন্তু উনি এই রাশি নিজে না নিয়ে আম্রিকার সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নকে দিয়ে দিলেন এই বলে যে উনি নিলে যে ট্যাক্সো আম্রিকার রাজকোষে জমা পড়বে তা দিয়ে সরকারের অনৈতিক ইরাকীযুদ্ধ চালানোয় সহায়তা হবে।
    ন্যাকামি ও নিমকহারামি। গোপাল গান্ধীর রাজভবনে মোমবাতি জ্বালানোর মত।

  • arjo | 24.42.203.194 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১৭:১৭412804
  • হানুদার প্রথম প্যারার সাথে একমত হইলাম। বামপন্থী পদ্ধতিতে জমি দখল করিয়া ডানপন্থী পদ্ধতিতে কর্পোরেট হাউসকে দিয়ে দেওয়া কোনো বামপন্থী স্ট্যান্স নয়। বাকীটা পরে।
  • arjo | 24.42.203.194 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১৭:২০412805
  • এইসব কূট বামপন্থী পর্যালোচনা বাদ দিয়ে পুরো ব্যাপারটাকে যদি চীনের কপি হিসেবে দেখা যায় তাহলেও পুরো প্রয়াসটা অত্যন্ত মধ্য মেধার প্রয়াস বলে আমার মনে হয়েছে। কেন সেটা পরে বলছি।
  • h | 203.99.212.224 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১৭:৩৭412806
  • মধ্য মেধার অভিযোগ যেটা আর্য তুলেছে, সেটা আমার মনে হচ্ছে মিসপ্লেসড। মানুষের কাজে লাগতে বুইলে বেশি বুদ্ধি লাগে না, পলিটিক্সে, যদি পরিষ্কার থাকা যায়, কাদের কাজে লাগবো। এই যেমন যারা এস ই জেড আইন বাইনেছেন, তাঁদের বেশি বুদ্ধিমান মনে করার কোন কারণ নাই, ইনস্পাইট অফ স্ম্যাশিং গুড লুক্স অফ কমল নাথ অ্যান্ড মন্টেক আলুওয়ালিয়া। তাঁরা ক্লিয়ার তাঁরা বড় কর্পো ক্যাপিটালিজমের জন্য আইন কানুন বদলে নেবেন। ডিসপ্লেসমেন্ট রিহ্যাবিলিটেশন ইত্যাদি নিয়া পলিসির দরকার নাই, কারণ তাইলে স্বীকার করা হয়ে যাবে, সমাজে সকলেই সাকালের দিকে ইকোনোমিক টাইম্‌স পড়ে না। তার চেয়ে ওটা ইমপ্লিমেন্টেশনের ঘাড়ে থাকলো, যেখানে যত কমে পারা যায়। এটা ব্রাইটনেস নয়, ক্ষমতার ব্যবহার এবং কোন ইন্টারেস্ট সার্ভ করবো সে সম্পর্কে রুলিং ক্লাসের কনসেনশাস। এইবার রাজ্য সরকার ভেবেছিলেন তাঁরা রাজ্যের কাজে লাগছেন, মানে সেরকম বুঝতে তাঁরা চেয়েছিলেন। তার কারণ এটাই রুলিং ক্লাস কনসেনশাস। এবং এতে আমি তুমি এর বাইরে নেই, আবাপর পতাকাতলে সংগঠিত, অত্যন্ত ঝকঝকে হওয়া সত্বেও, বলতে নেই:-)

    কিন্তু রাজ্য ব্যাপারটা কোন আকাশকুসুমের নন্দনকানন নয়, সেখানে লোকে কেবলি অপ্সরাদের জলকেলি দেখছে আর ইকোনোমিক টাইম্‌স পড়ছে তা ঠিক নয়।
    সেখানে লোক জন রয়েছেন, যাঁদের হঠাৎ করে একটা কারখানায় কাজ করার স্কিল নাই, স্কিল ট্রান্সফারের উপায় ও নাই, বীমা নাই, পি এফ নাই, রেশন ব্যবস্থা গুপিতে ভরা। যেটা আছে সেটা হল কৃষি বা জমি নির্ভরতা। এই সিচুয়েশনে স্মল টাইম ট্রেডার হয়ে যাওয়া সোজা, আমারে জোর করে হঠাৎ চাকরি রাজ্যের স্বার্থে ছাড়তে হলে, আমি দোকান দোবো। আর অন্যান্য ডেস্পারেশন যে পথে নিয়ে যাবে যাব। এই ট্রেড ট্রান্সফার টা ধরেন, ক্যাপিটাল যাঁদের আছে, বা স্পেকুলেট করার মত
    ট্যালেন্ট বা ইনফর্মেশন রয়েছে, ইনস্পাইট অফ রাদার রুরাল মেধা অর লুক্স, তাঁরা জমির দালাল হবেন। পেশার বিপদে শুধু নয়, রিয়েল এস্টেট যেখানে যেখানে গ্রামাঞ্চলে বেড়েছে, যেমন নতুন তৈরী হওয়া রাস্তার পাশে সেখানে জমি বেচা কেনা করে নতুন বড়লোক শ্রেণী তৈরী হয়েছেন। টাঁদের মধ্যে অবশ্য তাঁরাই বেশি অ্যাডভান্টেজ এ, যাঁদের পুরোনো এগ্রিকালচারাল সারপ্লাস আছে। এঁদের মধ্যে ভূমি সংস্কারে যাঁদের ক্ষতি হয়েছিল তাঁরাও আছেন, যাঁদের ভূমি সংস্কারে বা সেচ বাড়ায় বা উচ্চা ফলনশীল বীজ আসায়, বা ট্রাকটর চালানোয় যাঁদের লাভ হয়েছে তাঁরাও আছেন। মনে রাখতে হবে এঁরা আর্বানাইজেশনের বিপক্ষে নন, আপাতত: ইনডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের বিপক্ষে। এইটা বোঝার জন্য বুদ্ধি লাগে না। শুধু ঠিক করে নিতে হয়, আমি কার পক্ষে যাব, কেন যাব। ২৩৫ ম্যান্ডেটে রাজ্য সরকারের মনে হয়েছিল, যে তাঁরা ক্লাস ইন্টারেস্ট ভুলিয়ে সকলকে এক সাথে পাবেন। বেসিকালি পান নি। তার মানে এই নয়, বিরোধীরা এটার বাইরে কিসু করবেন বা করতে পারেন। কারণ কোন গ্র্যান্ড ন্যারেটিভেই বিভিন্ন ইকোনোমিক গ্রুপের ক্ল্যাশ অভ ইন্টারেস্ট কে তাপ্পি দেওআ যায় না। দিতে গেলে মেধা যথেষ্ট নয়, পরিস্থিতি খানিকটা সাহায্য করে। যেমন সাহায্য করলো, নন্দীগ্রামের গুলি। ইত্যাদি দারুণ দারুন্‌ণ সব ইন্টেলিজেন্ট কতা ;-)

  • r | 125.18.104.1 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১৭:৪০412807
  • ঠিকই ছিল, শুধু বোধির নান্দনিক অনুভব ছাড়া, মানে কমলনাথকে সৌন্দর্যের প্রতিমূর্তি, ইয়ে, বলতে নেই, কি রকম যেন...... ;-))
  • pinaki | 67.43.246.22 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১৭:৪২412808
  • সিঙ্গুরের পুরো ডিবেটটাকে প্রফিটিয়ারিং এ রিডিউস করে দিলে অবশ্য অনেক সুবিধে আছে। রাজ্য সরকারের লাগাতার ঢপবাজি, গাজোয়ারি - এইসব ইস্যুগুলোকে সাইডলাইনের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া যায়। :)
  • Partho | 202.177.144.18 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১৮:১১412809
  • h - ভাগচাষি আর ক্ষেতমজুরদের কম্পেনসেসান- ব্যাপারটা বিস্তারিত জানাবেন?
    এটা নিশ্চয়ই আপনাদের জানা যে পশ্চিম বাংলার গ্রামীন জনগষ্ঠীর একটি বৃহত অংশই হল ভাগ চাষি - যারা শাষক দলের কৃপায় জমির মালিক না হয়েও জমির de facto মালিকানা ভোগ করে। ফসলের সিকিভাগ মালিককে দেয়ার কথা কিন্তু শহরে/ বিদেশে থাকা মালিকরা তার সঠিক হিসাব কখনই পায় না । মালিকরা ঐ জমি ভাগ্‌চাষি ছাড়া কাউকে বিক্রি করতে পারেনা, কারন ভাগ্‌চাষি ছাড়া ঐ জমি নিয়ে অন্য কারুর কোনো লাভ নেই। মালিকরা তাই অর্থের প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে নাম মাত্র মূল্যে তাদের জমি ভাগ্‌চাষিদের বিক্রি করে। ভাগ্‌চাষিরা ঐ জমি বাজার দরে বিক্রি করে ভাল আয় করে। সিঙ্গুরে কিন্তু জমির মালিকরা (যাদের জমি ভাগ চাষে দেয়া আছে) সেই হিসেবে ভাল দাম পেয়েছে, আর অন্য দিকে ভাগ চাষিরা জমির দামের সিকিভাগ (যা জেনেছি ঠিক কিনা জানাবেন) মাত্র পেয়ে নিজেদের কে looser মনে করছে। অপর দিকে ক্ষেতমজুরদের অবস্থাতো শুনেছি আরো খারাপ? তারা নাকি কিছুই পায় নি?
  • saikat | 202.54.74.119 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:০৩412810
  • হনুর লেখাটায় রাজ্য সরকারের ভুলের সাথে পার্টি, মানে সিপিএমের ভুমিকার উল্লেখ থাকলে ভাল হোত। এক জায়গার লোকজন স্বেছায় তাদের জমি-জায়গা-ঘর-বাড়ী থেকে উৎখাত হয়ে যাবে, আর না হতে চাইলে সেই পরিস্থিতিতে তারা কি করতে পারে তার সম্বন্ধে ধারণা না থাকা বা সে রকম কিছু ঘটলেও ক্যাডার আর পুলিস দিয়ে সামলে দেয়া যাবে - এই মনোভাবটা মধ্যমেধার লক্ষণ নয় কি ?:-) যে নন্দীগ্রামে ৪২ সালে 'জাতীয় সরকার' গঠন হয়েছিল সেখানে ১০০০০ একর জমি অল্প আয়াসে চলে আসবে এবং না এলে লক্ষন শেঠ সামলে নেবে সেটা পার্টির অপদার্থতা এবং পড়াশুনো না করার ফল বলে মনে হয়। :-)
  • h | 203.99.212.224 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:০৫412812
  • পার্থো, আপনি ঠিক। কারণ দিনমজুর ক্ষেত মজুরেরা কিস্যু পায় নি। আমার মতে ভাগ যেটাকে পাওয়া বলা হচ্ছে , সেটা হল কারখানার সাইটে আনস্কিলড লেবার। আমার অন্যরকম ভাবে লেখা উচিত ছিল। 'পাওয়া' বলতে যা বোঝায়, সেটা খুব কঠিন আচিভ করা, কারণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে মোবিলিটি থাকলে সবাই সমান সুযোগ পায়, সেটা জাস্ট নেই। প্লাস সুযোগের ব্যাপকতা তো নেই ই। মাইগ্রান্ট লেবার নিয়ে প্রতীচি ট্রাস্টের রিপোর্ট দেখতে পারেন। বেশি রিভিলিং। ১০০ দিনের কাজের প্রোগ্রামের ব্যর্থতার আনালিসিস ও পড়তে পারেন।

    পিনাকি, আপনার সঙ্গে একমত নই। কারণ আমি কোথাও বলিনি রাজ্য সরকারের শাসকের ভূমিকা প্রপার ছিল। অসহায় রাজ্য সরকার মেধা কম থাকায় গুলি চালিয়ে দিয়েছেন তাও মনে করি না। তাঁদের পেটোয়া রা মারামারি করে রাজ্যের স্বার্থ দেখার জন্য জীবন দিয়েছেন তাও মনে করি না। বা এও মনে করি না, বড় কোন অলটারনেটিভ ইকোনোমিক মডেল, ভায়েবল মডেল এই মুহুর্তে সিপিআইএমের বিরোধী দের হাতে রয়েছে। তাতে গুলি চালনার প্রতিবাদ করা আর অবসরে মারামারি করা অবশ্য আটকায় না। আটকানোর কথাও নয়, অন্তত: প্রথম ক্ষেত্রে। আমি একটু অন্য প্রসঙ্গে বলছিলাম।

    তবে বলতে বাধ্য যখন করছেন ই তাহলে বলি, ভীষণ বুদ্ধিদীপ্ত ভাবে ল্যান্ড কোশ্চেনের সমাধান পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও হয় নি। মেডিয়েভাল ট্রান্সফর্মেশনের আমলের ডিবেট গুলো, ক্যাপিটালিজমের এক্সপ্যান্সনের সময়কার বিভিন্ন সোশাল আপহিভালের কথা গুলো একটু ল্যাহাপড়া করে নেবেন। পাওয়ার স্ট্রাগল হয়েছে, তাতে যাঁরা জিতেছেন আমরা তাঁদের পক্ষ নিয়েছি মাত্র। মানে বিশাল চয়েস ছিল এমন কিসু না, তবে এটাই ঐতিহাসিক সত্য। বিংশ শতকেও গল্পটা বেসিকালি একই। ক্যাপিটালিজমের এক্সপ্যানসনের সঙ্গে বিলেতে বা আমেরিকায়, সায়েন্স আর টেকনোলোজির এক্সপ্যানসন, জ্ঞানচর্চা ইত্যাদি হয়েছে বলে আমরা একটা সুবিধে জনক মোড়ক পাই মাত্র। যে কোন ট্রান্সফর্মেশনের হেরো পার্টি থাকে। পোলিটিকাল এজেন্সী তার ইন্টারেস্ট অনুযায়ী পক্ষ নিয়ে থাকে।
  • arjo | 168.26.215.13 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:০৫412811
  • প:ব: সরকার বামপন্থী অথচ উন্নয়ন চায়। পণ্ডিতরা বলেছেন উন্নয়ন হতে গেলে শিল্পের প্রয়োজন। আজকের যুগে দাঁড়িতে শুধু কৃষিজমি বানিয়ে উন্নতি হয় না। উপায় কি? হাতের কাছের সোশ্যালিস্ট দেশ চীনের থেকে কপি করো। ১৯৮০ সালের পর থেকে দেশটা ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের পথে হেঁটে কি উন্নতিই না করেছে। সাপও মরে লাঠিও ভাঙে না। উন্নতিও হয় আবার নিজেদের অন্তরাত্মাও পরিস্কার থাকে। এইখানেই ব্যপারটা মধ্য মেধার ইমপ্লিমেন্টাশন।

    কপি করতে গিয়ে প:ব: সরকার সযত্নে যা যা ইগনোর করলেন তাহল।

    ১। চীনের বেসিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার প:ব:য়ের থেকে অনেক উন্নত অনেকদিন ধরে। কিন্তু সরকার তাতেই থেমে থাকে নি। চীনের সফল শিল্পায়নের পিছনে একটা বড় অবদান হচ্ছে গভর্ণমেন্ট স্পেন্ডিং ইন ইনফ্রাস্ট্রাকচার। মূলত তিনটি ক্ষেত্রে:
    এক, ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং পাবলিক সেক্টর। যতদূর জানি ১৯৯৫ থেকে ২০০৪ সাল অবধি চীন সরকার প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে জনস্বার্থে, যেমন পোর্ট বানিয়েছে, এয়ারপোর্ট বানিয়েছে, রাস্তা গড়েছে, ড্যাম তৈরী করেছে, জলের সাপ্লাই ঠিক করেছে।
    দুই, টেকনলজিকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরী করেছে
    তিন, ট্র্যাডিশনাল লো প্রোডাকটিভ ইন্ডাস্ট্রী গুলোকে প্রোটেক্ট করেছে। যাতে সেখানকার লোকজন এই শিল্পায়নের ঢেউতে ভেসে না যায়। কিন্তু অপরদিকে বড় এবং ছোট কোম্পানীগুলোকে ক্রমাগত এনকারেজ করেছে মার্জ করার জন্য। তারজন্য এই সেক্টরে প্রচূর ইনভেস্ট করেছে।

    এবারে স্বাভাবিক প্রশ্ন, প:ব: সরকারের এত টাকা কই? নেই। কিন্তু যা ফাণ্ডিং কেন্দ্রীয় সরকার থেকে পাওয়া যায় তাই খরচ হয় না কেন? পরিবহণ, স্বাস্থ্য, পরিষেবা নিয়ে পলিসি দেখা যায় না কেন? কারণ কেউ ভাবেই না। এখানেই এই প্রয়াস মধ্য মেধার। উঠে দাঁড়ানোর আগেই মার খেয়ে পড়ে থাকে।

    ২। এক্সপোর্ট ও গ্লোবালাইজেশন - সোশ্যালিস্ট দেশ হয়েও, চায়না অত্যন্ত সফল ভাবে নিজের দেশের দরজা আমেরিকার কাছে খুলে দিল। আর তারপরের ঘটনা তো ইতিহাস সবাই জানেন বিশেষ কিছু বলার নেই। আজ চীন আমেরিকার পরে সর্ববৃহৎ অর্থনীতি।

    প:ব: সরকার কি করল, না রাজ্যে শিল্পের ধ্বজা উড়িয়ে কেন্দ্রে মনমোহন সরকারের মুক্ত অর্থনীতির বিরোধীতা করল। ধরি মাছ না ছুঁই পানি হয় না। জলে নামব অথচ কাদা মাখব না এই আত্মিক ও তাঙ্কিÄক শুদ্ধতার পরাকাষ্ঠা হওয়ার প্রচেষ্টাই হল মধ্য মেধা।

    ৩। স্টেট ওনড রিফর্ম - চীনে শিল্পায়নের সবথেকে বড় সুবিধা ছিল জমি স্টেট ওনড। তাই জমি অধিগ্রহণ জনিত অসুবিধা সেখানে বিশেষ ছিল না। বিরোধীই ছিল না। যাইহোক সরকার যেটা করেছে তাহল দীর্ঘদিন ধরে মাইগ্রেশনকে প্রশয় দিয়েছে। জমির ওপর চাপ কমেছে শিল্পায়নের সুবিধা হয়েছে। হঠাৎ একদিন পুলিশ পাঠিয়ে জমি দখল করতে যায় নি। এই নিয়েও প্রচূর ক®¾ট্রাভার্সি আছে। মোদ্দা কথা চীনে জমি স্টেটের হাতে থাকার জন্য সব কিছু অনেক অন্যরকম হয়েছে।

    প:ব: সরকার ভেবেই দেখে নি যে গায়ের জোরে জমি দখল করলে কি কি অসুবিধা হতে পারে। সেটা অবশ্যই মধ্য মেধা।

    নন্দনে বসে লোকের ভালো করছি একথা ভাবাই যায়, চীনের কপিও করা যায়, কপি যদি শুধুই মাছি মারা কেরানীর মতন হয়ে থাকে তাহলে তাকে বলে ব্রেণ ফার্ট। প:ব:য়ের শিল্পায়নের প্রচেষ্টা তাই একটা পপুলিস্ট ফার্স।

    এবারে এইসব যে করতেই হত তা নয়। অন্যদিকে ডিমান্ড সাইড ইকনমি আছে, নূন্যতম ১০০ দিনের চাকরীর প্রতিশ্রুতি আছে, সরকার সেদিকেও মাথা ঘামাতে পারত কিন্তু তা হয় নি। কারণ আমাদের বামপন্থী নেতারা চীনের পথেই চলতে চান। তা চান ভালো, কিন্তু মাছি মারা কেরাণীর মতন কপি হলে তাকে কেউ কেউ স্নেহ ভরে "আহা চেষ্টা তো করেছে' বলতেই পারেন, আমার সেই স্নেহ নেই।
  • arjo | 168.26.215.13 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:১৭412814
  • আর হ্যাঁ চীনের এই শিল্পায়নকে সংশোধনবাদী বামপন্থা বলবেন না সিউডো ক্যাপিটালিজম সে আপনার ওপর। একটাই তথ্য চীনের জিডিপির মাত্র এক তৃতীয়াংশ আসে স্টেট ক®¾ট্রালড অর্থনীতি থেকে বাকীটা মুক্ত অর্থনীতি।
  • saikat | 202.54.74.119 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:২২412815
  • ১৯ শতকে ক্যাপিটালিস্ট এক্সপ্যান্সনের যুগে কোন দেশেই কিন্তু কমিউনিস্ট পার্টি বলে কোন পার্টি ক্ষমতায় ছিল না, ফলে সেই সব সরকারের কাছে জমি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান অন্য রকম হতেই। এখানে যেহেতু বামপন্থী বলে একদল লোক ক্ষমতায় আছে সেহেতু এত সব কথা উঠে পড়ে।
  • pinaki | 67.43.246.22 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ২০:০৫412816
  • হনুদা আফনারে কই নাই।
  • sibu | 207.47.98.129 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ২০:১৩412817
  • হনুকে:

    কর্পোরেট প্রফিটিয়ারিং আর জমি মালিকের প্রফিটিয়ারিং এক নয়। ইকনমিকসে rent seeking behavior বলে একটা কথা আছে। নেটে খুঁজলেই গুচ্ছের লেখা পাবে এটার ওপর।
  • sibu | 207.47.98.129 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ২০:৫২412818
  • পিনাকীকে:

    সিঙ্গুরে প্রফিটিয়ারিং-এর ইস্যুটাকে ইগনোর করার-ও কিছু সুবিধা আছে। মমতার লেজুড় হয়ে ল্যান্ডেড ইন্টারেস্টকে মদত দিতে বিবেকে লাগে না।
  • arjo | 168.26.215.13 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ২১:৩২412819
  • মোদ্দা কথা সংশোধনবাদী বামপন্থী অর্থনীতি মানে

    ১। গায়ের জোর দেখানো নয়। চীন তো তার ট্র্যাডিশনাল লো প্রোডাকটিভ কারখানা গুলো তুলে দিতে পারত। বা বলতেই পারত ফ্রি মার্কেটে করে খাও। কিন্তু করে নি। কেন বলুন তো? কারণ মেজরিটির ঘাড়ের ওপর চেপে উন্নয়ন হয় না, বামপন্থা, ডানপন্থা, অতিবামপন্থার প্যাঁচাল না পেরেও সে কথা বুঝতে অসুবিধা হয় না। তাই জমি মানেই স্টেট ওনড এবং অধিগ্রহণ করা যাবে, না হলেই একটা স্মল টাউন লিবারাটেরিয়ান স্ট্যান্স এই অ্যাটিচুড দিয়ে গুরুর পাতায় কেলাকেলি করা যায় কিন্তু বাস্তবে অশ্বডিম্ব প্রসব হয়। ঠিক যা হয়েছে নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর ইত্যাদি জায়গায়।

    ২। শিল্প গড়ব, অথচ ইনফ্রাস্ট্রাকচার স্পেন্ডিং করব না, কনজিউমার স্পেন্ডিংয়ের দিকে নজর দেব না, কিন্তু উন্নয়নের চাকা গড়গড়িয়ে চলবে এমন আকাশকুসুম স্বপ্ন দেখাও নয়। শিল্পায়ন ও উন্নয়ন একটা স্লো, অল এনকম্পাসিং প্রসেস। সে ডিমান্ড সাইডই হোক বা সাপ্লাই সাইডই হোক। প:ব:য়ের অর্থনৈতিক মডেল আপাতত ডিমান্ড সাইড ও নয় সাপ্লাই সাইডও নয় চীনের দূর্বল অনুকরণ। যাতে বামপন্থা আছে, বাজার আছে, শিল্প আছে কিন্তু অর্থনীতি নাই।

    তাই এই পুরো এপিসোডটাকেই কিছু আঞ্চলিক প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছু বলতে আপত্তি ছিল এবং থাকবে। আর অবশ্যই ব্যক্তিগত উচ্চাশা - আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর - ইতিহাসে নাম তোলার সদিচ্ছা। তা সদিচ্ছা আর সৎপ্রয়াসের মধ্যে ডিফারেন্স থাকলে যা হয় তাই হয়েছে প:ব:য়ের শিল্পায়ন। সেই করতে গিয়ে মানুষ মারলে, জোর করে জমি কেড়ে নিলে আপত্তি তো থাকবেই।

    আর এই পপুলিস্ট ফার্সকে এক এক জন একেক ভাবে বিরোধীতা করেছেন:

    মমতা - ঘোলা জলে মাছ ধরার জন্য। তাও ওনার সফলতা হল সঠিক সময়ে সঠিক বিষয়কে লেজিটিমেসি দিয়েছেন।
    অতিবাম - পলিটিকাল আইডিওলজির জন্য, কারণ অতিবামেরা এই বকচ্ছপ অর্থনৈতিক মডেলকে সাপোর্ট করেন না। আর সেটা করতে গিয়ে মমতার মঞ্চে বসেছেন। যেটা বোধহয় না করলেই পারতেন। কিন্তু অতিবাম আন্দোলন এতই মার্জিনালাইজড যে অন্য কারুর মঞ্চে না গেলে নিজেদের উপস্থিতিই টের পাওয়ানো যাবে না।

    আমার মতন জনগণ - কারণ ইট সিম্পলি ডাজ নট মেক সেন্স। কেন? তা অনেকবার নিজের মতন করে লিখেছি।

    আবার অন্যদিকে এই পপুলিস্ট ফার্সকে অনেকে সাপোর্টও করেছেন:

    সেক্টর ফাইভের লোকজন - পপুলিস্ট এই থিওরীর মধ্যে ফার্সটা দেখতে পান নি তাই। হতেই পারে।
    মমতা বিরোধীরা - এলিটিস্ট
    পার্টি - পপুলিস্ট এই থিওরী ভোট কিনতে সাহায্য করে।

    তাই বলছিলাম বিবি ভেবে নিন হুইচ সাইড আর ইউ অন?

    আর বিদেশে থেকেও এইসব ব্যাপারে কথা বলি ঠিক সেই কারণেই যে কারণে দেশে থেকে ভিয়েতনাম ওয়ার নিয়ে কথা বলি। আর এখনো আমার পাসপোর্ট তো ইন্ডিয়ার, বাড়িও পশ্চিমবঙ্গে, আর বেশ কিছু টাকা প:ব:য়ের অর্থনীতিতে খাটছে, আর সর্বোপরি কথা বলতে ট্যাক্সো লাগে না বলে। :)
  • sibu | 207.47.98.129 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ২১:৪৪412820
  • গায়ের জোর দেখানোর ব্যাপারে আপত্তি ওয়াল স্ট্রীটারদেরো খুব। ওঁরা মনে করেন ওনাদের ব্যাঙ্ক, রেগুলেট করতে চাওয়া মানে গায়ের জোর দেখানো। সিঙ্গুরের ট্রাবল মেকারেরা মনে করেন ওদের প্রফিটিয়ারিং-এ (পড়ুন রেন্ট সিকিং) বাধা দেওয়া মানে গায়ের জোর দেখানো। আবার অতি বামেরা তো মনে করেন তাদের ইউনিয়ন থাকলে র‌্যাগারদের শাস্তি দেওয়াও গায়ের জোর দেখানো।

    আর অতিবামের পলিটিক্যাল ইডিওলজির মত একটা হাস্যকর ব্যাপার নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই ভাল। যাদের মমতাকে পলিটিক্যাল বাবু না ধরলে মুখ দেখানোই মুশকিল তাদের আবার ইডিওলজি কি?
  • arjo | 168.26.215.13 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ২২:১২412821
  • অনেকেরই আমার এই অর্ধশিক্ষিতের থিওরীতে আপত্তি থাকতে পারে। শিল্পায়নকে যদি কেউ সাপোর্ট করেন তাহলে দাবী রইল বুঝিয়ে বলুন কি কি কারণে এটাকে সাপোর্ট করব। অমুকের বিরোধীতা করার জন্য এটাকে সাপোর্ট করুন এগুলো জোলো যুক্তি। আমি যখন নিজের মত জানানোর জন্য এতগুলো টাইপ করলাম তখন সেই দাবী খুব অন্যায্য নয় বলেই মনে হয়।
  • sibu | 207.47.98.129 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ২২:২০412822
  • ১। শিল্পায়ন না হলে লিভিং স্ট্যান্ডার্ড বাড়বে না। ডিস্ট্রিবিউশনাল আসপেক্টস অফ ডেভেলপমেন্ট খুব ইম্পর্ট্যান্ট, কিন্তু GDP খুব কম হলে সেটাকে কোন ডিস্ট্রিবিউশনাল ট্রিক দিয়ে ম্যানেজ করা যাবে না। খেয়াল করবেন, সাপ্লাই সাইডরদের মত আমি GDP-গ্রোথকেই মোক্ষ বলছি না। কিন্তু GDP গ্রোথ ডেভেলপমেন্টের একটি ইম্পর্ট্যান্ট নেসেসারি কম্পোনেন্ট।

    ২। ল্যান্ড হল ইন্ডাস্টিয়ালাইজেশনের একটি কম্পোনেন্ট। সুতরাং জমির যোগান চাই।

    এই দুটো পয়েন্ট কি আমরা ধরে নিতে পারি?
  • arjo | 168.26.215.13 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ২২:২৩412823
  • শিল্পায়ন নিয়ে তো কোনো অসুবিধা নেই। শিল্পায়নের দরকার নিয়ে কোনো প্রশ্নই করি নি।

    প:ব:য়ে শিল্পায়নের মডেল নিয়ে অসুবিধা আছে। সেই মডেলকে কেন সাপোর্ট করব বুঝিয়ে বলতে বলেছি। আর সেক্ষেত্রে আমার প্রশ্নগুলোকে মাথায় রাখলে বাধিত হব।
  • sibu | 207.47.98.129 | ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ২২:২৯412825
  • গুড। নাও লেট মি ডেভেলপ মাই আর্গুমেন্টস।

    জমির যোগানের ব্যবস্থা করার দুটো মূল উপায়।

    ১। সরকার এ ব্যাপারে থাকবে না। জমির মালিক ও শিল্পপতি নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে নেবে।

    ২। সরকার জমির ব্যবস্থা করবে।

    আর কোন উপায় আছে কি?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন