এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • ঐতিহ্যমন্ডিত বাংলা চটি সিরিজ

    sumeru
    বইপত্তর | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ | ৮২৩৫৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 2345.110.564512.221 | ০৯ মার্চ ২০১৯ ১৪:১৬434957
  • 'সিজনস অব বিট্রেয়াল ' নিয়ে লিখলেন অদিতি কবীর,

    দেশভাগ, পার্টিশান বা বাটওয়ারা- শব্দগুলো আজ আমাদের কাছে নিছক শব্দ মনে হলেও বহু মানুষের কাছে নিজ বাসভূমে পরবাসী হয়ে সব ফেলে বিদেশে চলে যাবার দুঃখের কথা। এই দেশভাগ নিয়েই দময়ন্তীর (Damayanti Talukdar) লেখা ডকু-ফিকশন ‘সিজনস অব বিট্রেয়াল’। এটি যখন গুরুচণ্ডালীতে বেরোচ্ছিল, আমি ২/১টা পর্ব পড়লেও, ভুলে যেতাম পরের পর্ব পড়তে। এবার কলকাতা বইমেলা যাবার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল এটাকে বই আকারে পাওয়া। আনন্দের ব্যপার হচ্ছে বইটা আমি শুধু কিনিনি, লেখিকার অটোগ্রাফও পেয়েছি!

    ‘সিজনস অব বিট্রেয়াল’- এর কাহিনী বোনা হয়েছে ১৯৩০ থেকে ১৯৫০-এর নানান সময়ের নানা ঘটনা দিয়ে। ডকু-ফিকশনের কেন্দ্রে আছে কিশোরগঞ্জের একটি পরিবার, যারা দেশভাগের পরে চলে আসে ভারতে, কিন্তু এই ‘চলে আসা’টুকু অত্যন্ত ঘটনাবহুল। কাহিনী শুরু হয় ১৯৫০ সালে, কিশোরী যুঁইয়ের এক কাপড়ে নিজভূমি ছেড়ে বান্ধবীর আত্মীয়দের সাথে কলকাতায় চলে যাওয়া দিয়ে। দেশভাগের পরপরই পূর্ব পাকিস্তানে আসতে থাকে মোহাজিররা। এরা উর্দুভাষী ভারতীয়, এবং অত্যন্ত লোভী। অপরের বাড়ি ও নারীর প্রতি সীমাহীন লোভ এদের (আমরা জানি, এই সম্প্রদায় ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ ও লুন্ঠনের দোসর ছিল)। কিশোরগঞ্জে আসা বিহারীরা কুমতলব আঁটে যুঁই সহ তিন কিশোরীকে অপহরণ করার, ঘটনাক্রমে তা জানতে পেরে তিনটি কিশোরীর পরিবার তাদের পাঠিয়ে দেয় ঐ পাড়ে। যুঁইয়ের প্রথম ঠাঁই হয় ছোটমাসীর বাড়িতে।

    মাত্র চার বছর আগে ঘটে গেছে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। দ্বি-জাতিত্ত্বের মত অদ্ভুত একটি তত্ত্ব মোতাবেক একটি দেশ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে, একভাগ ‘শ্যাখেগো দ্যাশ’, আরেক ভাগ ‘মালাউনগো দ্যাশ’। উল্লিখিত পরিবারটির বাবা যোগেশ এবং আসন্ন প্রসবা মা লাবণ্য রয়ে যান কিশোরগঞ্জ। ১৯৫০-এর দাঙ্গার পর পরিস্থিতি আরও সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। স্থানীয় মুসলিম লীগ নেতাদের ইশারায় “হিন্দুগো কম দামে জিনিষ ব্যাচন” পর্যন্ত নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় যোগেশ কলকাতায় চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেন।

    যোগেশের তিন ছেলে- সুহাস, প্রভাস এবং ভানু কলকাতায় পড়ে। তারা যে মেসে থাকে সেখানে যে আলোচনা চলে, সেটা বেশ পরিচিত- গান্ধী গান্ধী কর এই এত লোক মরল, এত লোকের ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেল, কই গান্ধী তো অনশনে বসল না? হ্যাঁ, একেবারে প্রাণে মেরে ঠিক করেনি, কিন্তু এগুলোও তো দেখবে। কিছুদিন আগে ব্লগার হত্যায় অনেককে এমন ভ্যালিডেট করতে দেখেছি। এই বই থেকে আমি একটা আইনের কথা জানতে পারলাম- Abducted Persons (Recovery & Restoration) 1949. এ বিষয়ে আরও জানার প্রচেষ্টা জারী থাকবে আমার।

    কাহিনীতে দু’টি চরিত্র আছে – অমরিন্দর এবং জামু, চরিত্র দু’টির ব্যপ্তি সংক্ষিপ্ত হলেও, আমার মনে অভিঘাত অনেক বেশি। অমরিন্দর শিখ, পাকিস্তান থেকে দেশত্যাগের সময় তাদের পরিবারস্থ নারী ও শিশুদের শিখখি রক্ষার্থে হত্যার বিবরণটা পড়ার সময় বাইরে ছিলাম, আমি এত জোরে হিঁইইই করে উঠেছিলাম যে আশেপাশের সবাই তাকিয়েছিল। অন্যদিকে জামু হিন্দীভাষী অনাথ বালক, কলকাতায় এসেছে দিল্লী থেকে। পেটচুক্তিতে কাজ করতে যাবার সময় একদিন অমরিন্দর তাকে পথে ধরে তার যৌনাঙ্গটি দেখতে চায়। জামু দৌড়ে সরলাদের বাড়িতে ঢোকে, অমরিন্দর তার পিছু ধাওয়া করে সে বাড়িতে আসে, হাতে তার খোলা কৃপান। সরলার দৃঢ়তায় জামু বেঁচে যায়। পুরো ঘটনাটা পড়ে বিশ্বাস করবেন আমি প্রায় মূর্ছা যাচ্ছিলাম। একটা বয়স্ক মানুষ প্রতিশোধের নেশায় এমনই উন্মাদ যে একটি ছোট্ট ছেলে মুসলমান প্রমাণিত হলে তাকে হত্যা করবে!

    খুশবন্ত সিংয়ের ট্রেন টু পাকিস্তান বইয়ে দিল্লী থেকে আগত ট্রেন ভর্তি লাশের কথা পড়েছিলাম। আর ‘সিজনস অব বিট্রেয়াল’ বইয়ে ছোট্ট জামুর বয়ানে দিল্লীতে পাকিস্তান থেকে আগত ট্রেন ভর্তি লাশের কথা পেলাম। আরও পেলাম একটি ভয়ানক খবর ১২ ফেব্রুয়ারী ১৯৫০ সালে ভৈরব-আখাউড়া লাইনের ট্রেন মেঘনার ওপর দাঁড় করিয়ে সমস্ত হিন্দু যাত্রীকে হত্যা করা হয়, যারা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন প্রাণ বাঁচাতে, তাদের মাথায় ইঁট ছুঁড়ে হত্যা করা হয়! এই নিহতদের মধ্যে ছিলেন যুঁইয়ের কাকা মনীশও।

    পুরো বইটাই আসলে একটি ভয়াবহ সময়ের প্রামাণ্য দলিল। এর প্রতিটি পাতাতেই কোন না কোন তথ্য আছে। আরেকটা দারুণ ব্যপার হচ্ছে বইয়ে আছে প্রচুর বইয়ের রেফারেন্স, যা অনুসন্ধিৎসু পাঠকের জন্য সোনার খনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে লাজবন্তী কাউরের বয়ানটি পড়তে উৎসুক, যিনি শিখখি রক্ষায় কুয়োতে ঝাঁপিয়ে পড়েও বেঁচে গেছেন।

    দ্বি-জাতিত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগের চরম মূল্য দিতে হয়েছে আমাদের ১৯৪৬ এবং ১৯৫০ সালে। সে বিষবাষ্প রয়ে গেছে আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। সাম্প্রদায়িকতার যে নিদর্শন পাই বাংলাদেশের বিভিন্ন নিউজ পোর্টালের মন্তব্যঘরে, ভারতের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে এবং আমাদের আশেপাশে- তা এই বিষবাষ্পেরই ফল।
  • pi | 7845.29.341223.29 | ০৯ মার্চ ২০১৯ ১৫:৩১434958
  • গল্পকার বিশ্বদীপ চক্রবর্তী লিখেছেন,

    ইন্দ্রানী এতদিন কোথায় ছিলেন বলতে পারিনা। ওর একটা গল্প পড়েছিলাম বাতায়নে। আরো কোথায় পড়ি সেই খোজে ছিলাম। পেয়ে গেলাম। ছোটবেলায় পড়তাম ছোটগল্প হবে শেষ হতে হইল না শেষ। ওর গল্প শেষ হতে গেলেও দড়ি ধরে ঝুলে থাকতে হয় অনেকক্ষন, খাওয়া শেষের পর পাতা চাটা চলতেই থাকে। সংকলনে মাত্র কয়েকটা গল্প , একটা শুধু পডেছি। জমিয়ে জমিয়ে পড়তে হবে, তবে বই তো পড়লে শেষ হয়ে যায় না। সেটাই ভরসা।
  • pi | 7845.29.341223.29 | ০৯ মার্চ ২০১৯ ১৬:০৭434959
  • রইল "ব্যবহার" এর পোস্ট। ধন্যবাদ 'ব্যবহার'কে। আমরাও আনন্দিত, এই যুগ্ম প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের আগ্রহী পাঠকের কাছে গুরুচণ্ডা৯ র বই সুলভ নিয়মিত পৌঁছে যাওয়ার সুযোগে।

    এখানে ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন বই কেনার খবরাখবর

    https://www.facebook.com/Byabohar/posts/2286172121435476
    ---

    "ব্যবহার একটি অনলাইন ভিত্তিক বই বিক্রি প্রতিষ্ঠান। লক্ষ্য পাঠকের হাতে সহজে এবং সস্তায় বই পৌঁছে দেওয়া। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যের বাইরে থেকে 'ব্যবহার'-এর যাত্রা শুরু মাত্র অল্প কয়েকদিন।

    স্বেচ্ছামূলক এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিনই আমাদের বেশ খানিক সময় নেয়। অনেক পাঠকের সাথে পরিচিত হচ্ছি, পরিচিতির বহর দীর্ঘ হচ্ছে।

    যে বইটি বাজারে অন্যান্য ব্যবস্থায় সংগ্রহে ১৮০/১৯০ টাকা ব্যয় করতে হয়, সেটা ১৫০/১৬০ টাকায় পেয়ে অনেক পাঠক 'ব্যবহার' পাতায় নিয়মিত চোখ রাখছেন। কোনো একটি ভালো বই হাতছাড়া না হওয়ার আক্ষেপে যেন নিজেকে পুড়তে না হয়।

    আমাদের এই স্বেচ্ছামূলক এবং স্বল্প পরিসরের কর্মকাণ্ডে গুরুচণ্ডা৯ যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ, আমাদের আত্মবিশ্বাসকে নিঃসন্দেহে দৃঢ় করেছে। আমরা গুরুচণ্ডা৯-এর কর্তৃক সম্মানিত।

    গুরুচণ্ডা৯-র অনন্য সাধারণ বইগুলো সহজেই বাংলাদেশের পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে 'ব্যবহার' ও গুরুচণ্ডা৯-র যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে।

    গুরু'র বেশ কিছু বই আপনারা 'ব্যবহার'-এ পাবেন এবং বাংলাদেশের বাজারে ভারতীয়-বই যে অগ্নিমূল্য বিক্রি হয়, তেমন মূল্য ব্যয় না করেই।

    গুরুচণ্ডা৯-র পাঠককুলকে 'ব্যবহার'-এ স্বাগতম!

    গ্রুপের লিংক:
    fb.com/pg/Byabohar
  • | ১০ মার্চ ২০১৯ ০৯:৫৪434960
  • নৈঃশব্দের পত্রগুচ্ছ প্রকাশ অনুষ্ঠানের খবর আজকের 'এই সময়' পত্রিকায়

  • pi | 785612.51.7834.80 | ২৪ মার্চ ২০১৯ ১০:৫৪434961
  • কাল গ্রুপে ভাস্কর ভট্টাচার্যের পোস্ট। :)

    'বই মেলায় যিনি (একজন ভদ্রমহিলা) আমাকে এই বই টা কিনতে বলেন তার নাম জানা হয় নি ।(তিনি ফোনে কেনা বই গুলো সমেত ছবি ও তোলেন) ।তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অসাধারণ একটা বই কেনানোর জন্য। এক সহজ সরল আত্মকথা। যা পড়ে মনে হলো নিজের অতীত এর সাথে আড্ডা দিলাম বহুদিন বাদে । আরো এমন উপহার চাই। ধন্যবাদ আবারও।"

    বইয়ের ছবি আসছে।
  • pi | 785612.51.89.134 | ০১ এপ্রিল ২০১৯ ১০:০৪434962
  • ছবি আর দেওয়াই হয়নি দেখি :(

    কেউ অনুমান করলেন, কোন বইটা?

    আচ্ছা, আরেকটা কথা।
    গুরুর বইপত্তর বিদেশে বসে পেতে হলে কলেজস্ট্রীট ডট নেটের
    এর সুমনকে এই নং এ হো আ করে দিলেই হবে। সাইট থেকে সরাসরি অর্ডারের ব্যবস্থা আসছে, তার আগে অব্দি হো আ ভরসা।
    নং:
    ৮৯১০২০৩৩৮৮

    বইয়ের তালিকা এখানে,

    https://www.collegestreet.net/index.php?route=product/publisher/info&publisher_id=54
  • | 453412.159.896712.72 | ০১ এপ্রিল ২০১৯ ১০:১১434963
  • কলেজোস্ট্রীট ডট নেট অবর বৈয়ের সথে পুঁচকি প্যাঁচা পাঠাচ্ছে শুনলাম।
  • pi | 785612.51.89.134 | ০১ এপ্রিল ২০১৯ ১০:২৫434964
  • আরে দমদি, ভাটে তোমার প্যা`চার পোস্টটা অনেক পরে পড়েছিলাম, আর লেখাই হয়নি! ঃ)

    যাহোক, এই নং টা লোকজনকে জানিয়ে দিতে পার তোমরা।
  • pi | 785612.51.4556.41 | ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:৫৩434967
  • আর আগের পোস্ট ছিল কল্ললোদার তক্কোগুলি নিয়ে। লিখেছেন ভাস্কর ভট্টাচার্য।
    উনি কারাগার নিয়ে লিখেছেন এই হ্প্তায়,

    "শেষ করলাম । এক কথায় অনবদ্য। কিছু কথা বলতে চাই। রিভিউ লেখার মতো যোগ্যতা আমার নেই। ধৃষ্টতা মার্জনা করবেন। নকশাল আন্দোলন আমি দেখি নি , কিন্তু প্রচন্ড ভালবাসা, শ্রদ্ধা, আকর্ষণ আমার আছে । তার জন্য ই এতো জানতে চাওয়া। এতো পড়া। যতো টুকু বুঝেছি সকল স্থায়ী অবস্থান কে ক্রমাগত ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে তার সমস্ত অকাল অসাম্যের স্থবিরতা কে সরিয়ে আসল সাম্য সমাজতান্ত্রিক নির্যাসের খোঁজ। যে খানে সুস্থ বন্ধন আছে , অসুস্থ বাধ্যতা নেই । কিন্তু যখন প্রচুর পড়ে দেখি কোনো একজনের মতামত কে প্রশ্নাতীত ভাবে মেনে নিতে বলা হয়েছিল সেটা এক ধরনের অন্ধত্ব। সেটা হলে এই মতামতের সাথে অন্ধ মৌলবাদ বা উগ্র হিন্দুত্ব র সাথে কোনো ফারাক থাকে না । কল্লোল বাবুর এখানেই অসাধারনত্ব যে উনি এই মতবাদের আবেগ , আদর্শ, ভুল, হিংসা সবকিছু কে সঠিক সম্মান দিয়েও আত্মসমালোচনার আগুনে তাকে পুড়িয়েছেন । এটা করতে পারেন যিনি, তিনি এই মতবাদ কে সৎ ভাবে ভালোবাসেন । না হলে তা এক অন্ধ আবেগ হয়ে , বিশ্বাস হয়ে থেকে যায়। যা ধর্মীয় বিশ্বাস আমাদের শেখায় । তাই হয়তো সপ্নীল স্বপ্ন টা অধরাই রয়ে গেছে। ধন্যবাদ কল্লোল বাবুকে এবং গুরুচণ্ডালিকে সকল বলিদান ও আবেগ কে সম্পূর্ণ সম্মান দিয়েও (অপচয় না বলে) "মৃতস্বপ্নব্যবচ্ছেদে"র জন্য ......"Z
  • pi | 785612.51.7823.113 | ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:৫৫434968
  • ঐ আলোচনার সুতোতে লিখেছেন, সত্যবান রায়।

    "কল্লোলের এ বিষয়ে ২য় বইখানি -"তক্কোগুলি, চরিতাবলী ও আখ্যানসমূহ", গুরুচণ্ডা৯ প্রকাশনা) আরও নির্মেদ, ক্রিটিকাল এবং এনালিটিক। অনিরুদ্ধ লাহিড়ীর ভূমিকাটি যেন স্বয়ং একটি কেন্দ্রভেদী নিরীক্ষণ। গুরুচন্ডা৯-র চটি সিরিজের আর একখানি বই - দীপ্তেন-এর "আমার ৭০", মাত্র ১৪ বা ১৫ পৃষ্ঠার অকিঞ্চিৎ পরিসরে যে ব্যাপককে ধারণ করেছে আশ্চর্য ন্যারেটিভে তাও উল্লেখযোগ্য। ৫০ বছর পূর্তির ঠিক আগে বা পরে যে ১২/১৪ খানি বই এবং আরও বেশ কিছু পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা বেরিয়েছে সেই দলিল তথা স্মৃতি / বিশ্লেষণ আধারিত পৃষ্ঠারাশির মধ্যে কল্লোলের দুই খন্ডকে আমি নির্দিধায় প্রথম সারিতে রাখি।"
  • Pi | 2345.110.674512.240 | ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ১০:৪৮434969
  • আসিতেছে!
    ছবিঃ ঋতুপর্ণ বসু, সায়ন কর ভৌমিক।

  • pi | 785612.51.3434.233 | ০৭ এপ্রিল ২০১৯ ১০:৪৫434970
  • শাক্যজিত ভট্টাচার্য লিখেছে,

    "বই দুটো মোটামুটি একই সময়ে প্রকাশিত হয়েছিল। দুই তিন বছর আগে পরে। দুটোরই বিষয় ছিল কালীঘাট। সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় তাঁর 'বুনো স্ট্রবেরি' বইতে কালীঘাটকে দেখেছেন আখ্যানসম্ভাবনার পটভূমি হিসেবে, যেখানে জায়গাটা এক স্বপ্নপ্রস্তাব হিসেবে উঠে এসেছে। কল্লোল তাঁর 'তক্কগুলি, চরিতাবলী ও আখ্যানসমূহ' বইতে কালীঘাটের দশবছরের প্রেক্ষাপটে একটি বামপন্থী রাজনীতির ইতিহাসকে ধরেছেন, যেখানে সত্তরের হানাহানি ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শেষে বামপন্থী ঐক্যের পুনর্গঠনের একটা আংশিক প্রয়াসের ইতিহাস উঠে এসেছে।

    আঞ্চলিক ইতিহাস নির্মাণ ও স্মৃতিনির্ভর কথকতার ক্ষেত্রে দুটো বইই একটা গুরূত্বপূর্ণ কাজ করে গেছে--নিছক সাহিত্য হিসেবে তো বটেই, তার বাইরেও আকর ইতিহাস নির্মাণের একটা বিকল্প পন্থা তৈরির ক্ষেত্রে। এর আগে গৌতম ভদ্র আনন্দবাজারের রবিবারের পাতায় একবার দুটো বইকে পাশাপাশি মিলিয়ে আলোচনা করেছিলেন, স্মৃতিসন্দর্ভ নির্মাণে কালীঘাটকে পরিপ্রেক্ষিত রেখে। আমি আলোচনা করেছি একটু অন্য দৃষ্টিভংগী থেকে। আরেক রকম, ১৬--৩১শে মার্চের সংখ্যাতে 'পাড়াজীবনের লগ্নতা, স্মৃতিনির্মিত ইতিহাস' নামের এই লেখাটায় দেখাবার চেষ্টা করেছি কীভাবে এই বইদুটো বিপ্রতীপ পাঠের মধ্যে দিয়ে কালীঘাটকে একটা মিথিক অস্তিত্ব করে তুলেছে, একটা হারানো সময়ের পুনর্নিমাণ করেছে।

    এই রিভিউটা পড়বার থেকেও অনেক বেশি গুরূত্বপূর্ণ হল বইদুটো পড়া।

    সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, বুনো স্ট্রবেরি, দেজ পাবলিকেশন।
    কল্লোল, তক্কগুলি, চরিতাবলী ও আখ্যানসমূহ, গুরুচণ্ডালি প্রকাশনা।"

    আরেকরকমে প্রকাশিত।



  • গুরুচণ্ডা৯ | 236712.158.1290012.177 | ২১ জুলাই ২০১৯ ২০:৪৭434972
  • ভাস্কর ভট্টাচার্য লিখেছেন, "শেষ করলাম । ধন্যবাদ গুরুচণ্ডালি এবং কল্লোল বাবু । প্রকৃত নকশাল যে আত্ম-হনন নয় আত্ম-খনন এটা আবার বোঝানোর জন্য । আত্মখননেই প্রকৃত মেরুদণ্ড র খোঁজ পাওয়া যায় এবং তার সংস্পর্শে আসা যায় । নেতৃবৃন্দ দের মেরুদন্ডের ওপরে ব্যক্তিগত চাহিদা র এত আস্তরণ ছিলো যে ওনারা হয়তো আর আত্ম খননের পথে যান নি দুর্গন্ধ র ভয়ে । তাই শেষ দিকে শুধু আত্ম হননে জোর দিয়েছিলেন ।
    গোরা নকশাল আসলে সেই প্রকৃত নকশাল মতাদর্শ যা ভোরের টাটকা ফুলের মতো যেটার আত্ম খনন না হলে সুবাস ছড়ায় না ।
    সুবাসিত ধন্যবাদ আপনাকে ।"

    বইটা পাবেন কলেজস্ট্রীটে সুপ্রকাশ বইঘরে, দে বুক স্টোর, দেজ, ধ্যানবিন্দুতে এবং অনলাইনে
  • গুরুচণ্ডা৯ | 236712.158.1290012.183 | ২১ জুলাই ২০১৯ ২১:০২434975
  • ( 'কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল' উপন্যাসটি পড়বার পর সোহম ভট্টাচার্য্য নিচের চিঠিটি গুরুচণ্ডালি প্রকাশনীতে পাঠিয়েছিলেন। উনি ফেসবুকে নেই তাই অনুরোধ করেছিলেন লেখক Sakyajit Bhattacharya-কে যেন মেইল করে দেওয়া হয়। আমরা বইয়ের পেজে চিঠিটি তুলে দিলাম। )

    (এই চিঠিটা, লেখক শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যকে উদ্দেশ করেই লিখছি। কোনো যোগাযোগ মাধ্যমে লেখককে পাব না। আমি ফেসবুকে নেই। তাই আশা করি, এইটুকু পৌঁছে যাবে। গুরুচন্ডা৯কে ধন্যবাদ এই বইয়ের জন্য।)

    কমরেড,

    স্বভাবের নিয়মে অভিনন্দন চিঠির শেষে থাকে। কিন্তু মেইল পাঠানোর সময় দেখলেই বুঝবেন, কী প্রচন্ডভাবে হাতটা ধরতে চাওয়ার তাড়নায় এই মেইল। তাই, অলক্ষ্যে, 'শতদ্রু'র হাতের মত, প্রথমেই ছুঁয়ে দিলাম।

    অনুষ্ঠান প্রচারে বিঘ্ন ঘটায়, ঠিক যেখানে শেষ হয়েছিল। অন্তত সিপিএম বাবাকে পাঠানো চিঠির যে অভিমান, আমাদের পার্টি পরিবৃত্তের আনাচে কানাচে থাকে, ঠিক তার পরের পর্ব থেকে যেন কুরবানি অথবা কার্নিভাল।

    এই লেখার কাছে পৌঁছে যাওয়ার একটা পুর্বকথা আছে। আমি কলকাতার মানুষ, কিন্তু পড়াশোনার কোনো পর্বেই যাদবপুরের সাথে কোনো সংযোগ নেই। ওই চত্বরে বন্ধুজন আছেন, ছিলেন। তাও, চিনিনা বিশেষ কিছুই। এবার পুজোয়, তাই এই বইয়ের খোঁজে যখন যাদবপুর কফি হাউসের নিচে এদিক ওদিক দেখছি, বুকস্টল আছে কি কিছু? একদিকে পার্টির বুকস্টল, আর তার কয়েক হাত দূরত্বে এ আই এস এ (আইসা)-র স্টল চোখে পড়ল। প্রায় গায়ে গায়ে। বইখানা, পার্টি স্টল থেকে নিয়ে বেরিয়ে ব্যাগে ভরছি, আর আইসা টেবিল থেকে দেখলাম, একটি ছেলে, চেয়ে আছে। ব্যাগের দিকে, বইয়ের দিকে। আর বইটা শেষ করার পর, বারবার, প্রমিত আর দেবুর মাঝখানে এই দুটো স্টলের দূরত্বের তফাৎ, আর একে অন্যের ব্যাগের দিকে দ্বিধায়, চিন্তায়, আশ্রয়ে তাকানোর কথা আমায় যাদবপুর নামের একটা দ্বীপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

    যে দ্বীপের নাম হয়তো জে এন ইউ, হয়তো হায়দ্রাবাদ, কিংবা হয়তো সমস্ত কমিউন। যা গভীর আঁধার দিনে এখনো রাত জেগে হাতে হাতে লিখে ফেলতে ব'লে আজকের বিক্ষোভ। আপনাকে কুর্নিশ, এই সময়ের কমিউনকে ডকুমেন্ট করার জন্য।

    না, কোনো মায়ার নস্টালজিয়া নয়। এই উপন্যাস ভাল লেগেছে এই উপন্যাসের রাজনীতির জন্য। দক্ষিণপন্থী আগ্রাসনের সময়ে, হাতে হাত রাখার কথা বলার জন্য। আর ভীষণভাবে মানিকবাবুর, সেই লাইনের কাছে ফিরিয়ে দেবার জন্য, যেখানে প্রতিটি উদিত, 'মুখোশপরা বুদ্ধিজীবি জীব'।

    আর আপনার লেখায়, মরে যাওয়া মফস্বলের যে ভূত, তাড়া করে সাউথ সিটির কলকাতাকে। যে রাস্তায় রিফিউজি কলোনির লেনিন, রাত্রে হাঁটেন। ঠিক সেইখানে, সেই পুরোনো ছায়া পড়া বেঞ্চগুলোতে, আমাদের সময়ের 'শ্রীতমা-অনি' দিনগুলো সযত্নে রইল।

    আর উটের জন্য, ঐ চিৎকারের মানে, হ্যাঁ কিংবা না কোনোটাই নয় হয়তো।

    কারণটা ঐ জয়দেব বসু।

    'মনকে বলো, হ্যাঁ। তবু হ্যাঁ।'

    ভালবাসা আর মুঠোহাত রইল একসাথে।

    ইতি,
    সোহম ভট্টাচার্য।
  • র২হ | 237812.68.674512.97 | ২৮ জুলাই ২০১৯ ১৬:১০434976
  • র২হ | 236712.158.786712.103 | ২৮ জুলাই ২০১৯ ১৬:১১434979
  • র২হ | 236712.158.786712.103 | ২৮ জুলাই ২০১৯ ১৬:১১434978
  • r2h | 236712.158.676712.254 | ২৯ জুলাই ২০১৯ ১০:৩৩434980
  • গুরুচণ্ডা৯ | 236712.158.453412.241 | ৩০ জুলাই ২০১৯ ০২:২৯434981
  • রং নাম্বার - হিরণ মিত্রর সঙ্গে কথোপকথন

    ছবি কী? শিল্পীর তুলির ছোঁয়ায় ভাবনাগুলো কেমনভাবে হয়ে ওঠে ছবি? সেই ছবির সামনে দাঁড়িয়ে দর্শক কেমনভাবে স্পর্শ করতে পারবেন শিল্পীর মনোজগৎ? ছবি আঁকার প্রকরণের মতো, দেখারও কি রয়েছে কোনো পৃথক পদ্ধতি? আরেকদিকে, ছবির বাজার শিল্পকে, শিল্পীকে কেমনভাবে প্রভাবিত করে? আদৌ করে কি? শিল্পীর সৃষ্টি কতোখানি বহির্জগতের প্রভাবমুক্ত? একগুচ্ছ প্রশ্ন নিয়ে শিল্পী হিরণ মিত্রর সাথে কথোপকথন।

    কয়েক বছর আগে হিরণ মিত্রকে প্রশ্ন করেছিলেন প্রয়াত অদ্রীশ বিশ্বাস। 'রঙ নম্বর' নামে সেই সাড়াজাগানো বই দীর্ঘদিনই আউট-অফ-প্রিন্ট। এইবার ফিরল নতুন চেহারায়। সাথে জোড়া হয়েছে আরেকখানা নতুন কথোপকথন।

    নতুনটি ঠিক সাক্ষাৎকার নয়, জমাটি আড্ডা। হিরণদার সাথে বিষাণ বসু। বাধহীন খোলামেলা সেই আড্ডা প্রকাশ করা হলো প্রায় আন-এডিটেড।

    অনবদ্য কিছু ছবি আর ফটোগ্রাফ দিয়ে বইখানা সাজিয়েছেন শিল্পী হিরণ মিত্রই। ছবি ও কথার আশ্চর্য মেলবন্ধনে এই বই শিল্পপ্রেমী তো বটেই, চিত্রশিল্প বিষয়ে আপাত অনাগ্রহীদেরও আকর্ষণ করবে, নিশ্চিত।

    #####################################

    বইটির আংশিক দত্তক নিতে কেউ আগ্রহী হলে [email protected] এ ইমেল করুন।
  • রঙ নাম্বার | 236712.158.566712.233 | ৩০ জুলাই ২০১৯ ০৯:৪৬434982
  • আগের প্রচ্ছদ

  • গুরুচণ্ডা৯ | 236712.158.786712.127 | ০১ আগস্ট ২০১৯ ২৩:১৭434983
  • ইন্দ্রাণীর 'পাড়াতুতো চাঁদ ' নিয়ে লিখেছেন সাহিত্যিক অমর মিত্র, এ হপ্তার সাপ্তাহিক বর্তমানে ' এ সপ্তাহের বই' বিভাগে।

  • গুরুচণ্ডা৯ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:২৬434984
  • এই হপ্তার 'এই সময়' এ। ইন্দ্রাণীর 'পাড়াতুতো চাঁদ' নিয়ে।

  • গুরুচণ্ডা৯ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:২৯434985
  • গত হপ্তার 'এই সময়' এ। জয়ন্তী অধিকারীর 'কুমুদির গপ্পো' নিয়ে।

  • গুরুচণ্ডা৯ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৪৯434987
  • কল্লোলের ' কারাগার, বধ্যভূমি ও স্মৃতিকথকতা' নিয়ে লিখলেন, ইন্দ্রনীল দত্ত।

    কানফাটানো শব্দে বোমাটা আছড়ে পড়ল শিশির বাবুর রেশন দোকানের ঠিক সামনে।
    তার মানে এখন ঘড়ির কাঁটায় সকাল ঠিক দশটা। কোনও নড়চড় হবে না।
    ঝপঝপ শব্দে পড়ে যাচ্ছে দোকানের ঝাঁপ। তার চেয়েও বেশি শব্দ করে বন্ধ হচ্ছে গেরস্ত বাড়ির জানলা-দরজাগুলো।
    পাশের বাড়ির সন্তোষদার বউয়ের সেই চিৎকার, ‘‘ওফ! কবে শেষ হবে এই ঝড়। উনি তো আবার এখনই বেরোলেন।’’
    দুড়দাড় করে বাজার নিয়ে ফেরা মানুষজনের প্রাণ বাঁচিয়ে ঘরে ফেরার তীব্র প্রতিযোগিতা।
    বারান্দার ধারের ঘরের খড়খড়ি তুলে অতি সাবধানে সাত বছরের চোখ দেখে ‘বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ।’
    কল্লোলদা লিখছেন, ‘‘স্মৃতি কি সততই একসম্ভূত"? বোধহয় নয়। কোন একটা বিষয়ের স্মৃতিতে জড়িয়ে থাকে বহুকিছু। আর, সেই সব কিছুরই সেই বিশেষ বিষয়টি নিয়ে নানান স্মৃতি থেকেই যায়। ফলে স্মৃতি এক নয় বহু। তবু যখন স্মৃতিচারণ হয়, তখন ব্যক্তিই হয়ে ওঠেন সেই স্মৃতির আধার ও নায়ক। এ এক আশ্চর্য প্রহেলিকা। এই প্রহেলিকাই আমাকে টেনে নিয়ে যায় আরও এক আশ্চর্য পরিসরে।’’
    সত্যিই তাই। স্মৃতিতে স্মৃতির স্মৃতি। কিছু নিজের চোখে দেখা। পরে অনেকের মুখে অনেক কিছু শোনা। উত্তেজনা, উন্মাদনা, রোমাঞ্চ, আতঙ্ক—সমস্ত মিলেমিশে একাকার।
    চারু মজুমদারকে দেখার প্রশ্নই ওঠে না। অনেক পরে ছবিতে দেখেছি উত্তাল সত্তরের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ব্যক্তিত্বকে। পড়েছি তাঁর লেখা ‘আট ঐতিহাসিক দলিল।’
    তবে অনেক কিছু শুনেছি ভাটিয়াদার কাছে। এক মুখ কাঁচাপাকা দাড়ি। মাথার চুল সাদা। সর্বাঙ্গ কাঁপছে। দাঁড়াতে বা বসার জন্য সাহায্য নিতে হত অন্যদের। কাঁপা হাতে চার্মিনার।
    মুখার্জি বাড়ির রকে বসে বলেছিল, ‘‘গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার তত্ত্বে কোথাও একটা ভুল তো ছিলই। না হলে আর মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হলাম কী করে!’’
    রুনু গুহ নিয়োগী। সেও শোনা। মলয়া মাসির কাছে। লালবাজারে থার্ড ডিগ্রির হাত থেকে তো মহিলারাও ছাড়া পাননি।
    মলয়া মাসি মূত্র চেপে রাখতে পারত না। বাধ্য হয়ে সঙ্গে থাকত ক্যাথিটার আর পলিথিন পাউচ। তবুও কী দৃপ্ত ভঙ্গি। দু’চোখে আগুন।
    বাহাত্তরের নির্বাচনী সন্ত্রাসের ছবি হাল্কা মনে রয়েছে। পাড়া ছাড়ল মা। দেখা হল আবার উনআশিতে।
    কল্লোলদার কথা ধার করে বলতে গেলে, ‘‘...বসার ঘরে থিক থিক করছে মানুষ। বুকে জড়িয়ে ধরছে সকলে। এই তো এসে গেছে। কাল সকালে পুরোনো বন্ধুদের সাথে বসা—আবার নতুন করে। নতুন চিন্তা, নতুন লড়াই...’’
    কল্লোল কল্লোলিত কারাগার, বধ্যভূমি ও স্মৃতিকথকতা।
    সাবাশ গুরুচণ্ডা৯।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন