আতংকিত, মানুষ অসহায়। যেন এক যুদ্ধ পরিস্থিতি! যেকোন মুহূর্তে সব তছনছ হয়ে যেতে পারে। আমার এতদিনের সযত্নে লালিত সংসার এক মুহুর্তে ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে পারে। এখন শত্রু আর ওইখানে কোথাও নেই, শত্রু আছে আকাশে-বাতাসে, মানুষের মধ্যে মিশে! তাই মানুষ মানুষকে সন্দেহ করছে। সামাজিক দূরত্ব রাখতে মানুষ মানুষের থেকে দূরে থাকতে চাইছে। সন্দেহ হলেই অপরকে দূরে সরিয়ে দিতে চাইছে। করোনা-কেন্দ্রিক এক জীবন গড়ে উঠেছে আমাদের। এক মৃত্যু-মুখী চেতনার জীবন। ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া জীবন। "এরা ভিড় বাড়াচ্ছে, ওরা মাস্ক পরছে না" – এইসব নিয়ে অপরকে দোষারোপ করা একাকীত্ব যাপন। ... ...
স্বাদের কথা যখন বললাম তখন আরেকটু বলি। বড় ঈদ মূলত খাওয়ার ঈদ। কোন পরিসংখ্যান আছে কিনা জানা নাই আমার। আমার ধারনা এই ঈদের পরে মানুষ বেশি অসুস্থ হয়। কারণ সবার ঘরে ঘরে গোরুর মাংস। সকাল বিকাল সন্ধ্যা রাত চলছে গোরু খাওয়া। এখন অনেক ধরনের রান্না হয় মাংস। আগে তা হত না। আম্মাকে দেখতাম বড় এক পাতিলে অনেক মাংস একবারে রান্না করত। ওই এক জিনিসই। চলত জ্বাল দেওয়া আর খাওয়া। একদিন পর থেকে স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যেত। যতই দিন যেত ততই নতুন স্বাদ পাওয়া যেত। দুইদিন তিনদিনের মাংসের যে স্বাদ তা রীতিমত স্বর্গীয় লাগত আমাদের। জ্বালে জ্বালে মাংস আর মাংস থাকত না, সব মিশে অন্য কিছু একটা হয়ে যেত, যার কোন তুলনা নাই। ঈদের পর দিন আমাদের বাড়িতে খাওয়া হত গোরুর মাংস আর পরোটা। কেউ কেউ চালের গুড়ার রুটি খেত, আমাদের এখানেও হত। লা জবাব স্বাদ! এখন নানান ধরনের রান্না হয় মাংস। কাবাব হয়, কোরমা হয়, টিকিয়া হয়, সাদা মাংস রান্না হয়, এবং আরও নানান ধরনের রান্নায় এখন ঈদ জমে যায়। ... ...
Commonwealth War Graves Commission নামে একটা সংস্থা আছে। এরা প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ব্রিটিশ যত সৈন্য নিহত হয়েছে তাদের প্রতি সম্মান জানানোর কাজ করে। বিভিন্ন জায়গায় যত কবর আছে যুদ্ধের সব গুলোর যত্ন নেওয়া, ইতিহাস তুলে রাখা এবং তাদের যেন কখনোই মানুষ ভুলে না যায় তা নিশ্চিত করা হচ্ছে এদের কাজ। CWGC একটা ওয়েব সাইট আছে, তাতে তারা বলছে পুরো দুনিয়ায় ২৩ হাজার স্থানে ওয়ার সিমেট্রি আছে আর তাতে শায়িত আছে ১.৭ মিলিয়ন নর নারী সৈনিক। এই সংস্থা ১৯১৭ সালে Imperial War Graves Commission নামে যাত্রা শুরু করে, ১৯৬৫ সালে নাম পরিবর্তন করে Commonwealth War Graves Commission হয়। কিন্তু কাজ একই আছে, এই দীর্ঘ দিন ধরে তারা নিজেদের বীরদের সম্মান দিয়ে আসছে। ... ...
মোক্ষম বোমাটা ফাটিয়েছেন শংকরাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতী। কারণ কী জানা নেই, তবে কিঞ্চিৎ কাণ্ডজ্ঞান খাটিয়েই দ্বারকাপীঠের ভূতপূর্ব শংকরাচার্যের ঘোষণা: রূপান্তরিত বাবরি মসজিদ, থুড়ি রামমন্দিরের শিলান্যাস-নির্ঘণ্টটি ‘অশুভ’। নানা মহলেও তোলপাড়, যে সময় মহামারীতে উজাড় হয়ে যাচ্ছে দেশ, কিঞ্চিৎ শ্রদ্ধাবশতই কি সে’ সময় স্থগিত রাখা যেত না আলো-ঝলমলে এই সব অনুষ্ঠানের বাহার? যোগী আদিত্যনাথ অবশ্য গাঁট। ... ...
ফেব্রুয়ারি ২০, ১৯১৮। সেদিন সকাল থেকেই বুকটা দুরুদুরু কাঁপছে। আজ আমার ১৮ বছরের জন্মদিন। সকাল থেকে গোলাপের তোড়া আর হরেক কিসিমের কেকে ভেসে যাচ্ছে বোম্বের বাড়িটা। বাবা-মা দু’জনেই মহা-ব্যস্ত, একমাত্র মেয়ের জন্মদিন বলে কথা। বাবুর্চি-খানসামায় ঘর ছয়লাপ। আমাদের বোম্বের বাড়িটায় তো সব অতিথিকে বসানোই যাবে না। সামনের লনটায় প্রচুর আয়োজন করা হয়েছে। খাবার-দাবার, আলো-ফুলে ছয়লাপ কাণ্ড। কিন্তু একটা মজার ব্যাপার আছে। সকাল থেকে আমি খুব খুশি। সেই জে বাবার সাথে কথা বলে যাওয়ার পর থেকে এরম খুশির দিন আমার জীবনে আর আসে নি। আজ আমায় একজন মস্ত বড়ো একটা উপহার দেবেন। নিশ্চিত দেবেন। কিন্তু মজাটা কি জানেন, আমি ছাড়া আর কেউ জানে না আমায় সব থেকে বড়ো গিফ্টটা কে দিচ্ছে? আপনি জানেন কে? একটু ভাবুন তো। না না দুর। বাবা-মা নন, অন্য কেউ। না, হলো না। জে’ও নন। জে কি করে আমায় উপহার দেবেন? তিনি তো আজকে নিমন্ত্রিতই নন। বাবা বোম্বে হাইকোর্ট থেকে একটা রিস্ট্রেইনিং অর্ডার বার করেছেন। রুট্ঠি নাবালিকা, তাই তার বিষয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তার পরিবারের। মহামান্য আদালত আদেশ দিয়েছেন রুট্ঠি আর জে দেখা করতে পারবে না। কোনো প্রকাশ্য স্থানে জে’কে যেন রুট্ঠির সাথে দেখা না যায়। হ্যাঁ, যা বলছিলাম। বলুন দেখি সেরা উপহারটা কে দিলো? আগের প্যারাগ্রাফে আপনাকে কিন্তু একটা ক্লু দিয়েছি, ভাবুন দেখি। বুঝতেই পারছেন কোনো রাজা-মহারাজা-নবাবের দেয়া উপহার এটা নয়। এ উপহার যার দেয়া, তার কাছে কোনো রাজা-মহারাজা পাত্তা পায় না। সারা পৃথিবীর মানুষ এর কাছে মাথা নিচু করে কুর্নিশ করে। ভাবুন ভাবুন, না পারলে এই একটু পরেই বলে দেবো’খন। ... ...
ফেলুদা হঠাৎ 'জ্যাক দ্যা রিপার' শব্দটা কয়েকবার অস্ফুট উচ্চারণ করলো। লালমোহনবাবু বোধহয় ঠিক শুনতে পারেননি। উনি প্রশ্ন করলেন, "জ্যাক ফ্রুটের কথা বলছেন? মানে কাঁঠাল?"। ফেলুদা লালমোহন বাবুকে বললেন, "নাহ্। জ্যাক দ্যা রিপার"। তারপর আমাকে বললো, "চল তোর সিধু জ্যাঠার বাড়িতে, কয়েকটা ইনফর্মেশনের দরকার আছে। এ ব্যাপারে সিধু জ্যাঠার শরণাপন্ন হতেই হবে। আপনিও যাবেন নাকি লালমোহন বাবু? কাছেই। হাঁটাপথ।" ... ...
ভদ্রলোক বিহারি। ভুবনলাল চৌবে। লেখাপড়া অল্পই জানেন। অল্পবয়সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বম্বে চলে গেছিলেন নায়ক হতে। সিনেমা পাড়ায় অনেক ঘোরাঘুরি করেও কোন রোল জোটেনি, কিন্তু জুটে গেছিল লেবারারের কাজ। ইলেক্ট্রিকের ভারি ভারি জিনিস তুলে এদিক-ওদিকে সরানো, লাইটম্যানের অ্যাসিস্টেন্টের অ্যাসিস্টেন্ট। সেই করতে করতে কদিন পরে বিড়লাদের কারখানায় মেটিরিয়াল হ্যান্ডলারের কাজ পেয়ে সিনেমা লাইনের কাজ ছেড়ে দেওয়া। ... ...
আমি মালা। নবমের বার্ষিক পরীক্ষা দিলাম না। গরমের ছুটিতেই প্রেম। তারপর পালিয়ে বিয়ে। এখন আমরা তিনজন। বুবুনকে স্কুলে আমিই রাখতে যাই। ওর বাবা সকালে ঘুমিয়ে থাকে। মায়েদের ক্লান্তি বলে কিছু হয় না। শুধু এক লহমায় সব উথাল পাথাল হয়। যেমন আমার হয়েছিল। এক ম্যাসেজে। ছয় হাজার টাকা তোলার ম্যাসেজ। তুলেছিল বুবুনের বাবা। আমার এটি এম কার্ড চুরী করে। তারপর সব ছবির মত। ... ...
গুরুচণ্ডালীতে একজন লিখেছিলেন হুমায়ুন আহমেদ মৃদু মানুষের ঈশ্বর। উপযুক্ত বিশেষণ। নারায়ণ সান্যালের অবশ্য সেরকম কোনো বিশেষণ নেই। ইনি হুমায়ুনের তুলনায় বেশ খানিকটা কম জনপ্রিয়। সম্ভবতঃ একটি বিশেষ প্রকাশনা গোষ্ঠীর কাছে মাথা নত না করতে পারায় তাঁর লেখার প্রাপ্য প্রচারে অনেকটা খামতি থেকে গেছে। ‘বিশ্বাসঘাতক’ এখনও প্রচুর বিক্রি হয়। কিন্তু ‘আনন্দে’ না থাকতে পারলে ‘টপ টেনে’ টিকে থাকা বড়োই মুশকিল। নারায়ণ সান্যালের অনেকগুলো স্টাইলের মধ্যে একটি অনবদ্য স্টাইল ছিল - যেটা কিছুটা ইতিহাস, কিছুটা কল্পনা। এই স্টাইলটাকে সঠিকভাবে ভাষায় বর্ণনা করা মুশকিল। চেষ্টা করছি। এককথায় বলতে পারেন ইতিহাসের শূন্যস্থান পূরণ। ইতিহাসের বিকৃতি বলবেন না, প্রেম আর যুদ্ধের থেকেও সাহিত্যে গণ্ডি বেঁধে দেয়া আরো বেশি কষ্টকর। এবারের লেখা নারায়ণ সান্যালের সেই স্টাইলে। স্টাইলের নাম? – ওই যে বললাম 'ইতিহাসের শূন্যস্থান পূরণ'। ... ...
জ্যোতিষ আসলে কী - তা নিয়ে জ্যোতিষ বিরোধী অর্থাৎ বিজ্ঞানসম্মত ভাবনাচিন্তায় আগ্রহী মহলেও পরিষ্কার ধারণা থাকা জরুরি। সেরকমই একটি ধারণা নিয়ে এসেছেন সুকল্প কুণ্ডু। জ্যোতিষ যে আসলে বিজ্ঞান, তবুও কেন জ্যোতিষ সফল এবং জ্যোতিষের বৈজ্ঞানিক বিরোধিতাও কেন সাফল্য পাচ্ছে না, তার নির্মোহ বিশ্লেষণ ফুটে উঠেছে এই লেখায়। ... ...
সেই যে আমরা জন্মের পর ছুটতে শিখলাম, তারপর আর থামলামই না। ছোটবেলায় শিক্ষার পেছনে ছুটলাম, অথচ সেই শিক্ষাটাই আমাদের কখনো হলো না। তারপর রূপ-যৌবন-যৌনতার পেছনে ছুটলাম কিন্তু মানুষ অধরা রয়ে গেল। তারপর অর্থ, স্বাচ্ছন্দ, সমৃদ্ধি, উন্নতির পেছনে ছুটলাম, সুখ,শান্তি, মানুষত্ব হাত ছাড়া হয়ে গেল। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে নিজের যাত্রা পথের দিকে তাকালে কেউ যদি হঠাৎ আবিষ্কার করেন, ছোটবেলায় তিনি বড্ড সুখী ছিলেন, তাহলে তাকে কি বলবেন, সুখ কোনটা। ... ...
জীবনে সেই প্রথম চক্ষুকর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করে "কম্পিউটার" দেখা হল - ইনটেল 386 - সাদা রঙের পিসি - টিভির মত দেখতে সাদা দামড়া মনিটার, ইয়া গাব্বা সাইজের সি পি ইউ, সেটাও সাদা, তাতে ছোট এবং বড় দুই রকমের ফ্লপি ডিস্কের স্লট। বলা বাহুল্য এসব ডিটেইল কিছুই তখন জানতাম না - ওটাকে ফ্লপি বলে বা ওই ঢোকানোর জায়গাটাকে স্লট বলে, সেটুকুও না। সিডি ব্যপারটার নামই শুনব আরো প্রায় বছরখানেক পরে ... ...
চৈত মাসের সাত-সকালে দোচালা ঘর থেকে বেরিয়ে উঠোনে দাঁড়াতেই গফুরের চোখে পড়ে দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি; খাঁ খাঁ রোদ্দুরে স্বচ্ছ জলরাশি সফেদ বর্ণ ধারণ করেছে। হালকা বাতাসে জলরাশিতে মৃদু ঢেউ গফুরের মনে অতীতের অনেক স্মৃতি দোলা দিয়ে যায়। দশ বছর আগেও এখানে চোখে পড়ত আদিগন্ত সবুজের সমারোহ। সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগরগামী পাকা-সড়ক লাগোয়া ফুলেশ্বরী গ্রামে দুই বিঘে জমিতে গফুরের পৈত্রিক ভিটে ছিল। ... ...
নিউ জিলান্ড নিয়ে কয়েকটি এলোমেলো কথা - মাউই এর মায়ের নাম "তরঙ্গা", আমার কাছে বেশ লাগে ভাবতে যে সমুদ্রের ঢেউ (আমাদের তরঙ্গ?) নাকি মাউই কে বড় করেছে। ... ...
গপ্পো - ক্রমে ক্রমে ঘ্যাঁঘাবাবু আড়াই বছরের হইল। ডারউইনের থিয়োরি অনুসরণ করিয়া কথাও বলিতে শিখল। তাহা শুনিয়া বাড়ির লোকেরা ধন্য মানিল। এমন নহে যে, এতাবৎকাল সে কথা বলিত না। তবে তৎকালে সে ঘ্যাঁঘাভাষায় কথা বলিত। সে কথা কেবল ঘ্যাঁঘা ঘেঁঘীরাই বুঝিতে পারিত। ... ...
প্রকাশ্যে আসা মানা। ইটের তলায় চাপা পড়া এই হলুদ ঘাসেদের নিয়ে শুরু #আমি সিরিজ। এরা কেউ কেউ রূপঙ্করের গান শোনে। নচিকেতা প্রিয়। 'নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ' আবৃত্তি করে পাওয়া স্কুলের প্রাইজটা নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছে। এক বুক অভিমান নিয়ে মাথায় কাপড় টেনে ঝড়-জলে পড়ে মায়ার সংসারে পড়ে। ঘরের বৌ হয়ে লেখাপড়া-জীবন-জীবিকা কিছুই বোঝা হল না। কেউ আবার পথে নেমে পেল হাজার বঞ্চনা। শেষমেশ ঘর- স্বামী - শাশুড়িও নিজের হল না। শীত-হেমন্ত-যুদ্ধ-শান্তির বাইরে এদের এক ইচ্ছার শরীর আছে। সেন্সেটিভ মন আছে। এক হার মানিয়ে দেওয়া অনুভূতি আছে। শুধু নিজেদের বেঁচে থাকাটাই হল না এই জন্মে। এদের গল্পগুলো বলা হল না। ... ...
ফেলুদা ধপ্ করে একটা শব্দে বইটা বন্ধ করে, নীচু টেবিলটার উপরে রাখা ডান পায়ের উপরে বাঁ পাটা লম্বা করে তুলে, তুড়ি মেরে সিগারেটের ছাইটা ছাইদানিতে ফেলে বললো, "শার্লক হোমস।" ফেলুদা এতক্ষণে ধরে দুটো বই প্রায় একসাথে পড়েছিল। দুমাস আগে বিহারের শিমূলতলায় একটা খুনের ব্যাপারে অপরাধীকে জুতোর সাইজের গোলমালের সাহায্যে ধরে দিয়ে, বেশ মোটা রোজগার করে বসে আছে। ... ...
অনেকদিন বাদে আজ ছাতে উঠেছে ও। ছাতে এত সুন্দর বাগান করেছে মা! দেখে অবাক হয়ে গেছিল। আইআইটি জয়েন করেছে পরের থেকে খুব কম বাড়িতে আসে। এলেও ছাতে ওঠা হয়না। ওর গৃহবন্দিত্ব না। ঘরবন্দিত্ব চলছে। স্বেচ্ছানির্বাসন। সারা পৃথিবী থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিতে হয় মাঝে মাঝে। একেবারে একটা দ্বীপের মধ্যে। খুব বেশিই ছুটছিল যেন! একটার পর একটা সেমেস্টার।টপ করে যাওয়া। না করতে পারলেই ফ্রাস্ট্রেশন। বাড়িতে এখন আর কিছু বলে না। কিন্তু ছোটবেলা থেকে ও একটা অদৃশ্য চাপ অনুভব করে। দাদা ফার্স্ট হয়েছে।তোমাকেও হতে হবে। দাদা এটা পারে। তোমাকেও পারতে হবে। ... ...
করোনা পরীক্ষা কি সত্যি কম হচ্ছে ভারতে? আর তাই করোনা রোগী যত বেশী হওয়ার কথা তা হচ্ছে না? আসুন দেখা যাক পরিসংখ্যান কি বলছে। আজ দ্বিতীয় কিস্তি ... ...
ত্বরিতগতিতে ছুটে যাচ্ছিল সারমেয়কুল। এদের একটা স্বভাব আছে। খাদ্যের সামান্য আভাস এবং আদরের সামান্যতম আভাস পেলেও এরা লেজ নাড়াতে নাড়াতে দৌড়ে আসে।যেন বহুদিনের পরিচয়। একেক জনের একেক রকম স্বভাব ।কেউ এসেই হামলে পড়ে খায়।কেউ কেউ এসে সলজ্জভাবে দূরে দাঁড়িয়ে থাকে।পেটে খিদে।অথচ আসে না।দূরে দাঁড়িয়ে লেজ নাড়াতে থাকে। ... ...