সুফি আজকাল লোকনাথ বাবার স্টাইলেই বেশিরভাগ সময় বসে থাকেন। বসেন লোকনাথ বাবার মতো কিন্তু শয়তানি বুদ্ধি লুসিফারের মতো। আমি প্রায়ই ওর অত্যাচার আর সহ্য করতে না পেরে বলি, বেরিয়ে যা ... ...
যাদবপুরের প্রাক্তনীদের পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে পিটিশন। প্রাক্তনীদের পক্ষ থেকে হলেও এই পিটিশন সবার জন্যে, প্রাক্তনী সহ সবাই সই করুন। প্রাক্তনীরা সই করার সময় ডিপার্টমেন্ট ও পাশ করার বছর জানিয়ে দিন। ... ...
বেশ কিছু বছর আগে Dateline NBC কতৃপক্ষ তাদের প্রতিবেদক যোস ম্যানকিউিজ ডেকে বলল, খুড়ো, একটা স্টোরী যে তোমাকে বানাতে হবে – এবং এমন ভাবে বানাতে হবে যাতে পাবলিক হালকা চমকে বলে ওঠে তাই তো, তাইতো এবং আলতো করে বলে কি দিলে গুরু! যোস খুড়ো ভাবছেন এবং ভাবছেন কি স্টোরী করা যায় – একদিন সন্ধ্যাবেলা বাড়িতে টিভিতে সিনেমা দেখতে বসে ইউরেকা বলে চিৎকার করে উঠলেন। গিন্নী ‘ইউরেকা’ শব্দ শুনে ছুটে এসে প্রথমেই এসশিওর করে নিলেন যোসে দিগম্বর কিনা – তারপর বাতচিৎ করে বুঝতে পারলেন এই ইউরেকার কারণ তিনি টপিক খুঁজে পেয়েছেন স্টোর ... ...
ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিএম নেতা মানিক সরকার যদিও প্রচারে এসে তাঁর বক্তব্যে বার বার সাবধান করেছেন যে, বিজেপির ক্ষমতায় আসার মারাত্মক ভুল যেন না করা হয়। কারণ, ত্রিপুরার মানুষ এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন যে, বিজেপি ক্ষমতায় বসলে মানুষের কি পরিমান সর্বনাশ হয়। অমর্ত্য সেন সহ বহু বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, সমাজবিজ্ঞানী ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞ পন্ডিত মানুষেরা সবাই বিজেপিকে প্রতিহত করাই প্রধান কর্তব্য বলে বার বার উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ভবি যে ভুলবার নয় এবং চোরের সাক্ষী মাতালের মতো জুটে গেল রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। ... ...
কৈশোর থেকে যৌবনের উড়াল। বদলে যায় পরিবেশ। বদলে যায় স্বজন-বান্ধব-পরিচিতি। বদলে যায় সময়। বদলে যায় জীবন, পুর্ব-লালিত ধ্যান ধারণা। সবার নয়, কারোর কারোর। এ বদলের ছাপ আবার সবসময় বাইরে পড়ে না। তাই আশেপাশের অজান্তেই ঘটে যায় অদল-বদল। আর কখনো কখনো এই বদলের কেন্দ্রে থাকে একটি জড়বস্তু। একটি শিক্ষাস্থান। খিড়কী থেকে সিংহদুয়ারের জীবনে খোলা হাওয়া। বদলের ক্যাটালিস্টও। জীবনে বদলই ধ্রুব। জ্ঞানীরা তাই বলেন। তবু কতটা সহজ হয় এই অন্তর-যাত্রা? কতটা মূল্য দিতে হয়? ... ...
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নেমেছে। অবশ্য ধোঁয়াশার দৌলতে আজকাল সবসময়ই ছায়া ছায়া। তাতে কিই বা আসে যায়! সকালে দশটার মধ্যে অফিসে ঢুকে যাওয়া, আর বেরোতে বেরোতে সেই সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা, আটটা। এর মাঝে বিকেল আসে যায় নিজের খেয়ালে। পাঁচটা বাজতে না বাজতেই সবাই বাড়ির দিকে রওনা দেয়। একে অপরকে গুড নাইট বলে। অনুপমার কথা ওদের খেয়ালও থাকে না। সত্যি কথা বলতে, অনুপমার তাতে সুবিধাই। নিজেকে আড়ালে রাখতে ও ভালবাসে। না হলে এত বড় একটা অফিসে একটানা পাঁচ বছর কাজ করার পরেও কোনও বন্ধু হয় না ওর! একা মানুষের জীবনটা অসহনীয় হত। অনুপমা ব ... ...
বিজ্ঞানকে পছন্দ করি বা না করি, একে ছেড়ে থাকা আমাদের কারওর পক্ষেই সম্ভব নয়। সকালের ব্রেকফাস্ট থেকে রাতের ঘুম, বারেবারেই আমাদের বিজ্ঞানের শরণাপন্ন হতে হয়। বিজ্ঞানের শরণাপন্ন বলতে আমি মাইক্রোওয়েভ টেকনোলজি বা স্মার্টফোন টেকনোলজির কথা বলছি না। আমি বলছি রোজকার জীবনের নানা সিদ্ধান্তের কথা, যার পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে বিজ্ঞানের নানা অন্ধিসন্ধি। কী রকম? ধরা যাক, আপনি সকালে জ্যাম-পাঁউরুটির বদলে ওটমিল খান। কেন? না, ছোটকাকুর ডাক্তার বন্ধু বলেছেন ময়দার জিনিষ না খেতে। কিন্তু তিনি এটা জানলেন কী করে যে ময়দা খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর? কী করে আবার, ডাক্তার মানুষ, তাই জানেন। উঁহু, উত্তরটা হল না। তিনি জানেন, কেন না, কেউ কোথাও এটা নিয়ে গবেষণা করে উত্তরটা খুঁজে বার করেছেন। ডাক্তারকাকু সম্ভবত কোনও জার্নালে পড়ে এটা জেনেছেন। ... ...
মজুমদার মশাই সেদিন নাস্তানাবুদ হয়ে গিয়েছিলেন দুই সুন্দরী শিল্পীকে বোঝাতে 'হেথা শুধু বাণী... দরশ নাহি জানি'। তবে ওই এক অনুষ্ঠানে ওনার নিশ্চয়ই পদোন্নতি নিশ্চিত হয়েছিল ... ...
পরপর দুটি স্মৃতিকথা পড়া হয়। প্রথম বাশারাত পীর লিখিত ‘কার্ফ্যিউড নাইট’ এবং সেই সূত্রে রেফারেন্স পেয়েই বিপ্রতীপের আখ্যান রাহুল পন্ডিতা লিখিত ‘আওয়ার মুন হ্যাজ ব্লাড ক্লটস’। পীরের লেখা আমাকে আমূল কাঁপিয়ে দিয়ে যায়। আফস্পা নামক আইনটি এবং সেই রক্ষাকবচের আড়ালে কাশ্মীর বা মণিপুরে ভারতীয় সেনার দানবীয় রূপের কিছু কিছু কথা জানা ছিল, জানা ছিল না এই ভয়াবহ অত্যাচার আর অবিশ্বাসের আবহাওয়ার। জানা ছিল না সরকার তথা সেনাবাহিনী অথবা সন্ত্রাসবাদী তথা স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর এই দুই পক্ষের মধ্যে কোন একটির আওতায় থাকতে বাধ্য প্রতিটি মানুষ। জানা ছিল না এমনকি পক্ষাবলম্বনের পরেও সেই পক্ষের মধ্যে থাকতে পারে অজস্র ছোট পক্ষ যাদের মধ্যের বাদানুবাদে যেকোন মুহূর্তে বিপন্ন হতে পারে মানুষের সর্বস্ব। প্রায় নির্লিপ্ত ভঙ্গীতে পীর লিখে গেছেন কাশ্মীরের অসহায় বিপন্ন দিনরাতের জ্বলেপুড়ে যাওয়ার কাহিনী। পন্ডিতা নিজে কাশ্মিরী পন্ডিত, লেখা সত্যি বলতে কি বড় বেশী পার্টিজান, খুব যে ভাল লেগেছে পড়তে তা নয়, কিন্তু এ বইও আমার জন্য আই ওপনার। কাশ্মীরি পন্ডিতদের আতঙ্ক ও অসহায় পলায়ন ঠিক এভাবে জানা ছিল না। ... ...
এটুকু পর্যন্ত গল্পটি যা ছিল, তা অসাধারণ অবশ্যই, কিন্তু একজন ডুবুরি পাঠককে ভেঙে তস্নস্ করার মত যথেষ্ট না। তার জন্য তাকে গল্পটি শেষ পর্যন্ত পড়ে যেতে হবে যেখানে সে দেখবে মন্নু গল্পের উত্তম চরিত্রের ভাবনার সাথে সঙ্গত না করে, লাল ঝান্ডার গোলযোগে রক্তে-ধোঁয়া-জেল-জুলুমে নিমজ্জিত না হয়ে, পরেরদিন পার্কে উপবিষ্ট একটি ‘সিন্দুর গোলাপি আভায়’ রঞ্জিত মহিলার সাথে ভ্রমন করতে আসা একটি জমকালো কুকুরের গলার বেল্টটা বাঁ হাতে চেপে ধরে এত জোরে জোরে ঘষতে থাকে যে স্নিগ্ধ সহানুভূতির হাসিতে মহিলাটিকে বলতে হয়, “এক জায়গায় অত মেহনত করলে দোস্রা জায়গায় কাজ করবি কি করে?” ... ...
ছেলেটাকে আমি ছোটবেলা থেকে ভালোবাসতাম। কখনো তাকে মনের কথা বলিনি। কারণ জানতাম রাজি হবে না। কি করে যেন বুঝে গিয়েছিলাম সে রাজি হবে না। সুতরাং বলে অপমানিত হওয়ার কোন অর্থ নাই ভেবে বলিনি। দেখা হলে ভাইয়া ডেকে কথা বলি। কিন্তু রাতে তার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ঘুমাতে পারি না,পড়তে বসে ডায়েরি জুড়ে তার নাম লিখি,তার ছবি দেখে চোখের পানি ফেলি। ... ...
প্রাচীন ভারতের সাহিত্যের সবকিছুই কি সংস্কৃত ভাষায় রচিত? বেদের ভাষা বৈদিক আর কালিদাসের মেঘদূত এর ভাষা সংস্কৃত। বুদ্ধদেব উপদেশ দিতেন পালি ভাষায়। বৈদিক, সংস্কৃত, পালি এগুলির মধ্যে সম্পর্ক কী? পার্থক্যই বা কী? ... ...
বাস থেকে নেমে হেঁটে আসার সময়ে রাস্তাটা দেখতে দেখতে এলাম – যদি চাবিটা দেখতে পাই। বাড়ির যত কাছাকাছি আসছি তত বুক ঢিপঢিপানি বাড়ছে। গেট খুলে সিঁড়ি দিয়ে উপরে এসে দেখলাম দরজা বন্ধ এবং শুধু ছিটকিনি দেওয়া, নো তালা। এবার কী দেখব ভেতরে গিয়ে ? কাঁপা হাতে ছিটকিনি খুলে ঘর যেমন রেখে গেছিলাম তেমনি রয়েছে, আর তালা এবং চাবি যেখানে থাকার কথা সেখানেই তারা শোভা পাচ্ছে। আহা, তখন যে ঠিক কেমন অনুভূতি হয়েছিল সেটা বোঝানো আর ‘পাউরুটি আর ঝোলা গুড়ের’ কম্বিনেশন কেন ‘সবার চাইতে ভাল’ সেটা ব্যাখ্যা করা একই রকম কঠিন কাজ। ... ...
'আমরা দিবসে' বাস্তবে কিছু করতে না পারার মর্মবেদনায় একান্তে মোবাইলের পর্দায় আঙুল চলে। বটের চারা বীজ ছাড়াই জন্মায় কাকের পটি থেকে - আমার বেশিরভাগ বাঁজা লেখাও তেমনি, বিশেষ বিষয়ে সুলিখিত নিবন্ধ নয়, সামান্য স্ফূলিঙ্গ থেকে বুশফায়ার। বটুদার জমি না হলেও চলে - পুরোনো বাড়ির প্যারাপেট, ভাঙা পাঁচিল থেকেই বটুছেনু মাথা তোলে - সাপের মতো ফাটল ধরে শেকড় চালিয়ে, ঝুরি নামিয়ে বাড়ে। আমার বেশিরভাগ লেখাই তেমনি - সম্পাদিত পত্রিকার উপযোগী নয়। তাই গুরুচণ্ডালিতে নামাচ্ছি এইসব হ্যাজ। এসব আসলে কিছু টুকরো উপাখ্যান, উপমা, পার্শ্বপ্রসঙ্গ সহযোগে তৈরী হাওয়াই মেঠাই বা Cotton candy. বট ফুল লাগে না পুজোয়, তার ফলও খায় কাক শালিখে। আমার এসব লেখাও তেমনি। ... ...
আমার বন্ধু উমা কথাবার্তায় খুব চৌকশ, দেখতে সুন্দর, আর খুব হাসিখুশী। ও একটা লিটল ম্যাগাজিন চালাতো। সেই সুবাদে পরিচয়। একদিন ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দূর্গা পূজার মেলায় উমাকে দেখি এক যুবকের হাত ধরে ঘুরতে। ও আমাকে দেখে ডেকে নিয়ে পরিচয় করিয়ে দেয়। বলেন, আমার বন্ধু, পেশায় লেখক। আমি ভাবলাম, দুজনেরই যখন লেখালেখির প্রতি এতো ঝোঁক, তাহলে ওদের মানাবে ভালই। উমার লেখক বন্ধু চাপ দাড়িতে সুদর্শন। ... ...
এর মধ্যেও দুই তিনদিন সাড়ে দশটায় বাস ধরতে হয়েছে আর দিদিটাও সমানে ব্যাটারি ব্যাটারি করে গেছে। এখন আবার ওর সঙ্গের আরো দুটো দিদিও হাসে আর চোখের সামনে কিলবিলিয়ে আঙুল নাচায়। ইচ্ছে করে ঘ্যাঁক করে কামড়ে ধরি একটা আঙুল। কিন্তু ঠিক সাহস হয় না। খালি মনে মনে ভাবি দাঁড়াও না মা বলেছে চশমা পরলে আর চোখের নড়াচড়া টের পাওয়া যাবে না, আসুক আমার চশমাটা তৈরী হয়ে। কিন্তু অনেক ছোট একটা মেয়েকে অবাধে লাঞ্ছনা করার এমন সুযোগ ওরা ছেড়ে দেবে কেন? কাজেই প্রথম যেদিন চশমা পরে বাসে উঠলাম ওরা একেবারে হইহই করে উঠল ‘আরে আরে দেখ ব্যাটারির চারচোখ’। এবারে নতুন খেলা, চোখ থেকে চশমাটা খুলে নিয়ে জানলার বাইরে হাত বের করে ঝুলিয়ে রাখা ‘এই ফেলে দিলাম ফেলে দিলাম’। ভয়ে কাঠ আমি, চশমা ভেঙে গেলে বা হারিয়ে গেলে মা হয়ত মেরেই ফেলবে আমাকে, বারেবারে বলে দিয়েছে সাবধানে রাখতে। হোঁচট খাচ্ছিলাম বলে বকেছে পড়ে যেন চশমা না ভাঙে। ... ...
গিন্নি দেখি আরও এককাঠি সরেস। তৎক্ষণাৎ আলমারি খুলে একটা বাঁধানো খাতা বার করল, তাতে কোলাজের ঢংয়ে খবরের কাগজের নানান কাটিং আঠা দিয়ে সাঁটা। :পুলিশ কী পারে আর কী পারে না দেখে না্ও। না:, আমি হাল ছাড়িনি। পুলিশ সম্বন্ধে শেষ কথা বলার সময় এখন্ও আসে নি।মহাশ্বেতা দেবী বলেছেন যে সংসদে একতূতীয়াংশ মহিলা হলে সেশন অনেক সংযত ও উন্নতমানের হবে। আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় যে ওখানে সনিয়া গান্ধী, রেণুকা চৌধুরি, সুষমা স্বরাজ, বূন্দা কারাতদের সংখ্যা বেড়ে গেলে অমুকভাইয়া বা তমুকউদ্দিনদের হাতের গুলি ফো ... ...
প্রতিটি সাংসদের MPLADS এর টাকা, ₹১৩,৬২৩/- কোটি টাকা জিএসটির শেয়ার, রাজ্যের প্রাপ্য সমস্ত টাকাপয়সা মিটিয়ে দেবার দাবী তোলা হোক সর্বস্তর থেকে। ... ...