কৈশোর যৌবন বার্ধক্যের ... ...
বার বার নিজেকে বোঝাই, আজীবন সারথি জয়ীকেও একই কথা বলি, মার মৃত্যুর জন্য ভেতরে ভেতরে আমরা প্রত্যেক ভাইবোন প্রস্তুত ছিলাম, জীবনের মতো মৃত্যুও অনিবার্য! তবু চোখ মুছলেও যেন কান্না মোছে না।... ... ...
সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের সমস্যা অন্য রকম। মাত্র চল্লিশ বছরের পুরনো এই ব্যাঙ্কে আপনার আমার মতন সাধারণ নাগরিক খুব সামান্য টাকা রেখেছিলেন, মোট অঙ্কের দশ শতাংশও নয়। সেখানে যারা বৃহৎ অঙ্কের ডলার জমা রেখেছেন তাঁরা ব্যাংকিং জগতে হালে আবির্ভূত এক প্রজন্ম – এঁরা উদ্যোগী মূলধনের সরবরাহকারি – ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট। টাকার প্রকাণ্ড পোঁটলা নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন, আপনার আমার পাড়ায় নয়, সেই সিলিকন ভ্যালিতে যেখানে টেক জগতের অনেক উজ্জ্বল তারকা কিছু না কিছু নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন – তাঁদের মাথায় বুদ্ধি আছে, একটা দুর্দান্ত কিছু বানানোর পুরো ব্লু প্রিন্ট আছে। নেই শুধু অর্থ। তাঁদের মধ্যে কেউ না কেউ একদিন বিল গেটস হয়ে উঠবেন – এই উদ্যোগী মূলধনের মালিক আজকে তাঁদের শেয়ার সস্তায় কিনে নিয়ে অগ্রিম অর্থ সাপ্লাই করছেন। আশা রাখেন এই টেক তারকারা একদিন এমন কেরামতি দেখাবেন যে সে শেয়ারের দাম লক্ষ ডলার হবে। অবশ্যই দশ জন উদ্ভাবকের মধ্যে দু চার জন এলিজাবেথ হোমসের মতন টোটাল ফ্রড হবেন (উনিশ বছরে স্ট্যানফোরডের ড্রপ আউট এই বালিকা নয় বিলিয়ন ডলার মূল্যের কোম্পানি বানিয়ে ফেলেছিলেন - এক ফোঁটা রক্ত থেকে ১৮০ রকমের টেস্ট করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে - এখন হাওয়ালাতে আছেন) তাতে কি? জুয়ার সব দান সমান হয় না, তাহলে তো সব খিলাড়ি রকিফেলার হয়ে যেত ... ...
আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই হয়তো লিখিত বা অলিখিত এমন কেউ থাকেন যাকে প্রকাশ্যে আনার দরকার নেই, ভেতর কুঠুরি দখল করে থাকুক মস্ত সে রাজকুমার... ... ...
রেবা রায়চৌধুরীর কাজ ... ...
ঝুরো গল্পের সংকলন প্রকাশ করতে চাই ... ...
সত্যিকারের যুদ্ধই ধরুন। এই এখন একটা যুদ্ধ চলছে। রাশিয়া বনাম ইউক্রেন। সেখানে সৈন্যের অভাব বলে, উভয় পক্ষই প্রাপ্তবয়স্কদের ধরে বাধ্যতামূলকভাবে যুদ্ধে নামিয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক মানে, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ। মহিলা নয়। কারণ, যুদ্ধ হল সিরিয়াস বিজনেস, সত্যিকারের 'খুনে-মানসিকতা' চাই। সেখানে মেয়েদের জায়গা নেই। আমেরিকায় এই বাধ্যতামূলক যুদ্ধে নামানোর পদ্ধতিটাকে বলে ড্রাফট। যেই আঠারো বছর হল, সমস্ত ছেলেকে সেনাবাহিনীর কাছে নাম লেখাতে হবে, যাতে দরকার হলেই তারা ডেকে নিতে পারে। মেয়েদের এটা করতে হয়না। বিশ্বের যে কটি দেশে এই বাধ্যতামূলক ড্রাফট আছে, তার মধ্যে হাতে-গোণা এক-আধটিই মেয়েদের ডাকে। বাদবাকি পুরোটাই ব্যাটাছেলেদের রাজত্ব। সত্যিই যদি যুদ্ধ বাধে, যেমন বেধেছিল ভিয়েতনামে, আমার ছেলে যুদ্ধে যেতে বাধ্য হবে, ওমুকের মেয়ে হবেনা। ... ...
কলেজ স্ট্রিট বইপাড়া নিয়ে সাড়ে চার দশকের অবলোকন ... ...
এবারের সংগ্রাম মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম! আমাদের হাতিয়ার ‘সুদের হার’ আর ‘টাকার সরবরাহ’। রিভার্স গিয়ার। সুদের হার বাড়াও, নোট কম ছাপো। টাকার ভাও বেশি হলে জিনিসপত্রের চাহিদা কমবে। লোকে খরচা করবে হিসেব করবে। সুইগি থেকে খাবার না আনিয়ে গৃহবধূরা স্বহস্তে রন্ধন করবেন, নেটফ্লিক্সের চাঁদা বন্ধ করবেন। ব্যাঙ্কের খাতায় জমার পরিমাণ বাড়বে অবসর প্রাপ্ত মানুষ যারা ব্যাঙ্কে জমা টাকার সুদ থেকে জীবনযাত্রা নির্বাহ করেন, তাঁরা দু হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন। মুদ্রাস্ফীতি কমলে গ্যাঁটের টাকার মূল্য বাড়ে। ... ...
কে যেন ভেতর থেকে গেয়ে উঠল, ‘’তুমি সুখ যদি নাহি পাও, / যাও, সুখের সন্ধানে যাও।‘’ চলে গেলাম সন্ধান করতে, একা নই অবশ্য, তথাগতও সাথে ছিল। সোজা গিয়ে এক গাদা গোলগাপ্পা দিয়ে ডিনার সেরে ফেললাম, আর মাইরি বলছি, বিস্তর সুখ পেলাম। দিব্যি গালার এই ‘মাইরি’ শব্দটা কিন্তু মোটেই জল অচল নয়। ইঞ্জিরি ভাষায় ‘বাই মেরি’ থেকে এসেছে। যাই হোক, গোলগাপ্পা খেয়ে মনে নবীন আশার সঞ্চার হল, প্রাণে ফের পুলক জাগল, আর শরীরে বেশ বল পেলাম। মনে হল গোলগাপ্পার ওপরে একটা কবিতা লেখা উচিত। সুতরাং আমার কলম দিয়ে বেরিয়ে এল - ... ...
সে এক অন্যরকম সময়। সত্তরের শেষ থেকে আশির দশক। ঘরে-বাইরের সব কাজ সামলে সুরে সুরে বলা শ্রমজীবী মেয়েদের কথা-কথকতা খুঁজতে বেরোলেন এক দিদিমণি। নাম তাঁর চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়। সফরের গোড়াতে, সেসময় তাঁকে পথ দেখাচ্ছেন সংগীত শিক্ষক মৃণাল বড়ুয়া অপার বাংলার নারীগান সংগ্রহের পথিকৃৎ গৌরীপুরের রাজকন্যা নীহার বড়ুয়া, দিকপাল নাট্যব্যক্তিত্ব খালেদ চৌধুরী আর আরো নানা গুণীজন...... ... ...
আমি শিক্ষাবিশেষজ্ঞ নই। এবং আমার দৌড় কলকাতা থেকে সিঙ্গুর অবধি। সেটাও নেহাৎই মধ্যবিত্ত বৃত্তে। সেই বৃত্তে আমি কী দেখছি? আমার পরিচিত বন্ধুবান্ধবরা প্রায় কেউ তাঁদের ছেলেমেয়েদের রাজ্য বোর্ডের ইশকুলে পড়াননা। যাঁরা রাজ্য বোর্ডের শিক্ষক, তাঁরাও না। তার নিশ্চয়ই অনেক কারণ আছে। কিন্তু মোদ্দা কথা হল, কলকাতা থেকে সিঙ্গুর অবধি, এই যে তিরিশ কিলোমিটার এলাকা, স্যাম্পল সার্ভে না করেই বলতে পারি, যে, রাজ্য বোর্ডের ইশকুল গুলো মধ্যবিত্তের প্রথম পছন্দ তো নয়ই, বরং অগতির-গতি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। আমরা যে ইশকুলগুলোয় পড়েছি, যেগুলো নামী ইশকুল বলে জেনেছি, সেগুলো সমেত। দুর্নীতি, ইশকুল-বন্ধ করে দেওয়া, এই ব্যাপারগুলো দিয়ে এই দুচ্ছাইকরণ প্রক্রিয়াটাকে ক্রমশ ত্বরান্বিত করা হচ্ছে। ... ...
ডিএ নিয়ে আন্দোলন কতটা নৈতিক আর কতটা রাজনৈতিক? সরকারের অগ্রাধিকার কি সত্যিই গরীব মানুষ? টাকার সংস্থান কোথা থেকে হবে? এই নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত এই লেখায় । ... ...
সিন্ধুলিপির রহস্য ... ...
নিজের ঢাক নিজেই পেটাতে হয় । অন্য কাউকে দিলে সে ভেঙে ফেলবে । ... ...
নারী দিবস ... ...