এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বন্দুক - ডিডিদার অনুরোধে

    Hukomukho
    অন্যান্য | ২০ মার্চ ২০১০ | ১৫৯৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kallol | 115.242.228.214 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ০৯:১২443241
  • আবারও ঢিচ্‌কাওঁ। কৈ গেলি হুকো?
  • sumeru | 117.194.96.13 | ০৬ এপ্রিল ২০১০ ২২:৩১443242
  • বন্দুকগলিটা কোথায়?
  • Hukomukho | 198.184.5.252 | ০৮ এপ্রিল ২০১০ ২৩:০১443243
  • সাথী আপনা সাথকা, হাতিয়ার আপনা হাত্‌কা
    --------------------------------------

    জাঠ বা রাজপুতদের মধ্যে এই প্রবাদ খুব প্রচলিত। সোজা ভাষায় বাপু বন্ধু তাকেই বাছো যে বিপদে তোমার পাশে থাকবে, আর হাতিয়ার সেটাই নাও যেটা তুমি বাগ মানাতে পারবে। এই বচনের মর্মাথ হাড়ে হাড়ে বুঝলাম এক ব্‌ঙ্গসন্তানকে স্‌ঙ্গে নিয়ে শুটিং রেঞ্জে গিয়ে। এই শর্মা সেই থেকে নাকে খত দিয়েছে , আর যাই হোক কোন ব্‌ঙ্গসন্তানকে নিয়ে ওমুখো আর নয়। ঘটনার সুত্রপাত মাসখানেক আগে, পরিচয় হলো এক ছানার সাথে , দিব্যি হাসিখুশি বং যাকে বলে , এদেশে এসেই উল্কি করেছে , কান ফুটো করে দুল পড়েছে, মন্দিরে গিয়ে দেবী দর্শন করেছে, তাদের ব্যাক্তিগত সাক্ষাৎ লাভে তৃপ্ত হয়েছে এবং আরো অনেক কিছু করেছে যা অনেক ব্‌ঙ্গসন্তান এদেশে এসে করে থাকে, নিজেকে মনে প্রাণে আমেরিকান ভাবার জন্য। ঘরোয়া এক আসরে দু পাত্তর জেডি খাওয়ার পরে ছানা দাবি তুলল তার আউটডোর অয়াড্‌ভেঞআর ভারি ভালো লাগে এবং সে সবকিছুই করতে চায় যা আমেরিকান জনতা করে থাকে বা ভালোবাসে , অবধারিত ভাবেই এল আমেরিকান বন্দুকপ্রীতির কথা , ছানা দাবি করল দেশে থাকতে সে প্রচুর বন্দুক পিস্তল চালিয়েছে এবং ওগুলো কোন ব্যাপার ই না। তার কোন এক মামা কলকাতা পুলিশের বড়কর্তা , তার সৌজন্যে সে প্রায় কলকাতা পুলিশের সবকিছুই হাতে নিয়ে চালিয়েছে এবং যাকে বলে সে রীতিমতন ক্র্যাক্‌শ্‌ট। কিছু বিশ্বাসযোগ্য নাম ও বলল , এবং আমাকে ধরে বসল তাকে এখানে রেঞ্জে নিয়ে যেতে হবে। সাধারণত: এক্ষেত্রে যা হয়ে থাকে মালের ঘোরে ভাট বকা ভেবে আমি হুঁ হ্যাঁ করে কাটিয়ে দিলুম। কিতু গোল বাধলো পরের দিন শনিবার সকালে , গতরাতের রেশ তখনও হাকা জানান দিচ্ছে মাথায়, বেলা এগারটা নাগাদ ছানার ফোন, কি হল হুঁকো বলেছিলে রেঞ্জে নিয়ে যাবে ? আমি দ্বিধায় পড়লাম এক তো একবার যাওয়া মানে কমপ্‌ক্ষে ৮০ ডলার গচ্চা মাসের শেষে, গিন্নি জানতে পারলে আমাকেই টার্গেটের সামনে বসিয়ে দেবে, এমনিতেই সারাদিন আমার হুকোর খর্চা নিয়ে প্‌ড়ে আছে , তার উপরে ছেলেটাকেও তৈরি করেছে আমার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করার জন্য , রেঞ্জে যাচ্ছি জানলে আর দেখ্‌তে হবে না বাড়িটাই রেঞ্জ হয়ে যাবে , তার উপরে এই পেছনপক্ক ছানাকে নিয়ে বিপদে পড়ব নাতো ? ছানা নাছোড়বান্দা সে আজই যাবে , প্রমাণ করেই ছাড়বে আজকে, বাঙালী শুধু মরতে নয় মারতেও জানে , এ হেন ভাষনে আমার ও বাঙালী রক্ত জেগে উঠল , চ্‌ল ব্যাটা দেখি কেমন গুলি চালাতে শিখেছিস । ছানা এল ফাটা জিনস পড়ে কনভার্টিবলে চড়ে আধঘন্টার মধ্যে, গাড়িতে উঠে ছানাকে বার বার বললুম বাপু আগে সত্যি সত্যি চালিয়েছ তো বা সেফটি রুল টুল গুলো জানো তো ? এখানে কোন মহিলা টহিলা নেই সুধু আমি , কাজেই গুল্প দিয়ে থাকলে বলে ফেল , ছানা রীতিমতন অপমানিত বোধ করে আমাকে বলল তোমার কি ধারণা পৃথিবীতে তুমি একাই বন্দুক চালাতে পারো ? হক কথা, নিজেই নিজেকে গালাগাল দিলাম আমি মিথ্যে মিথ্যে বেচারাকে ভুল ভাবছি , এত কন্‌ফিডেন্স যখন, তখন নিশ্‌চয় ছানার কাছে এইসব জলভাত। অতএব চালাও পানসি ইন্ডোর রেঞ্জে ।

    কন্টিনেন্টালের মালিক জন আমাকে দেখে হাসিমুখে বলল কি হে হুঁকো বহুদিন বেপাত্তা যে ? স্‌ঙ্গে ওটি আবার কে ? আমি বললাম তোমার কাটমার ধরে এনেছি , চিন্তা নেই ভারি ভালোছেলে, এক্সপেরিয়েন্সড শুট্যার , এখানে এসে অনেকদিন বসে আছে তাই হাত নষ্ট না হয়ে যায় সেই জন্য প্র্যাক্টিস করতে এসেছে। জন ভারি খুশি হয়ে বলল খুব ভালো করেছ, যাক তোমাদের ড্রাইভিং লাইসেন্সগুলো জমা দিয়ে দাও , তোমার বন্ধুকে ডিক্লেয়ারেশন ফরম্‌টা ভরে ফেলতে বল। যদিও তুমি বলছ ঠিক আছে, কিন্তু আমাদের কি জানত, এটা পলিসি। ছানা আমার দিকে জিঞ্‌গাসু চোখে তাকাতে বলে দিলুম কিস্যু নয় ভাই, তুমি আগে কখনও এইসব চালিয়েছ কিনা ,চালিয়ে থাকলে তোমার অভিঞ্‌জ্‌তা মানে তুমি নিজেকে কত নম্বর দেবে এই সব আর কি ? মোদ্দা কথা হল তোমার কোন কেলোর দায়িত্ব কতৃপক্ষ নেবে না। কিছু ছড়ালে তার দায়ও তোমার। ছানা কাঁধ ঝাকিয়ে বল্ল , ঠিক আছে কোন ব্যাপার না, ভরে
    দিচ্ছি এক্ষুনি। জন হাঁক পাড়লো ওহে টিম দেখো তো এই ছানা কি নেবে ? ওহে ছানা , ব্‌ন্দুক পছন্দ করে গুলি টুলি নিয়ে কানে প্রোটেকশান লাগিয়ে রেঞ্জে গিয়ে হাতের সুখ করো গিয়ে তবে সাবধানে অন্যের লেনে ঢুকো না যেন , যদিও তুমি জানো হয়ত এসব তবু আমার বলার কথা তাই বলে দিলাম। আমি আর হুঁকো একটু কফি আর বিড়ি খেয়ে আসছি ইতিমধ্যে। কই হে হুঁকো একটা বিড়ি দাও ? কফি মেশিন থেকে কফি নিয়ে বেরুবার সময় আড় চোখে দেখলাম ঝাঁকড়াচুলো টিম মুখে একরাশ বিরক্তি নিয়ে বিবেকানন্দ পোজে দাঁড়িয়ে আছে, ছোকরা কি বলেছে কে জানে ? আর ছোকরা খুব মন দিয়ে বন্দুক পছন্দ করছে। মনে একটু সন্দেহ হল, তবে সকালের অভিঞ্‌জ্‌তা তখনও টাটকা, তাই পাত্তা না দিয়ে জন এর সাথে সদর দরজা দিয়ে বেরিয়ে এলাম। হায় তখন কি আর জানি কি ঘটতে চলেছে ?

    কফি খেতে খেতে NRiaa এর ভবিষ্যত , নতুন মেরিল্যাড গান রুল , বাজারে কি নতুন এল, ডিয়ার হান্টিং সেশনে বিক্রি কতটা বাড়তে পারে এইসব আলোচনা চলছিল , দুজনের কফি শেষ , সিগারেট ও শেষের মুখে এইসময় হঠাৎ দরজার পাশে লাগানো ডেঞ্জার অয়ালার্ম ট্যাঁও ট্যাঁও শব্দে বাজতে লাগল। এইবার দেখলাম বুড়ো জনের রিফ্লেক্স, প্রায় চোখের পলকে আমাকে এক ধাক্কায় দরজার সামনে থেকে সরিয়ে দিয়ে বলল তুমি এখানে থাকো আমি না বলা অবধি ভেতরে ঢুকবে না, একি সাথে কোমরের হোলস্টারে রাখা লোডেড গ্লক ১৭ টা হাতে নিয়ে ভেতরে ঢুকে গেল । আমি সবে ভাবছি কি হল রে বাবা ? প্রায় স্‌ঙ্গে স্‌ঙ্গেই জনের প্রত্যাবর্তন, হাতে পিস্তলটা তখনো ধরা , বেশ সিরিয়াস মুখ , এসে আমাকে বলল এসো আমার স্‌ঙ্গে । এবারে আমি আরো চাপে একি রে বাবা , প্রায় দৌড়ে দৌড়ে জনের পিছু পিছু রেঞ্জে ঢুকলাম , দেখি ডেভিড আর টিম দুজনে দুটো গ্লক পয়েণ্ট করে রেখেছে , টিম বেশ খ্‌চে গিয়ে চেঁচাচ্ছে পুট দ্যা ফাকিং গান ডাউন , চারিদিকের জনতা আতংকিত মুখে রেঞ্জের দেওয়ালে সেঁটে আছে, আর যার জন্যে এতকিছু, সেই মহান ছানা আট নম্বর লেনের সামনে মাটিতে উপুড় শুয়ে আছে দুটো হাত মাথার উপরে দিয়ে, আর পাশে একটা ডেজার্ট ঈগল পড়ে আছে। আমায় দেখেই টিম প্রথম কথা বলল "এক্সপেরিয়েন্সড শুট্যার , হাহ ????"

    ডেভিড রিটায়ার্ড ইউ এস মেরিন , বেশি কথা বলে না। ঝটপট ছানাকে ধরে হাতে হ্যাডকাফ লাগিয়ে বলল এখন বসে থাকো , পুলিশ ওন দ্যা ওয়ে , ওরা এলেই ওদের হাতে তুলে দেব তোমাকে। ছানার তখন মোটামুটি কাঁদো কাঁদো মুখ, ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। পরিস্থিতি একটু ঠান্ডা হলে যা জানা গেল তা হল এই ছানা নিজেকে আগাগোড়া এক্সপেরিয়েন্সড বলে দাবি করে ফর্ম ভরেছে , এবং পিস্তল নেওয়ার সময়ে বলেছে ওর নাকি .50 AE
    ডেজার্ট ঈগল চাই। টিম প্রথমে একটু কিন্তু কিন্তু করেও শেষে ছানার জেদ দেখে রাজি হয়েছে। ছানা রেঞ্জে ঢুকে হেবি কেত মেরে একহাতে পিস্তল ধরে গুলি চালায় , যার প্রথম গুলি টা যায় ছাদের সিলিং এ, দ্বিতীয় গুলিটা লাগে ডানদিকের ক্রংকিট বীমে আর তৃতীয় গুলিটা পাশের সাত নম্বর লেনের টার্গেটের পুলিতে গিয়ে লাগে, যার ফলে সেটা দুটুকরো হয়ে টার্গেট সহ মাটিতে পড়ে যায়। এ হেন পারফর্মন্সে পাশের সাত নম্বরের শ্বেতললনা, যিনি তখন তার ফিয়ান্সের সাথে বন্দুক চালানো শিখছিলেন, ঘাব্‌ড়ে গিয়ে পরিত্রাহি চিৎকার করেন, একি সাথে পুরো ঘটনা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় দেখছিল টিম আর ডেভিড, ওরা স্‌ঙ্গে স্‌ঙ্গে ছুটে গিয়ে আরো বড় বিপত্তি এড়াতে ছানাকে গিয়ে ডিস আম্‌র্ড করে। ইতিমধ্যে দুই পুলিশ এসে হাজির , কি হয়েছে পুরো ঘটনা শোনার পরে একজন এসে আমাকে ধরল ,

    এ তোমার বন্ধু ?
    হ্যা
    ঁকতদিন ধরে চেন ?
    আঞ্‌গে মাস দুয়েক
    তুমি জানতে ও কোনদিন বন্দুক চালায়্‌নি
    আঞ্‌গে না
    তুমি কোনদিন চালিয়েছ না তুমিও এই ছানার মতন ?
    আমি কথা না বলে মানিব্যাগ থেকে আমার ন্যাশানাল রাইফেল ক্লাব ওফ আমেরিকার মেম্বারশিপ কার্ড আর মেরিল্যান্ড পুলিশের দেওয়া সারটিফায়েড ফায়ার আম্‌র্স ইনস্ট্রাক্টর এর কার্ড বার করে দিলাম। সে খুব মন দিয়ে দেখে শুনে গলার সুর নামিয়ে বল্ল তা তুমি ওর সাথে ছিলে না কেন ? এর কি উত্তর দেব ভাবছি , এমন সময় জন বলে উঠল , হুকোর দোষ নেই ও জানত না ওর বন্ধু আগাগোড়া ঢপ মেরেছে , তাছাড়া আমরা তখন বাইরে বিড়ি
    ফুকছিলাম , ছানার উচিত ছিল হুকোর জন্য ওয়েট করা যদি ও না জেনে থাকে কি করে কি করতে হয়। এর পরের ঘটনা ছোট্‌খাট ইতিহাস, বেশী বিশ্‌দে না গিয়ে এইটুকু বলি , ঝাড়া ১ ঘন্টা ধরে ছানার ভেউ ভেউ কান্না এবং পুলিশি জিঞ্‌গাসাবাদের পরে এটাই স্যাবাস্ত হল ছানা বাদামী চাম্‌ড়ার লোক হলেও ইচ্ছা করে কাউকে মারতে বা মাস কিলিং করতে ঢোকে নি , তবে জীবনে বন্দুক না চালিয়ে নিজেকে এক্সপেরিয়েন্সড দাবি করা এবং মিথ্যে স্টেটমেন্ট দেওয়া গরহিত অপরাধ হয়েছে। ভবিষ্যতে ছানা এইরকম কোনদিনও করবে না এই মর্মে ছানাকে ওয়ার্নিং দেওয়া হল এবং রেঞ্জের ক্ষতিসাধন এবং পুলি সারাবার খরচা বাবদ অতিরিক্ত ১৫০ ডলার জরিমানা করা হল।

    ফেরার পথে গাড়ী চালাতে চালাতে আমি জিঞ্‌গাসা করলাম ( কারণ ছানা গাড়ি চালাবার অবস্থায় ছিল না ) বাপুহে সত্যিটাই তো আগে বললে পারতে তাহলে আর এই বিপত্তি হত না। আর নিলেই যদি বা ওত পাওয়ারফুল ডেজার্ট ঈগল নিতে গেলে কেন ? ও জিনিষের প্রায় ২০ পাউন্ডের রিকল কি এক হাতে সামলানো যায় ?? ছানা উত্তর দিল আমি ওটাই চালাতাম তো ।
    কোথায় !!!!
    ছানার কনফিডেন্ট উত্তর , কম্পিউটার গেমসে ।
    এরপরে আমার ছানাকে আর কিছু জিঞ্‌গাসা করার সাহস হয় নি ।

  • Hukomukho | 198.184.5.252 | ০৮ এপ্রিল ২০১০ ২৩:১৯443244
  • বাংলা জাভা এডিটর, লেখার বানানের একদম মা বহ্যেন করে দিয়েছে, জাভা এডিটর থেকে কি করে এখানে পোস্টাবো তার ডামিজ গাইড চাই, কেউ হেল্পাতে পারবে ?
  • d | 219.64.72.127 | ০৮ এপ্রিল ২০১০ ২৩:২০443245
  • :)))))
    অজ্জিত ঠিকই বলে। কলকাতার ড্রাইভাররা সব ভিডিও গেমস চালিয়ে চালিয়ে গাড়ী চালানো শেখে।
  • d | 219.64.72.127 | ০৮ এপ্রিল ২০১০ ২৩:২১443247
  • ওটা থেকে পারবেন না। ইউনিকোড থেকে এখানে পোস্টাতে হবে।
  • Du | 65.124.26.7 | ০৮ এপ্রিল ২০১০ ২৩:২১443246
  • :- Z যদিও আমার চোখটা দুটো বড় O এর মতোই হয়ে গেছে
  • kd | 98.64.219.52 | ০৮ এপ্রিল ২০১০ ২৩:৪৬443248
  • হুঁকো, এই গল্পটা এখানে পোস্ট করার চেয়ে ""ক্ষমা করিনি'' বা ""একেকটা দিন ... ভীষণ রঙীন'' টইতে করলে পারতে।

    তবে বললে না তো ক'বছর লাগলো জনের এই ঘটনা নিয়ে তোমায় কাঠি করা থামা'তে?
    :)
  • Hukomukho | 198.184.5.252 | ০৮ এপ্রিল ২০১০ ২৩:৫৪443249
  • কেডিদা , আমি ওর পরে এখন অবধি আর কন্টিনেন্টাল আর্মস মুখো হয়নি। শখ করে কে আর চাট খেতে চায় বলুন ??
  • de | 59.163.30.4 | ০৯ এপ্রিল ২০১০ ১৪:০৮443251
  • এই টইটা ব্যাপক হচ্ছে! আরো চলুক, টেকনিক্যাল ডিটেল-গুলো আট্টু বেশী থাকলে আরো ভালো হবে!
  • vikram | 193.120.76.238 | ০৯ এপ্রিল ২০১০ ১৯:১২443252
  • সেলাম হুকোসাহেব। টু গুড।

  • Hukomukho | 198.184.5.252 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০১:০৪443253
  • সমাজবিরোধীদের বন্দুকের গপ্পোটা বলতে বলতে অন্য রাস্তায় চলে গিয়েছিলাম। আবার ফিরে আসি। পৃথিবী জুড়ে বে-আইনী অস্ত্রের ঢালাও কারবার চিরকাল ই ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে এবং একে রোখা কার্যত অসম্ভব , আর যদি বা সম্ভবও হয় , এই ভারতবর্ষে তা আশা করা দুরাশা। বে-আইনী অস্ত্রের জন্ম দুভাবে হয়

    ১। আইনী অস্ত্র লুঠ বা চুরি করে চোরাপথে আমদানী বা পাচার করে।
    ২। সম্পুর্ণ অস্ত্রটাই বে-আইনী ভাবে তৈরী করে।

    ১ম রাস্তা সম্পর্কে খুব বেশী কিছু বলার নেই , এটা সবাই জানে। টাটকা ঊদাহরণ দন্তেওয়াড়া। মজা হচ্ছে ৯৯% ক্ষেত্রে লুঠপাট করা হয় সামরিক বা আধাসামরিক বা পুলিশের কাছ থেকে আর খুব কম কিছু ক্ষেত্রে লাইসেন্‌স্‌ড গান সাধারণ লোকের কাছ থেকে। প্রশ্ন উঠতে পারে সাধারণ লোকের মতন সফট টার্গেট ছেড়ে এরা পুলিশ , মিলিটারি এদের পেছনে পড়ে কেন ? এর উত্তর দিতে গেলে আমাকে ১৯৫৬ ইন্ডিয়ান আম্‌র্স অয়াক্ট বা ১৯৬২ এর ইন্ডিয়ান আম্‌র্স রুলের ভেতরে ঢুকতে হবে, অনেক ধান ভানতে শিবের গীত গাইতে হবে , প্রভু ব্রিটিশদের ভারতীয়্‌দের নিরস্ত্র করে রাখার কালা অস্ত্র আইনের সাথে আমাদের স্বাধীন ভারতের অস্ত্র আইনের কেনো বাস্তবে কোনো তফাৎ নেই তা বোঝাতে হবে এবং সর্বোপরি কেন আমাদের দেশে সেকেন্ড লাইন ওফ ডিফেন্স নেই ? কেন শুধুমাত্র নেতা ও সমাজবিরোধীদের অস্ত্র রাখার সুযোগ দেওয়া হবে (তাও আবার আমাদেরি টাকা দিয়ে রীতিমতন সরকারী ভর্তুকি দিয়ে পাঁচ, ছয় লক্ষ টাকা মূল্যের ব্র্যান্ড নিউ বিদেশী পিস্তল (ভারতীয় বাজারদর অনুযায়ী) মাত্র পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকায়) ? এবং কেন আমাদের আত্মরক্ষার অধিকারটুকু দেওয়া হবে না , এবং নেতাকুল ও আপদ্‌কুলের উদ্যত অস্ত্রের সামনে অসহায় প্রাণভিক্ষায় বাধ্য করা হবে ? কেন সমাজবিরোধীদের বলে বুঝিয়ে দেওয়া হবে , ৭০ টা লোকের কামরায় মাত্র একটা দেশি পিস্তল নিয়ে উঠে সহজে লুঠপাঠ করা যাবে এবং কখনই কোনদিনও কোনও প্রতিরোধ আসবে না ? কেন ২৬/১১ এর আজমল কাসভের ছবি তুলতে পারা একমাত্র রিপোর্টার আক্ষেপ করেন উইশ আই হ্যাড আ গান দ্যান আ ক্যামেরা ? সেসব প্রশ্ন চ্‌লে আসবে দাদা, কাজেই ছাড়ান দেন ছাড়ান দেন ,এমনিতেই আমরা খরগোশের মতন গর্তের মধ্যে শুধু মুখটুকু ঢুকিয়ে ভাবতে ভালবাসি যে আমি কাঊকে দেখতে পাচ্ছি না বলে আমাকেও কেউ দেখতে পাচ্ছে না, কাজেই আমার হাতে বন্দুক না থাকলে সমাজটাও বন্দুকশুন্য হয়ে যাবে আর আমি ভারি নিরাপদ হয়ে যাব। আর এসব কথা লিখলে অনেকের গা চিড়বিড় করে উঠতে পারে তাই এইসব আটভাট বকা বন্ধ রেখে আসুন পথে নামি।

    ১ম রাস্তা তারাই বাছে যাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা আছে এবং এদের প্রতিপক্ষ সাধারণত: কোন ব্যাক্তিবিশেষ নয় বরং সরকার, প্রশাসন বা সাধারণ জনতা, যাদের মাস কিলিং করে কোনো মেসেজ বা নিছকই আতংক ছড়ানো যাবে। অতএব এ ক্ষেত্রে হাতিয়ার এমন হওয়া দরকার যা দিয়ে অল্প চেষ্টায় প্রচুর ক্ষতিসাধন করা যাবে। যেমন অটোমেটিক ওয়েপন। যা কোনভাবেই সাধারণ মানুষের কাছে পাওয়া সম্ভব নয়। কাজেই লুঠ করো সরকারী আর্মারী। নিচে একটা মোটামুটি তালিকা দিলাম কি ধরনের অস্ত্র লুঠ করা হয়ে থাকে এক্ষেত্রে।

    1. AK-47 Rifle, 5.56 Nato Caliber
    2. Insas Rifle . 5.56 Nato Caliber
    3. SLR 7.62mm NATO Caliber
    4. Insas LMG 5.56 and 7.62 NATO
    5. Sten Machine Carbine 9mm
    6. SMLE Mark III and Mark IV .303 Caliber
    7. Auto A1 Service Pistol (Copy of Browning Hi Power) 9mm Caliber
    8. Service Revolver Smith & Wessons .38 Caliber
    9. Service Revolver Webly & Scott .38 Caliber
    10. 2" Mortar
    11. H.E 36 Fragmentation Grenade


    রকেট লঞ্চার , বাজুকা, এগুলো সাধারণত: পুলিশ বা আধাসামরিক বাহিনী ক্যারি করে না কাজেই খুব রেয়ার কেস ছাড়া এই ধরনের অস্ত্র আমি লুঠ হতে দেখিনি। তবে লুঠ করার সময়ে একটা এয়ারগান পেলেও যে তারা সেটা ফেলে যাবে না সেটা বলা বাহুল্য। এখন কথা হলো এই সমস্ত অস্ত্র হল পিবি বোরের , মানে প্রোহিবিটেড বোরের, ফলে এর গুলিও খোলা বাজারে পাওয়া যায় না। কাজেই গুলির জন্য ভরসা সেই সরকারী আর্মারী বা পুলিশ থানা। কে না জানে গুলি বিনা বন্দুক লাঠি ছাড়া আর কিছু নয়। এছাড়া অস্ত্র আসে চোরাপথে , এর সিংহ্‌ভাগ অস্ত্র তৈরী হয় , দারায়, মানে আমি দারা আদম খেল এর কথা বলছি , এ এক অদ্ভুত জায়গা এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বে আইনী অস্ত্রের খোলা বাজার , এখানে পেন গান থেকে অয়ান্টি এয়ার ক্রাফট গান সব কিছু তৈরী হয়, তবে সব কিছুই নকল, মানে এ কে ৪৭ তৈরী করে তার উপরে মেড ইন চায়্‌না বা ইউ এস এস আর লিখে দেওয়া হয় যত্ন করে, আপনি হাতে নিয়ে বুঝতেই পারবেন না কোনটা আসল । ইতালির বেরেটার হুবহু কপি দেখে অনেক ঘাগু লোকেও ঘোল খেয়ে যাবে , ফারাকটা হয় দামে আর কোয়ালিটিতে, মোটামুটি ২০০০০ ভারতীয় টাকায় আপনি একটা এ কে ৪৭ এর মালিক হতে পারেন , হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে গুলি চালিয়ে তবে কিনবেন। দরাদরিও করতে পারেন। রাস্তার ঊপরে সার সার দোকান , একটায় পছন্দ না হলে পরের দোকানে। এটাই এখানে একমাত্র জীবিকা কিনা, ও হ্যাঁ বলতে ভুলে গেছি আর পাবেন হাসিশ। রাস্তায় বসে দুধারে ঢেলে বিকোচ্ছে। দারার অস্ত্রে একমাত্র ফারাকটা বোঝা যায় স্টীলের কোয়ালিটিতে। মানে এরা ব্যারেলের জন্য প্রপার টেম্পারের কাব্‌র্ন স্টীল ব্যবহার করে না। ফলে ফুল অটো মোডে ফায়ার করলে ব্যারেল গরম হয়ে বেঁকে যায় , চোখ মুখো কানা হতে পারে। তবে ওসব ভাবলে কি আর লড়াই করা যায় দাদা। যদি কোন বিশেষ অস্ত্র ওখানে খুঁজে না পান , যাস্ট সেম একটা জোগাড় করে ওখানে নিয়ে যান, ওরা রাতারাতি তার কাব্‌র্ন কপি তৈরী করে দেবেন, এমন কি লেসার এনগ্রেভিং ও ঝেড়ে দিতে দেখেছি এদের। এমন কি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ঘুরেও আসতে পারেন এখান থেকে , কিনতেও পারেন , স্‌ঙ্গে নিয়ে আসার অসুবিধা থাকলে ওদের বললে ওরাই ডেলিভারি করে দেবে হোটেলের রুম অবধি। বিশ্বের একমাত্র সর্ববৃহ্‌ৎ এই বে আইনী অস্ত্রের খোলা বাজারের প্রধান কাস্টমার যে আল কায়েদা বা বিভিন্ন জ্‌ঙ্গি সংগঠ্‌ন হবে তাতে আর আশ্চর্য কি ?

    (চলবে)
  • de | 59.163.30.6 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ১৭:২৬443254
  • এই দারা আদম খেল কোথায়? অস্ত্র তৈরীর কুটীরশিল্প!
  • Arya | 203.91.201.56 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ১৭:৩৩443255
  • পাকিস্তান, আফ্‌গানিস্তান সীমান্তে।
  • de | 59.163.30.6 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ১৭:৩৮443256
  • ওরেব্বাবা!
  • . | 125.18.104.1 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ১৭:৫২443257
  • মাইকেল প্যালিন "হিমালয়" ডকুমেন্টারিতে কি এই দারা আদম খেলে গিয়েছিলেন? সারি সারি বন্দুকের দোকান, পেনগান ইত্যাদি পড়ে মনে পড়ল।
  • Arya | 203.91.201.56 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ১৮:০৮443258
  • ঐ ড্‌কুমেন্টারি টা দেখিনি, বলতে পারব না, হঁকোদা কোথায় গেলেন?
  • SB | 114.31.249.105 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ১৮:১৯443259
  • দাড় আদম খেল নিয়ে ইউটিউবে এরকম অনেকগুলো ভিডিও আছে, সবকটাই ইন্টারেস্টিং

    , এটাও


    উইকিতে: http://en.wikipedia.org/wiki/Darra_Adam_Khel
  • dd | 122.166.134.71 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ২০:৫৯443260
  • ক্ষী বেধড়ক ইন্টের্স্টিং হচ্ছে।
    আর লিং গুলান ও খাসা।

    একটা কোশটেন। য্যামন ধরুন ঐ এক নম্বরের বন্দুক, মানে ৫.৫৬-NATOর এ কে ৪৭। এর একেকটা বুলেটের আন্দাজ মতন দাম কতো? আন্দাজমতন?

    বুঝতে পারতাম শ দুয়েক লোকে ঘন্টা তিনেক গুলি চালালে ক্যামন খচ্চা পরে? অবশ্যই ধরে নেবো পুরো সময়টা ফুল্লি অটোমেটিকে সাইক্লিক ফয়ারিং হয় নি।

    তা ও ও।
  • Hukomukho | 198.184.5.252 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ২২:১০443262
  • ডিডিদা, এটা বলা খুব কঠিন , কারণ গুলির দাম নির্ভর করে কে বেচছে আর কে কিনছে তার উপরে। পাড়ার মাস্তান বা রাজনৈতিক গন্ডগোলে 5.56 NATO ব্যবহার হয় না। এটা মূলত: ব্যবহার করে জঙ্গি গোষ্ঠী গুলো , পাড়ার মাস্তানদের কাছে থ্রী এইট .38SPL বা নটের দানা .303 বা বড় মাস্তান হলে 9mm Para এর চাহিদাই বেশী। আমি যদিও বহুদিন দেশের বাইরে এবং এসবে খুব একটা খবর রাখি না তাও মোটামুটি একটা আন্দাজ দিচ্ছি

    .38 - 95/- to 130/- Per Piece
    .303 - 165/- to 200/- Per Piece
    9mm - 150 to 250 /- Per Piece
    5.56 NATO 180/- to 250/- Approx)

    এটা আমার আনুমানিক হিসাবে বললাম, গুলি কত হাত ঘুরে আসছে তার উপরে দাম হু হু করে বাড়ে কমে। মাওবাদীরা যেমন কোন সরাসরি সোর্স থেকে কেনে বা লুঠ করে কাজেই এদের দাম আরো অনেক কম হবে। যদিও গুলি তৈরীর আসল খরচ এর থেকে ঢের কম। তবে লাইসেন্‌স্‌ড গুলির দাম অনেক ক্ষেত্রেই এর থেকে বেশি হয় বিশেষ করে বিদেশী গুলির ক্ষেত্রে যেমন আমি শেষ ২০০১ সালে উইনচেষ্টার ৩০-৩০ রাইফেলের গুলি কিনেছিলাম এন সি দাঁ থেকে ২৫০ টাকা প্রতি পিস হিসাবে কুড়িটা। এটা আসলে যে যেমন পারে হাঁকে টাইপের ব্যাপার।

    শ দুয়েক লোক ৩ ঘন্টা ধরে গুলো চালালে , ধরেই নিচ্ছি আপনি সরকারী গুলির বা আর্মির কথা বলছেন না , কারণ সেক্ষেত্রে কত রাউন্ড উড়েছে সেটা বলা শক্ত, কারণ কভার ফায়ার দিতে প্রায়শই বার্স্ট ফায়ার করা হয় সেক্ষেত্রে আমি এভাবে বলতে পারব না। লিমিটেড লোক লিমিটেড গুলি চালালে দু ভাবে খরচা করবে , ১, মারার জন্যে মানে লোক দেখে গুলি চালাবে, আর ঠেকানোর জন্য মানে যাকে আমরা বলি ডিস্ট্রাংকটিং ফায়ার। এভাবে গুলি চল্লেও খুব কম করে খুব হিসেব করে গুলি খরচা করলেও হাজার থেকে দেড় হাজার গুলি চলা উচিত। যদিও এটা আমার বলা ঊচিত নয় কারণ Attack এর ধরনের ঊপরে এটা হিউজ ভ্যারি করবে। সবাই যে গুলি করবে তা নয় কারণ গুলি করলে পজিশন ডিসক্লোস হয়ে পড়বে , তখন কভার নেওয়ার জন্য র‌্যাপিড পজিসন চেঞ্জ করতে হবে, সব সময় সেই সুযোগ নাও থাকতে পারে , তখন বেস্ট হচ্ছে Ambush and Survive , এভাবে চল্লে ৫০০ গুলিও খর্চা নাও হতে পারে। যাই হোক মোটামুটি হাজার গুলি যদি ফায়ার হয় , সব কটাই ইনসাস বা AK-47 থেকে তাহলে আনুমানিক দু লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ টাকার খরচ তো হওয়াই উচিত , তবে আগেই বলেছি ডিটেল ইনফরমেশন না পেলে এভাবে বলা খুব কঠিন , এবং ভুল এর সম্ভাবনাও অনেক বেশী।

  • dri | 117.194.227.150 | ১৪ এপ্রিল ২০১০ ০১:৫৯443263
  • হুকো, আপনার বিবরণ পড়ে মনে হল দারা আদমখেলে আপনি গিয়েছেন। যদি গিয়ে থাকেন তবে কিছু অ্যানেকডোট্‌সও ছাড়ুন না। পাকিস্তানের ভিসা পেতে কি অসুবিধে হয়? দারায় নকল বন্দুকের ব্যাবসা কি সম্পুর্ণ ইন্ডিজেনাস? নাকি অন্য ফরেন ইনভেস্টমেন্টও আছে ( টেকনলজি, ফাইনান্স ইত্যাদি)? এই ব্যাবসা কবে থেকে চলছে (এই প্রশ্নের উত্তরটা আমি বিশেষ করে জানতে চাইছি)? জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র পৌঁছনোর দুটো উপায়, অস্ত্র চুরি বা নকল অস্ত্র এ ছাড়া অন্য কোন পথ কি থাকতে পারে? যেমন কোন দেশ/ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির অস্ত্র সাপ্লাই? আপনার থট্‌স।
  • Hukomukho | 198.184.5.252 | ১৪ এপ্রিল ২০১০ ২১:১৮443264
  • ক্ষি চাপ : !!! আমারে কি ঠাউরেছেন দাদা ?? জেমস বন্ডের বাবা ?? না র এর এজেন্ট ??? আরে আমি আলুপোস্ত ভাত খাওয়া নিপাট ছাপোষা বাঙালী সন্তান , এই জেবনে আর সেই আশা পূরণ হল কৈ ?? তবে এখন দারায় ফরেনারদের যাওয়া নিয়ে অনেক কড়াকড়ি করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। আমি দারায় না গেলেও দারার তৈরী তিনটি পিস্তল দেখেছি , Smith & Wessons, Beretta 92FS 9mm , & Wilson Combat 1911 .45ACP এগুলো এদেশে কিভাবে এলো জিগাবেন না , কারণ আমিও জানি না , তবে আসল ও নকলের মধ্যে ফারাক বোঝা প্রায় দুষ্কর অন্তত: বাইরে থেকে, ফলে আমাদের পুরো ফিল্ড স্ট্রিপ করে খুলে ইন্টার্নাল পার্টস কম্পেয়ার করে দেখতে হয়েছিল , তাতে অবশ্য কিছু তফাৎ মিলেছিল । গুলি করার পরে গ্রুপ সাইজে অবিশ্যি ফারাক দিনের আলোর মতন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় কিছু ছবিও তোলা হয়েছিল পাশাপাশি দুই মক্কেল কে রেখে। যদি হার্ড ড্রাইভের অতল গহ্বর থেকে ল্যাদ কাটিয়ে উদ্ধার করতে পারি তো পোস্টাব এখানে , নিজের চোখেই দেখে নেবেন। কম্পিঊটারাইজড সি এন সি মেশিন ছাড়া পাতি লেদ মেশিনে কি জিনিষ নামানো যায় সেটা দেখার পরে আমাদের অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরী বোর্ডের কর্তাদের এনে দেখাতে ইচ্ছা করছিল। যারা আজ অবধি একটা ঠিকঠাক পিস্তল বা রিভলভার বানাতে পারল না, তাও আবার পরের ঝেড়ে, রীতিমতন সরকারি ভাবে ট্রান্‌স্‌ফার ওব টেকনোলজি T.O.T ঘোষণা করে। যাই হোক ফরেন ইনভেস্টমেন্টের ব্যাপারে খুব একটা জানি না, তবে পাকিস্তানের থেকে এদের যে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় এবং মাঝে মাঝে POF এ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়, তা নেট খুঁজলেই দেখতে পাবেন। ধীরে
    ধীরে মোগাধিসুতে এইরকম আরেকটা বাজার তৈরী হচ্ছে তবে তা চরিত্রগত ভাবে দারার থেকে অনেকটাই আলাদা।
  • de | 59.163.30.5 | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ১৩:০৫443265
  • SB র লিং দারুণ!! হুঁকোদাদা আরো লিখুন!
  • dd | 122.167.37.206 | ০১ মে ২০১০ ২২:৪৩443266
  • কই? অ্যাঁ? কই?
    হুঁকো সাহেব কই গ্যালেন?

    না কি উনারেও এলিয়েনে ধল্লো? ওফ।
  • Lama | 117.194.224.172 | ০১ মে ২০১০ ২২:৪৭443267
  • হ্যাঁ, বন্দুক ছাড়া বারুদ কি এমনি এমনি ইয়ে করবে?

    ডিডিদা, দেখুন না কি ইসে
  • hukomukho | 76.111.94.232 | ০২ মে ২০১০ ২১:৪৪443268
  • মোগাধিসুর কথা বলেছিলুম , ইউটিউবে মোগাধিসু গান মার্কেট দিয়ে সার্চাতে এই লিংকটা পেলুম । দেখতে থাকুন , আমি ফিরে আসব একটু পরে।


  • hukomukho | 198.184.5.252 | ০৪ মে ২০১০ ০১:৩১443269
  • যা বলছিলাম, বেআইনী অস্ত্রের ক্ষেত্রে বেশীর ভাগটাই আসে লুঠ করে, তবে সে সবই সফিস্টিকেটেড অস্ত্র। মানে জঙ্গীগোষ্ঠী বা টেররিস্টরা যা ব্যবহার করে থাকে আরকি। এবার আসা যাক পাড়ার মাস্তান, তোলাবাজ, ল্যাংড়া বাপী, কানা ভোলা, শ্বশান স্বপন এইসব টাইপের কথায়। এদের অস্ত্রের টাইপ মোটামুটি একরকম ই মানে হ্যান্ডগান। কারণ জামার তলায় গুঁজতে গেলে তা ছাড়া উপায় নেই। এদের মোটামুটি ঝোঁক থাকে ম্যাগাজিন পিস্তলের দিকে তবে , মাস্তানিতে কিনচিত নাম ডাক না হলে সহজে তা মেলে না। আসল কারণ হল দাম। মোটামুটি বাজারে পাওয়া দেশী পিস্তল নানা হাত ঘুরে আসে ৫০০০০ টাকার মতন । যদিও বিহারে তৈরি পিস্তল ও জার্মান মেড মাউজার বা ইটালিয়ান বেরেটা নামে দিব্বি বিকোয় হট কেকের মতন।
    পরের পছন্দ তালিকায় থাকে ছক্কা বা দেশী রিভলভার, আর সটার মানে সিঙ্গল সটার আর কি, ৫০০ থেকে ৫০০০ যে যেমন পারে হাঁকে আর কি । আর একদম অভাগাদের জন্য আছে কাট্টা, ও পাইপগান, তাতে বন্দুকের এপারে ও ওপারে যে কোন পক্ষই মরতে পারে। পুরো ফিফটি ফিফটি চান্স। মজার ব্যাপার হল,সাধারণত বন্দুকের ক্ষেত্রে আগে বন্দুক তৈরি হয় তরপরে গুলি (মানে কোম্পানি যখন নতুন মডেল বাজারে ছাড়ে আর কি ) আর এ ক্ষেত্রে সব সময় গুলির বশে বন্দুক। কারন গুলি তৈরি করাটাই সবচেয়ে চাপের। তাই গুলি নিজেরা না বানিয়ে ৯০% ক্ষেত্রে জোগাড় কর হয়, লুঠ করে বা ঘুষ দিয়ে সরকারী আর্মারী থেকে। গুলি জোগাড় হলে তার ছাচে বন্দুক বানানো হয়। উপকরন বেশি কিছু না, একটা ভাইস, স্ট্যান্ড ড্রিল দিয়ে কাট্টা বা পাইপ্‌গান নেমে যাবে। আর একটা লেদ মেশিন থাকলে তো কথাই নেই, রিভলভার বানানোর অন্যতম শর্ত এটা, আর একটা মিলিং মেশিন হলে তো লা জবাব , ম্যাগাজিন পিস্তল থেকে স্টেন ও নামইয়ে দেওয়া কোন ব্যাপার নয়।

    ধুর মামুর কলে বাংলা দেখাচ্চে না। এভাবে হোচট খেয়ে লেখা যাবে না। অফলাইনে চেষ্টা করে দেখুম, ততক্ষনে আপনারা লেদ মেশিনটা জোগাড় করে ফেলেন :))
  • Hukomukho | 198.184.5.252 | ০৫ মে ২০১০ ২৩:০৪443270
  • যন্ত্র তো হল, এবার কাঁচা মাল, কাঁচা মাল আর কি লোহা হলেই চলবে, তবে কিনা ব্যারেলের জন্য একটু ভালো লোহা লাগবে , যাকে বলে কার্বন স্টীল, তা সে বাজারে পাওয়া কোন কঠিন নয় , এদের সবচেয়ে পপুলার মাধ্যম হল গাড়ীর ভাঙ্গা Axil , এটা মোটামুটি হাই টেম্পার স্টীল থাকে যা দিয়ে মোটামুটি কাজ চলে যায়, তবে তা দামী মালের ক্ষেত্রে, সাধারন ক্ষেত্রে অনেকে পাতি MS লোহা দিয়েও বানিয়ে ফেলে, যার বাজারে চলতি নাম ব্রাইট স্টীল। গনগনে লাল করে ঠান্ডা জলে চুবিয়ে টেম্পার দেওয়া হয় এক্ষেত্রে , অবিশ্যি মাল বেচার পরে আপনি বাঁচলেন কি মরলেন তা দেখার দায়িত্ব তো এদের নয়। কাজেই MS হোক বা কার্বন স্টীল , পাব্লিক দিব্বি কেনে এসব মাল না জেনে বুঝেই। পাইপ গানের অন্য ব্যবস্থা, পাতি G.I পাইপ আর তার সাথে পেরেক আর স্প্রিং লাগিয়ে ট্রিগার, গুলির পরে নর্দমার জলে ফেলে ঠান্ডা করে নেওয়াটাই দস্তুর। গুলি সাধারনত : সরকারী গুলি নিচে মোটামুটি একটা তালিকা দিলাম কোন ধরনের হ্যান্ডগান কি ধরনের ক্যালিবারে আসে।

    ১। ম্যাগাজিন পিস্তল, সবসময়ে 9mm কারন ম্যাগাজিন ফিড করাতে হলে রিমলেস কার্টিজ লাগবে, কাজেই Service bore 9mm ছাড়া বাজারে সহজলভ্য আর কিছু নেই। অন্যান্য পিস্তল কার্টিজ অবশ্যই আছে কিন্তু সরকারী বুলেটের মতন তা এত সহজলভ্য নয়।

    ২। সিক্স সটার/ রিভলভার
    ৯০% ক্ষেত্রে .38 বোরের, এও সেই এক গল্প , এটা পুলিশের সার্ভিস রিভলভারের বোর, বাকি ব্যাখার প্রোয়োজন নেই।

    ৩। সিংগল সটার/কাট্টা, ৯৫% ক্ষেত্রে .303 খুব অল্প কিছু ক্ষেত্রে .315.303 সার্ভিস বোর, কাজেই ব্যাখা নিস্প্রোয়োজন, .315 সিভিলিয়ান বোর এটা লুঠ করা হয় সাধারন মানুষের কাছ থেকে। কিন্ত তাদের স্টক ও এত কম থাকে যে তা দিয়ে খুব একটা লাভ হয় না।

    ৪। পাইপ্‌গান, এক ও একমাত্র ১২গজ বা 12 Bore যা দোনলা/এক্‌নলা বন্দুকে ব্যবহার হয়। নিরাপত্তা রক্ষী থেকে সাধারন মানুষ সকলেই ব্যবহার করে থাকেন , এবং একমাত্র এই গুলিটিই রিলোড করা সবচেয়ে সোজা। যাস্ট প্রাইমার জোগাড় করতে পারলেই হল। ছররার জায়গায় সাইকেলের বল থেকে পেরেক যা খুসি ভরা যায়।

    এগুলো ছাড়াও অনেক অন্যান্য ক্যালিবার মার্কেটে ঘোরে 7.62 etc তবে তা বেশ দুÖপ্রাপ্য এবং তত প্রচলিত বা পপুলার নয় , গুলি সহজলভ্য না হওয়ার কারনে।

    প্রতিটি এলাকার অস্ত্রের নিজস্ব ঘরানা থাকে কিছু টিপিক্যাল মার্কিং আর কি । হ্যামারের শেপ , ট্রিগার , ব্যারেল , ফ্রেম এগুলো আলাদা আলাদা হয় যা থেকে বোঝা যায় এটা কোন জায়গার তৈরী মানে বিহারের মধ্যে হলেও কোন এরিয়ার প্রোডাক্ট । তবে একটা জিনিষ লক্ষ্য করেছি যত দিন যাচ্ছে এদের এই প্রোডাক্ট ধীরে ধীরে আধুনিক হয়ে উঠছে ,অন্তত বাইরে থেকে। মানে ডিজাইন ফিনিশিং ইত্যাদি। বিশেষ করে ম্যাগাজিন পিস্তলের ক্ষেত্রে এরা বিশাল ইম্প্রুভ করেছে, কিছু বিদেশী পিস্তলের ডিজাইনকে টার্গেট করে তাকে অনেকটাই ইমিটেট করে ফেলেছে এরা। অনেকটা দারার মতন। যা থেকে বোঝা যায় এরা আস্তে আস্তে দক্ষ লেদম্যান বা মর্ডান মেশিনারী ব্যবহার করছে যার নার্লিং, টেপারিং, চেকারিং গুলো অনায়াসে নকল করে ফেলছে। যদি এভাবেই চলে তাহলে বিহারের গ্রাম গুলো থেকে খুব শিগগির ই AK47 বা M16 এর মতন আÒট্রামর্ডান রাইফেল বেরোতে শুরু করবে এবং অনায়াসে পৌছে যাবে সাধারন দুষ্কৃতীদের হাতে।

    ফরেন্সিক ল্যাবে এদের ব্যালিস্টিক আডেন্টিফিকেশন নিয়ে পরে কখনও লিখব।

  • hukomukho | 198.184.5.252 | ০৫ মে ২০১০ ২৩:১১443271
  • প্রয়োজন বানানটা বিহার মেড হয়ে গেছে, অরিজিনালের মতন কিন্তু অরিজিনাল নয়। নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন।
  • rokeyaa | 203.110.246.230 | ০৫ মে ২০১০ ২৩:৪৮443273
  • ক্যালিবার আর বোর নিয়ে আরেট্টু ফান্ডা পেলে ভালো হোতো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন