এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • ঐতিহ্যমন্ডিত বাংলা চটি সিরিজ

    sumeru
    বইপত্তর | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ | ৮১৩১৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 57.29.172.130 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৮:৪৭434857
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসঃ পাঠ প্রতিক্রিয়া

    কৌশিক ঘোষ

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'খান্ডবদাহন' উপন্যাসটি এলোমেলো নেট সার্চ করে পাই এবং এক রাতেই পড়ে ফেলি। সৈকতের লেখার এইটি বিশেষত্ব যে তা ফেলে সহজে ওঠা যায় না। বইটি বইমেলাতে আগুন লাগার ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিতে লিখিত এক স্যাটায়ারিক্যাল উপাখ্যান। এই বইটির লিখনশৈলীতে থ্রিলারের উপাদান ছিলো,ছিলো টানটান উত্তেজনা, আর, ভাষার মধ্যে মিশে ছিলো কাব্যের নিহিত গুণ। দেবেশ রায় সন্দীপনের লেখা নিয়ে কোথাও বলেছেন, সন্দীপনের প্রতিটি বাক্যই নিজস্ব ও মৌলিক। সৈকতের লেখা পড়েও একই কথা বলতে ইচ্ছে হয়।

    পোস্ট মডার্নিটি কি সে ব্যাপারটা বিশদে ব্যাখ্যা করা একটু কঠিন, কিন্তু তার উদাহরণ দেওয়া হয়ত সহজতর। সৈকতের লেখাগুলি উত্তরাধুনিকতার প্রতিনিধিত্ব দাবি করে । এই উল্টোপাল্টা সময়ে জোরালো কোনো মতবাদ আর দানা বাঁধছে না, সিস্টেমের প্রতি বিশ্বাস মানুষের মন থেকে অন্তর্হিত। তাই যতেক ক্লিশে রেটোরিককে সৈকত উপহাস করে চলেন, কিন্তু পাল্টা কোনো মতবাদের বদলে তাতে ঢেলে দেন বুদ্ধিদীপ্ত বিদ্রূপ। নেতি, নেতি, নেতি রচনা করে চলেন তিনি, পাঠক তাই লেখার পরে শূন্যতার মুখোমুখি দাঁড়ান। সৈকতের সব উপন্যাসে নিটোল আঙ্গিক থাকলেও এই সব আসলে না-উপাখ্যান।

    একটা সময়ে যখন পূজো সংখ্যা পড়তাম, লক্ষ্য করতাম উপন্যাসগুলি গতে বাঁধা, এবং এক ধরণের সুড়সুড়ি দেওয়া নিয়মমাফিক যৌনতার উপাদান তাতে থাকত। পুরনো কিছু সিনেমাতে আবার দেখা যেত নায়ক নায়িকার চুম্বনেচ্ছা হলে ক্যামেরা বিশেষ ভঙ্গিতে তাদের ধরত, কখনো বা দেখানো হতো ফুলের ওপর বসছে প্রজাপতি। এই ধরণের শস্তা বাজারচলতি উপাদানের হাস্যকর দিকটি মাথায় রেখে সৈকত খান্ডবদাহনে বারবার যৌনতার পরিবেশ রচনা করেন, এবং সেখানে ক্লাইম্যাক্সকে সচেতনভাবে ভেঙে ফেলেন প্রতিস্পর্ধায়, বাস্তবের মাটিতে পাঠককে ফিরিয়ে আনেন সৈকতোচিত মুন্সিয়ানায়।
    সৈকতের দ্বিতীয় উপন্যাস 'খেরোবাসনা' পড়তে গিয়ে দেখেছি রচনাশৈলীতে তা খান্ডবদাহন থেকে অন্যরকম। খান্ডবদাহনে প্রলম্বিত বাক্যে মিশে ছিলো সমাসবদ্ধ শব্দ ও অসমাপিকা ক্রিয়া, যেহেতু রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা তৈরি করা ছিল লেখকের উদ্দেশ্য। খেরোবাসনাতে ছোট ছোট বাক্য। কিন্তু, এই লেখাতেও সৈকত থ্রিলার এলিমেন্ট এবং শানিত বিদ্রূপের স্বভাব অব্যাহত রেখেছেন। সঙ্গে লেখক মোটিফ হিসেবে একটি করে স্কেচ রেখে দেন, যা উপন্যাসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এগিয়ে চলে। মনে হয় সৈকত ভাঙছেন, সচেতন ভাবে ভেঙে চলেছেন প্রচলিত সাহিত্যের ধারাকে। প্রসঙ্গত শক্তি চট্টোপাধ্যায় কোথাও বলেছেনঃ অপরূপ ভাবে ভাঙা, গড়ার চেয়েও মহৎ কখনো কখনো।

    বৃহৎ ন্যানোপুরাণ উপন্যাসটি সদ্য শেষ করা গেল। এই উপন্যাসের সব চরিত্র কাল্পনিক হলেও এক সমান্তরাল বাস্তবতা পেয়ে যায় লেখকের রচনার গুণে। কোনো কিছু প্রমাণ করা লেখকের উদ্দেশ্য নয়, কিন্তু গ্রামীণ জীবনের এ-আখ্যান অভিনব। এ উপন্যাস কোনো সফল পরিচালকের হাতে পড়লে নতুন ধারার ছবি হয়ে উঠতে পারত।সৈকতের ন্যারেশনের ভঙ্গি কখনোই পাঠককে ক্লান্ত হতে দেয় না। বইটি আমি টানা পড়েই শেষ করেছি।

    'দিনগুলি রাতগুলি' নিয়ে আমি অপেক্ষা করছিলাম, গঙ্গার পারের অন্য আখ্যান পড়ব বলে। আমি চারবছর উত্তরবঙ্গে, দেড় বছর কলকাতায়, এক বছর মুম্বইয়ে ও প্রায় এক বছর প্যারিসে হস্টেলজীবন কাটিয়েছি। ফলে এই লেখা পড়ার জন্য উৎসুক ছিলাম। এই উপন্যাসে কেন্দ্রীয় চরিত্র টি বিশেষ ভাবে অলিএনতেদ। প্রত্যাশা ছিলো সৈকত এক কৌমজীবনের আখ্যান লিখবেন। কিন্তু, হতাশার সঙ্গেই জানাই, এই লেখায় তা পাইনি। সম্ভাবনাতত্ত্বের প্রবেবল আর পসিবলের ফারাকটুকুর কথা এই উপন্যাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, 'দিনগুলি রাতগুলি'র আখ্যান আসলে এক তরুণের আখ্যান, যে দৃশ্যমান সবকিছুই নিজস্ব ভঙ্গিতে দেখে। ফলে পারিপার্শ্বিক সম্বন্ধে উদাসীন।

    শেষে বলি, সুকুমার রায় আমাদের হাসতে শিখিয়েছেন। মুজতবা আলি, পরশুরাম, শিবরাম বাঙলা সাহিত্যের এই ধারাকে অব্যাহত রেখেছিলেন। মাঝে অনেকটা ব্যবধান। শীর্ষেন্দু ও তারাপদ রায় ছাড়া অন্য কোনো নাম মনে পড়ছে না।মর্বিডিটির এই দুনিয়ায়, রামগরুড়ের ছানার এই দেশে, সৈকত তাঁর স্বাভাবিক শ্লেষ,বিদ্রূপ, হাস্যরস কলমে রাখুন। এটি তাঁর শক্তি।

    সৈকতের কাছে তাই প্রত্যাশা থাকলোই।
  • pi | 57.29.154.70 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৮:৫৪434858
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসঃ পাঠ প্রতিক্রিয়া

    কৌশিক ঘোষ

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'খান্ডবদাহন' উপন্যাসটি এলোমেলো নেট সার্চ করে পাই এবং এক রাতেই পড়ে ফেলি। সৈকতের লেখার এইটি বিশেষত্ব যে তা ফেলে সহজে ওঠা যায় না। বইটি বইমেলাতে আগুন লাগার ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিতে লিখিত এক স্যাটায়ারিক্যাল উপাখ্যান। এই বইটির লিখনশৈলীতে থ্রিলারের উপাদান ছিলো,ছিলো টানটান উত্তেজনা, আর, ভাষার মধ্যে মিশে ছিলো কাব্যের নিহিত গুণ। দেবেশ রায় সন্দীপনের লেখা নিয়ে কোথাও বলেছেন, সন্দীপনের প্রতিটি বাক্যই নিজস্ব ও মৌলিক। সৈকতের লেখা পড়েও একই কথা বলতে ইচ্ছে হয়।

    পোস্ট মডার্নিটি কি সে ব্যাপারটা বিশদে ব্যাখ্যা করা একটু কঠিন, কিন্তু তার উদাহরণ দেওয়া হয়ত সহজতর। সৈকতের লেখাগুলি উত্তরাধুনিকতার প্রতিনিধিত্ব দাবি করে । এই উল্টোপাল্টা সময়ে জোরালো কোনো মতবাদ আর দানা বাঁধছে না, সিস্টেমের প্রতি বিশ্বাস মানুষের মন থেকে অন্তর্হিত। তাই যতেক ক্লিশে রেটোরিককে সৈকত উপহাস করে চলেন, কিন্তু পাল্টা কোনো মতবাদের বদলে তাতে ঢেলে দেন বুদ্ধিদীপ্ত বিদ্রূপ। নেতি, নেতি, নেতি রচনা করে চলেন তিনি, পাঠক তাই লেখার পরে শূন্যতার মুখোমুখি দাঁড়ান। সৈকতের সব উপন্যাসে নিটোল আঙ্গিক থাকলেও এই সব আসলে না-উপাখ্যান।

    একটা সময়ে যখন পূজো সংখ্যা পড়তাম, লক্ষ্য করতাম উপন্যাসগুলি গতে বাঁধা, এবং এক ধরণের সুড়সুড়ি দেওয়া নিয়মমাফিক যৌনতার উপাদান তাতে থাকত। পুরনো কিছু সিনেমাতে আবার দেখা যেত নায়ক নায়িকার চুম্বনেচ্ছা হলে ক্যামেরা বিশেষ ভঙ্গিতে তাদের ধরত, কখনো বা দেখানো হতো ফুলের ওপর বসছে প্রজাপতি। এই ধরণের শস্তা বাজারচলতি উপাদানের হাস্যকর দিকটি মাথায় রেখে সৈকত খান্ডবদাহনে বারবার যৌনতার পরিবেশ রচনা করেন, এবং সেখানে ক্লাইম্যাক্সকে সচেতনভাবে ভেঙে ফেলেন প্রতিস্পর্ধায়, বাস্তবের মাটিতে পাঠককে ফিরিয়ে আনেন সৈকতোচিত মুন্সিয়ানায়।
    সৈকতের দ্বিতীয় উপন্যাস 'খেরোবাসনা' পড়তে গিয়ে দেখেছি রচনাশৈলীতে তা খান্ডবদাহন থেকে অন্যরকম। খান্ডবদাহনে প্রলম্বিত বাক্যে মিশে ছিলো সমাসবদ্ধ শব্দ ও অসমাপিকা ক্রিয়া, যেহেতু রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা তৈরি করা ছিল লেখকের উদ্দেশ্য। খেরোবাসনাতে ছোট ছোট বাক্য। কিন্তু, এই লেখাতেও সৈকত থ্রিলার এলিমেন্ট এবং শানিত বিদ্রূপের স্বভাব অব্যাহত রেখেছেন। সঙ্গে লেখক মোটিফ হিসেবে একটি করে স্কেচ রেখে দেন, যা উপন্যাসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এগিয়ে চলে। মনে হয় সৈকত ভাঙছেন, সচেতন ভাবে ভেঙে চলেছেন প্রচলিত সাহিত্যের ধারাকে। প্রসঙ্গত শক্তি চট্টোপাধ্যায় কোথাও বলেছেনঃ অপরূপ ভাবে ভাঙা, গড়ার চেয়েও মহৎ কখনো কখনো।

    বৃহৎ ন্যানোপুরাণ উপন্যাসটি সদ্য শেষ করা গেল। এই উপন্যাসের সব চরিত্র কাল্পনিক হলেও এক সমান্তরাল বাস্তবতা পেয়ে যায় লেখকের রচনার গুণে। কোনো কিছু প্রমাণ করা লেখকের উদ্দেশ্য নয়, কিন্তু গ্রামীণ জীবনের এ-আখ্যান অভিনব। এ উপন্যাস কোনো সফল পরিচালকের হাতে পড়লে নতুন ধারার ছবি হয়ে উঠতে পারত।সৈকতের ন্যারেশনের ভঙ্গি কখনোই পাঠককে ক্লান্ত হতে দেয় না। বইটি আমি টানা পড়েই শেষ করেছি।

    'দিনগুলি রাতগুলি' নিয়ে আমি অপেক্ষা করছিলাম, গঙ্গার পারের অন্য আখ্যান পড়ব বলে। আমি চারবছর উত্তরবঙ্গে, দেড় বছর কলকাতায়, এক বছর মুম্বইয়ে ও প্রায় এক বছর প্যারিসে হস্টেলজীবন কাটিয়েছি। ফলে এই লেখা পড়ার জন্য উৎসুক ছিলাম। এই উপন্যাসে কেন্দ্রীয় চরিত্র টি বিশেষ ভাবে অলিএনতেদ। প্রত্যাশা ছিলো সৈকত এক কৌমজীবনের আখ্যান লিখবেন। কিন্তু, হতাশার সঙ্গেই জানাই, এই লেখায় তা পাইনি। সম্ভাবনাতত্ত্বের প্রবেবল আর পসিবলের ফারাকটুকুর কথা এই উপন্যাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, 'দিনগুলি রাতগুলি'র আখ্যান আসলে এক তরুণের আখ্যান, যে দৃশ্যমান সবকিছুই নিজস্ব ভঙ্গিতে দেখে। ফলে পারিপার্শ্বিক সম্বন্ধে উদাসীন।

    শেষে বলি, সুকুমার রায় আমাদের হাসতে শিখিয়েছেন। মুজতবা আলি, পরশুরাম, শিবরাম বাঙলা সাহিত্যের এই ধারাকে অব্যাহত রেখেছিলেন। মাঝে অনেকটা ব্যবধান। শীর্ষেন্দু ও তারাপদ রায় ছাড়া অন্য কোনো নাম মনে পড়ছে না।মর্বিডিটির এই দুনিয়ায়, রামগরুড়ের ছানার এই দেশে, সৈকত তাঁর স্বাভাবিক শ্লেষ,বিদ্রূপ, হাস্যরস কলমে রাখুন। এটি তাঁর শক্তি।

    সৈকতের কাছে তাই প্রত্যাশা থাকলোই।
  • রুকু | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৯:০৪434859
  • বিমোচন ভট্টাচার্যর কলমে গোরা নকশালের পাঠ প্রতিক্রিয়া।

    বইমেলা থেকে কেনা বইগুলির মধ্যে প্রথম পড়লাম কল্লোল লাহিড়ীর "গোরা নকশাল"। পড়ে প্রথম যেটা করলাম সেটা আমি খুব কম করেছি ফেসবুকে। কল্লোল বাবুকে বন্ধুতার আমন্ত্রণ পাঠালাম।আর কী আশ্চর্য তিনি সেটি গ্রহণও করে নিলেন।

    কেমন একটা ঘোর লাগলো লেখাটি পড়ে। নক্সাল আন্দোলন যারা একেবারে কাছ থেকে দেখেছেন, আমি তার মধ্যে একজন। সেই উত্তাল সত্তরে আমি সবে কুড়ি। গোরা নক্সালকে আমরা যার চোখ দিয়ে দেখলাম, গল্প শুনলাম সেই টুকনু র সংগে আমার বয়েসের তফাৎ অনেক। সে গোরা নকশালকে দেখেছে আশীর দশকে। আমি এইরকম অনেক গোরা নক্সালদের সামনে থেকে দেখেছি। একেবারে শুরু থেকে দেখেছি তাদের। শেষও হয়ে যেতে দেখেছি। কেউ সেই সময়েই। কেউ অনেক পরে।

    এত সুন্দর গদ্য লেখেন কল্লোল!!
    কী আছে এই ছোট উপন্যাসে? আছে এমন অনেক কিছু যা ইতিপুর্বে আমরা পড়ি নি। টুকনু দেখছে একটা লোক জেল থেকে ফিরছে। সম্ভবত সাতাত্তর সালে। লোকটাকে সবাই শ্রদ্ধার চোখে দেখে। ইচ্ছাকৃত ভাবে কেমন নিরাসক্ত ভাবে লেখা অথচ গভীর, দৃঢ়।লোকটি তার বাবার জ্যেঠতুতো ভাই। টুকনু আগে দেখেনি তাকে।আমরা টুকনুর চোখ দিয়েই দেখতে শুরু করলাম তাঁকে।

    এমন একটা সময়কে ধরেছেন কল্লোল যা একেবারে কাছ থেকে দেখেছি আমরা। যেমন ধরুন এই গোরা নক্সাল যে মানুষটি। এমন মানুষ আমিও দেখেছি তবে সেই সত্তরের দশকের প্রথমে। সাতাত্তরে তাদের অনেককে দেখেছি জেল থেকে বেরোতে। জেলের অত্যাচারের চিহ্ন দেখেছি তাদের শরীরে। শুনেছি অত্যাচারের কথা। শিউরে উঠেছি।
    কল্লোল কিছু অসম্ভব শক্তিশালী গদ্য লিখেছেন এই বইটিতে। যেমন, টুকনুরা রিফিউজি। কল্লোল লিখছেন -" লম্বা চাটাইয়ে সাঁতসাঁতে পলেস্তারা খসা ঘরে শুয়ে থাকতো ওপার বাংলা থেকে অনিচ্ছায় আসা উদ্বাস্তু মানুষগুলো। সকালের রোদ আমাদের বালীর বাসায় ঢুকত না একটুও। কিন্তু মায়ের উনুনের ধোঁয়া সারা ঘর ছেয়ে ছোট ছোট ঘুলঘুলি দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করত পাশের বাড়ির ডুমুর গাছের পাশে শেফালিদের পাতকুয়ো পেরিয়ে অনেক দূরে আমার -না- দেখা কোন এক মাঠের দিকে।"

    আমি উদ্বাস্তু নই তবু কোথায় যেন টুকনুর মা আমার মা হয়ে যান। আসলে আমরা সবাই মনে হয় উদ্বাস্তু। আমরাও তো স্থায়ী ঠিকানা পেয়েছি অনেক পরে। তার আগে তো এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি, ও বাড়ি থেকে সে বাড়ি....উদ্বাস্তু র মতই ঘুরে বেরিয়েছি। বাস্তু তো পেয়েছি অনেক পরে।

    গঙ্গার জলে বান আসা দেখতে যায় টুকনু। দেখে এক লাশ ভেসে আসছে।সেই লাশ ছিল প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়া চশমা চোখ সুশান্তর।
    একাত্তরে আমি প্রথম জলে ভেসে ওঠা একটি ছেলের লাশ দেখেছিলাম আমাদের পাড়ার ঝিলে। ভেসে উঠেছিল। সাদা হয়ে যাওয়া সেই লাশের মুখটা হাঁ করা ছিল। মুখের চারপাশে মাছি ভনভন করছিল। কিছু পিঁপড়েও বেরিয়ে আসছিল মুখ থেকে। আমি পালিয়ে গিয়েছিলাম পাড়া থেকে। তবু রাত্রে একুশ বছরের আমি ঘুমোতে পারতাম না। বারবার সেই মুখটি চোখের সামনে চলে আসতো।
    কল্লোল প্রতিটি পরিচ্ছেদ শুরু করেছেন এক একটি কবিতার লাইন বা গদ্যের লাইন দিয়ে। পাঁচ পরিচ্ছেদ শুরু করেছেন বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর জেলখানার চিঠি দিয়ে। খুবই ক্ষীণতনু ছিলেন এই কবি কিন্তু তাঁর কবিতা ছিল প্রবল শক্তিশালী। কল্লোল উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
    -"একজন কিশোর ছিল, একেবারে একা
    আরও একজন ক্রমে বন্ধু হল তার।
    দুয়ে মিলে একদিন গেল কারাগারে;
    গিয়ে দেখে তারাই তো কয়েক হাজার!
    (জেলখানার কবিতা)

    অদ্ভুত ভাবে এবারেও কল্লোল আমায় স্মৃতির ভেলায় ভাসালেন।মনে করালেন মোহনকে। মোহন সোম। আমরা ডাকতাম ভাইসোম বলে। সত্তর সালেই সেই অসম্ভব মেধাবী ছেলেটিকে বাগমারি বেরিয়াল গ্রাউন্ডের কাছে গুলি করে মারে পুলিশ।পরে বলে এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে মোহম। মনে পড়ে আশিষকে, অরুপরতনকে। এরা গোরা নকশালের মত বেঁচে গিয়েছিল সেই সময়। পরে মারা যায়।

    অনেকেই এখন বলেন যে হঠকারী আন্দোলন ছিল নক্সাল আন্দোলন। হবে হয়তো। তবে সেই সময় এই সব বামপন্থীরা ছিলেন অন্যরকম।যা করতেন বিশ্বাস থেকে করতেন। ধান্দাবাজ ছিলেন না।

    আর লিখবোনা কিছু। মনটা খারাপ হয়ে গেল বইটি পড়ে। কল্লোলকে ধন্যবাদ এই মনখারাপের জন্যে। ওর জন্যেই, আজ এতদিন পর মনে পড়লো ভাইকে,আশিষকে, অরূপকে।
    আর ধন্যবাদ গুরুচন্ডা৯ প্রকাশনাকে। এমন একটি বই মাত্র ষাট টাকায়( আমায় আটচল্লিশ টাকায় দিয়েছে বইচই) আমাদের দেওয়ার জন্যে।
    শেষ করি একটি গানের কথা দিয়ে।
    "-আকাশ বোঝে আনন্দ তার,বোঝে নিশার নীরব তারা।"

    ঠিক হলো না উদ্ধৃতি টি?তাই না? কী করি? এটাই যে মনে এলো....।
  • রুকু | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২৩:২৯434860
  • 'কাঠপাতার ঘর: আগান কথা -বাগান কথা' পড়ছিলাম। মোটে গোলাপ সুন্দরী অব্দি পড়তে পেরেছি! ছবির পর ছবি তৈরী হচ্ছে মগজে। এ বই তো একদমে,একরাতে পড়ে ফেলবার নয় আমার মত গোদা পাঠিকার! তা হোক, সময় লাগুক চারদিন কি একহপ্তাকাল, মগজকে প্রশ্রয় দিতেই হবে ক্যালাইডোস্কোপিক পঠন অভিজ্ঞতা আত্মস্হ করবার জন্যে, তা বড় কথা নয়, পোস্ট করবার উদ্দেশ্য মাত্র একখানি।

    বন্ধুরা কেউ জানাতে পারেন লেখকের পরের প্রকাশিত বইয়ের নাম ও কোথায় পাওয়া যাবে? নেহায়েত অজ্ঞমুর্খ ভেবে হ্যাটা করলেও বলি, আমি ওনার লেখা পড়িনি আগে, আর এ বইটি পড়তে গিয়ে (আদৌ পড়ছি কি, শব্দের যা গভীরতা, আর সাঁতার না জানা আমি শুধু পাড়ে বসে পায়ের পাতা ডোবাতে চাইছি যেন!) ভাবছি এই পড়া অনন্ত হোক। গেরস্তের মত তাই, পরের বইটিও সংগ্রহ করে রাখতে চাইছি আগে ভাগেই, এ বই শেষ হবারও আগেই।

    ধন্যবাদ গুরুচন্ডাঌ, এমন একখানি পঠন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবার সুযোগ দেবার জন্যে।

    কুলদা রায়ের কাঠপাতার ঘরের পাঠ প্রতিক্রিয়া দিলেন সুতপা দাস :-)
  • dd | 59.205.218.105 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৯:০৪434861
  • এই যেঃ। আজকের এইসময়ের নিবন্ধ

    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=38386&boxid=144853129। ড; পুণ্য়্ব্রত গুন সম্পাদিত স্বাস্ত্য ও (অ)ব্যবস্থা নিয়ে একটা পুরো আলোচনা।
  • pi | 24.139.221.129 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৯:৩৬434862
  • লিন্ক্টা খুলছেনা। কেউ ছবি দেবেন?
  • pi | 24.139.221.129 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৯:৪৭434864
  • থ্যাম্কু।
  • কুশান | 125.187.51.173 | ০২ মার্চ ২০১৮ ১২:০৮434865
  • প্রসঙ্গ: গোরা নকশাল

    'আর কিছু নয়, ও শুধু বিপ্লব চেয়ে দোষী'

    হ্যাঁ, গোরা নকশালও সেই বেভুল মানুষগুলোর একজন, যারা পৃথিবী পাল্টে দিতে চেয়েছিল। এ পৃথিবীকে নবজাতকের বাসযোগ্য করে দিতে চেয়েছিল। সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার, তবু স্বপ্নকেই আঁকড়ে ধরে এই অন্যরকম মানুষটা। একটি শিশুকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায় সেই মানুষটা, সব গল্প, সব স্বপ্নের উত্তরাধিকার তাকেই দিয়ে যেতে চায় সে।
    অন্যদিকে শিশুটি সব কিছু দেখে, শিশুর বিস্ময়ে। সে টের পায় খিদে, টের পায় দারিদ্র্য, দেখতে পায় গঙ্গার বুকে ভেসে আসছে পরিচিত তরুণের লাশ। সে দেখতে পায় চারিদিকের বিক্ষুব্ধ মানুষজনের মুষ্টিবদ্ধ হাত।
    আর সে দেখে সেই অন্যরকম মানুষটিকে, যার নাম-গোরা নকশাল। অদ্ভুত এক সম্পর্ক তৈরি হয় শিশুটির সঙ্গে গোরা নকশালের।

    উপন্যাসটি মর্মস্পর্শী। ফেলে আসা ব্যর্থ স্বপ্নের ঘামনুনের উপাখ্যান, যা নিছক রোমান্টিকতা বললে ভুল হবে। কল্লোল এই উপন্যাসে সবকিছু দেখিয়েছেন এক শিশুর অবিকল ও বিস্ময়কর পর্যবেক্ষণে।

    এই উপন্যাস আগুনে হাত রাখার মত শুদ্ধ ও পবিত্র।
  • Ramiz Ahamed | 233.231.31.121 | ০২ মার্চ ২০১৮ ১৭:২২434867
  • সিমোন দ্য নেলসন পড়লাম।

    এ এক অদ্ভুত শৈলীর কবিতা,সিমোনের বারোমাস্যা জুড়ে থাকা অনুভূতির চারাগুলোর পাতায় পাতায় জাদুতুলির টানে আঁকা, আশ্চর্য সব মানানসই পটগাথা, যেখানে দুঃখ, কষ্ট, প্রেম, আবেদন, উদাসীনতা, শরীরকথার আদলে দক্ষিণারঞ্জনের কনটেক্সট মিশে সিমোনের প্রত্যাশাকে আরো সবুজ করে তোলে, কবিতাগুচ্ছ জুড়ে সেই পরিচিত রীতির অবিকৃত আঘ্রাণ।
    বড়োবেলার চোখ দিয়ে দেখা একটা পরিণত রূপকথা।
  • | 52.110.136.13 | ১১ মার্চ ২০১৮ ২১:৪৮434869
  • পর্ব ১- কারাগার, বধ্যভূমি ও স্মৃতিকথকথা - ৭০/-
    পর্ব ২- তক্কোগুলি, চরিতাবলী ও আখ্যানসমূহ- ১৫০/-
    **
    কল্লোল দাশগুপ্ত
    গুরুচন্ডালী প্রকাশনা
    কলকাতা
    **
    পঞ্চাশের দশকের কলকাতায় জন্ম নেওয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন প্রথম যৌবনে সত্তরের উত্তাল এবং অনিবার্য প্রশ্নদের পরে যায়। বিপ্লবের স্বপ্ন মেখে আগুনের ফুলকিরা তখন আকাশে বাতাসে উড়ছে। মেখে নিতে হয়না। আগুনের আঁচ এবং ছাই, গায়ে লেগেই যায়।
    ছেলেটি যুবক হয়ে ওঠে সত্তরের ঘটনাদের অংশভাক হতে হতে। প্রত্যক্ষতা ঘটেই যায়। সচেতন বোধ থেকেই। পাঠে, গানে, কর্মে সেই ফুলকিগুলো যথাযথ অবয়ব পেতে শুরু করে।
    সত্তর মাওয়ের মৃত্যুর দশক। বিপ্লবের পথ এবং কর্মসূচি বিশ্লিষ্ট হয়ে বহুপথে গমন করার দশক। অপ্রস্তুত এবং প্রস্তুত স্বপ্ন দেখতে চাওয়া অগুণতি মানুষদের ভুল করার এবং ঠিককে চিহ্নিত করা থেকে ঠিকদের চিহ্নিত করার বহমান প্রচেষ্টার দশক। সত্তর নবরূপে, নব আয়ুধে বিশ্বজোড়া অসাম্যবাদী শক্তিদের দানব হয়ে ওঠার দশক। উচ্ছ্বাস টিপে মেরে যুক্তফ্রন্টের দাপট, কংগ্রেস ঘোষিত জরুর সময়ের দশক।
    আবার এই সত্তরই অন্য অর্থ, দর্পণ, সত্যযুগেরও দশক। অনীক,ফ্রন্টিয়ার, দেশব্রতীদেরও দশক। গণনাট্য, গণসঙ্গীত, গ্রুপ থিয়েটারেরও দশক। দল বেঁধে লেনন, ডিলন, পিট সিগার শুনে ফ্যালার, ঋত্বিক দেখে নেওয়ার, সত্য বন্দোপাধ্যায়, দেবীপ্রসাদ, গৌতম ভদ্রদের কাছে পাঠ নেওয়ার উদ্যোগের দশক।
    সত্তর অনেক অনেক প্রয়োজনীয় মানুষদের ডানা ছিঁড়ে, চোখ উপড়ে, খুন হওয়ার, জেলে মরার, জেলখাটার দশক। সত্তর উত্তম কুমারের কদমছাঁট চুলে বম্বে পালানোর, কলকাতায় টিভি আসার দশক। সত্তর সেই যুবকটিরও কারাগারবাসের অভিজ্ঞতার দশক বইকি।
    আবার সত্তরেই ইরানে শাহকে হটিয়ে খোমেনির শুরু। কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ভিয়েতনামের যুদ্ধ।
    সে দশক সত্যই বড়ই ছলনাময়!

    আশিতে ফুটবল বিশ্বকাপ ঢুকে পড়ে বাড়িতে বাড়িতে। মেট্রো রেলের বিভায় কাঁপতে থাকা কলকাতার অলিগলি মেখে ফেলতে থাকে আগামীর অবয়ব।

    এই সব, সমস্তটা পার করে এসে আজকের ষাটোর্ধ সেই সেদিনের অংশভাক মানুষটির স্মৃতিকথকতায় জাড়িত সত্তর এবং আশির বাংলা, তার কারাগার, পথ বিশেষ করে কেওড়াতলা, রাসবেহারী এভিনিউএর নানা গলিপথ এবং অবশ্যই সংলগ্ন শ্মশানমগ্ন চলন। বামমার্গী নানা মতের কর্মপন্থা এবং বিশ্ববিক্ষণে জাড়িত ঠিকভুলের কড়ি মেপে মেপে নানান চরিত্র এবং আখ্যানমালা। এই সব নিয়ে দুটো বই। একটা প্রবাহ আছেই। তবে আলাদাও পড়া যায়।
    সম্প্রতি পড়ে, বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে আজকের বৃহৎ কৃষক মিছিলের দিনে পড়ে ( দ্বিতীয় পর্বটি), পাঠক মহলে এদের খবর দিতে এতটা লিখলাম।

    বাংলার বিপ্লববাদী স্মৃতিচারণিক সাহিত্যে আমরা উপেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, হেম কানুনগো, কানু সান্যাল, জয়া মিত্রদের পড়েছি। ভারতের কথাই বলছি। তাদের সাথে সাথে এইদুটো বইও পড়া যেতেই পারে।
    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আর্কাইভের মতন কাজ আমাদের সত্তর নিয়ে হলে এদের কিছু অংশ তাতে ঠাঁই পেতেই পারে।
    দুটো বইএরই প্রচ্ছদ ভালো লেগেছে। দামও সুলভ। প্রমাদ সারানোই যায় পরের সংস্করণে। বইদুটোরর শেষে পরিচ্ছন্ন ভাবে নির্দেশিকা এবিবিং নির্ঘন্ট থাকলে দিব্যি হয়।
    **
  • শুভঙ্কর হালদার | 127.194.9.114 | ১৪ মার্চ ২০১৮ ১৮:২৩434870
  • (গুরুচন্ডা৯ সাইটে প্রথম পোস্ট, ২০১৬ বিধানসভা ভোটের সময় একটি অভিজ্ঞতা)

    অবাধ সুষ্ঠ ভোট/শুভঙ্কর হালদার

    পাড়াতে একটা অ্যাইসা রোগা কুকুর বিরাট দুবলাপ্যাংলা। আমার মা তাকে কালতি বলে। ভৌ বলার ক্ষমতা নেই ভুক ভুক ভ্যাক ভ্যাক করে। সে মাস দুই আগে বাচ্চা বিয়োয়, এক্কেবারে পাঁচপাঁচটা বাচ্চা। সবকটা খয়েরি রঙের। প্রথম প্রথম রাস্তাধারের ভাঙ্গাবাড়ির এক ঘুপচি গোবরগন্ধ ঘরে শুয়েবসেউল্টে কাঁইমুই করতো। কদিন পর একটু বড় হলে ইতিউতি ঘুরতো গোবর চাটতো নর্দমাজল খেতো। আমার মা দুবেলা সেগুলোকে খাওয়াতো, কালতিকেও। রোজই বিকেলের দিকে বাড়ির সামনে এসে জটলা করে ভুরভুরভ্যাকভ্যাক করতো সবকটা মিলে।

    গতকাল আমাদের এখানে ভোট ছিলো। সক্কাল সক্কাল উঠে খেয়ে নিয়ে সারাদিন বাড়ির কিছুটা অদূরে ভোটের জন্য বামজোটের অস্থায়ী ক্যাম্পে ছিলাম। চত্বরের সব লোকজন হাসিখুশী মুখে ফিরিস্তির জামাকাপড় পরে বিন্দাস ভোট দিতে যাওয়া আসা করছে। ক্যাম্প থেকে আমরা গুড়বাতাসা জল খাওয়াচ্ছি তাদের। আমরাও খাচ্ছি। পাশের বাড়ির হাল্কা লেংচে হাঁটা পঁয়ষট্টি বছরের মিত্রকাকু একমনে সারাদিন ধরে বিভিন্ন জলের বোতলে জলের মধ্যে বাতাসার টুকরো মিশিয়ে গ্লুকোজের সাবস্টিটিউট বানিয়ে চলেছে। মাঝেমধ্যে খবর আসছে ভোট দিব্যি হচ্ছে। গন্ডগোলের রা নেই। অবাধ সুষ্ঠ ভোট হচ্ছে। পাশের ক্যাম্পে আড়চোখো করে মিচকি হাসি চলছে। বার দশেক কমিশনের গাড়ি ঘুরপাক খেলো। পাঁচটা নাগাদ আর ভোটার নেই বুঝে ক্যাম্প খুলে ফেলা ফ্ল্যাগ খুলে ফেলা কাগজপত্র গুছিয়ে রেখে বাড়ি আসছি। বাড়ির দরজার দিকে এগিয়ে বাঁপাশে চোখ পড়তেই মনটা ভারী হয়ে উঠলো। কালতির একটা বাচ্চা মরে পড়ে আছে। খোঁজ করে জানলাম ইলেকশান কমিশনের গাড়ি মোড় ঘোরার সময়ে স্পিড না কমিয়ে চাপা দিয়ে বেরিয়ে গেছে। থামানো দুরের কথা, ফিরে তাকানো দুরের কথা। বাচ্চাটা নীলচে চোখে হাঁ করে ছেতরে পড়ে আছে। ল্যাজটা পেটের ভেতর সেঁধোনো। হাঁ করা মুখে লাল পিঁপড়ের লাইন। মুখের একদিক দিয়ে ঢুকছে অন্যদিক দিয়ে বেরোচ্ছে। কষবেয়ে রক্ত জমে কালচে হয়ে রয়েছে। লাল লালচে কালচে। কালতি নেই। অন্য একটাও বাচ্চা নেই।

    আজ সকালে বাইরের রাস্তার ধারের ঘরে সোফায় বসে কাগজ পড়ছি। জানলার বাইরে তখন কালতি কোথা থেকে জানি এসে আমার দিকে অদ্ভূত মুখ করে তাকিয়ে রয়েছে। বুঝি আমার কাঁধটা চাইছে। কেঁদে হালকা হবে হয়তো। সেদিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে হাতটা শিথিল হয়ে পড়ায় কাগজটা কোলের উপর খস্খস শব্দে পড়ে গ্যালো।

    কাগজের হেডলাইন ছিলো
    "অবাধ এবং সুষ্ঠ ভোটের কৃতিত্ব কমিশনের একার প্রাপ্য।"

    সাবহেডলাইন ছিলো
    "বিনা রক্তপাতেই মিটলো ষষ্ঠ দফার ভোট" ।।
  • pi | 167.40.158.199 | ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ২৩:৩৭434871
  • "" জানি বস , গাঁজা খেলেই কি আর আঁতেল হওয়া যায়, পেটে বিদ্যে থাকতে হয়, তবে তখন কিনা ছোটটি ছিলাম, তাই। ""

    প্রাপ্তি স্বীকার - " স্টেশন " থেকে পাখিয়াল Sayan Kar Bhowmik
    একটি গুরুচন্দা৯ প্রকাশনা

    আরেকজনের নাম না করলেই নয় প্রিয় Ipsita Pal যিনি আমার হাতে তুলে দিয়েছেন নব্বই দশকের আটেলদের কথা।'

    লিখেছেন Subrata Debbarma. পাখিয়াল নিয়ে।
  • গুরুচণ্ডা৯ | 24.139.221.129 | ২১ এপ্রিল ২০১৮ ১৬:০১434872
  • সুখবর! ২৩শে এপ্রিল, আন্তর্জাতিক বই দিবস উপলক্ষে গুরুচণ্ডা৯ ও কলেজস্ট্রীটের যৌথ উদ্যোগে এই বই ও গুরুচণ্ডা৯ থেকে প্রকাশিত সব বই পেয়ে যান কোনরকম শিপিং চার্জ ছাড়াই, ২১ থেকে ২৪শে এপ্রিলের মধ্যে।

    আর বিদেশ থেকেও যেকোন বই অর্ডার করা যাবে, দেশ অনুযায়ী শিপিং চার্জ নির্ধারিত হবে।

    তবে আর দেরি কেন! বই দিবসে আরো আরো বই পড়ুন, পড়ান!

    ্ব।োল্লেগেস্ত্রীত।নেত এ চলে আসুন।
    নেটে কলেজস্ট্রিট, কলেজস্ট্রিট ডট নেট!

    ক্লিক করে অর্ডার করুন। কোন সমস্যা হলে লিখুন।
  • গুরুচণ্ডা৯ | 24.139.221.129 | ২১ এপ্রিল ২০১৮ ১৬:০২434873
  • পাঠকবর, সুখবর! ২৩শে এপ্রিল, আন্তর্জাতিক বই দিবস উপলক্ষে গুরুচণ্ডা৯ ও কলেজস্ট্রীটের যৌথ উদ্যোগে এই বই ও গুরুচণ্ডা৯ থেকে প্রকাশিত সব বই পেয়ে যান কোনরকম শিপিং চার্জ ছাড়াই, ২১ থেকে ২৪শে এপ্রিলের মধ্যে।

    আর বিদেশ থেকেও যেকোন বই অর্ডার করা যাবে, দেশ অনুযায়ী শিপিং চার্জ নির্ধারিত হবে।

    তবে আর দেরি কেন! বই দিবসে আরো আরো বই পড়ুন, পড়ান!

    এ চলে আসুন।
    নেটে কলেজস্ট্রিট, কলেজস্ট্রিট ডট নেট!

    ক্লিক করে অর্ডার করুন। কোন সমস্যা হলে লিখুন।
  • আন্তর্জাতিক বই দিবস | 233.226.71.246 | ২১ এপ্রিল ২০১৮ ১৬:২১434874
  • টুটন নমঃ | 167.40.143.253 | ২২ এপ্রিল ২০১৮ ২২:০৫434875
  • আমি ৭০ নিয়ে লেখা অনেক গল্প পড়েছি, অনেক শুনেছি নকশাল-এর কথা। যতবারই শুনতাম রোমাঞ্চ হত, শরীরের পশমগুলি খাড়া হয়ে যেত বরাবর। এবারের আগরতলা বইমেলায় চতুর্থ দিন গুরুচন্ডা৯ -এর গোরা নকশাল বইখানা আমাই বেছে দেন Ipsita দি, সেদিনই বইখানা শেষ করি একটানা পড়ে। বইখানা আমাই নকশাল সমন্ধে একটা নতুন অভিজ্ঞতা দিয়ে গেছে, হৃদয় ছুঁয়ে গেছে মুহুর্তেই। প্রত্যেকটা গল্প এবং শুরুতে দুচারটে কবিতার যে লাইন আছে, মানে যেভাবে গুছিয়ে বইখানা গড়া হয়েছে পাঠকের মন না ছুঁয়ে যায় কোথায়। অসংখ্য ধন্যবাদ Ipsita দি কে এই বইখানার সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য। আশা রাখছি আবারও আগরতলার বইমেলাই পাবো আপনাদের, আবারও পাব এক নতুন অভিজ্ঞতা।
  • কল্লোল | 7823.63.345612.36 | ১৭ জুন ২০১৮ ২৩:২৪434879
  • আমাদের বৈচৈ হবার কথা ছিলো ১০ জুন, সেটি নানা কারনে পিছিয়ে এলো ১৭ জুনে। একটা বড় কারন, আমাদের গুরুর লত্তুন ঠেক। ১৮ জনক রোড। আরশি নামে বুটিক। সেখানেই আমাদের লামার গেঞ্জির গ্যাঞ্জাম। আর তার পাশের ঘরেই গুরুর নয়া ঠেক।
    বিকাল ৫টাতেই হাজির রৌহিন, মারিয়া, আম্মো। গিয়ে দেখি বইএর জন্য একটা চমৎকার চারমহলা তাক। রৌহিন আর মারিয়া বইটই গুছিয়ে রাখলে কায়দা করে। বইয়েরা শুয়ে দাঁড়িয়ে শোভা পাচ্ছেন তাকে তাকে।
    লোক্জন হাজির মোটামুটি ৬টাতেই। অয়ন-শুভ পেল্লায় ফ্লাস্কে চা নিয়ে এলো। ততক্ষনে তক্কোগুলি নিয়ে বলতে শুরু করেছেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়।
    সঞ্জয়ের মতে বইটি এক প্রাচীন সভ্যতার গপ্পো বলে - আদিগঙ্গাপাড়ে কালিঘাটি সভ্যতা। যেখানে সত্য-মিথ্যার ফালতু ঝামেলা থেকে বহুদূরে ঘুরে বেড়ায় আখ্যানসমূহ ল্যাজনেড়ে, কান চুলকে। আপনমনে বলে যাওয়া সেই সব গপ্পেরা এই বইটাতে বাসা বেঁধে আছে।
    সলিল বিশ্বাস তার খেই ধরেই বলে যান পথশিশুদের গল্পবলা সময়, কোন এক গৃহস্থ বড়িতে পাটশাক দিয়ে ভাতের গল্প। গপ্পেরা তো গপ্পোদের আত্মীয় হবেই, চেহারা-টেহারায় মিল তো থাকবেই। ভবিষ্যতের কোন এক মহোপাখ্যানে জুড়ে যেতেই পারে এই সব গপ্পোভায়েরা।
    সিদ্ধার্থ গুহরায় এরপর বলেন মিঠুনের কাশ্মীর বইটি নিয়ে, নাকি বড় অর্থে কাশ্মীর নিয়ে। দীর্ঘদিনের মানবাধিকার কর্মী সিদ্ধার্থ, একের পর এক গল্প তুলে আনেন, কখনো দলিল দস্তাবেজ, কখনো দুখী মানুষের কথকতা। ঠেকের ঘরে আস্তে আস্তে জ্যান্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর, সোনমার্গ আর ডাল লেক ছাড়িয়ে নিহত ও নিখোঁজ মানুষের জন্য ক্রোধে জ্বলতে থাকা অন্য কাশ্মীর।
    মিঠুন তার সদ্য ঘুরে আসা কাশ্মীর বয়ান করে, যেখানে অহরহ জলপাই আর জংলা উর্দ্দি খসখসে গলায় বলে চলে - হুকুমদার......
    এভাবেই শ্রোতাদের নানান প্রশ্ন ও আলাপচারিতায় বৈচৈ জেগে থাকে।
  • র২হ | 232312.167.124512.229 | ১৭ জুন ২০১৮ ২৩:৩৬434880
  • যতটুকু লাইভ দেখলাম খুব ভালো লাগলো। পুরো বৈঠকের ভিডিওর অপেক্ষায় আছি।
  • Tim | 342323.223.894512.234 | ১৯ জুন ২০১৮ ০৫:২২434881
  • আমি ঝট করে একটু যোগ করে দিই। গত প্রায় একমাস ধরে কল্লোলদা প্রচন্ড চেষ্টা করে এই আলোচনাটা দাঁড় করালো। এবং এমন এমন ঘটনা ঘটেছে যা ব্যাখ্যাতীত।
    কাশ্মীর যাওয়ার আগে কলেজস্ট্রীট থেকে সিদ্ধার্থবাবুর বইটা কিনেছিলাম। বইটা পড়তে পড়তেই অসম্ভব উত্তেজিত লাগছিলো, কারণ একজন ইতিহাসের অভিজ্ঞ অধ্যাপক ও মানবাধিকার কর্মী, আরো নানা অ্যাকাডেমিক কাজে চেনা নাম সিদ্ধার্থবাবুর ১৯৯৭ সালে লেখা এই বইটির দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে আমার দৃষ্টিভঙ্গীর অদ্ভুৎ সাযুজ্য আছে। কলকাতা ফিরে এসে বিবেকানন্দ কলেজে গিয়ে ওনার সাথে দেখা করার, এবং সম্ভব হলে ওনাকে বইয়ের আলোচনায় আনার ইচ্ছে ছিলো।
    ফিরে এসেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমার আর বেরোনো হচ্ছিলোনা। এমন সময় কল্লোলদার সাথে ফোনে কথা বলতে বলতে বেরিয়ে গেল কল্লোলদাও সিদ্ধার্থবাবুর কথা ভাবছে, এবং তারা পরষ্পরকে চেনেন পুরোনো সখ্যতাসূত্রে। কল্লোলদাকে ইস্পেশাল থ্যাঙ্কস। পাই, পিনাকীদা, সৈকতদা বা আরো যারা উদ্যোগ নিলেন তাদেরও অসংখ্য ধন্যবাদ।

    অনুষ্ঠান অতি চমৎকার হয়েছে। এই গরমে বই বা বিষয় নিয়ে আগ্রহে একটা জমায়েত, তাও তেমন প্রচার ছাড়াই, ভাবাই যায়না। আরো কিছু বেশি লোকজন হলে ভালো হতো। আরেকটু সময় হলে ভালো হতো। আর একমাত্র যেটা আমার আপশোষ রয়ে গেলো - কল্লোলদা আলাদা করে খুব বেশি বলার সময় পায়নি। সিদ্ধার্থবাবুর অসামান্য সিনপসিস যাতে সবাই মনে রাখতে পারেন তাই আমিও কাশ্মীরের ফিল্ড ওয়ার্কের রিপোর্ট মোটের ওপর জমিয়েই রাখলাম, পরে সময় করে সেসব বিশদে লেখা যাবে, বা কাশ্মীরেরই পরের এডিশন হলে জুড়ে দেওয়া যাবে।

    অনেকের সাথে আলাপ হলো, অনুষ্ঠানের সময় ও পরে। আমি সবাইকে গুরুর কাশ্মীরের পাশাপাশি সিদ্ধার্থবাবুর বইটা সুযোগ হলে পড়ে দেখতে বলবো। আর অতি অবশ্যই কোন প্রশ্ন থাকলে, আলোচনা থাকলে মেইলে/ফেসবুক মেসেজে জানাবেন।
  • | ১৯ জুন ২০১৮ ০৮:১৩434882
  • টিমি,
    সিদ্ধার্থবাবুর বইয়ের ডিটেলস দিও। নাম, লেখকের নাম আর প্রকাশক।
  • Tim | 2345.110.123412.57 | ১৯ জুন ২০১৮ ০৯:৪৩434883
  • লেখক সিদ্ধার্থ গুহ রায়। প্রকাশনা গ্রন্থমিত্র। নামটা একটু পরে দেখে বলছি। তবে কলেজস্ট্রিট দাশগুপ্ত এইগুলো আর কাশ্মীর অবধি বললেই দিতে পারছে।
  • | 670112.193.234523.225 | ১৯ জুন ২০১৮ ০৯:৫৮434884
  • থ্যাঙ্কু রে।

    আচ্ছা এই ওনুষ্ঠানে বোদাগুর যাবার কথা ছিল না? বোম্তিমে দিতে? দেয় নি?
  • Tim | 2345.110.123412.81 | ১৯ জুন ২০১৮ ১৬:৫০434885
  • বোদাগু আসেন্নাই।
  • T | 565612.69.1290012.252 | ১৯ জুন ২০১৮ ১৬:৫৬434886
  • ওঁকে দেশের নামটা ঠিক করে বলে দিয়েছিলে? অন্য কন্টিনেন্টে চলে যাননি তো আবার!
  • Tim | 2345.110.123412.81 | ১৯ জুন ২০১৮ ১৯:২৫434887
  • ঃ-)
  • h | 340123.99.121223.133 | ২০ জুন ২০১৮ ১৭:১৯434889
  • আমার নানা অসুবিধে তে দিন কাটছে। কিছু সমস্যা বেড়ে গেছে। তাই যাওয়া হয় নি। কল্লোল দা কে জানিয়েও ছিলাম। মোটেই আমি এরকম ভুলে যাই না, এটা লেক টাউন না লেক মার্কেট না ঢাকুরিয়া লেক না সল্ট লেকের বাইরে তো কোথাও হতো না, একটা লেক এর ব্যাপার ছিল, সে কল্লোল দা কে ফোন করে নিলেই হত। বড় সমস্যা কিসু না ঃ-(
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন