জেকিল আইল্যান্ডে কতিপয় ধনী ব্যক্তি সমবেত হলেন ডলার নামক দ্রব্যটির দর ( সুদ ) এবং সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের বাসনায় । নিউ মেক্সিকোর তাওস শহরে কোনো ব্যাঙ্ক ধার দেবে তিন শতাংশ সুদে আর নিউ জার্সির হোবোকেনে ধার দিতে ছ শতাংশ সুদ চাইবে , এটি হতে পারে না। যে যা খুশি দর চাওয়ার ফলে সিটি মরগান ওয়ারবুরগ রকিফেলারের নিত্য লোকসান হচ্ছে। এঁরা পরস্পরের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী ঠিকই কিন্তু চোরে চোরে মাসতুতো ভাই প্রবাদটিও তো সমান সত্যি। ১৯১৩ সালে ফেডারাল রিজার্ভ অ্যাক্ট দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হলো ফেডারাল রিজার্ভ । ১৯১৪ সালে এক বক্তৃতায় সেনেটর অলডরিচ বললেন, “ এই আইন পাস হবার আগে অবধি নিউ ইয়র্কের ব্যাঙ্কারদের প্রভুত্ব ছিল কেবলমাত্র নিউ ইয়র্কের ধন সম্পদের ওপরে , এখন গোটা দেশের সম্পদের ওপরে *। ... ...
সেই সব ঘটনা ... ...
২০২০ তে, অসংখ্য ফোটোশ্যুটের ফাঁকে, গাড়ি গাড়ি মানুষের মৃত্যু জাস্ট পাত্তা না দিয়ে মোদি যখন 'মন কি বাত(কর্ম)' করছিলেন, তার ফাঁকেই কোনো এক সময় টুক করে দাবি পেশ করে এসেছিলেন — রামমন্দির এমনভাবে বানানো হোক, যেন ঠিক রামনবমীর দিন রামলালার মূর্তির মাথায় সূর্যের আলো এসে পড়ে। সেই কাজ এদ্দিনে CSIR সেরে এনেছে। তাদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে গর্বভরে স্ট্যাটাস দিয়েছে, কীভাবে CSIR-এর বিজ্ঞানীরা হাতেনাতে দেখিয়েছেন, ২০২৪ সালের রামনবমীতে মূর্তির মাথায় সূর্যালোক পড়বে। ... ...
সত্যজিতের ঈশ্বরে বিশ্বাস-অবিশ্বাস কতটা তাঁর কাজে বা পাবলিক স্ফিয়ারে ধরা পড়েছে? ঈশ্বর বলতে এখানে অতিপ্রাকৃত, আধিদৈবিক সবই ধরছি। ... ...
স্তব্ধতা লিখতে পারেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়। ... ...
প্রশ্নটা খুব সোজা হতে পারত – “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পুজো করা কি ঠিক?” নেহাতই নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন। হ্যাঁ বা না বলে কাটিয়ে দেওয়া যেত, যদি না আরও নানা রঙের প্রশ্ন এসে পড়ত সামনে – ... ...
কাজেই এখন, রাত পোহালে যখন খেলা শুরু হয়ে যাবে তখন বিশ্বকাপ বাতিল করার মত কথা বলার যুক্তি নাই। আমার চাওয়া কী? খুব ছোট্ট চাওয়া। আমি চাই উম্মাদনায় ভেসে যাওয়ার সময় মনে রাখুন ওই ক্রংক্রিটের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য যা আমরা দেখছি তার প্রতি পরতে পরতে রক্ত লেগে আছে আমার দেশের ভাইদের। মানুষের রক্ত লেগে আছে, ঘাম মিশে আছে, যার ন্যায্য মূল্য দেয়নি অসভ্য কাতার সরকার। আমরা মনে রাখি শ্রমিকদের কথা, কাতার একটা রক্তচোষা দেশ, এইটা যেন আমরা মনে রাখি। ব্রাজিল আর্জেন্টিনা, জার্মান ফ্রান্স, বেলজিয়াম প্রেমে ভুলে যেন না যাই যে আমরা এই আয়োজনে হেরে যাওয়া দল। আমাদের ভাইদের হারিয়ে দিয়েছে জোর করে। রক্ত দিয়েও জিততে পারেনি তাঁরা। ... ...
''আমাকে আমার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দাও, আমার হাতগুলোকে মুক্ত কর, আমি তো তোমাকে তোমার জিনিস সব দিয়ে দিয়েছি, নিজের কাছে রাখিনি কিছুই আহা! তোমার চেইনগুলো আমার মণিবন্ধকে রক্তাক্ত করছে আমি সেগুলো রাখিনি, আর সেগুলোও আমাকে নিষ্কৃতি দেয়নি কেন আমি পূরণ করে যাই প্রতিশ্রুতি যার মর্যাদা তুমি রাখো না?’’ ... ...
মন্দা কাটিয়ে আমেরিকান অর্থনীতি সেরে উঠছে , লোকের আয় বাড়ছে – ফল স্বরূপ বাড়িঘরের চাহিদাও। হার্ভার্ড হোয়ারটনের মতো বাণিজ্য বিদ্যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানান বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে জুয়া খেলাটা শিখেছেন ওয়াল স্ট্রিটের উজ্জ্বল তারকারা। ফাইনানশিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং ( এককালে হয়তো এরই নাম ছিল অ্যালকেমি) দ্বারা সোনাতে সোহাগা মেশালেন – সোনার নাম হাজার বাড়ি বন্ধকের সমষ্টি ( মর্টগেজ ব্যাকড সিকিউরিটি) , নতুন সোহাগার নাম হরেকরকমবা ঋণের জামানত ( কোল্যাটারালাইজড লোন অবলিগেশান) । মিলকেন বলেছিলেন ছোট হতে পারে কিন্তু কোন ব্যবসা বা ঋণ তুচ্ছ নয় , জাঙ্ক বলিয়া কোরো না হেলা। সলোমনের রানিয়েরির খাতায় ছিল মর্টগেজের সমারোহ । ঋণ রইল বাড়ি বন্ধক দ্বারা সুরক্ষিত, সুদ এলো ই এম আই থেকে । এবার সকল অধীর লগ্নিকারকের শিরে যে পুষ্প বর্ষিত হলো তার নাম জামানত কৃত মর্টগেজ সমষ্টি ( কোল্যাটারালাইজড মর্টগেজ অবলিগেশনস ) । কাল পূর্ণ হলে এই পুষ্প দেখা দেবে অগ্নিবৃষ্টি রূপে। ... ...
আমার ভারত , জার্মানি, ইংল্যান্ডে শেখা ব্যাকিং পাঠ -খদ্দেরকে চেনো, তার খানা তল্লাশি করো, মাঝে মধ্যে ব্যাঙ্কে ডেকে খবরাখবর নাও এসবই অবান্তর গল্প। আমি মূর্খের মতো ভাবি এটা আমার বাড়ি – যতদিন না ধার শোধ হয়, এটা আসলে ব্যাঙ্কের বাড়ি । ব্যাঙ্ক ধার দেয় না, কেনে একটা সম্পত্তি যার দাম বাড়ে প্রতি দিন। তার জন্য আবার মাসে মাসে সুদ পায়, একদিন সেই পুরো ১২০,০০ ডলার ফেরত পাবে। আমেরিকায় লক্ষ লক্ষ বাসভবনের প্রয়োজন । বাড়ি জমির দাম কখনো কমে না। ... ...
নোবেল কমিটির হান্স এলেঘ্রেন জানালেন ডায়মন্ড / ডিবভিগ নির্দেশ দিয়েছেন ব্যাঙ্কের সমস্যা কোথা থেকে উৎপন্ন হয় । আরসেই সঙ্কট থেকে পরিত্রাণের পথ দেখিয়েছেন বেরনানকে। কি সেই পথ ? টাইটানিক জাহাজে সকলের জন্য লাইফ বোট ছিল না। এবার জ্বলন্ত হাওয়াই জাহাজ থেকে প্রাণ বাঁচানোর জন্য প্যারাসুটের ঘোষণা করলেন বেরনানকে। । বেল আউট । সেটি কি নতুন আবিষ্কার ? ... ...
ওনারা ভেবেছিলেন হাবিলদার লোকটা কেমন করে কবি হতে পারে ? ও তো ইংরেজি-মাধ্যমে পড়েনি...গেঁয়ো... ... ...
ব্যাঙ্ক না হয় ঘরে বসে আপনার টাকা পেলো, সেখানে আপনি ঝুঁকি নিলেন। এবার এক গুচ্ছের লোকের কাজ হলো খদ্দের খুঁজে সেই টাকা এবং তা থেকে বর্ধিত টাকা ধার দিয়ে জুতসই সুদ আদায় করা –ব্যাঙ্ক ঝুঁকি নেবে সেই খদ্দেরের ওপরে । তবেই না সেই জমা টাকা থেকে কোনো আয়ের মুখ এবং আপনার প্রসন্ন হাসি দেখা যাবে। এই বিভাগের কর্মী চায় বেশি ঋণ দিতে - সেটি নগদ উধার, ক্রেডিট কার্ড, বাড়ি জমি কেনার মর্টগেজ , গাড়ি কেনা, বিদেশ ভ্রমণ যাই হোক না কেন । কারণ ব্যাঙ্কের মুনাফা, তাদের দক্ষতা এবং বোনাস মাপা হবে ঋণদানের পরিমাণ ও তা থেকে উৎপাদিত আয় দ্বারা। স্বভাবতই তাদের অ্যান্থেম হলো- প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে , আরও আরও দেবো ধার । ... ...
বাঙালি সমালোচকরা কেবল চুল কাটার ধান্দায় থাকেন ! এরকম আলোচনা লিখতে পারেন না কেন ? ... ...
১৮৯৫ সালে মৃত্যুশয্যায় লিখিত উইলে আলফ্রেড নোবেল এই বাসনা প্রকাশ করেছিলেন যে তাঁর মৃত্যুর পরে নিজ জীবৎকালে সঞ্চিত অর্থ ও তা থেকে ভবিষ্যতে অর্জিত সুদ ব্যবহার করে সেই সব মানুষকে যেন পদক ও অর্থ দ্বারা সম্মানিত করা হয় যারা বিগত বছরে পদার্থ বিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা শাস্ত্র , সাহিত্য এবং শান্তির ক্ষেত্রে মহতী কর্ম করেছেন। ১৮৯৬ সালে তিনি দেহ রক্ষা করেন। নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সাল থেকে। নোবেল একসঙ্গে তিন জনের বেশি মানুষকে দেওয়া যায় না – ব্যতিক্রম শান্তি পুরস্কার।প্রায় সত্তর বছর বাদে , ১৬৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সুইডেনের রিকসবাঙ্ক ( পৃথিবীর প্রাচীনতম কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ) তাদের তিনশ বছরের পূর্তি উৎসবে ঘোষণা করেন তাঁরা আলফ্রেড নোবেল পুরস্কার সংস্থাকে কিছু অর্থ দান করবেন । সেই অর্থ ও তার সুদ দিয়ে নোবেল সংস্থা যেন প্রতি বছর এমন মানুষদের নির্বাচিত ও সম্মানিত করেন যারা অর্থনীতিতে কোন বিশেষ অবদান রেখেছেন। আলফ্রেড নোবেলের অর্থ বা অভিলাষে এটির সূচনা হয় নি তাই এই পুরস্কারের সঠিক নাম : আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতিতে প্রদত্ত সভেরিগেস রিকসবাঙ্ক পুরস্কার। ... ...
পর্বতারোহণের কিংবদন্তী বললে একজনকেই বোঝায়। আজও তাঁর মৃত্যু ও শেষ অভিযান নিয়ে গবেষণা হয়, স্পেকুলেশনেরও অন্ত নেই। ... ...
পাড়ায় দোকান NiA’র আর নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য UAPA: এমনটাই দীর্ঘদিন ধরে অলিখিত ভাবে চলতে চলতে আজ স্বাভাবিকে পরিণত হয়েছে যেন; দেশের দারিদ্র্যসীমা ও বেকারত্ব যতোই বেড়েছে ততোই মানুষ জলের মত পরিস্কার দেখেছে শাসকদলের আঞ্চলিক নেতৃত্বের ভালোমুখোষের পেছনে লুকানো দুর্নীতিক শ্রেণীচরিত্র। আর সেই দুর্নীতিকে হাত করে কেন্দ্রীয় সংস্থা গুলির বাড়বাড়ন্ত, বিচারের নামে টালবাহানা; সন্ত্রাস দমনের নামে, প্রতিবাদী শ্রমজীবী মানুষকে হাজত বন্দী করার কৌশলগুলো। যার মধ্যে 'ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’র বহর অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে বর্তমানে দেশের সমস্ত রাজ্যেই। যা খানিক আলাদা ইডি এবং সিবিআই, বাকি দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সির তুলনায়। কেন্দ্রের আরএসএস বিজেপি সরকার খোলাখুলি ছেড়ে দিয়েছে গরুর মতন এই সংস্থাকে, ঘাস খেতে। এর মধ্যে ... ...
জাঁ জেনে পড়ার পর ... ...