(আমার এ রচনা বিভিন্ন সিঁড়ি নিয়েই। হঠাৎ করেই একদিন অন্যমনায় ছিলাম। সে সময়ে মাথার মধ্যে ছোটবেলার আমাদের বাড়ির এক প্রাচীন আমলের সিঁড়ির নানান ঘটনা ভেসে উঠল অতর্কিতেই। ভাবলাম লিখেই ফেলি। এই নিয়ে গুগুল মামার শরণাপন্ন হতেই দেখলাম - ওরে বাবা, এই সিঁড়ি নিয়েই হয়তো একটা বিরাট রচনা নামিয়ে ফেলা যায়। সারা বিশ্বের নানান সিঁড়ি, সেগুলোর ইতিহাস, সবচেয়ে বড় কথা সেই আদিম যুগ থেকে কতই না পরিবর্তন হয়ে আজকের গতিমান লিফট থেকে এস্ক্যালেটর। আমারই চোখে দেখা কত কিছুই। স্মৃতির মননে ছোট বেলা থেকে কলেজ জীবন পেরিয়ে চাকরি জীবন। সব কিছুর সাথেই জড়িয়ে আছে এই সিঁড়ি।) ... ...
বছরে চারদিন, যাকে ‘অম্বুবাচী' বলে, তাতে অমনি করতে হয়, রান্না করা কিচ্ছু খেতে নেই। কিন্তু একা মা’কেই কেন করতে হবে? দিদা বড়মামীমা কেউ তো এসব করছে না। আবছামত মনে হয় তাইজন্য জিজি গত শনিবারে তিনকিলো আম নিয়ে এসেছিল, আস্তে আস্তে বলছিল ‘তোর মা কিছুতেই শুনছে না, এইসব একেবারে অর্থহীন, তোর বাবা দেখে কষ্টই পাচ্ছে শুধুশুধু'| কিন্তু মা যে মাছ খেতে খুব ভালবাসত, মাংস প্রায় খেতেই চাইত না, কেন ওরা মা'কে মাছ খেতে দিচ্ছে না? আমাদের এখন খুব বুঝেশুনে খরচ করতে হয়, মা বলেছে, তাইজন্য বুঝি? কেউ যদি একটু বুঝিয়ে দিত। আমার মাথার ভেতরে আবার সাত সকালের সব ধোঁয়া ঢুকে যেতে থাকে, আমি দাদুর খাটে শুয়ে ঐ মাঝ বিকেলে অঘোরে ঘুমিয়ে পড়ি। মেরুদন্ড সোজা করে বসে থাকা আমার দাদু, এত গন্ডগোলেও একটা কথাও না বলা দাদু, একইভাবে বসে আস্তে করে ফ্রকটা পায়ের ওপরে টেনে দিয়ে হাতপাখা দিয়ে আমাকে হাওয়া করতে থাকে। ... ...
ছেলেটাকে বলেছিলাম এই সব টিপস এক জায়গায় নিয়ে একটা বই লিখে ফ্যাল। সে ব্যাটা খুব হাসল, তারপর বলল এ সব খুব গোপন বিদ্যে, আর গোপন বিদ্যের কথা কোনও বইতে লেখা যায় না। আমি প্রতিবাদ করায় এক চোখ টিপে ফিসফিস করে বলল, “চুরি বিদ্যের কোনও মেড ইজি বই-এর সন্ধান জানা আছে না কি দাদা ?’’ ... ...
আজকের দিনে বেশ একটা মজার গল্প হয়ে যাক। ... ...
এতকাল জীবনের হারিয়ে যাওয়া পুরোনো গল্পগুলোকে খুঁজে বেড়িয়েছি। আজ পরিচিত জগৎ ছেড়ে একার বর্তমানে এসে বুঝেছি পিছনের দিকে হাঁটার কোনো মানে হয় না। তাই এখন আমি আমার নিজের গল্প নিজে তৈরি করছি, এক মধ্যবিত্তের সাধারণ গল্প। আর সেই গল্প কেবল আমার আর কুড়চির, মা আর ছেলের গল্প। সেই গল্প বাবা-চরিত্র বর্জিত। তবু নিজের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভাবি, তার বাবাকে শাস্তি দিতে গিয়ে কুড়চিকে বঞ্চিত করছি কিনা। ভাবতে গিয়ে ফুঁসে উঠি, সে শুধু অরণ্যের সন্তান নয়, সে যে বনবীথিরও সন্তান। তাই সে সবটা বঞ্চিত হচ্ছে না; তার ইতিহাস, তার পরম্পরার একটা অংশ তার অজানা থেকে যাবে হয়তো। না, তাও তো নয়! সময় হলে তার সামনে আসবে কুড়চি। তারপরের সিদ্ধান্ত হবে কুড়চির নিজের, আর বাকিটা ভবিষ্যতের হাতে। ... ...
একদিন দুজন এসে বাবার রেকর্ড প্লেয়ার আর সমস্ত রেকর্ড নিয়ে গেল, দেড়শো টাকায় বিক্রি হয়ে গেছিল বাবার সংগ্রহের সমস্ত রেকর্ড। ১৬ আরপিএমের একবাক্স রেকর্ড ছিল মোজার্ট ও বেঠোভেনের বিভিন্ন সিম্ফনি। ওয়েস্টার্ন ক্ল্যাসিকাল বাবার বিশেষ পছন্দ ছিল। মা’র অল্প অপরাধবোধ ছিল এই সংগ্রহ বিক্রি করায়, বারেবারেই বলত ‘কে আর শুনবে ওসব।‘ তখনও বাবার অফিস থেকে টাকাপয়সা কিছু পাওয়া যায় নি, এমনকি সমস্ত আনুষ্ঠানিক পদ্ধতি মেনে ও মিটিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতেও সাড়ে তিনমাস সময় লেগেছে। গাড়িটা বিক্রি হওয়ায় খানিক স্বস্তি মেলে। বাবার সেতারও গেল। ভাই তখনো হয় নি,বাবা সেতার বাজাচ্ছে, ইন্দ্র রায় রোডের বাড়ির পেল্লায় উঁচু উঁচু সিলিং ... বাইরের ঘরটা অন্ধকার, জানলার ফাঁক দিয়ে আকাশ থেকে উপছে পড়া জোছনা চেষ্টা করছে ঢুকে আসবার। রাগ রাগিণী কিছুই বুঝতাম না কিন্তু কিছুতেই নড়তে পারছি না সিঁড়ির কোণা থেকে ... চারিদিক থেকে ঝমঝম করে ঘিরে ধরছে সুর আর ধ্বনি, ধ্বনি আর সুর ... খুব আবছা মনে পড়ে। ... ...
(আমার এ রচনা বিভিন্ন সিঁড়ি নিয়েই। হঠাৎ করেই একদিন অন্যমনায় ছিলাম। সে সময়ে মাথার মধ্যে ছোটবেলার আমাদের বাড়ির এক প্রাচীন আমলের সিঁড়ির নানান ঘটনা ভেসে উঠল অতর্কিতেই। ভাবলাম লিখেই ফেলি। এই নিয়ে গুগুল মামার শরণাপন্ন হতেই দেখলাম - ওরে বাবা, এই সিঁড়ি নিয়েই হয়তো একটা বিরাট রচনা নামিয়ে ফেলা যায়। সারা বিশ্বের নানান সিঁড়ি, সেগুলোর ইতিহাস, সবচেয়ে বড় কথা সেই আদিম যুগ থেকে কতই না পরিবর্তন হয়ে আজকের গতিমান লিফট থেকে এস্ক্যালেটর। আমারই চোখে দেখা কত কিছুই। স্মৃতির মননে ছোট বেলা থেকে কলেজ জীবন পেরিয়ে চাকরি জীবন। সব কিছুর সাথেই জড়িয়ে আছে এই সিঁড়ি।) ... ...
উত্তরে যা আমি শুনেছলাম তাতে করে মনে হয়েছিল, মানুষের ক্ষমার গুণ কত অপার হতে পারে। এই নিঃসংশয় তিতিক্ষা আজকের পৃথিবীতে কতটা জরুরি। কতটা জরুরি সামন্তদাদু আর ভানুঠাকুমার মতো উদারতা আর শিক্ষিত মন। মানুষের অন্তর্গত স্বভাবের উচ্চতা যা সব কুশ্রীতাকে, সব সংকীর্ণতাকে মুছে ফেলতে সক্ষম – সেই সম্ভাবনা আজও যেন কোথাও কোথাও ক্ষীণভাবে প্রজ্জ্বলিত। ... ...
নিজের জীবন থেকে তুলে এনেছি কতো যে ঘটনা ... ...
কিছু অন্যায় করে ফেললাম নাকি, স্যার? একটা মানুষখেকো বাঘ, কিংবা একটা হাঙর সারা জীবনেও অতো মানুষ খেতে পারে না স্যার, এই ক বছরে আপনি যা খেয়েছেন। ... ...
(আমার এ রচনা বিভিন্ন সিঁড়ি নিয়েই। হঠাৎ করেই একদিন অন্যমনায় ছিলাম। সে সময়ে মাথার মধ্যে ছোটবেলার আমাদের বাড়ির এক প্রাচীন আমলের সিঁড়ির নানান ঘটনা ভেসে উঠল অতর্কিতেই। ভাবলাম লিখেই ফেলি। এই নিয়ে গুগুল মামার শরণাপন্ন হতেই দেখলাম - ওরে বাবা, এই সিঁড়ি নিয়েই হয়তো একটা বিরাট রচনা নামিয়ে ফেলা যায়। সারা বিশ্বের নানান সিঁড়ি, সেগুলোর ইতিহাস, সবচেয়ে বড় কথা সেই আদিম যুগ থেকে কতই না পরিবর্তন হয়ে আজকের গতিমান লিফট থেকে এস্ক্যালেটর। আমারই চোখে দেখা কত কিছুই। স্মৃতির মননে ছোট বেলা থেকে কলেজ জীবন পেরিয়ে চাকরি জীবন। সব কিছুর সাথেই জড়িয়ে আছে এই সিঁড়ি।) চেনা যাচ্ছে ? সিঁড়ির ধাপ নিয়ে কি অসাধারণ বর্ণনা। গল্পগুচ্ছে’র প্রথম গল্প। ঘাটের কথা’। এটি প্রকাশিত হয় ভারতী পত্রিকার কার্তিক ১২৯১ সংখ্যায়। পল্লীগ্রামের একটি সাধারণ মেয়ের সারাটা জীবনকে রবীন্দ্রনাথ কি অসম্ভব নিপুনতায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন। ... ...
বাস থেকে নেমে হেঁটে আসার সময়ে রাস্তাটা দেখতে দেখতে এলাম – যদি চাবিটা দেখতে পাই। বাড়ির যত কাছাকাছি আসছি তত বুক ঢিপঢিপানি বাড়ছে। গেট খুলে সিঁড়ি দিয়ে উপরে এসে দেখলাম দরজা বন্ধ এবং শুধু ছিটকিনি দেওয়া, নো তালা। এবার কী দেখব ভেতরে গিয়ে ? কাঁপা হাতে ছিটকিনি খুলে ঘর যেমন রেখে গেছিলাম তেমনি রয়েছে, আর তালা এবং চাবি যেখানে থাকার কথা সেখানেই তারা শোভা পাচ্ছে। আহা, তখন যে ঠিক কেমন অনুভূতি হয়েছিল সেটা বোঝানো আর ‘পাউরুটি আর ঝোলা গুড়ের’ কম্বিনেশন কেন ‘সবার চাইতে ভাল’ সেটা ব্যাখ্যা করা একই রকম কঠিন কাজ। ... ...
আর দ্যাখো, গলায় গামছা বাঁধা ফ্যান থেকে ঝুলন্ত সমুদ্রগুপ্তের মুখের দিকে প্রথমে আমার চোখ পড়ল না! আমার নজর গেল কিনা তার পায়ের অ্যাসিডে পোড়া বুড়ো আঙুলের দিকে? ও কি আমাকে বলতে চাইল – দ্যাখো, আমি কিন্তু তোমার কাছে পরীক্ষা দিয়ে দিয়েছি? অথচ মুখে তো ওর স্বভাবসুলভ লাজুক হাসিটা নেই? বরং ঘাড় বেঁকে গেছে, চোখ বিস্ফারিত ও দৃষ্টিশূন্য। সারা মুখে কেমন একটা ছাপছাপ কালচে দাগ। ... ...
আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল যখন জানতে পারলাম আমায় মোটর বাইক চালিয়ে বাড়ি নিয়ে যাবেন সেই প্রথম ভদ্রলোক যিনি একের পর এক কমলা রঙ-এর গ্লাস খালি করে চলেছেন এবং ওনার কথাবার্তাও আমার একটু ইয়ে ইয়ে লাগছে। আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম আজ কিছু একটা ঘটবে। ওনার চেহারা খুব ভাল, জানালেন পাওয়ার লিফটার না ওয়েট লিফটার কিছু একটা ছিলেন এক কালে। হেলমেট টেলমেট নেই। খুব ভয়ে ভয়ে পিলিয়ন রাইড করতে উঠে দেখলাম, ওনার গলা কাঁপলেও হাত স্টেডি। রাত প্রায় সাড়ে এগারটায় আমায় বাড়ির দরজায় নামিয়ে উনি ফিরে গেলেন। ... ...
আমি তো এসেছি হারিয়ে যাওয়া গল্প খুঁজতে। তার ভেতর কেমন পাশ কাটিয়ে এর ওর ফাঁক গলে এই গল্পটা ঢুকে পড়েছে।তা পড়ুক, ওকে আমার দরকার নেই তেমন, তাই ওকে ফসকান্তি করে সরিয়ে দিলাম। দরকার হলে আবার টেনে আনলেই হবে। পিসির বাড়ির বার দরজায় দাঁড়িয়ে গল্পটার আগের অংশটা ঝালিয়ে নিলাম। সেই যে এক মধুসূদনটাইপ মামা আমার সারাজীবনের ভয় ভাঙালেন, তারপর আমি একেবারে বাঁধা গরু ছাড়া পেলাম যেন। ... ...
ভোটের ফলাফল বেরোনোর সময়ে আমি আর তথা সন্ধ্যা আর রাতের দিল্লি ঘুরে ঘুরে মানুষজনের প্রতিক্রিয়া দেখছিলাম। দোকানে, রাস্তায়, বাড়িতে লোকে রেডিও টিভি খুলে বসে আছে। চায়ের দোকানে দোকানে উত্তেজিত আলোচনা চলছে, রাস্তার লোকেরাও অনেকে ক্রিকেট কমেন্টারি শোনার মত কানে রেডিও নিয়ে ঘুরছে। জনপথে কোনও এক ভিআইপির বাড়ির সামনে রক্ষী রেডিও শুনছিল, তার সামনে কোমরসমান উঁচু বালির বস্তার সারি, তার ওপর বন্দুক রাখা। আমরা নতুন কিছু শোনার আশায় দাঁড়িয়ে গেলাম। রক্ষী রেডিওর ভল্যুম কমিয়ে গম্ভীরভাবে আমাদের চলে যেতে বলল, ওখানে দাঁড়ানো নিষেধ। ... ...
জ্যোৎস্না নামের আলেকিত – সুরভিত সুষমায় মনে হয়েছে বরাভয়দানকারী আনন্দময় এক অস্তিত্ব আমাদের এই মরজগত ছাড়িয়ে ছড়িয়ে আছে হয়তো আকাশে আকাশে। আর গহন অন্ধকারের নিকষে নক্ষত্রখচিত আকাশ ও মাঠঘাটের ভেতর অন্ধকারের কায়ারূপী এক দেবি রয়েছেন বুঝি, যিনি কঠিন, তবে মাটি ফুঁড়ে যেভাবে ফল্গু উৎসারিত, সেভাবেই তার বুক ফুঁড়ে আলোর ঝরণা ঝরে পড়ছে নিরন্তর। ... ...
(আমার এ রচনা বিভিন্ন সিঁড়ি নিয়েই। হঠাৎ করেই একদিন অন্যমনায় ছিলাম। সে সময়ে মাথার মধ্যে ছোটবেলার আমাদের বাড়ির এক প্রাচীন আমলের সিঁড়ির নানান ঘটনা ভেসে উঠল অতর্কিতেই। ভাবলাম লিখেই ফেলি। এই নিয়ে গুগুল মামার শরণাপন্ন হতেই দেখলাম - ওরে বাবা, এই সিঁড়ি নিয়েই হয়তো একটা বিরাট রচনা নামিয়ে ফেলা যায়। সারা বিশ্বের নানান সিঁড়ি, সেগুলোর ইতিহাস, সবচেয়ে বড় কথা সেই আদিম যুগ থেকে কতই না পরিবর্তন হয়ে আজকের গতিমান লিফট থেকে এস্ক্যালেটর। আমারই চোখে দেখা কত কিছুই। স্মৃতির মননে ছোট বেলা থেকে কলেজ জীবন পেরিয়ে চাকরি জীবন। সব কিছুর সাথেই জড়িয়ে আছে এই সিঁড়ি।) ... ...
আসন্ন ভূত-চতুর্দশী, মাকালীর আরাধনা ও দীপাবলির অগ্রিম প্রীতি, শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানাই সকলকে। ভূত-চতুর্দশীতে ভূতেরা সত্যিই কী চতুর হয়ে ওঠে? এবং সেই কারণে তাদের দোষী সাব্যস্ত করে তিথিটাকে ভূত-চতুর্দশী বলাটা ঠিক হয় কি? এই গল্পটি পড়ার পর আপনাদের এ বিষয়ে একটু ভেবে দেখতে অনুরোধ করবো। শব্দহীন হোন। আলোকময় হোন - খুব ভালো থাকবেন, প্লিজ। ... ...