এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আধুনিক কবিতা আর আম জনতা

    shyamal
    অন্যান্য | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ১৭৬০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Somnath | 117.194.192.177 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:৫৭421726
  • আমি বরং শ্যামল বাবুকে একটা অনুশীলনী দিই। দুদিন সময় নিন। খুব সোজা।

    একটা কবিতা দিই। আপাত দুর্বোধ্য মনে হতে পারে। নিশ্চিত থাকুন, মোটামুটি পষ্ট মানে আছে। মানে বই লিখেছেন জয় গোস্বামী। আপনাকে লিংক দিয়ে দোবো। অরিন্দম চক্রবর্তী ও কিছু লিখেছেন। আমি ও হেল্প করতে পারি। ঠিক অক্ষম লেখা নয়, সুনীল গাংগুলী ভদ্রলোককে তো আপনি খানিক মান্যতা দিয়েই থাকেন বোধয়। তাছাড়াও বহু কবি ও সমালোচকও দিয়ে থাকেন।

    তো, এই কবিতাটা পড়ে, দুদিন সময় নিয়ে খুব মন দিয়ে ভেবে, আপনার কি মনে হয়, কি মানে বুঝলেন, একটু লিখবেন? এই কবিতাটায় এমনকি খুব নির্মম ছন্দও আছে, একদম নিক্তি মাপা, সেও বুঝিয়ে দেওয়া যাবে খনে। যদি আপনি পার্টিসিপেট করেন। অন্যেরাও ওয়েলকাম।

    আত্মা
    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রতিটি ট্রেনের সাথে আমার চতুর্থভাগ আত্মা ছুটে যায়
    প্রতিটি আত্মার সাথে আমার নিজস্ব ট্রেন অসময় নিয়ে
    খেলা করে।
    আলোর দোকানে আমি হাজার হাজার বাতি সাজিয়ে রেখেছি
    নষ্ট-আলো-সঞ্জীবনী শিক্ষা করে আমার চঞ্চল
    অহমিকা।
    জাদুঘরে অসংখ্য ঘড়িতে আমি অসংখ্য সময় লিখে রাখি
    নারীর উরুর কাছে আমার পিঁপড়ে দূত ঘোরে ফেরে
    আমার ইঙ্গিতে তারা চুম্বনের আগে
    কেঁপে ওঠে।
    এইরূপ কর্মব্যস্ত জীবনের ভিতরে-বাইরে ডুবে থেকে
    বিকেলের অমসৃণ বাতাসে হঠাৎ আমি দেখি
    আমার আত্মার একটা কুচো টুকরো
    আজও কোনো কাজ পায়নি।
  • arjo | 168.26.215.13 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:০২421727
  • এইসব না সোমনাথ যদি আমার গোল কবিতাটার মানে করতে পারে তো বুঝি। এসব তো মানে বইতেই পাওয়া যায়। :)
  • Somnath | 117.194.192.177 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:১৬421728
  • কৌশিক,

    হ্যাঁ আমি মনে করি করি কবিতা লেখার চেষ্টা করার আগে ছন্দ জিনিসটা জানা উচিত। খুব কঠিন কিছু নয়, নীরেন চক্কোত্তি "কবিতার ক্লাস' নামে একদম সহজপাচ্য বই লিখেছেন। ৩৫-৪০ টাকা দাম। কিনে নিয়ে পড়ে ফ্যালো। দু চারটে লিখে হাত পাকিয়ে নাও। হ্যাঁ এরপর তুমি ছন্দে লিখবে কিনা সেটা তোমার চয়েস। কিন্তু ব্যকরণ বিন্দুমাত্র না জেনে যেমন কোনো ভাষাতেই কিছু লেখা যায় না, এও তেমনই একেবারে প্রিলিমিনারি লেসন।

    এবার গল্প উপন্যাস লেখা যেমন শুধু বাক্যরচনা নয়, আর বাক্যরচনাও যেমন শুধু গ্রামার নয়, আরো অনেক কিছু, তেমনই কবিতাও শুধুমাত্র ছন্দ নয়। এখন যাঁরা বাংলা গদ্য লেখেন বা ধরো হিন্দি গান, বা শায়রি, তাদের অনেক বাক্যই ব্যকরণ মেনে দেখতে গেলে ডাহা কালাপাহাড়ী। কিন্তু তারা জেনে বুঝে নিয়মের আর্গল ভাঙছেন। তাদের সাথে যেমন ক্লাস ফাইভ সিক্সের কোনো বাচ্চার লেখা আলুথালু বাক্যরচনার তুলনা করা যায় না, তেমনি, ছন্দ কারে কয় বিন্দুমাত্র না জেনে বুঝে পড়ে হান্ডুল পান্ডুল যা খুশি লেখালেখি আমি প্রবল সম্মান দিয়ে পড়তে পারি না। দূ:খিত। একবারও বলছি না কিন্তু প্রথাগত ছন্দের বই না পড়লে ছন্দ কি জানা হয় না। এখানেই অনেকেই লেখেন যাঁদের প্রখর কান, দারুণ ছন্দ বোঝেন, হয়ত প্রথামাফিক ডেফিনিশন দিতে পারবেন না। কিন্তু বড় বড় ছান্দসিকের কান কেটে নিতে পারেন। তো, সেইটেও একটা প্রস্তুতি পর্ব, একটা যোগ্যতা অর্জন। "আমি কি দারুন একটা কবিতা লিখলুম" বলে গদগদ হয়ে পড়ার আগে এইটে শিখে নেওয়া জরুরী। আমার মনে হয়।
  • a x | 143.111.22.23 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:২০421729
  • "চলতে চলতে হঠাৎ লোরকা নেরুদার হাতে টান মেরে বলে উঠলেন দেখ, দেখ ঐ দূরের বাড়ির জানলা দেখতে পাচ্ছ? দেখে মনে হচ্ছেনা ওটা কোরপাটেলিক?
    নেরুদার বিব্রত প্রশ্ন,
    -কোরপাটেলিক? সেটার মানে?
    লোরকার স্বচ্ছন্দ উত্তর,
    -আমিও কি এর মানে জানি নাকি? তবে এর মানেটা যে কি আর কি নয় সেটা সকলেরই জানা উচিত। না হলে, আমাদেরই ক্ষতি। দেখ দেখ ঐ কুকুরটার দিকে তাকিয়ে দেখ। ওটা নিশ্চয়ই কোরপাটেলিক।"
  • arjo | 168.26.215.13 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:৫৯421730
  • এটা কি ইল পোস্টিনো? কেমন যেন চেনা চেনা লাগল অথচ বুইতে পারলাম না।
  • rimi | 168.26.215.135 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:০৫421731
  • ইল পোস্তিনো তে আবার লোরকা কোত্থেকে এলেন?
  • arjo | 168.26.215.13 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:০৮421732
  • আমি তো ওটাকে লোকটা পড়ে চলেছি। এখনো। যাক।
  • arjo | 168.26.215.13 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:১৯421733
  • কিন্তু সোমনাথ আমার গোল কবিতার মানে না লিখেই পালাল। এটা মোটে ঠিক নয়। নাহয় কোন মানে বই নেই, ছন্দ নেই তাবলে মানেও নেই?
  • a x | 143.111.22.23 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৩৩421734
  • ওটা সত্যি তো, গল্প হলেও :-)
    পড়েছিলাম পূর্ণেন্দু পত্রীর "কবিতার ঘর ও বাহির" তে।
  • ranjan roy | 122.168.251.50 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৫২421736
  • অ্যাই ডিডি,
    নাকতলা স্কুলের অনিলস্যারের -ব্যোমকেশস্যারের ছাত্র হয়ে আর এন টি স্যারকে নিয়ে খিল্লি?
    ওই লাইনটা "" ভরা পালে চলে যায়, কোন দিকে নাহি চায়'' হবে।
    সত্যি কথা ""কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা'' নিয়ে কথা হতেই পারে। এমন ছোট ক্ষেতে কত ধান হয় যে কাটতে কাটতে বর্ষা এসে যায়?
    এইখানেই লাইনটি মনোযোগ দাবী করিতেছে।
    রবীন্দ্রনাথ তো বোকা-হাবা ন'ন। তাহলে এ নিশ্চয়ই অন্য কোন ধানকাটা, অন্য কোন বরষা। এইবারে পাঠকের মনে কবিতার পাঠ শুরু হল।
    শৌভকে ধন্যবাদ।
    এই কথাগুলো বলা খুব দরকার ছিল যে ওই সময়টায় শুধু বাংলা কবিতা নয় সারা বিশ্বেই নতুন বাস্তবতাকে ধরার প্রয়াসে ফর্ম ভাঙ্গা বা নতুন ফর্ম খোঁজার চেষ্টা হচ্ছিল।
    ফিউচারিজম, ডাডাইজম, সুর- রিয়েলিজম বা এক্সপ্রেসনিজম, কিউবিজম এগুলো তৎকালীন চিত্রকলা, কবিতা, নাটক সবগুলোকেই প্রভাবিত করেছে। এখানে সেসবের আলোচনা সম্ভবও নয়, দরকারও নেই।
    কিন্তু শ্যামল সুন্দর উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন যে কবিতার চিত্রকল্প, উপমা এগুলোকে রিলেট করতে হলে কিছু অধ্যয়ন বা তজ্জনিত পূর্বধারণা আবশ্যক।
    এটাই তো বলতে চাইছি।
    আর আধুনিক কবিতা, চিত্রকলা, নাটক অনেক বেশি মনোযোগ দাবি করে( যে কোন ভাষাতেই)।
    আর পছন্দ হওয়া-না-হওয়া নেহাৎ ব্যক্তিগত রুচির প্রশ্ন।
    অজ্জিতের রূপংকরের গান " ও চাঁদ , তুই আমার কেষ্টপুরের কৃষ্ণকলি'' বাজে লেগেছে। আমার ব্যাপক লেগেছে। হয়তো আমার রুচি কিঞ্চিৎ ছ্যাবলা বলে।
    তবে তেকোনা ( খুব ভালো কবিতা লেখে, ছন্দের হাত একেবারে সাধা, সোমনাথও মানবে:)) যে কথাটা বলেছে-- কবিতা ব্যাপক জনসমাজের কাছে দুর্বোধ্য, পাঠক কম, আর এল সি এম যে বলেছেন কবিতা মার্জিনালাইজড- এগুলো উড়িয়েদেবার মত নয়।
    এ নিয়ে কথা ওঠায় আমার এক বন্ধু বল্লো-- ভালো জিনিসের সর্বদাই মাস অ্যাপীল কম। যেমন শাস্ত্রীয় সংগীত, শাস্ত্রীয় নৃত্য। এদিকে রাখী সাবন্তের কোমর দোলানো বা পপ গানের জনপ্রিয়তা দেখুন।
    আমি বল্লাম-- কিন্তু চার্লি চ্যাপলিন? একই সঙ্গে আম ও খাস্‌, দুই ধরণের জনতা কেই তৃপ্ত করেন নি কি?
    --- দ্যাখ, শেক্‌স্‌পীয়র ও চ্যাপলিন এরা হলেন ব্যতিক্রম। সাধারণ নিয়ম হল--
    "" গোরস গলিগলি ফিরে, মুদা বৈঠ্‌কে বিকায়''।
    কিন্তু শ্যামল, ভালো লেখা সবসময় দুটো স্তরে কমিউনিকেট করে। আম এবং খাস।
    ওই ""সোনার তরী'' কবিতাটায় যে চমৎকার ছবি আঁকা হয়েছে তার ""খাস'' বা গুঢ়ার্থ দেখুন, আর এন টি স্যার নিজে কি বলেছেন। ছোটবেলায় মনে হয়েছিলো-- যা বাব্বা! এইসব কথা কবিতাটার মধ্যে কোথায় আছে।
    পরে বুঝলাম-- আছে, আছে, Zআনতি পারো না।
  • I | 59.93.200.165 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৮421737
  • Durante medio siglo
    La poesía fue
    l paraíso del tonto solemne.
    Hasta que vine yo
    Y me instalé con mi montaña rusa.
    Suban, si les parece.
    Claro que yo no respondo si bajan
    Echando sangre por boca y narices


    (বঙ্গানুবাদ)
    ডুরন্তে
    মেদিও সিগ্লো
    অ পোএসঅ উএ
    ল পরসো দেল তোন্তো
    সোলেম্নে। অস্ত
    উএ ইনে য়ো

    Y মে
    ইন্‌স্‌তল
    ওন
    মি
    মোন্তঅ
    রুস।
    উবন, সি লেস পরেএ।
    লরো উএ য়ো নো রেস্পোন্দো সি বজন
    চন্দো সঙ্গ্রে পোর বোঅ য় নরিএস

    এটি একটি দৃশ্যকবিতা। নিকানোর পাররা রচিত। রচনাকালে অদৃশ্য ছিল; আমি একে জামাতামা দিলাম। এর ভাইটাল স্ট্যাট লক্ষ্য করুন বন্ধুরা। ভাত খেয়েছে, এখন আঁচিয়ে আর জামাকাপড় পরে এ মাতিসের কাছে যাবে পেন্সিল কাটা অভ্যেস করতে। দুষ্টুমি করবে না, কেননা, মাতিস-গৃহিণী বলে দিয়েছেন, স্টুডিওতে আর ন্যুড মেয়েছেলে ঢোকানো চলবে না।
  • ranjan roy | 122.168.251.50 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:০০421738
  • রবাহুত,
    "" শিভাস রিগাল একটি ফোঁটাও দিলনা কবির কাকু''"(((:।
    আমার কাকুও আমাকে দেয়নি, যদিও আমি কবি নই।
    পুরো কবিতাটা তিনবার পড়লাম। কিন্তু হাসি শুরু প্রথম পাঠেই।
  • ranjan roy | 122.168.251.50 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:১৮421739
  • সোমনাথকে ধন্যবাদ। আমাদের সময়ে পাঠ সংকলনে সুকান্ত-নজরুলের চেয়ে আধুনিক কোন কবি পাঠ্য ছিল না।
    অমিয় চক্রবর্তীর "" গাছ'' কবিতাটা আগে পড়ি নি। তোমার সৌজন্যে পড়লাম। তিনবার।
    প্রথম বার হোঁচট খেলাম। দ্বিতীয়বার ঠিকঠাক ছন্দযতি মেনে পড়লাম। তৃতীয়বারে হাওয়া-আলো-প্রাণরসের থেকে স্বতন্ত্র এই গাছ যে নিজেকে নেপথ্যে লো-প্রোফাইল করেও সর্বব্যাপী-সর্বগামী তার ছবিটা ফুটে উঠলো। আমি যেন এক নারীকে দেখলাম যে সংসারে নিজেকে নেপথ্যে রেখেও----।
    তিন সংখ্যাটায় কোন ম্যাজিক আছে। ত্রিনেত্র, ট্রিনিটি, ত্রিনয়ন, ত্রিনাথ, তিনবার পাঠ।
  • bitoshok | 128.101.220.108 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:৫৯421740
  • সতেরো বছর পর, অমিয় চক্রবর্তী-র কবিতাটা পড়লাম। সোমনাথ কে ধন্যবাদ।

    পরীক্ষায় এই কবিতাটা কেউ ছুঁতো না, মনে আছে।
  • Arpan | 122.252.231.12 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:০১421741
  • ৯২ মাধ্যমিক? কী আশ্চর্য। আমার ব্যাচের কেউ কেউ আছে তালে।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:০৬421742
  • এই 'গাছ' কবিতাটার নাম জানতাম। তবে এই প্রথম পড়লাম। ;-)
    (যদিও আমার ৯৩ উ: মা:)
  • arjo | 168.26.215.13 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:১০421743
  • আর আমাকে দেখ, দেখে শেখ, গাছ নামক কবিতাটি আমি পড়েছিলাম। কোন একটি কেলাসের পরীক্ষায় উত্তর ও লিখেছিলাম। কিন্তু স্যার বলেছিলেন কিস্যু হয় নি। তাতে কি? অলিম্পিকে মেডেল পাওয়াই সব নাকি?

    যত্তসব ফাঁকিবাজদের পাল্লায় পড়েছি।
  • anon | 202.3.217.125 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:২৩421744
  • সোনার তরী নিয়ে ডিডিদার আগের পোস্টটার ব্যাপারে রঞ্জনদা কিছুটা আগেই লিখেছে তবে ওটা নিয়ে আরেকটু বলার ছিল যে ওখানে তথ্যে ভুল নেই কারণ বাংলা আসাম এসব অঞ্চলে গঙ্গা পদ্মা ব্রহ্মপুত্রের দুধারে বিশেষ ক'রে নীচু জমিতে অথবা বদ্বীপ অংশে অক্টোবর নভেম্বর মাসে যে বোরো জাতের ধানটা বোনা হয় সেটা যখন জুন মাস নাগাদ কাটার সময় হয় তখন একদিকে কোনো বিশাল নদীকে সামনে রেখে বর্ষার জলে ভ'রে যাওয়া নীচু ক্ষেতজমির মাঝে দাঁড়িয়ে মেঘলা আকাশের নীচে দূর দিগন্তে নদীর অন্য পাড়ে সারি দেওয়া গাছগুলোর আড়ালে থাকা প্রায় আবছা গ্রামটা দেখতে দেখতে ওরকম মনে হয়েছে ব'লেই বোধায় ফাল্গুন মাসে শিলাইদহে পদ্মার ওপর নৌকোয় বসে সেই ছবিটা আগাম ভেবে লাইনগুলো বেরিয়েছিল এছাড়া ওই দূর থেকে সামনে আসতে থাকা পালতোলা নৌকোকে দেখে এটা মনে হওয়া যে হয়তো ওটা পাড়ে এসে ভিড়বে আর তারপর না থেমে ব্যস্তভাবে তার চলে যাওয়া এইসব দেখে পরের লাইনগুলো আসতে পারে আর একটা ব্যাপার হলো যে কথার মাধ্যমে একটা বাস্তব ছবির বর্ণনা দেবার বেলায় কখনও নিজের চোখে দেখা সত্যিকারের ছবিটাকে মনের মধ্যে না রেখে শুধু বেশ লাগবে পড়তে এই রকম আন্দাজ ক'রে কিছু লিখলে তবেই তথ্যে ভুল হবার একটা সুযোগ থেকে যায় আর সেটা মনে হয় উনি লিখতেন না।
  • tkn | 122.161.63.242 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:২৮421745
  • একটাও দাঁড়ি কমা নেই, নট ইভন আ সেমিকোলন!!
    আনন যখন হিন্দীতে লেখেন তখন নিশ্চই শঙ্কর মহাদেবন নামে লেখেন... নিঘ্‌ঘাত
  • Du | 65.124.26.7 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:৩০421747
  • আমারও তো এই ঝোঁক। আনন কি লুইতপরিয়া বা ব্রহ্মপুত্র পাড়ের?
  • tkn | 122.161.63.242 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:৩৪421748
  • বেশ, তবে দু হল লয় :-)। কারণ আনন শঙ্কর মহা: অলরেডি হয়ে গেছেন :-)
  • Du | 65.124.26.7 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:২৯421749
  • দু লয়ই বটে। একেবারে কিসুই লয় সে :)
  • Somnath | 117.194.197.116 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:৩৫421750
  • সুচেতাদিকে লিখেছিলাম, ২৮/৪/২০০৫ এ বাংলালাইভে,

    অমিয় চক্রবর্তীর একটা কবিতা উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্য ছিল। সেটা স্কুলে বা প্রাইভেট কোচিং ক্লাসেও কেউ পড়াত না। পড়াবে কি? মানেই বোঝা যায় না। দুবছর অন্তর ওটা থেকে পরীক্ষায় একটা করে প্রশ্ন আসত, তার সঙ্গে অনেক "অথবা" থাকত। একটা স্কুলে এক বর্ষীয়ান শিক্ষক ওটা পড়াতে গিয়ে, শুনেছি এরকম কিছু কথা বলেছিলেন: এই কবিতাটা পড়ার সময় প্রতিটা শব্দের অর্থের দিকে মনোযোগ দেবে না। একটা বা কখনো দুটো লাইন একসাথে পড়লে তার মধ্যে থেকে একটা ছবি ফুটে উঠছে কিনা লক্ষ্য কর। এইভাবে দু-লাইন দু-লাইন করে পড়তে থাকলে যখন কবিতাটা শেষ হয়ে যাবে, তখন দেখবে ঐ ছোট ছোট ছবিগুলো মিলে মিশে একটা গাছের ছবি হয়ে উঠেছে কিনা। যতক্ষণ না গাছটাকে দেখতে পাও ততক্ষণ বার বার কবিতাটা পড়তে থাকো। এক এক বারে এক লাইন বা দু-লাইন করে পড়তে থাকো। গাছটাকে দেখতে পেলে বই মুড়ে রেখে উঠে পড়। ততক্ষণে কবিতাটা তোমার প্রায় মুখস্ত হয়ে গেছে। এবার অবসরে বা অন্য কাজ করতে করতে কবিতাটা ভাবার চেষ্টা করলে দেখবে দুটো চারটে লাইন মনে পড়ে যাচ্ছে। ক"দিন পড়ে দেখবে কবিতাটা মনে করতে গেলে আর কোনো গাছের ছবি পাচ্ছ না। তোমার বাবার মুখ ফুটে উঠছে। মার মুখ ফুটে উঠছে। রাজ্যের ছবি - একটা মানচিত্র ফুটে উঠছে, দেশের ছবি - পৃথিবীর ছবিও যেন দেখে ফেলতে পারছো। যখনই এরকম একটা অবস্থায় পৌঁছবে, তখনই বুঝবে কবিতাটা বুঝতে পেরেছো। যতক্ষণ না পারছো ততক্ষণ শুধু মুখস্তই করলে। ভদ্রলোক নিজেও বিলক্ষণ কবিতা লিখতেন নিশ্চয়ই, কি বল? কবিতাটার নাম মনে আছে? - "গাছ"।

    আজ লিখি,

    ইনফ্যাক্ট আমিও মাধ্যমিকের পর এই পড়লাম মাত্র। কি অদ্ভুত, একটুও কঠিন লাগল না কিন্তু। প্রথমে গাছ বললে কি মনে পড়ে? হাওয়ায় দুলতে থাকা ডালপালা? পাতা? অরন্যমর্মর? আলোয় মেলে থাকা ফুলের সৌন্দর্য? শিকড়ের ছড়িয়ে থাকা মাটির গভীরে? এই সবই খন্ডচিত্র। আসলে এ সব মিলিয়ে এ সবের অতীত এক অস্তিত্ব এই গাছ।

    রিলেট করুন " তিনি বৃদ্ধ হলেন, বৃদ্ধ হলেন, বনস্পতির ছায়া দিলেন, সারাজীবন' "একটু ভালো চা পাওয়া যায় কোন দোকানে' "প্রতিদিনের বাজার যাওয়া থলি হাতে কেটে গেল সারাজীবন, ' "রামঠ্যাঙানি, কথায় কথায় চোখ রাঙানি' এই সব আরো আরো খন্ডচিত্র মিলে "আমার সুজন'।

    রান্না করা, চুল বাঁধা, হলুদগন্ধ আঁচল, রূপকথার গল্প, লোডশেডিংএর হাতপাখা, প্রথম বাড়ি ছাড়ার দিনের চোখের জল - আরো আরো স্মৃতিকোলাজে মা।

    সবকিছুই, বা সবাই প্রায়, যারা আলাদা কোনো এক বা একাধিক ছবি নয়, সব মিলিয়ে একটা পরিচয় আনে স্মৃতিতে, চেতনায় লীন হয়ে আছে বলেই হয়তো, যাদের অস্তিত্ব সত্তার অংশ হয়ে উঠেছে।
  • nyara | 64.105.168.210 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:১২421751
  • 'গাছ' কবিতাটা এই প্রথম পড়লাম। কেন যে লোকে এরকমভাবে তাকে দুর্বোধ্যতার কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে, সেটাই বরং আমার কাছে বেশি দুর্বোধ্য।

    আমি অনেকটা শ্যমলবাবুপন্থী। আজকাল অধিকাংশ কবিতার ন্যাজামুড়ো খুঁজে পাইনা। কোনরকম সাড়া জাগে না। ব্যক্তিগতভাবে লিরিকাল কবিতা পড়তে আমার এখনও অনেক ভাল লাগে। স্মার্টনেসের দৌড় এক জায়গায় শেষ হয়ে যায়। তাই সমর সেনের থেকে জীবনানন্দ আমার কাছে অনেক বেশি স্বস্তিদায়ক, সুনীলের থেকে শক্তি। শ্রীজাতর স্মার্টনেসে মাঝেমাঝে বিরক্তি জাগে, অল্পই পড়েছি। তার থেকেও অল্প পড়ে পিনাকী ঠাকুর বেশি ভাল লাগে।

    আজকাল দেশের অধিকাংশ কবিতা কিছুই স্পর্শ করে না - না মাথা, না আবেগ। সুধীন দত্ত বা বিষ্ণু দে যেমন আবেগের থেকে বুদ্ধি স্পর্শ করেন বেশি। সত্যি বলতে গুচর অধিকাংশ কবিতাই তাই। স্পর্শরহিতভাবে বয়ে যায়।

    আসলে হয়তো আমিই বয়ে গেছি। সোমনাথ, কী বই পড়ব?
  • shyamal | 24.117.233.39 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:২১421752
  • সোমনাথ আবার আমাকে হোম ওয়ার্ক দিল। এই টইটা কিন্তু আমাকে কনভার্ট বানানোর জন্য নয়। অনেকেই বলেছেন , আমিও স্বীকার করি যে সবাই সব রসগ্রহণ করতে পারেনা।
    আপনি যদি কোন অল্পশিক্ষিত মানুষকে ধরে ঘরে বাইরে বা তুঙ্গভদ্রার তীরে পড়ে শোনান, তার নাও ভাল লাগতে পারে। কিন্তু সে হয়তো ""যুদ্ধ"" বা ""শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ"" ছবিগুলো দেখে খুব প্রীত।
    কেউ কিশোরের গান শোনে, কেউ আমজাদ আলির সরোদ শোনে, কেউ দুটো ই শোনে।

    আমি একটি শ্রেণীর কথা বলছি যাদের বলা যায় শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত বাঙালি। এই শব্দগুলো অবশ্য প্রত্যেকটা লোডেড। কাকে শিক্ষিত বলে বা কে মধ্যবিত্ত এই নিয়ে দুবছর তর্ক করা যায়। কিন্তু আমাদের মনে একটা আন্দাজ আছে যার হয়তো কোন রিগরাস সংজ্ঞা নেই।
    ধরুন রবীন্দ্রসঙ্গীত-অতুলপ্রসাদী-নজরুলগীতি-সত্যজিত-মৃণাল-ঋতুপর্ণ-অপর্ণা-সুনীল-শীর্ষেন্দু-বনফুল-শরৎচন্দ্র-শরদিন্দু-ফেলুদা-গল্পগুচ্ছ-শংকর-সুচিত্রা-কণিকা-হেমন্ত-দেবব্রত-সুমন-নচিকেতা-লোপামুদ্রা-মান্না-লতা-আশা-আরতি-সন্ধ্যা-বানী বসু-সুচিত্রা ভট্টাচার্য-ভুমি-চন্দ্রবিন্দু-উত্তম-সৌমিত্র-ঋতুপর্ণা-পরমব্রত-প্রসেনজিত-রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ-রামদেব এর প্রধান খদ্দের বা পেট্রন এরা। অবশ্যই অনেক নাম বাদ পড়ল, যেমন কিশোরকুমার।
    এরা মোটামুটি বাংলার মেইনস্ট্রীম সংস্কৃতিকে গাইড করে। এরা যেমন ""চ্যালেঞ্জ নিবিনা শালা"" জাতীয় গানকে পছন্দ করেনা আবার এরা কালচার ভালচারও নয়। এরা মধ্যপন্থী। আমি নিজেকে মোটামুটি এই শ্রেণীতে ফেলি।
    এখন কথা হল এদের অনেকেই রেগুলার দেশ, শারদীয়া আনন্দবাজার, সানন্দা ইত্যাদিতে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ আগ্রহের সঙ্গে পড়ে। অনেকে বই কেনেও, বিশেষত: সুনীল-শংকর-শীর্ষেন্দু-শরদিন্দু-সত্যজিত ইত্যাদি। বেস্ট সেলারের লিস্ট দেখলেই বুঝবেন। কিন্তু এদের আধুনিক কবিতা পড়ার আগ্রহ প্রায় জিরো। সাপ্তাহিক দেশ এলে হয়তো কবিতার পাতাটা একবার উল্টায়। কিন্তু উৎসাহ নিয়ে নয়। কিন্তু যথেষ্ট উৎসাহ নিয়ে ধারাবাহিক উপন্যাসের পরবর্তী পর্যায় পড়ে। কদাপী কবিতার বই কেনেনা ( সঞ্চয়িতা বা নজরুলের বই বাদে)।
    এদের অনেকেই বেশ কিছু কবির নাম বলতে পারবে কিন্তু কবিতার নাম পারবেনা।

    সকলকে এক ছাঁচে ফেলা যায়না। কিন্তু মোটামুটি এই শ্রেনীতে আমাদের বেশির ভাগ আত্মীয় বন্ধু পড়ে। এরাই কিন্তু প:বঙ্গের মেইনস্ট্রীম কালচারের ড্রাইভার।
    এরা যখন গল্প, উপন্যাস পড়ে , নিজের আনন্দের জন্য নিজের আগ্রহেই পড়ে। কারোর মাথায় পিস্তল ধরতে হয় না। কিন্তু নেহাৎ লাইফ থ্রেট না দেখালে এরা আধুনিক কবিতা পড়বেনা বা বই কিনবেনা।

    আপনি বলতেই পারেন, এরা কবিতা পড়েনা কারণ এরা যথেষ্ট সংস্কৃতিবান/বতী নয়। কিন্তু সংস্কৃতির অন্য ক্ষেত্রে তো এদের গতিবিধি প্রচুর। তবে কবিতা পড়েনা কেন? এটাই এই টইয়ের মূল প্রশ্ন, কাউকে কবিতা পড়ায় ট্রেনিং দেওয়া নয়।
  • a x | 143.111.22.23 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:৩০421753
  • এত কথা জানিনা। কিন্তু শ্যামল, আপনার এই ধারণাটা যে "অশিক্ষিত" লোকেরা খালি শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ দেখে, তারা চতুরঙ্গ বোঝেনা, তারা এইটা বুঝবেনা, ঐটা বুঝবেনা, এটা ভুল। ভুল, ভুল, ভুল। খালাসিটোলায় রক্তকরবী করে, দক্ষিণে গ্রামে বার্গম্যান দেখিয়ে, অনেকেই সেটা প্রমাণ করে গেছেন।
  • shyamal | 24.117.233.39 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:৩৬421754
  • আমার ধারণা ভুল হতেই পারে। কারণ আমার অভিজ্ঞতা সীমিত। কিন্তু যদি তা হয়, তবে বলব আমি যে শ্রেনীর কথা বলছি তাদের পরিধিটা আরো বাড়ল।
  • Arpan | 122.252.231.12 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:০০421755
  • সোমনাথের ২:৩৫-এর পোস্টের দ্বিতীয় লাইনে মাধ্যমিক হবে। উ: মা: নয়।

    ন্যাড়াদা, ক্লাস নাইনে কবিতাটা প্রচণ্ড দুর্বোধ্য লেগেছিল। কেউই কবিতাটি পড়াননি। না ক্লাসে, না প্রাইভেট কোচিনে। হ্যাঁ, আমাদের স্কুলের কথাই বলছি। কারণ বাকি কবিতাগুলির থেকে "গাছ' কবিতাটি ছিল উঙ্কÄল স্বতন্ত্র। আজ এতদিন বাদে পড়তে গিয়ে সোমনাথের স্কুলের জনৈক শিক্ষকমশায়ের সাথে আমার উপলব্ধি কিছুটা হলেও মিলে গেল।

    আর মনে হচ্ছে শ্যামলের হোমওয়ার্ক ন্যাড়াদাই করবেন। :-)
  • Tim | 71.62.121.158 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:২৫421756
  • এই টই খোলার সময় শ্যামলদার কি মনে ছিলো এককালে উনিও এরকম কবিতা লিখেছেন? (পর্বে পর্বে কবিতা, ন নম্বর পাতা)।
    পোশ্নো হলো সব জেনেশুনেও কেন লিখলেন ওরকম? লাইফ থ্রেট?! :-)
  • Souva | 203.141.92.14 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:২৭421758
  • শ্যামলবাবু,

    আপনার কথিত শ্রেণীর কতজন মানুষ ছবির এগজিবিশনে যান? রবি-দাদুর গানে নালে-ঝোলে একাকার হলেও রবীন্দ্রনাথের ছবি নিয়ে কতজন আহ্লাদ প্রকাশ করেন? জীবনানন্দের নাম সব্বাই শুনে থাকলেও, "রূপসী বাঙলা'-র বাইরে (এবং বনলতা সেন হয়তো) জীবনানন্দের কটা কবিতা তারা পড়েছে? তারা রিতুপন্নো দেখে গদগদ হয়, কিন্তু ঋত্বিক, মৃণালে এসে বিষম লাগে। জয় গোস্বামীর কবিতা বলতে তারা "মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয়' বোঝে আর রবি ঠাকুর বলতে "কথা ও কাহিনী'। কিন্তু "ভুতুম ভগবান' বা "আলেয়া হ্রদ' বা "প্রত্নজীব' সম্বন্ধে তাদের ধারণা নেই। তারা শঙ্কর বা সুচিত্রা ভশ্চাজের লেখা পড়ে আপ্লুত হয়, কিন্তু শাহজাদ ফিরদৌসে পৌঁছলে হোঁচট খাবেই। সুবিমল, উদয়ন, বাসুদেব তো অনেক পরের কথা।

    আসলে, এই ধরণের পাঠকরা সাহিত্য বলতে বোঝে গোল-গোল গপ্পো। যার ডেফিনিট একটা শুরু ও শেষ আছে। যার মানেটা একেবারে সারফেসেই দৃশ্যমান, বড়জোর প্যারাবল জাতীয় কিছু লেখা চলতে পারে যেখানে প্যারালালটা খুব সহজেই, বিনা-কষ্টে বুঝে ফেলা যায়। এবং এটা তারা কবিতার ক্ষেত্রেও এক্সপেক্ট করে (যে কারণে "কথা ও কাহিনী' বা "মালতীবালা')। কিন্তু যেখানেই প্রতীকের ব্যবহার, যেখানে গপ্পোটা বুঝতে গেলে প্রতীক ও চিহ্নগুলোকে ডিকোড করতে হবে প্রথমে, সেখানেই এদের ধৈর্যের দফা-গয়া হয়। তারা "দুর্বোধ্য' বলে নাক সিঁটকোয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন