আইজল যাবার জন্য সড়কপথ নয় আকাশপথই শ্রেষ্ঠ। সস্তা এবং সময় সাশ্রয়ী। হাফলং থেকে আইজল যাওয়ার প্ল্যান করাটা আমার একেবারেই ঠিক হয় নি। মিজোরাম বেড়াতে গেলে খ্রীস্টমাসের সময় না যাওয়াই ভাল কারণ এই চার পাঁচদিন প্রায় গোটা রাজ্যই ছুটি কাটায়। যদিও আইজল শহরের আলোকসজ্জা বা উৎসবের আবহ সত্যিই চমৎকার। মিজোরাম যথেষ্ট বড় রাজ্য। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গার দূরত্বও যথেষ্ট আর রাস্তার অবস্থাও সর্বত্র ভাল নয়। অনেক জায়গায় রাস্তা চওড়া করা হচ্ছে। ফলে হাতে অন্তত এক সপ্তাহ নিয়ে না এলে বিশেষ কিছু দেখা হবে না। প্রকৃতি ঢেলে সাজিয়েছে মিজোরামকে, তাকে দেখার জন্য সময় নিয়ে আসতে হবে। ... ...
একটি কাল্পনিক ইন্টারভিউ-আমার কাজকর্মের বিচার কিন্তু নোট বাতিল দিয়ে করলে চলবে না।-তবে? জিএসটি দিয়ে করি?-না, না ওটাও চলবে না।- তবে স্যার জিডিপি?-হুমমম্.. নাহ্, ওটারও তো অবস্থা লজ্ঝড়ে। । অন্য কিছু হোক।-তবে কৃষকদের অবস্থা নিয়ে কথা বলি?-পরের প্রশ্ন। -স্যার এক কোটি চাকরি? জব ক্রিয়েশন?-সেটা হয়েছে। পকোড়া। হ্যাঁ পকোড়া। দিদির চপ, আমার পকেড়া। তারপর ধরো গোরক্ষা বাহিনী, রোমিওদমন ব্রিগেড...চাকরির অভাব? শাইনিংদের জন্য আছে আই টি সেল। ট্রোলপিছু দশ টাকা। এর বাইরে ... ...
ভোর হয়ে গেছে অনেকক্ষণ। সক্রেটিস ঘরের দরজা খুলে বেরিয়ে এসে জোব্বার ফাঁক দিয়ে হাতদুটো বের করে একটু গা-টা ছাড়িয়ে নিতে লাগলেন। সকালের দিকে এমন জোব্বা গায়ে চাপাতে ভালো লাগে না, কিন্তু একেবারে উদোম গায়ে যাওয়া ঠিক নয়। বউ অনেক করে শিখিয়েছে শুধু জ্ঞান ছড়ালেই হয় না, ইমেজ গড়ে তুলতে হবে একটা। সকালে দিকে গোটা পাঁচেক শিষ্য আসে, তারা অলরেডি চলে এসেছে দেখলেন। সকালে দিকে উঠোন ইত্যাদি ঝাঁট-টাঁট এরাই দেয় – হালকা প্রাতরাশ এরাই নিয়ে আসে। ... ...
একদিন দুঃসাহসের পাখায় ভর করে,ছুঁতে চেয়েছিলাম কবিতার শরীর ... ...
করোনাসময়ের প্রেক্ষিতে একটি উপন্যাস - - বিকেলে কখন সে ঘুমিয়ে পড়েছিল।যখন ঘুম ভাঙল তখন সন্ধে নেমে গেছে। একটা বিশ্রী গুমোট।পাশের ঘর থেকে টিভির শব্দ আসছিল।কোনো হিন্দি ছবি চলছে। সে কোনোমতে পা দিয়ে চটিজোড়া টেনে নিয়ে হাউসকোটের ফিতে আঁটল। ... ...
কেন বুদ্ধ সবকিছু ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন ? আর বেরিয়ে কৃচ্ছসাধনের মার্গ থেকে এক নিঃসঙ্গতার বিশ্বে পরম শূন্যতার বিশ্বে তিনি কি খুঁজে পেয়েছিলেন? নীরবতা? শান্তি? জীবনের চরম অর্থহীনতা? না অর্থপূর্ণতা? এই সব ভাবতে ভাবতে আমি আবিষ্কার করলাম আমি এক নাস্তিক আধ্যাত্মিক। বিষয়টি কি সোনার পাথরবাটির মত শোনালো?আসলে বিষয়টি এক চরম বিরোধাভাষ নিয়েই এগিয়ে চলেছে দিনের পর দিন । সমস্যা হল ধর্ম যখন ব্যক্তি-ধর্ম থেকে সমষ্টিগত ধর্মাচরণে নিজেকে নিয়োগ করে, তখন ধর্মের সঙ্গে দার্শনিকতার আর কোনো সম্পর্ক থাকে না । সামাজিক ধর্ ... ...
ছৌনাচ বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী নৃত্য। দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে হোটেলগুলি তাদের ন্যূনতম দক্ষিণায় হোটেল নর্তক বানাচ্ছে, এটা বুঝতে পেরে ভালো লাগলনা। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা শিল্পীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা কিছু করেছে। একেবারে শিশুকাল থেকে শিল্পীরা এই নাচ শিখছেন এবং নিয়মিত অভ্যেস করেন, তাই শান বাঁধানো মেঝেতে আছড়ে পড়েও আঘাত লাগেনা। পরে সকলে ভাবলাম, যদিও শিল্পের দাম টাকা দিয়ে হয়না, তবুও এই অনুষ্ঠানে কতটাকা পেলেন, এই প্রশ্নটা লজ্জার মাথা খেয়ে করে ফেললেই হত। ... ...
আশা হয়, অনিতা দেবনাথরা বিরল বা ব্যতিক্রমী নন। কোচবিহার গ্রামপঞ্চায়েতের এই তৃণমূল প্রার্থী তাঁর দলের বেআব্রু ভোট-লুঠ আর অগণতন্ত্র দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এই তামাশায় তাঁর তরফে কোনও উপস্থিতি থাকবে না। ভোট লড়লে অনিতা বখেরা পেতেন, সেলামি পেতেন, না-লড়ার জন্য তাঁর নিরাপত্তা আর খুব একটা সুনিশ্চিত রইল না এই রাজ্যে। তথাপি এক জন সুনাগরিকের যতটুকু কর্তব্য, উনি তা-ই করেছেন, কেবল আপশোস হয়, যদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এতটুকু বিবেক থাকত, যদি উনি নিজেকে প্রশ্ন করতেন কোন সহিংস অন্ধকার নিয়ে উনি ছিনিমিনি খেলছেন প্রতি ... ...
মানুষ যখন, মনে কিছু প্রশ্ন তো আসবেই। তেমনই কিছু বেয়াড়া প্রশ্নের তালিকা। পারলে উত্তর দিন না পারলে থাক। কিন্তু এই অসময়ে রাজনীতি করবেন না। ... ...
'তারা' আসেন, বিলক্ষণ!ক্লাস নাইনযষ্ঠীর সন্ধ্যে। দুদিন আগে থেকে বাড়াবাড়ি জ্বর, ওষুধে একটু নেমেই আবার উর্ধপারা।সাথে তীব্র গলাব্যাথা, স্ট্রেপথ্রোট। আমি জ্বরে ঝিমিয়ে, মা পাশেই রান্নাঘরে গুড় জ্বাল দিচ্ছেন, দশমীর আপ্যায়ন-প্রস্তুতি, চিন্তিত বাবা বাইরের বারান্দায়, ক্লান্তও কি?( যদিও কে কোথায়, আমি জেনেছিলাম ঘটনা ঘটার পরে, আপাতত ওমনিপোটেন্ট ন্যারেটরের ভাষ্য চলুক)।জ্বরের ঝিমুনিতে চাইছি মা কি বাবা একটু কাছে এসে বসুক না!আমি তো আর উঃ আঃ করে জ্বালাবো না, এতো গলাব্যাথায়! ... ...
'যে ব্যক্তি প্রত্যাদেশের জায়গা করে দেওয়ার জন্য যুক্তিকে সরিয়ে নেয়, সে ঐ দুই বস্তু থেকেই আলো নিবিয়ে ফেলে; এবং এক অদৃশ্য তারকার দূরাগত আলো টেলিস্কোপে গ্রহণ করা নিমিত্ত কোনো মানুষকে তার নিজের চোখ তুলে ফেলতে রাজী করানোর মতো প্রায় একই ধরনের কাজ সে করে।' (জন লক, এসে অন দ্য হিউম্যান আন্ডারস্ট্যান্ডিং, ১৬৯০) ফাল্গুনের পাগল করা বাতাস। নতুন বইয়ের তীব্র সুবাস। আর মানুষ, বইয়ের খোঁজে আসা মানুষ, বইকে ভালবেসে বইয়ের গন্ধ শুঁকে বেড়ায় স্টলে স্টলে, সেইসব মানুষ, যাদের থেকে ঠিকরে ঠিকরে বেরোয় জোনাকির আলো! এ ... ...
রাতের বেলা ছেলেরা খেতে বসলে কথাটা ওঠে ফের। অতু, পুতু আর নান্টু। বড় বৌমার কানে কলতলার কথাটা উঠেছে। সে ঝাঁঝিয়ে উঠে বলে, "মায়ের যেমন কান্ড! ছেলেপিলে নিয়ে ঘর, ওই মানুষ মারা গুণ্ডাদের কাছে আবার জানতে গেছেন, কই লইয়া যাও।" অতু-পুতু দুই ছেলেই একটু বিরক্ত মুখে বড় বৌ এর দিকে চায়। মায়ের মুখে মুখে ঝাঁঝানো এ বাড়িতে এখনো চালু হয় নি। বুড়িও একটু লজ্জিত হয়। বিড়বিড় করে বলে, "নারানরে তো জন্মাইতে দ্যখছি , তাই ভাবি নাই আগুপিছু।" ... ...
মুন কাল রাতে কলকাতা এসে ফোন দিয়েছে। আজ সকালে সটান শান্তিনিকেতনে যাবে। আমার জন্যে বিন্নির চাল আর চৈ এসেছে বাংলাদেশ থেকে তার হাত ধরে। সে হালের শন্তিনিকেতনে কলাভবনের ছাত্রী। স্নাতক পড়েছে ঢাকায়। নরসিংদিতে তার বাড়িতেও গিয়েছি আমি, উয়ারি বটেশ্বরে যখন শ্যুট করতে যাই, সেটা ২০০৯। আমার সেই সহকারী এখন অনেক বড়। আমাকেই ধমক ধামক দেয়। কাল রাতে বলেছে এখন আসা লাগবে না, সকালে আসেন, রাত্তিরে কৈ কোথায় হারায়ে যাবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠিয়েছে। হাওড়া শ্টেশনে যাওয়ার আগে ৪/৫ বার ফোন করে তাড়া দিয়েছে। পেলাট্ফর্মে ঢুকে গিসি, ট ... ...
এই ভয়ঙ্কর ঘৃণা, হিংসা, যুদ্ধ এবং মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডার দিনে, পরিবেশ ও জলবায়ু ধ্বংসের দিনে সাধারণ মানুষ কি লড়াই করতে আদৌ পারবে? না কি ১%'এর নিপীড়নে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে? আমি আমার কথা লিখলাম। ... ...
করোনা'র দিন একদিন শেষ হবেই। মাড়ি-মড়ক- মহামারিকে হারিয়ে সভ্যতা এগিয়ে চলবে। লকডাউন উঠে যাবে। রাস্তা -ঘাট,বাজার, স্টেশন আবার আমরা ধূলি-ধূসরিত করে তুলব, মাঠে ফসল বুনব,ফুল ফোটাব আবার আমরা শেতলা পূজা -মহোৎসব,দূগ্গা পূজা,নামাজ -আজান নিয়ে মেতে উঠব,পাল ঘরে সাধু হত্যার প্রতিশোধ নেব। আবার ভোট উৎসবে মেতে উঠব। আবার NRC র জিগির তুলে আধপেটা ভারতবর্ষকে ভোলানোর চেষ্টা হবে। আবার হিন্দু-মুসলিমের খেলায় মাতিয়ে বেকার ভারতবর্ষকে ভোলানোর চেষ্টা হবে,আবার দেশপ্রেমের পেটেন্ড দেখিয়ে ফসলের মুল্য না পাওয়া শরীর নিংড়ানো কৃষকের ভারতবর্ষকে ভোলানোর চেষ্টা হবে। সীমান্তে গোলাবারুদের ধোঁয়ায় হাজার হাজার মাইল পায়ে হাঁটা ভারতবর্ষকে ঢেকে দেওয়া হবে। আমরা শান্তশিষ্ট ভদ্রলোকেরা টিভিতে মহাভারত দেখতে-দেখতে "আচ্ছে দিন" আসার স্বপ্ন নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ব। প্রশ্ন গুলোর উত্তর আসবে না। ডিলিটও হবেনা, থেকে যাবে সময়ের আর্কাইভে। "যাহাদের কথা" সবাই ভুলে যায় ইতিহাস তার কিছুই ভোলেনা,প্রশ্ন কিন্তু থাকবেই যতদিন এই পচাগলা ব্যবস্থার শব আমরা বয়ে চলব ! ... ...
মোটরবাইক: ইহা একটি দ্বিচক্রী স্থলযান। পেট্রল ডিজেল জাতীয় জীবাশ্ম জ্বালানির সাহায্যে চলে। বিভিন্ন আকারের ও বিভিন্ন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরবাইক আমরা দেখিতে পাই। কোন কোন বাইকের পাশে ক্যারিয়ার থাকে। শোলে বাইক আজকাল সেরকম দেখিতে পাওয়া যায়না। যানজট জনিত সমস্যায় বাইক অকুতোভয়, অত্যল্প জায়গার ভেতর দিয়েও ইহা নিষ্ক্রান্ত হইতে পারে। বাইকে চড়িবার পর হেলমেট পরিবার প্রয়োজন। অন্যথা ফেজ টুপি চলিতে পারে। ... ...