সেই পুরোনো লোক, আম্বেদকর। সেই পুরোনো দল, আরএসএস। নতুন সাল, ২০১৬। নতুন মতামত — ‘মেলাবেন, তিনি মেলাবেন’। ২০১৬-র এপ্রিলে সে-ই অর্গানাইজার-এরই সংখ্যায় প্রচ্ছদ হল — “Ultimate Unifier”। সঙ্গে ছবি — না, মৈত্রেয় বুদ্ধের নয় — আম্বেদকরের। স্তুতির বন্যা বয়ে গেল। ‘গোটা দেশকে জুড়ে রাখার ফেভিকল তিনি সাপ্লাই করেছেন’ থেকে শুরু করে, ‘ব্রাহ্ম-প্রার্থনা-আর্য – সমস্ত সমাজের ভাল ব্যাপারগুলোই তাঁর চিন্তাধারায় বর্তমান’ হয়ে, ‘মোটেই তিনি ব্রাহ্মণদের বিরুদ্ধে ছিলেন না, ব্রাহ্মণ্যবাদের শ্রেণীবিভাগের বিরোধী ছিলেন’ পর্যন্ত। ... ...
১৯৩৪ সালে উপন্যাসের শুরুতেই নায়কের ভূমিকায় 'বঙ্গ ব্যায়ামাগারে'র প্রতিষ্ঠাতা আলোকনাথ সেনের চরিত্র অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। "পায়ের ধূলো" নামে উপন্যাসটি লিখেছিলেন "আবার যকের ধন"-খ্যাত হেমেন্দ্র কুমার রায়। বার্মিংহামে সদ্য কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়ন অচিন্ত্য শিউলি, তাঁর দাদা অলোক বা আট বছর আগে গ্লাসগো কমনওয়েলথে আর এক সোনাজয়ী সুখেন দে-র রোমাঞ্চকর কাহিনীর সূত্রেই আজ থেকে ৮৮ বছর আগে লেখা হেমেন রায়ের এই রচনার কথা মনে পড়ে যায়। উপন্যাসের নায়ক আলোকনাথের মতো চরিত্র কিন্তু মোটেও কাল্পনিক নয়। বাংলা ও বাঙালির অবক্ষয় এখন সর্বস্তরে। তবু তারই মধ্যে কেউ কেউ নেহাত ব্যতিক্রম হিসেবে নিজের উদ্যমে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অচিন্ত্য বা সুখেনের মতো দেশের পতাকা সবার উঁচুতে তুলে ধরে প্রচারের আলোয় উঠে আসেন। আমাদের তখন স্মরণ করা দরকার, একদা বাংলার ঘরে ঘরে দেশ বিদেশ কাঁপিয়ে দেওয়া এমন পালোয়ানের কোনও অভাব ছিল না। সাহসে, বীর্য্যে, সহ্য ক্ষমতায় ও আত্মরক্ষার শক্তিতে বাঙালি যুবকদের বাহুবলে বলীয়ান করে তুলতে পাড়ায় পাড়ায় তখন 'বঙ্গ ব্যায়ামাগারে'র মতো জিমন্যাস্টিক ও কুস্তির আখড়া গড়ে উঠেছিল। বাংলা তার শরীরচর্চার সেই ধারাটি বজায় রাখতে পারলে এবং সেই সব ব্যায়ামাগার থাকলে হাওড়ার অষ্টম দাসকে আর মরচে ধরা সরঞ্জাম নিয়ে গাছতলায় অচিন্ত্যের মতো যুবকদের অনুশীলন করাতে হত না। আর কীর্তিমান সেই পালোয়ানদের যোগ্য উত্তরসূরিরা থাকলে এশিয়াড, কমনওয়েলথ বা অলিম্পিকসে সোনার মেডেলের ভিড়ে বাংলার সিন্দুক ভরে উঠত। সেকালের শৃঙ্খলা, নীতিবোধ, দেশপ্রেম আর সাহস থাকলে আজকের সমাজও এমন মূল্যবোধহীন দুর্নীতির পাঁকে ডুবে যেত না। ... ...
সেমিস্টারের পরীক্ষা যদি জুজু হয়, তবে কেমন হয় আষাঢ় শেষের বেলা? এই লেখা তাই মিশে যায় পরীক্ষার শেষে সব ফিরে আসা পথের সাথে। ... ...
খবরে জানা গেছে, অঙ্কের এক অধ্যাপক রিচার্ড ফাইনম্যানকে 'উজবুক' বলায় পাশের পাড়ার পদার্থবিদ্যার ২ ছাত্র এসে তাঁকে বেধড়ক পেটায় ও তারপর তাঁর গলা কেটে নেয়। ... ...
সম্পর্কে আসা-যাওয়া ব্যাপারটা বড় স্বাভাবিক। তাই নতুনদের ভিড়ে পুরনো অনুরাগীরা চাপা পড়ে যায়। ও অভিমান আসে তেমনই । যেমন গুলজার সাব লেখেন,“খতা উনকা ভি নহী ইয়ারো ওহ ভী ক্যেয়া করতে / বহুত চাহনে ওয়ালে থে কিস কিস কো বফা করে…” ... ...
স্মৃতি ঝাঁপটাতে ঝাঁপটাতে যেটুকু উঠে আসে। পাড়া, ছেলেবেলা, আত্মজন সব মিশে যায়। শুধু পরে থাকে প্রথম ঈপ্সা কে ফিরে পাওয়ার স্মৃতি লেখা.. ... ...
সোভিয়েত দেশের শেষ নাগরিক ও টাইম-ট্রাভেল ... ...
কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ... ...
২০০৬ এ যখন আমার এইচ আই ভির কথা জানাজানি হয়ে গেল এবং ঘরে বাইরে নানারকম ভাবে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছিল দাঁতে দাঁত চেপে তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমাকে ভালো থাকতে হবে। লোকের মধ্যে ভুল ধারণাগুলো ভাঙতে হবে। ২০১১ সালে এই পোস্টারটা তৈরী করেছিলাম, আমার এখনকার অফিস থেকে। HIV নিয়েও সুস্থ সবল স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়, প্রচারের উদ্দেশ্যে। ... ...
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ১০০ দিন ছাড়াল। যুদ্ধাবসানে শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা ক্ষীণ। ইউক্রেনের সেনানী ইউরোপে গিয়ে সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউক্রেনকে আর ফ্রান্স পাঠাতে শুরু করেছে স্বয়ংক্রিয় সিজার হাউইৎজার কামান। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনকে পশ্চিমি সামরিক সাহায্য আগুনে ঘি ঢালছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। কিন্তু যাবতীয় অশান্তি এবং বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা ছড়ানোর মুলে তো গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আচমকা রুশ আগ্রাসন। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কালো হাত গুঁড়িয়ে দিতে অভ্যস্ত কলকাতা রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পথে নামেনি। যদি নামত তাহলে রোজকার চায়ের সঙ্গে পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে, গোপালদার চায়ের দোকানের ঠেকে বা বাড়ির বৈঠকখানায় বসে নিরীহ মারি বিস্কুট চিবানো বোধহয় সহজ হত না। তখন হয়ত রুশ দূতাবাসের সামনে জনতার বিক্ষোভে স্লোগান উঠত "বয়কট মারি বিস্কুট।" সাদামাঠা মারি বিস্কুটের সঙ্গেই যে জড়িয়ে রয়েছে রুশ রাজকীয় দম্ভের ইতিহাস! ... ...