এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বন্দুক - ডিডিদার অনুরোধে

    Hukomukho
    অন্যান্য | ২০ মার্চ ২০১০ | ১৫৮৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কেলো | 233.176.235.125 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:২২443161
  • হুঁকোবাবু সামান্য হলেও গুরুতে লিখবেন বলে কথা দিয়েছেন। এ সৌভাগ্য আমি কল্পনাও করতে পারছি না। আমি নিজে গুরুতে ছমাসে একবার দুবার আসি, এখন মনে হচ্ছে ফ্রিকোয়েন্সি বাড়াতে হবে। গুরুতে যাঁরা আসেন, যাঁরা লেখেন তাঁরা সবাই প্রায় তাঁদের জগতের একজন দিকপাল, এটাই আমার গুরু করার অ্যাট্রাকশন। পয়সায় যেমন পয়সা টানে, সেইভাবে এরকম লোক আরও এরকম লোক টেনে আনবেন এই আশা রাখি।

    ভয়ে ভয়ে কতৃপক্ষের কাছে একটি কথা নিবেদন করব?
    এইব্যালা কি একটি বন্দুকের চটির কথা সিরিয়াসলি ভাবা যেতে পারে?
    কোন একজনের একার চটি না করে, অন্য যৌনতার মত বারোয়ারী চটি করলে কেমন হয়?
    গুরুর লোকেরা তো রইলেনই বাইরের কাদের কাদের লেখা তাতে রাখা যায় সেটার খসড়া লিস্টি বানাবার চেষ্টা করছি-

    ১) হুঁকোমুখোবাবু, ইনি অবশ্যই বাইরের লোক নন।

    ২) হুঁকোবাবুর ঘনিষ্ট বন্ধু জয়দীপবাবু। (পরিচয় নিষ্প্রয়োজন)

    ৩) কুহেলীদি ও তাঁর বাবা, (নীনাদির ঘনিষ্ঠ, এবং পরিচয় নিষ্প্রয়োজন)

    ৪) আমার পাড়ার গানস্মিথ দেবানন্দবাবুকেও ম্যানেজ করার চেষ্টা করতে পারি। ইনি এককালের বিখ্যাত পিস্তল শ্যুটার। বর্তমানে কোবরা প্রিসিশন বলে একটা বন্দুকের কোম্পানী চালান। সম্ভবত এই দেবানন্দ দত্তর কথাই হুঁকোবাবু এই বন্দুকের টইয়ে নাম না করে উল্লেখ করেছেন ওনার চেনা ডায়নার ডীলার হিসেবে। দেবানন্দবাবুরা কয়েক জেনারেশনের গানস্মিথ এবং কাস্টডিয়ান। ..এবং চমত্কার মানুষ।

    ৫) ওপরের সবাইকে দিয়ে লেখান গেলে, জে.বিশ্বাস/এইমকো র মালিক জয় বিশ্বাসকে দিয়েও লেখান সম্ভব হবে। জয়বাবু বিভিন্ন ফোরামে নিজেই লিখে থাকেন। যদি কখনো ধর্মতলার মোড়ে জে.বিশ্বাসের দোকানে ঢুকে পড়েন তো দেখবেন সামনে একটা ল্যাপটপ খুলে জয়বাবু খদ্দের সামলাচ্ছেন। জয়বাবু নেট স্যাভি লোক। জয়বাবুদের এইমকো হল ভারতের প্রথম অনলাইন এয়ারগান বিক্রির দোকান। সারা ভারতের প্রতিটি বন্দুকপ্রেমীর কাছে বিশ্বস্ত এবং সুপরিচিত নাম।
    http://www.aimco.co.in/default.aspx

    ৬) এর বাইরে ঠিক কাকে কাকে ডাকা যেতে পারে সেটা ওপরের লোকেরাই ভাল সাজেস্ট করতে পারবেন।

    স্পোর্টস, ব্যবসা, পুলিশ, মাওবাদী, মিলিটারী, গুন্ডা ও ল্যালা পাব্লিক, এ সমস্ত জগতের লোক একমাত্র এই গুরুর ঘাটে একসাথে জল খান। কাজেই এদের সবার দৃষ্টিতে 'বন্দুক' ঠিক কিরকম ব্যাপার, সেটা একটি চটিতে ধরতে পারলে সেটা একটা ঐতিহাসিক চটি হতে পারে। বাংলা ভাষায় ও জিনিস আর একটিও আছে বলে আমার জানা নেই।

    হুঁকোমুখোবাবু, আপনি নিশ্চিন্তে টুক টুক করে সামান্যি সামান্যি লিখে যান দাদা, কোন চাপ নেই..
  • de | 213.197.30.2 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:৪৩443162
  • প্রশ্ন আছে --

    লাইসেন্স পাওয়ার প্রসিডিওর কি?

    যে কেউ চাইলেই নিশ্চয় দেওয়া হয় না --
  • Hukomukho | 127.194.64.26 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৪:৪৫443163
  • de আপনার প্রশ্নের উত্তর দিই একে একে।

    ১) লাইসেন্স পাওয়ার পদ্ধতি বেশ দুরহ অন্ততঃ পশ্চিমবঙ্গে

    লাইসেন্স সাধারণত তিনটে কারণে দেওয়া হয়ে থাকে

    a) আত্মরক্ষা বা সম্পত্তি রক্ষার কারণে
    b) স্পোর্ট্স ক্যাটেগরি (শুটার বা স্পোর্ট্স শুটিং)
    c) ফ্যামিলি হায়ারলুম

    প্রথম কারণে পাওয়া খুব কষ্ট্কর, কারণ আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে আপনার জীবনের দাম আছে এবং তার জন্যে বাড়িতে এক আধবার প্রাণঘাতী হামলা হওয়া বাধ্যতামুলক। আপনি যদি সে যাত্রা প্রাণ রক্ষা করে উঠতে পারেন একমাত্র তবেই আপনার আবেদ্ন বিবেচনা করা যেতে পারে মাত্র ! যদি শিল্পপতি হন বা কেষ্টবিষ্টু মানে নেতা বা অভিনেতা বা প্রচুর কালো টাকার মালিক তবে অবিশ্যি আলাদা কথা

    দ্বিতীয় কারণের ক্ষেত্রে আপনাকে শুটিং ক্লাবের মেম্বার হতে হবে এবং একাধিক স্টেট, প্রিন্যাশনাল বা ন্যাশনাল প্রতিযোগীতায় যোগ্যতামান অর্জন করে পার্টিসিপেট করতে হবে, কিছু পদক পেলে আরো ভালো। এরপরে সেই শংসাপত্র সহ ও পদকসহ লালবাজারে বা ডি-এম আপিসে বছর দুয়েক (কমপক্ষে) ভ্রমণ, তদযুগৎ হস্ত ও তৈলমর্দন ও তদোপরি উৎকোচ প্রদায়ণের মাধ্যমে আপনি বিবেচিত হলেও হতে পারেন! নিজের বন্দুক ছাড়া কিভাবে প্রিন্যাশনাল বা ন্যাশনাল প্রতিযোগীতায় যোগ্যতামান অর্জন করবেন ? সে প্রশ্ন আমাকে জিগাবেন না কারণ তা ভগা ছাড়া কেউ দিতে পারবেন না। ক্লাবের ভাঙ্গা ১০০ বছরের পুরোনো রাইফেল দিয়ে ন্যাশনাল লেভেলের প্রতিযোগীতায় যোগ্যতামান অর্জন করতে পারলে অবিশ্যি আপনার নিজেকে ভগবান বলেই মনে হবে।

    শেষেরটি অবিশ্যি সোজা। বাড়িতে দাদুর গাদা বন্দুক বা হাতি মারা বন্দুক (যার গুলি এখন পাওয়া যায় না) আছে, এবং আপনি তা স্মৃতি হিসাবে রেখে দিতে চান। সরকার সেই বন্দুকের পিন্ডি চটকে (আক্ষরিক অর্থেই) মানে নলটি গলিয়ে বন্ধ করে দিয়ে, ট্রিগার অ্যাকশন খুলে নিয়ে তাকে একটি দৃষ্টিনন্দন লাঠিতে পরিণত করবে, যা ঝুল ঝাড়তে , বিড়াল তাড়াতে , নর্দমা খোঁচাতে উপযোগী। এর পরে আপনি একটি Non Firearms Certificate পাবেন ও তাতে কেতাত্থ বোধ করে সেটি নিয়ে মহানন্দে দেওয়ালে টাঙ্গিয়ে রাখবেন।

    কিছু ক্ষেত্রে রিটার্নার হিসাবে লাইসেন্স দেওয়া হয় তবে তা সংখ্যায় খুবই নগণ্য।
  • Hukomukho | 127.194.64.26 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৫:০৯443164
  • ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী , মানসিক ভাবে সুস্থ , ও কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড ছাড়া যে কোন পুর্ণবয়স্ক ভারতীয় আত্মরক্ষা, পরিবার রক্ষা, বা সম্পত্তি রক্ষার কারণে আগ্নেয়াস্ত্রর জন্য আবেদন করতে পারে এবং সেক্ষেত্রে তার সামাজিক, আর্থিক বা সম্পত্তিগত অবস্থান, আবেদনের যোগ্যতামান নির্ণায়ক হিসাবে বিবেচিত হতে পারে না !

    নিচে একটি লিংক দিলাম পড়ে দেখতে পারেন।

    http://www.abhijeetsingh.com/arms/india/
  • Hukomukho | 127.194.64.26 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৫:১৪443165
  • কেলোবাবু চটির জন্যে বুদ্ধদেব গুহর নাম ও বিবেচনা করতে পারেন , যতদুর জানি উনিও বন্দুকপাগল লোক , অনুরোধ করলে হয়তো দুকলম লিখে দিতে আপত্তি করবেন না।
  • কেলো | 233.176.230.212 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:০১443166
  • হুঁকোবাবুর Date:13 Sep 2012 -- 04:45 AM হল প্রকৃত বাস্তব, এবং
    Date:13 Sep 2012 -- 05:09 AM হল আমাদের সংবিধানসম্মত অধিকার।
    হুঁকোবাবুরা বহু লোক মিলে কাগজে কলমের 'অধিকার'টুকুকেই 'বাস্তবে' পরিনত করার চেষ্টা করছেন। আমার নিজের আত্মরক্ষার জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের দরকার নেই কিন্তু তাও আমি ওঁদের আন্দোলনকে সর্বান্তকরনে সমর্থন করি। কারন আমার দরকার থাকুক বা না থাকুক - নিজের নিরাপত্তার জন্য বন্দুক রাখাটা আমার 'অধিকার'।

    তবে আরও একটা কথা বলব। লাইসেন্স পাওয়া দুরূহ হলেও ক্লাবে যোগ দেওয়া কিন্তু তুলনামূলক ভাবে সোজা। হুঁকোবাবু ঠিকই বলেছেন, যে ক্লাবের বারোয়ারী পুরোনো আধভাঙ্গা রাইফেল নিয়ে কম্পিটিশন দূরের কথা, ভালভাবে প্র্যাকটিস পর্ষন্ত করা সম্ভব নয়। কিন্তু এই অবস্থাটাও বদলানোর দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই।
    রাইফেল ক্লাবে কারা যান জানেন? যান কিছু পুলিশের বা ডিফেন্সে কাজ করা লোকের ছেলেমেয়ে, কিছু পুলিশ বা ডিফেন্সের লোক, কিছু বনেদী মানুষ, যাঁরা কয়েক পুরুষ ধরে শিকার এবং বন্দুকের সঙ্গে পরিচিত, এবং কিছু অন্ধকার জগতের লোক। এই জায়গায় বহু লোক আমার বক্তব্যরে প্রতিবাদ করতে পারেন। কিন্তু আর পাঁচটা বিষয়ের মত আমি এটাতেও তর্কে যাব না। কারন আমি যা দেখেছি সেই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকেই একথা লিখলাম। গুরুচন্ডালীতে আমি আজ অব্দি যা যা বলেছি, সে জম্বুদ্বীপের মত্সজীবীদের কথাই হোক বা আলাং এর শিপব্রেকিং এর কথা, পুরোটাই একান্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে। এটাও ঠিক সেরকমই। তাই এক্ষেত্রেও আমার ব্যক্তিগত অবজার্ভেশন ভুল হতেই পারে। তর্কে গিয়ে লাভ নেই।
    রাইফেল ক্লাবগুলোতে যেটা দরকার, সেটা হল, এর বাইরের বহু সাধারন মানুষের যোগদান।
    আমি এও দেখেছি বহু মানুষের মনে ধারনা আছে শ্যুটিং হল ভীষন খরচসাপেক্ষ স্পোর্ট। সুতরাং সাধারন মধ্যবিত্তদের পক্ষে তাদের ছেলেমেয়েকে এই স্পোর্টসে আনা কষ্টকর। এ লাইনে আমার সামান্য অভিজ্ঞতা কিন্তু অন্য কথা বলে। আমার মনে হয় আপনার ছেলেমেয়েকে এই স্পোর্টসে আনবেন কিনা সেটার ডিটারমিনিং ফ্যাক্টর হওয়া উচিত 'অর্থ' নয়, আপনার সন্তানের 'স্কিল'। কারো সহজাত দক্ষতা আছে কিনা সেটা ক্লাবে না গেলে আজকের দুনিয়ায় বোঝার উপায় খুব সীমিত। অন্তত শহরে। এই স্পোর্টসে দুটি জিনিষের প্রয়োজন - ১) নিজের দক্ষতা, ২) নিখুঁত বন্দুক ও গুলি। ক্রিকেটে যেমন ব্যাটবল, ফুটবলে বল তেমনই এখানে যন্ত্রটা বন্দুক। নিখুঁত বন্দুক যেহেতু অমূল্য, তাই অর্থের প্রয়োজন একমাত্র সেখানেই। নিজের দক্ষতা বা শ্যুটিং স্কিল আছে কিনা সেটা যাচাই করতে মোটেই বেশী খরচ লাগে না। তবে হ্যাঁ অর্থব্যয় করলে নিজের বিশ্রী শ্যুটিং স্কিল কেও একটা মোটামুটি যায়গায় নিয়ে যাওয়া যায় ট্রেনিং এর মাধ্যমে।
    আপনার বা আপনার সন্তানের শ্যুটিং স্কিল আছে কিনা শুধু সেটা বুঝতে কত খরচ জানেন? খরচটা এইরকম - কিছুদিনের একটা ক্লাব মেম্বারশিপের খরচ + প্রতিদিন ক্লাবে টার্গেট, গুলি ইত্যাদির খরচ+ ক্লাবে যাওয়া আসা ও অন্যান্য খরচ+ অন্তত একটা কম্পিটিশনে যোগ দেবার খরচ। এই খরচগুলো পশ্চিমবঙ্গের কোন ক্লাবে কিরকম জানেন? কলকাতার আশেপাশের সবচেয়ে সস্তা ক্লাবটির উদাহরন দিচ্ছি -
    ১) ক্লাবের সাধারন মেম্বারশিপ - প্রথম ছয় মাসে হাজার টাকা, পরবর্তী প্রতি বছরে হাজার টাকা করে।
    ২) প্রতিদিন শ্যুট করতে গুলি ইত্যাদির খরচ - পাঁচ টাকায় কুড়িটি এয়ারগান পিলেট এবং দুটি দশ মিটারের টার্গেট পেপার। যা কিনা এক দিনের জন্য যথেষ্ট। ভাঙ্গা একটি বারোয়ারী বন্দুক কিন্তু ক্লাবই দেবে। শুরুতেই কেনার জন্য আপনার মাথাব্যাথা নেই।
    ৩) যাতায়াত বা অন্য খরচ নির্ভর করবে ক্লাবটি আপনার বাড়ির কত দূরে তার ওপর।
    ৪) কোন কম্পিটিশনে যোগ দেবার খরচ কমবেশী তিনশো টাকা। দূরে গিয়ে কম্পিটিশন হলে সেখানে থাকা খাওয়ার খরচও যোগ করতে হবে।
    এগুলো কি কোনটা আপনার পক্ষে বেশী মনে হচ্ছে? প্রথম ছয় মাসের মেম্বারশিপ আর গুলি টার্গেটের খরচ যোগ করলে হচ্ছে - বারোশো চল্লিশ টাকা। তাও কুড়ির জায়গায় চল্লিশটি গুলি ও চারটি টার্গেট ধরেছি। বেশীভাগ ক্লাব শুধু রবিবারে খোলা থাকে তাই মাসে তিন চারদিনের বেশী শ্যুটিং হয় না। সেই হিসেবেই ওই এস্টিমেট। স্কিল থাকলে, ছয় মাসের মধ্যে ন্যাশনাল লেভেলে কম্পিট করা সম্ভব।
    এই খরচ ক্লাব থেকে ক্লাব, শহর থেকে শহর ভ্যারি করে। হুঁকোবাবুদের ক্লাবে যেমন মেম্বারশিপ ফী আরও কম, বছরে পাঁচশো টাকা মাত্র, অথচ ওনার ক্লাবে শুরুতে মেম্বারশিপ পেতে গেলে পনের হাজার টাকা লাগে এককালীন। এরকম বিভিন্ন ক্লাবের বিভিন্ন নিয়ম। কিন্তু কমের দিক টা শুনলেন তো। এবার আপনারাই বিচার করুন, রোব্বার সকাল সকাল উঠে ব্রেকফাস্ট করে স্নান করে দশটা নাগাদ ক্লাবমুখো হওয়া যায় কিনা। তবে সুমনের গানের মত রবিবার, 'বেলা দশটায় হবে আটটা' হলে চলবে না।
    হুঁকোবাবুর বলা ওই বারোয়ারী ভাঙ্গা পুরোন এয়ারগানটি দিয়ে যদি আপনি ভাল শ্যুট করতে পারেন তবে বুঝতে হবে আপনার বা আপনার সন্তানের শ্যুটিং স্কিল আছে। সত্যিই যদি তা থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে অর্থ কিন্ত আপনাদের এগিয়ে যাবার পথে অন্তরায় হবে না।
    এটা মনে রাখবেন, আপনাদের মধ্যে বহু ভাল শ্যুটার লুকিয়ে আছেন অনাবিষ্কৃত। মাস ছয়েক একটু চেষ্টা করেই দেখুন না, খুঁজে পান কিনা। যদি নিজের বা সন্তানের মধ্যে অলিম্পিকজয়ী কাউকে খুঁজে নাও পান, আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, একবার ক্লাবমুখো হলে আর নেশা কাটিয়ে ফিরে আসা মুস্কিল হবে। সুতরাং ..আসুন গুন্ডা বদমাশ, নেতা, মিলিটারী, পুলিশকে কোনঠাসা করে আমরা ল্যালা পাব্লিক, ক্লাবগুলোর দখল নিই.....

    হুঁকোবাবু,
    আরে দ্যুত্ ... আমি এদের নাম 'বিবেচনা' করেছি নাকি? আমি বিবেচনা করার কে? আমি চেনা জানাদের নাম বলছিলাম শুধু। কতৃপক্ষ দূরের কথা, অন্য কেউও তেমন কোন উতসাহ দেখাল টেখাল না তো।
    সে না দেখাক। নাই বা হোক চটি। আপনি দয়া করে এখানে নানা লোকের নানা প্রশ্নের জবাব দিয়ে দেবেন সময় করে আপনার সুবিধেমত। ভীষন কাজে আসবে। দেখে নেবেন, ফলাফল কি হয়....
  • Rit | 213.110.243.21 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:৫৫443167
  • দারুন টই এটা।
  • শঙ্খ | 169.53.78.142 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২৩:৫২443168
  • এক নিশ্বাসে পড়ে গেলুম। হুঁকোবাবুকে অভিনন্দন এই রকম প্রাঞ্জল করে বোঝানোর জন্য। আরেকটু চললে ভালো হয়।
  • nina | 22.149.39.84 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:৩০443169
  • ও কেলোদাদা
    আমার খুব উৎসাহ আছে---আমার জানা মানুষদুটিকে ধরবার চ্ষ্টায় আছি ফোনে ঃ-) আর পাইদিদি ও মামুকে ও ঘ্যানঘ্যান করব--চটি চটি করে :-))
  • :( | 212.142.114.119 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:৩৪443171
  • মিখাইল কালাশনিকভ চলে গেলেন।
  • সিংগল k | 212.142.114.64 | ২৯ জুন ২০১৪ ১০:৩৫443172
  • আজকের খবর হল -


    ডিসি (এসডব্লিউডি ) রশিদ মুনির খানের দাবি , 'নিয়ম মেনেই সার্ভিস রিভলভার নিয়ে ডিউটিতে পাঠানো হয়েছিল ওই হোমগার্ডকে৷ ওঁদের নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ রয়েছে৷ এর আগেও ওঁরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ডিউটি করেছেন৷ '

    এই 'নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ' টা ঠিক কি ধরনের প্রশিক্ষণ হুঁকোদাদা কি সে বিষয়ে একটু আলোকপাত করবেন?

    এমনিতে সিভিলিয়ান পিস্তল/রিভলভার ব্যবহারকারীদের দেখেছি শুধু সেফটিক্যাচের ওপর ভরসা না রেখে চেম্বারটা খালি রাখেন বা রিভলভার হলে একটা গুলি কম ভরে প্রথম চেম্বারটা খালি রাখেন। ফায়ারিং পিন নষ্ট হবার ভয়ে কাউকে কাউকে অবশ্য প্রথমটা এম্পটি কার্টিজ রাখতেও দেখেছি। ফলে কেউ কেড়ে নিলে তাকে গুলি চালাতে গেলে শুধু সেফটি ক্যাচ সরালেই হবে না, দুবার ট্রিগার পুল করতে হবে। (পিস্তল হলে দুবার ককিং করতে হবে)। সেফটি ক্যাচ অন করে প্রথম ট্রিগার পুলে গুলি না চললে আততায়ীর ব্যাপারটা বুঝতে যেটুকু সময় লাগবে আত্মরক্ষার পক্ষে বন্দুকের আসল মালিকের সেটুকু সময় যথেষ্ট বলে মনে করে নেওয়া হয়। এ ব্যবস্থা বেশ এফেক্টিভ হলেও পুলিশরা এটা করবে না সেটা তো জানা কথা।

    কোন খবরের কাগজ পড়েই এটা ঠিক বুঝতে পারলাম না, যে একজন অপ্রকৃতিস্থ (এবং প্রশিক্ষন না পাওয়া) ব্যক্তির পক্ষে ওরকম কোমর থেকে বন্দুক টেনে নিয়ে মূহুর্তের মধ্যে গুলি চালিয়ে দেওয়া কি সম্ভব? বন্দুকটা একেবারে সেফটি খোলা-রেডি টু ফায়ার অবস্থায় না থাকলে?

    এদিকে আজ মেম্বাররা বন্দুক নামিয়ে নামাবলী জড়িয়ে, তিলক কেটে রথ টানতে গেছে। ফলে কেলাবও বন্ধ। কারু সঙ্গে যে প্রানখুলে এ নিয়ে দুটি পি এন পি সি কর্বো তারও কোন উপায় নেইকো। বরং হাউসে গিয়ে পেঁয়াজের দর আর করের সীমা বাড়বে কিনা তার ফোরকাস্ট শুনিগে..
  • b | 135.20.82.164 | ২৯ জুন ২০১৪ ১১:০৩443173
  • হুকোবাবু লেখা কেন ছেড়ে দিলেন?
  • | ৩০ জুন ২০১৪ ২২:২৭443174
  • কেলোদাদা কী পেলেন উত্তরটা?
  • Hukomukho | 214.194.141.29 | ০১ জুলাই ২০১৪ ০২:০৭443175
  • সিংগলবাবু আপনার প্রশ্নের উত্তর একে একে দিচ্ছি।

    ১। কলকাতা পুলিশ সাইড আর্মস হিসাবে ব্যবহার করে মূলত রিভলভার, .38 বোরের বা খুব কমক্ষেত্রে .455 বোরের। এই রিভলভার সাধারণত দুটি কোম্পানির হয়। স্মিথ অ্যান্ড ওয়েসন বা ওয়েবলি অ্যান্ড স্কট। এই দুটি রিভলভারেই সেফটি ক্যাচ বলে কিছু নেই। যা আছে তা হল ট্রান্সফার বার সেফটি। মানে রিভলভার হ্ঠাৎ করে হাত থেকে পড়ে গেলে অ্যাক্সিডেন্টাল ডিসচার্জ হবে না। তাও এটা আবার ওয়েবলি তে নেই শুধু স্মিথ অ্যান্ড ওয়েসন এ আছে। তাহলে সমীকরণ কি দাঁড়াল ? গুলি ভরা রিভলভারে ট্রিগার টানলে গুলি বেরুবে তা সে যেই টানুক না কেন।

    ২। Always rest your hammer on an empty chamber এটা কাউবয় যুগে তৈরী হওয়া গোল্ডেন সেফটি রুল, মানে য্খন কোল্ট কোম্পানির আর্মি নেভী ক্যাপ অ্যান্ড রিভলভার দাপিয়ে বেরাচ্ছে আমেরিকা। সেই সময় লোকে পাঁচটা চেম্বারে গুলি ভরতো আর ছয় নম্বরটা খালি রাখতো বা এম্পটি কার্টিজ কেস ঢুকিয়ে রাখ্ত। রিভলভারের হ্যামার রেস্ট করত এই ফাঁকা চেম্বারের উপরে, তাই ঘোড়ায় চড়ার সময়ে হঠাৎ করে রিভলভার পড়ে গেলে মানে হ্যামারের দিকটা করে পড়ে মাটিতে ঠুকে গেলে আচমকা গুলি বেরুবে না কারণ হ্যামার খালি খোলে চাপ দেবে। খেয়াল রাখুন এক্ষেত্রে হ্যামার কিন্তু নিজের পজিশন থেকে নড়ছে না শুধু বাইরে থেকে এক্সটার্নাল ফোর্স পাচ্ছে। মানে একটা হাতুড়ির ওপরে আর একটা হাতুড়ির ঘা যেমন হয় আর কি। কিন্তু সেই একি ক্ষেত্রে যদি ট্রিগার পুল করা হয় তাহলে কি ঘটবে ? ট্রিগার হ্যামার কে ঠেলে পিছনে নিয়ে যাবে এবং সেই সাথে চেম্বার কে ঘুরিয়ে একটি তাজা গুলি নলের মুখোমুখি দাঁড় করাবে এবং হ্যামার সেই তাজা গুলির উপরে পড়ে ফায়ার করবে। অর্থাৎ গুলি বেরুনো টা অবশ্যম্ভাবী ছিল এক যদি না উনি পরপর দুটি চেম্বার ফাঁকা রাখতেন বা পিস্তল ব্যবহার করতেন বা এমন কোন রিভলভার যাতে আলাদা সেফটি ক্যাচ আছে ( ঊদাঃ আমাদের দেশী IOF কোম্পানির সিভিলিয়ানদের জন্য বানানো .32 বোর রিভলভার।

    বর্তমানে অত্যাধুনিক পিস্তল কোম্পানিগুলো , সিগ, HK, Ruger এরা বায়োমেট্রিক গ্রিপ বানাচ্ছে , মানে অন্য লোকে গুলি ভরে ট্রিগার টানলেও গুলি বেরুবে না।

    সাধ্যমতন চেষ্টা করলাম সহজ করে বোঝালাম , প্রশ্ন থাকলে জানাবেন, উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব ঃ)

    ভালো থাকবেন সবাই।
  • Hukomukho | 214.194.141.29 | ০১ জুলাই ২০১৪ ০২:১৮443176
  • আর আমি কেলো বাবুর কাছে আন্তরিক ভাবে ক্ষমাপার্থী। কিছু মনে করবেন না দাদা নানা কারণে আর লেখা হয়ে ওঠে না , তবে গুরুর পাড়ায় ঘুরে যাই মাঝে মাঝে । দেশে ফিরলে অব্শ্যই দেখা করব আপনার সাথে ।
  • BN | 98.198.175.76 | ০১ জুলাই ২০১৪ ০৮:০৯443177
  • হুঁকো -দা জিন্দাবাদ । মাঝে মধ্যে একটু পায়ের ধুলো বা গান পাউডার ট্রেস যাহোক কিছু রেখে যাবেন দাদা ।
  • b | 135.20.82.164 | ০১ জুলাই ২০১৪ ০৯:৩৫443178
  • দারুণ।
  • b | 135.20.82.164 | ০১ জুলাই ২০১৪ ১১:৩৪443179
  • হুকোবাবু, একটু আমাদের দেশি বন্দুক (মুঙ্গের ইত্যাদি) সম্পর্কে বলুন।
  • de | 69.185.236.53 | ০১ জুলাই ২০১৪ ১১:৪৩443180
  • হুঁকোদাদার এই টইটা আবার হইহই করে চলুক - হুঁকোদাদা প্লিজ নিয়মিত লিখুন। একটা ধন্যযোগ পেন্ডিং রয় গেছে আমার তরফে - লাইসেন্স নিয়ে জানতে চেয়েছিলাম!
  • সিংগল k | 212.142.123.162 | ০২ জুলাই ২০১৪ ০২:২৭443182
  • দমদি, গত সোমবারের এই সময়ের এই খবরটাতেই কিছুটা জবাব পেয়ে গিয়েছিলাম আমার প্রশ্নের, এখন নিশ্চিত হয়ে গেলাম হুঁকোবাবুর ১ নম্বর পয়েন্টেই।



    হুঁকোবাবু, দু নম্বর পয়েন্টে যা বললেন তা কি শুধু কাউবয় যুগের সিঙ্গল অ্যাকশন রিভলভারের জন্যই প্রযোজ্য? নতুন লাইসেন্স পাবার জন্য যাঁরা রাইফেল ক্লাবে আসেন তাঁদের কিন্তু ডাবল (কাম সিঙ্গল) অ্যাকশন IOFরিভলভারের ক্ষেত্রেও (.32 এবং .22) ওই চেম্বার ফাঁকা রাখাটা শেখান হয়।

    আর সেফটিক্যাচ বিহীন রিভলভারের ক্ষেত্রে আপনি যা বললেন তাতে মাত্র এই কটা সিচুয়েশন থাকতে পারে-


    আমি আসলে পড়ে গিয়ে বা হ্যামারের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে অ্যাক্সিডেন্টাল ফায়ারিং এর কথা ভাবি নি। আমি কেবল এই টেবিলের দু নম্বর সিচুয়েশন বোঝাতে চেয়েছিলাম। যাতে সেফটি ক্যাচ না থাকলেও প্রথম ট্রিগার টানলে কোন গুলি বেরোবে না। কিন্তু দ্বিতীয়বার ট্রিগার টানলে হ্যামারের পরের পরের চেম্বারের গুলিটা নলের সামনে আসবে এবং গুলি চলবে। তার পর থেকে সবকটা গুলি ঠিকঠাক চলবে।
    আর সেফটি ক্যাচ থাকলে তো এই দ্বিতীয় সিচুয়েশনে হ্যামারের ঠিক নিচের গুলিটা তাজা গুলি হলেও কোন ভাবে অ্যাক্সিডেন্টাল ফায়ারিং হবে না, তাই না ?

    এই টেবিলের দু নম্বর সিচুয়েশনটা কি পুলিশেরও সেফটি ক্যাচ বিহীন রিভলভারে সাবধানতা হিসেবে ব্যাবহার করা যায় না? কারন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তো সাধারন মানুষই বন্দুকের উল্টোদিকে থাকেন। এক্ষেত্রে হয়ত পরিস্থিতিটা উল্টো ছিল, কিন্তু হোমগার্ড রাজুবাবুর অন্তত প্রাণটা বেঁচে যেত।

    আর শুধু শুধু কেলোর ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন কেন হুঁকোবাবু, এখানকার অনেকেই তো আপনার দু লাইন লেখার জন্য ঘ্যান ঘ্যান করে। গুরুচন্ডা৯ তে আপনার চেয়ে কেউ এ বিষয়ে বেশী জানেন কিনা জানিনা, কিন্তু জানলেও তারা আপনার চেয়ে ভালভাবে বুঝিয়ে বলতে পারেন না। তাই আমরা একটু ঘ্যান ঘ্যান করি আর কি।

    অবশ্য হুঁকোবাবু রেগে যাবেন্নাই বা কেন? এই ধরুন না দেদির কথা। ওনার লাইসেন্সের প্রশ্নের জবাব দিতে হুঁকোবাবু এত টাইপালেন, কিন্তু এখন জিজ্ঞেস করুন তো দেদিকে ওনার লাইসেন্স কদ্দুর, কোন ঘাটে আটকেছে? না - অ্যাদ্দিন পর শুধু একটা শুকনোমতো ধন্যযোগ।
    আপনারাই বলুন তো এর পরে কারো আর কারো গুরুতে এসে কোন প্রশ্নের জবাব দিতে একরাশ টাইপানোর উত্সাহ থাকে???
  • সিংগল k | 212.142.112.58 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২২:৫৩443183
  • হুঁকোবাবু দেশে নেই নাকি?
    হুঁকোবাবুদের কেলাবে অমন জমিয়ে মোচ্ছব লেগেছে, ইদিকে হুঁকোবাবুর দেখা নেই।

    এ বছর ডবোল k দিদি আর আসামসোল-আসামসোল বলে হা হুতোশ করতে পারবেন না। এবারের বন্দুকবাজি উত্সব মোটেই আসামসোলের কসাই মহল্লায় নয়, বরং খোদ সামবাজারের পাইক পাড়ায়। :)
  • Hukomukho | 214.194.141.29 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:৩১443184
  • ধন্যবাদ সিংগল K বাবু। হ্যাঁ, আমাকে জানিয়েছে মোচ্ছবের ব্যাপারে ঃ) , তবে আমি শ্যাম চাচার দেশে একটি চরম বন্দুক রেস্ট্রিকটেড স্টেটে বসে তার স্বাদ আস্বাদন করতে পারব না এবারে। তবে ঐ মুখবই তে ছবি দেখে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাব আর কি ।

    আপনি থাকছেন মোচ্ছবে ? থাকলে একটু আপডেট দেবেন প্লিস।

    ডবল K দিদিটিকে চিনতে পারলাম না তো , কার কথা বলছেন ?
  • kumu | 52.104.33.149 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৬:৩৯443185
  • পাকপাড়ায় বোন্দুক?সেখানের লোকেরা তো একটু বড় মত ইন্দুর দেখলেই খাটের ওপর দাঁইড়ে পড়ে।
  • kumu | 52.104.33.149 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৭:৫৫443186
  • আর হুকোবাবু ,আমি কিন্তু আপনার বিশাল পাখা।
  • সিংগল k | 212.142.112.58 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৮:০৪443187
  • ঈশশ্ কী আক্ষেপ, কী আক্ষেপ। আপনার নিজের ক্লাবে মোচ্ছব আর আপনি কিনা....

    ইয়ে, মানে, আমি থাকছি বলতে আমার কাজ পড়েছে বন্দুক চৌকি দেবার। যেমনটি ঠিক বইমেলায় গুরুর টেবিলে পড়ে থাকত। গুরুর ফেসনেবল দোকানঘর হয়ে গিয়ে থেকে এ সব প্রফেসন উঠে গেছে।

    কুমুদি, ঠিক পাকপাড়া না বটে, একটু মিল্ক কলোনী ঘেঁষে হল হুঁকোবাবুদের নর্থ ক্যালকাটা রাইফেল কেলাব। কলকাতার বন্দুকবাজির ওইটেই পীঠস্থান। তবে পাকপাড়ার লোক সম্পর্কে মনে কোন দ্বিধা রাখবেন না, ইঁদুর বা আর্শুলা, তাঁরা যা দেখেই খাটে উঠুন না কেন, তাঁরা ভেতরে ভেতরে যাকে বলে সিংহহৃদয়। খাটে ওঠাটা শুধু ইঁদুরদের সম্মানে।

    ডবোল কে হলেন কেকেদি, মানে কলিদি। উনি আসানসোলের মানুষ কিনা। এতদিন শ্যাম চাচার দেশে থেকেও আসানসোলকে ভুলতে পারেন নি। বেশ ক বছর স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপ আসানসোলে হচ্ছিল। হুঁকোবাবু এখানে সেকথা তুললেই কলিদি হাহাকার করে উঠতেন আসানসোলের নামে। গত বছর দু তিন আগের পোস্ট উল্টে দেখুন। এবারে স্টেট পড়েছে কুমুদির পাকপাড়ায়, ব্যাস্ উনিও চিত্কার করে উঠেছেন পাকপাড়ার নাম করতেই। গুরুর্লোক সর্বত্র।

    আপডেট মানে পিএনপিসি? আজ আর কালও যদি ডিউটি পাই তবে করে দেব নিশ্চয়।
  • সিংগল k | 212.142.112.58 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৯:১৩443188
  • কালকের পিএন পিসি একটু করেই যাই..

    আমাদের কাঙ্কারিয়া আমাদের ক্লাবের বিরাট পেট্রন। প্রতিবার ক্লাব কম্পিটিশনে একটা বিশাল ভোজ থাকে, ওই প্রায় সেটার বেশীভাগ খরচ স্পনসর করে। গতবার কম্পিটিশনে ফিফটি মিটার পয়েন্ট টুটু মারছি, অজিতদা স্পটার। পেছনে বসে স্কোপে দেখতে দেখতে ক্রমাগত প্রতিটি শটের পর আমার কানের কাছে বলে চলেছেন - ভাল করে মারুন, শুধু কাঙ্কারিয়া আপনার থেকে এগিয়ে আছে, ওকে টপকাতে হবে কিন্তু। কয়েক রাউন্ডের পর আর সহ্য হল না বন্দুকটা বালিশের ওপর নামিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে অজিতদার দিকে ফিরে বললাম - কাঙ্কারিয়াকে হারাবো ? আপনি পাগল হয়েছেন! খেতে পাবো না যে মশাই! উপোষ করে মরব ক্লাবশুদ্ধু। ব্যস্, অজিতদা আর টুঁ শব্দটি করেন নি।
    তো কাঙ্কারিয়া যেমন খাওয়াতে ভালবাসে সেরকম খেতেও ভালবাসে। লোহার শক্ত চেয়ার ছাড়া প্লাস্টিকের চেয়ারে বসতে চায় না । লোহার চেয়ারে বসে বসেই মুখে জগত মেরে বেড়ায়। তো - স্টেটে কাঙ্কারিয়া নাম দিয়েছে পয়েন্ট টুটু ওপেন সাইটে। প্রোন পজিশনে শুতে আর কিছুতেই পারে না। ভুঁড়ির ওপর ভর করে ভেসে যায় বন্দুক টন্দুক শুদ্ধ। হাসি চেপে অতি কষ্টে দেখলাম সে দৃশ্য। ডিটেল শেষ হবার পর যখন কাঙ্কারিয়াজি এলেন আমার কাছে বন্দুক জমা দিতে, তখন জিজ্ঞেস করলাম - কেমন মারলেন?
    মুখটা ব্যাজার করে বললেন - আর বোলেন না, ইসি টাইম ট্রিগার ঔর ফিগার দোনোহি হামার সাথ দিলো না।
  • kumu | 52.104.33.149 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৯:৪২443189
  • কে ,হায় হায় ।মিল্ক কলোনী ?সেখানে কেটেছে আমার স্কুলবেলার ৩ বছর,পুরো কলেজ ইউনি ও রিসার্চবেলা।ঐখান থেকেই বে হয়েছেল ।রাইফেল ক্লাব চিনি তো,মনে পড়ে গেল।বেলগেছের রাজাদের বাড়ী আমাদের বাড়ী থেকে দেখা যেত।এক রাজবধূ নামকরা শ্যুটার ছিলেন।
    সেইখেনে যাবেন আজ!!!
  • সিংগল k | 212.142.112.58 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৩৮443190
  • বন্দুক চৌকি দিতে হলে কি কিছু দেখা যায়? তাই চ্যাম্পিয়নশিপের হাল হকিকত জানাবার পক্ষে আমি একেবারে অনুপযুক্ত লোক। আমার কাছে শুধু ওই ভুঁড়িমার্কা পোস্টই আশা করতে পারেন। তাতে কার কি লাভ হবে? ভুঁড়িপ্রেমী মানুষেরা মানসিক কষ্ট পাবেন শুধু।

    দীপেনবাবুকে সামনে পেয়ে নীনাদির কথা মনে পড়ে গেল। কুহেলীদির কথা জিজ্ঞেস করলাম। প্রতিবারেই স্টেট বা ইস্টার্নজোনে কুহেলীদির টিকিটিও দেখা যায় না। এবারেও দীপেনবাবু জানালেন যে কুহেলীদি সুদূর বিদেশে খেলতে গেছেন। আশাকরি পরম্পিতা কুহেলীদিকে অজস্র গোলাবারুদের মধ্যে রেখেছেন, হুঁকোবাবুর মত বন্দুকহীন রাজ্যে পাঠাননি।

    দীপেনবাবুর মত বয়স্করাও হুঁকোবাবুর ক্লাবের তরুনদের কিন্তু হারিয়ে দিচ্ছেন ছোটাছুটিতে আর কাজেকর্মে। কমবয়সীরা যদিও আক্ষরিক অর্থে নাওয়া খাওয়া ভুলে কাজ করছে। এত ছোটাছুটির মধ্যেও আমি কিন্তু মাউন্ট কৈলাসের মত অটল থেকে বন্দুক পাহারা দিয়ে গেলাম। ফলে পকেটে ফোন থাকলেও ছবি তোলা হয় নি মোটেই। কাল চেষ্টা করব চারিদিকের কিছু টুকরো টাকরা ছবি দিতে। আজকের সেকেন্ড ডিটেলে আমাদের ক্লাবের ড.সোমেন, সৌরভদা আর অনিন্দিতাদি ওপেন সাইট এয়ার রাইফেল মারছিলেন। তখন একবার ছুটি পেয়েছিলাম মিনিট পনেরর জন্য। তার একটি ছবি আছে। এইখানে দিয়ে দিলাম-


    আজকাল প্রিসিহোল এয়ার রাইফেল বেরোনোর পর, বিশেষত নাইট্রো পিস্টন প্রিসিহোল ক্লাব-এলিট বেরোনোর পর ওপেন সাইটে কম্পিট করাও এত কঠিন হয়ে গেছে যে কি বলব। আমরা যেসব স্কোর করে হাসতে হাসতে মেডেল নিয়ে বাড়ি গেছি, এরা সেসব স্কোর করে প্রথম কুড়ি জনেও থাকতে পারছে না। প্রিসিহোল রাইফেলগুলোর এমনই কনসিস্সটেন্সি। একটু ভাল হাত হলেই সবাই প্রায় সমান স্কোর তুলে ফেলছে।

    পয়েন্ট টুটু তেও আদ্যিকালের রাইফেলগুলো দিয়ে আমাদের ছেলেরা মোটামুটি ভালই মেরেছে। দেখা যাক কেমন হয়। এখনো ইভেন্ট শেষ হয় নি।

    একটা জিনিস ভাল লাগল, হুঁকোবাবুদের ক্লাব ভারি সেফটি কনসাস। তাঁরা চারিদিকে পোস্টার মেরে বন্দুকে সেফটি ফ্ল্যাগ কম্পালসারী বলে ঘোষনা করেছেন। ফলে বাইরে অ্যাকসেসরীর স্টলে সেফটি ফ্ল্যাগ কেনার লম্বা লাইন। আড়াই ফুট প্লাস্টিকের সুতোর টুকরো একশো টাকায় বিকোচ্ছে।
    কাউকে বলবেন না,চুপি চুপি আপনাদের বলে রাখলাম। আমাদের ক্লাব কিন্তু পুরোনো ক্যাপাপীর দুটো সেফটি ফ্ল্যাগকেই কুমীরছানার মত করে দেখিয়ে দেখিয়ে প্রায় সকলকে পার করে ফেলল। আজ এই খবর নেটের খোলা পাতায় লীক্ করে দিলাম, জানিনা কাল ধরা পড়ে যাব কিনা। কাল আর জনা চারেকের বাকি, চারটেকে ওইভাবে পার করে ফেললেই ব্যাস।

    শেয়ালপন্ডিতের মত বসে থাকতে থাকতে দেখা নানা ঘটনার মধ্যে একটা ছোট্ট ঘটনা মনকে খুব নাড়া দিল। কিন্তু সেটা এখানে লিখলে টই ভয়ঙ্করভাবে বেলাইন হবার সমূহ সম্ভাবনা। শিক্ষক দিবসে ঘটা এই ঘটনাটি শিক্ষক সংক্রান্ত। এখানে তো লেখা উচিত ই না। কোথায় লেখা উচিত বা আদৌ লেখা উচিত কিনা তা আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না।
  • Hukomukho | 183.3.44.106 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৮:৪৮443191
  • অসাধারণ রিপোর্টিং , এরকম সরস রিপোর্টিং হলে আর কি চাই । অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । টই বেলাইন হয় হোক আপনি বিলক্ষণ লিখুন। কেঊ কিছু মনে করবে না।
  • Hukomukho | 183.3.44.106 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৯:০৬443193
  • সেফটি ফ্ল্যাগের কথায় মনে পড়ল, এখানে একটি কম্পিটিশনে যোগ দিতে গিয়ে ওটা আমায় যোগাড় করতে হয়েছিল, কিন্তু একটা পাতি প্লাস্টিকের সুতো কিনতে ডলার গাঁট গচ্চা দেওয়ার মোটেই ইচ্ছা ছিল না। এখানে ওটিকে BCI বলে, Blank Chamber Indicator , অনেক ভেবে ভেবে যখ্ন কুলকিনারা পাচ্ছি না, তখন ভগা আলো দিলেন। বাড়ির লনে ঘাস কাটছিল যে ছেলেটি তার যন্তরের ব্লেডে দেখি অবিকল ঐ রকম সুতো লাগানো, চোখের আন্দাজে মনে হল বোরের মধ্যে দিয়ে গলে যাবে, ব্যস ছেলেটি কে গিয়ে একটা লালকমল আর নীলকমল মার্কা,গপ্পো দিলাম সেও কি বুঝল জানি না, ঝোলা থেকে খানিকটা লাল সুতো বার করে কেটে আমায় দিল, আমিও হাসিমুখে তাকে একটা মার্লবোরো দিয়ে চলে এলাম। ঐ সুতো দিয়েই Premilinary Try Out Match পার হয়ে গেল এবারের মতন ঃ)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন