'লকডাউন' জনিত দূষণ মুক্ত পরিবেশ এবং শ্রেণী চরিত্র যুক্ত দূষণওলা সমাজে আবার দেখা যাচ্ছে কমিউনিজিমের ভুত... ... ...
নিউ ইয়র্ক নিবাসী ডঃ পার্থ ব্যানার্জী বিগত দু'সপ্তাহ ধরে লিখে চলেছেন নিউ ইয়র্কে ঘটে চলা ভয়াবহ করোনা সংকটকে তিনি কীভাবে দেখছেন - সেই অভিজ্ঞতা। সঙ্গে রয়েছে এই বিপর্যয়ের কার্যকারণ প্রসঙ্গে তাঁর বিশ্লেষণ। তাঁর অনুমতি নিয়ে লেখাটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে। রইল প্রথম চারটি পর্ব। ... ...
রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের প্রায় ৮% এই কোমর্বিড ব্যক্তিসমূহ। মৃত্যুকালে তাঁদের প্রতিরোধক্ষমতা কম হওয়ায় তাঁরা সহজে সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন হয় তো, কিন্তু বীজাণুর বাহুল্য ব্যতিরকে এই সংক্রমণ সম্ভব হত না। সরকারি হাসপাতালগুলি অপরিচ্ছন্নতার জন্য ইতিহাসখ্যাত, এই রাজ্যের বেসরকারি স্বাস্থ্যব্যবসার আড়তগুলিও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসম্মত পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে খুব এগিয়ে নেই, তা এদের শৌচাগারে গেলেই টের পাওয়া যায়। আমরা বাড়িতে রোগির কাছে যেতে যতটুকু স্বাস্থ্যবিধি মানি তার অর্ধেকও সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে মানা হয় কী না সন্দেহ। ... ...
পাঠ প্রতিক্রিয়া ... ...
".... সামান্য তলিয়ে ভাবলেই বোঝা যাবে যে দেশের মানুষরা যে কর্মসূচিগুলি পালন করলেন; পরোক্ষে তা হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পালনীয় ধর্মীয় উৎসবের কিঞ্চিৎ রূপান্তর মাত্র। সর্বোপরি রামনবমীর ঠিক পরেই রাত "নটায়", "নয় মিনিট" আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালানোর প্রসঙ্গ এলে দুর্জনে তো একটু নিন্দেমন্দ করবেই।...." ... ...
দীপেন ভট্টাচার্য’র লেখা নিয়ে সম্প্রতি গুরু’তে আলোচনা, চালাচালি পড়লাম। তার “মাউন্ট শাস্তা” গল্পটি আমি রিভিউ করেছিলাম, ২০১৬ নাগাদ। বিজ্ঞানী/লেখক দীপেন ভট্টাচার্য কে পড়া হয়েছে অবিশ্বাস্য কম। এটা দুর্ভাগ্য। আর সৌভাগ্য হচ্ছে, এতে দীপেন ভট্টাচার্য দ্বিগুণ স্থিতিশীলতায় নতুন নতুন ফর্মের সন্ধান করার অবকাশ পেয়েছেন, কোন বিপুল, চটুল জনপ্রিয়তার দায়ে একমুখী সফল সন্ধান নিয়ে ব্যস্ত থাকেননি। ... ...
"যদি বেঁচে যাও এবারের মতো যদি কেটে যায় মৃত্যু ভয়, জেনো বিজ্ঞান একা লড়েছিল মন্দির মসজিদ নয়" কথা গুলো নিয়ে অনেকের আপত্তি আছে। অনেকে একে ব্লাসফেমি মনে করছে, উদ্ধত্য মনে করছে এই উক্তিতকে। আসলেই কী তেমন মনে করার সুযোগ আছে? আমার মনে হয় না। তবে কথাটা আমার কাছে সম্পূর্ণ মনে হয়নি। বিজ্ঞান একা লড়েছে ঠিক আছে, তবে মসজিদ মন্দির একাই যে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে তা না, লড়াই শব্দটার সাথে যা যা জড়িত সেই সবও তাকিয়ে দেখছে শুধু। কোটি কোটি ডলারের মারণাস্ত্র, নিমিষে দুনিয়া ধ্বংস করে দেওয়ার মত পারমানবিক বোমা, যুদ্ধ বিমান, যুদ্ধ জাহাজ, কামান, গোলা- বারুদ এই সমস্ত কিছুও অকেজো হয়ে পরে রইছে। ... ...
এইটা একটা গল্প। যা আমি ২০১৪ সালে লিখেছিলাম, সম্ভবত জুলাইতে বা তার কিছু আগে। ... ...
আর, দিল্লীর বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হওয়া শুকনো মুখ, বান্দ্রা রেলস্টেশনে পুলিশের তাড়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়া মানুষের চটির স্তূপ, মাঠ-ঘাট পেরিয়ে কাঁধে শিশু নিয়ে হেঁটে চলা মানুষের সারি, গ্রামে ফিরেছেন এই অপরাধে সারি দিয়ে বসে যাঁদের গায়ে ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে ডিসইনফেক্ট্যান্ট…. কোল্যাটারাল ড্যামেজ… আজ না হোক কাল, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটায় আমরা জিতব নিশ্চিত - কিন্তু, এঁরা?? ... ...
করোনা যেমন একদিকে মৃত্যু মিছিল শুরু করেছে, পাশাপাশি নগ্ন করে দিয়েছে আমাদের শিক্ষাকেও। আমরা সমাজের তথাকথিত ভদ্রলোক, আমরা পোষাক পরি, মার্জিত কথা বলি সেটাই আমাদের পরিচিতি। মান আর হুঁশ। কিন্তু ভেতরের নগ্নতাকে ঢাকার মতো পোষাক আমরা এখনো তৈরি করে উঠতে পারিনি। ... ...
করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি টেস্ট RT-PCR টেস্টের সম্পূরক। করোনা ভাইরাস শনাক্ত করার সরাসরি পদ্ধতি হল Reverse Transcription Polymerase Chain Reaction (RT-PCR) । এই পরীক্ষাটি ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের কয়েকটি অংশকে চিহ্নিত করে সেটির উপস্থিতি নির্দিষ্ট করে। পদ্ধতিটি সহজ নয় এবং সেটিকে ব্যাপকহারে ব্যবহার করতে হলে দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। সেই তুলনায় অ্যান্টিবডি টেস্টটি সহজ। তবে অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট তৈরি করতে হলেও উন্নত গবেষণাগারের প্রয়োজন। অন্যদিকে অ্যান্টিবডি টেস্টের ফলাফল সরাসরি সংক্রমণের ব্যাপারে উত্তর নাও দিতে পারে, বরং সংক্রমণ-উত্তর জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতে পারে। ... ...
এক লোক হাটে যাচ্ছিল। রাস্তায় ছেলের শ্বশুর বাড়ি পড়ায় সেখানে একটু ঢুকছে। খালি মুখে আলাপ চলল কিছুক্ষণ। পরে বেয়াই যখন উঠতে যাচ্ছে বেয়াইন তখন বলছে যদি পান থাকতো, নাহয় সুপাড়িটা অন্য কারো থেইকা আইনা দিতাম। কিন্তু চুন-ই তো নাই! সব দোষ হচ্ছে চুনের! আসলে কিন্তু কিছুই নাই। করোনা মোকাবেলা বাংলাদেশের অবস্থা এখন অনেকটাই এমন। কোন পরিকল্পনা খুঁজে পাওয়া যায়নি, নিরাপত্তা সরঞ্জামের তীব্র অভাব, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব। কিন্তু দোষ সব গিয়ে পরছে চুনের ওপরে মানে ডাক্তারদের ঘাড়ে! আসলে আমাদের পান সুপারি ও চুন কোনটাই নাই! ... ...
'সামাজিক দূরত্ব' যদি চা বাগানে কোথাও থেকে থাকে, তাহলে সেটা আছে এখানেই। সঙ্কটগ্রস্ত শ্রমিক আর সুরক্ষিত মালিকের দূরত্ব। ক্ষুধার বাধ্যতা আর লাভের বিলাসিতার দূরত্ব। ১৭৬ টাকার খাদ আর অকশনের পাহাড়চূড়ার দূরত্ব। বেহাল স্বাস্থ্যব্যবস্থা আর মহার্ঘ স্বাস্থ্য পরিষেবার দূরত্ব। করোনার বিপদ নিয়ে অজ্ঞানতা আর সুরক্ষিতভাবে লাভের গুড় খাওয়ার জ্ঞানের দূরত্ব। ... ...