এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিকল্প লেখাপত্তর, কি লিখব কেন লিখব

    Ishan
    অন্যান্য | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ১১২৯৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • nyara | 64.105.168.210 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:০৩422728
  • প্রখ্যাত সমালোচক বিষ্ণু আখাম্বা যাকে বলেছেন "ভূমার যূথবদ্ধতা" বা মাইকেল সলিলোস্কির ভাষায় যা "irreversibility of the outlier", আমাদের আলোচ্য বিষয়ে তারই নিদর্শন দেখা যায় বার বার। ইদ্রিন নাটবোল্টের 'হ্যামলেট' প্রযোজনা দেখে সফি মহম্মদ গুলের যেমন মনে হয়েছিল, 'আলোকবর্তিকার সঞ্চারমান পদধ্বনি', তেমনই আমরা তো এও জানি যে ঠিক ঐ একই প্রযোজনা দেখে লিন টাও কোনভাবেই বিষয়ের সামগ্রিকতায় আকৃষ্ট হননি। আসলে দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আঙ্গিকের এক স্বত:উচ্চারিত বিবর্তনের আকাঙ্খা আছে। কোথাও স্বোচ্চার, আবার কোথাও নিরুচ্চার। শব্দ দিয়ে দৃশ্যাবলীর জন্ম ও দৃশ্য দিয়ে কাব্যসৃষ্টি - মুহূর্মুহূ বিষয়টির গভীরে, আরও গভীরে আমাদের নিক্ষেপ করে। আদ্রিয়ান ডাঁ শাঁ বোধহয় একেই the grand narrative of the ablutive present বলে অভিহিত করেছেন। জীবনের পাঠ এখানেই। লেখার আঙ্গিকও।
  • sibu | 71.106.234.63 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:০৮422729
  • ও ন্যাড়া, এ সব কি কইলে। বুড়া মানুষ, এ যে কিচু বুঝতে পাইলাম না। ভূমা কি হাতি, যে যুথবদ্ধ হবে?
  • arjo | 24.42.203.194 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:৪৪422730
  • ন্যাড়াদা এটা ঠিক কাকে ঠুকল সেটা বোঝা গেল না। হতে পারে সবাইকে, হতে পারে টইকে, আর কি হতে পারে সেটাও ঠিক বুঝি নি।
  • sibu | 71.106.234.63 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:৪৭422731
  • তাই বল :))))))। আমি ভাবলুম ন্যাড়াও বেলতলায় এল।
  • arjo | 24.42.203.194 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:৩০422732
  • যা মনে হচ্ছে পোস্কার করে বলেই দিই। পস্ট কথা কস্ট নেই। ইংরিজি কোটেশন তো ন্যাড়াদার লেখায় আগে দেখি নি, তাই মনে হল আমার লেখা দেখেই হয়ত এই পোস্ট। তো, একটাই কথা বলার যদি মনে হয় পাকামি করেছি তাহলে ঐ টইটা খুলে বললে আমার ভালই লাগবে। যদি সাথে এটাও বলা থাকে কেন পাকামি করেছি। আর যদি যা মনে হচ্ছে ভুল হয় তাহলে প্লিজ ইগনোর।
  • h | 203.99.212.224 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:৫৯422733
  • আর্জো, আমার মতে সবাই সবাইকে আমাকে প্যাঁক দেওয়ার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করছে। এটাকে চক্রান্ত বলা যেত, কিন্তু বলে লাভ নেই, কারণ অনেকেই বন্ধুবান্ধব। আজকে নতুন নয়, অনেক দিন ধরে। আপাতত: এই ন্যাড়া-ই ঐতিহ্যটা ধরে রেখেছে :-) এখন তোর আমার একটা ঝগড়া হওয়া উচিত, এই মহান প্যাঁকটি কাকে উদ্দেশ্য করে লেখা সেটা নিয়ে:-) অথবা ইগনোর করা যায়। দ্যাখ কী করবি। আমার মতে ইগনোর করা যায়। প্রাইমারিলি আনইম্পর্টান্ট। কারণ অন্তত: আমার ইন্টারেস্ট বা দৃষ্টিভঙ্গী বদলে দেওয়ার মত কোন বড় মাপের আর্গুমেন্ট কিসু আসে নি। কন্ডুয়ন হয়েছে, পরেও হবে। কী এসে যায়।
  • h | 203.99.212.224 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৫:১৯422734
  • অভিজ্ঞতা আর পেপারের ব্যাপারটা আর্জো, আমি হয়তো বোঝাতে পারিনি। পড়াশুনো কম থাকলে বোঝাতেও অসুবিধে হয়। চেষ্টা করছি।

    বিষয়টা হল, পশ্চিমবঙ্গের পোলিটিকাল সিচুয়েশন নিয়ে আর্গুমেন্টে, আমরা হয়তো ইম্পার্সোনাল হতে পারি না, কারণ অভিজ্ঞতা অনেক ক্ষেত্রেই হয় দু:সহ নইলে এক্সট্যাটিক। তার সঙ্গে নিজেদের যৌবন কৈশোর কে ডিফেন্ড করার একটা সহজাত তাগিদ থেকে হয়তো যায়। রেয়ার কেসে যায় না। সেই সব রেয়ার কেসের মধ্যে আবার কিছু কেস থাকে, যেখানে লেখক সেল্ফ ডিনাইয়াল টাকে আর্টের পর্যায়ে নিয়ে যায়, পোলিটিকালি। তাতে বামপন্থী বা দক্ষিনপন্থী কোন আইডিয়ালিজম এর কোন উপকার হয় না, উষ্মা নিষ্কাশন ছাড়া কিসু হয় না, এমনকি অ্যাপলিটিক্স বা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পজিশনটারো বিশেষ খুব একটা উপকার হয় না। যেমন ধর কন-বেন্ডিট, বিয়ন্ড ১৯৬৮বলে যে বই লিখেছে তাতে অ্যাপারেন্টলি, নিজেদের ১৯৬৮ র ছাত্র আন্দোলনকে বোগাস বলেছে। সে যাক গে, আমার কথা হল অভিজ্ঞতা ইম্পর্টান্ট। কিন্তু একটা ডিবেটে, অভিজ্ঞতাই একমাত্র এভিডেন্স হতে পারে না। ধর একটা ছেলে বা মেয়ে, ছোটো থেকে দেখেছে, বাবা কে ইউনিয়ন করতে। কারখানায়। এর পরে তার জন্য যখন চাকরি গেছে, সে অর্গানাইজ্‌ড পলিটিক্সের উপরে রেগে গেছে। গিয়ে ধর সিপিএম এর উপরে রেগে গেল, তার পরে বয়সকালে কোন একটা এলিট কলেজে পড়ার সময়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে ধর লেফ্‌টওয়ার্ড অর রাইটওয়ার্ড র‌্যাডিকালাইজ্‌ড হল। কিন্তু অর্গানাইজ্‌ড পলিটিক্সের বিরুদ্ধে বক্তব্য টার রেশ-ও রয়ে গেল। ইত্যাদি। এবার সে যদি সেই র‌্যাডিকালাইজ্‌ড অবস্থাতেই বিতর্কে অংশগ্রহণ করে তাহলে মুশকিল আছে কারণ আর কারো কোনো অভিজ্ঞতাকে সে গুরুঙ্কÄ দিতে চাইবে না, কারণ তার পোলিটিকাল পজিশন পুরোটাই নিজের অভিজ্ঞতা, এবং তার বাইরে সবটাই মিনিংলেস বা এসোটেরিক। এখন এটাতে কার উপকার আমার জানা নেই। ধর কেউ যদি বলে তুই দক্ষিন আফ্রিকার কালো লোক নোস, তাই তুই অ্যাপারথাইডের বিরুদ্ধে কথা বল্লে তার কোন ভ্যালিডিটি নেই, বা তুই প:ব: তে থাকিস না বলে সিপিএমের পোলিটিক্সের বিরোধিতা করতে পারবি না, সেটা বোগাস পজিশন। ইন্টারেস্টিং হল আমাদের এখানকার পরিচিত স্কিজম-এ বিভিন্ন বোগাস পজিশনের দেওয়া নেওয়া চলে। এবং অভিজ্ঞতার বিভিন্নতা নিয়ে বেচকেনা চলে, লোকে স্ট্রেট গুল মারে। ডিপেন্ডিং অন পজিশন। খুব-ই বাজে।

    একটা চিন্তাশীল মানুষ, এবং অভিজ্ঞতায় দীর্ণ বা পোড় খাওয়া মানুষ এই চক্রবৎ আলুচনার বাইরে না বেরোতে পারলে মুশকিল।

    আমার নিজের ক্ষেত্রে বলতে পারি, স্বপ্নভঙ্গের কৈশোর ও যৌবনের পরে, এই বেরোতে পারার একটা কনশাস আগ্রহ আমাকে অভিজ্ঞতা থেকে পেপারের দিকে নিয়ে গেছে;-) যেহেতু এটা আমার পজিশন আই অ্যাম শিয়োর এটা অনেকের কাছেই বোগাস হবে, তাতে কী এসে যায়। বক্তব্যের ভ্যালিডিটি একদিনে , একটা আর্গুমেন্টে শেষ হয়ে যায় না, ওভার আ পিরিয়ড হয় বাড়বে নয় কমবে। দেখা যাক :-), কমলে আবার পড়া শুনো শুরু করা যাবে। নতুন করে।
  • sibu | 71.106.234.63 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:৩৬422735
  • আমার ঘুম পাচ্ছে না বলে খুব পোশ্নো পাচ্ছে। আর সে পোশ্নো আমি করবই করব।

    আমার পোশ্নোটাকে এই সুতোর হিসেবে মেটাপোশ্নো বলা যায়। কথা হল - কি লিখি, কেন লিখি এই আলুচান্নায় কার কি লাভ। আমার মনে হয় না কোন ক্রিয়েটিভ লেখক এই সব ভেবে লেখেন। লেখাটা যাস্ট হয়ে যায়। আমি একথা বলতে চাই না যে সব লেখকই বাল্মিকী, একদিক দিয়ে ইন্সপিরেশন আসে আর অন্যদিক দিয়ে ট্যারালাপ, ট্যারালাপ করে পদ্য, কবিতা, পোবোন্ধো বেরোতে থাকে। বরং ঠিক উল্টোটাই। ইন্সপিরেশন থেকে কম্পোজারের টেবিল পর্য্যন্ত পৌঁছতে অনেক ঘাম ঝরে, আর মনোযোগী বিদগ্‌ধ পাঠক আতর, চন্দনের সুবাস ছাড়িয়ে লেখার শরীরে সেই ঘামের গন্ধ পান। একটা ভাল লেখা দাঁড়া করানোর চেয়ে একটা প্রোগ্রাম লেখার পরিশ্রম কম। এবং দুটোর গড় পারিশ্রমিক ও স্বীকৃতির তুলনাই হয় না। সুতরাং, একজন লেখক, গড়পরতা লেখক, তার লেখা হল যাকে বলে লেবার অফ লাভ। লেখার বিষয় সম্পর্কে অ্যাটাচমেন্ট (বা লাভ) একটা লেভেলে না পৌঁছলে, সেই লেবার দেবার জন্য নিজেকে রাজী করানো যায় না। আর বিষয় সম্পর্কে এই ভালবাসা কনভিন্স করে হয় না। খুব ক্লিশেড, হ্যাকনীড ভাষায়, মাথার ভেতরে বোধের জন্ম, যে বোধ হল লেখার সূচনা, ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন করে হয় না।

    তবে কি আমি কি লিখি, কেন লিখি - এই আলোচনার বিরোধী? একেবারেই না। প্রথম কথা, একজন লেখক যখন এই ধরনের কিছু লেখেন, উই গেট এ রেয়ার গ্লিম্পস ইন হিস কিচেন। এখানে আমার আপত্তি হল এই ধরনের রচনাকে লেখকের রেসিপি বুক বলে ধরে নেওয়ায়, যে রেসিপি বই ধরে কাজ করে গেলেই অন্য একজন লেখকও লিখতে পারবেন।

    অন্য দিক দিয়ে, এই ধরনের আলোচনা কোন কোন লেখকের ইন্সপিরেশনের কাজও করতে পারে। এটা বলা যায় না, কমিউনিস্ট পার্টির সভ্য সব লেখকের জন্যই পার্টির গাইডলাইন শুধু ক্ষতিই করেছিল। বছর তিরিশেক আগে পর্য্যন্ত, অর্থাৎ ওয়াল স্ট্রীটের ধামাধরা নিও ক্লাসিসিস্টরা (এবং মিডিয়া) স্বার্থপরতাই গ্রেটেস্ট ভার্চু বলে আমাদের কনভিন্স করে ফেলার আগে, নিপীড়িত মানুষের জন্য লেখা বা কাজ করা খুব শক্তিশালী অনুপ্রেরনা ছিল। এখানে আমার আপত্তি হল, কি লিখি কেন লিখির আলোচনা থেকে লেখার একটা ডি ফ্যাক্টো স্ট্যান্ডার্ড তৈরীর চেষ্টা করায়। মানিক বাঁড়ুয্যে বা গর্কী প্রলেতারিয়েত ও তার অগ্রবাহিনীর জন্য লিখতে ভালবাসেন সে বেশ কথা। যতক্ষণ পর্য্যন্ত সে লেখা 'রসাত্মক বাক্য' হয়ে উঠছে, আমার সে লেখা পড়তে ভাল লাগবে। কিন্তু কেউ যদি বলার চেষ্টা করেন যে প্রলেতারিয় বিপ্লবের পক্ষে লেখেননি বলে সুধীন দত্তের কবিতা কাব্য পদবাচ্য হয় নি, আমি তাঁর বক্তব্যে মুতে দেই।

    এখন প্রলেতারিয় অ্যাস্থেটিকস তৈরীর চেষ্টায় যে যূথবদ্ধতা, ল্যালা অ্যাস্থেটিকস তৈরীর চেষ্টাতেও আমি সেই একই রকম যুথবদ্ধতা দেখতে পাই - এবং আমার আবার হিসি পায়।
  • nyara | 64.105.168.210 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:১৮422736
  • আর্য্য কেস খেয়ে গেল, কিন্তু প্যাঁক দেবার জন্যে লিখিনি। তথাকথিত প্রবন্ধ-ভারী পত্রিকায় পাতার পর পাতা আমি এইরক সব প্রবন্ধ পড়ি। দু-চার লাইনের পর আর এগোন যায় না। এই ধরণের লেখা যদি সাবজেক্ট-স্পেসিফিক অ্যাকাডেমিক জার্নালে বেরোয়, তাহলে আমার কোন বক্তব্য নেই। সেই বিষয়ের ব্যাপারে পাঠকদের জ্ঞানগম্যির একটা বেসলাইন ধরে নিয়ে প্রবন্ধ ফাঁদা যায়। কিন্তু সাময়িক পত্রে - সে যতই উঁচকপালি, পশ্চাৎপক্ক হোক না কেন - এ ধরণের প্রবন্ধ একধরণের দেখনদারীতে পর্যবসিত হয়। এ যেন লেখকের "দেখ, আমি কত জানি, কত পড়েছি" ব্যানার টাঙানো। পাঠাকের কাছে আদৌ পৌঁছনো গেল কিনা, সে সম্বন্ধে তারা নির্বিকার। এরা সেই 'আমি শুধু সিলেক্ট ফিউয়ের জন্যে ছবি করি'-বলা আতাক্যালানে, কমপ্লিট-ফেলিওর আর্ট-ফিল্ম মেকারের প্রাবন্ধিক কাউন্টার-পার্ট।

    সেই ভালো প্রবন্ধ লেখক, যে বহু পড়াশুনো করেছে, কিন্তু সেটা প্রচ্ছন্ন রেখে আত্মস্থ পড়াশুনোকে নিজের অভিজ্ঞতা আর অবজার্ভেশনের সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে নিজের মতন একটা জিনিস দাঁড় করাতে পারেন। পাঠকের কাছে ঠিক কতটা ব্যাকগ্রাউন্ড ওয়ার আশা করা যেতে পারে, সেটা প্রাবন্ধিকের বিচক্ষণতার পরিচয়। কোন সাবজেক্টে স্পেশালিস্ট হলেই সেই সাবযেক্টে ভাল প্রাবন্ধিক হবে, এরকম ভাবাটাই ভুল। প্রবন্ধও একধরণের ক্রিয়েটিভ রাইটিং ফর্ম।

    কোটেশন ব্যাপারে আপাতভাবে আমার কোন প্রবলেম নেই। কিন্তু আজকালকার তথাকথিত বহু প্রবন্ধ পড়লে মনে হয়, বুক-অফ-কোটেশন। এখনে থেকে খামচা, ওখান থেকে খামচা নিয়ে দাঁড় করানো। যেন বড় লোকের নাম করে কোটেশন দেওয়া, নাটকের ভাষায় যাকে বলে 'কাটান দেওয়া'।

    তবে হয়তো এটাই এখন পিতার স্টাইল।

    (পরে ধৈর্য্য ফিরে এলে, আরও দুকথা লেখা যাবে। বোর হয়ে গেছি।)
  • ranjan roy | 122.168.240.247 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:৪২422738
  • কি আশ্চর্য্য! আজ আমিও আজ্জোর মত হনুর দুটো পোস্ট পড়ে স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি এবং সহজেই একমত হলাম, যেন আমারই কথা।
    ন্যাড়াবাবুর ক্যালাচারুস্কি ও গডফ্রিনে্‌জন দের ""আড্ডাপাড্ডা-বাড্ডাপাড্ডা সিন্ড্রোম'' নিয়ে নন্দনতাঙ্কিÄক বিশ্লেষণ খুব উপভোগ করেছি।
    আর শিবুর সঙ্গে যুথবদ্ধ হয়ে বিশেষ বিশেষ বক্তব্যের ওপর জলত্যাগ- নিষ্ঠীবন ত্যাগ করার জন্যে প্রেরণা পেয়েছি।
    কিন্তু মোদ্দা কথাটা হল আমার কিছু বলার আছে। হয় কোন নতুন কথা, নয় কোন পুরোনো কথা নতুন ভবে বলতে চাই।
    তাই না- লিখে পারিনা।
    কিন্তু কেমন করে বললে লোকে আমার কথা শুনবে এবং বুঝবে?
    এই চিন্তা থেকেই আঙ্গিকের ভাবনাটা মাথায় আসে, কোন লেখক, (যত বালস্য-বাল হরিদাস পালই হোক না কেন) এড়িয়ে যেতে পারে না।
    আর হনু'র ঐ কথাটা। কোন লেখা মনে হয় যে একটি বিশেষ ইউনিক ফর্মেই পাঠকের কাছে ধরা দেবে, নইলে নয়।
    তবে কোন পাঠকদের জন্যে লিখবো এটা লেখকের absolute right এর এক্তিয়ারে পড়ে। হনু আর শমীক-রঞ্জনের উদ্দিষ্ট পাঠককুলের মধ্যে তফাৎ থাকতেই পারে।
    এ নিয়ে কোন কথা হবে না।
  • arjo | 24.42.203.194 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:০৮422739
  • এই তো ন্যাড়াদা ভালো করে লিখেছে। ভালো লাগল। আরও ভালো লাগত ঐ বুলবুলভাজার টইতে লিখলে। পরের বার লিখলে মাথায় রাখব সব কমেন্ট।

    তবে কবে ভালো প্রাবন্ধিক হব আর তবে এসে প্রবন্ধ লিখব সেটা পিতার ভাষা কিনা জানি না, তবে পিতার নিয়ম, তাহলে আর গুরু কেন?
  • nyara | 64.105.168.210 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:২৩422740
  • আর্য্য অল্প ভুল বুঝছ। তোমার বুলবুলভাজা সম্বন্ধে আমার কোন মন্তব্য নেই। আমি যে দেখনদারী প্রবন্ধ বলেছি ওটা সেই ক্যাটেগরিতে পড়ে না। পরিষ্কার বোঝা গেছে। ফর্ম নিয়ে কোন বক্তব্য নাই। এই থ্রেডে যা বলছি সেটার সঙ্গে গুচর অন্য লেখার রেফারেন্স এখনও কিছু নেই। এলে স্পেসিফিকালি বলে দেব।

    আমার বক্তব্য পাঠককে ঠিক কতটা বুদ্ধিমান ও এরিউডাইট ভেবে প্রাবন্ধিক লেখা শুরু করবেন, সেই নিয়ে।
  • arjo | 24.42.203.194 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:২৯422741
  • আচ্ছা বুঝেছি।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৬:৩২422742
  • ন্যাড়াদাকে সমর্থন। কেন সমর্থন বুইতে হলে এই লেখাটি পড়ুন। প্রথম চার পাতা। (আমি প্রথম চার পাতা পড়েছি, তার পরে অবশ্য সারগর্ভ কিছু থাকতেও পারে, গ্রান্টি নেই।)

    http://www.pragoti.org/pragoti/archive/culture_academia.pdf

    আগে পড়ুন, তাপ্পরে বাকি কথা। তার আগে দুটো ছোট্টো ডি:। এক। সাইটটা সিপিএম ঘেঁষা বলে বা পোমোদের গাল দিয়েছে বলে আমার কোনো প্রবলেম নেই (মানে এক্ষুনি নেই, পরে থাকলেও থাকতে পারে)। জাস্ট লেখাটা নিয়ে কমেন্ট করছি।
    দুই। লেখিকাকে নিয়েও কোনো কমেন্ট নাই। শুধু ওনার এই লেখাটিকে নিয়েও মন্তব্য।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:৩৮422743
  • হ্যাঁ, যা বলছিলাম। লেখাটি পুরোটা না পড়ে লিংক দিয়ে দিলাম, যার-পর-নাই অনুতাপানলে দগ্‌ধ হবার কারণে একটা লম্বা কলের মধ্যেই বাকিটা পড়ে ফেললাম। পড়ে বুঝলাম যে আমার চার পাতা পড়ার পর আর না এগোনোর পূর্বতন সিদ্ধান্ত এক্কেবারে সঠিক ছিল। এই সেই ধরণের লেখা, যা মূলত: কোটেশনের বান্ডিল, লিস্টি বললেও হয়, যার অনুষঙ্গে আমার কদিন আগে ফর্দের কথা মাথায় এসেছিল। একে ফর্দ বললে অবশ্য কলির ফর্দের অপমান করা হয়। :) অতএব ফর্দ না, অন্যভাবে বলা যাক -- এই সেই ধরণের লেখা, যাতে ম্যাগাজিনগুলি ইদানীং ক্রমশ: ভর্তি হয়ে যাচ্ছে, এবং এদেরকে "ইন্টেলেকচুয়াল গার্বেজ' এর বেশি কিছু বলা যায়না। এতে কোটেশনের অতিরিক্ত কোনো বাক্য নাই। কিন্তু কোটেশন চয়নেও কোনো ক্রিয়েটিভিটি লেশ নাই। কলির ফর্দ তো বটেই, এমনকি রেড-বুকও এর চেয়ে ভালো। দেশ-বিদেশের গুরুদের বচনের এই খামচা-মারা চয়নটি পড়ে বোঝা গেল, যে, লেখিকা পড়েছেন বিস্তর, সম্ভতত: ঠিকঠাক হজম হয় নাই, তাই সেগুলি উগরাইয়া লোককে চমকে দেবার প্রবণতাটি উনি ঠিকঠাকই অর্জন করেছেন।

    পড়ে লোকে চমকাবে ঠিকই। আপনি আমি ল্যালা, ইংরিজি শুনলে জিভ থেকে জল ঝরবেই, বলব, দেকেচ, ক্যামন ইংরিজি পড়েচে, এতো কদিন বাদে সায়েবদের মথায় হাগবে। :) নতুন কিছু না, হারবার্টের ইংরিজি শুনেও লোকে চমকাত। সেখানে যেমন, এখানেও তাই, কনটেন্ট নয়, ইংরিজিটাই মুখ্য। সব মিলিয়ে কিছু বলা গেল কি গেলনা, তাতে কিইবা গেল এল। মূর্খ ভারতবাসী, মেথর ভারবাসী, চামার দেশোয়ালি ভ্রাতা ও ভগিনীবৃন্দ চমকাইলেই হইল। :)

    এই ইংরিজি কোটেশনস্বর্বস্বতাই হইল কলোনিবাসীর ল্যালাপনা। এইই আমার অ্যাজেন্ডা।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:৪৭422744
  • এবং এতদ্বারা আমি আর্যর এবং বোধির থিসিসের বিরোধিতা করে (আর্যর বুলবুলভাজার নয় কিন্তু) বলছি, আগে পড়াশুনো, তারপর আঙ্গিক, ইহাদের মধ্যে এইরূপ সরল সিকোয়েন্স বিরাজ করেনা। আঙ্গিক অর্থে আপনারা শুশু লেখার আঙ্গিকের কথা ভেবেছেন, কিন্তু লেখার আঙ্গিক আকাশ থেকে পড়েনা। লেখার আঙ্গিক আসলে পড়ার আঙ্গিক থেকেই আসে। একটা টেক্সটকে আপনি কিভাবে পড়ছেন, পুজো করছেন, না জাজ করছেন, সেটা আপনার পড়ার আঙ্গিক। এবং সেটা সরাসরিভাবে প্রভাবিত করবে আপনার লেহার আঙ্গিককে।

    এই লেখাটিকেই দেখুন। এই লেখাটি কেন ফেল করেছে? লেখিকা যথেষ্ট পড়াশুনো করেননি? কোন বাপের ব্যাটা বলবে পড়েননি? বরং উল্টোটাই, প্রচুর প্রচুর পড়েছেন। কিন্তু তাঁর পাঠের আঙ্গিকটি কোটেশন চয়নের। পরীক্ষার পড়া করার। ধুপধুনো দিয়ে পুজো-আচ্চা করার। সেই আঙ্গিক ছাপ ফেলেছে তাঁর লেখায়ও।

    পড়া-এবং লেখা, আঙ্গিক এবং বিষয়, এরা তাই আলাদা কোনো বস্তু নয়। একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। আগে পড়ুন, প্রথমে মেটিরিয়াল জোগাড় করুন, তারপর এক্সপ্রেশন নিয়ে ভাববেন, ওটা আসলে হয়না। ও দুটো একসঙ্গেই আসে। আপনি যেভাবে পড়বেন, সেভাবেই লিখবেন। অন্যরকম হয়না। হবেনা।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:৫২422745
  • এবং আমার বক্তব্যকে যদি কেউ টোটালিটারিয়ান আখ্যা দিয়ে থাকেন, তাঁকে ১০৮ বার দুয়ো। ঋত্বিক বলেছিলেন, ভাবা প্র্যাকটিস করুন, ঋত্বিক কিভাবে ভাবতে হবে বলে যাননি, কোনো গাইডলাইন দেননি, অতএব ঋত্বিক টোটালিটারিয়ান নন। আমি ক্রিয়েটিভ হতে বলছি, পিতার শেখানো প্রকরণগুলিকে অস্বীকার করতে বলছি, ঢাল-তরোয়ালের অভাবে, প্রয়োজনে সাঁড়াশি আর ছেঁড়া টায়ার নিয়ে যুদ্ধে যাবার ডাক দিচ্ছি, কিন্তু কিভাবে ক্রিয়েটিভ হতে হবে, তার কোনো গাইডলাইন দিচ্ছিনা। সাঁড়াশির বদলে ছেঁড়া চপ্পল আর টায়ারের বদলে সেফটিপিন নিয়েই আসুন না, আটকাচ্ছে কে?

    ব্যস। এই হল গপ্পো। আপাতত:।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:৫৬422746
  • অনেক বানাভুল আছে, অ্যাজ ইউজুয়াল। একটা মারাত্মক। শুশু নয়, ওটা শুধু। :)
  • arjo | 24.42.203.194 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:৩৮422747
  • ১। ঈশান যা বলল তার সাথে হানুদা যা বলেছে তার কোনো বিরোধ দেখলাম না।

    ২। উদাহরণ দিয়ে কিছু প্রমাণিত হয় না। ঈশানের দেওয়া লিংকটি বাজে লেখা। তেমনি খুব ইন্টারেস্টিং (মানে ফর্মটা বলছি), কিন্তু পড়ার শেষে খুব কিছু পাওয়ার নেই এমন লেখাও প্রচূর আছে। পড়াশুনো করলেই ভালো লেখা যাবে সেটা ঠিক নয়। কিন্তু পড়াশুনো চালিয়ে না গেলে এক সময়ে লেখার মান পড়তে থাকে, রিপিটেশন এবং ফর্ম ছাড়া আর কিছুই দেবার থাকে না। এটাই মনে হয় বক্তব্য। অন্তত আমার।

    ৩। কিভাবে পড়বেন, কিভাবে ভাববেন, কিভাবে লিখবেন এই নিয়ে কোন স্ট্যান্ডার্ড রেসিপি হয় না। ভিভ রিচার্ডসকে একবার একজন ব্যাটিং স্টান্স কেমন হওয়া উচিত তাই নিয়ে জিগ্যেস করেছিল। রিচার্ডস বলেছিল ব্যাটটা মাটি থেকে তুলে নিয়ে তুমি যেমন ভাবে দাঁড়াবে সেটাই তোমার স্টান্স। তেমনি কেমন করে পড়বে, কেমন করে ভাববে, কেমন করে লিখবে সেই নিয়ে কোন স্ট্যান্ডার্ড ফর্মা হয় না। সেটা যার যার নিজের। অতএব আগে পড়ে, তারপর চোতা তৈরী করে, তারপর ভেবে, তারপর বিষয় তৈরী করে লিখবেন না, পড়তে পড়তে, ভাবতে ভাবতে, স্টিকি নোটে লিখে ফেলবেন, সেটা যার যার নিজের।

    ৪। ক্রিয়েটিভ হবার সাথে পড়াশুনো চালানোর কোন স্ববিরোধ নেই।

    ৫। শুশু লেখাটা হেবি হয়েছে। :)))))
  • tatin | 130.39.149.88 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:৩৯422749
  • কেন লিখবো তর একটা ভালো কারণ অমর কাছে বহুদিন বিদ্যমান: মামণিদের ইমপ্রেস করতে। নেহাৎ লেখেন বলেই তো হুমায়ুন অহমেদ বৃদ্ধবয়সে মেহের আফরোজ শাওন-কে শয্যাসঙ্গিনী করতে পরলেন।

    আর কী লিখবো তারও উত্তর একটাই: যাতে মামণি পটে।

    তবে মামণি পটানো একটা খন্ডিত এক্স্যাম্পেল হয়তো, লিখবো টার্গেট অডিয়েন্স-কে ইম্প্রেস করতে, সেটা মামণি, আবাপ পাঠক, হিন্দমোটোর শ্রমিক, আমেরিকাবাসী, হোমো-সম্প্রদায়, আল্লহ্‌, ব স্বয়ং নিজে যেই হোক না কেন- আর ত-ই লিখবো যাতে সে ইম্প্রেস হয়।
  • sibu | 71.106.234.63 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:৫৭422750
  • যদি টোটালিটারিয়ান আখ্যা দিয়ে থাকেন!! কি নেকুপুষু কথা মাইরি। দিয়ে থাকেন কি, দিয়েছেন।

    আজ অবধি কোন টোটালিটারিয়ান যেন নিজের মুখে বলেছে আমি টোটালিটারিয়ান। বরং টোটালিটারিয়ানরা তো সব সময়েই বলেছে - দেশের জন্য লেখ, প্রলেটারিয়েটের জন্য লেখ, ল্যালাদের জন্য লেখ। অবিশ্যি আমি যদি তোমার লেখা অ্যাপ্রুভ না করি তাহলে তুমি বিদেশীর/বুর্জোয়ার/পিতার দালাল। কিন্তু কি করলে আমি তোমার লেখা অনুমোদন করব, হেঁ হেঁ ..., সে আমি বলব কেন? আমি কি টোটালিটারিয়ান?
  • h | 203.99.212.224 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:০০422751
  • ইশান মৌলিকতার একটা সংজ্ঞা দাঁড় করাচ্ছে, এমন সব এগজিট আর এϾট্র পয়েন্ট দাঁড় করাচ্ছে যে ক্যাটিগরিটা তে ওর নিজের প্রিয় নতুন লেখক লেখিকারা ছাড়া কারো আর কারো পড়ার জো নেই। একটু যদি সম্ভাবনা হয়েও থাকে, খুব-ই ভঙ্গুর, কারণ সেট যেকোন মুহুর্তেই পিচলে এতে পারে, কারণ ব্যক্তি ইশেনের কখন কী পড়তে ভালো লাগবে তার কোনো ম্যাপ সম্ভব নয়। ইত্যাদি। এমনকি এই ক্যাটিগোরাইজেশনের কাজটি-ও বেশ পুরোনো। প্রতিটা লোক যে কিনা এক লাইন-ও লিখেছে বা ভেবেছে, পৃথিবীর যে কোন জায়গায়, প্রায় যে কোন সময়ে, সে দুরকম ভাবে তার আশে পাশের রিডিং মেটেরিয়ালের উপরে কমেন্ট করেছে, গ্রহণ ও বর্জন। এটাঅ হয়েই থাকে, এটা নিয়ে উত্তেজিত হওয়ার কিছু হয় নি। চিরশ্রীর লেখার সমালোচনাটা তাই প্রাইমারিলি ব্যক্তিগত হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যার সঙ্গে লেখাটার বিন্দুমাত্র কোন সম্পর্ক নেই। ইশানের মূল অভিযোগ যদি হয়ে থাকে, চিরশ্রী-র লেখাটাতে, নিউ লেফটদের সময়কার বা তার পরেকার মার্কসিস্টদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, তাহলে বলতে হয় এই 'ইউরোপীয় প্রভাব' প্রতিটি সেল্ফ রেস্পেকটিং কলোনী প্রেমীর ছত্রে ছত্রে রয়েছে। ইউ নেম ওয়ান। কিন্তু ইশান এইসব বিষয় গত আলোচনা কিসু করেনি। শুধু যুক্তিহীন এবং তথ্যহীন কতগুলো প্রখর সমালোচনামূলক সংক্ষিপ্ত বাক্য রচনা করেছে, যেটা আসলে একটা 'খালি খালি খিদে কেন পায় রে' প্রশ্নের উত্তর-ও হতে পারে।

    প্রবাদপ্রতিম পন্ডিৎ রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য মশাই এর একটা প্রবন্ধ রয়েছে, বিনির্মান নির্মান নামক প্রবন্ধ সংগ্রহে। সেটাতে তিনি পোমো দের খুব তুলোধোনা করেছেন। ইত্যাদি। কিন্তু লেখাটা ইশানের এই চিরশ্রীর লেখার সমালোচনার গোত্রীয়। কোনো বিষয়ানুগ বক্তব্য নেই। শুধুই উষ্মা আর ব্যঙ্গ ভাব সম্প্রাসরণ। আমার মনে হয়েছিল, বেসিকালি একজন পন্ডিৎ লোক নতুন থিয়োরীর বই গত বিশ তিরিশ চল্লিশ বছরে যা বেরিয়েছে, সেগুলো একটু কম পড়েছেন বলে, যাঁরা পড়েছেন তাঁদের উপরে ভয়ানক রেগে গেছেন। এটা অনেকটা স্যুট প্রেমীর সঙ্গে জিন্স প্রেমীর ঝগড়ার মত, মিনিংলেস বা বলা যায় মূলত: বড়বাজারের সঙ্গে মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড কারির বিতর্কের গোত্রের।রিডিউসড বাই অ্যাপ্লিকেশন।

    এবং বিভিইন্ন ধরণের মার্ক্সবাদীদের সঙ্গে বিভিন্ন গোত্রের পোকো পোমো দের বিভিন্ন ধরণের এসোটেরিক ঝগড়ায় অংশগ্রহণ করে ইশান যেটা করছে, শুধু পিতা নন এমনকি ছোটোকাকুদের সামনেও গলবস্ত্র হচ্ছে। দরকার আছে কী? চিন্তার ফ্রেমওয়ার্ক নতুন না পুরোনো তাতে আমার বেসিকালি কিছু এসে যায় না, এস্থেটিক দিক থেকে।
  • h | 203.99.212.224 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:০৪422752
  • এবং পোলিটিকাল দিক থেকে, টু বি অনেস্ট।
  • h | 203.99.212.224 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:৪০422753
  • উদ্দিষ্ট পাঠককুলের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। মিনিমাম দু ইঞ্চি দাড়ি না থাকলে কিম্বা সপ্তাহে এক দিনের বেশি চান করলে আমার লেখা পড়া যাবে না, এরকম ঠিক নয়:-)

    তবে আমি কে পাঠ করবে আমার লেখা সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত নই। কি লিখবো, কখন একটু সময় করে বসে লিখতে পারবো, পড়তে পারবো এই সব নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। মাথায় ফাঁকা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। পাঠক পড়তায় পোসালে আমার লেখা পড়বে নইলে পড়বে না। বয়ে গ্যাছে।
  • arjo | 168.26.215.13 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:৪৩422754
  • এই যে কাল রাতে খুঁজে পাই নি বলে উদাহরণ দিতে পারি নি। চমকে দেওয়ার মতন ফর্ম, পড়তেও মন্দ লাগে না। কিন্তু পড়ার শেষে বুঝতে পারি না ঠিক কি (নাকি কী) বলার ছিল। বা বহু কিছু বলার ছিল কোনটাই দানা বাঁধে নি।

    http://www.anandabazar.com/archive/1070826/26rabipro.htm

    তবে হানুদাকে বলার ছিল। ঐ যে লিংকটা ঈশান দিয়েছে তাতে বিষয়বস্তুর থেকেও বড় সমস্যা কোহেরেন্সের। সত্যি কিছু বুঝতে পারি নি। হয়ত বোঝার জন্য যে অ্যাকাডেমিক বেসটা দরকার সেটা নেই। কিন্তু সেটা থাকবে এই এক্সপেকটেশনটা স্কলারলি জার্ণালে করা যায় একটা অনলাইন পত্রিকায় নয়। তাহলে প্রবন্ধের মূল উদ্দেশ্য সফল হয় না। এটাই বোধহয় ন্যাড়াদা বলেছিল, একটু সাঁটে বলে বুঝতে পারি নি।
  • r | 125.18.104.1 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৮:২৯422755
  • আমারও কেস ঐ তাতিনবাবুর মতই।

    সৌমিত্রবাবুকে একবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল- অভিনেতা হলেন কেন। বলেছিলেন- "ছোটোবেলা থেকেই লাইমলাইটে থাকার বাসনা।" এটা বেসিক, বাকি সব স্টানিস্লাভস্কি-ব্রেখট-শেখনার বড়বেলার এনলাইটেন্ড প্রলেপ। ঋত্বিক বলেছিলেন- "সিনেমা করি কারণ ঐটা দিয়ে সবথেকে সহজে সবথেকে বেশি লোকের কাছে আমার বক্তব্য পৌঁছে দিতে পারি। যেদিন এর থেকে ভালো মাধ্যম পাব, ওটাতেই কাজ করব।"

    বক্তব্য পৌঁছে দেওয়া- স্টেজের উপর থেকে, ক্যামেরার পিছন থেকে, বা বই ছাপিয়ে- ওটাই বেসিক- আমার কাছে। পাঠক, তুমি মন্ত্রমুগ্‌ধ হও (পাঠিকা হলে আরও ভালো ;-)), আমি যাদুকর হব।

    বস্তুত:, না লিখলেও কিছু যায় আসে না। যখন লিখতাম না, তখন লিখব বলে কোনো আঁকুপাঁকু ছিল না। এখন একটু আধটু লিখি, লোকে পড়েন টড়েন। পারলে সিনেমা করতাম, নাটক করতাম, গান গাইতাম- আপাতত: পারি না, বা পারছি না। যেদিন অন্য কিছু ভালো লাগবে, সেদিন লেখালেখি ছেড়ে সেটাই করব। কিন্তু যাই করব সেটা লোকে যেন শোনে/ দেখে/ পড়ে। একা একা কথা বলতে ভালো লাগে না। এবং একা একা ডায়েরিতে কবিতা লেখার অভ্যেসও নেই।

    তবে যা লিখব সেটা যেন পাঠক হিসেবে নিজেরও পড়তে ভালো লাগে। নইলে ফাঁকিবাজির জন্য নিজের কাছেই নিজেকে লজ্জা পেতে হয়। সেটা ভালো না।

    বাকি সব ব্রহ্মা জানেন। ;-)
  • r | 125.18.104.1 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৮:৪৭422756
  • কিন্তু এসব লেখার বয়স তো এখনও হয় নি। বুড়ো হলে "কেন লিখি" নিয়ে লেখার জন্য যখন "দেশ" বা "অনুষ্টুপ" থেকে যখন ডাকবে, তখন এসব লিখব। ;-))
  • tkn | 122.162.42.123 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:০৪422758
  • মনে হয়***
  • tkn | 122.162.42.123 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:০৪422757
  • এ:, এতো একমত হতে ভাল্লাগেনা.. তবু..

    আমার মনে লেখা যিনি লিখছেন তিনি এইকথাগুলো মনে রাখলে পাঠকের সত্যি সুবিধে হয়। কারণ বক্তব্য পৌঁছনোই উদ্দেশ্য। আর সে উদ্দেশ্য সাধনে বক্তব্য যে রাখছে তার দায় মোটেই কম নয়। না হলে, ডায়েরী লেখার অপশন তো আছেই..

    আচ্ছা, এখানে মুগ্‌ধতা এমন ভেঙে যায় কেন? গ এত ভারী ধ-এর ওপর?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:০৫422760
  • হনু টোটাল উল্টো বুঝলি রাম। অ্যাজ ইউজুয়াল। উল্লিখিত লেখাটি লো লেফট, নাকি মার্ক্সিস্ট, নাকি হরিদাস পালের দ্বারা প্রভাবিত, সে নিয়ে আমার কোনো বক্তব্যই নাই। কারণ ওসব প্রভাব টভাব নেই। বেসিক্যালি যা আছে, তা হল ফর্দ। অন্যরকম করে সমালোচনা আলোচা করতে পারতে ভালো হত, কিন্তু ফর্দের ভাবগম্ভীর সমালোচনা করার বিদ্যে আমার জানা নেই।

    পোকো-পোমোরাও এই জাতীয় ফর্দ পোচ্চুর লেখেন। তাঁদেরও এই ভাবেই সমালোচনা প্রাপ্য। অনেককাল আগে তপোধীর ভট্টাচার্যের লেখা পড়েছিলাম, ফুকো না কি বিষয়ে। সেও এরকমই। কেবল উদ্ধৃতি আর উদ্ধৃতি। ফর্দ আর ফর্দ। কোনো কনটেন্ট নাই। যার কোনো মানে নেই।

    এখানে চিরশ্রী বা তপোধীর কোনো পয়েন্ট না। পয়েন্টটা অন্য। অরিজিনাল লেখকের লেখা পড়তে হলে আমি অরিজিনাল বই পড়ব (বিলিভ মি, সেগুলো পড়া সোজা), কিন্তু পারিষদগণের হাতে হুঁকো খাবোনা। আপনি যদি অজ্জিনাল কিছু বলার থাকে বলুন, নইলে ফর্দ নামিয়ে পান্ডিত্যের ব্যাখ্যান দেবেন না। ব্যস।

    জিনিসটা ফর্মালি বললে এরকম দাঁড়ায়, যে, সমস্যাটা আসলে রিডিং এর। আমাদের পাঠের পদ্ধতির মধ্যেই একরকম করে মেকলে সাহেব ঢুকে আছেন। সে পাঠ প্রক্রিয়া কারো একার নয় মার্কসিস্ট থেকে শুরু করে পোকো-পোমো সব্বার। এই পাঠ প্রক্রিয়া অন্য কিছু নয়, একটি চোঁয়া ঢেকুর তোলার পার্টি বিশেষ (আর কে না জানে "পার্টি আমার পার্টি তোমার পার্টি কারো বাপের নয়:) ')। সেইজন্যই, শুরু থেকেই বলছি, পড়া ব্যাপারটা আবশ্যক, কিন্তু কিভাবে পড়ছি, কিভাবে লিখছি, সেটাও সমান গুরুত্বের দাবী রাখে। আগে পড়া, তারপর লেখা এই সিকোয়েন্স নাই। পুরোটাই জড়িয়ে মড়িয়ে আছে। (এখানে আজ্জোর সঙ্গে মোটামুটিভাবে একমত)।

    এবং, এই মেকলিয় মনোভঙ্গীকে ছুঁড়ে ফেলার প্রক্রিয়াটা সোজা নয়। পার্টির ফিল গুড ভঙ্গী দিয়ে সেটা হবেনা। A paradigmatic shift is not a dinner party, or writing an essay, or painting a picture, or doing embroidery; it cannot be so refined, so leisurely and temperate, kind, courteous, restrained and magnanimous. A paradigmatic break is an insurrection, an act of violence by which one class of writings overthrows another.

    লক্ষ্য করুন, ইংরিজি থেকে টুকলি করলাম। কিন্তু মাওকে ঘেঁটে এক্কেবারে লাট করে দিয়েছি। মাওবাদ ঘেঁটে লাট/ল্যালাবাদ জিন্দাবাদ। টোটালিটারিয়ান মাও নিপাত যাক। আপিসে বাজারে পথে-ঘাটে ভাটে-টইয়ে পেপারে-জার্নালে যতোসব চামচা, লেখ রোজনামচা আর চান্স পেলে দেয় খামচা, তারা সব নিপাত যাক। :)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন