এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিকল্প লেখাপত্তর, কি লিখব কেন লিখব

    Ishan
    অন্যান্য | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ১১৩৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:৫১422703
  • আমরা নেট থেকে প্রিন্ট সর্বত্রই কিছু না কিছু করতে চলেছি। ছড়িয়ে লাট করি, বা হিটে হিটাক্কার, কি লিখব, কেন লিখব, এবং কিভাবে লিখব, এই নিয়ে একটা ধুন্ধুমার আলোচনা দরকার। সেই আলোচনাটা আমি ইনিশিয়েট করতে চাই এই টইয়ে।

    আলোচনা শুরুর জন্য আমি একটি থিসিস পেশ করব, সেটা পরের পোস্টে দিচ্ছি।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:২৩422814
  • http://bsaikat.googlepages.com/lala.pdf

    এটা প্র্যাকটিকালি আমার একটা পুরোনো লেখা, যার নাম "ল্যালা ম্যানিফেস্টো'। যার কিছু অংশ গুরুতে আগেই প্রকাশিত। পুরোটা অন্য একটি কাগজে। এইটাকেই আমার থিসিস হিসেবে পেশ করতে চাই।

    এই টাতে বেশ কিছু ভুল আছে। "গু' গুলো সব হাওয়া হয়ে গেছে। :) কিন্তু ভালো কপিটা খুঁজে পেলাম না। তাই রিডার্স ডিসক্রিশন প্রত্যাশা করিতেছি। আরও প্রত্যাশা করিতেছি হনুর প্রত্যাঘাত। :)
  • dd | 122.167.40.243 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:০০422925
  • আমি তো এম্নি এম্নি লিখি।
  • h | 61.95.144.10 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৩৩422958
  • প্রত্যাঘাত আর কি করবো। তোর যা মনে হয় আমার তা মনে হয় না। ম্যানিফেস্টো কথাটার মূল উদ্দেশ্য হল একটা মুভমেন্ট গড়ে তোলার আহ্বান। তো সে লাইনে ভরসা বিশেষ নাই। হতে পারে আমি অপেক্ষাকৃত মাতাল বেশি।

    আমার মনে হয়, যেকোনো প্রতিভাবান কিশোরের মতই তুই একটা বেশ পরিচিত ফাঁদে পা দিচ্ছিশ। সেটা হল কাল্ট অফ দ্য কন্টেম্পোরারি। ইতিহাসে অনেক সময় আসে, যখন চেনা য কিছু তাকেই, পড়া যা কিছু সব কিচুকেই কুন্ঠিত মনে হয়, মনে হয় স্বাধীনতা হরণের জন্য তৈরী হয়েছে। অস্বীকার করছিনা লেট ক্যাপিটালিজম এহেন কিছু সংকট মুহুর্ত আমাদের উপহার কিছু দিয়েছে সম্প্রতি, তবে যে সময় টা তোর মাথায় ঘুরছে আপাতত সেটাকে বীরভূমী বাউলদের ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয়, যৈবন।

    ভাষাহীন কলোনীবাসী ইত্যাদি যা বলেছিস ঠিক-ই আছে, তবে এসব ক্ষেত্রে জেনেরালি যেটা হয়, একটা বোগাস ন্যাশনালিজম আর কূপমন্ডুকতা গড়ে ওঠার একটা চান্স থাকে। মানে ধর তোর নিয়ন্ত্রিক অ্যানার্কি অ্যাপ্রোপ্রিয়েট করে কোন ক্যালানে যদি কেবলি তৃতীয় বিশ্বের ত্রী নট থ্রী ছাপ বা অরো খরাপ থানায় ক্যালানি বা লাঠি পেটানো র রাষ্ট্রীয় মদতের গণপিটুনিকে গ্ল্যামারাইজ করে কিম্বা ধর সিদ্ধান্ত করে হুইটম্যান পড়বে না, পাড়ার কবিদের পড়াই যথেষ্ট হবে, তাহলে তোর বলার বিশেষ কিসু থাকবে না। অবশ্য তোর বলার অপেক্ষা না রেখে এটা বলাই ভালো, এই বর্গটিও অ্যাপ্রোপ্রিয়েটেড হবেই। কত নারী স্বাধীনতা সানলাইট সাবান হয়ে গেল বা পেস্কেলান্তরে ওয়াশিং মেশিন , এটাই বা আর বাকি থাকবে কেন। আশা নেই। যে কোনো জনগণতন্ত্রেরি উন্নততর হওয়ার আশ থেকেই থাকে।

    তবে হ্যাঁ, একটা ল্যালারেলা থাকা দরকার, কিছু লোক তৈরী হয়ে থাকা ছকে নয় অন্যরকম ভাবে ভাববে এটা ভালো প্রস্তাব, তবে তাতে এটা মনে করার কিছু নেই, এতে ব্যক্তিগত যশপ্রার্থনা র উপস্থিতি অসম্ভব। মানে ধর রাবিশ লিখে আমি মনে করতে পারি, আমি নতুন বর্গ তৈরী করলাম, তার পরে মইবাজি করে সেটাকেই নতুন প্রতিষ্ঠান তূইরী তে কাজে লাগালাম এটাও হয়েই থাকে। সমাজে সমস্ত স্বার্থেরি অর্থবন্ধু জুটতে সময় লাগার কথা নয়।

    সব চেয়ে বড় কথা হল, একটা ম্যানিফেস্টো, কোনো ম্যানিফেস্টো -ই আসলে মানুষের লেখার মোটিভেশন কী হবে সেটা ঠিক করে দেওআর কথা বলতে পারে না। আমি ব্যক্তিগত ভাবে লিখি রাজনৈতিক বিতর্ক করব বলে। এখন সেটা আদৌ নতুন কিসু না। বহুপূর্বেই বর্গীকৃত। ডিসেনটার হিসেবে আমি নতুন কেউ নই, সর্বোপোরি আমার ডিসেন্টে মালপত্তর বিশেষ কিসু নাই। মানে এমন কিছু নেই, যা কোনো না কোন চীনে বা ভারতীয় বা গ্রীক বা মায়া বা জেন বা কোনো আলতামিরা র শিল্পী বলে যান নি। এমন কিসু নেই, যেটা থিয়োলোজিকাল ডিবেট গুলোয় নেই, এমন কিসু নেই, যেটা কোন কেষ্টা ব্যাটা কখনো না কখনো বলে গেছেন, গ্রন্থিত হোক বা না হোক। আমি শুধু চাইছি, কাব্য করে বল্লে, বহুযুগের ওপার হতে আমার কানে যে শব্দ গুলো এসে পৌঁচচ্ছে, সেগুলোকেই নিজের মত করে কুলোকুচো করে পরিবেশন করতে। যাতে বিশেষ কিসু না, রাজনৈতিক শক্তি গুলো র পক্ষে মৃত্যু আর মিথ্যা পরিবেশন, সামান্য একটু কষ্টসাধ্য হয়।

    এক পয়সার গপ্প লেখক যদি বারো আনার বকর বকর করে, একটাও সিরিয়াস লেখা কোথাও বেরোনো আগেই যদি পোয়েটিক্স লিখতে বসে, তাইলে সেটাকে পোঁয়াপাকামো বলে, এমনকি বৈজয়ন্ত পিছিয়ে পড়াকে গ্ল্যামরাইজ করবার পরেও বলে, বিক্রম মেনলি কাঠি করা কে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেলেও বলে;-)

    কে কোন মোটিভেশনে লেখে জানি না, আপাতত: আমার এটা মনে হল বল্লাম। ইন্দো যেরকম, হয়তো কিছুক্ষণ একলা থাকাটাকে ই ধরে রাখবে বলে লেখে। সেরকম প্রতিটা অ্যামেচার লেখক ই কোন না কোনো মোটিভেশনে লিখছে। বৈজয়ন্ত হয়তো মেনলি লিখছে মেটাফিজিক্স এর একটা ভাষা তৈরী করবে বলে, যেটা মূলত: উইজডমের সঙ্গে গুরুবাদের একটা পার্থক্য গড়ে দেবে। ইত্যাদি। এই যে পাব্লিক ফোরামে আমরা নিজেদের নিয়ে মিথোলোজাইস করছি এটা খানিকটা তোর প্রভাবে অড়ে হল, নইলে আমি বিনয়ের অবতার। তোর কϾট্রবিউশন হল, অনেক লোক্কে তুই মোটামুটি একটা বার্তা দিয়েছিশ, ভাই জা করছিশ কর, মেন লি লেখ, নজ্জা পাওয়ার কিসু নাই। ঠিকাছে। নানা অর্থেই উতলা হয়ে লাভ নাই। সকলেই যে লিহতে ইচ্ছে করছে, এটা মন্দ না।
  • dd | 122.167.26.168 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:৪৬422969
  • অ ঈশেন
    অত্যন্ত সোবার অবস্থায় ও ঠান্ডা মাথায় লিখি *
    * (হিঁ হিঁ হিঁ। মিছে কথা কইলাম।)

    কনটেন্ট নিয়া কোনো কথা নাই, সে তো ওপিনিয়ন। পসন্দ আপনা আপনা। যতো মত ....
    ফর্ম, ফর্ম নিয়া লিখি।

    তোমারে চোন্দিল রোগে ধরছে।
    খুব স্মার্ট ল্যাখো, বুদ্ধিদীপ্ত। ঝকমকে। উত্তাল হীরক খন্ড।
    মুশকিলটা সেখানেই।
    নিজের ল্যাখার প্রেমে পরো। উপায়ও নাই।
    ব্যাস। একই কথা, সাত পাতার ল্যাখা সতেরো পাতায় করো। ফর্মের ঝকমকানিতে কনটেন্টের আয়ুক্ষয়।

    আরো টান টান করো। ক্ষিপ্ত ও সংক্ষিপ্ত।

    ডি: কোনো, একটাও ডি: নেই। নেই।
  • Samik | 122.162.236.6 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:৪৮422980
  • হনু যে কেন সব ল্যাখা বাংলায় লেখে না ...
  • shyamal | 24.117.233.39 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:৩৩422991
  • বাপরে! কঠিন প্রবন্ধ ""বিশেষ করে ঐ শিশি বোতলের জায়গাটা বেশ শক্ত ছিল""।
    লেখাটা পড়ে মনে হল, ডি এল রায়ের একটা কবিতা,

    একটা নতুন কিছু করো রে ভাই
    নতুন কিছু করো

    জোর করে অন্যদের থেকে আলাদা হওয়া যায় না। কোনটা স্বাভাবিক আর কোনটা অপচেষ্টা , সেটা বুঝতে দুমিনিট সময় লাগেনা। যেমন সুনীলের গল্প, উপন্যাস আমার বেশ ভাল লাগে। কিন্তু কলেজে পড়ার সময় লাইব্রেরীতে দেখি কৃত্তিবাস পত্রিকায় সুনীলের উপন্যাস বেরিয়েছে। পড়তে গিয়ে অসুবিধায় পড়লাম। চ্যাংড়ামো করে প্রতি বাক্যে ভার্ব বাদ দিয়েছে। এটা অপচেষ্টা।

    লেখা মানেই লেখক পাঠককে কিছু বিক্রি করছে। সেটা বিনেপয়সায় হতে পারে কিন্তু বিক্রি। সেক্ষেত্রে বিক্রেতা হিসেবে খদ্দের লক্ষ্মী মনে রাখা উচিৎ। কি ভাবে লেখা উচিৎ এ ব্যাপারে শরদিন্দু বলেছেন, পাঠককে কক্ষনো বোকা ভাববেনা।

    আমার মতে লেখা হল ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন। তাতে সেন্সরশীপে যথেষ্ট আপত্তি আছে। কিন্তু কে পড়বে আর কে পড়বেনা সেটা পাঠকের ইচ্ছে। আর ধরুন দেশ পত্রিকা লেখা ছাপবে কিনা সেটা সম্পূর্ণ তার সম্পাদকের ইচ্ছে। না ছাপলে কি? গুরুচন্ডালি আছে, ব্লগ আছে।
  • sibu | 216.239.45.4 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:৫৫423002
  • হে ল্যালা, সাহস অবলম্বন কর। সগর্বে বল - আমি ল্যালা, ল্যালাগন আমার ভাই, বঞ্চিত ল্যালা, ক্ষুধিত ল্যালা, প্রান্তিক ল্যালা, কেন্দ্রিক ল্যালা ... ইত্যাদি, ইত্যাদি।

    নরেন দত্ত পিতার নিকটে কিরূপ স্বীকৃতি লাভ করিয়াছিলেন?
  • anon | 202.3.217.125 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:৪০423013
  • ঈশানের ল্যালা ম্যানিফেস্টো আর খাণ্ডবদাহন উপন্যাস পড়ে মনে হয়েছে সীমিত দৈর্ঘ্যের রম্যরচনার ওপরে ওর লেখার স্টাইলটা বেশী ভালো মানাতো।
  • kc | 89.203.49.18 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:৫৩422704
  • আমিই কেসি। কিন্তু পাল নই। এবং অতি অবশ্যই ল্যালা নই। কেন নই তা নিয়ে আমারও থিওরি আছে। আগে গুছিয়ে নি। তাপ্পর নামাব।
  • lcm | 128.48.7.65 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:০৭422715
  • কার বিকল্প?
  • h | 61.95.144.10 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:২০422726
  • মেনস্ট্রীমের। হ্যাঁ এই ডিবেট টার বারোটা বাজানোর সবচেয়ে বড় উপায় হল, বিভিন্ন ব্যবহৃত শব্দের সংজ্ঞা নিয়ে লড়ে যাওয়া অথবা অন্যান্য বিকল্পের ব্যর্থতার ইতিহাস নিয়ে চ্যাংড়ামো করা। তাতে অসুবিধে নেই কিছু। ডকুমেন্টেশন তো হচ্ছে।

    একটা জিনিস পরিষ্কার করে দি, আমার দিক থেকে অন্তত: আমি মহত সাহিত্য খুব কিসু করে উল্টে দেবো এরকম আকাঙ্খা কিসু পোষন করি না। বা পপুলার লেখা লিখে একেবার শয়নে স্বপনে লোকনাথ কিম্বা হৃদয়নাথ হয়ে উঠবো তারো কোন সম্ভাবনা নেই। আমি কি চাই না সেটা বড় কথা নয়, একজন মোটামুটি স্বচ্ছল গোবর গনেশ হওয়া সঙ্কেÄও আমি কি পারি না সেটাই মূল। কি করবো দাদা প্রতিভা নাই। নাই তো নাই। যেহেতু নিজের ইলেকট্রিক বিল নিজেই মেটাচ্ছি অতএব এই নিয়েই বাকি জীবনটা থাকবো। আমার লেখা মূলত: এক ধরণের অক্ষমতার বাচন। তাতে আমার আপত্তি নেই।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:৪১422737
  • আল্টিমেটলি পড়ে যা বুঝলাম এই ল্যালা ম্যানিফেস্টোটা প্রযোজ্য কেবল প্রতিভাবান ল্যালাদের জন্যে। মানে যাদের 'কব্জির জোর' আছে। আমাদের মত সাধারণ ল্যালারা পিতার প্রতি আনুগত্য বা বিদ্রোহ - যাই হোক না কেন - কিছু একটা ভাঙ্গিয়ে এতকাল খাচ্ছিলাম। ল্যালা ম্যানিফেস্টো মেনে চলতে গেলে আমাদের সেই মিনিমাম করে কম্মে খাওয়াটাও ডকে উঠবে। ;-)

    আর কলোনিবাসীরা বুভুক্ষু ও অনাহারক্লিষ্ট। কিন্তু সে নিয়ে হাহুতাশ করাটা হল প্রভুর / পিতার ভাষায় কথা বলা। এবং ল্যালা ম্যানিফেস্টো মোতাবেক সেই অনাহারক্লিষ্ট বাস্তবতাই হওয়া উচিৎ তার ঔদ্ধত্য। অর্থাৎ, এবার সগর্বে তার বলা উচিৎ - হ্যাঁ, আমি শালা না খেয়েই থাকবো। তোর বাপের কি। আমি শালা বিনা চিকিৎসাতেই মরব। আর এটাই আমার পিতাকে/প্রতিষ্ঠানকে/প্রভুকে উপেক্ষার ফর্ম। !!!!!!!?????&&&&&### (বিস্ময়বোধক স্মাইলি কম পড়িয়াছে। মাইরি বলছি)

    যুগে যুগে ধর্মগুরুরা তো এমনটাই শিখিয়েছেন। নিজের দুর্দশাকে মেনে নেওয়া এবং মনে মনে তাকে উপেক্ষা করার মধ্যেই আছে পরম শন্তির চাবিকাঠি। ল্যালাদের এই 'প্রত্যাখ্যান'এর তঙ্কÄটা তার থেকে আলাদা কোথায় হল? ;-)
  • Ishan | 173.26.17.106 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:৩৬422748
  • ডিবেটটা রাজনীতিতে চলে যাচ্ছে। হনুকে পরে লিখব, আগে পিনাকিকে লিখি। বেসিকালি তিনটে পয়েন্ট।

    ১। এটা পৃথিবীর বা দেশের সামগ্রিক রাজনীতি নিয়ে কোনো দিশা দেবার প্রচেষ্টা নয়। রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা/স্লোগান অন্যরকম হতেই পারে। না হবার কিছু নেই। এটা জাস্ট লেখালিখি বা বড়জোর শিল্পসৃষ্টির ধরণ নিয়ে একটি দিকনির্দেশের প্রয়াস। এবং সেটাও অল এনকম্পাসিং নয়। অন্যরকম কিছুও থাকতে পারে। কোনো আপত্তি নেই। যেমন, হনু যে দিকে যাচ্ছে, সেটাও একরকমের প্রস্তাবনা। আমার দিক থেকে তারও সমালোচনা থাকতে পারে, কিন্তু ঐ অবস্থানটাকে আমি সম্মানই দেব।

    ২। এর পরেও এর একটা রাজনৈতিক অভিমুখ আছেই। ভিতরে ভিতরে। সেটা পিনাকি ঠিকই বুঝেছে। কিন্তু যদি সেইভাবেই ভাবা যায়, তাহলেও সেই রাজনীতিটা খুব ফেলনা নয় (এখানে আবার বিনীত ডিসক্লেমার, এই লেখায় আমি সামগ্রিক রাজনীতি নিয়ে কোনো কিছুই অ্যাড্রেস করার কোনো চেষ্টা করিনি, একটা খুচরো অংশই শুধু এসেছে)। একটা উদাহরণ। মাও সেতুং এর জনযুদ্ধের থিয়োরি। প্রথমে ঘাঁটি এলাকা, গ্রামাঞ্চলে। ছোট্টো করে। কেন সেটা? মাওকে যদি আমার ভাষায় ট্রান্সলেট করি, তাহলে, বলতে হয় ওটা লিমিটেড রিসোর্সের সমস্যা। যেখানে যেটুকু পারছ সেটুকু কর। এক লাফে আকাশের চাঁদ ধরতে গিয়ে লাভ নেই। বরং নিজের সামর্থ্যের উপর জোর দাও। কি নেই ভেবে শাপশাপান্ত বা হাহুতাশ কোরোনা, নিজের উপর জোর দাও। শত্তুরকে কাগুজে বাঘ ভাবো। ফু দিয়ে উড়িয়ে দাও।

    এইখানে একটা ক্রিটিকাল প্রশ্ন আসতে পারে, যে, মাও এর তো একটা লক্ষ্য ছিল। ক্ষমতা দখল করা। শত্তুরের যা আছে, তা ছিনিয়ে নাও। কিন্তু এখানেও আমি লক্ষ্য করতে বলব, মাও কিন্তু পিতার ভাষায় ভাবেননি। পাশ্চাত্যের নাগরিক সভ্যতার জবাব ছিল মাওয়ের সমৃদ্ধ গ্রামের মডেলে। ওটা ল্যালা ভাষা। পিতার মডেল নিয়ে খিল্লি করা।

    মাওটা এখানে জাস্ট উদাহরণ। গান্ধি-ওহান্ধি নিয়েও একই রকম বলা যায়। তো, কাকে নিয়ে বলা হচ্ছে, সেটা ইম্পর্ট্যান্ট নয়, এসব যে আগেও বলা হয়েছে, সেটাই ইম্পর্ট্যান্ট। এবং এখনও, ভিন্ন মোড়কে, কথাগুলো বললে জনতা আপত্তি করে, পিতাদের রেফারেন্স দরকার হয়, ইহাই ল্যালা ট্র্যাজেডি। পিতার এই ছায়ার বিরুদ্ধেই আমার যুদ্ধযাত্রা। আমরা ডন কিহোতে, পিতাই আমাদের উইন্ডমিল। :)

    ৩। এবং সৃজনশীলতার প্রশ্নটা এখানে এসেই পড়ে। পিনাকি একশবার এটা ঠিক বুঝেছে। নন-ক্রিয়েটিভিটি মূলত: চর্বিতচর্বন। অ্যাকাডেমিক বাবা থেকে আমরা হক্কলে করে আসছি। করছি, জাবর কাটছি, এবং একটা ফলস কনসাসনেসে ভুগে চলেছি, যে, বস কিছু একটা করলাম। আবার মাওয়ের কথায় আসি। গণফৌজ প্রসঙ্গে মাও বলেছেন, fighting, learning and thinking unit (উদ্ধৃতি নির্ঘাত নিখুঁত নয়)। একটা আর্মি সম্পর্কে থিংকিং ইউনিট কথাটা যখন বলা যায়, একদল চিন্তাশীল মানুষকে থিংকিং এবং ক্রিয়েটিভ হয়ে ওঠার দাবী করাটা কি খুব বাড়াবাড়ি?

    সোজা বাংলায়, চর্বিতচর্বন নয়, জাবর কাটা নয়, সোজা ভাবুন, বেসিক থেকে। এই সিধে ভাবাটার জন্যই একটা স্পর্ধা লাগে সেটাই ল্যালা স্পর্ধা। তারপর কি দাঁড়াল জিনিসটা সে পরে দেখা যাবে। আগে বাক্স থেকে বেরিয়ে ভাবুন, ভাবা প্র্যাকটিস করুন তো। তার জন্য প্রতিভা টতোভা কিস্যু লাগেনা। প্রতিভা বলে আদৌ কিছু হয় কিনা তা নিয়েই সন্দেহ আছে। প্রতিভার আখ্যান বেসিকালি পিতার ভাষ্য। তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করাই ল্যালা ভাষা।

    ** খুব হুড়োতাড়ায় লিখলাম। এক আধটা বেফাঁস কথা থেকেও যেতে পারে। সেগুলো ধরলে হবেনা। :)
  • pinaki | 67.43.242.246 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:২০422759
  • নিজের দুর্বলতাকে পরিণত কর নিজের শক্তিতে। এটা অনেক হলিউডি যুদ্ধের সিনেমায় বলতে শুনেছি। তুমি যদি মোদ্দা এটুকুই মানে করে থাকো - আমার কোনো-ই আপত্তি নাই। কিন্তু সেখানে প্রশ্ন উঠবে তুমি নতুন কি বল্লে। কিন্তু তুমি যদি ঐ দীপংকরদার অটেকনিক্যাল ভূমিকার শেষ দিকটার মত 'গরিবি এবং ভুখা মৃত্যু আমার অহংকার' - এরকম কিছু তঙ্কÄ নামাও তাহলে অবশ্যই দুইহান রাজনীতির কথা আসবে। কারণ সেক্ষেত্রে ল্যালাপনাটা আর শুধু সাহিত্যে সীমাবদ্ধ রইল না।
  • pinaki | 67.43.242.246 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:৩৮422770
  • আর একটা কথা। রাজনীতির। সাম্য, নৈতিকতা, র‌্যাশনালিটি - ইত্যাদি শব্দগুলো উচ্চারণ করলে তাদের যে ছবিগুলো আমাদের মনে প্রথমেই আসে সেগুলো পাশ্চাত্য অনুগামী। এ নিয়ে সন্দেহ নেই। প্রকল্প এইটা হতে পারে যে এগুলোর বিকল্প ছবি তৈরী করা। যা মৌলিক না হলেও ক্রিয়েটিভ। পিতার ভজনা বা তার প্রতি বিদ্রোহ (বিদ্রোহের নামে আসলে ভজনা - যেমনটা তুমি বলেছ) এই দুয়ের বাইরে বেরিয়ে ভাবতে হবে এই প্রকল্পের জন্যে - এটাও খুবই খাঁটি কথা। কিন্তু সাম্যকে বা নৈতিকতাকে সংজ্ঞায়িত করা মানে কিন্তু অসাম্য বা অনৈতিকতাকেও চিনতে শেখা। তুমি যে পাশ্চাত্য সাম্যের ধারণাকে বর্জন করতে গিয়ে দিশি অসাম্যকে গ্লোরিফাই করে বসবে না তার গ্যারান্টী কই ? বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই তঙ্কÄকে এক্সট্রাপোলেট করে যে কেউ 'নিজস্বতা'র নাম দিয়ে সেটা চালাতে চাইতে পারে। তোমার তঙ্কেÄ সেই চেকটা কোথায়?
  • lcm | 69.236.160.74 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:০৩422781
  • h বলছে এখানে বিকল্প বলতে বোঝানে হচ্ছে মেইনস্ট্রিমের বিকল্প। কিন্তু, মেইনস্ট্রিম কি?
    অনেকের মতে - যে লেখা অনেকে লোক পড়ে, যে সিনেমা অনেকে দেখে, যে গান অনেকে শোনে, যে টিভি/রেডিও প্রোগ্রাম অনেক লোক ফলো করে - এককথায়, যা কিছু পপুলার, তাই কমবেশী মেইনস্ট্রিম। এবং, তা যদি হয় তাহলে মেইনস্ট্রিমের বিকল্প হতে হলে পপুলার কালচার-এর বিকল্প কিছু একটা করতে হয়, অর্থাৎ, প্রথমেই আনপপুলার হতে হয় :)
    আর ইয়ে, মেইনস্ট্রিমের বাইরেও তো এদিক ওদিকে অনেক বিকল্প... খাফিলা, অনুষ্টুপ, সংহতি... । লাইফ তো একটা, এত সময় কোথায়?

    কোনো এক থ্রেডে না কোথায় যেন লেখা দেখলাম, যে, আনন্দবাজার থাকতেও লোকে গুরুচন্ডালি পড়ে কেন? শুনলে মনে হবে যেন লোকে আনন্দবাজার ছেড়ে গুরুচন্ডালি পড়ছে। সত্যি কি তাই? আনন্দবাজার পড়া হয়ে হাতে সময় থাকলে তবেই লোক গুরুচন্ডালিতে আসে। আমার তো তাই মনে হয়। আর যারা এখানে ভাট/টই-তে পড়তে/পোস্ট করতে আসেন তাদের কাছে এটা খানিকটা ওর্কুট/ফেসবুক টাইপের।

    এত ঝামেলার মধ্যে না গিয়ে পাতি বললে হয় না, যে যাদের লেখা পায় তারা এখানে লিখুন প্লিজ।
    কেন লিখবেন তা নিয়ে ভাবতে বসবেন না, তাহলে ভেবেই যাবেন, আর লেখা হবে না।
    বরং, "কি লিখবেন, কেন লিখবেন' - এই টপিক নিয়ে ঈশান, h ...-রা ডিবেট লড়বে। আমরা বাকিরা ফুট কাটব, টাইম পাস।
  • r | 121.245.62.196 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১২:৫৩422792
  • শ্রমের বিকল্প নেই, বিকল্পের শ্রম নেই।

    (এটা কেউ কি বলেছিল, না আমিই প্রথম বললাম? আজকাল এত বেশি দামী কথা বলি, কোনটা নিজের, কোনটা নামী লোকের, সেটাই ভুলে যাই)। ;-)
  • tkn | 122.161.164.150 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:২১422803
  • বিকল্পের শ্রম নেই- মানে বিকল্প হতে/বানাতে শ্রম লাগে না? সমঝাইয়ে প্লিজ
  • r | 121.245.62.196 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:২৮422815
  • সব কথা বোঝবার জন্য নয়, কিছু কথা বাজবার জন্য।

    (এটা মনে পড়েছে। স্যার বলে গিয়েছিলেন। একটু অন্যভাবে)। ;-)
  • tkn | 122.161.164.150 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:২৯422826
  • অ। এটা বুঝলাম, বাজলোও :-)
    আর ঐ কনফিউশনটাও মিটিয়ে ফেলা যায় নিজেকে নামী ভাবলেই ;-)
  • Arpan | 122.252.231.12 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:৩৬422837
  • এইটা আমি বুঝেছি। শ্রমের পুনরুৎপাদন ভ্যালু নেই। :-)
  • stoic | 160.103.2.224 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৫:২৮422848
  • আমি সচরাচর গুরুগম্ভীর টপিক এড়িয়েই চলি, তবে ল্যালা ম্যানিফেস্টো আদ্যোপান্ত পড়ে, একটা লাইনের রেপিটিটিভ ইউসেজ খারাপ লাগল। সে লাইনটা হল 'মৌলিকতা এক অলীক প্রকল্প'। ল্যালা ম্যানিফেস্টো যদি শুধু সাহিত্য বা রাজনীতি কে অ্যাড্রেস করে লেখা হয়ে থাকে, তাহলে আমার খুব বেশী কিছু বলার যোগ্যতা নাই, তবে এই বক্তব্য যদি অল-এনকম্পাসিং অ্যাসপেক্টস এ অ্যাপ্লিকেবল হয়, তাহলে একজন প্রফেশানাল বৈজ্ঞানিক বা গবেষক হিসেবে মৌলিকতা অক অলীক প্রকল্প মানা টা চাপ হয়ে যায়। বহু ল্যালা গবেষক, কলোনিপাড়ায় বা বাহিরবিশ্বে, তথাকথিত পিতার অ্যাপ্রুভাল বা ক্রিটিসিজমের থোড়াই কেয়ার করে কিন্তু খুব মৌলিক কাজকম্ম ও চিন্তাভাবনা করে চলেছে। :-)
  • r | 121.245.62.196 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:২৩422859
  • তবে অন আ মোর সিরিয়াস (এন্ড রেয়ার) নোট, ঈশেনের এই কথার সাথে একমত: "সোজা বাংলায়,....., সোজা ভাবুন, বেসিক থেকে।" যদিও এটা ঠিক নতুন কোনো ল্যাল্যাপন্থা নয়, বিদ্যেসাগর-রামমোহনরাও এর থেকে আলাদা কিছু করেন নি। ওদের ল্যাল্যাপন্থাটা আলাদা ছিল, কারণ সময়টা ছিল আলাদা, কিন্তু খোলস ছাড়ালে হরেদরে একই ব্যাপার।
  • r | 121.245.62.219 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:৩২422870
  • অথবা, ঘুমিয়ে আছে সিসুর বাবা সব সিসুরই অন্তরে। ;-)
  • Souva | 122.162.70.176 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৮:৫২422881
  • লেখালিখি নিয়ে সম্প্রতি নিজের সংগে নিজের কিছু ডায়ালগবাজি চলছিল। কিছুমিছু ভাবনাচিন্তা উঠে এসেছিল। এখানে "ল্যালা ম্যানিফেস্টো'-তে তার কিছু অংশের সমর্থন পেলাম। তাই দিব্বি লাগল।

    মৌলিকতা অবাস্তব প্রকল্প, এটা আমারো বিশ্বাস। এবং একই সঙ্গে, ফর্ম্যলিস্টিক পেশী-আস্ফালন ও তজ্জনিত বিপ্লবিয়ানার ঢংটি তামাদি হয়ে গ্যাছে বলে অনুমান করি। তাই পাতি চলতি ন্যরেটিভের কাঠামো বইরে থেকে অক্ষুন্ন রেখে তাকে ভেতর থেকে ফোঁপরা করে দেওয়াটাই বেশি কাজের বলে মনে হয়। অর্থাৎ, একটি অন্তর্ঘাতমূলক প্রকল্প। আপাত-সারল্যের আড়ালে মহতী কাঠি-প্রচেষ্টা। কিংবা অপচেষ্টা।

    তবে একই সঙ্গে, ফর্মুলেশনের ব্যাপারে আমার আপত্তি আছে। অয়ানর্কিস্ট রেসিপি বলে বোধ হয় শেষ অবদি কিছু হয় না। যে লেখা ফর্ম, কন্টেন্ট, ন্যারেটিভ ইত্যাদিকে ভাঙ্গবে না, স্রেফ উপেক্ষা করবে, সে যে কোনো রকম রেসিপিরও তোয়াক্কা রাখবে না, এটা বলাই বাহুল্য।
  • arjo | 24.42.203.194 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৮:৫৪422892
  • এই টইয়ের উদ্দেশ্য কি ল্যালা ম্যানিফেস্টোর রিভিউ নাকি প্রিন্ট বা নেটে গুরুতে কি করা হবে তার সাজেশন চাওয়া। বুইতে পারি নাই।
  • Somnath | 117.194.196.39 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:০০422903
  • কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই
    কঠোর বিকল্পের ও পরিশ্রম নেই

    এটা শঙ্খ ঘোষ।

    রাঙাদা প্রায় আপন করে নিচ্ছে দেখে বলে দিলাম।

    হ্যাঁ এইটে অনেক দিন ধরে বেজেছিল।
  • r | 121.245.62.219 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:০৫422914
  • ঠিক। প্যারাফ্রেজিংও একধরনের শিল্প রে পাগল! ;-)
  • nitai | 66.57.226.145 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২০:১৩422926
  • 'কেন লিখি' নামে একদা একটা সংকলন পড়েছিলাম। তাতে খ্যাতনামা বাঙ্গালি লেখকে্‌দর লেখার ইন্সপিরেশান নিয়ে নিজেদের মতামত ছিল। দারুন লেখাগুলো, তবে মাণিক বন্দ্যো -র লেখায় একটা ফ্রেস সেদিন থেকে মনে গেঠে যায়--(হয়তো এর থেকে সহজ ডাইরেক্ট ভবে বলা যেত না, ) 'অন্য কে কিছু উপলব্ধি পাইয়ে দেওয়া'। দুটো জিনিস : কিছু উপলব্ধি, আর যাকে 'পাইয়ে দেয়া' হবে সেই টার্গেট পাঠক।
    এই টার্গেট ব্যাপার টা বেশ জালি । আমি যদি লেখক হই, আমি টার্গেট তা জানব না। আমি টার্গেট তার একটা ইমেজ বানাব,তাকে আমার বাইরে হতে হবে অবশ্য, sufficiently realistic হতে হবে , যাতে অস্তিত্ব নিয়ে মোটমুটি নিশ্চিত হওয়া যায়। হয়তো বা চেনাজন মানুষজন এর মধ্যে থেকে মালমশলা নিয়ে, আর অনেক টা করে নিজের সেন্সিবিলিটি গুজে দিয়ে বানানো। ( এই শেষ ফ্যক্টর থেকে উদ্ভুত সন্দেহ: এই পুরো প্রক্রিয়া টাই একটা নাটক, আসলে নিজেকেই চমকে দেওয়ার কৌশল।) কিন্তু মূলত এটি একটি আধা-বিমূর্ত ঝাপসা টার্গেট, যার উপলব্ধির স্তর আমি সঠিক জানি না। তাই আমার aim নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা আছে, আমার লেখার হাত সামান্য দ্বিধায় কাপা-- আর এই নড়বড়ে পনা, এই মিস করার টেনশন টাই, আমাকে original হতে বাধ্য করাবে,আমি নিজেকে ছাপিয়ে(পান নট ইন্টেন্ডেদ) উঠতে পারব।
    আজ্‌কাল প্রচুর লোক লিখছে, হুলিয়ে লিখছে, নেটে, পাব্লিক ফোরমে, ব্লগে। সেখানে instant appreciation মিলছে বটে, কিন্তু পাঠকের থেকে দুরত্ব এতই কম, টার্গেট এর মুখ গুলো এত বেশী চেনা, যে ভাল লেখাও পাতি কমিউনিকেশনে দাড়িয়ে যায় কিছুদিন পর, লেখার ঊত্তরন তা হয় না। তাই ওপ্তিমাম দুরত্ব বেছে নেওয়া উচিত, যেখনে দুরত্ব তা অতিক্রম করার একটা চ্যালেন্‌জ থাকবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন