এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আধুনিক কবিতা আর আম জনতা

    shyamal
    অন্যান্য | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ১৭৬০৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • shyamal | 24.117.233.39 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৬:২৮421668
  • কবিতার ব্যাপারে আমি বেশ পুরোনোপন্থী। মিল ছাড়া কবিতা পড়তে আমার মোটেই ভাল লাগেনা। যদিও অমিত্রাক্ষর কবিতা কিছু নতুন জিনিষ নয়। কবিতা বলতেই মনে হয় তার ছন্দ, যতি, মিল থাকতে হবে। মিল না থাকলে মনে রাখব কেমন করে?

    যেমন ,
    কুমোর পাড়ার গরুর গাড়ী
    বোঝাই করা কলসী হাঁড়ি
    গাড়ি চালায় বংশীবদন
    সঙ্গে যে যায়, ভাগ্নে মদন

    সেই বাল্যকালে পড়া কবিতা আজও মনে আছে তার কারণ ছন্দ আর মিল মনে গেঁথে গেছে। রবি ঠাকুর যদি লিখতেন,
    কুমোর পাড়ার গরুর গাড়ি
    কলসী হাঁড়ি দিয়ে ভর্তি
    বংশীবদন গাড়ির গাড়োয়ান আর
    সঙ্গে তার ভাগ্নে মদন যাচ্ছে

    আমি হলফ করে বলতে পারি আমি কেন আপনাদেরও মনে থাকতনা।

    মোটামুটি গল্প, প্রবন্ধ বা উপন্যাস পড়লেই বলতে পারি হ্যাঁ এটা ছোটগল্প বা এটা উপন্যাস বা এটা রম্যরচনা। কিন্তু আধুনিক কবিতাতে হোঁচট খাই কেন?
    এরকম কবিতাতে তো কোন অসুবিধা হয় না :
    এ কথা জানিতে তুমি ভারত ঈশ্বর সাজাহান
    কালস্রোতে ভেসে যায়, জীবন যৌবন ধন মান

    কিংবা

    আমি মানিনাকো কোন আইন
    আমি ভরাতরী করি ভরাডুবি
    আমি টর্পেডো আমি ভীম ভাসমান মাইন

    আমি হল বলরাম স্কন্ধে
    উপাড়ি ফেলিব কঠিন বিশ্ব
    অবহেলে নব সৃষ্টির মহানন্দে

    বেশ ছন্দ, যতি, মিল আছে আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, মানে পরিষ্কার বোঝা যায়। তার জন্য মানে বই বা কনসালট্যান্ট লাগেনা।

    সেখানে হঠাৎ আধুনিক কবিতা বলে একটি জিনিষ হাজির হল, যা দুর্বোধ্য। এতে অবশ্যই একটা আইন ভাঙার গর্ব আছে। যেমন আপনি ""সবুজ"" বিশেষণটি লাগাতে পারেন এমন কোন বিশেষ্যে যার রং হয়। যেমন সবুজ ঘাস। কিন্তু আধুনিক কবি এসে লাগালেন, সবুজ দু:খ। এতে হয়তো কিছু মানুষের কাছে বাহবা পেলেন, কিন্তু আম জনতার কাছে পৌঁছাতে পারলেন কি? আমরা পাতি পাবলিকরা মাথা চুলকোতে চুলকোতে বললাম, যা: শালা, দু:খ আবার সবুজ হল কি করে? এর মানে কি? কবির কি মনে হয়েছে?
    অনেক ক্ষেত্রে এই ফর্ম নিয়ে খেলা বা প্রচলিত নিয়ম ভাঙাই কবিতার মূল উদ্দেশ্য হয়ে ওঠে। অর্থ কি হল সে নিয়ে বোধ হয় কেউ মাথা ঘামায় না।
    আর কেউ যদি কবিতায় সাধারণ গল্প বলে, যেমন
    পঞ্চনদীর তীরে
    বেণী পাকাইয়া শিরে
    দেখিতে দেখিতে গুরুর মন্ত্রে জাগিয়া উঠিল শিখ
    নির্মম, নির্ভীক ।
    তবে তো লোকে একদম হ্যাটা দেবে। এ বাবা, দেখেছিস, সব বোঝা যাচ্ছে আর এ তো গল্প!

    অনেক কবিতা পড়ে মনে হয় যেন ঠারে লেখা। অর্থাৎ কবি হয়তো তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় কিছু জানেন যা পাঠকের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। যেমন ধরুন কবির ছোটপিসি জীবদ্দশায় কি মিষ্টি খেতে ভাল বাসতেন ইত্যাদি। তা সেই নিয়ে কি তাঁর কবিতা লেখা উচিৎ বা লিখলেও পাবলিশ করা উচিৎ? কবিতা কি একধরণের উপজাতীয় কাল্টের মধ্যে থাকবে এ জন্য লেখা? না আম জনতার জন্য?

    এটা কি আধুনিক কবির চাতুর্য নাকি অক্ষমতা যে তিনি সহজ ভাষায় কথা বলতে পারেন না? মিল দিতে পারেন না?

    আপনাদের কি মনে হয়? আমার মত কি কেউ আছেন যিনি আধুনিক কবিতা-চ্যালেঞ্জড?
  • sibu | 71.106.234.63 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:১০421779
  • শ্যামলবাবুর করা প্রশ্নটি আমার বেশ পছন্দ হল। আমাদের এখানে অনেকেই কবিতা লেখেন। মনে হয় অনেক উত্তর পাওয়া যাবে।

    তো আমি শ্যামলকে যদি প্রশ্নগুলি একটু পরিষ্কার করতে বলি তাহলে বোধহয় কারো আপত্তি হবে না। আমি যদি ঠিক বুঝে থাকি, শ্যামলের আপত্তিগুলো এই রকম।

    ১। মিল না থাকলে সে লেখা ঠিক কবিতা হয়ে ওঠে না।
    ২। উপাখ্যানমূলক কবিতাকে কবিতা বলে না ধরাটা ঠিক নয়।
    ৩। অত্যন্ত ব্যক্তিগত রেফারেন্স, যা না জানলে রসগ্রহনের অসুবিধা হয়, তা কবিতায় ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
    ৪। আধুনিক কবিতা বলে একটি গোত্রের কবিতা উপরোক্ত তিনটি দোষে দোষী। যারা ঐ গোত্রের লেখক তারা কি নিজেদের অক্ষমতার জন্যই এরকম লেখেন?

    মিল বলতে শ্যামল কি অন্ত্যমিল (লাইনের শেষে মিল) বুঝিয়েছেন? মনে হয় না। কেন না অন্ত্যমিল ছাড়া রচনাকে যদি আমরা কবিতা না বলি তো অনেক সংস্কৃত কাব্যই (যার মধ্যে মেঘদূত পড়বে) কবিতার লিস্টি থেকে বাদ পড়ে যাবে। তার মানে মিল সম্বন্ধে শ্যামলের কোন একটা ধারনা আছে, যেটা ওঁর পোস্ট থেকে খুব স্পষ্ট হচ্ছে না। উনি কি মিল সম্বন্ধে ওনার ধারনা একটু স্পষ্ট করবেন?

    উপাখ্যানমূলক লেখাকে কবিতার লিস্টি থেকে বাদ দেবার ইচ্ছে আমার কখনো হয় নি। আমার পরিচিত লেখকদের অনেকেই জয় গোস্বামীর লেখা পছন্দ করেন। বেনীমাধব কিন্তু আখ্যানমূলক কবিতা। তাহলে কি শ্যামল অন্য কিছু বলতে চেয়েছেন, যেটা আমি বুঝে উঠতে পারছি না?

    একান্ত ব্যক্তিগত রেফারেন্স, যা না জানা থাকলে কবিতার রসগ্রহনে অসুবিধা হয়, তা কবিতায় না দেওয়াই উচিৎ। আমার জানা মতে স্বার্থক কবিরা এমনটি করেন না। আমি যদি ভুল জেনে থাকি, দয়া করে শুধরে দেবেন। তবে 'সবুজ দু:খ' কিন্তু এই ক্যাটিগরিতে পড়বে না। কালেকটিভ সাবকনশাস ইত্যাদি তর্কে না ঢুকে, খুব সহজ করে এই সবুজ দু:খের ব্যাপারটা বলা যায়। দু:খ ইত্যাদি অনুভবকে বোঝাতে ভিস্যুয়াল কিউ বহু সংস্কৃতিতেই ব্যবহার হয়। ইংরাজীতে যতদূর মনে পড়ছে, দু:খের রং নীল। কাজেই কবি সবুজ দু:খ বলে একেবারে প্রথা ভেঙ্গে কিছু করেন নি। বাকীটা কনটেকস্ট না জেনে বলা যাবে না।

    আম জনতা কবিতা বোঝেনা, কবিদের এ দু:খ পুরাতন। ভতৃহরির সেই কথাটা - বিপুলা পৃথিবী, নিরবধি কাল, তারি মাঝে কোনো ধারে / মম সহমত যোগ্য সাথী তো মিলিলে মিলিতে পারে। ডিডিদা হয়তো মূল সংস্কৃত বলতে পারবেন।
  • sibu | 71.106.234.63 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:২৩421887
  • পোচ্চুর বুনাম্ভুল করেছি, মাপ করবেন।
  • ana | 131.95.30.233 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:২৯421898
  • হয়ে্‌তা জন্মিতে পারে মম সমতুল/অসীম সময় আছে বসুধা বিপুল।
    :-)
  • shyamal | 24.117.233.39 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:৪০421909
  • মিল বলতে আমি অন্ত্যমিলই বলেছি। যদিও আপনার কথা ঠিক যে অনেক সংস্কৃত কাব্যে বোধ হয় মিল নেই। কিন্তু আমি বাংলা ও ইংরেজিতে যা কবিতা পড়েছি তার অধিকাংশই মিত্রাক্ষর।
    রবীন্দ্রনাথও শেষ বয়সে কিছু কবিতা লিখেছেন মিল না দিয়ে। এগুলো অবশ্য বুঝতে কোন অসুবিধা হয়না। কিন্তু ঐ কবিতা যদি আমি অন্যভাবে ফর্ম্যাট করি, অর্থাৎ প্রতি লাইনে যেখানে ৫/৬ টি শব্দ আছে সে জায়গায় ১৫/১৬টি রাখি তবে সেটাকে গল্প না কবিতা কি বলব ?
    কোনটা গল্প আর কোনটা কবিতা? তিনসঙ্গীতে (বোধ হয়, ঠিক মনে নেই) যে ছোট ছোট আখ্যানগুলো আছে, সেগুলো গল্প না কবিতা?

    আমার মূল গ্রাইপ হল, অধিকাংশ আধুনিক কবিতার অর্থ বোঝা যায় না। কেন আধুনিক গল্প , উপন্যাস বোঝা যায় অথচ কবিতা দুরুহ?
  • Ishan | 173.26.17.106 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:৪৬421920
  • আমি আলপনার মানে বুঝিনা। রাগসঙ্গীতের আপালের মানে বুঝিনা। বইয়ের প্রচ্ছদের মানে বুঝিনা। এমনকি পুরোনো কবিতারও মানে বুঝিনা। যথা: জন্মিলে মরিতে হবে/অমর্কে কোথা কবে/চিরস্থির কবে নীর/হায় রে জীবন নদে -- এর প্রথম দু লাইন দিব্বি বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু তার পরের দু লাইন? একদম না। কোথায় জীবন, কোথায় জল আর কোথায় নদী। কোনো কানেকশনই নেই।

    তাইলে আধুনিক কবিতা আর কি দোষ করল।
  • d | 117.195.35.165 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:৫৪421931
  • শ্যামল,
    ঠিক কত সাল থেকে লেখা কবিতাকে আপনি "আধুনিক' বলে ধরছেন?
  • sibu | 71.106.234.63 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:৫৭421942
  • ঐ রকম সাধারনভাবে আধুনিক কবিতা দুর্বোধ্য বলে দেগে দিলে একটু মুশকিল হয়ে যায়। কথা হল আধুনিক কবিতা বলতে কি বুঝি। সেটা কি কোনো সময়কালে লেখা কবিতা? তাহলে সেটা কোন সময়? যদি তা না হয়, তো কিভাবে আধুনিক কবিতার সংজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে?
  • b | 117.193.44.97 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:২২421953
  • ""উৎপস্যতে মম তু কো'হপি সমানোধর্মা/ কালোহ্যয়ং নিরবধির্বিপুলা চ পৃথ্বী''

    আমি তো মশায় কবিতার কোন মানেই বুঝি না। পোঙা পাকা ছোঁড়া পাখির গান শুনে ( এবং কে জানে কি খেয়ে) লিখে ফেলল tender is the night। এখন ডিডি-দার পাঁটা নরম হতে পারে, কিম্বা নিদেন বৌ এর গাল,কিন্তু তাই বলে একেবারে নরম রাত্তির? কোনো মানে হয়? আবার নাকি তার কবিতায় আছে:

    "একাকী" শব্দটি হঠাৎ/ বেজে উঠলো ঘন্টার মত।

    ল্লে প:। কিসু বোঝা যায়? ভেবে দেখুন, শিব মন্দিরে গেছেন জল চড়াতে, ঘণ্টা নাড়লেন, হঠাৎ তার থেকে একাকী একাকী বলে শব্দ বেরুতে লাগলো।

    আমি শ্যামলের সাথে একমত। কবিদের কথা শুনবেন না। কবিতা যত কম পড়া যায় ততই ভালো। আধুনিক তো নয়-ই। ভুসুকুপাদকেও আমি সন্দেহের চোখে দেখি।

  • d | 117.195.35.165 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:২৮421669
  • "ভুসুকপাদ' নামটা কেরম অসব্যমত।
  • b | 117.193.44.97 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:৩১421680
  • হোআট অ্যাবাউট কুক্কুরীপাদ?
  • sibu | 71.106.234.63 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:৩৬421691
  • না, না, 'ভ'-কে দু'ঘর এগিয়ে দিলে তবে অসব্য হবে। এখন ঠিক আছে।
  • d | 117.195.35.165 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:৪৯421702
  • আচ্ছা একটু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার নোপানুপি করব? করি?

    আমি যে কজন "বাজার' এর ভক্ত দেখেছি, তারা সব্বাই কি অজ্ঞাত কারণে "আধুনিক কবিতা'র প্রতি বিরক্ত। এবং তারা সবাই "আধুনিক কবিতা'র সংজ্ঞা দিতে বললেই ঐ "যা বোঝা যায় না' বলেন। ইদিকে আমি তো অতি প্রাচীন হোমার , কালিদাস এঁদের লেখাও কিস্যু বুঝি না কেউ ব্যাখ্যা না করে দিলে। এঁরা মনে হয় ঐগুলো টপাটপ বুঝে যান।

    যাই হোক "বাজার ও আধুনিক কবিতার দূর্বোধ্যতা' নিয়ে কেউ একটু আলোকপাত করবেন?
  • kd | 59.93.245.102 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:৫৮421713
  • শুরুতেই ডিসক্লেমার, আমি কবিতা চ্যালেঞ্জড। কিন্তু তাতে কী যায় আসে, আমার দু'কান কাটা।

    ঠিক মতো লেখা কবিতায় যে রিদ্‌ম আছে তাই আমাদের মনে রাখতে সাহায্য করে। অন্ত্যমিল ঐ রিদ্‌ম আনাটা সোজা করে দেয়। অন্ত্যমিল না থাকলেও যে কবিতায় রিদ্‌ম আছে তা আমাদের মনে থাকে। আমার মতো গবেটেরও মনে আছে 'সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা, আঁধারে মলিন হ'লো যেন খাপে ঢাকা বাঁক তলোয়ার' ঐ রিদ্‌মের জন্যে, অন্ত্যমিল না থাকলেও।

    আবার অনেক সময় এই একই কারণে অনেক গদ্যরচনাও পড়ে কবিতা পড়ছি মনে হয়। উদাহরণস্বরূপ, ইন্দোর রিসেন্ট লেখার বেশ কয়েকটি সেক্‌শান।

    বাজে বকলুম হয়তো। তা যাক্‌, আমার মত মুক্‌খুরা আছে বলেই তো পন্ডিতেরা পন্ডিত।
  • arjo | 24.42.203.194 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:১৬421724
  • কেন এই যে আমি? বাজারের ভক্ত কিনা বলা মুশকিল কিন্তু মান্যিগণ্যি করি, আমি কিন্তু কবতে ভালোবাসি। পিথিমিতে দুই ধরণের কবতে হয় - এক, ভালো কবতে যেমন ফরিদার পদ্য, দুই, বাজে পদ্য যেমন আমার আধুনিক কবতে। বুইলেন কিনা?
  • kanti | 125.20.11.34 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১২:০৪421735
  • কোথাও কোন পাঠ না নিয়েও মনে হয় কোনটা কোবতে আর কোনটা নয় তা কেমন কোরে যেন বুঝতে পারি।এবং গুচ্ছের অন্তমিল দিয়েও গুচ্ছ গুচ্ছ কোবতের দাবীদার ল্যাখা কিস্‌সুই হয় নাই এটাও বুঝতে পারি।তার জন্য পন্ডিত হওয়া লাগে না। আর কবিতায় মাত্রা নামক একটা ব্যাপার থাকে,যেটা সরল গদ্যে থাকেনা।দাড়ি দাদুর একটা কবিতা নিয়ে একটা মজা করা যাক।পৃথিবী। এখানে কোন অন্ত-মিল নাই।কিন্তু অবশ্যই ভিতরে ভিতরে নিখুত মাত্রার খেলা আছে।লাইন গুলোর মাঝে মাঝে কিছু লাগসই শব্দ ঢুকিয়ে দিয়ে পড়ুন ,হোচট কেতে বাধ্য। কারন ওটা একটি নিখুত কবিতা।আধুনিক কিনা জানিনা।
  • vikram | 212.129.85.122 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৮:০১421746
  • একজনও কিন্তু শ্যামলবাবুর প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না।
  • ranjan roy | 122.168.243.219 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৮:০৬421757
  • "" সুর্য ব্যাটা বুর্জোয়া যে
    দুর্যোধনের ভাই।
    গর্জনে তার তুর্য বাজে
    তর্জনে ভয় পাই''।
    এতে অন্ত্যমিল আছে, মাত্রা ঠিক আছে। প্রত্যেকটা শব্দ আলাদা করে মানে বোঝা যাচ্ছে, তাছাড়া বেশ একটা দুলকি চাল, ছন্দ আছে। সহজেই মনে ধরে, মনে থাকে।
    কিন্তু কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী "" কবিতার ক্লাস'' বইতে ওপরের চৌপদীটিকে কবিতা মানতে নারাজ।
    আমিও তাই ভাবি। কেন? সব মিলে দাঁড়াল কি?
    আসলে কবিতা সৃষ্টি হবে পাঠকের মনে, কবিতা শেষ হলে পরে।
    তো ওপরেরটা কি দাঁড়াল? all sounds and fury, signifying nothing!
    একটি গন্ধহীন বাতকর্মের মত।
    বা ধরুন, ""হটাৎ কি খেয়ালে,
    মুতে দিলাম দেয়ালে''।
    এতে মাত্রা,ছন্দ, অন্ত্যমিল সবাই আছেন। শুধু আসেন নি কবিতা দেবী।
    এইবার শ্যামল চটেউঠে বলতেই পারেন--- ""রঞ্জনদা, আমি সিরিয়াসলি কবিতা নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছি। দুটো এক্সট্রীম ছ্যাবলা উদাহরণ আর ইয়ার্কি শুনতে নয়। নিজের বয়সের খেয়াল রাখবেন।
    বেশতো, আপনিই বলুন না, কবিতা কিসে কবিতা হয়?
    ছন্দ-অন্ত্যমিল-মাত্রা নয়? তা কি সেই কুইন্টেসেনি্‌শয়াল ফিচার যা কবিতা কে কবিতা করে তোলে? "ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি'র মত কবিতার সৌন্দর্য্যকে ফুটিয়ে তোলে?
    ভাই, সত্যি কথা বলি? আমি নিজেই জানিনে।
    তবু যেমন কাবলিদা বলছেন যে ইন্দো-ডাক্তারের গদ্যরচনা পড়লে কখনও কখনও মনে হয় কবিতা পড়ছি।
    একদম ঠিক। গদ্য ও কবিতা পরস্পরের সীমারেখা অতিক্রম করে যেতেই পারে।
    তাহলে কি সেই সামান্যলক্ষণ যা ইন্দোর গদ্যেয় আছে, রবিঠাকুরের কবিতায়, এমনকি গদ্য কবিতায় আছে?
    ধরুন, আর এন টি স্যারের বহুপঠিত "" বাঁশি'' কবিতাটি আর ""প্রশ্ন'' কবিতাটি।
    দ্বিতীয়টি নি:সন্দেহে কবিতা-- শ্যামলের শর্ত মেনেও।
    কিন্তু প্রথমটি? "" কিনু গোয়ালার গলি''?
    দুটো স্ট্যান্‌জা জুড়ে খালি খবরের কাগজের রিপোর্টাজের মত বর্ণনা। না আছে ছন্দ, না আছে মিল, অন্ত্যমিল তো ছেড়েই দিলাম।
    তবু সবাই বলে ওটা কবিতা, এবং ভালো কবিতা। কিন্তু শ্যামলের কোন শর্ত মানছে না এটি। হ্যাঁ, খালি আখ্যান আছে।
    তাহলে? কোন যায়গায় গিয়ে এটি কবিতা হয়ে উঠলো?
    আমি জানিনে, শুধু নিজের অনুভূতিকে সম্বল করে কিছু বলতে পারি।
    প্রথম বর্ণনামূলক স্ট্যান্‌জাগুলো আসলে সেতারের তার বাঁধার মত, প্রস্তুতিপর্ব, পার্স্পেকটিভ, টেক্সচার তৈরি করছে।
    এই কবিতাটি এবং অসংখ্য ভালো কবিতা বোঝার জন্যে নয়, বাজার জন্যে, বেজে ওঠবার জন্যে। কখন বাজলো?
    প্রথম, "" হঠাৎ খবর পাই মনে,
    আকবর বাদশার সনে হরিপদ কেরাণীর কোন ভেদ নেই। বাঁশির সুরের সাথে ছেঁড়াছাতা রাজছত্র মিলে , চলে গেছে বৈকুন্ঠের দিকে।''
    তারপর শেষ স্ট্যান্‌জায় বেজে ওঠে সেই আনন্দভৈরবী।
    ""ঘরেতে এলোনা সেতো, মনে তার নিত্য আসা যাওয়া,
    ধলেশ্বরী নদীতীরে যেআছে অপেক্ষা করে
    পরণে ঢাকাইশাড়ি, কপালে সিঁদুর।।''
    অর্থাৎ এখানে কবিতা জন্ম নিলো পাঠকের মনে , ধীরে ধীরে, ঠিক যে ভাবে মানব শিশু ভ্রুণ থেকে বেড়ে ওঠে , জন্ম নেয়।
    (চলবে)
  • ranjan roy | 122.168.243.219 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৮:২৫421768
  • কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই গেলো। কেন একটা পদ্য মাত্রা-ছন্দ-মিল সত্তেও কবিতা পদবাচ্য হবে না আর একটা মাত্রা-ছন্দ-মিল বর্জিত প্রায় গদ্য রচনা -- তাকে কবিতা বলে মানতে হবে? গায়ের জোরে বা গলার জোরে?
    আমার মতে কবিতা কবির নিজস্ব অনুভূতির বা দর্শনের এক আশ্চর্য জেনেরালাইজেশন। অনেকটা জিপ-ফাইল তৈরির মত।
    চারপাশের চলমান জীবন থেকে কবি তৈরি করেন তার নিজস্ব দর্শন। এইবার সেটাকে কমিউনিকেট করতে চান বৃহত্তর মানবগোষ্ঠীর কাছে। তার জন্যে ঐ জীবন থেকেই তুলে নেন কিছু প্রতীক, ইমেজ, রূপকল্প। সেগুলি দিয়ে তৈরি করেন এমন শব্দবন্ধ বা বাক্যবন্ধ যে সেগুলি দৈনন্দিন ঘষামাজা অর্থের বাইরে কোন বৃহত্তর অর্থের , অন্য জগতের কথা বলে। আটপৌরে প্রাত্যহিক জীবনের থেকে তোলা শব্দ যখন লম্বা লাফ দেয়, পাঠককে ভাবাতে চায়, পৌঁছে দিতে চায় অন্য এক জগতে তখন তা কবিতা হয়।নইলে আটপৌরে পদ্য, হিন্দিজগতে বলে তুক্‌বন্দী।
    আরেকটা ছ্যাবলা উদাহরণ দিয়ে কথাটা স্পষ্ট করি।
    সত্তরের দশকে দু'ভাই রাস্তায় বেড়াচ্ছে। তখন রোজ রাস্তাঘাটে মানুষ মরছে, গোলাগুলি-বোমাবাজি চলছে।
    ওদের সামনে দিয়ে একটি পুলিস ভ্যান চলে গেল। এক ভাই বল্লো-- মামুর গাড়ি অসছে তেড়ে, একটি পেটো দেবো ছুঁড়ে। কালোগাড়ি উল্টে যাবে, পুলিশ্‌গুলো মরে যাবে।
    অন্য ভাই বল্লো- এটা কবিতা হয় নি। নেহাৎ রোজকার কোলকাতার একটা সময়ের বর্ণনা হয়েছে।
    এটা কবিতা হবে এমনি করে---

    "" মামুর গাড়ি আসছে তেড়ে,
    একটি পেটো দেবো ছুঁড়ে।
    কালোগাড়ি উল্টে যাবে,
    বাপের বিয়ে দেখতে পাবে।''
    ওর বক্তব্য হল পুলিশ তো গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট হয়েও মরতে পারে। কিন্তু আমি বলতে চাইছি এক অসম্ভবকে সম্ভব করা বিদ্রোহের কাহিনী। তাই "" বাপের বিয়ে দেখতে পাবে''র মত এক অসম্ভব উদাহরণ।
    (চলবে)

  • shyamal | 24.117.233.39 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:১০421780
  • অনেকে অনেক কথা লিখেছেন। একে একে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
    ঈশানকে,
    চির স্থির কবে নীর হায় রে জীবন নদে

    খুব ভালই বোঝা যাচ্ছে। এখানে রূপকের ব্যবহার হয়েছে। জন্মালে যেমন মরতেই হবে, জীবন যেন একটি রাস্তা, তা দিয়ে আপনার হাঁটতেই হবে। আপনি চুপ করে বসে থাকলেও আপনার দাড়ি গজাবে, তারপর পাকবে তারপর আপনি পটাস করে মরে যাবেন। সেরকম জীবনের সঙ্গে নদীর তুলনা করা হয়েছে যেখানে জলও থেমে থাকেনা। জীবনেরই মত আজ যেই জল আছে হরিদ্বারে, তিন দিন বাদে সেই জল কলকাতা হয়ে সমুদ্রে মেশে। আমি কিন্তু অলংকারের (ফিগার অফ স্পীচ) বিরোধী নই একেবারেই। উপমা আর রূপক সবচেয়ে সুন্দর অলংকার , এটা তো সবাই জানেন। এখানে রূপক ব্যবহার হয়েছে।

    কিন্তু তারও কতগুলো নিয়ম আছে। আপনি জীবনের সঙ্গে নদীর তুলনা করতে পারেন। দুটো ই বয়ে যায়। কিন্তু জীবনের সঙ্গে যদি ধরুন আলুর চপের তুলনা করেন সেটা কি ঠিক হবে? দুটোতে কোন মিল আছে?

    মোটামুটি তিরিশের দশক থেকে কিছু কবি দুর্বোধ্য কবিতা লিখতে শুরু করলেন। সেই আধুনিক কবিতাই আমার সমস্যা।

    আমার মতে কবিতা হোক বা অন্য যে কোন লেখাই হোক না কেন, তার অর্থ সম্পুর্ণ বোঝা যেতে হবে। অধুনিক কবিদের কবিতা পড়লে মনে হয় যেন বুঝছি কিন্তু পুরো নয়, ধোঁয়া ধোঁয়া থাকছে। সেটা আমার কাছে অসার্থক রচনা।

    যেমন ধরুন,
    হাজার বছর ধরে পথ হাঁটিতেছি : কেউ ১২০ বছরের বেশী বাঁচেনা। উনি কি করে হাজার বছর বাঁচলেন? নাকি উনি জন্মান্তরে বিশ্বাস করেন ও হয়তো গত পনের জন্মের টোটাল বয়সের কথা বলছেন? নাকি এটা শুধুই exaggeration?

    মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য, চুল তার অন্ধকার বিদিশার নিশা : অতিশয় সুন্দর উপমা। রবীন্দ্রনাথও লিখেছেন,
    নীরব নিশি তব চরণ নিছায়ে , আঁধার কেশভার দিয়েছে বিছায়ে । অন্ধকারের সঙ্গে কালো চুলের তুলনা বোঝার কোন অসুবিধা নেই।
    পাখীর নীড়ের মত চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন : এটা কেমন উপমা হল? আপনি পাখীর বাসা দেখেছেন? অতি কদর্য। শুধু বাবুইয়ের বাসা বেশ সুন্দর কিন্তু তার সঙ্গে কেউ মানবীর চোখের তুলনা করবে না। তাহলে?
    লোকে বলে তোর হাতের লেখা তো নয়, কাকের বাসা। তাই এটা বাজে উপমা।
    সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন সন্ধ্যা আসে : শিশির যেমন নি:শব্দে ঝরে তেমনি সন্ধ্যা আসে নি:শব্দে। এখানে সন্ধ্যা বলতে জীবনের সন্ধ্যাও হতে পারে। বহু কবি শৈশব, যৌবনকে সকাল আর বার্ধক্যকে সন্ধ্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন। যেমন,
    কেন মোর গানের ভেলায় এলেনা প্রভাত বেলায় , হলেনা সুখের সাথী , জীবনের প্রথম দোলায়।
    ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল : চিল কোত্থেকে এল? আর আজ অবধি আমি রোদের কোন গন্ধ পাইনি। রোদ হচ্ছে রূপগন্ধহীন ফোটনের স্রোত।

    নীরার অসুখ : http://tinyurl.com/qn49n2

    নীরার অসুখ হলে কলকাতায় সবাই বড় দু:খে থাকে : ধুর মশাই। আপনার প্রেমিকার অসুখ করেছে তা আমি জানবই বা কেমন করে আর আমার অনেক নিজের সমস্যা আছে। নীরাকে নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। এর পরে উনি আরো অনেক কিছু লিখেছেন। কেন একে ভাল কবিতা বা সার্থক কবিতা বলব?

    যেন কোনদিন : http://tinyurl.com/q5pm63

    মনে হয় বোঝা যাচ্ছে । কিন্তু যাচ্ছে না।
    যেন কেউ কোনদিন তার মুখ রেখে দিয়ে আসেনি কখনো গাঢ়তল ভূবনের গহন শীলায় : এর মানে কি ??? পাথরে মুখ রেখে আসা ? সেটা কি বস্তু?

    ব্যাপার হল, আমি যদি কোন কবিতায় সব লাইন বুঝতে পারি শুধু একটি লাইন বাদে, তবে সেটাকে আমি সাহিত্য বলবনা। কবি যদি তাঁর পেটের ভেতরে অর্থ রেখে দেন, তবে সেটা কবিতা নয়। শুধু শুনতে ভাল লাগছে , কিন্তু বুঝছিনা, এটা যথেষ্ট নয়।

    মুশকিল হল আমরা সবাই কোন কোন সেল্ফ-ডিসেপশনে ভুগি। ঐ কবি নোবেল পেয়েছে আর লক্ষ লক্ষ লোক ওনার বই কেনে। তবে যদি আমার ভাল না লাগে তবে সেটা আমারই দোষ। কাজেই জোর করে ভাল লাগাতেই হবে। এই লজিক কি ঠিক? এটা কি অসততা নয়?
    আপনি যদি শিবরাম বা ঘনাদা পড়ে আনন্দ পান, তাতে কোন অসততা নেই। কিন্তু কবিতার ব্যাপারে মনে হয় একটা হিপক্রিসি আছে।

    কেডিদার উদাহরণে নিশ্চয় দেখেছেন উৎপ্রেক্ষার অসাধারণ প্রয়োগ।
    রঞ্জনদা মোটামুটি বলেছেন কবিতার কোন ডেফিনিশন নেই। ওটা অনুভুতির জিনিষ, বোঝার নয়। আমার ক্ষুদ্রবুদ্ধিতে যা বুঝিনা তা অনুভব করা সম্ভব নয়।
  • sibu | 71.106.234.63 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:১৯421791
  • রঞ্জনবাবু পড়িয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু শ্যামল ক্লাস পালিয়েছেন। গুরুকে প্রণিপাত আর পরিপ্রশ্ন (রেলেভ্যান্ট কোশ্চেন) দিয়ে সেবা করতে হয়। অন্য ছাত্তরেরা লাস্ট বেঞ্চে বসে কাটাকুটি খেলছে। তো আমিই একটা পরিপ্রশ্ন করি।

    অবন ঠাকুরের কোন একটা লেখায় ('ভারতশিল্পে ষড়ঙ্গ' কি? কবে যে এইসব লেখাগুলো গুগল বুকসে আসবে, উইথ এ কনভিনিয়েন্ট সার্চ ইন্টারফেস!) পড়েছিলাম, সংস্কৃত এস্থেটিকসে বলে - 'বাক্যং রসাত্মকং কাব্যম্‌' - রসাত্মক বাক্যই কাব্য। রস হল মনের ইমোশনাল স্টেট। ঐ লেখাটাতে বলা ছিল আদি, দাস্য, রৌদ্র, অদ্ভুত ইত্যাদি ইত্যাদি ন'টি রস। অর্থাৎ যে বাক্য মনে রসের উদ্রেক করে তাই কাব্য। ছন্দে অঙ্কের বই কাব্য নয়, কেন না অঙ্কের বই পড়ে মনে রসের উদ্রেক হয় না। আর চিত্রকলা কাব্য নয়, কেন না চিত্রের মাধ্যম বাক্য নয়। তখনকার দিনে এই যথেষ্ট ছিল, কেননা ক্রিয়েটিভ রাইটিং-এর মূলত: দুটি মাত্র ফর্ম ছিল - কাব্য আর দৃশ্যকাব্য (নাটক)। সংস্কৃত নাটক অভিনয়ের জন্য লেখা হত ('ব্লু বার্ড' বা 'রক্তকরবী'-র ধারনা ছিল না)। তাই ঐ মাধ্যমের প্রশ্নেই কাব্য আর দৃশ্যকাব্য আলাদা হয়ে যেত।

    তা এখন ব্যাপারটা আর তত সরল নেই, কেন না গল্প, উপন্যাস ইত্যাদি সব ফর্মই বাক্যনির্ভর, এবং সকলেই মনে রসের উদ্রেক করে। হয়তো মাত্র ন'টি রসও আর যথেষ্ট নয়, কিন্তু সে প্রশ্ন এখন করতে চাই না। কথা হল, কি দিয়ে কবিতাকে ক্রিয়েটিভ রাইটিং-এর অন্য ফর্মগুলি থেকে আলাদা করা যাবে?
  • sibu | 71.106.234.63 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:২০421802
  • উপ্‌প্‌স্‌, শ্যামল ক্লাস পালাননি! অ্যাপোলজিস।
  • tkn | 122.162.42.23 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:৩৫421813
  • প্রবল কানমলা খাওয়ার সম্ভাবনা সঙ্কেÄও এক লাইন :-))

    'কবিতা কি' জানতে গিয়ে চলছে গলা সাধা,
    সে যে চমকে বেড়ায় দৃষ্টি এড়ায় যায় না তারে বাঁধা-

    (কিন্তু পড়ছি, মন দিয়ে পড়ছি..)
  • Bratin | 117.194.96.177 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২০:২১421824
  • শ্যামল দা একটা খুব ভালো প্রশ্ন তুলেছেন।আধুনিক কবিতা এবং তার সম্পর্কে সাধরন মানুষের অবস্থান। আমি লোকের কথা জানি না। নিজের কথা বলতে পারি বাংলা সাহিত্যে র অনেকের লেখা ই আমি চেটেপুটে পড়েছি। অঙ্কের হিসাবে বলতে গেলে ৭৫%+ বলা যেতে পারে। এবং পাঠক হিসাবে আমি মোটমুটি voracious বলা যেতে পারে। নীরস প্রবন্ধ, বিদঘুটে বিষয়ের ওপরে লেখা নিবন্ধ কিংবা রম্য- রচনা কিছু ই বা দি না।

    তবে এই কবিতা ব্যাপার টাতে আমি খুব একটা সুবিধা করতে পারি নি।অনেক বার চেষ্টা করা সত্তেও। অনেক ভেবে চিন্তে আমি নিজের কারন গুলো তে উপনীত হয়েছি

    ১। প্রতেক বিষয়ের মতো কবিতা একটা নিজস্ব ভাষা আছে। সেটা আমার বোঝার বাইরে।

    ২।আধুনিক কবিতা মানেই দূর্বোধ্য হতে হবে; মানে একটা কবিতা পড়ে যদি আমি ,তুমি ,যধু,মধু সবাই বুঝতে পারে তাহলে হয়ত 'কবিতা' হিসাবে সেটা কৌলীন্য হারাবে।

    ৩।শিবু দা র ৩ number point: এমন কিছু কি কবিতায় লেখা হচ্ছে যেটা কবির একেবারে ব্যক্তিগত অনুভূতি;সাধারন মানুষের সেই উপলব্ধি অসম্ভব।

    এখানে অনেক এ চমৎকার কবিতা লেখেন। যদি এই ব্যাপার গুলো তে আলোকিত করেন তাহলে বিষয় টা জানতে পারি।
  • G | 136.142.104.70 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:২৩421835
  • একটা খটকা।
    শিবু, আপনি বলছেন কবিতা পাঠকের মনে তৈরী হয়। কারো মনে "একাকী" শব্দটি ঘন্টার মত বাজলো, কারো বাজলো না।
    তা'লে, কোনট কবিতা হোল আর কোনটা হোল না সেইটা পুরোপুরি ব্যক্তিনির্ভর হওয়া উচিত।
    কিন্তু আমরা কি কোয়ালিফাই করি যে বনলতা সেন ইশানের কছে কবিতা অর শ্যামলের কাছে অ-কবিতা হয়ে উঠেছে? আমরা তো শুনেছি যে বনলতা সেন একটি কবিতা।
    ওদিকে, অমরা কি বলি যে প্রাইম নাম্বার বিষয়ে ইউক্লিডের প্রমাণটি একটি কবিতা? যদিও, অংকে কেউ কেউ রস পেতেই পারেন - যদিও শিবু হয়তো পান না।
    অতএব, ব্যাক টু স্কোয়্যার ওয়ান - কোনটা কবিতা হিসেবে "রসোত্তীর্ণ" হোল আর কোনটা রসের পাঁচিল ডিঙোতে পারলো না সেই "সর্বসম্মত' ডিসিশনটি কে নেন?
    কোন কাল্ট?
    মুশকিলটা এই যে তাতে "উলঙ্গ-রাজা" প্রবলেমটা থেকেই যেতে পারে।
    অবশ্যই, এই "কবিতা-কী" প্রশ্নটা আর্টের অন্যান্য শাখাতেও রেলিভান্ট। কিন্তু, অন্তত আমার ইস্যু এই যে কোনটা কবিতা অর কোনটা না এ ব্যাপারে কনভেনশনাল উইজ্‌ডমের সঙ্গে নিজের মত না মিললে আঁতেলসমাজে মুখ দেখানো যাচ্ছে না - আর লোকজন "প্রো-মার্কেট" বলে গাল পাড়ছে।

  • kanti | 125.20.11.34 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:৩৩421846
  • আবার এক সাবেকী জনতার মুখ চুলকে উঠল। বুঝতে পারছি না, দুনিয়ায় এত না বোঝা বিষয় নিয়েও আমরা বিস্তর জনতা দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছি।কোন হীনমন্যতায় ভুগছিনা।সেখানে কবিতার প্রতি কোন ভালবাসা না নিয়ে শ্যামল বাবুকে কেন কবিতা বুঝতেই হবে?আর একটা কথা। রন্‌জন বাবু কবিতার ক্লাস নিচ্ছেন,আমাদের অনেক বোধের জন্ম হোচ্ছে। বেশ ভালো।কিন্তু বাঘা বাঘা কোটেশন গুলো দেবার সময় একটু মূলের সংগে মিলিয়ে নিলে ভাল হয় না?
  • ranjan roy | 122.168.232.253 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:৪৬421857
  • মাঝে তিন নম্বর কিস্তিটি শিফ্‌ট- কী তে হাত পড়ে উড়ে যাওয়ায় একঘন্টা ঘুমিয়ে নিলাম।
    আসলে আগের বক্তব্যটার সার্কিট পুরো হয় নি।
    আরেকটু এগিয়ে যাই।
    কবিতার এবং যেকোন শিল্পমাধ্যমের কাজ হল পাঠক বা দর্শককে বিন্দুতে-সিন্ধু-দর্শন করানো।
    তাই সার্থক কবিতায় সাধারণ আটপৌরে শব্দগুলো এমন একটা কম্বিনেশন নেয় যে তা বাঁধাগতের মানেবইয়ের মানের বাইরে ঝাঁপ দেয়, দিয়ে আমাদের অন্যজগতে নিয়ে যায়।
    ধরুন, সিনেমার মন্তাজ।""মন্তাজ''এ কিছু আলাদা শটস্‌ পর পর ফ্রেমে এসে এমন একটা অনুভূতি দেয় যা আলাদা করে ওই শটস্‌ গুলোতে নেই, কিন্তু কোন তৃতীয় অর্থ বা অনুভূতি তৈরি হল।
    এটা কবিতা, গান, চিত্রকলা --সবার জন্যেই সত্যি। শুধু টুলস্‌ গুলো আলাদা। কবিতার টুলস্‌ হল শব্দ। তাই কিছু বাক্যবন্ধ বা শব্দবন্ধ লাফ দেয় মানেবইয়ের বাইরে। আমাদের অভিজ্ঞতার বাইরে। অর্থাৎ আমাদের নতুন অনুভবের জগতে নিয়ে যেতে চায়। তাতে সাড়া দেব কি দেব না-- তা আমার নিজস্ব মানসিক প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করে।
    কিন্তু আমার পুরনো অনুভবের সঙ্গে মিলছে না বলে কি উড়িয়ে দেব? অনেকে বহুদিন বিশ্বাস করতেন না যে চাঁদে মানুষ গেছে।
    অন্য শিল্পমাধ্যমের সঙ্গে প্রতিতুলনায় আমার বক্তব্য কিছুটা স্পষ্ট হবে।
    যেমন আমার সেতারি বন্ধুর মা বেগম আখতারের গান শুনে বল্লেন-- বড্ড ব্যাটাছেলে মার্কা গলা।
    বন্ধুটি রেগে গিয়ে বল্লো--- তোমাদের গলার মডেল হল হেমন্ত আর লতা। চিনিগোলা মিঠে জোয়ারি। আরে, লতা আর বেগম আখতারের দুই প্রান্তের মাঝে অন্তত: ১০৮ রকমের গলার জোয়ারি হতে পারে সেটা জানো? হুঁ:, ব্যাটাছেলের মত! আরে উনি যখন গান-"" অ্যায় মুহব্বৎ, তেরি অন্‌জাম পে রোনা আয়া''-- মনে হয় না যেন প্রেমকে ঘাড় ধরে আমাদের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন?:))))
    তেমনি কবিতার প্রকারভেদ
    আছে, বর্গভেদ আছে। শ্যামল শুধু ছোটবেলা থেকে পরিচিত একটি জাতক কেই স্ট্যান্ডার্ড ধরে নিয়ে অন্যদের অ-কবিতা বলছেন। কি আর করা যাবে? ভিন্নরুচির্‌হি লোকা:।
    আমার মেয়েরা রবীন্দ্রসংগীত শুনলে উঠে পালায়। ওদের অসম্ভব প্যানপেনে আর একঘেয়ে লাগে। আবার আমার "বন জোভি'' র গান নর্তনকোঁদন ছাড়া কিছু মনে হয় না।
    অনেক গজলের ভক্তরাও বিলম্বিত খেয়াল বা ধ্রুপদ-ধামার শুনে রস পান না।
    রোজ ট্রেনে আমার কিছু বন্ধু মগ্ন হয়ে তাস খেলে। আমি কিচ্ছু বুঝিনে, তাই রস পাইনে। ওদের আনন্দের ভাগ নিতে পারিনে। কাজেই গভীরে রস আস্বাদন করতে গেলে কিছুটা ইনিসিয়েশন দরকার মনে হয়। দাবাখেলায় মগ্ন খেলুড়েদের পাশে রসিকদের নি:শব্দ ভীড় খেয়াল করেছেন শ্যামল? একটা ঘুঁটি কেউ এখান থেকে ওখানে রাখল, আর সমঝদার দের চোখেমুখে বিদ্যুৎ খেলে গেল।
    এইখানেই অধিকারীভেদের প্রশ্ন। আমাকে সব কিছু জানতে হবে, বুঝতে হবে এমন মাথার দিব্যি কে দিয়েছে? কিন্তু আমার অনুভূতির বাইরে কোন কিছুর অস্তিত্বকে অস্বীকার করবো তা কি হয়? মনে হয় ঈশান এমনি কিছু বলতে চাইছিল।
    এতে লজ্জার কিছু নেই।
    আমি কিউবিজম বুঝি না, তাই বলে পিকাসোকে নস্যাৎ করে দেব?
    আমার মেয়ে চিত্রকলায় প্রথাগত শিক্ষা নিয়েছে।
    তার মা শখের ছবি আঁকে। মেয়ে বলে মা ""কনসেপ্ট অফ মিনিমালিজম্‌'' অর্থাৎ যতটুকু না দেখালে নয় ততটুকু আঁকায় বিশ্বাস করে না। অনেক বেশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে চিত্রপটকে ভারাক্রান্ত করে, অযথা।
    শিবু রসাত্মক বাক্যের কথা তুলেছেন।
    এ নিয়ে বুদ্ধদেব বসু একটা লেখায় বলেছিলেন ---কোনটা রসাত্মক বাক্য তার ধারণা বদলাচ্ছে। যেমন কালিদাসের উদাহরণ হল "" শুষ্কং কাষ্ঠং তিষ্ঠতি অগ্রে'' রসাত্মক নয়, কিন্তু "" নীরস তরুবর পুরত ভাগে'' রসাত্মক বাক্য।
    বুদ্ধদেব বলছেন আধুনিক কবি কিন্তু "" নীরস তরুবর''কে খারিজ করে "" শুষ্কং কাষ্ঠং'' কেই রসাত্মক বাক্য বলবেন। কারণ ওতেই শুকনো কাঠের কাঠামো ফুটে উঠেছে, মিত্তিমিত্তি ""নীরস তরুবর''এ নয়।
    তেমনি শ্যামল তিরিশের দশকের পরে বদলে যাওয়া জীবন, জটিল জীবন, মহাযুদ্ধের কালোছায়া, ভেঙ্গে যাওয়া পুরনো মূল্যবোধ ---এসবের ফলে কবিতার বদলানো ফর্মকে স্বীকার করতে চাইছেন না।
    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মান কবি-নাট্যকার বার্তোল্ট ব্রেখট মনে করছিলেন সেসময়ের নতুন জটিল বাস্তবতাকে ধরতে কিউবিজম অনেক কাজের ফর্ম, ট্র্যাডিশনাল ফর্ম ঠিক পেরে উঠছে না। কিন্তু রাশিয়ার সংস্কৃতির ঠিকেদাররা কিউবিজমকে প্রতিক্রিয়াশীল মনে করতেন।
    আরে, বহমান গতিশীল জীবনকে ধরতে শিল্পমাধ্যম ও তার আঙ্গিক বদলাবে, কখনও জটিল হবে। নইলে নতুন রিয়ালিটিকে ধরবে কেমন করে? পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে, ব্যর্থ হবে। অনেক ভাট কবিতা লেখা হবে, পুরন্দর ভাটেরা শিরোপা পাবেন। তবু কিছু লেখা অব্যর্থ হবে।
    সব কবিতা সব সময় প্রথম পাঠেই ধরা দেবে না। অনেক মনোযোগ দিয়ে ধৈর্য্য ধরে দ্বিতীয় -তৃতীয় পাঠের পর কবিতা সুন্দরী ধরা দেবেন। ঠিক ক্ল্যাসিক্যাল গানের মত।আপনি বলতেই পারেন - ফোট বে! আমার অত সময় নেই।
    তা সে আপনার ব্যাপার। আমীর খাঁ সায়েব বা ডাগর বন্ধুদেরও ফোট্‌-বে করা যায়।
    তবে শিল্পীদেরও স্বাধীনতা আছে ওরা কোন ক্যাটেগরির পাঠক-দর্শক-শ্রোতার জন্য রচনা করবেন, আর কাকেই বা বলবেন ফোট্‌বে!
    তাতে রাগ করলে চলবে না।

  • ranjan roy | 122.168.232.253 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:৫৬421868
  • কান্তি,
    আমি লজ্জিত, এ'জিনিস আমার হাতে আগেও ঘটেছে।
    কিন্তু আমার অবস্থাটা বুঝুন।বাংলাভাষার কো-অর্ডিনেটে ধরলে আমি বনবাসে আছি। হাতের কাছে বই নেই। আর টইয়ে ইন্সট্যান্ট লিখতে হচ্ছে।
    সম্পূর্ণ ছোটবেলার স্মৃতিনির্ভর। কাজেই আপনারা যদি তৎক্ষণাৎ ভুল শুধরে দেন তো বাধিত হব।
    আর এটা কি বলছেন! আমি ক্লাস নিচ্ছি? না, না-মশাই। আসলে আমিএই সুযোগে আড্ডার সুবাদে আমার নিজস্ব ধারণা গুলো একবার য্‌হালাই করে নিচ্ছি, সবার সঙ্গে। আর নিজের ধারণা বদলাতেও রাজি আছি।
    শ্যামল ও Gকে,
    কবিতার মাপকাঠি অবশ্যই সাবজেক্টিভ। ভাল কবিতার ধারণা যুগে যুগে বদলায়। বস্তুত: যে কোন শিল্পমাধ্যমেরই।
    দেখুন না, একযুগে টেনিসনকে খুব সম্মান দিয়ে রাজকবি করা হল। (শ্যামলের নিশ্চয়ই ভাল লাগে)। আজ টেনিসনকে বি-গ্রেড ধরা হয়। বলা হয় জীবনে একটিবার উনি জেনুইন দু:খ পেয়েছিলেন-প্রিয় বন্ধু জলে ডুবে মারা যাওয়ায়। ফলে একটিই সার্থক কবিতা লিখেছিলেন-- ইন মেমোরিয়াম।
  • Arpan | 122.252.231.12 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:৫৭421879
  • ১। রৌদ্রের গন্ধ। রৌদ্রের গন্ধ।

    শ্যামল, একবার দৃষ্টিশ্রবণশক্তিরহিত কাউকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন সে রৌদ্রের কোন গন্ধ পায় কিনা। কীভাবে বোঝে সে রাত বা দিনের ফারাক। বা ঊষাকাল। ভাবুন (ইচ্ছে হলে)।

    ২। পাখির বাসা। দেখতে বাজে। তো?

    পিকাসোর এই ছবিটি দেখুন। সাথের লেখাটিও পড়ার অনুরোধ রইল।


    http://www2.english.uiuc.edu/finnegan/English_300/Cubism.htm
  • Ishan | 173.26.17.106 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:০৩421888
  • শ্যামলবাবুকে ছোটো করে।

    এক। "পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন' । এতে না বোঝার কিছু নেই। পাখির নীড় টা এখানে চোখের বিশেষণ নয়। বনলতা সেনের চোখ তুলে তাকানোর যে অনুভব, সেইটা নিড়ে ফেরা পাখির অনুভূতির সঙ্গে মেলে। গপ্পো দিচ্ছি না। আগের লাইনগুলো মিলিয়ে পড়ুন। তাকে অন্ধকারে কেমন দেখেছি? না "অতি দূর সমুদ্রের পর হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা, সবুজ ঘারের দেশ যখন সে চোখে দেখে, দারুচিনি দ্বীপের ভিতর'। সেইরকম। পুরো কবিতাটাতেই এই ঘরে ফেরার গপ্পো জড়িয়ে আছে ইত্যাদি।

    দুই। নীরার অসুখ। নীরার অসুখ হলে কলকাতার সব্বাই দু:খে থাকে? মোটেও না। ওরকম কবির মনে হয়। সবকিছু বিবর্ণ লাগে। এটা সেই অনুভূতির কথা। এক্ষুনি সুমনের একটা গানের কথা মনে পড়ছে, যাতে ঠিক উল্টো কথা আছে। "তুই হেসে উঠলেই সূর্য লজ্জা পায়, আলোর মুকুটখানা তোকেই পরাতে চায়'। এসব কি সত্যিই হয়? ধুর। কবির জাস্ট এরকম মনে হয়। কে না জানে মনে হওয়াটা ডাহা মিথ্যে। কিন্তু তাতে কি? সত্যি কথা জানতে গেলে ফিজিক্স পড়ুন। কবিতা কেন? :)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন