গিন্নি দেখি আরও এককাঠি সরেস। তৎক্ষণাৎ আলমারি খুলে একটা বাঁধানো খাতা বার করল, তাতে কোলাজের ঢংয়ে খবরের কাগজের নানান কাটিং আঠা দিয়ে সাঁটা। :পুলিশ কী পারে আর কী পারে না দেখে না্ও। না:, আমি হাল ছাড়িনি। পুলিশ সম্বন্ধে শেষ কথা বলার সময় এখন্ও আসে নি।মহাশ্বেতা দেবী বলেছেন যে সংসদে একতূতীয়াংশ মহিলা হলে সেশন অনেক সংযত ও উন্নতমানের হবে। আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় যে ওখানে সনিয়া গান্ধী, রেণুকা চৌধুরি, সুষমা স্বরাজ, বূন্দা কারাতদের সংখ্যা বেড়ে গেলে অমুকভাইয়া বা তমুকউদ্দিনদের হাতের গুলি ফো ... ...
প্রতিটি সাংসদের MPLADS এর টাকা, ₹১৩,৬২৩/- কোটি টাকা জিএসটির শেয়ার, রাজ্যের প্রাপ্য সমস্ত টাকাপয়সা মিটিয়ে দেবার দাবী তোলা হোক সর্বস্তর থেকে। ... ...
কবিতায় উপনিষদ্: ৯ ... ...
আমাদের রক্তের দাম এখন সস্তা মনে হয় অনেকের কাছে। অবলীলায় স্বাধীনতা, শহীদের সম্পর্কে হাস্যকর নানা কথা বলি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এখন কিছু বললেই কারো গায়ে ফোস্কা পরে যায়। চেতনা ব্যবসায়ী বলে তেড়ে আসে একদল। রক্ত কত সস্তা এই দেশে যে এমন কাণ্ড ঘটে এই দেশে? লন্ডন টাইমস লিখেছিল - “If blood is the price of independence then Bangladesh has paid the highest price in history" দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ফরাসী লেখক - দার্শনিক আন্দ্রে মালরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বলেছিলেন, "আমি সম্ভবত এমন এক প্রতিষ্ঠানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি যেখানে মৃতের সংখ্যা জীবিতদের থেকে বেশি!!" এমন আর কোথাও নাই, এমন আর কোথাও হয়নি! আহা! এর মূল্য যদি বুঝত সবাই! এত এত শহীদ, এত এত স্বজন হারার হাহাকার, সব কিচ্ছু না? আমরা কেমনে পারি? ... ...
ফ্ল্যাটটা কেনার পরে সুদীপের চেয়ে শাশ্বতীই যে বেশি খুশি সেটা ওর হাবভাবেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। অবশ্য সুদীপও যে খুশি হয়নি তা নয়। সাজানো-গোছানো বড় বড় দু'টো বেডরুম, একটা গেস্টরুম, একটা ডাইনিং কাম কিচেন আর অ্যাটাচড্ বাথরুম। সদ্য বিবাহিত, উচ্চ-মধ্যবিত্ত একটা দম্পতি বাসস্থান হিসেবে আর কী চাইতে পারে এর বেশি? ঝকঝকে মার্বেলের মেঝে, ঘরের দেওয়ালে চমৎকার হাল্কা সবুজ রঙের প্লাস্টিক পেইন্ট, বড় বড় জানালা দিয়ে আলো আর হাওয়া আসছে অনবরত। তোফা! শুধু একটাই মাইনাস পয়েন্ট - ফ্ল্যাটটা রেললাইনের কাছে হওয়ায় উত্তরদিকের জানা ... ...
জন্মদিনে সবার আগে যেটা হয় সেটা হচ্ছে টাইমলাইন আর ইনবক্স জুড়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাগুলোর জবাব দিতে দিতে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। রিপ্লাই দিতে দিতে একপর্যায়ে নিজেকে মানসিক রোগী মনে হতে থাকে।যাইহোক,সবাই ভালোবেসে শুভেচ্ছা জানায় জবাব না দেয়াটাও বেয়াদবি ভেবে আমি সবার আগে যেটা করি, many many thanks,take love... লিখে সেটা কপি করে রেখে দিই,সবাইকে একই রিপ্লাই দিয়ে দেয়া। এরকম করতে গিয়ে যে যে বিপদে পড়লাম তা নিম্নরূপ:বাইরে আছি। আব্বু মেসেজ দিয়েছেন, কখন আসবি?আমি মেসেজ না দেখেই ... ...
প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো যে বুদ্ধবাবু বা সিপিএমকে নতুন করে এতো বছর বাদে খিস্তি করার জন্য এই লেখা নয়। এবং অবশ্যই বলে রাখা দরকার যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে এই লেখার দূরদূরান্ত অবধি কোনো সম্পর্ক নেই। সেরকম কারো মনে হলে সেটা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার।পটভূমি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের স্লোগানের অশ্লীলতা নিয়ে আশেপাশে অনেকেই বেশ ভাবিত হয়ে পড়েছেন যা দেখছি। এই "নেতাচোদা" বা পুলিশকে "চ্যাটের বাল" বলা নিয়ে অনেকেরই আপত্তি হচ্ছে। আমার তো বেশ মজা লাগলো দেখে। তুমি আমায় মারছো, তার ওপর তোমার আবার ... ...
- 'দ' য়ের হইল মাথায় ব্যথা। দাদু শ্লেটে চক পেনসিল দিয়ে একটা বড় করে 'দ' আঁকলেন। -- চন্দ্র আইলেন দেখতে। এবার দ'য়ের পাশে একটা চন্দ্রবিন্দু আঁকা হল। -- তাইন দিলেন বাইশ টাকা। দাদু দয়ের পেটের নীচে বিচ্ছিরি করে ২২ লিখলেন। ... ...
যে লালকেল্লার বিশাল তোরণ দ্বার দিয়ে বাহাদুর শা জাফরকে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে গিয়েছিল লালমুখো বানিয়ারাজ, তারপর খুনী দরওয়াজার সামনে তার দুই ছেলেকে হত্যা করেছিল, সেই লালকেল্লার সামনের প্রশস্ত প্রাঙ্গণ আজ দেখলো দেশের দূর দূর গাঁও থেকে আসা লাল ঝান্ডাওয়ালাদের। তারা শুধু শ্লোগানেই দড় নয়, সুর করে গাইছে স্বৈরতন্ত্রের নিপাতনামা। দেহাতী সেই সুর একজন জোর জোরসে গাইলে অন্য মরদ আর আওরতরা ধুয়া ধরছে সঙ্গে সঙ্গে। গানবাজনার সাথেই চলছে বিশাল মিছিলের প্রস্তুতি। একেবারে আক্ষরিক অর্থে লাল ঝান্ডায় নিজেকে মুড়ে সে মিছিল চলল শহ ... ...
সদ্য পরাজিত বাম বিধায়কের দলের প্রতি সমালোচনা সবটাই কি যথার্থ? ... ...
সার্কাসে তুলসীদা খেলা দেখিয়েছে কী দেখায় নি, এই নিয়ে পাড়ায় বিবিধ মত ছিল। আমার বন্ধুরা জোর দিয়ে না বলেছিল, অথচ শিবুদা, কেষ্ট কাকা হলফ করে বলেছিল, তুলসীদাকে এক চাকা সাইকেল চালাতে দেখেছে, কাঁধের ওপর সাদা কাকাতুয়া; তুলসীদার বুকের ওপর টান টান করে সাদা ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল। ... ...
পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকাংশ এলাকাই এখনো বিদ্যুতের সুবিধার বাইরে। জলবিদ্যুত প্রকল্পের সব বিদ্যুত সরবরাহ করা হয় জাতীয় বিদ্যুত সঞ্চালন ব্যবস্থাপনায়, অর্থাৎ সমতলে। কাপ্তাই লেকের মাধ্যমেই পাহাড়িদের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সূচনা ঘটে, এ যেন আরেক উপ-উপনিবেশ! ... ...
[ আমার চোখে দেখা আর হৃদয়ে্র অনুভবে জারিত এই ছোট্ট ছোট্ট চিকিৎসা সংক্রান্ত ঘটনাগুলি এখনো মোছেনি আমার মাথার স্মৃতিকোষগুলোর থেকে। তার থেকে তুলে আনা এই মণি-কাঞ্চনগুলোয় যেমন পেয়েছি সাক্ষাৎ ভগবানদের, তেমনি কিছু কিছু সাংঘাতিক ঘটনা নেহাৎ-ই সহ্য করেছি উপায়ান্তরহীন যাপনে। ক্রোধে ফেটে পড়েছি মননে। রক্তচাপ বাড়িয়েছি বারংবার – মধ্যবিত্ত মনোভাবনায়। পেয়েছি আচম্বিত বাড়ানো হাত - অকাতর অকৃপন স্পর্শে। কৃতজ্ঞতাও হয়তো অব্যক্ত ছিল আমার পক্ষে সে সময়। তো এইসব ছিন্নবিচ্ছিন্ন ঘটনার কিছু রেশ গ্রন্থিত করছি প্রাণের আনন্দে। এখনো বেঁচে আছি, বেঁচে আছে আমার প্রজন্ম। তাই ভগবানের নামকীর্তন যেমন করেছি অক্লেশে, আবার সেই ‘আতঙ্ক’ চলচিত্রের মতো যেন কিছুই দেখিনি আমি হয়ে পাল্টেছি চরিত্র কিম্বা স্থান-নাম। মহাবীর-বুদ্ধ-নানক-রামকৃষ্ণের পুণ্যভুমিতে আজ হিংসা পৌনঃপুনিকতায় ছড়াচ্ছে বিদ্বেষের লাল আগুন। যে আগুন শুধুই ভস্ম-জন্ম আহ্বান করে। নিরুপায় আমি করজোড়ে মার্জনা চাইছি আমার এটুকু অপৌরুষেয়তার।] ... ...
পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানে শঙ্খ নদের দুপাড়ে বসবাসকারী অধিকাংশই মারমা ও ম্রো জাতিগোষ্ঠির পাহাড়ি মানুষ। তাদের অধিকাংশের পেশা জুম চাষ (পাহাড়ের ঢালে বিশেষ এক ধরণের ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদের নাম - জুম)।... অবাক হওয়ার মতো কথা, এই নদটির নাম বাংলায় ‘শঙ্খ‘ কেন, তার কোনো ঐতিহাসিক তথ্য নেই। তবে অনেকে মনে করেন, সেই ব্রিটিশ আমলে বাঙালি আমলারা গেজেটিয়ার করার সময় এটিকে ‘শঙ্খ‘ নদ’ হিসেবে নথিভূক্ত করেন। যদিও শঙ্খ বা শাঁখ বলতে যে ধরণের সাদা সামূদ্রিক শামুকের কথা বোঝায়, নদের দুপাড়ে কখনোই এমন শঙ্খের অস্তিত্ব ছিল না। [*ছোটদের জন্য লেখা] ... ...
“দিদি কিছু দিয়ে যা l” “না পারবো না l” “কেন পারবি না?” “কেন ভিক্ষা করছেন?” “ভিক্ষে করি না, নাচগান করে পয়সা কামাই l” কথোপকথন শেষ হওয়ার আগেই সবুজ সংকেতে শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাজপথ দ্রুত গতিশীল হয়ে পড়ে l জমকালো হলদেটে শাড়ি পরিহিত রোগাসোগা চেহারার মানুষটি সামান্য গলা তুলে বলে যান, “চোখে গগল্স পরবি আর গরিবকে দুটো টাকা দিতে পারবি না?”একাধিক কালো চশমা ছিল, বা, আছে l দীর্ঘ দীর্ঘ সময়কাল ধরে l কিছু সামাজিক কালো চশমা, যার মধ্যে দিয়ে রূঢ় বাস্তবতাকে কিছুটা ফিকে বলে প্রতীতি হতে পারে l মনে হতে পারে, দে ... ...
কিছুদিন আগে কয়েকটি ছেলেমেয়ে আমার কাছে জানতে চায়, প্রথা বহির্ভূত শিক্ষা নিয়ে পড়াশুনা করতে হলে কোন কোন বই দিয়ে শুরু করা উচিত। স্বভাবতই পাওলো ফ্রেইরি-র নাম মনে এসেছিল। ইতিপূর্বে ‘মুক্তির জন্য সাংস্কৃতিক প্রয়াস’ নাম দিয়ে পাহাড়ী চৌধুরি অনুবাদ করেছিলেন ‘কালচারাল অ্যাকশন ফর ফ্রিডম’। প্রকাশ করেছিলেন ‘ইন্ডিয়ান পাওলো ফ্রেইরি ইনস্টিটিউট’ যাদের আরো কিছু বই আছে ফ্রেইরি-কে নিয়ে। কিন্তু ‘মুক্তির জন্য সাংস্কৃতিক প্রয়াস’ বহুল প্রচার পায়নি। পরিতাপের বিষয়, পাওলো ফ্রেইরি-কে নিয়ে বিশ্লেষণ-মূলক কাজ এখানে বেশি হয় ... ...
বাড়িতে বড্ড আরশোলা বেড়েছে। আমি এমনিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী।কিন্তু আমার দিক থেকে প্রতিরোধের আশংকা না থাকাতে হতভাগাদের সংখ্যা বেড়ে অ্যামন দশা দাঁড়িয়েছে যে বাড়িতে হয় আমি থাকবো নাহয় আরশোলা থাকবে। আর আরশোলাদের সর্বত্র অবাধ গতি এবং কিচ্ছুতে অরুচি নেই।সেদিন বই এর তাক থেকে একটা কবিতার বই নামাতে গিয়ে দেখি বই এর পাশ দিয়ে আরশোলা বেরোচ্ছে।আরশোলাদের মধ্যে এ ব্যাটা নিশ্চয় সাহিত্য প্রেমিক।তাই ক্ষমা করে দিলুম।যেদিন দেখলাম এডুকেশনাল স্ট্যাটিসটিকসের বই এর মাঝেও ব্যাটারা উঁকি দিচ্ছে,সেদিনও কিছু মনে করিন ... ...
সত্যিকারের যুদ্ধই ধরুন। এই এখন একটা যুদ্ধ চলছে। রাশিয়া বনাম ইউক্রেন। সেখানে সৈন্যের অভাব বলে, উভয় পক্ষই প্রাপ্তবয়স্কদের ধরে বাধ্যতামূলকভাবে যুদ্ধে নামিয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক মানে, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ। মহিলা নয়। কারণ, যুদ্ধ হল সিরিয়াস বিজনেস, সত্যিকারের 'খুনে-মানসিকতা' চাই। সেখানে মেয়েদের জায়গা নেই। আমেরিকায় এই বাধ্যতামূলক যুদ্ধে নামানোর পদ্ধতিটাকে বলে ড্রাফট। যেই আঠারো বছর হল, সমস্ত ছেলেকে সেনাবাহিনীর কাছে নাম লেখাতে হবে, যাতে দরকার হলেই তারা ডেকে নিতে পারে। মেয়েদের এটা করতে হয়না। বিশ্বের যে কটি দেশে এই বাধ্যতামূলক ড্রাফট আছে, তার মধ্যে হাতে-গোণা এক-আধটিই মেয়েদের ডাকে। বাদবাকি পুরোটাই ব্যাটাছেলেদের রাজত্ব। সত্যিই যদি যুদ্ধ বাধে, যেমন বেধেছিল ভিয়েতনামে, আমার ছেলে যুদ্ধে যেতে বাধ্য হবে, ওমুকের মেয়ে হবেনা। ... ...
ইদানিং মাঝেমাঝেই দেখি সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত্যুশয্যায় শায়িত এক দাড়িওয়ালা বৃদ্ধ মানুষের ছবির নিচে লিখে দেওয়া হয় ‘উইলিয়াম রোদেনস্টাইন অঙ্কিত মৃত্যুশয্যায় রবীন্দ্রনাথের বিরল ছবি’। স্বভাবতই এ ছবি দেখে বাঙ্গালী আবেগের স্রোতে ভেসে পড়েন, হাজারে হাজারে ‘লাইক’ দেন আর শয়ে শয়ে শেয়ার করে একটি অদ্যন্ত ভুল তথ্যকে চক্রবৃদ্ধি হারে মহামারীর মত ছড়িয়ে দেন দেশে দেশে, দিশে দিশে। অথচ তাঁরা একবারও ভেবে দেখেন না কলকাতায় রবীন্দ্রনাথ যখন মৃত্যুশয্যায়, তখন চিত্রকর রোদেনস্টাইন রয়েছেন ইংল্যান্ডে, কিভাবে তিনি এমন একটি ছবি আঁকতে পারেন? ... ...
আমাদের পৃথিবীতে ক্যালেন্ডারের হিসাবে দিন চলে মাস চলে ইয়ার এন্ডিং আসে চলে যায়। স্কুলে স্কুলে গরমের ছুটি পড়ে। সরকারি বাবুরা উইকএন্ডে কবিগুরুর শান্তিনিকেতন যায়। আরেকটা পৃথিবী চলে চাঁদের হিসাবে। মাথার উপর ঝুলে থাকা বুড়ি চাঁদটার দিকে আমরা তাকিয়ে ওঠার অবসর না পেলেও সেই পৃথিবী চলে তার কমাবাড়ায়। চিৎ হয়ে পড়ে থাকা এই ভারতবর্ষের মাথার উপর সটান দাঁড়িয়ে থাকা হিমালয় ;কুমায়ুন আর গাড়োয়াল এই দুই পাহাড়ি এলাকা নিয়ে উত্তরাখণ্ড,যাকে সবাই বলে দেবভূমি। তা অক্ষয় তৃতীয়াতে চাঁদ যখন বাঁকা কাস্তের মত ধারালো হয়ে ... ...