অধ্যাপক ধীরেশ ভট্টাচার্য, বাবু কমলকুমার মজুমদার, খালাসিটোলার 'আইকন' কালী সাহা মশাই আর শিল্পী সুনীলমাধব সেন --- সবাইকে নিয়ে চলেছেন জন্মখ্যাপা শক্তি, যেন আতাচোরা পাখিটি। ... ...
১৮৮২ সালে শুধু সাহেবদের জন্যে দার্জিলিঙে তৈরি হয় ইডেন স্যানেটোরিয়াম। এখানে সেই "ইন্ডিয়ানস অ্যান্ড ডগস ক্যাননট এন্টার"-এর গল্প। কুকুরদের প্রবেশাধিকার ছিল কিনা জানিনা। কিন্তু এ স্যানেটোরিয়ামে নেটিব ভারতীয়দের প্রবেশাধিকার ছিলনা, সেটা ঘটনা। কারণ গল্পকথা এই যে কুচবিহারের মহারাজ নৃপেন্দ্র নারায়াণের মতন লোকের এখানে ঢুকতে বাধা পেয়ে নীলরক্ত টগবগিয়ে ওঠে। ... ...
অমর, আকবর ও অ্যান্টনি ... ...
তখন পুলুর কচি বয়েস তখন পুলু ছাত্র খাতার মধ্যে স্বপনকুমার স্বপ্ন শুরু মাত্র... ... ...
মানুষের ইতিহাসে সবচেয়ে বৈপ্লবিক চিন্তা হল কৃষিকাজ। অল্প সময়ে অনেক উৎপাদন, অনেক মুনাফা, অনেক অবসর এবং বিনোদন-কলার ক্রমবিকাশ। মূলধনের উদ্ভব, প্রতিযোগিতা, শ্রেণীবিভাজন। এর সবটাই মানুষ-কেন্দ্রিক। এখানে অন্য কারও কথা, ভালো করবার কথা, ভাবার অবকাশ নেই, অন্তত সেই সেদিনের মানুষ ভাবেনি। সে প্রকৃতিকে পুজো করেছে কিন্তু ওই পর্যন্তই। তার মনস্তত্ত্ব আলাদা। কিন্তু ওই যে অ্যাটম বম্ব ইত্যাদি, এসবই অনেক আধুনিক ব্যাপার। অপরকে পরাজিত করে নিজের বংশগতির ক্রমবিকাশ, প্রতিটি স্পিসিসই করতে চায়, চেয়েছে। আন্তঃপ্রজাতিক ও অন্তঃপ্রজাতিক লড়াই ঝগড়া, একদম প্রথম দিন থেকেই ছিল। ... ...
আবার সব খুলতে শুরু করেছে ... ...
মনোবিদরা বলেন, ধর্ষণে আর যাই হোক যৌন পরিতৃপ্তি ঘটে না। অর্থাৎ sexual pleasure ধর্ষণে পাওয়া যায় না। তাহলে ধর্ষণ কেন হয়। ... ...
আমি এক ঝটকায় সব ছেড়ে দিলাম। সোজা আব্বার পাশে। শুরু হল আমার সংগ্রাম। আমার মনে হয়েছে আমি লোক রেখে আমার মন মত সেবা আমার বাবাকে দিতে পারব না। আমার মনে হয়েছে এখন আমার বাবা উনার পাশে উনার কাছের একজনকে খুঁজবে। এখানে বলে রাখা ভাল যে আমার মা মারা গেছেন ২০১২ সালে। এবং তখন থেকেই আমি বুঝতেছিলাম যে আমাদের এই বিশাল ভাই বোনের পরিবারে আমি আর আমার বাবা এখন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। দুইজনই ব্যাচেলর। সবাই যার যার সংসারের নানান সমস্যায় জর্জরিত। তাদের চিন্তার, তাদের কাজের সেন্টার অফ গ্রেভেটি পরিবর্তন হয়ে গেছে। তাদের বৃত্তের কেন্দ্র এখন আমার বাবা না। সন্তান, স্বামী তারপরে হয়ত শ্বশুরবাড়ি তারপরে আব্বা। কাজেই চাইলেও তারা পারবে না পুরোপুরি সময় দিতে। কাজেই এ কাজ যে আমার তা আমি পরিষ্কার বুঝতে পারেছিলাম। ... ...
কলকাতা শহর এথেন্স বিশেষ। বুদ্ধিজীবীর সন্ধান মিলত দেশপ্রিয় পার্ক তথা রাসবেহারীর ফুটপাতে নিয়ত। দু দশক আগেও। বুলেভার্ডে সবুজ গাছে লাল থোকা ফুল, শরত এসে গেল! বস্তুত, উনিশ শতক যদি উত্তরের মননে ধরা দেয়, বিশ শতক দক্ষিণের। তো, এ হেন কলকাতায় পথচলতে প্রায় ধাক্কা-মেরে-চলে-যাওয়া অটোর মতোই চলে গেছেন বুদ্ধিজীবীরা। কানা ঘেঁষে। বার্লিনে মেঘ করলে, জল ঝড়েছে ফার্ন রোডে..দিনরাত্তির.. দেবর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নতুন কলামে এবারে ধরে রাখবেন, সেসব স্মৃতি, সত্তা ও ভবিষ্যৎ। যা দু দশক পেরিয়েও, পুরোনো বই দোকান ও প্রবীণ নাগরিকের স্মৃতি হাতড়ে তিনি খুঁজে পান; হরপ্পা সভ্যতা। বলবেন, যে সব বিচিত্র মানুষদের দেখেছেন তিনি, তাঁদের নিয়ে। যারা যতটা পাড়ার ততটাই দুনিয়ার..এই মাত্র ফুটপাতের বই তুলে নিয়ে ঘাটছিলেন, একটু পরেই তাঁকে দেখা যাবে কন্সতানতিনোপলের সদর রাস্তায়..এ বাঙালির ভবানীপুর ছিল। রাজারহাট ছিল না। স্বপ্ন ছিল। টাকা ছিল না। সত্তরকে নব্বইয়ের প্রজন্মর এই আকুল খোঁড়ার পিছনে কি রয়েছে? ফ্যাসিবাদের হাওয়ার হিউমিলেয়াশান? নাকি পোস্ট-ট্রুথ ডিস্টোপিয়া? চল্লিশ বছরের অন্ধকারের ব্যবধানে ক্রাইসিস কি মেলাচ্ছে আবার দুটো প্রজন্মকে? ... ...
এক একদিন আমি করি কি, একটা খাপলা জাল নিয়ে কবি ধরতে বেরোই। ভালো ভালো কবি ধরি। আমার একটি বিকাশবাবু আছে, সে শুধু বাড়িগুলো চিনিয়ে দেয়। বাকি কাজ মনোহর করে। আর তাতে আমার পয়সাও লাগে না। ... ...
বাবরি মসজিদ ভাঙার জন্য যখন দাদামশায়ের ডাক এলো তখন ওনার মন প্রস্তুত ও শরীর অশক্ত। কিন্তু তাঁর ছিল ইচ্ছামৃত্যু। ফলে দেশের জন্য দায়িত্ব দায়িত্বপালনে অধীর হয়ে তিনি বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায় করলেন। দেহের মৃত্যুর ফলে তিনি জরা-ক্লেশ মুক্ত হলেন ও বিদেহী অবস্থায় অযোধ্যার উদ্দেশ্যে উড্ডীন হলেন। ... ...
lekha ... ...