এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • বসন্তের গান

    ranjan roy
    গান | ১৫ জানুয়ারি ২০১০ | ২৯৪১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kahiptaashaa | 203.99.212.54 | ২১ জানুয়ারি ২০১১ ১৫:০১436800
  • রণবীর কানু চলে, দেশের শত্রু বধ হেতু
    পকেটে বুলেট তার বুকে প্রাণ, ফিরে এসে এক বিঘা জমি
    শিশুটির ইংলিশ স্কুল মায়ের চোখের ছানি
    রোদ পড়া আঙিনায় বুধি গাই, কানু তার পকেটে বুলেট
    বুকে প্রাণ
    রণবীর কানু চলে শ্রেণীর শত্রু কাকে বলে
    কাকে বলে ভাত, মেটে আলু নুন দিয়ে ভালো
    ভালো লাগে সাইকেলে হাওয়া বহে চুলে বিলি কেটে
    ভালো লাগে বধূর রূপোর নাকছাবি
    রোদ পড়া আঙিনায় বুধি গাই, কানু তার পকেটে বুলেট
    বুকে প্রাণ

    রাধিকা থাকেনা এই দিকে, শুধু রাধিকা ছেড়েছে এই দেশ
  • kahiptaashaa | 203.99.212.54 | ২৫ জানুয়ারি ২০১১ ১৪:২৬436801
  • আদিগন্ত হাওয়া আর হাওয়াদের বহুবিধ স্বর
    হাওয়াদের নানা রঙ, রঙখড়ি, জলের ওপর
    হাওয়া দিল মিলমিশ দেওদার সোনাঝুরি পাতা
    গলিপথে ছায়া আর ওপাড়ায় রোদের দাপট
    বীতরাগ কথপোকথনে, আর বৃথা কথকতা।
    রাধিকা কিশোরী তাই, মধুর, বানায় প্রেম,
    রোদে টানে তিক্ত, বিষের ঘ্রাণ, রোদের কাপড়।
  • kahiptaashaa | 203.99.212.54 | ২৫ জানুয়ারি ২০১১ ১৯:৫২436802
  • এই তো একটা পদ্য লিখি, এই তো এখন মন ভালো নেই
    এই তো কেমন বিষাদ বিষাদ, কিবোর্ড ঘেঁষে বসতে বলি
    এই তো কেমন বসন্তদিন এই তো কেমন আবছা বিকেল
    এই তো কেমন বিষাদ বিষাদ- সত্যি নাকি ক্ষণস্থায়ী?

    রাইকিশোরী, এই তো গেল, লাল সাইকেল, ব্যাগ ঝুলিয়ে।
  • Tim | 173.163.204.9 | ২৬ জানুয়ারি ২০১১ ১১:৪৫436803
  • এই তো একটা পদ্য লিখি, কহিপ্তাশার ছন্দ ধরে
    এই তো কেমন বসন্তদিন, যেমন খুশি লেখার খাতা
    এই তো কেমন মন উচাটন, লিখতে গিয়েও মুছলে, মায়া
    এই তো কেমন প্রবাদপ্রতিম টই জ্বেলেছে কাব্যগাথা

    রাইকিশোরীর আবছা বিকেল, সন্ধ্যেবেলাও ঝাপসা কাচে
    বিষন্নতার সুর কেটে যেই দমকা হাওয়া, দু:খরাশি
    এক পলকেই উধাও হলে, আগুনরঙা ফড়িং নাচে
    দিগন্তে তার আঁচ লেগেছে, দিগন্তে সেই বনপলাশী

    এখন যতই কলম পেষো, যতই ছন্দ এদিক ওদিক
    এখন যতই মুহূর্তরা ছিটকে বেরোয়, ইচ্ছেমতন
    এখন যতই জ্ঞানগম্যির পর্দা ফেলে আল্পনা দাও
    এখন যতই উদাস উদাস, কথার খেলাপ আজ হবেনা

    রাইকিশোরীর লাল সাইকেল, মেঘলা দুপুর, আবছা বিকেল।
  • kahiptaashaa | 203.132.214.11 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৭:১৬436804
  • রেলিং বসেছে মাঠে, মেগাফোনে আশির দশক
    ফিঙে পাখি ওড়ে যেন ফসলের খোঁজে
    যেন এই মাঠ ফসলের পরে।
    নিপাট রাস্তা চুপ সুবেশ জনতা, আর কাঠকুটো
    বয়ে নিয়ে কৃষকের বৌ
    পাশাপাশি চুপ
    হাঁটে; মেগাফোনে বিষের মতন বাজে
    মধুর আশিকী
    এসব দেখাই যায় নিছক ধুলির মত
    সহজেই পাওয়া যায় এইসব ছবি
    শোনা যায় আশির দশক নাকি
    বসে থাকে এই মাঠে, আগের মতন
    বালিকার সাথে
  • hu | 12.34.246.72 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৯:৩৫436805
  • আজ সকাল থেকে কুয়াশা, মেঘ আর বৃষ্টি। অস্পষ্ট রাস্তা দিয়ে মাঝেমধ্যে দু-একটা গাড়ি ছুটে যায় - হেডলাইটের ঝলকানিতে মালুম পড়ে। এমন সকালে কেমন অনিবার্যভাবে মনে আসে - 'আজকে শীত, আজকে মেঘে ঢাকা/ অট্টালিকা আতপ জলঝাঁঝি/ বায়না করা রয়েছে পদাবলী/ বিষাদ খুঁটে বানানো রূপকথা/ বিষাদ খুঁটে চলেছে রেলগাড়ি ...'
    স্মৃতি চিরকালই দুর্বল। পরের লাইন কিছুতে মনে পড়ে না। টই খুঁজে পড়ে নিয়ে শান্তি। কবিকে জানিয়ে গেলাম। আরেকবার স্যালুট ঠুকে গেলাম।
  • kahiptaashaa | 203.132.214.11 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ০৯:৫১436806
  • :)
  • kahiptaashaa | 203.132.214.11 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১০:১৬436807
  • বালিকা পুষেছে কত কিছু
    চেনা কাক, কীটপোকা, সমূহ অশান্তি, ভালোবাসা
    পুশ্যিরা আসে পিছু পিছু
    রোদে জলে, মেঘ ডাকা রাতে, রবিগানে রকসঙ্গীতে।
    বালিকার পুষ্যিরা আশে পাশে থাকে।
    জীবন যদিও গেছে চলে
    বালিকা বাসেনি তাকে ভালো, পোষেনি যত্ন পিঞ্জরে।

    বালিকা শ্যামের বাঁশি শুনে
    গড়েছে গোষ্ঠ আর স্নানঘরে
    জানালায় ঝিলিমিলি ছায়া।
    বালিকার পোষা ভালোবাসা,
    কীটপোকা থেকেছে আদরে।
  • kahiptaashaa | 198.175.62.19 | ১৫ মার্চ ২০১১ ০৭:৪১436808
  • একটু ছন্দ চাহো একটুকু ভ্রান্ত জীবন
    একটু ঘাসের বুকে শিশিরের কুচি শীতশেষে
    একটু একাকী থাকে বালকেরা বয়েসের দোষে
    এতটুকু চিঠি তাকে রাধিকা লিখেছে মনে মনে

    এতটুকু দুর থেকে মনে হয় কত দূরে যায়
    কিশোর বেলাতে তার হাত ধরে ফিরেছে রাধিকা
    এতটা দিনের শেষে রাধিকা তৃতীয় যাম জাগে
    এতদিনে পদ লেখে একাকী শ্যামের বয়ান

    ঘাসকুচি ঢেকে দেয় উঠোনের ছাঁচি বাঁশ বেড়া
    পাতারা উদাস গেছে এতদিনে মৃত ও নীরব
    বালকের চলে গেছে কত কত ভ্রান্ত বিকাল
    এতটা চিঠিও তাকে লেখেনি রাধিকা এতদিনে

    একটু একাকী আর এতটা ভীড়ের প্রকোপ
    গুটিশুটি রাজপথে তাহাদের ভালোবাসা ভয়ে
    পেরিয়েছে ধুলো মাটি রাস্তার এপার ওপার
    সহসা সময় হয়, পদাবলী শ্যামের বয়ানে।
  • kahiptasha | 67.96.80.214 | ২০ মার্চ ২০১১ ০৯:৩৯436810
  • রাধিকার আজ ঝাঁপতাল
    হংসধ্বনি দেশরাগ
    তৃষ্ণা জেগেছে মর্মে
    ঢেকে রাখি তাকে যত্নে

    এরকম দোল এইসব
    মুখোমুখি বসে উদ্ভট
    আলাপচারিতা প্রেমালাপ
    শব্দ কৃপণ নষ্ট

    স্নান শেষে ধোয়া রঙরুপ
    আদর এবং আশ্লেষ
    ব্রীড়া কৌতুক চক্ষে
    দিনলিপি অবশিষ্ট

    দোলগতি মানে বিজ্ঞান
    হোলি খেলে শ্যাম চন্দ
    বৃক্ষে ছায়ার আবডাল
    ঢেকে রাখে তাকে সন্ধ্যায়

    হররোজ এ কি কৌতুক
    ফুলছাপ লাগা মাঠপথ
    বানভাসি পাড়া নীলচে
    অবীরে আকুল হর্ম্য

    রম্য হয়েছে অঞ্চল
    রাধিকার লাল সাইকেল
    ব্রীড়া অবনত এইদিন
    পুর্ণিমা চোখ বুজছে

  • Nina | 68.84.239.41 | ২০ মার্চ ২০১১ ২০:৫৩436811
  • !!!!!!! কোনও কথাই খুঁজে পাচ্ছিনা!! কথারা সব দল বেঁধে শুধু কবির কলমে গেছে চলে---নির্বাক মুগ্‌ধতা শুধু আমার!
  • ranjan roy | 122.168.231.233 | ২০ মার্চ ২০১১ ২৩:২৪436812
  • রাধিকার লাল সাইকেল,
    ললিতার সাদা স্কুটি,
    বিশাখা সওয়ার পেছনে
    - ঘর মেপে চালে ঘুঁটি।

    এ না হলে মহা খিটকেল,
    হতেও আজকে পারতো ।
    রাধিকাকে তুলে বাইকে
    কানাই সটকে পড়তো।

    ললিতা-বিশাখা-কানহাই
    বচপন থেকে এক সাথ,
    কোথা থেকে এল রাধিকা,
    চোখে চোখে কথা , কেয়াবাৎ।

    একই পাড়া ওরা তিনজন,
    একই স্কুল, একই ক্লাসে,
    কিন্তু কি হল বিশাখার
    চোখ খালি জলে ভাসে।

    দমচাপা বুকে জাগে জেদ,
    হার মানবে না বিশাখা।
    দান ছাড়বে না সহজে,
    - কী মেয়ে রে তুই রাধিকা!

    আবীর লুকোনো প্যাকেটে,
    রাঙাবো কানুকে আজ,
    ফিরে দেখবে না ওদিকে,
    --সে তুই যতই সাজ।

    তাই এই হোরিখেলা
    পদ্মপুকুর মাঠ;
    কথা হয়ে গেছে গোপনে
    যৌবন আঁটসাঁট।

    কিন্তু একটি ব্যথা,
    কুরে খায় বিশাখাকে।
    কথা ছিল শুধু তিনজন,
    --তবে কে ডাকলো রাধিকাকে।।

  • kahiptasha | 198.175.62.19 | ২৩ মার্চ ২০১১ ০৫:২৪436813
  • সন্ধ্যা বিকালে ঝাউবনে হাওয়া দিলে
    পরিযায়ী পাখী ফিরে গেলে পথ চিনে
    শিশুর দেয়ালা অহেতুক উৎসবে
    আমরা ফিরেছি একমুঠি দিন কিনে

    বাতাসিয়া লুপে হুইসেল পড়ে যেই
    বাংলোর চালে ভাগ্যের মতো রোদ
    আঙিনা ভেসেছে সকাল সকাল হাওয়া
    আমরা বলেছি এইবারে শোধবোধ

    দালানের গায়ে, নিরিবিলি পশ্চিমে
    রোদ পড়ে গেছে দরজায় জলছড়া
    আমরা শিখেছি ঐকিক, ব্যাকরণ
    ণ্বত্ব ষত্ব, গোমতী ও কুশিয়ারা

    আমরা এসবই গল্প শুনেছি খুব
    কিরকম করে ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে
    লুঠ করে নেয় কষ্টে জোটানো দিন
    হিতাহিতজ্ঞান, পরিযায়ী ভালোবাসা
  • kahiptaashaa | 198.175.62.19 | ০৫ এপ্রিল ২০১১ ২১:৫৮436814
  • অনেক কথায় সময় নষ্ট
    বৃষ্টি হচ্ছে নিজের মতই
    ভুরুর ভঙ্গী যেমন থাকে
    বেশ অচেনা কিন্তু আমরা
    জানতে পারি, এমনটিই
    হওয়ার ছিল;
    এখন যেমন ভীষন ব্যস্ত
    ভীড় থেমে যায়
    এক মূহুর্তে, সুমন চট্টো
    ফিরিয়ে দিলেন, হঠাৎ যেমন
    বৃষ্টি ধোয়া
    একলা শহর, ভীড়ের মধ্যে
    অবাক, ভীত
    ব্যালকনিতে ভিজছে যেমন
    শীতলপাটি, বাতিল কাগজ

  • Tim | 198.82.23.185 | ০৬ এপ্রিল ২০১১ ০০:৩০436815
  • কহিপ্তাশার আগের কবিতাটা সুমনের "জিতেছি যতটা হেরেছিও ততটাই" সুরে গাওয়া যায়।
  • Tim | 198.82.23.185 | ০৬ এপ্রিল ২০১১ ০১:০২436816
  • আগের মানে ঠিক আগেরটা না। ২৩শে মার্চের পোস্ট। ধ্যুস :-(
  • kahiptaashaa | 67.96.80.214 | ০৬ এপ্রিল ২০১১ ০৪:১৯436817
  • লাল গানে নীল সুর

    এরকম হয়েই থাকে।
  • Tim | 173.163.204.9 | ০৬ এপ্রিল ২০১১ ০৯:০৭436818
  • আজকের ট্রেন ছিলো, লেটে
    রেস্তোঁরা, বিল, ভরপেটে
    মায়াবী সন্ধ্যে জুড়ে, একা
    শান্টিং চলছিলো গেটে

    ফুরফুরে হাওয়া দিলে, ভারি
    দিল খুশ, আদার ব্যাপারি
    জাহাজেও চড়ে নিলে, ভালো
    দামে আজ জুটেছে সওয়ারি

    চলেছে পানসি, চৌদিকে
    রাত নামে, কিছু চামচিকে
    উড়েছে আকাশে, এক মুঠো
    মোমের আলোয় সব ফিকে

    কি ভীষন প্রেমে, অপ্রেমে
    বসন্ত চলে গেলে, ঘেমে
    জ্বরজারি, কিছু কথকতা
    চোখের তারায় ছিলো থেমে

    তবু আজ ট্রেন ছিলো, লেটে
    যাওয়ার সময় হলে, হেঁটে
    পতাকা উড়লে, সরে চাকা
    শান্টিং শেষ হলো গেটে

  • de | 59.163.30.3 | ০৬ এপ্রিল ২০১১ ১৩:১৪436819
  • আহা! কহিপ্তাশা আর টিম দুজনেই মন ভরিয়ে দিলো!
  • ranjan roy | 122.161.206.124 | ০৬ এপ্রিল ২০১১ ১৮:০৩436821
  • শান্টিং শেষ হল -- গেটে,
    সরে সরে যায়---- ঘুরচাকা,
    এত তাড়াতাড়ি--- ইস্টিশন,
    নামবো না, জানি--- ট্যাঁকফাঁকা।

    শেষ বসন্তে------উন্মনা,
    ময়ুরপঙ্খী---পাল ওড়াও।
    কানের দুপাশে-- রূপোলী ভাঁজ,
    পরোয়া নেইকো----পা' বাড়াও।

    পায়ে-চলা-পথ----অনজানা,
    অচেনা এ'পথে বাড়ালে পা'?
    ধুকুপুকু বুক, -- শুনছে কে?
    বলবে না কেউ----দাঁড়িয়ে যা'।

    রাধিকার ঠোঁটে --- বাঁকা হাসি,
    এসব বচন---- ঢের শোনা,
    কানাই কেমন---- একঘেয়ে,
    শুধু ক্লান্তির ---জালবোনা।

    কোথায় তমাল----কুঞ্জবন,
    কদম্বডালে--- ধরেনি ফুল,
    সত্যি কি আছে-----ভালবাসা,
    যাতে ভেসে যায়---কুল-অকুল?
  • kahiptaashaa | 198.175.62.19 | ০৭ এপ্রিল ২০১১ ০২:০৭436822
  • কাগজ মুড়ছি কাগজ ছিঁড়ছি
    নৌকো হচ্ছে পদ্য পাতার
    নৌকো চলছে সকাল থেকে
    সন্ধ্যা বেলার প্রায়ান্ধকার
    সন্ধ্যা ঠেলে রাত্রি নামে
    তোমার দেশে ভোর ভঁয়ো গান
    ভোরের থেকে সকাল বেলার
    রাস্তা জুড়ে চায়ের দোকান
    দোকান খুলছে বাপ ব্যাটাতে
    গড়িয়াহাটে গুলের আগুন
    কিংবা কোন মফস্বলের
    স্টেশন ঘেঁষে পান্তা ও নুন
    পান্তা তবু তৈরী ছিল
    নুনের খোঁজে সমুদ্দুরে
    জলের ধারে পদ্য পাতা
    জল ছুঁয়ে সেই শ্রীরাধিকা

    জল বয়ে যায় হুগলী ঠেলে
    ও বুঢ়া লুই, আড়িয়াল খান
    শ্রীরাধিকার গীত জানা নাই
    নদীর কথা, কানুর বিনা
    সেইসব সুর সেসব কথা, পদ্যে লিখি
    কাগজ মুড়ে
    সত্যি কিন্তু কাগজ কোথায়?
    চক্ষু জুড়ে ইলেকট্রনিক।
  • kahiptaashaa | 198.175.62.19 | ০৮ এপ্রিল ২০১১ ১৯:০৯436823
  • আমার ধারনা আমি মাঝে মাঝে এদিক ওদিক থেকে ঝেঁপে পদ্য লিখে দিই। এখনো ধরতে পারিনি, কিন্তু মাঝে মাঝেই মনে হয়, বিশেষ করে এখানে ছাপিয়ে ফেলে পড়ার পর মনে হয়, এই যা: এরকম একটা কোথায় কি পড়েছিলাম না।
    অনেককাল আগে একটা কবিতা পড়েছিলাম, এখানের বিইকলেজীদের কারো মনে থাকতে পারে, তাদের কলেজ ম্যাগাজিন অর্ক তে বেরিয়েছিল, যার প্রথম লাইন ছিল, 'ফুল ঝরছে ফুল ঝরছে ফুল ঝরছে ফুল', সে প্রায় গোটা এককুড়ি বছর আগে হবে বোধয়। তো আমার মাঝে মাঝেই দুর্মদ ইচ্ছে হয়, ঐ লাইনটা দিয়ে একটা পদ্য শুরু করে ফেলি।
    সেটা করার যেন আর উপায় না থাকে তাই লিখে দিলাম আগে ভাগে :)
  • Tim | 198.82.17.45 | ০৮ এপ্রিল ২০১১ ২০:১৯436824
  • এরকম তো হয়েই থাকে। বসন্তের গান টইতেই আমি বেশ কটা পোস্ট করেছি আগের কবতের খেই ধরে। সেও ধরতে গেলে একরকম ঝেপে দেওয়াই। :)
    ডিসক্লেইমারটা যখন হয়েই গ্যালো, তখন পদ্যটাও হয়ে যাক। :-)
  • kahiptaashaa | 198.175.62.19 | ০৯ এপ্রিল ২০১১ ০০:১২436825
  • তা কেন। সংলাপ আর ঝাঁপা এইসব নিয়ে অনেককিছু তুলনামূলক কথা বলা যায়, তবে যাগ্গে, কাটাই :)

    ঐ কবিতার শেষের দিকে ছিল "ঈশ্বর না আল্লা সে এক সর্বশক্তিমান/ ভক্তিরসের শক্তি দেখে মুর্চ্ছা বুঝি যান..."। এটা বোধয় ১৯৯৩এর শুরুতে।
  • sayan | 12.20.48.10 | ০৯ এপ্রিল ২০১১ ০০:১৫436827
  • আমি রই নির্বাক অপেক্ষায়। কবে ফুল ঝরিবে ফুল ঝরিবে ফুল ঝরিবে ফুল .... :-)
  • kahiptaashaa | 198.175.62.19 | ০৯ এপ্রিল ২০১১ ০০:১৫436826
  • এরকম ভিক্ষা নিশি
    মূলত: হস্ত প্রসার
    চিরকাল, রোজই আসে
    আসলে শীতকাতুরে
    হাতে তার প্রাচীন কুঠার
    দৃষ্টি খর, স্তিমিত
    সাবধানে শানায় বসে
    চিরকাল, জলের ধারে
    মূলত: এসব বিপদ
    এরকম হঠাৎ আসে
    মনে হয় সকল শোভন
    আসলে কুঠার শানায়

    চিরকালই শ্রীরাধিকা
    এরকম চলছে বনে
    কাঠুরিয়া কুঠার শানায়
    রোজই তার ভিক্ষানিশি
  • sayan | 12.20.48.10 | ০৯ এপ্রিল ২০১১ ০০:১৬436828
  • কী আশ্চর্য! বলিতে বলিতেই ঝরিয়াছে!
  • kahiptaashaa | 67.96.80.214 | ২৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:৪৯436829
  • আজ নয় চাঁদ ফুল হোক একটুখানি
    এমনিতে বড্ড গরম ভোটের বাজার
    দেরাজে স্পষ্ট অলস অ্যালকোহলিক
    পড়ে থাক আজকে খানিক স্মৃতির বিলাস

    অক্ষরে ওষ্ঠে এবং পুকুরঘাটে
    আমাদের নিদ্রাহারা খুব পুরাতন
    বনতল গঞ্জ শহর পাখপাখালি
    আমাদের একলা থাকা, চক মিলানো

    দেরাজে বন্ধুস্বজন ধূলপরিমান
    ইনল্যান্ড নীলচে ঘুমে অন্যদেশে
    আমাদের নষ্ট চিঠির আবোলতাবোল
    আজ থাক হৃদমাঝারে, পুনর্বাসন

    তরিবৎ সুর সেধেছে যন্ত্রগণক
    নেহায়েৎ অপাত্রে দান বসন্তদিন
    জোরজার চকমিলানো শব্দ এবং
    রাধিকার তালুক মুলুক সকল শোভন

    ...
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ২৫ এপ্রিল ২০১১ ০৭:৩৩436830
  • খুব ভাল কবিতা। এগুলো প্রকৃত কবিতা বলেই মনে হল। বহুদিন এরকম কবিতা পড়িনি। সেল্যুট হে ভাই কবি।
  • kahiptaashaa | 67.96.80.214 | ২৫ এপ্রিল ২০১১ ০৯:১০436832
  • ধন্যবাদ :)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন