এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • ঐতিহ্যমন্ডিত বাংলা চটি সিরিজ

    sumeru
    বইপত্তর | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ | ৮১৩১৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 2345.110.894512.117 | ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:৪০434923
  • বেদাংশু মিশ্র লিখেছেন, গোরা নকশাল পড়লাম।
    আমার চিন্তাভাবনা বা মতাদর্শর সম্পূর্ণ অন্যদিকের লাগল। বক্তব্যে অধিকাংশর সাথেই একমত হলাম না।
    কিন্তু কল্লোল লাহিড়ী ,আপনি আরো লিখুন। কারণ এই সবকিছুর পরেও এ বই আমাকে যতটা স্পর্শ করেছে, বহুদিন অন্য কোন বই করেনি।
    যে অদ্ভুত মায়ায় আপনি গল্প শুনিয়েছেন, অতীত আর ভবিষ্যতের মধ্যে সময়কে ছুঁয়ে , তা মনকে সরে আসতে দেয় না।ভাষা, ন্যারেটিভ , নিপুণ হাতে বুনে চলা নির্মম বর্ণ্না বিশ্বাস করায় না, এটা লেখকের প্রথম উপন্যাস। ৬৪ পাতায় যে এই গভীরতা সত্যিই বোনা যায়, না পড়লে বুঝতামই না কোনদিন।
    বইয়ের মাঝে ছড়িয়ে থাকা প্রশ্নগুলোও ছুঁল। গরীবের সরকার ,গরীবের উপরে কি করে লাঠি চালায়, আমরা সত্যিই কেউ জানি না। যেটা জানি, সেটাও হয়তো নীতিকথা আর তাত্ত্বিক কচাকচিতে মনকে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা। যেমন জানি না , দেশহীনের আদেও কোন দেশ হয় কিনা। জানি না, আদেও নকশালদের দেখা স্বপ্নের কোন বাস্তব হয় কিনা।
    শুধু একটা জিনিস জানি। টুকুনের মত।
    যে বা যারা উড়তে চেয়েছিল, তারাই নকশাল।
  • তাতিন | 340123.110.234523.19 | ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ২১:০৭434924
  • গুরুর চটি দেখলাম স্ক্যান হয়ে ফ্রি বাংলা বই ডাউনলোডের সাইটে পাওয়া যাচ্ছে। অভিনন্দন।
  • pi | 7845.15.013423.250 | ০২ নভেম্বর ২০১৮ ১৫:৩৮434925
  • সুমন পাচাল লিখেছেন,

    আমি বই টি পড়েছি সম্প্রতি। নিটোল গদ্য, প্রত্যেকটি শব্দের প্রয়োজন ছিল কোনো বাহুল্য নেই শব্দের/বাক্যের, ঝরঝরে লেখা। খুব ছুঁয়ে গেছে লেখাটি। ওনার লেখা আর কোনো বই আছে?
  • গুরুচণ্ডা৯ | 7845.29.236712.121 | ১৭ নভেম্বর ২০১৮ ২২:১৭434926
  • "-শুনেছেন, নৈঋতাকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছে?
    -কেন, কি করেছিল?
    -প্রেম।
    -শুনেছেন, হাদিয়াকে বাড়িতে আটকে রেখেছে?
    -কেন, কি করেছিল?
    -প্রেম।
    -শুনেছেন, অভ্র-অনিকেতকে কলেজ থেকে সাসপেন্ড করেছে?
    -কেন, কি করেছিল?
    -প্রেম।
    -শুনেছেন, প্রীতমকে ওর বাড়ির ছাদে ওর প্রতিবেশীরা পিটিয়েছে?
    -কেন, কি করেছিল?
    -প্রেম।
    -জানেন, প্রত্যেক বছর ভারতবর্ষের ১০০০-এর বেশী ছেলেমেয়ে তাদের পরিবারের হাতে খুন হয়?
    -কেন, কি করেছিল তারা?
    -প্রেম।
    -জানেন, আমেরিকাতে অন্ততঃ সাত লাখ টিন-এজারস বাবা-মা থাকা সত্ত্বেও হোমলেস?
    -কেন, কি করেছিল তারা?
    -প্রেম।
    -এগুলোর বিরূদ্ধে কিছু লিখবেন না? কিছু করবেন না?
    -করব তো।
    -কি?
    -প্রেম। "

    আসতে চলেছে, অভিজিৎ মজুমদার আর অর্চন মুখার্জির বই "নৈঃশব্দের পত্রগুচ্ছ।।।।য় এত্তের তো ইলেে", ভারতীয় প্রান্তিক যৌনতার মানুষদের বড় হয়ে ওঠার সঙ্কট ও সংগ্রামের এক চিত্রময় বিবরণ। অর্চনের ক্যামেরায় কখনো ব্যক্তির টানাপোড়েন ব্যপ্ত হয়েছে সমষ্টির যন্ত্রণায়, কখনো নিতান্ত গোপন লুকোনো ইচ্ছে ধরা পড়ে গেছে লেন্সের চোখে। অভিজিতের কলম সেই দশটি ছবিকে শব্দ দিয়েছে কবিতায়, গল্পে, কথোপকথনে, স্বগতোক্তি আর চিঠিতে। আপনারা অনেকেই হয়তো বইটিকে আগে ই-বুক ফরম্যাটে দেখেছেন, পছন্দ করেছেন, ভলোবেসেছেন। এইবার আসছে বইয়ের আকারে, দু'মলাটের ভিতরে শব্দবন্দী হয়ে। খুব শিগগিরি ! বইটিকে সাধারন পাঠকের নাগালের মধ্যে রাখার জন্য কেউ বইয়ের আংশিক আর্থিক দত্তকে কেউ আগ্রহী হলে, মেসেজ বা মেইল করতে পারেন।

    আলোকচিত্রঃ অর্চন মুখার্জি

  • pi | 7845.29.9008912.171 | ২১ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:০৬434927
  • "দুই দশক, দুই সময়। মাতাল ঝড়ের পর অপার নিস্তব্ধতা। বীরেন চাটুজ্যের আগুনে কবিতার সিঁড়ি বেয়ে সুমনের গান। শান দেওয়া কাস্তের ধার কমতে থাকা, কমতে দ্যাখা.. ভুলতে চাওয়া সত্তর, ভুলে যাওয়া নব্বই। দুই দশক, দুই সময়.... গোরা নকশাল, অনুষ্ঠান প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় দুঃখিত।

    -কল্লোল লাহিড়ী ও শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য, দুই লেখকের সঙ্গে ফেলে আসা দিনগুলোর চারণে মৈনাক সেনগুপ্ত..

    ২৩শে নভেম্বর, শুক্রবার সন্ধ্যেয়
    আরশির আড্ডা জমজমাট !

    এলে ভালো লাগবেই ..."

    আরশি,18 জনক রোড, কোলকাতা 29 (লেক মলের পাশের রাস্তা)

    লিখেছেন Anasuya Gupta
  • pi | 7845.15.2390012.39 | ২৩ নভেম্বর ২০১৮ ১১:২৮434928
  • "#চিন্তাসূত্র-১ ( একটা বই)
    ----------------------------------
    ( কর্ণ, জ্যেষ্ঠ,
    এখুনি জানলাম, আজ তোমার জন্মদিন।
    আর কিই বা দিতে পারি, আপন মনের ক্ষত ছাড়া?
    এ লেখা, তোমারই থাক)

    কিছু কিছু বই থাকে যেগুলো টেবিলের নিচে পড়ে থাকে অবহেলায়। লুকিয়ে থাকে আলমারির পেছন দিকের ঘুপচিতে। হারিয়ে যায়, পাতা ছোঁয়ারও আগে।
    আমার বাড়িটা ক্রমশ বই আর বইয়ের স্তুপে পরিণত হচ্ছে দিন কে দিন। আমি পড়ি যতো, কিনি বোধহয় তার চাইতেও ঢের ঢের বেশি।
    নিজের জীবন যখন যাপন শুরু করেছিলাম বছর দশেক আগে, তখন সাজিয়ে রাখতাম সব। তারপর পুরোটাই কেমন জানি লেবড়ে গেলো হঠাৎ।
    এখন আমার টেবিল, চেয়ার, আলমারি, কুলুঙ্গি, সবখানে ঠাঁসা শুধু বই।
    ভালোই হয়েছে একদিক থেকে।
    হঠাৎ দুপুরে কিম্বা পাগলাটে রাতে এসব হাঁটকাই আমি। খুঁজে বের করি অনাস্বাদিত রোমাঞ্চ। মলাট সরিয়ে নাক ডোবাই পাতাতে। গন্ধ ভেসে আসে ছাপাখানার আবছা। আমি বই পড়ি না। প্রথমেই পড়তে নেই এসব। পড়ে ফেললেই সবটা মাটি। তার চাইতে হাতে নিয়ে চোখ বুজে ভাবতে মজা বেশি।

    অনাঘ্রাতা কাহিনীর আবেশ।

    বই পড়তে হয় তারও কিছু খানিকটা পরে। যত্নে ওল্টাতে হয় পাতা। তর্জনী ছোঁয়াতে হয় আলতো। বইয়ের মলাটে যেন ভাঁজ না পড়ে দৈনন্দনিতার। মলাট যেন সর্বদা থাকে টগবগে।
    এ রোগ আমার চির কালের।

    এক্কেবারে ছোটো ছিলাম যখন আমি, যখন আমার দপ্তরে কেবল রবিনসন ক্রুসো, ট্যুয়েন্টি থাউজেন্ড লিগস আন্ডার দ্য সি আর সুকুমার উপেন্দ্র রচনাবলী, তখনও আমি বই পড়তাম বালিশ আর গুটলি পাকানো গেঞ্জির ঠেকনা দিয়ে। বইয়ের মেরুদন্ড খাটের ওপর রাখা। ডান মলাটের নিচে বালিশ। বাম মলাটের নিচে গোঁজড়ানো গেঞ্জি। দুলে দুলে পড়তাম রামায়ণের মতো।
    তারপর বাবার বোধহয় মায়া হলো। দোকান থেকে গীতাপাঠের স্ট্যান্ড কিনে দিলো একটা। সেই থেকে আমি স্ট্যান্ডে রেখেই বই পড়ি। এখন অবশ্য স্ট্যান্ড নেই আর। এখন আবার গেঞ্জি-বালিশ ফেরৎ এসেছে স্বমহিমায়।

    ইদানিং আমার হাতে অনেক সময়। আমি বেশ বুঝতে পারছি, লেখা আমায় ছেড়ে চলে যাচ্ছে। একটা সময় ছিলো যখন সকালবিকেল রাতনিশুত জেগে কেবল লিখেছি লিখেছি আর লিখেছি। ভূতগ্রস্তের মতো চলেছে আঙুল কি-বোর্ডে ঝিম ধরিয়ে।
    তারপর ক্রমশ ক্লান্তি ঘিরে ধরলো আমাকে। একঘেঁয়েমির ক্লান্তি। একই রকমের বাক্য বিন্যাস, একই ধারার শব্দবন্ধ, বেকার লাগলো বড্ডো। আমি ধারা পাল্টালাম। আমি রূপকথা লিখলাম, গল্প লিখলাম, লিখলাম গোটা দুই আস্ত উপন্যাস। যত লিখলাম, তত ছটফটানি বাড়লো কেবলই। আমি গৎ পাল্টালাম। চেনা গন্ডীর স্বাচ্ছন্দ্য আমার শ্বাসবায়ু ভারী করে তুলছিলো ক্রমশ।
    আমি জানতাম...আমি ঠিক জেনে যেতাম লেখারও আগে, বাক্য কোথায় মোড় নেবে আচমকা, পাঠক কোনখানটা পড়ে বলবে--" হেব্বি লিখেছো ভাই..."
    এই স্বাচ্ছন্দ্যটাই বড়ো একঘেঁয়ে। বড়ো আড়ম্বরময় দৈন্য। ফোঁপরা। অন্তঃসারশূণ্য। এতে অ্যাডভেঞ্চার নেই কোনো। নেই নতুন সৃষ্টির উল্লসিত দীর্ঘশ্বাস।
    চেনা। চেনা। চেনা।
    সবটাই বড্ডো চেনা।
    চেনা হাততালি। চেনা তিরস্কার। চেনা প্রশস্তি।

    গল্প চাইলে তো অনেকই লেখা যায় জীবনটা জুড়ে পাতা এবং পাতা। গল্পের অভাবটা কোথায় জগতে? এই যে এখন রাত এবং ভোরের সঙ্গম, ওই যে অনুধাবনাতীত শব্দে, আর অচেনা একটা সুরে গান বাজছে দূরে মাইকে...আজ বোধহয় ছট..ছট তো দেখি নি আগে। জানতামও না। ছট হোক বা না হোক, ভোর রাতে এই দূর থেকে ভেসে আসা সুর, বড্ডো আনমনা করে দেয় সত্ত্বাকে।
    মনে হয় বালিশ জড়িয়ে হারিয়ে যাই ভাবনাতে। ফিরে যাই বাড়ি। কিম্বা যাই অভিযানে। ঘোড়া ছোটাই কল্পনার এলোমেলো। খেই থাকবে না তাতে এতটুকু। থাকবে না পারম্পর্য্য নীতি।
    আপন কথা, কার-ই বা নিয়ম মেনে এগোয়।

    এই আমি চোখ বুজলাম।
    কী দেখতে পাচ্ছি?
    ঝকঝকে তিনকোণা একটা তুষার শৃঙ্গ। তার ডান দিকের ঢালটা আবছা। তুষার ঝড় অথবা চির-কুয়াশা ঢেকে রেখেছে ওখানটাতে।
    এই পাহাড়টার নাম কে-টু। কারাকোরামের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম। এটার ছবি দেখেছিলাম পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলায় সেই কবে কোন দিনে। পশ্চিম ঢালে মরণফাঁদ পাতা সযতনে। মারা গেছে কতশত বুক চিতানো অভিযাত্রীর দল। গাঁথা থেকে গ্যাছে বরফে। গোঁফে, চুলে, চোখের পাতায় জমাট বেঁধেছে তুষার কুঁচি। অবিকৃত বীর-দেহ।
    স্বপ্ন দেখতাম বড়ো হয়ে ওইখানে উঠবো আমি।
    উঠবো ওই পশ্চিম ঢাল বেয়ে। ম'রে গেলে ম'রে যাবো। কিন্তু ট্রাই নেবো একটা।
    মানস ছবির ওই তুষারাবৃত দিকটাই আমার কল্পনাতে "পশ্চিম ঢাল"।
    যেখানে যেতে পারে না কেউ, সেখানেই তো রহস্য। তাই বোধকরি মানসপট ওখানে কুয়াশাচ্ছন্নতা এঁকেছে জোরালো।

    বড়ো তো হলাম।
    হলো না কিছুই।
    বড়ো হওয়া আদতে একটা প্রসেস মাত্র। কালের চাকার নিয়ম মাফিক গড়িয়ে চলা।
    খোকা হামা টানে, খোকা "আয় আয় চাঁদমামা" বলে, খোকা ইস্কুলে যায়, খোকা বই পড়ে, খোকা আপিস ঠ্যালে, খোকা বেডসোরে ভোগে, খোকা মরে যায়।
    এইইই তো।
    ব্যাস।
    আর তো সেরমটা কিছ্ছুটি নেই।
    মাঝখান থেকে আমরা বোকার মতো কিছু স্বপ্ন দেখতে শিখি। অভিযাত্রীর স্বপ্নপূরণ হয় না আর কিছুতেই।
    যে এভারেস্টে চড়ে তারও হয় না, যে "বাড়ি-আপিস-বাড়ি" খেলে, তারও হয় না।
    স্বপ্ন থাকে অধরাই। বড়ো হওয়ার স্বপ্ন।
    বড়ো হয়ে বাজিমাতের স্বপ্ন।

    এসব নিয়ে তো গল্প লেখাই যায়। লিখেওছি তো কতো। লিখেওছি তো এতদিন। লিখলামও তো আজও ...এই যে।
    তাতে কী এমন ঘোড়ার ডিমটা হলো শুনি?
    যে লেখা একবার লিখেছি, সে পথে আবার হাঁটলে চর্বিতচর্বণই বেরোবে কলমে।
    আবার শুনবো চেনা গতের হাততালি। পরিচিত বাহবা।
    এতে গরিমার হাতছানি থাকলেও, শান্তির আবেশ নেই আত্মার।

    এসব এড়াতেই আমি তাই এখন কেবলই পড়ি। কিম্বা শুয়ে থাকি একলাটি।
    এভাবেই সেদিন পড়ে ফেললাম, বছর খানিক আগে কেনা "গোরা নকশাল"।
    গুরুচন্ডালী পাবলিকেশন থেকে বেরোনো চটি একটা বই। পাতার সংখ্যা ৬৪ । দাম ৬০ টাকা। টেন পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট ধরলে আরোই কম।
    লিখেছেন কল্লোল লাহিড়ী।
    নামেই-- আন্দাজ অনেকখানির।
    নকশাল নিয়ে লেখা।
    কিন্তু শুধু কি তাই?
    গোরা নকশালের প্রতিটা পাতায় আছে বাড়ি ফেরার ছুটি, লালচে ভাতের ঘ্রাণ, ভোর উনুনের ধোঁয়া, শীতের লেপের ওম, শৈশবের অপাপবিদ্ধতা। আর রয়েছে দগদগে একটা প্রশ্ন।
    সামান্য তো একটা চাওয়া।
    সকলের জন্যভাত কাপড় বাড়ি।
    সেটাও সত্যি হলো না কেন?

    কল্লোল, বয়সে হয়তো কাছাকাছিই হবেন আপনি। আপনি কি জানেন, আপনার এ বইটা বড়ো অনাদরে হারিয়ে যাচ্ছে আড়ালে। এ বই চোখের জলে গরম ক'রে পড়তে হয় আদরে। এ বই ছুঁয়ে রাখতে হয় ভালোবেসে।
    আমার যদি ক্ষমতা থাকতো, সকল বন্ধুকে একটা করে কপি দিতাম যত্নে। অ্যাতো সহজ সরল সোজা সাপ্টা উপলব্ধির ছবি আঁকা বড়ো কঠিন।
    আপনি পেরেছেন।
    আপনাকে সাধুবাদ।
    সঙ্গে একখানি প্রশ্ন।
    যদি এ লেখা আপনি পড়েন, তবে উত্তরটা জানাবেন আমায়? প্লিজ?

    আচ্ছা কল্লোল,
    সুযোগ পেলে আবার একই পথে আপনি হাঁটবেন? আঁকবেন একই ছবি অন্য কলমে?

    ধরুন...ধরুন কেউ আপনাকে বললো, --
    " এ লেখাটাই বড়ো করো হে। নতুন করে ধরো। উপন্যাস করো বৃহদাকার। অথবা ছোটোগল্পে ভাঙো পাঁচটা।"

    করবেন?
    বহু ব্যবহারে এই সযতনের ছবিগুলো মলিন হয়ে যাবে না তখন?

    আমি জানি কল্লোল আপনি করবেন না এরকমটা। করবেন না বলেই আপনি অ্যাতো কম লেখেন।

    বেশি লেখাটাই অপরাধ। বেশি লেখাটা বড়ো কদর্যতা। যাঁরা যাঁরা সে মোহে পা দিয়েছেন, তাঁরা সকলেই নাম কুড়িয়েছেন অনেক। কিন্তু বোধকরি, কল্পনাকে প্রথমবার স্পর্শ করতে পারার শিহরণটা হারিয়েছেন অনেকটাই। হারিয়েছেন, ধোঁয়াটে মনের আঙিনায় কঞ্চি হাতে একলা ঘুরে বেড়ানোর আরাম।

    ভালো থাকুন কল্লোল।
    গোরা নকশাল এর জন্য আমার ধন্যবাদ নেবেন।"

    লিখলেন, সব্যসাচী সেনগুপ্ত।

    বইটি এখানে পাবেন,

    আর কলেজস্ট্রীটের দেজ দে বুক স্টোর, ধ্যানবিন্দু, উবুদশ, লেক মলের কাছে জনক রোডের আরশি তে।
    আজ সন্ধে ছ'টা থেকে আরশিতে লেখকের সংগে পাঠকের কথোপকথন, সবার আমন্ত্রণ!
  • pi | 7845.15.2390012.39 | ২৩ নভেম্বর ২০১৮ ১১:৩৭434929
  • name: Ti mail: country:

    IP Address : 18.37.233.107 (*) Date:30 Mar 2018 -- 03:37 PM

    যে জন্য এখানে আসা, সেটা তো বলাই হয়ে উঠল না।
    আপনাদের কল্লোল লাহিড়ী-র গোরা নকশাল লেখাটি অসম্ভব ভাল লেগেছে আমার।
    বইটা পড়বার সময় মনে হচ্ছিল যেন ঘটনাগুলো আমার চোখের সামনে ঘটছে, সব যেন দেখতে পাচ্ছি। মুড়ির বাটি থেকে দেওয়ালের রংচটা খসে পড়া চামড়া পর্যন্ত... সব দেখতে পাচ্ছি। যেন আমিও সেই জায়গাতেই থাকি, আমিও তাঁদেরই একজন।
    খুব একটা সাজিয়ে-গুছিয়ে আমি বলতে পারি না। পারলে হয়তো আরও কিছু লিখতে পারতাম এই "গোরা নকশাল" নিয়ে।
  • গুরুচণ্ডা৯ | 7845.29.454523.90 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:৩৩434931
  • আজ, এই পাঁচটায় শুরু হল ভারতসভা হলে বংকু আয়োজিত সভা, বংকু র নতুন সংখ্যা প্রকাশ উপলক্ষে, থাকবে লিটল ম্যাগাজিন ও এল জি বিটি কিউ, এই আলোচনা, গুরুচণ্ডা৯ র পক্ষে বলবেন, Rouhin Banerjee. গুরুচণ্ডা৯ র সেই পত্রিকা, যা দিয়ে এই ইস্যু নিয়ে গুরুচণ্ডা৯ র জার্নি শুরু, সেই ' অন্য যৌনতা ' নতুনভাবে মুদ্রিত হল, থাকবে 'আমার যৌনতা', বস্টনে বং গে, অসুখ সারানের পুনর্মুদ্রণ ও, আর 'এখানে তুমি সং্খ্যালঘু'

    এবং, আজই প্রকাশিত হল নৈ:শব্দের পত্রগুচ্ছ।

    "-শুনেছেন, নৈঋতাকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছে?
    -কেন, কি করেছিল?
    -প্রেম।
    -শুনেছেন, হাদিয়াকে বাড়িতে আটকে রেখেছে?
    -কেন, কি করেছিল?
    -প্রেম।
    -শুনেছেন, অভ্র-অনিকেতকে কলেজ থেকে সাসপেন্ড করেছে?
    -কেন, কি করেছিল?
    -প্রেম।
    -শুনেছেন, প্রীতমকে ওর বাড়ির ছাদে ওর প্রতিবেশীরা পিটিয়েছে?
    -কেন, কি করেছিল?
    -প্রেম।
    -জানেন, প্রত্যেক বছর ভারতবর্ষের ১০০০-এর বেশী ছেলেমেয়ে তাদের পরিবারের হাতে খুন হয়?
    -কেন, কি করেছিল তারা?
    -প্রেম।
    -জানেন, আমেরিকাতে অন্তত: সাত লাখ টিন-এজারস বাবা-মা থাকা সত্ত্বেও হোমলেস?
    -কেন, কি করেছিল তারা?
    -প্রেম।
    -এগুলোর বিরূদ্ধে কিছু লিখবেন না? কিছু করবেন না?
    -করব তো।
    -কি?
    -প্রেম। "

    আজ প্রকাশিত হচ্ছে, অভিজিত মজুমদার আর অর্চন মুখার্জির "নৈঃশব্দের পত্রগুচ্ছ", ছাপা বইয়ের দু'মলাটের ভিতরে শব্দবন্দী হয়ে।

    আলোকচিত্র ঃ অর্চন মুখার্জি।

    বাকি প্রচ্ছদগুলি সায়ন কর ভৌমিকের।

    ধন্যবাদ এই যাত্রার সংগে নানাভাবে যুক্ত নানা মানুষজনকে। ধন্যবাদ, টিম বংকুকে।
  • গুরুচণ্ডা৯ | 7845.29.454523.90 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:০৭434933
  • এখন, ভারতসভা হলে, বংকু রর আলোচনা, এল জি বি টি কিউ ইস্যু ও লিটলম্যাগাজিন। গুরুচণ্ডা৯ র পক্ষ থেকে বলছেন, Rouhin Banerjee.

    https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1495046607306830&id=100004045160791
  • Guruchandali Kolikal | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ২১:৫৫434934
  • সুসংবাদ। আসতে চলেছে গুরুচণ্ডা৯ প্রকাশনার নতুন দুইখানি বই। অলক্ষ্মীদের জন্য অলক্ষ্মীদের দ্বারা লিখিত দুই খন্ডে প্রকাশিত সম্পূর্ণ অলক্ষ্মীপুরাণ।

    ১। প্রথম বই। অলক্ষ্মীর পাঁচালি -- মেয়েদের কলম, এই সময়। এটি আসলে একটি প্রবন্ধ সংকলন, যাতে ঢুকে আছে মেয়েদের সমস্যা, নারী বিষয়ক তর্ক, ধারণা। সংবাদ পত্র থেকে শুরু করে নেটজগতে প্রকাশিত অজস্র প্রবন্ধের এই সংকলনটি এক কথায় মেয়েদের আস্ত জগৎ। নামেই মালুম, লিখছেন কেবল মহিলারা তথা অলক্ষীরা, যাঁদের অনেকেই লেখালিখির জগতে বেশ পরিচিত নাম। সংকলনটির সম্পাদনা করেছেন যশোধরা রায়চৌধুরী।

    ২। দ্বিতীয় বই। লক্ষ্মীর প্যাঁচা৯ । এ আসলে চিরাচরিত লক্ষ্মীর পাঁচালিকে পুনর্নবীকরণের এক প্রয়াস। লক্ষ্মীর পাঁচালির পয়ার ছন্দটিকে অবিকৃত রেখে বিষয়বস্তুটিকে সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়ে লেখা হচ্ছে নতুন একটি পাঁচালি। একে প্যাঁচালিও বলা যেতে পারে, বা প্যারডি। লোকশিক্ষেও বলা যেতে পারে, বা সাবভার্শন। লিখছেন নানা প্রজন্মের মহিলা ও পুরুষ কবিরা। এর দু-একটি পদ্য ইতিমধ্যেই প্রকাশিত, নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে পপুলারও। এবার সম্পূর্ণ বইটি আপনি পাবেন গুরুচণ্ডা৯র প্রকাশনায়। ছাপা অক্ষরে। যা একটি সম্পূর্ণ ও নবীকৃত লক্ষ্মীর প্যাঁচা৯।

    দুটি বইই আসছে শীঘ্রই। কলকাতা বইমেলার আগেই। ছাপার তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। গুরুর যেকোনো বইয়ের মতই এও একটি জনতার প্রকল্প। যাঁরা সন্তান ভেবে এদেরকে দত্তক নিতে চান, অবিলম্বে >[email protected] এ মেল করুন। মনে রাখবেন, দত্তকের সুযোগ সীমিত। :-)

    আরও একটি বিষয়ে বলার। এটি একটি চলমান প্রকল্প। ফলে এই দুটি বইতেই তা সীমিত থাকবে না। বইমেলার পরেই হাত দেওয়া হবে প্রথম বইটির দ্বিতীয় খণ্ডে। সেটিতে গুরুতে প্রকাশিত কিছু প্রবন্ধ থাকবে - এরকমভাবে প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছে। সঙ্গে থাকুন। জ্জয় গুরু।
  • pi | 4512.139.122323.129 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ২১:১৪434935
  • গুরুর গুঁতো। যশোধরা রায়চৌধুরী আর সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় , মুখোমুখি।

    https://www.facebook.com/guruchandali/videos/332286054220620/
  • pi | 2345.110.454512.68 | ১১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:৫৬434936
  • কালকে, সাপ্তাহিক বর্তমানে। নির্বাচিত গল্পপাঠ নিয়ে।

  • pi | 2345.110.454512.77 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ ২১:২৩434937
  • কল্লোলদার বই নিয়ে। আগে দেওয়া ছিল কিনা খেয়াল নেই।

    https://aajkaal.in/news/bookreading/nakshalbaji-ljhl
  • dd | 90045.207.1256.224 | ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:১১434942
  • আমি ফার্স্ট, পাই ফ্যাল।
  • pi | 785612.40.017812.93 | ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:১৭434945
  • ঃ(

    আকচুয়ালি দমদি ফার্স্ট ছিল!
  • | 453412.159.896712.72 | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:৫৬434946
  • আচ্ছা ইসে, এই বছরের বইয়ের লিস্টি কিন্তু সাইটে আসে নি এখনও। যদিও ফেবুতে রমরম করে চলছে বেশ কিছুদিন। ;-)
  • boimelaa | 232312.172.781223.89 | ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:৪৯434948
  • তাইতো, এখনো লিস্টি আসেনি। এই ন্যান।

    ২৯৩এ নতুন ১১টিঃ

    ######

    সিজনস অব বিট্রেয়াল – দময়ন্তী
    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
    ইতিহাস শুধু বইয়ে লেখা থাকেনা, গণস্মৃতিতেও ধরা থাকে ইতিহাসের উল্টে আসা পাতা। দেশভাগ সংক্রান্ত এই বইটি তেমনই এক গণস্মৃতির আর্কাইভ। দেশভাগের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাগুলিকে লেখিকা তুলে এনেছেন পারিবারিক অ্যালবাম থেকে। এ একেবারেই কোনো কল্পকাহিনী নয়, বরং স্মৃতিতে থাকা দেশভাগের আখ্যান, যার সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সেই বাস্তবতা, যাকে ইতিহাস বলা হয়ে থাকে। এই বইয়ের প্রতিটি অনুচ্ছেদে ফুটনোট হিসেবে তাই জুড়ে দেওয়া আছে এতাবৎকালের লিখিত ইতিহাস ও পারিবারিক স্মৃতির রেফারেন্স। ব্যক্তির স্মৃতি এখানে ইতিহাস হয়ে উঠেছে, আর ইতিহাস হয়ে উঠেছে গণস্মৃতির উপজীব্য। বাংলায় দেশভাগ নিয়ে লেখা এবং স্মৃতিকথন, কারোরই কোনো অভাব নেই। কিন্তু এ দুটিকে পরতে পরতে জুড়ে দিয়ে ইতিহাসের কঠিন বাস্তবতা আর টানটান মানবিক ফিকশনের অনন্য এক যুগলবন্দী গুরুচণ্ডা৯ থেকে প্রকাশিত এই বই।

    প্রচ্ছদ - দেবরাজ গোস্বামী
    নামাঙ্কন - চিরঞ্জিত সামন্ত
    ————————-

    অতিনাটকীয় - একক
    ~~~~~~~~~~~~
    কাজী যখন জোলারে জিগান ঃ গেলো বুধবার রাত সাতটায় তুমি অমুকের বাড়ির খাটালে সিঁদ কেটে ঢুকে মোষ চুরি করেছিলে ? জোলা তো রেগে আগুন ! সে এগারো দিন সময় চেয়ে নিল কাজীর কাছ থেকে , তারপর সেরা উকিল -লোক লস্কর ও সাক্ষী সাবুদ এনে কাঁটায় কাঁটায় প্রমান করে দিল , বুধবার নয় জোলার পো মোষ চুরি করেচে বিষ্যুতের ভোরে , বাগানের খোলা দরজা দিয়ে ঢুকে । তার বাগ্মিতা ও উপস্থিত বুদ্ধিতে ধন্য ধন্য কল্ল গাঁয়ের জনগণ । অন্তিমে, জোলার হেঁটোয় কাঁটা দিয়ে ডালকুত্তাদের ভুরিভোজ হলো ।

    এই কৃশকায় বইটির ফঙ্গবেনে কাহিনীসমূহ , গল্পসাহিত্যের বিন্যাসে ও ঘটনাপ্রবাহের যুক্তিজালবিস্তারে উপরিউক্ত জোলার পদাঙ্কানুসারী।এবার , কাজীর বিচার পাঠকের হাতে ।

    প্রচ্ছদ - একক
    ————————-

    পাড়াতুতো চাঁদ – ইন্দ্রাণী
    সংকলন - ছোট গল্প
    ~~~~~~~~~~~~~
    শঙ্খ ঘোষ বলেছিলেন, 'আমরা যখন সত্যিকারের সংযোগ চাই, আমরা যখন কথা বলি, আমরা ঠিক এমনই কিছু শব্দ খুঁজে নিতে চাই, এমনই কিছু কথা, যা অন্ধের স্পর্শের মতো একেবারে বুকের ভিতরে গিয়ে পৌঁছয়। পারি না হয়তো, কিন্তু খুঁজতে তবু হয়, সবসময়েই খুঁজে যেতে হয় শব্দের সেই অভ্যন্তরীণ স্পর্শ।" ইন্দ্রাণী খুঁজে চলেছেন।

    প্রচ্ছদে ব্যবহৃত তৃণা লাহিড়ীর পেপার কাট
    ————————-

    মজুররত্ন - তন্বী হালদার
    ~~~~~~~~~~~~~~~~~
    গল্প সংকলন
    এ এক অন্য জগৎ। এখানে ফরেস্ট বাংলোর চৌকিদারের ছেলের বউ বেহুলা, স্বামীর নাম লখিন্দর। এখানে মেথর কোয়ার্টারের যাত্রাপালায় রাবণের বৌ হয় সীতা। ভিখিরিরা গেয়ে ওঠে একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি। এখানে বিহার থেকে সোনাগাছি ঘুরে আসা মেয়ের নাম গঙ্গা। এখানে সকাল অন্য রকম। রাত অচেনা। অজনা মানুষ, অচেনা গল্প, অপরের জগৎ। অন্য ভাষা অন্য সুরে এই অনন্য উপাখ্যানগুলি গেঁথেছেন তন্বী হালদার।

    প্রচ্ছদে ব্যবহৃত তৃণা লাহিড়ীর পেপার কাট
    ————————-

    লক্ষ্মীর পাঁচাঌ
    সম্পাদনাঃ যশোধরা রায়চৌধুরী
    ~~~~~~~~~~
    লক্ষ্মীর পাঁচাঌ । এ আসলে চিরাচরিত লক্ষ্মীর পাঁচালিকে পুনর্নবীকরণের এক প্রয়াস। লক্ষ্মীর পাঁচালির পয়ার ছন্দটিকে অবিকৃত রেখে বিষয়বস্তুটিকে সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়ে লেখা হচ্ছে নতুন একটি পাঁচালি। একে প্যাঁচালিও বলা যেতে পারে, বা প্যারডি। লোকশিক্ষেও বলা যেতে পারে, বা সাবভার্শন। লিখছেন নানা প্রজন্মের মহিলা ও পুরুষ কবিরা। এর দু-একটি পদ্য ইতিমধ্যেই প্রকাশিত, নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে পপুলারও। এবার সম্পূর্ণ বইটি আপনি পাবেন গুরুচণ্ডাঌর প্রকাশনায়। ছাপা অক্ষরে। যা একটি সম্পূর্ণ ও নবীকৃত লক্ষ্মীর পাঁচাঌ।

    প্রচ্ছদে ব্যবহৃত বাংলার ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মী-সরা
    ————————-

    নাগরিকপঞ্জি ও ডিটেনশন ক্যাম্পঃ আসামে নাগরিক তৈরীর বৃত্তান্ত
    সংকলন ও সম্পাদনাঃ দেবর্ষি দাস, স্বাতী রায়, সোমনাথ রায়
    ~~~~~~~~~~
    এন আর সি আমাদের এক ৪০ লাখি মানবিক সঙ্কট উপহার দিয়েছে। সাথে সাথে ডি ভোটার, বর্ডার পুলিশ, বিদেশি ট্রাইবুনাল, ডিটেনশন ক্যাম্প, অরিজিনাল ইনহ্যাবিটান্ট ইত্যাদি শব্দাবলীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। এই বই বাংলা পাঠককে এন আর সি ও ডি ভোটার সংক্রান্ত হয়রানির সাথে পরিচয় করে দেবে। সংখ্যাগুরুর হাতে সংখ্যালঘুর অত্যাচারে রাষ্ট্র কী বিপজ্জনক ভূমিকা নিতে পারে বইয়ের লেখাগুলি তা পরিষ্কার করে দেখিয়েছে।

    প্রচ্ছদ - দেবরাজ গোস্বামী
    নামাঙ্কন - চিরঞ্জিত সামন্ত
    ————————-

    মলয় রায়চৌধুরী নিজের বাছাই

    গদ্যের সম্ভারের চূড়োয় ছোট্টো পালক
    ~~~~~~~~~~
    “শ্রেষ্ঠ, শিল্প, প্রতিভা, মাস্টারপিস, ইতিহাস ইত্যাদি ভাবকল্পগুলো আমার লেখার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, কেননা আমি জানি না ওগুলো ঠিক কি জিনিস । এতকাল যাবৎ আমি যা লিখেছি তা জড়ো করলে একশোর বেশি বই হয়ে যাবে ; গ্রন্হাকারে এর অর্ধেক প্রকাশিত হয়েছে বোধহয় । বোধহয় বলছি দুটো কারণে ঃ প্রথম, আমি নিজের বই সংগ্রহে রাখি না ; দ্বিতীয়, ২০০৫ থেকে, আরথ্রাইটিসের কারণে আমি কলম ধরে লিখতে পারি না বলে আমার সংগ্রহে পাণ্ডুলিপিও নেই যে প্রকাশক খুঁজবো । মাঝে হার্ড ডিস্ক খারাপ হবার ফলে কমপিউটার থেকেও বহু লেখা উধাও হয়ে গেছে । কবিতার কথা বলছি না, কেননা ওগুলো ইমেলের বডিতে লিখে পাঠিয়ে দিই, তারপর হারিয়ে যায় ।
    নিজের বাছাই বলতে তাই আমার পছন্দের বাছাই নয় ; যারা সামনে নেই তাদের তো বাছাই করার সুযোগ নেই । সুতরাং যারা চোখের সামনে পড়ল, তাদের থেকেই বেছে নিলুম । পাঠকের কাছে পৌঁছোতে পারেনি, এই ভেবে বেছে নিলুম । লেখাগুলো শ্রেষ্ঠ বা শিল্প বা মাস্টারপিস ইত্যাদির পর্যায়ে পড়বে না ; আগেই বলেছি, যে এই ব্যাপারগুলো আমি বুঝি না । কেউ সত্যিই বোঝে কিনা সে-ব্যাপারে আমার ঘোর সন্দেহ আছে । তবে আমি চেষ্টা করেছি যে বিয়ে আর বিয়ের পরের নানা রকমের তত্বের মতন আমার প্রতিটি লেখার আড়ালে যে তত্ব সাজানো হয়েছে তার সঙ্গে পাঠকের পরিচয় হোক । বেশি কথা বলতে চাই না । বললে আবার অন্যান্য তকমা চাপানো হতে পারে লেখাগুলোর ওপর, যেমন দ্রোহ, রেবেল, বিপ্লব, প্রতিষ্ঠানবিরোধী, যৌনগন্ধী ইত্যাদি ইত্যাদি । পাঠক নিজেই পড়ুন আর ভাবুন । ভাবনা মানে কেবল কপালের ভাঁজ নয়, মুচকি শ্লেষও তো তাইই। “

    প্রচ্ছদে ব্যবহৃত গীতাঞ্জলী যোশীর আঁকা লেখকের প্রতিকৃতি।
    নামাঙ্কন - চিরঞ্জিত সামন্ত
    ————————-

    নিরুদ্দিষ্টের উপাখ্যান ও অন্যান্য কাহিনি - অমর মিত্র
    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
    শ্রীরামচন্দ্র গ্লাস ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে শ্রীরাম আবাসনের বিজ্ঞপ্তি। বন্ধ কাচকলের শ্রমিক বৈরাগী মন্ডল বিজ্ঞপ্তি দেখেছিল প্রথম। সে ভাবত কাচকল বন্ধ হয়ে আছে বটে, কিন্তু খুলবে নিশ্চয়। কবে খুলবে তার খোঁজে কলকাতার আলিপুরে মালিকের বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছিল সে। গিয়ে ফিরে এসেছিল। সে এখনো ঘুমের ঘোরে শেষ রাতে কারখানার সাইরেন শুনতে পায়। কারখানার প্রাচীরের ভিতরে ছিল যে নিম গাছ, তার ফুলের গন্ধ টের পায় চৈত্র সন্ধ্যায়। সবই ঠিক আছে, শুধু বড় বড় তালা খুললে হয়। আবাসনের কাজ আরম্ভের আগে বকেয়া পাওনা মেটাতে এসেছিল ক্তৃপক্ষ। নিরীহ শ্রমিক বৈরাগী বুঝতে পেরেছিল না খুলে টাকা দিয়ে দেওয়া মানে কারখানা আর খুলবে না। সেই রাতে পুলিশ তাকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়, কিন্তু পরে বলে বৈরাগীকে তোলেইনি। এই উপন্যাস সেই সত্য অনুসন্ধানের এক হৃদয় বিদারক বৃত্তান্ত।

    প্রচ্ছদ - চিরঞ্জিত সামন্ত
    ————————-

    তোমার সঙ্গে খেলা - বিপুল দাস
    ~~~~~~~~~~~~~~~~~
    পুবদিকেও হাইরাইজের কাজ শুরু হয়েছে। কিছুদিন বাদে পুব আকাশের দখলও নিয়ে নেবে ইট, সিমেন্ট, কংক্রিট। পার্টি অফিসগুলো দোতলা হয়ে যাচ্ছে। মেঝেতে টাইলস্‌ বসছে। মার্বেলের সিঁড়ি। কিছুদিন বাদে সকালবেলার রোদ আর শাশ্বত পাবে না। অথচ খুব রোদের দরকার শাশ্বতর। প্রতিদিনই মনে হয় তার শরীরের রক্ত আজ আরও একটু শীতল হয়ে গেল বুঝি। আগের মত আবার বুঝি স্থবির হয়ে পড়বে। শীতঘুমে যাওয়ার সময় হল তার।
    এভাবেই ভাঙনের কথা দিয়ে শুরু হয় এই উপন্যাস। মিতাকে আগুনে জ্বালিয়ে মারতে চেয়েছিল তার স্বামী। বুকে পোড়া ঘায়ের যন্ত্রণা নিয়ে মিতা আর উদাসীন শাশ্বত একসঙ্গে গিয়েছিল নিখিল বিশ্বাস নামের আশ্চর্য এক মানুষের কাছে। লোকটা বাগানে ফুল ফোতায়। সে বলেছিল -- আমি আকাশ, বাতাস, ফুলপাখিনদী, এই জগতের নিয়ম আর নিয়মভাঙার গল্প বলি। জানি না, সেই গল্প কেমন করে দুখি মানুষের কাজে লেগে যায়। জানেন, মাঝে মাঝে আমার নিজেরই খুব ভয় করে। অনেকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে চায়। তখন নিজেকে খুব ছোটলোক আর অসহায় মনে হয় ।।। আমার এখানে একটা গাছ আছে, কুঁড়ি আসার এক ঘন্টার ভেতর পুরো ফুল হয়ে ফুটে ওঠে। আপনাকে দেখাব। মানুষের বুকের ভেতরেও একটা দলমন্ডল আছে। ফুল হয়ে ফোটে। কেউ টের পায়, কেউ সারাজীবন টেরই পায় না। অথচ, পাশের লোক তার গন্ধ পায়।
    শাশ্বত মিতার খোলা বুক দেখতে চেয়েছিল। পুড়ে যাওয়া, উঁচুনিচু, বীভৎস মাংসের দলার ভেতরে কোন কুসুম ফুটে ছিল ? শীতঘুম থেকে জেগে উঠে শাশ্বত কি পেয়েছিল সেই সৌরভ ? এই উপন্যাস সেই সুন্দরকে খুঁজে ফেরার গল্প।

    প্রচ্ছদ - দেবরাজ গোস্বামী।
    নামাঙ্কন - চিরঞ্জিত সামন্ত
    ————————-

    তাহাদের কথা
    ~~~~~~~~~~
    বিরাট বিরাট প্রতীকি বিপ্লব নয়।রকেট বিজ্ঞান বা বিমান চালনা নয়। ছোটো ছোটো পেশা, তেমন কোনো বাধাও নেই ঢুকে পড়তে তবু যেন মেয়েদের জন্য অনধিগম্য। সেইসব এলাকায় চুপচাপ ঢুকে পড়ছেন মেয়েরা। কোনো প্রচার, গৌরবগাথা, এবং সর্বাপেক্ষা যা গুরুত্বপূর্ণ, সমাজ-সংসারের প্রতি বিরাট কোনো অভিযোগ ছাড়াই, স্রেফ নিজের জোরে। পাড়া-প্রতিবেশি-আত্মীয়-স্বজনরা কখনও সাহায্য করছেন, কখনও করছেননা। কিন্তু বাধা হয়েও দাঁড়াচ্ছেননা কোথাও। কোনো বিজয়কেতন, কোনো প্রচারের দামামা ছাড়াই মেয়েরা দাঁড়াচ্ছেন নিজের পায়ে। বলছেন নিজেদের জীবিকার গল্প। জীবনের কথা। এ বই তাঁদেরই নিজের ভাষায়, তাহাদেরই কথা।

    ফেমিনিজম ডট কম-এর সংকলন, একটি গুরুচণ্ডাঌ সম্পাদনা।

    প্রচ্ছদ - চিরঞ্জিত সামন্ত
    ————————-

    রংনাম্বার হিরণ মিত্রের সঙ্গে কথোপকথন
    ~~~~~~~~
    শিল্পী হিরণ মিত্রের দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর পর্ব, প্রয়াত লেখক অদ্রীশ বিশ্বাসের সংগে, সংযোজন হিসেবে একটি দীর্ঘ মূল্যবান সাক্ষাতকার, বিষাণ বসুর নেওয়া।

    কী থাকছে বইয়ে? অনেক না বলা কথা।

    বিষাণ বসুর কথায়, ছবি কী? কেমনভাবে ছবির ভিতরে ঢুকবো? দৃষ্টিনন্দন ছবি যদি বা চোখ টানে, কিন্তু অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট? ছবি, নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা দামে বিক্রি হওয়া ছবি, দর্শকের চোখ আটকাবে ঠিক কোথায়? দর্শক আর শিল্পী দুইয়েরই ভাবনার অচেতনে বাজারের ভূমিকা কী? দেশের ছবি, বিদেশের ছবি থেকে হালফিল ডিজিটাল আর্ট। ছবির জগৎ-এর একটা সার্বিক চিত্র উঠে এলো শিল্পী হিরণ মিত্রের সাথে এই অকপট সাক্ষাৎকারে। সাক্ষাৎকার ঠিক নয়, এ এক শিল্প-আড্ডা। সাথে অনিবার্যভাবেই থাকলো হিরণ মিত্রের মঞ্চ-প্রচ্ছদ-সিনেমা-শিল্পজীবন।

    বাংলা ভাষায় শিল্পী এবং শিল্পানুরাগীর কথোপকথনভিত্তিক বই রয়েছে বেশ কয়েকটি। কিন্তু, ঠিক এই ধরণের শিল্প-আড্ডার নজির, বোধ হয়, আর নেই। সেইদিক থেকে দেখলে, শিল্পচর্চার ক্ষেত্রে এই ছোটো বইটি, প্রকৃত অর্থেই, ল্যান্ডমার্ক। আর, সংগে রয়েছে হিরণ মিত্রের অসামান্য কিছু ছবি।

    প্রচ্ছদ - হিরণ মিত্র।
    ~~~~~~~~~~

    পাওয়া যাবে বইমেলায় গুরুচণ্ডা৯’র ২৯৩ নাম্বার স্টলে।
  • pi | 2345.110.894512.162 | ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৮:২৮434950
  • গুরুচণ্ডা৯ নিয়ে, জয় গোস্বামী
  • pi | 7845.15.9008912.116 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০০434951
  • "...অনিবার্য প্রশ্নটি স্থগিত রেখে বলি বাংলা ভাষায় উপন্যাসের বিকল্প পথ কিন্তু আগেও খুঁজেছেন ঔপন্যাসিকেরা। ধূর্যটিপ্রসাদ, জগদীশ গুপ্তর থেকে জীবনানন্দ, অমিয়ভূষণ, কমলকুমার, সন্দীপন, শ্যামল সকলের একটাই বদভ্যাস ছিল। প্রচলিত ভাষাকে আক্রমণ করো। অভ্যস্ত ভাবনায় আঘাত হানো। মননের নতুন জগৎ গড়ে তোলো। একটা জায়গা ভাঙতে ভাঙতেই তাঁরা একটা জায়গা গড়তেন। এরাও প্রকাশক পেতেন না, এস্টাব্লিশমেন্ট এদের প্রতি বিমুখ ছিল। এই ধারার লেখক সুবিমল মিশ্র আরো দুঃসাহসিক পথে হাঁটেন। তিনি নিজেই নিজের বই বের করতেন।
    এই যে বিকল্প পথ, এই কণ্টকাকীর্ণ পথে যে সব আখ্যানকার পাড়ি দেন, তাঁরা নিঃসঙ্গ হয়ে ওঠেন, কিন্তু তাঁরা নতুন পথের হদিশ দেন। ফলে এই ধারার উপন্যাস, এই স্পর্ধিত ধারা কিছু জলসেচ চায়। ওই যেটুকু ন্যূনতম জল পেলে সবুজ বাঁচতে পারে ততটুকুই। এই কারণে সৈকতের লেখা নিয়ে সামান্য দুটি একটি কথা লিখছি মাত্র।...

    এই সময়ে কুশান গুপ্তের কলমে,
    book review: book review of saikat banerjee’s novels - সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস: পাঠ প্রতিক্রিয়া | Eisamay - http://eisamay.com/3CFjvY/a31mzc
  • pi | 7845.15.346712.39 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৮:৫১434952
  • স্বাতী রায় লিখেছেন

    অঙ্কে আমার ছোটো থেকেই অ্যালার্জি। তাই ক্লাস এইট অবধি সযত্নে অঙ্ক আর আমি একে অপরের সাথে বৈরী রেখেই গেছি। ক্লাস নাইনে জুটলেন এক কড়া ফ্রেঞ্চকাট দাড়িওয়ালা মাষ্টারমশাই (সেই থেকে আমার ফ্রেঞ্চ কাট দাড়িতেও অ্যালার্জি)। তিনি প্রায় ঘেঁটি ধরে আমায় মাধ্যমিকের বৈতরণী পার করালেন। তারপরে অভাগার সাগর শুকোনোর দিন শুরু হলো। অঙ্কে চরম অনাশক্তি সত্বেও কিভাবে বেশ কমার্স গ্রাজুয়েট হয়েই গেলাম। ভীতি ছিলো বলে অঙ্ক'কে দূরে সরিয়ে রাখার সাধ্য ছিলোনা।

    শিবের গীত বাড়িয়ে লাভ নেই, মূল বক্তব্যে আসি - আজ্ঞে ৯০% জনতার মত আমারও অ্যালার্জি ছিলো সমকামী, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের প্রতি। বলাই বাহুল্য সেটা ভীতি ছিলো আসলে। অজ্ঞতা জনিত ভীতি। ওরা কারা? ওদের মনে কী চলে? ওদের যৌনতা কিরকম? আরোও হাজার হাজার প্রশ্ন। আচরণের ফলে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়ে) মানুষের প্রতি তৈরি হয়েছিলো বিরূপ মনোভাব। কলেজে পড়তে এসে ধীরে ধীরে কিছু জিনিস পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছিলো যে, যে দেশে দ্বিতীয় লিঙ্গের মানুষের প্রতি মানুষের মনোভাব চুড়ান্ত বিদ্বেষমূলক সে দেশে তৃতীয় লিঙ্গের প্রতি আরও খারাপ হবে এ নিয়ে সন্দেহের কোনোই অবকাশ নেই। তাই সাধারণ "স্বাভাবিক" মানুষের প্রতি তাঁদেরও বিরূপ মনোভাব থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এক সময়ে হাওড়া মেদিনীপুর ডেইলি প্যাসেঞ্জার হওয়ার সুবাদে আলাপ হয়েছিলো লেডিজ কম্পার্টমেন্টের যাত্রী গোলাপ,পারুল, সুমিতা, অঞ্জনা দের সাথে, ওরা হিজড়ে। দিন কয়েকেই যখন নিত্যযাত্রী ওঁদের সাথে ভাব হয়ে গেলো তখন একসাথে বসে বাদাম বা চা খেতে খেতে অনায়াসে আলোচনা চলতো "অ্যাই, তোর চুলে কি মাখিস রে? এত সিল্কি?" আমিও গুছিয়ে বসে রূপচর্চার যাবতীয় জ্ঞান দরাজ হাতেই বিলোতাম। তখন ভয় কেটে গেছে, দেখেছি আমার আর ওদের মধ্যে কোনোই পার্থক্য নেই। বরঙ মেয়েলী ঈর্ষাও বেশ ভালো মতই বর্তমান।

    পুরুষতন্ত্রের যন্ত্রণা নারী পুরুষ উভয়েরই, যদি ভাবা যায় যত বিধিনিষেধ শুধুই নারীর জন্য তাহলে তা ভুল। আমাদের সমাজে 'মর্দ কো দর্দ নেহি হোতা', 'লড়কিওঁ কি তরহা রোতা হ্যায়, লে চুঁড়ি পেহন লে' ইত্যাদি। সব মানুষের মধ্যেই যে মানবিক প্রবৃত্তির হেরফের হয় এটা এ সমাজ মেনে নিতে রাজি নয়। জিনস টিশার্ট পরা, ছোটো চুলের, মাথা উঁচু করে বুক চিতিয়ে হনহন করে পথ চলা মেয়েদের অহরহ লোপ্পা ক্যাচ নিতেই হয় - ব্যাটাছেলে, মদ্দামাগী ইত্যাদি নানান শব্দ। মোট কথা গতানুগতিকতার বাইরে যে কোনো কিছুকেই মেনে নিতে মানুষের প্রবল আপত্তি। তা বাহ্যিক আচরণ হোক বা শরীরের ভাষা বা পেশা। এই অবস্থার মাঝে অন্যরকম যৌনতাকে মেনে নেওয়ার তো প্রশ্নই নেই। কোনো পুরুষ আরেকজন পুরুষ কে ভালোবাসবে বা একজন নারী অপর নারী কে এ আজও অনেক "উদার উচ্চশিক্ষিত" মানুষের কাছে অসুস্থতা বা বিকৃতি। তার একটা বড় কারণ আমার মতে অজ্ঞতা। আমাদের নিজেদেরই সময় নেই নিজের মনের গভীরে ডুব দিয়ে কোনো কিছু বিশ্লেষণ করার, দায় পড়েছে "অন্য লিঙ্গের" মানুষদের কথা ভাবতে! কিন্তু যদি একটু খোলা মনে মেশা যায় তাহলে বুঝবেন ওরাও আমার আপনার মত দোষে গুণে মানুষ। আর যদি সঙ্কোচ বোধ হয় তাহলে আমার অঙ্কে ভীতি কাটানোর মত পড়ে ফেলুন গুরুচন্ডালী থেকে প্রকাশিত 'আমার যৌনতা, বইটি - কথা দিচ্ছি ভয় না কাটুক জড়তা কাটবেই। ভিন্ন ধারার যৌনতা, মানসিক অবস্থান, কষ্ট, আনন্দ - সমস্ত কিছুই আছে নিজস্ব অভিজ্ঞতায়।

    এবার অন্ততঃ তৃতীয় লিঙ্গ বা সমলিঙ্গের সমকামী মানুষ দেখলে আপনার আর মনে হবে না ওরা আপনাকে পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে বা বিয়ে দিলেই 'ও' সুস্থ হয়ে যাবে!

    পুনঃ - বইটি আমার লেখা নয়।
  • pi | 2345.110.564512.220 | ০২ মার্চ ২০১৯ ২০:২২434953
  • আচ্ছা এই নানা চক্করে জানানো হয়নি। নতুন সব বই কলেজস্ট্রীট আর যাদবপুর বিগ ব্যাং এ চলে গেছে।

    অনলাইনেও এ চলে এসেছে, অনেকেই জেনেও গেছেন, কারণ অর্ডার ও করেছেন অনেকে।

    এই নং এ হোয়াট্সাপ বা কল করলেও গুরুর বই বা কলেজস্ট্রীটের অন্য বই পেয়ে যাবেন,

    +৯১৮৫৮৫০৮৪৬৭২
  • pi | 7845.29.673412.53 | ০২ মার্চ ২০১৯ ২০:৫০434954
  • এছাড়াও কলেজস্ট্রীটে থিংকারস লেনেও বই চলে গেছে।

    ওঁদের অনলাইনেও গুরুর সব বই পাওয়া যাবে।

    এই হপ্তায় এই পোস্টগুলি দিয়েছেন।

    বেঁচে থাকার জন্য অবিরত আলো এবং অন্ধকারের যে সংঘর্ষ জারি থাকে,যার ফলে ক্রমাগত অসহায় রক্তক্ষরণে রক্তাক্ত হতে থাকে বুকের গভীরে, এক শীতল পৃথিবী ক্রমশ আমাদের স্পর্শ বোধহীন জড় করে দিচ্ছে - সেইসব আখ্যান নিয়ে লেখিকা ইন্দ্রানীর এই সংকলন l প্রতিটি গল্পের আড়ালে আর একটি অনুচ্চারিত গল্প l সত্য উদ্ঘাটনের দায়িত্ব পাঠকের।

    পাড়াতুতো চাঁদ
    লেখিকাঃ ইন্দ্রণী
    প্রকাশকঃ গুরুচন্ডালী
    মুদ্রিত মূল্যঃ ৭০টাকা
    সুপ্রকাশ বইঘর মূল্যঃ ৫৬টাকা(২০%ছাড়)

    এখন অনলাইনে ভারতবর্ষের যেকোনো প্রান্ত থেকে কিনুন নিচের লিংক এ ক্লিক করে।

    https://thinkerslane.com/product/paratuto-chand/

    ----

    কাজী যখন জোলারে জিগান : গেলো বুধবার সন্ধেবেলায় তুমি অমুকের বাড়ির খাটালের আগল ভেঙে ঢুকে মোষ চুরি করেছিলে? জোলা তো রেগে আগুন l সে এগারো দিন সময় চেয়ে নিল কাজীর কাছ থেকে,তারপর সেরা উকিল-লোক লস্কর ও সাক্ষী সাবুদ এনে কাঁটায় কাঁটায় প্রমাণ করে দিল, বুধবার নয় বৃহস্পতিবার ভরে জোলার পো মোষ চুরি করেছে, তাও বাগানের খোলা দরজা দিয়ে ঢুকে l এই কৃষকায় বইটির ফঙ্গবেনে কাহিনীসমূহ, গল্পসাহিত্যের বিন্যাসে ও ঘটনাপ্রবাহের যুক্তিজালবিস্তারে উপরোক্ত জোলার পদাঙ্কানুসারী l এবার কাজীর বিচার পাঠকের হাতে।

    অতি না'ট কীয়
    লেখকঃ একক
    প্রকাশকঃ গুরুচন্ডালী
    মুদ্রিত মূল্যঃ ৬০টাকা
    সুপ্রকাশ বইঘর মূল্যঃ ৪৮টাকা(২০%ছাড়)

    এছাড়াও এখন ভারতবর্ষের যে কোনো প্রান্তে বসে অর্ডার করুন নিচের লিংক এ ক্লিক করে।

    https://thinkerslane.com/product/oti-natokiyo/

    ----

    সিঙ্গুরের ইতিহাস ঠিক 2006 সালে শুরু নয় l তার আগে সেখানে শুধু আলু নয়, ঐতিহাসিকও ফলত l এমনকি টিভি চ্যানেলে যতই সিঙ্গুর সিঙ্গুর বলে চেঁচামেচি করুক, ন্যানো কারখানাটাও সিঙ্গুর এক এবং দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতেই নয়, বরং সিঙ্গুর রেল স্টেশন টপকে দুই মাইল দূরে যে এলাকার প্রান্তে কারখানা শুরু হচ্ছে,তার নাম রতনপুর l আরামবাগ মানেই যেমন শুধু "তাজা মুরগির মজা" নয়, তারকেশ্বর যেমন শুধু "জয় বাবা তারকনাথ" এর লোকেশন নয়, তেমনই সিঙ্গুরের লোক মানেই "ইচ্ছুক" আর "অনিচ্ছুক" নয় l তার ন্যানো আবিষ্কারও বলাবাহুল্য 2006 এর কারবার নয় l সৈকত বন্দোপাধ্যায় তার লেখা "বৃহৎ ন্যানোপুরাণ" বইটিতে সিঙ্গুরের কিছু অকথিত জানা কথা প্রকাশ করেছেন l

    প্রকাশকঃ গুরুচন্ডালি
    লেখকঃ সৈকত বন্দোপাধ্যায়
    মুদ্রিত মূল্যঃ ৯০ টাকা।
    সুপ্রকাশ বইঘর মূল্যঃ ৭২ টাকা(২০%ছাড়)

    এখন অনলাইনেও ভারতের যেকোনো প্রান্তে বসে অর্ডার করুন। লিংক নিচে দেওয়া হল।

    https://thinkerslane.com/product/brihot-nanopuran/
  • pi | 7845.29.673412.53 | ০২ মার্চ ২০১৯ ২১:১৫434956
  • এছাড়াও বই চলে গেছে শান্তিনিকেতনে রামকৃষ্ণের দোকানে, মালদায়, বাংলাদেশে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন