জর্জ সোরেল গত শতাব্দীর একজন বর্ণময় সমাজতত্ত্ববিদ। তাঁর লেখা থেকে একদিকে যেমন ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীরা প্রেরণার উৎস খুঁজেছেন, অন্যদিকে আন্তোনিও গ্রামশ্চির মত মার্কসবাদী বিপ্লবী ও চিন্তানায়ক বিপ্লবের প্রাণশক্তির উৎসসন্ধানে সোরেলের চিন্তার গুরুত্বের কথা জোর দিয়ে বলেছেন। বিশিষ্ট রাজনৈতিক তত্ত্ববিদ ইশাইয়া বার্লিনের সোরেল সম্পর্কিত একটি দীর্ঘ নিবন্ধকে সামনে রেখে আমরা এই লেখায় সমসাময়িক পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে বামপন্থার রক্তশূণ্যতার কারণ নিয়ে আলোচনা করবো। ... ...
প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, এসো, কোভিড অতিমারীকে হারিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য আমরা দ্বাদশ অঙ্গীকার করি। ... ...
এই কন্যাটি অনর্গল ইংরাজী আর ফ্রেঞ্চ বলতে পারে , আর ফ্রেঞ্চ নিয়ে পড়ে সে পেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের সর্বোচ্চ নম্বর । নিয়মগত কারণে প্রেস্টিজিয়াস ঈশান স্কলারশিপ পেল না বটে, কিন্তু তাতে তো তার কৃতিত্ব খাটো হয় না। কন্যাটির নাম লিলিয়ান পালিত, বন্ধুরা ডাকে লিল বলে। ... ...
লাতিন আমেরিকার রাজনীতি ও সংস্কৃতি সবসময়ই আমাদের কিছু না কিছু শেখায়। সেখানকার ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যচিত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এখানে। এছাড়াও ব্রাজিলের একটি কাহিনীচিত্রের আলোচনার মাধ্যমে প্রতিরোধের সংস্কৃতি ও হিংস্রতার অনিবার্যতার তত্ত্ব নিয়ে প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে। ... ...
দুটো ঘটনাকে পাশাপাশি রাখব আমরা। গত বছরের কথা। সুশান্ত সিংহ রাজপুত ‘আত্মঘাতী’ হলেন। আমরা যারা সুশান্তের নামটুকুই জানতাম কেবল, এ বার বিস্ময়াবনত হয়ে চেয়ে দেখলাম, পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে গেল সুশান্ত ন্যায়মঞ্চ, সুশান্ত স্মৃতিসংঘ। ‘খুনে'র বিচার চেয়ে পদযাত্রা হল, এমন কী কলকাতারও বেশ কিছু মহল্লায়, পল্লিতে। কালীঘাট মন্দিরে চড়ল পুজো। প্রতি রাতে অর্ণব গোস্বামী তারসপ্তকে চ্যাঁচামেচি করতে থাকলেন, গোটা একটা জাতি দু’-তিন মাস ধরে তারিয়ে তারিয়ে খেল সে সব। খুব কম শব্দ খরচ করলে, স্রেফ অপ্রমাণিত সন্দেহের ভিত্তিতে সুশান্তকে নিয়ে যে অদৃষ্টপূর্ব তোলপাড় উঠেছিল ভারতীয় জনসমাজে, তা যে কোনও মহাতারকার কাছেই ঈর্ষণীয় বেঞ্চমার্ক। ... ...
কানহাইয়া কুমার কংগ্রেসে গেছেন। কম্যুনিস্ট না হোক অন্তত বামপন্থী ভাবাদর্শ থেকে কেউ একটা দক্ষিণপন্থী দলে গেলেন, সেটা এই প্রথম নয়। যথারীতি তবুও প্রভূত শোরগোল শোনা যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্নটা হওয়া উচিত যাওয়া নিয়ে নয়, যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে। ... ...
গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ তাঁর আত্মজীবনী 'লিভিং টু টেল দ্য টেল' এর কোনো পরবর্তী খণ্ড কেন লিখলেন না তা নিয়ে তাঁর গুণ্মুগ্ধ পাঠকদের মধ্যে অনেক কৌতূহল আছে।এবার তাঁর বড় পুত্র রড্রিগো গার্সিয়া তাঁর স্মৃতিচারণ মূলক 'আ ফেয়ারওয়েল টু গ্যাবো অ্যাণ্ড মার্সেডিজ ঃ আ সন্স মেমোয়ার অব গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ অ্যাণ্ড মার্সেডিজ বার্ছা ' বইতে সেই কৌতূহল মেটালেন। ... ...
যখন সততা দেখানোর সময় আসে, যখন আপনার নৈতিকতার পরীক্ষার সময় আসে তখন আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি দ্বিধায় ফেলে 'সুযোগ' নামের শব্দটা। আমরা ওই মুহূর্তে বেশির ভাগ সময়ে ডাহা ফেইল মারি। আমরা এইটাই তো সুযোগ বলে ঝাঁপিয়ে পড়ি। সততা, নৈতিকতা সব একদিকে ঠেলে ফেলে দিয়ে সুযোগটাকে কাজে লাগাই। এই পরিস্থিতি দেশের বেশির ভাগ মানুষের। যতক্ষণ পর্যন্ত সততার পরীক্ষা না দিতে হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সৎ, অসৎ হওয়ার জন্য শুধু সুযোগের অপেক্ষা। ... ...
পশ্চিমি রূপকথা জগতে সবচেয়ে চেনা যে মেয়ে, তাকে নিয়েই প্রচুর কথাবার্তা আর আলোচনা। বারবার বদলে গেছে সে। কেন? কী কারণে? তাই নিয়েই আমার ভাবনা। ... ...
বাংলা শিশু-কিশোর সাহিত্যে রবি ঠাকুরের শ্রেষ্ঠ অবদান কী? আমার মতে তাঁর কবিতা। তাই নিয়েই দু'চার কথা লিখে রাখলাম এখানে। ... ...
ফলত, এই ২০১১ থেকে আফগানিস্তানের দুর্গম গ্রামগঞ্জ ভরে যেতে শুরু করে খোঁড়া, কানা, বিকলাঙ্গ মানুষে। এছাড়াও মাটির নিচে জমতে থাকে লাশ। আর কচি কচি বাচ্চারা ফুঁসতে থাকে প্রতিশোধের আকাঙ্খায়। তালিবান এদের হাতে অস্ত্র দিয়েছিল। মার্কিন বাহিনীর প্রতিটি বন্দুকের গুলি, প্রতিটি খুন, প্রতিটি সম্পত্তি নষ্ট, প্রতিটি ড্রোন আক্রমণ, এভাবেই জন্ম দিতে থাকে আরও অনেক অনেক তালিবানের। তারা তখন লড়ছিল প্রতিশোধের লড়াই। আর মার্কিনীরা কোনোক্রমে স্থিতাবস্থা বজায় রাখছিল। ... ...
আত্মহত্যার ঠেকাতে গেলে সামগ্রিক সহমর্মিতা দরকার। ... ...
পরে অবশ্য জানা যায়, যে, হেলিকপ্টারে আদৌ মৃতদেহ ঝুলছিলনা। কান্দাহারের প্রশাসক-ভবনের পাশে লম্বা কিছু পতাকার খুঁটি ছিল। হেলিকপ্টারে ঝুলে একজন তালিবান কর্মী তাতে তালিবান পতাকা লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা ব্যাপারটি জানান। পরে একটি ভিডিওও আসে। দুনিয়া জুড়ে সংবাদমাধ্যমের বিখ্যাত ব্যক্তিরা, যাঁরা খবরটি ছড়াচ্ছিলেন, তাঁদের কেউ-কেউ নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে করা পোস্ট মুছেও দেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমগুলি, যারা সোৎসাহে খবরটি ছাপছিল, তাদের কাউকে সেভাবে ভুল স্বীকার করতে দেখা যায়নি। ... ...
অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্র একবার ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণায় লিখেছিলেন, যে, দিল্লির যোজনা কমিশনের সহসচিবকে তিনি বলেছিলেন, কলকাতা থেকে দিল্লি এলে তাঁর মনে হয়, গ্রাম থেকে শহরে এলেন। অস্যার্থঃ পশ্চিমবঙ্গ থেকে সম্পদ চুষে নিয়েই দিল্লি এবং পশ্চিমাঞ্চলের রমরমা। অশোক মিত্রের বর্ণনা অনুযায়ী সে বছর যোজনা কমিশনের অবশেষে পশ্চিমবঙ্গকে তার যথাযথ ভাগ দিতে সুপারিশ করে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী সেই সুপারিশ খারিজ করেন। এ কোনো রাজনৈতিক স্লোগান বা লাইন নয়, কিন্তু মূল ন্যারেটিভটি ছিল এইরকমই। যা লোকে বিশ্বাস করত। ... ...
সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সিনেমা দেখার জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। কোভিড জনিত লকডাউন পরিস্থিতিতে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ থাকায় ওটিটি গুলি লাভবান হয়েছে। আগামী দিনে সিনেমা হল খুললেও দর্শক কতটা ফিরে আসবেন তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। এর ফলাফল কী হবে, কারা লাভবান হবেন আর কাদের হবে ক্ষতি সেটা নিয়ে নানা ভাবনা মাথাচাড়া দিচ্ছে। এই লাভ ক্ষতির হিসেবটা সবসময়ই আপেক্ষিক। দর্শক হিসেবে আমাদের কি প্রাপ্তি, সিনেমার ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে আর আর্ট হিসেবে বিকাশের পথে এই পরিস্থিতি কতটা সহায়ক তা নিয়ে নানা ভাবনার সমাবেশ দরকার। তার প্রাথমিক সূত্রপাত এই লেখাটি। ... ...
'ফাল্গুনী'তে চন্দ্রহাস আর তার দল হইহই করে বেরিয়ে পড়েছিল; 'ছেলেধরা' বুড়োকে ধরে আনবে বসন্তোৎসবে। কিন্তু বুড়োর টিকিটি কেউ কোনোদিন দৈবাৎ দেখে থাকলেও, তাকে পাওয়া কী আর অত সহজ! ... ...
শিক্ষাচার্য বিদ্যুৎকুমার মধ্যাহ্নের দিবাস্বপ্ন দেখছিলেন। এমন সময় প্রধানসেবক এসে কাঁচুমাচু মুখে জানালেন -- চারদিকে কি লেখা হচ্ছে জানেন স্যার? বিদ্যুতের বড্ড তেজ করে দেব লো ভোল্টেজ। শুনে বিদ্যুৎকুমারের স্থির ভ্রূ কিঞ্চিৎ কুঞ্চিত হল। তিনি দাঁত খিঁচিয়ে বললেন, লো-ভোল্টেজ? দেখাচ্ছি তোদের। যন্ত্রবিদ, ইধার আও। আজ থেকে গোটা বিশ্বভারতীতে সারা রাত গনগন করে আলো জ্বলবে। কোথাও কোনো আলো নিভলেই, তোমার চাকরি নট। ... ...