এ বছরের গোড়ার দিকে মোদী এবং সুভাষ বসুকে নিয়ে আনন্দ পট্টবর্ধন যা লিখেছিলেন, বঙ্গানুবাদে তা এরকমঃ "মোদী এবং আরএসএস কেন সুভাষ বসুকে ভালোবাসে, ভালো করে বুঝে নিন! সুভাষ যখন হিটলারের সঙ্গে নীতিগত বোঝাপড়ায়, তখন আরএসএস আর হিন্দু মহাসভা তার সঙ্গে আদর্শগত বোঝাপড়া করে ফেলেছে। হিটলারের আশীর্বাদ নিয়ে সুভাষ আজাদ-হিন্দ-ফৌজে যাদের নিয়োগ করেন, তাদের বেশিরভাগটাই সেইসমস্ত ভারতীয় সেনাদের থেকে, যারা জার্মান, ইতালিয়ান, এবং জাপানিদের হাতে ধরা পড়েছিল। হ্যাঁ, তাদের অনেকেই নাৎসিদের পক্ষে যুদ্ধ করে মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু আরও, আরও অনেক বেশি ভারতীয় সৈন্য মারা যায় নাৎসিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।" এতে তথ্য এবং বোঝাপড়াগত কিছু ভুল আছে। কিন্তু তার চেয়েও বড় ব্যাপার হল, এই লাইনে বললে, তার ফলাফল কী হবে। আজাদ-হিন্দ-ফৌজ নাৎসিদের জন্য যুদ্ধ করে প্রাণ দিয়েছিল, সুভাষ-আরেসেসের একরকম করে বোঝাপড়া ছিল, এ কথা বললে, বঙ্গে ফ্যাসিবাদ-বিরোধিতা নিঃসন্দেহে লাটে উঠবে। ... ...
কুমিল্লা মশাই এক আশ্চর্য জায়গা। গেল শতাব্দীর দশ আর বিশের দশকে তিন বন্ধু গানে মশগুল থাকত। হিন্দি-উর্দুর বাগধারা ধার করে বলা যায় বলা যায় তিন বন্ধু একসঙ্গে হলে চার চাঁদ লেগে যেত। ... ...
বিদেশিনীর কলমে ... ...
ভারতের বৃহৎ বুর্জোয়াদের উৎস ও বিকাশের আসল রহস্য লুকিয়ে আছে বিদেশী সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির হাতেই? নাকি এরা জাতীয় বুর্জোয়ার দল? ইতিহাসের পাতা কী বলছে? চলুন দেখেনি। কমিউনিস্টদের আন্তর্জাতিকের বিতর্ক ও তত্ত্ব অনুযায়ী। ... ...
এপারে বাপের ঘর ওপারে শ্বশুরঘর তার মধ্যিখানে চর, সেই চরে বাস করে যতেক মাইয়্যামানুষ। শ্বশুরঘরে আসতে বাপের ঘর ত্যাগ করা লাগে তাদের, কিন্তু সে ঘরেও তাদের একেবারে নিজস্ব জায়গা কতটুকু? তাদের মতামতের ধার তো বাড়ির পুরুষরা এমনিতে খুব একটা ধারেই না, বড়সড় রাষ্ট্রবিপ্লবেও তারা পালাবে কিনা, কোথায় পালাবে কীভাবে পালাবে সেও নির্ধারণ করে সেই পুরুষই। তবুও মেয়েমানুষ টুনিমুনি নিয়ে নাড়ে চাড়ে, খেলে, কেউ আবার যেখানে যতটুকু পারে ধরে রাখার, দখলদারির চেষ্টা করে যায়। জীবনে দুর্যোগ নেমে এসে সব ভেঙেচুরে তছনছ করে ভাসিয়ে নিয়ে গেলে মেয়েমানুষ দেখে হাতের ধুলিমুঠি সবই আঙুলের ফাঁক গলে পড়ে গেছে, সে দাঁড়িয়ে আছে ধু ধু চরে। তার নিজের দেশও নাই, ঘরও নাই। এই সত্য আরো একবার উপলব্ধি হল তৃষ্ণা বসাকের ‘চরের মানুষ’ পড়তে পড়তে। ... ...
এর নাম রান অন দি ব্যাঙ্ক ? ব্রিটিশ করদাতার টাকাকে উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ বলে বিলিয়ে দিয়ে কিছু কাউবয় ব্যাঙ্কার এবং তাদের ব্যাঙ্ককে বাঁচাতে চান নি মারভিন কিং। শেষ পর্যন্ত অর্থনৈতিক বিবেচনার চেয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ বড়ো হয়ে উঠল । তবু মারভিন কিং লড়াই করেছিলেন তৎকালীন লেবার প্রধানমন্ত্রী গরডন ব্রাউনের সঙ্গে । বলেছিলেন আমি সরকারের আদেশে চলি না । আপনারাই ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন এই মাত্তর দশ বছর আগে । সেই সঙ্গে দেশের ব্যাঙ্কের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিয়েছেন আলাদা দফতর , ফাইনানশিয়াল সার্ভিসেস অথরিটিকে । তারা এতদিন কি করছিল ? দেখেনি স্বল্প মেয়াদের ধার নিয়ে লম্বা মেয়াদে মর্টগেজ দিয়েছে এরা । ভাবে নি বাজারি জমার (হোলসেল ডিপোজিট ) স্রোত বাজারি গুজবেরই কারণে শুকিয়ে যেতে পারে ? এই দেখাশোনার কাজটা এককালে আমরা করেছি, সাফল্যের সঙ্গে । ... ...
এই লেখা রামকৃষ্ণ কথামৃতের ভক্তদের জন্য নয়। তাঁরা দয়া করে এই লেখাটি পড়বেন না। কারণ এই লেখা সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে উৎসারিত। সেই একই কারণে এই লেখা রামকৃষ্ণ দর্শনের প্রতি অকারণ বিদ্বেষবশত কোনো কুৎসামূলক লেখাও নয় । কারণ বর্তমান লেখক মনে করেন যে রামকৃষ্ণদেবের মত সরলহৃদয়, সুরসিক, তত্বজ্ঞানী এবং বিরাট ব্যক্তিত্বের অধিকারী ধর্মপ্রচারক বাংলায় চৈতন্যদেবের পর খুব বেশি আসেন নি। বিশেষত পরধর্ম সহিষ্ণুতার ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য বাংলার মাটি থেকে উঠে আসা ঔদার্যের পরাকাষ্ঠা। তবে রামকৃষ্ণদেবের ‘কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ’ তত্ব নিয়ে আমার বহু প্রশ্ন চিরকাল ছিল। সময়ের সঙ্গে সেই সংশয়ের অবসান তো হয়ই নি, আরো বেড়েছে বরং। এখন ভক্তকুলের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর চাওয়া বৃথা। কারণ রে রে করে তেড়ে আসা ছাড়া বা অধিকারীভেদের কথা বলে প্রশ্নের পথ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া তাঁদের কাছে যুক্তিসমৃদ্ধ তর্ক কিছু পাই নি। তাই এক অর্থে এই লেখা শুধুমাত্র সেই মানুষদের জন্য, যাঁরা আমার মত সাধারণ, অতি সাধারণ জিজ্ঞাসু। ... ...
নিজের সংশয়গুলো ঝালিয়ে নিচ্ছি ... ...
এই তো মানুষের হাল ... ...
আত্মপ্রচারের রকমফের ... ...
সেই সব কমরেড ... ...
একই ! অনাদিকালের......... ... ...
গুরুচণ্ডা৯-র বই । বেশি দাম নয় । না পড়ে থাকলে পড়ে ফেলুন । ... ...
রাজস্ব ঘটিত নীতি এবং আর্থিক নীতি -এই দুটিকে একই দফতরের আওতায় রাখা সংগত কিনা তা নিয়ে বিতর্ক হয়ে থাকে । কেউ কেউ বলেন কর আদায়ের পরিমাণের চেয়ে খরচা বেশি হলে সরকার কর বৃদ্ধি করে ঘাটতি মেটাতে পারেন। সেটি ফিস্কাল পলিসির অঙ্গ , কিন্তু আগামী নির্বাচনের দিকে চোখ রেখে সে পথে না গিয়ে আরও নোট ছাপিয়ে যদি কাজ চালান তার ফলে দেশে মুদ্রাস্ফীতি ঘটতে পারে । এর পরিণাম ভয়াবহ। বহু দিনে আগেই ফ্রান্স জার্মানি তাদের সংসদে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা মঞ্জুর করেছে। অনেক দেশ -যেমন আজকের ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক , ই সি বি – এই পথ অনুসরণ করে। ব্যাঙ্ক অফ লাটভিয়ার( কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক) গভর্নর আইনার রেপকে আমাকে বলেছিলেন – আমি লাটভিয়ান সরকারের অর্থমন্ত্রকের ঠিকানাটা জানি , সেখানে কখনো যাই নি ... ...
নারীর ভাবনাচিন্তা নিয়ে কিছু ... ...