এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • জুজুবাদ : অলস অস্তিত্বের সংকট

    dd
    অন্যান্য | ২১ জুলাই ২০০৯ | ৭৮২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 122.167.47.123 | ২১ জুলাই ২০০৯ ২০:০৩415611
  • দেখুন এটা শুরু করেছিলেন মাইকেল ক্রাইটন। বইএর নাম State of fear। ওনার প্রতিপাদ্য হচ্ছে এমন সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে আমরা(মনুষ্যজাতি) কখনো দিন কাটাই নি। তো এতো সুখ আমাদের সইবে ক্যানো ? তাই আতংকবিলাসীরা কেউ ভুতের গল্প পড়েন,কেউ ড্র্যাকুলার সিনেমা দেখেন আর কেউ কেউ কল্পিত ভয়ের জন্য নানান জুজুর সৃষ্টি করেন।
    ম্যাড কাউ,আবোলা,চিকেন ফ্লু,সোয়াইন ফ্লু। একটার পর একটা।
    আর আছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং।

    লিখলেন কি ভাবে ভানাউতু,প্যাসিফিকের একটা ছোট্টো আইল্যান্ড,গ্লোবাল ওয়ার্মিংএর প্রবক্তাদের বিরুদ্ধে কেস ঠুকে দিয়েছিলো(বোধয় ১৯৮৪'এ)। কেনো না সেই প্রবক্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী আর বছর দশেক পরেই সামুদ্রের জল ফুলে ফেঁপে উঠে গ্রাস করে নেবে সব লো লাইং আইল্যান্ড। তো সে সব দেশে আর নতুন করে ইনভেস্ট করবেন কারা? বেড়াতেই বা যাবেন কেনো?
    লেখাই বাহুল্য, ইউ এনেতে ঐ অভিযোগের পর গ্লোবাল ওয়ামিংএর অন্তত: যারা চিৎকৃত আল্যার্মিস্ট ছিলেন তারা নীরব হয়েছিলেন। ঐ আইল্যান্ডটিও দিব্ব্যি টিঁকে আছে।
    এখনো। বিন্দুমাত্র বিপদ সংকেত ছাড়াই।
  • dd | 122.167.47.123 | ২১ জুলাই ২০০৯ ২০:০৫415722
  • তো আমার থিওরীটা ঐ ক্রাইটনের থিওরীর এক্সটেন্‌শন। এবং অবশ্যই আরো গভীর ও পান্ডিত্যপুর্ণ।

    আমাদের বিলাসী জীবনে একটু টেরর চাই, আর একটা ভালো উইন্ডমিল, যার দিকে আমরা হারে রে রে করে তেড়ে যাবো। আমাদের অলস জীবনে এ এক অংগীকার।

    যেমনটি ছিলেন ডন কুইক্সট(না না না, স্প্যানিশরা ভুল উচ্চারন করেন, এটাই ঠিক)। আমাদের ও পার্সোনাল উইন্ডমিল চাই। একটা ভয়,একটা শত্রু।

    রাজনীতি থেকে অ্যাস্ট্রোনমি, আর্কিওলজি থেকে জিওলজি, সব এক্সাম্পলই দিবো। এট্টু ধৈর্য্য ধরুন।
    প্রথমে লিখছি আমাদের শরীল নিয়ে যে আদিখ্যেতা শুরু হয়েছে এদানীং, সে সব নিয়ে।
    প্রথম ও প্রধান শত্রু - সিগ্রেট। ক্ষতিকর? ইয়েস। সে তো ছাড়লেই বোঝা যায়। কটু গন্ধ সহ্য হয় না? ওটা পার্সোনাল। আমার অসহ্য গন্ধের মধ্যে ধুপ ও রুম ফ্রেশনার ও পরে। হাঁপানী হয়।

    কিন্তু যারা প্যাসিভ স্মোকিং নিয়ে লাল লাল চোখ করে অতি উগ্র চেঁচামিচি করেন যেনো সিগ্রেটের গন্ধ নাকে গেলেই হাত পা ছড়িয়ে প্লাক পটল, তারা হিস্টিরীয়ায় আক্রান্ত "দেখুন,দেখুন,আততায়ীর ধোঁয়ায় নিরীহ প্রতিবেশীর অকস্মাত মৃত্যু,আমারে খুন কল্লে" সেটি নেহাৎই জুজুবাদ।
    ক্ষতিকর দিককে অনেক গুন বাড়িয়ে সেন্স অফ প্রোপরশন হারানো, এবং যেহেতু সকলেই মানেন উদ্দেশ্যটি মহৎ, তাই যেকোনো পন্থাই হয় এক আকাশ উঁচু মরাল প্ল্যাটফর্মের উপর দাঁড়িয়ে। (যথা সিগ্রেট যারা খায় তাদের পেঁদিয়ে পাট করুন)। আরো বড় কারন এক সিগ্রেটরে শত্রু ভেবে নিজের পেশী আস্ফালনে বড্ডো খুসী হয়ে তারা বনে যান এই জুজুবাদের আহ্লাদিত স্বেচ্ছাশিকার। এই তো পাওয়া গেলো এক পছন্দসই টার্গেট তো চালাও হল্লা।
  • dd | 122.167.47.123 | ২১ জুলাই ২০০৯ ২০:০৭415820
  • আ:, কইলাম না সব সাবজেক্টেই যাবো। এট্টু অপেক্ষা করুন তারপর গুছিয়ে প্রতিবাদপত্র লিখবেন 'খনে।)
  • dd | 122.167.47.123 | ২১ জুলাই ২০০৯ ২০:০৯415831
  • আমার সম বয়ষ্ক তরুন অপিচ পিওর টেকো বন্ধুটি তার বাড়ীর দশতলার থেকে দেখেন,সকালবেলায়, চা আর সিগ্রেট খেতে খেতে, নীচের পার্কে অগনিত প্রাপ্তবয়ষ্ক মহিলা পুরুষ ,ইজের পরে বা ট্র্যাক স্যুট, কি নিদারুন কষ্ট করে যাচ্ছে। দৌড়,লাফ। ডিগবাজী।
    এরা বাড়ীতে ফিরেও খাবেন গাজর আর বাঁধাকফি, আর চালকুমড়োর রস।
    আমার তরুন টেকো বন্ধুটির চোখ ছল ছল করে। "আর দু এক বছর বেশী বাঁচবার জন্য এরা কী কষ্টই না করছেন, অথচ ঐ দু এক বছরের গ্রান্টি ও নেই"। সজল নয়নে সে বলে আর তার দ্বিতীয় সিগ্রেটটি ধরায়।

    "পোচুর জল খান। প্রত্যহ আট গ্লাস, বা আরো"। সব হেল্‌থ ম্যাগাজিনেই থাকে। পুরোটাই ঢপ। নিতান্ত কুসংষ্কার। সবাই জানেন জল অতো ভালো কিছু হলে লোকে তো জলে ডুবে মরতোই না। যতো জল খেতো তত স্বাস্ত্যে ও ত্বকে উঙ্কÄল হয়ে উঠতো।

    আরেক জুজু রেডমীট।
    "রেড মীট খাইয়েন খাইএন না। ঢ্যাঁঢ়শ খান, ঘাস পাতা।"
    যারা বলেন তারা কি এই দেশের সম্বন্ধে কিছুই জানেন না? ভারতে খুব কম করেও প্রায় দশ কোটী শাকাহারী আছেন। বিরাট বিরাট স্যাম্পেল সাইজ। তারা শাকাহারী প্রায় পঞ্চাশ প্রজন্ম ধরে। বিশাল বিশাল টাইম। এরা কি তাদের অমিতাচারী দেশীভাইদের তুলনায় বেশী বাঁচেন না বেশী সুস্থ?
    এতো বড় একটা জলজ্যান্ত প্রমানিতব্য ছেড়ে বিজ্ঞানীরা ল্যাবরেটারীর উপর জোর দেন কেনোনা ভারতবর্ষ প্রমান করিয়াছেন ভেজ ডায়েটিং একটি আদ্যোপান্ত ঢপ।
  • dd | 122.167.47.123 | ২১ জুলাই ২০০৯ ২০:১২415842
  • আমাদের ঈশেন যাকে বলে "অনাবশ্যক হাইপ"। ধর্মযুদ্ধের মতন পবিত্র ও পুষ্টিকর। আমরা পুণ্যার্থী, প্রতিপক্ষ পাজী।

    আমাদের ঠাকুর দ্যাবতা নেই, মরে গেছে, গুরু ফুরু মানি না। জেবনে বড় ভ্যাকুয়াম হে। তাই এই হিস্টিরিয়া।

    স্বাস্থ্য নিয়ে এই বাতিকগ্রস্থতা এক ফাজলামির পর্য্যায়ে চলে গেছে।

    তবে জুজুবাদ অনেক বিস্তৃত। যখন রাজনীতির উঠানে আসবো তখন টেরটি পাবেন।

    সেটা ক্রমে আসিতেছে।
  • Samik | 219.64.11.35 | ২১ জুলাই ২০০৯ ২০:২২415853
  • আচ্ছা, আপনি শেষ করেন, তারপর আমি লিখব 'খনে। :-)
  • shyamal | 24.117.212.135 | ২১ জুলাই ২০০৯ ২১:২০415864
  • বা: বেশ ভাল টপিক।

    জল প্রসঙ্গে বলি, আমাদের ছোটবেলায় বলা হত, ভাত খাবার সময়ে জল খাবেনা। দুটো মিলের মাঝখানে জল খাবে। আর প্রচুর জল খাবে। দিনে ছয় থেকে আট গ্লাস। তখনকার ডাক্তাররাও তাই বলতেন।

    এখন ডাক্তারেরা বলছে, যখন ইচ্ছে জল খাও। যতটা ইচ্ছে জল খাও। জোর করে ছয় বা আট গ্লাস খাওয়া ইউজলেস। যখন জলের দরকার হবে তোমার বডি বলে দেবে কারণ তোমার তেষ্টা পাবে। ভাত খাওয়ার সঙ্গে প্রচুর জল খেলে কোন ক্ষতি নেই।

    *******************************
    জুজুবাদকে একটু বাড়িয়ে ইদানিং আমি একটা হাইপথিসিস বের করেছি যা কিনা অতি ভয়ংকর। তার বেসিস হল যে মরালিটি বলে কিছু নেই। জিনিষটা মানুষ সুবিধার জন্য তৈরী করেছে । ভগবান মরালিটি দেননি। তিনি আমাদের এমন কোন শক্তি দেননি যাতে আমরা ইমমরাল কাজ করতে পারি।
    মানুষ অনেক নিয়ম বানিয়ে বলেছে , যদি এটা না কর তো ভগবান কিন্তু ওয়াচ করছেন। যেমন,
    ১) উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় হাঁটলে সব দেশেই পুলিশে ধরবে। কিন্তু মাত্র এক লক্ষ বছর আগে আমার আপনার পুর্বপুরুষ/পুর্বমহিলারা শীত না করলে বস্ত্রহীন থাকতেন।
    ২) দোসর দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল প্রসেনজিত কি এমন দোষ করেছে? একটা উইকএন্ডে আপিসের মহিলা কলিগের সঙ্গে একটু রায়চক বেড়াতে গিয়েছিল। কিন্তু সে অন্যদিকে দায়িত্বশীল স্বামী ও কর্মী। কবে এই বৈবাহিক ফিডেলিটির নিয়ম চালু হয়েছে ও কেন? সেটা কি কৃষি সভ্যতার শুরুতে?
  • Samik | 219.64.11.35 | ২১ জুলাই ২০০৯ ২১:২৫415875
  • :O
  • Boo | 203.189.230.3 | ২১ জুলাই ২০০৯ ২১:৪৮415886
  • হ, জুরাসিক পার্ক, রাইজিং সান আর প্রে'র মতন পটবয়লারের লিখকের কাছ থিকা জুজু কারে কয় শিখতে হইবো!
  • Boo | 203.189.230.3 | ২১ জুলাই ২০০৯ ২৩:২২415612
  • . মাইকেল ক্রাইটন একজন ওয়র্ক হার্ড- প্লে হার্ড ঘরানার, বিনোদনপ্রদায়ী-রোমাঞ্চধর্মী ফিকশন লেখক ছিলেন। স্বীকার করতেই হবে চম্‌ৎকার পেজটার্নার লিখতে পারতেন তিনি এবং বইগুলো প্রায়ই বেস্টসেলারের তালিকায় উঠে যেত ও তারপরে বড় ও ছোট পর্দায় চলে আসত।

    তিনি যে দেশের মানুষ ছিলেন যেখানে জুজু ও মিথ বেঁচে অর্থ-যশ আসে (দুনিয়ার সবখানেই আসে, তবে সেখানে কিছু বেশি), সেগুলোকে উড়িয়ে দেয়ার ব্রতে নামলেও রোজগার ও নাম আসতে পারে। এখানে আপত্তির কিছু নেই।

    আপত্তি হচ্ছে হচ্ছে যেখানে মাইকেল মিথ-বাস্টারের ভুমিকায় নেমে পড়েছিলেন সেগুলো (ডিডিটি-প্যাসিভ স্মোকিং-উষ্ণায়ণ) যথেষ্ট সিরিয়াস ইসু। সেগুলো যদি মিথ না হয়, তাহলে মানুষের কালেক্টিভ হেলথ ও পৃথিবী নামক গ্রহে মানুষের বসবাসযোগ্য পরিবেশ , এই দুইই মারাত্বক হুমকির মুখে পড়তে পারে।

    ডিডিটি ও প্যাসিভ স্মোকিং নিয়ে গত চল্লিশ বছরের বেশি ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে পঁচিশ বছরের বেশি সময় ধরে সিরিয়াস কাজ হচ্ছে। অনেকগুলো ক্রস-ডিসিপ্লিনারি রিসার্চ ও বিস্তর এম্পিরিক্যাল আলামত সংগ্রহের মাধ্যমে এগুলো অনেকটাই 'প্রতিষ্ঠিত' বা মিথের বাইরে চলে গেছে। এগুলোর ডিগ্রি অভ ইম্প্যাক্ট বা স্ট্যাটিস্টিক্যাল মেথড নিয়ে অবশ্যই তর্ক হতে পারে কিন্তু শক্ত আলামত ও যুক্তিতর্ক হাজির না করে কেবল 'এগুলো দিয়ে মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে অতএব এগুলো মিথ্যা' বলে উড়িয়ে দেওয়াটা সস্তা গ্‌র্‌যান্ডস্ট্যান্ডিং।

    এই বক্তব্য ও অবস্থানকে পলিটিক্যালি মোটিভেটেড ও বলতে পারি কারণ ছোট বুশও একবার এক বিজ্ঞানসভায় গ্লোবাল ওয়র্মিং যে মিথ তা বলতে গিয়ে মাইকেলের 'স্টেট অভ ফিয়ার' এর বরাত দিয়েছিলেন, এবং দক্ষিণপন্থী রেডিও/টক শো হোস্টরা (যাঁদের চেয়ে বড় অ্যালার্মিস্ট কোন প্রজাতি কল্পনা করাই কঠিন) প্রায়ই দিয়ে থাকেন, সেনেটের ফ্লোরেও রিপাবলিকানরা বইটিকে একাধিকবার কোট করেছেন এবং এসবে ডাক্তারবাবুটি কখনো আপত্তি করেছেন বলে শোনা যায় নি। ।

    তবে ইটি, ইউএফও ম্যানিয়া নিয়ে মাইকেল যা বলেছেন তা নিয়ে তর্ক করে ফায়দা নেই :)
  • dukhe | 117.194.230.132 | ২১ জুলাই ২০০৯ ২৩:৪৪415623
  • হ: - যত্ত সব জুজু । ক্যান্সার সেরিব্রাল এইডস - এসব ভয় দেখানো নাম বেরিয়েছে । অথচ এসব হয়নি বলে মরবে না - এমন লোক তো দেখি না ।
  • a x | 143.111.22.23 | ২১ জুলাই ২০০৯ ২৩:৪৯415634
  • আলামত মানে কি? data?
  • Boo | 203.189.230.3 | ২২ জুলাই ২০০৯ ০০:১২415645
  • হ্যাঁ :)
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২২ জুলাই ২০০৯ ০১:৫৫415656
  • পলিটিকাল মোটিভেশনের কথাটা ঠিক মানতে পারলাম না। কারণ উল্টো উদাহরণও আছে। মাইকেল মুর ঐ বন্দুক নিয়ে সিনেমাটায় ( কি যেন নাম, বোলিং ফর কলম্বাইন?) এই জুজুবুড়োর ধারণাটার পক্ষে জোর বক্তব্য রেখেছিলেন। আমেরিকানরা কেন বন্দুক রাখে, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, আসলে আমেরিকানরা সর্বক্ষণ প্যানিকি হয়ে থাকে। টিভিতে খবরে সিনেমায় সবসময়ে ভয়ের চর্চা। চতুর্দিকে যেন কেলোর কীর্তি চলছে, এরকম একটা ভাব। আতঙ্ক এতই প্রবল, যে, কালো লোকেদের ভয়ে সাদা "ভদ্রলোক' রা দলে দলে শহর ছেড়ে সাবার্ব এ পালাচ্ছেন (পালিয়েছেন), ঘরের দরজায় সিকিউরিটি লক লাগাচ্ছেন, তাতেও শান্তি নেই, বন্দুক কিনে ঘর বোঝাই করছেন, ইত্যাদি ইত্যাদি।

    উনি পাশেই কানাডার উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন, সেখানে লোকে দিব্বি দরজা খোলা রেখে খায় দায় থাকে, বাড়িতে বন্দুকের পাহাড় জমায়না, কিন্তু কানাডায় যে তার জন্য ভয়াবহ কিছু হয়ে যাচ্ছে, তা তো নয়।

    মাইকেল মুরের ঠিক কোটেশন হয়তো হলনা। কিন্তু বক্তব্যটা এরকমই ছিল। এবং তাতে দক্ষিণপন্থীরা হেবি খচে গিয়েছিলন। :)
  • Boo | 203.189.230.3 | ২২ জুলাই ২০০৯ ০৯:১৯415667
  • @ ঈশান, উল্টো উদাহরণ থাকলেই যে এদিকের উদহরণগুলো ভুল হয়ে যাবে তাতো বলা যায় না।

    মাইকেল মুর কখনো নিজের অ্যান্টাই কর্পোরেট-প্রো ইউনিয়ন/বন্দুক-যুদ্ধ বিরোধী/প্রো পাবলিক হেল্‌থকেয়ার স্ট্যান্স লুকানোর কোনো চেষ্টা করেন নি। রজার অ্যান্ড মি থেকেই তিনি রাখঢাক না করে (কখনো বা বেশ অতিরঞ্জিতভাবে :) ) বলে আসছেন। আর (ব্লু ডগ) মেইনস্ট্রিম ডেমোক্‌র্‌যাটরা মুরের মতো 'ফ্লেমিং লিবেরাল' দের দেখলে ব্যাপক লজ্জা/ক্রোধ অনুভব করেন। ওবামার ইলেকশনের আগে যাওবা ওনার ভ্যালু ছিল এখন তো ওঁকে উল্লেখ করতেই ভয় পায়।

    মাইকেল ক্রাইটন বেশ অন্যরকমভাবে 'নিরপেক্ষ-বৈজ্ঞানিক' মোড়কে (ফিকশন ও লেকচার) তার তত্ব হাজির করেছেন। নিজে রাজনীতি নিয়ে প্রকাশ্যে জড়ালেও ডানেদের বন্দুকে কার্তুজ জুগিয়েছেন তিনি অনেককাল ধরে। অ্যালার্মিস্ট/কনস্পিরেসি থিওরি কোটেশনের একটা বড় সোর্স তিনি । বেচারাদের আবার কোট করার মতো সোর্সের বড়ই অভাব, ক্রাইটন যেহেতু ডাক্তারি ডিগ্রিধারী অতএব ওজোন লেয়ার থেকে পোলার আইসক্যাপ মেল্টিং সবকিছুতেই উনি এক্সপার্ট এমনভাবেই ওনাকে উল্লেখ করা হয়।

    মোটা দাগে পরিবেশ নিয়ে যারা কথা বলে তারা লিবেরাল এলিটিস্ট (!) এবং বৈজ্ঞানিকভাবে প্রত্যাখ্যাত (?) বা আরো খারাপ হলে ইকো টেররিস্ট (!!!) এই হচ্ছে তেনাদের বক্তব্য।

  • dukhe | 122.160.114.84 | ২২ জুলাই ২০০৯ ০৯:৫৩415678
  • জুজুবুড়োদের কথায় কান দেন কেন ? সব জলা বুজিয়ে ফ্ল্যাট তুলে দিন । কাটা তেলে রান্না করুন । হাসপাতালে মাইক বাজান । বিড়ি খেতে খেতে নার্সারির ক্লাস নিন । কেউ ছিঁচকাঁদুনি জুড়লে তুলে আছাড় দিন । আমরা তো তাই করছি ।
  • Boo | 203.189.230.3 | ২২ জুলাই ২০০৯ ১০:১৩415689
  • হাইপোকন্ড্রিয়াকে বা অসুখ নিয়ে সর্বদা কেঁচো হয়ে থাকাকে নিউরোসিসের প্রথম ধাপ বলা যেতেই পারে। ডায়েটিং আর এক্সারসাইজকে বহু মানুষ উচ্চ পর্যায়ের বাতিকে উন্নীত করেছেন, অ্যানোরোক্সিয়া বোধহয় সবচেয়ে বড় উদাহরণ।

    কিন্তু প্রাণীদেহে কেমিক্যাল এজেন্টের (নিকোটিন-ক্যাফিন-পেস্টিসাইড-খাবারে কৃত্তিম রঙ-আর্সেনিক-গ্যাসোলিনে সিসে) প্রভাব নিয়ে চিন্তিত হওয়াকে, এ বিষয়ে সকল লেজিটিমেট কনসার্নকে এই একই ঘরে ফেলে দেয়াটা অত্যন্ত আপত্তিকর। বিশেষ করে যেখানে মোটের উপর নির্ভরযোগ্য বৈজ্ঞানিক ডেটা পাওয়া যাচ্ছে।

    ভানুয়াতু-মালদ্বীপ ডোবেনি, তার মানে কী গত বিশ-পঁচিশ বছরে সি লেভেল বাড়েনি? মেরু-পর্বতের বরফ গলেনি?

    অ্যাল গোর না হয় নোবেল পেয়েছেন, তিনি অর্থশালী মানুষ সেটাও জানি। কিন্তু পরিবেশ আন্দোলন করে খ্যাতি বা গ্রাসাচ্ছদনের মতো টাকা রোজগার করা যায় এটা কয়জন পরিবেশ কর্মীর জন্য সত্যি? গ্রিন পিস নাকি জাপানের তিমি শিকারী জাহাজ বহরের কাজে প্রায়ই গোলমাল করে (ইকো টেররিস্ট!) , ফরাসীরা যখন প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে পরমাণু বোম ফাটাতো তখন ব্যাপক বাধার চেষ্টা করেছিল। ফরাসীরা তো শেষে গুটিয়েই নিল তাদের কাজকর্ম। কিন্তু গ্রিন পিসের কর্মকান্ড কতটা শান্তি ধ্বংসী বলা যায়?

    হ্যাঁ জ্যান্ত প্রাণীর উপরে যেসব ল্যাবে পরীক্ষা চলে সেসব জায়গাতেও বাধা দেবার ঘটনা কম নয়। কিন্তু সামগ্রিক বিচারে ভায়োলেন্ট ক্রাইম বলতে যা বোঝায় তাতে এইসবের পরিমান, ইমপ্যাক্ট প্রশ্নযোগ্য।

    আসলে মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বা ত্‌ৎসৃষ্ট পণ্যসকল যে মানুষের স্বাস্থ্য বা পৃথিবী ও প্রকৃতির বুকে স্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে এই ধারণাটাই লিবার্টারিয়ান/নিওকনদের অসহ্য। প্রফিট সিকিং কোনো অ্যাক্টিভিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা ধর্মত্যাগের শামিল। অতএব খাটো করো বক্তাদের। সাদাকালো আর শুন্য-একে নামিয়ে আনো সব। হিসেব করো মগজ কতটা অলস হলে এসব শয়তানী থিওরি গজাতে পারে! :) :) :)

    গো অ্যাহেড ডিডি দা!
  • b | 203.199.255.110 | ২২ জুলাই ২০০৯ ১২:০৩415700
  • একটা প্রশ্ন ছিল: এ বিষয়ে মার্ক্সিস্টদের (মন্ত্রী নন, তাঙ্কিÄক) কি মত? প্রভাত পটনায়েকের মুখে শুনেছি এই সব সাস্টেইনেবিলিটি ইত্যাদি এক্কেবারে নন-ইস্যু। তবে সেটাও দশ বছর আগে। এখন কি স্ট্যান্ড জানতে ইচ্ছে করে।
  • r | 125.18.104.1 | ২২ জুলাই ২০০৯ ১২:৫৯415723
  • এই নিয়ে স্লেট ম্যাগাজিনে স্টিভ পিঙ্কার, মার্টিন সেলিগম্যান আর রবার্ট রাইটের আলোচনাও পড়তে পারেন:

    http://www.slate.com/id/2072079/entry/2072404/
  • rimi | 168.26.215.135 | ২৪ জুলাই ২০০৯ ২২:২৫415745
  • এত তঙ্কÄকথা শুনলে হাসি পায়। মানুষ যতদিন সম্ভব যত ভালোভাবে সম্ভব বাঁচতে চায়। এইটেই হল জুজুবাদের গোড়ার কথা।

    আগেকার দিনে যখন মিডিয়া ছিল না, খবরের কাগজ কিম্বা হু কিছুই ছিল না, তখনো কলেরা, বসন্ত কিম্বা ম্যালেরিয়ায় গ্রামকে গ্রাম উজাড় হয়ে যেত। কোনো গ্রামে কলেরা হয়েছে শুনলে মানুষ যা ভয় পেত তা আজকের সোয়ইন ফ্লুর ভয়ের থেকে বিশেষ কম নয়। আজকাল মানুষ ট্যামি ফ্লু কিম্বা ফ্লু ভ্যাকসিন নেয়, তখন লোকে নানারকম পূজোপাঠ করত কিম্বা বাড়ি ছেড়ে পালাত। আর এই জুজুবাদ নিয়ে ব্যবসাও চিরকাল ছিল। এখন মিডিয়া কিম্বা হু ফ্লু ভ্যাকসিন বেচে, আগেকার দিনে গণৎকার, পুরোহিত ইত্যাদিরা যাগ যজ্ঞ, পাথর ইত্যাদির নাম করে মানুষের থেকে টাকা নিত, কিম্বা ডাইনী সন্দেহে কারুকে পুড়িয়ে মারত, কিম্বা পাঠাবলি নরবলি দিত।

    মনুষ্যসমাজ যতদিন আছে, জুজুবাদ ততদিনই বেঁচে বর্তে থাকবে, এক এক যুগে জুজুবাদের চেহারা একেকরকম হবে হয়ত, এর বেশি কিছু নয়।
  • Du | 65.124.26.7 | ২৪ জুলাই ২০০৯ ২২:২৯415756
  • আরে খুব মানি জুজুবাদ। বিশেষত: খাওয়াদাওয়া নিয়ে মোটামুটি খবরের কাগজ , ম্যাগাজিন পড়া লোকেদের অ্যাটিচুড হয়ে গেছে আমেরিকার কাস্টম্‌স এর মত। সবেতেই এত সন্দেহ ! এই সন্দেহ শুরুতে থাকলে মানুষের প্রজাতি কবেই খতম হয়ে যেত।
  • dd | 122.167.42.0 | ২৪ জুলাই ২০০৯ ২২:৪০415767
  • ইইইইশ।
    লিখলে লিখলে সেই শুক্কুরবারে লিখলে ? বলি আছো ক্যামন ?

    না, আমার ল্যাখা টইয়ের নামকরন হলেও হতে পারতো : জুজুবাদ: অসীমান্ত বিবর্তন ও পরিবর্ত্তনশীল চাঁদমারী: নিউরোসিস ও শিকারমনষ্কতা: অতীত ও ভবিষ্যত: এক বহমান মেট্রোনম।

    তাহলে জমতো।
  • dd | 122.167.42.0 | ২৪ জুলাই ২০০৯ ২২:৪১415778
  • রিমিরে ল্যাখলাম
  • rimi | 168.26.215.135 | ২৪ জুলাই ২০০৯ ২২:৫৬415789
  • ডিডিদা, শুক্কুরবার ছাড়া আমার ল্যাখার সময়ই বা কোথায়? আমার অস্তিত্ব সর্বদাই সংকটাপন্ন, বেশির ভাগ সময় সেটা বাঁচাতেই ব্যস্ত থাগতে হয় :-))
  • dd | 122.167.13.209 | ২৫ জুলাই ২০০৯ ২২:৩১415800
  • বু সাহেব কি নেহাৎই বোজোদা? সত্যি? নাইলে কাটান দ্যান।

    ক্রাইটন সাহেব নিয়ে আমার মাথাব্যাথা নেই, খালি তারে জুজুবাদের জনাক বলে একটা ই®¾ট্রা দিয়েছিলাম মাত্র।

    তাও ও লিখি, ক্রাইটন কিন্তু গ্লোবাল ওয়ার্মিংকে উড়িয়ে দেন নি। যেটা বলেছিলেন
    (১) এর কারন অনুসন্ধান/সমীক্ষা নিয়ে যেটা চলছে সেটার মধ্যে যুক্তির অভাব
    (২) এই গেলো গেলোবাদীদের শ্রীল চিৎকারের বিরুদ্ধে।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ২৬ জুলাই ২০০৯ ১০:৪২415811
  • হ্যাঁ। এইটা নিয়ে কদিন ধরেই লিখব ভাবছি। হচ্ছেনা। আজ ছোটো করে লিখি।

    আল গোর। চেনা নাম। পরিবেশ রক্ষার লড়াইয়ে নেমে খুব হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন। একটি অস্কার জয়ী ফিলমও বানান, যার নাম "অ্যান ইনকনভিনিয়েন্ট ট্রুথ'। বিশ্বের উষ্ণায়নের বিপদ, ও প্রতিকার, এইসব নিয়ে। তা, সিনেমাটি খুব হৈচৈ ফেলে দেশে বিদেশে। ব্রিটিশ সরকার, ঠিক করে এটি ইশকুলে ইশকুলে দেখানো হবে, যাতে উষ্ণায়নের ভয়াবহ বিপদ সম্পর্কে কাচ্চাবাচ্চারা সতর্ক হয়। একজন (নাকি একাধিক) অভিভাবক এই জুজুবাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কোর্টে কেস কাছারি হয়। তারপর কোর্ট রায় দেয়, ফিল্ম দেখানো হচ্ছে হোক, কিন্তু এটি যে কেবল একদিকের মত, সেটা দেখানোর আগে বাচ্চাকাচ্চাদের ভালো করে বলে দিতে হবে। আর ফিলমে ৯ টি মারাত্মক "ভুল' আছে। সেটাও মেনশন করে দিতে হবে। কি কি ভুল? আর টাইপাতে পারছিনা। পেস্ট মেরে দিলাম:

    But the judge ruled that the "apocalyptic vision" presented in the film was politically partisan and thus not an impartial scientific analysis of climate change.

    It is, he ruled, a "political film".

    The nine alleged errors in the film

    1. Mr Gore claims that a sea-level rise of up to 20 feet would be caused by melting of either West Antarctica or Greenland "in the near future". The judge said: "This is distinctly alarmist and part of Mr Gore's "wake-up call". He agreed that if Greenland melted it would release this amount of water - "but only after, and over, millennia"."The Armageddon scenario he predicts, insofar as it suggests that sea level rises of seven metres might occur in the immediate future, is not in line with the scientific consensus."

    2. The film claims that low-lying inhabited Pacific atolls "are being inundated because of anthropogenic global warming" but the judge ruled there was no evidence of any evacuation having yet happened.

    3. The documentary speaks of global warming "shutting down the Ocean Conveyor" - the process by which the Gulf Stream is carried over the North Atlantic to western Europe. Citing the Intergovernmental Panel on Climate Change (IPCC), the judge said that it was "very unlikely" that the Ocean Conveyor, also known as the Meridional Overturning Circulation, would shut down in the future, though it might slow down.

    4. Mr Gore claims that two graphs, one plotting a rise in C02 and the other the rise in temperature over a period of 650,000 years, showed "an exact fit". The judge said that, although there was general scientific agreement that there was a connection, "the two graphs do not establish what Mr Gore asserts".

    5. Mr Gore says the disappearance of snow on Mt Kilimanjaro was directly attributable to global warming, but the judge ruled that it scientists have not established that the recession of snow on Mt Kilimanjaro is primarily attributable to human-induced climate change.

    6. The film contends that the drying up of Lake Chad is a prime example of a catastrophic result of global warming but the judge said there was insufficient evidence, and that "it is apparently considered to be far more likely to result from other factors, such as population increase and over-grazing, and regional climate variability."

    7. Mr Gore blames Hurricane Katrina and the consequent devastation in New Orleans on global warming, but the judge ruled there was "insufficient evidence to show that".

    8. Mr Gore cites a scientific study that shows, for the first time, that polar bears were being found after drowning from "swimming long distances - up to 60 miles - to find the ice" The judge said: "The only scientific study that either side before me can find is one which indicates that four polar bears have recently been found drowned because of a storm."That was not to say there might not in future be drowning-related deaths of bears if the trend of regression of pack ice continued - "but it plainly does not support Mr Gore's description".

    9. Mr Gore said that coral reefs all over the world were being bleached because of global warming and other factors. Again citing the IPCC, the judge agreed that, if temperatures were to rise by 1-3 degrees centigrade, there would be increased coral bleaching and mortality, unless the coral could adapt. However, he ruled that separating the impacts of stresses due to climate change from other stresses, such as over-fishing, and pollution was difficult.


    http://www.telegraph.co.uk/earth/earthnews/3310137/Al-Gores-nine-Inconvenient-Untruths.html
  • a x | 75.53.196.106 | ২৬ জুলাই ২০০৯ ১১:১৯415819
  • http://mediamatters.org/print/research/200710170001

    Media ignore British judge's conclusion that An Inconvenient Truth is "substantially founded upon scientific research and fact"
    October 16, 2007 8:16 pm ET

    Reporting on a recent ruling by a British judge about the documentary An Inconvenient Truth (Paramount Classics, May 2006), featuring former Vice President Al Gore, numerous media outlets -- including the Chicago Tribune, the Los Angeles Times, The New York Times, The Washington Post, the Boston Globe, CNN, and Fox News -- routinely reported that the judge found that the film contained nine "errors" without mentioning that he also stated in the ruling that the film is "substantially founded upon scientific research and fact." The judge also said he had "no doubt" that the defendant's expert was "right when he says that: 'Al Gore's presentation of the causes and likely effects of climate change in the film was broadly accurate.' "

    On the October 15 edition of Fox News' Fox & Friends, co-host Brian Kilmeade claimed there was a "British study that said [there were] nine major flaws in Al Gore's theory." In fact, the High Court ruling was not a "study," and the ruling did not find any "major flaws in Al Gore's theory" that humans have significantly contributed to global warming. In addition to Kilmeade's claim, numerous media outlets reported that the judge found nine errors in the film but ignored the judge's finding that An Inconvenient Truth is "broadly accurate" and "substantially founded upon scientific research and fact."


    :-)
  • Ishan | 173.26.17.106 | ২৬ জুলাই ২০০৯ ১১:৪৯415821
  • আরে গ্লোবাল ওয়ার্মিং গুল তো নয়। ঐ নটা পয়েন্ট হল বাড়াবাড়ি। ঐটাই জুজুবাদ। )
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন