পোস্টঅফিসের পিওন ছিলেন । হে পাঠক আপনি কি পিওনের কাজ করে কবিতা লিখেছেন ? ... ...
কলমকে স্বাধীনতা দিলে তা মগজের নির্দেশ মানতে চায়না ... ...
ফিল নাইট আর বিল বাওয়ারম্যান ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্টা করেন “ব্লু রিবন স্পোর্টস”। একবার ভেবে দেখেছেন এত কিছু থাকতে ‘রিবন’ কথাটা তাঁদের কোম্পানীর নামে ঢুকল কেন? মনে পড়ছে উনাদের কাছে করা ধীরুভাইয়ের সেই লাল-ফিতের চক্করে বিজনেসের লাইসেন্স পড়ে থাকার কথা? প্রায় সাত বছর “ব্লু রিবন স্পোর্টস” নাম নিয়ে কোম্পানী চলার পর, বিল আর ফিল ঠিক করলেন মার্কেটিং এর জন্য নাম চেঞ্জ করে এমন এক নাম রাখবেন যে তা সবাই সহজে উচ্চারণ করতে পারে। ভাবতে বসলেন তাঁরা – মনে এসে গেল সেই ধনেখালির দিন গুলির কথা যেখান থেকে তাঁদের সত্যিকারের টেক্সটাইল প্রীতির শুরু। মনে এল সেই অমিমাংসিত রহস্যের শব্দবন্ধের কথা ‘নাকি’! ততদিনে ‘নাকি’ টা ঠিক উচ্চারণ করতে পারলেন না – সেই ‘নাকি’ থেকেই এল নাম ‘নাইকি’-র! বাকিটা ইতিহাসটা আপনারা সকলেই জানেন – ... ...
যে কবি নিজে প্রেসে গিয়ে হরফ সাজাতেন, নিজের চাষবাস নিজেই করতেন ... ...
১৯১৯ এর ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের গুজরানওয়ালাতে (হ্যাঁ, এই জায়গাটি ইদানিং বিলেতের অধুনা বিখ্যাত 'ভারতীয়' প্রধানের পূর্বপুরুষের ভিটের জন্য পরিচিত হয়ে উঠেছে) জন্মেছিলেন অমৃতা। চলে গিয়েছিলেন আরেক ৩১ এ, ২০০৫ এ। ঠিক গত পরশু দিনই। ৯৬ বছরের ইমরোজ আজও জীবিত। দিল্লিতে সেই ছোট্ট ফ্ল্যাটের পরিসরে, একান্ত নিজস্ব এক অমৃতাকে ঘিরে বাঁচেন তিনি। কবি -লেখিকা - নারীবাদী আইকন অমৃতা হিসেবে পাঠক-ভক্তের মধ্যে অনির্বাণ রইলেও ইমরোজের সমগ্রতায়, ইমরোজের ফ্ল্যাটের অসংখ্য ছবিতে রয়ে যাওয়া অমৃতা আসলে ছিলেন এক প্রাণবতী ঝর্ণা। যে নির্ঝরের সকল অভিমুখে উপলসম বুক পেতে অনিঃশেষ প্রেম নিয়ে ৭টি দশক ধরে অবিচল হয়ে আছেন ইমরোজ, আজও রোজ…। ... ...
মেঘনাদ সাহা চমৎকৃত বাঘা যতীনের কথা শুনে। এই ফলসার রঙ এবং বাঘের গড়াগড়ি খাওয়া তাঁর পরবর্তী গবেষণা জীবনে অনেক প্রভাব ফেলবে। রঙ এবং তাদের স্পেকট্রাম নিয়ে তাঁর ভলোবাসার শুরু সেই বাঘাদার গল্পের হাত ধরেই বলতে গেলে। এর অনেক পরে নক্ষত্র থেকে বিচ্ছুৎ রশ্মি নিয়ে যে যুগান্তকারী গবেষণা করবেন – কি স্পেকট্রা থেকে কি রঙ জুড়ে আছে সেই সব তিনি ডিকোড করবেন ধীরে ধীরে। এই নিয়ে পরে লিখছি, তবে এটা বলে নিই, সেদিন ফলসার রঙ, ওই যে বেগুনী, বাদামী, হালকা নীল – এই সব মিশে থাকা – এটা তাঁকে এর আকৃষ্ট করেছিল যে রশ্মির মুগ্ধতা থেকে আর বেরুতে পারেন নি। ... ...
ফিরিয়ে আনলুম 'আবার এসেছি ফিরে' পত্রিকার সম্পাদক মশায়কে যিনি করোনায় মারা গেছেন ... ...
সমীর রায়চৌধুরী সম্পর্কে দুচার-কথা ... ...
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের প্রেমের কবিতাগুলোর কেন্দ্রে যে যুবতী ... ...
মামা শুধু গল্প বলত এমন না। মামা গল্প বলার সময় তা পরিবেশন করত। চোখ, মুখ, হাত পা, কণ্ঠস্বর সব মিলিয়ে গল্প বলত মামা। ক্লাইম্যাক্সে যাওয়ার আগে থামত চোদ্দবার, আরও কয়েক দিক থেকে গল্পটা বুঝাত, পরিস্থিতিটা বর্ণনা করতেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি পরিষ্কার না হচ্ছেন যে আমরা পুরোপুরি বুঝছি কী পরিস্থিতি ছিল সেই সময়, অন্ধকার কত গাঢ় ছিল, বাতাস কেমন ছিল, উনার ঠিক কত সামনে ঘন কালো পাহাড়ের মত কী জানি একটা দাঁড়িয়ে আছে, ওইটা দেখে উনি তাৎক্ষনিক কী চিন্তা করলেন, তারপর কী করলেন ইত্যাদি ইত্যাদি তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বর্ণনা করে, হাত নেড়ে, গলার স্বর উঠিয়ে নামিয়ে আমাদেরকে পরিষ্কার বুঝিয়ে দেওয়ার পরে তিনি যেতেন পরের ধাপে। এরপরে কী হইল শোনো...! ... ...
বাঙালি কি সত্যিই আত্মবিস্মৃত জাতি? গতকাল ভোরে ৮৭বছর বয়সে একদম নীরবে চলে গেছেন বিজ্ঞানী আদ্যন্ত প্রচারবিমুখ মানুষ, গবেষক-জনস্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসক দিলীপ মহলানবীশ। তাঁর আজীবনের সমস্ত অবদান কেবল ছোট্ট একটা অবিচুয়ারি হয়েই থেমে গেছে আজকের সব সংবাদমাধ্যমের হেডলাইনে। কাল বা আজ খুব সংক্ষিপ্ত কিছু স্মৃতিচারণ ছাড়া কোথাও তাঁর কথা কোন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়নি..। গোটা পৃথিবী নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাথা ব্যথা হলেও, কোথাও নেই ডাক্তার দিলীপ মহলানবীশের একটুকরো ছবিও। বিজ্ঞানী হেমেন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি অনেক আগেই ডুবে গেছেন বিস্মৃতির ধুলোয়, ডাক্তার দিলীপ মহলানবীশকেও কি ভুলে যাব আমরা এভাবেই? ... ...
এমন খবরের আগমনী নানা জায়গায় নানা সুরে বাজে, কিন্তু বস্তুত তার শরীরটি এই তিন শব্দেই গড়া, সর্বত্র - তিনি আর নেই। জানান দিয়ে, সে ইতস্তত করে একটু, দাঁড়ায়। চারদিক দ্যাখে, মাটি দ্যাখে, আর সবশেষে মানুষ দ্যাখে। ওই, দূরে দাঁড়িয়েই। কাছে এসে, ঝুঁকে পড়ে খবরের চ্যানেলের মতো জিজ্ঞেস করে না, "আপনার প্রতিক্রিয়া কী এতে?" ... ...
আজকে শিক্ষক দিবসে ... ...
সেবারে ইংল্যান্ড এসে প্রশান্ত মহলানবীশ গেলেন রামানুজনের সাথে দেখা করতে কেমব্রীজে, তখন ১৯১৯ সালের শেষদিক। রামানুজনের স্বাস্থ্য তখন ভেঙে পড়েছে – শরীর খুব একটা সুবিধার নয়। পরের বছরেই মারা যাবেন তিনি। কিন্তু অঙ্ক নিয়ে মেতে থাকলেই তিনি ভালো থাকেন বলে ডাক্তারে সেই নিয়ে আর নিষেধ করেন নি। প্রশান্ত মহালনবিশও ভাবলেন হাওড়া ব্রীজের সমস্যাটা শুনিয়ে যদি রামানুজন-কে চিয়ার আপ করা যায় একটু। খুব মন দিয়ে শুনলেন ব্যাপারটা রামানুজন – বললেন, “আমাকে দুদিন সময় দাও প্রশান্ত। খুবই ইন্টারেষ্টিং এটা”। ... ...
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে কিছু কথা মনে এসে গেল। ... ...