জীবন চলিয়া যায় .................. ... ...
এক রাজা। বোম্বাগড়ের। যিনি একাই ছাপ্পান্ন। সর্বত্র বিরাজমান, কিন্তু ধরাছোঁয়ার বাইরে। ছবির ফ্রেমে আমসত্ত্বভাজা হয়ে নিজেই ঝুলে থাকেন। বলিউডে তাঁর ছবি দেখা যায়, উত্তরাখণ্ডের গুহাতেও। মোনাকো থেকে রোমানিয়া, ইন্টারনেট থেকে টিভিতে সর্বত্র তাঁর ছবি আছে, কিন্তু সামনাসামনি কোনো সাংবাদিক তাঁকে চোখে দেখেননি। তিনি এমন স্টেশনে চা বেচেছেন, যা আর খুঁজে পাওয়া যায়না, এমন ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি পেয়েছেন, যার খোঁজ করতে গেলে আদালত জরিমানা করে। তাঁকে নিয়ে কটু কথা বললে বিবিসিকেও ঠুসে দেওয়া হয়, তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার মারলে পুলিশ ধরে। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলা মানেই দেশদ্রোহ। কারণ তিনিই দেশ। তিনিই পরমাত্মা। তিনিই পরমেশ্বর। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে নিয়েই লিখেছিলেন, "আমরা বেগুনভাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে"। আজ রাজা আছেন, নিরবধিকাল থাকবেন, রোজ সকালে উঠে নমন করবেন। ... ...
মসজিদের বাহিরে গিয়ে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এরা মসজিদকে আমাদের মত পেট মোটা হুজুর পাঁচবার নামাজ পড়াবে আর বাকি সময় মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধনে ব্যয় করবে এমন করে রাখে নাই। সুন্দর সবুজ ঘাসের একটা ছোট্ট উদ্যান। শিশুদের জন্য দোলনা, বাস্কেটবল কোর্ট, সবার বসার জন্য সুন্দর করে সাজানো চেয়ার টেবিল! এক পলকেই পুরো ধারনাটা আমার খুব পছন্দ হয়ে গেল! ... ...
শারীরিক গ্লানি জনিত ছেঁড়া ঘুম ও আধো জাগরণ প্রসূত অসংলগ্নতার পাঠ্যরূপ মাত্র। ... ...
এইমাত্র এক বাল্যবন্ধুকে দেখলাম, আরেক পরিচিতের পোস্টে গিয়ে কমেন্ট করতে, যে, গুরু(চণ্ডা৯) 'ছুপা' তৃণমূল, অনেকদিন ধরেই। তার নীচে আবার একজন গম্ভীর সমর্থন জানিয়ে লিখেছে, গুরুতে নাকি সব তৃণমূল আইটি সেলের লোফার, আর ওখানে নাকি ডিএ-আন্দোলনকারীদের খুব গালি দেওয়া হয়... ... ...
" সম্ভবত আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে টালমাটাল সময়ে, ১০ আগস্ট ১৯৪৭-এর সকালে আমি দিল্লি পৌঁছলাম। ২০০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের শেষে হিন্দোস্তান আর পাকিস্তান নামের দুটি স্বশাসিত ডোমিনিয়নে চিরতরে ভেঙে যাওয়া ভারত ১৯৪৭-এর ১৫ আগস্ট নিজের প্রথমতম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য অস্থির উদ্দীপনা নিয়ে অপেক্ষা করছিল। আমিও অবশ্য ভাঙছিলাম...।আমি ভাঙছিলাম আমার সুরক্ষিত আর গতানুগতিক জীবনের সমস্ত শিকলগুলোকে। ... পরিবারের তামাম তির্যক কানাঘুষো, সমাজের সব নিষ্ঠুর নিন্দামন্দ আর লখনৌয়ের স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনের যাবতীয় অভ্যেসের বন্ধন ভেঙেছিলাম আমি আর পুরুষের কোনরকম সহায়তা আর অনুমোদন বিনে আমার জীবনটাকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য বেরিয়ে এসেছিলাম একদম একলা। আশ্চর্য ধৈর্য্য আর সহিষ্ণুতা দিয়ে আমার ঘটানো এমন অভূতপূর্ব কান্ডকে পারিবারিক আর সামাজিকভাবে সামলানোর জন্য আমি আমার মা আর শাশুড়ি মায়ের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব...।" কেবল এই দেশই নয়, পৃথিবীর প্রথম পেশাদার মহিলা সংবাদপাঠক সাঈদা বানোর আত্মজীবনী 'ডগর সে হঠ কর'-বইটির কয়েক লাইন দিয়েই না'হয় শুরু হোক এই লেখা...। ... ...
বেশি ভ্যান্তারা করে লাভ নেই। মহারাষ্ট্র থেকে দিল্লি, বিহার থেকে বাংলা, উহাদের ছক একটাই, এবং সেটা খুব পরিষ্কার। সিবিআই-ইডি-গ্রেপ্তার দিয়ে আঞ্চলিক বিরোধী সরকারগুলোকে নড়বড়ে করে দাও। চাপে রাখো। সত্যিই দুর্নীতি থাকলে তো সোনায় সোহাগা, নইলে বানিয়ে নাও। তারপর, চাপে থাকতে-থাকতেই খেলে দাও দাঙ্গার তাস। একে হিটলারি মতে বলা হত ব্লিৎসক্রিগ। ঝটিকা আক্রমণ। নানা জায়গায় ঝড়ের গতিতে শত্রুর সামনের লাইনে ফুটো করে দাও। তারপর সামনে চলো। দেখবে শত্রু নালে-ঝোলে হয়ে পিছনে পড়ে আছে। ... ...
আচমকা একটা খটখট শব্দটা শুনতে পেল - বন্ধুটির ট্যবলেট পর্দায় স্থির হল মোরসালিনের প্রজেক্টর। ভাবনায় ডুবে রয়েছে তার হৃদয়ের বন্ধু; তার আচমকা, অস্বাভাবিক মৃত্যুতে স্তব্ধ হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। হঠাৎ কি মনে করে মোরসালিনের লেখাসমেত ইমেইলগুলো এক সাথে করল সে। নিঃশ্বাস পড়ছে না মোরসালিনের, শিহরিত নেত্রে চেয়ে রয়েছে বন্ধুটির ইমেইল পেইজে, হয়ত এখুনি কোন সম্পাদকের কাছে প্রেরিত হবে। ... ...
জীবন এরকমই আমার ... ...
বিমানে উঠার পরেই শুরু হল শ্রমিক জীবন! আমি মুহাম্মদ সাদেকুজ্জামান, নিজেকে একটু উন্নত প্রাণী বলে মনে করি, আমি বইপত্র পড়ি, সিনেমা সিরিজ নিয়ম করি দেখি, মতামত দেই, অস্কারের ভাল মন্দ নিয়ে জ্ঞান দেই, দেশের নারী অধিকার নিয়ে আমার কথা না বললে চলেই না, খুব আগ্রহ নিয়ে সংখ্যালঘুদের কথা বলি, নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আমার বোন, যার ভেরিফাইড পেজটা খুলছি এবং এখনও অন্যতম এডমিন আমি, এমন শতশত বিষয় যা আমাকে একটু আলাদা করে রেখেছিল, বিমানে উঠা মাত্র সব শেষ! আমি শ্রেফ শ্রমিক! আমার জন্য কাটা হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা টিকেট। ঢাকা থেকে বুখারেস্ট, মাঝে দুবাইয়ে থাকতে হবে ছয় ঘণ্টা, সব মিলিয়ে ১৮ ঘণ্টার ভ্রমণ। এই লম্বা ভ্রমণে কোন খাবারের ব্যবস্থা নাই! বিমানে খাওয়া নাই! শ্রমিকদের এগুলা থাকতে হয় না, মানে বিদেশ ভ্রমণে ক্ষুধা পিপাসা আবার কী! যেন বিমানের শব্দের মাঝে শুনতে পেলাম কোন গায়েবি আওয়াজ, শ্রমিক জীবনে স্বাগতম শরীফ! ... ...
পেণ্ডুলাম ... ...
আপনার চোখের সামনে কেউ যদি বোতলের ঢাকনা খোলার মতো মুণ্ডুটা খুলে ফেলে...? ... ...
আইজল যাবার জন্য সড়কপথ নয় আকাশপথই শ্রেষ্ঠ। সস্তা এবং সময় সাশ্রয়ী। হাফলং থেকে আইজল যাওয়ার প্ল্যান করাটা আমার একেবারেই ঠিক হয় নি। মিজোরাম বেড়াতে গেলে খ্রীস্টমাসের সময় না যাওয়াই ভাল কারণ এই চার পাঁচদিন প্রায় গোটা রাজ্যই ছুটি কাটায়। যদিও আইজল শহরের আলোকসজ্জা বা উৎসবের আবহ সত্যিই চমৎকার। মিজোরাম যথেষ্ট বড় রাজ্য। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গার দূরত্বও যথেষ্ট আর রাস্তার অবস্থাও সর্বত্র ভাল নয়। অনেক জায়গায় রাস্তা চওড়া করা হচ্ছে। ফলে হাতে অন্তত এক সপ্তাহ নিয়ে না এলে বিশেষ কিছু দেখা হবে না। প্রকৃতি ঢেলে সাজিয়েছে মিজোরামকে, তাকে দেখার জন্য সময় নিয়ে আসতে হবে। ... ...
এই কবিতাটাই পোস্ট করেছি "উরফি জাভেদের ছবি দিয়ে" ... ...
লিপি বিশারদ ডেভিড ডিরিঞ্জারের মতে লিপি হল ভাষার এমন একটা দৃশ্য ও স্থায়ী উপস্থাপণা যা স্থানান্তরযোগ্য ও কালান্তরযোগ্য বা সংরক্ষণযোগ্য। ... ...
যুগাবতারদের কর্মকাণ্ড ... ...