ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে জাতপাতের গুরুত্ব নিয়ে আমি রোজই বেশি বেশি করে সচেতন হচ্ছিলাম। বইয়ে পড়া চার বর্ণের সাদাসিধে হিসেবটা পড়েই ভাবতাম ভারতের জাতের ব্যাপারটা আমি জানি। আস্তে আস্তে জানলাম এই সব জাত আবার মোটামুটি আড়াই হাজারের মত আলাদা আলাদা সম্প্রদায়, গোষ্ঠী এসবে ভাগ করা - তাদের বিয়ে টিয়ের অতি জটিল এবং সুনির্দিষ্ট নিয়ম কানুন, আচার, সংস্কার আছে। প্রতিটি জাত অন্য জাতের সঙ্গে কীভাবে আর কতদূর সম্পর্ক রাখতে পারবে তার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সোমরি বলেছিল জেলের বাইরে ও ব্রাহ্মণ বা নিজের জাতের বাইরে কারো রান্না করা ভাত খেতে পারে না, কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু জাতের তৈরি অন্য কিছু কিছু শুকনো খাবার খেতে পারে। ... ...
একটা ছেলে বাসা খুঁজতে গিয়ে অন্য বাসায় ঢুকল বাড়িওয়ালা বলল, - দেখ বাছা, ঘর আছে তবে দরজা নাই, তার ওপর ওপরেতে ছাদ, জলও পড়তে পারে টুপটাপ্ বাকি ভাড়া বলতে অ্যাডভান্স – ঝক্কি তো নেওয়া যায়না, কে কখন ফুরুত হয়ে যায়. ... ...
সেদিনের অনুষ্ঠানে শচীন দেব গান গাইতে উঠলেন। রবি বাবুর ততক্ষণে চলে যাবার কথা, আর শচীন দেব সরাসরি গ্রীন রুম থেকে এলেন বলে তিনি আর খেয়াল করেন নি শ্রোতাদের মধ্যে রবি ঠাকুর বসে আছেন। গান শুরু হল – শচীন দেব সেদিন গাইলেন ঠুমরি। সেই কি গাইলেন – পুরো অনুষ্ঠান শেষ হলে শচীন দেব পেয়েছিলেন গোল্ড মেডেল। রবি বাবু খুব মন দিয়ে গান শুনছিলেন – মজে গিয়েছিলেন, একসময় জিজ্ঞেস করলেন, " হ্যাঁরে, দিনু, ছেলেটা কে রে? ভারী সুন্দর গাইছে তো।" ... ...
এতো ছোট লেখার আবার সারমর্ম ... ...
সলিল চৌধুরীর গানের যন্ত্রানুষঙ্গের বিবর্তন ... ...
এটা, ওই এলাকায় চালু পদ্ধতি। অর্থাৎ টাকা ধার নিয়ে শোধ দিতে না পারলে সেক্ষেত্রে মেয়েদের নিলামে চড়ানো হয়। তাতে যা দাম উঠবে উঠবে। অন্তত আধডজন জেলায়, এএনআই এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিনিসটা চালু। রীতিমতো স্ট্যাম্প পেপার দিয়ে সইসাবুদ করে কর্মটা সমাধা করা হয়, স্থানীয় পঞ্চায়েতের সহযোগিতায়। এটাই একমাত্র পদ্ধতি তা নয়। ঋণ পরিশোধের যেমন নানা উপায় থাকে, এক্ষেত্রেও তাই। কেউ যদি নিজের মেয়েকে বেচতে রাজি না হন, সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের নির্দেশে মেয়ের মাকে ধর্ষণ করা হয়। কতজন করে, সেটা খবরের কাগজের প্রতিবেদনে লেখা নেই। কন্যাসন্তান না থাকলে কি কিস্তি পরিশোধের একমাত্র উপায় ধর্ষণ? সেটাও লেখা নেই। তবে, আন্দাজ করা যায়, তাইই হবে। ... ...
চুয়াত্তর বার তাকে গুলি করা হয়েছিল। পেলেটের আঘাতে চোখদুটোও গেল শেষমেশ। বর্শার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করা হলো,রেহাই পায়নি তার বুক আঁকড়ে থাকা বাচ্চাটাও। কিন্তু কোথায়ই বা যেতে পারতো সে ! বনের পর বন উজাড় হয়ে গেছে,এক ফোঁটা খাবার নেই কোথাও। অন্যের ক্ষেত থেকে খাবার চুরি করবার অপরাধে এক রাতে তার কোলের বাচ্চাটাকে কেড়ে নেওয়া হয়। অন্ধেরও তো চোখের জল বাড়ন্ত হয়না। তাই খুব কাঁদলো সে,বোবা কান্না। কেউ শুনলো না,শুনলেও খুশি হতো,এতো কষ্টের ফসল তো আর অনাহুতদের জন্য নয়। বাচ্চাটাকে বিক্রি করবার জন্য একটা খুব ছোট ব ... ...
তারপর বুড়ো রিকশওয়ালা হারাণ সাঁপুই বিড়িতে টান দিয়ে বলল "তো, লালনের গায়ে ছিল বাঘের মত বল। এমনিতে বেঁটেখাটো। আমাদের রিকশ-স্ট্যান্ডেই বসে থাকত সারাদিন, টাক মাথা, মাঝে মাঝেই সর্দি কাশি জ্বরে ভুগত খুব। কিন্তু যখন রাগ করত, বা মদ খেয়ে মাতলামি, মাইরি বলছি বাবু, ওকে দেখে আমার ভয় হত। এই বুঝি কাউকে খুন করে ফেলবে, অথবা রাগের চোটে মাথার শিরা ছিঁড়েই মরবে বুঝি বা। তখন ওকে থামায় সাধ্য কার। যেন একটা সুন্দরবনের কেঁদো বাঘ সটান দাঁড়িয়ে লেজ আছড়াচ্ছে, পৃথিবী দুভাগ হল বলে!" ছেলেটার শুনতে ইচ্ছে করছিল না এসব। ... ...
এক...এই তো ভালো আছি দেয়ালে আলোছায়া, সেজেছি বেলোয়ারি কপালে টিপ,তুমিও ভালো থেকো পুরুষ পুঙ্গব আমার মৃতদেহে সরীসৃপ lকী হবে ভালোবেসে অযথা প্রত্যয় ! এভাবে বাঁচা যায়? বাঁচা উচিত?আপাদমস্তক মোড়কে ঢেকে থাকা, তার চেয়ে এই ভালো বরফ শীত lসু-ঘ্রাণ চিনিয়েছো জুঁই ও জাফরানে রেখেছো গালে ঠোঁট এই সেদিন,যদিও এও জানি গন্ধ অযাচিত মর্গে ফেলে রাখা ফর্মালিন lমনের কাটাছেঁড়া ফুরোলে অবশেষে ... ...
ফুচকা…আহা, গোল ওই কুরমুরে বস্তুটি আলুমাখা ঠেসে যখন তেঁতুল জলে ডুব দেয় তখনই আমার মন গেয়ে ওঠে, “মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরতরে কেন পাইনা”… আসলে “দেখা”র জায়গায় একটু কষ্ট করে “খেতে” পড়ে দেখুন, কি এক আশ্চর্য ভালোলাগা আপনাকে মুহুর্তে ঘিরে ধরবে। ... ...
ক্রমশ কত কিছু শিখলাম। আমরা মফঃস্বল গঞ্জের ছেলেপুলেরা বুলি বলতে বুঝতাম মুখে যা ফোটে বা ফোটেনা। ওর মানে যে দলবদ্ধভাবে পিছনে লাগা, সে জানতে বহুদিন সময় লেগেছিল। কানাকে কানা খোঁড়াকে খোঁড়া বলিওনা, এ অবশ্য জানা ছিল, কিন্তু তারপরেও এলাকায় তিনজন বাপির একজন ছিল কালা-বাপি, আরেকজন মোটা-বাপি, তৃতীয়জন ল্যাংড়া-বাপি (নাম বদলে দিলাম, কী দরকার)। এ সবই শারীরিক বৈশিষ্ট্যসূচক। কালার শ্রবণযন্ত্রে একটু সমস্যা ছিল, ল্যাংড়া ঠিকঠাকই হাঁটত, কিন্তু কোনো সময়ে খেলতে গিয়ে মনে হয় চোট পেয়েছিল। তখন এশিয়াডের ম্যাসকট বাচ্চা হাতি আপ্পু খুব হিট। প্রত্যেক ক্লাসেই থাকত নিজস্ব একটি আপ্পু। আমাদেরও ছিল। এই দুর্মর রাজনৈতিক সঠিকত্বের যুগে বোঝা কঠিন, যে, ওগুলো কেবলমাত্র বৈশিষ্ট্যবাচক ব্যাপার ছিল। রোগা-মোটা-কালো-ফরসা-কালা-টেকো -- এই সব নিয়েই পৃথিবী, যে যেমন, সবাই, যাকে বলে, ডিফারেন্টলি কেপেবল। তা বলে সব কিছু ভারি নিষ্পাপ ছিল এমন না। বুলির সবচেয়ে কাছাকাছি প্রতিশব্দ ছিল ক্ষ্যাপানো। সেও হত বিস্তর। পচা (আবারও নাম পরিবর্তিত) বলে একটি লোক, কেন কে জানে পুই-পুই শব্দটা শুনলেই খুব রেগে যেত। ইট-পাটকেল অবধি ছুঁড়ে মারত। তাকে দলবেঁধে ছেলেপুলে "পচা পুই পুই" বলবেই। অনুচিত জেনেও বলবে। বদামি যাকে বলে। এর চেয়ে ছোটো আকারেও "ক্ষ্যাপানো" হত। "লেডিস" ছিল ছেলেদের ক্ষ্যাপানোর একটা মূল মন্ত্র। মানে, ব্যাটা মেয়েলি। আরেকটা ছিল "লেডিস ফিংগার"। এর সঙ্গে মেয়েদের কোনো সম্পর্ক নেই, কিন্তু ঢ্যাঁড়োশ না বলে যে কেন ইংরিজিতে বলা হত, জানা নেই। ... ...
সরকারেরও বুঝা উচিত সীমা যেন অতিক্রম না হয়। একটা পর্যায় গিয়ে হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে যাবে মানুষ। ভাবার, চিন্তা করার ক্ষমতা এমনেই কম আমাদের। সেই সময় আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে যাবে। ইউক্রেন যুদ্ধ, আমেরিকার রাজনীতি, চীনের কূটনীতি, মধ্যপ্রাচ্যের ধর্ম কোনকিছুই মানুষ বুঝবে না। মানুষকে নিঃশ্বাস নিতে দিতে হবে, বাঁচার রাস্তা দিতে হবে। অন্যথায় মানুষের স্বভাবের কারণেই মানুষ ঘুরে দাঁড়াবে এবং প্রলয় ঘটিয়ে থামবে। তখন আর রক্ষা পাওয়া যাবে না। ... ...
সেই বাল্যকালে কবে থেকে গান গাইতে শুরু করলাম তা আমার মনেও নেই-- গান গাইছি-তো-গাইছি-তো-গাইছি। কোনো ওস্তাদ অথবা শিক্ষকের কাছে নাড়া বেঁধে বা রীতিমতো লেখাপড়া শেখার মতো করে গান আমি কখনও শিখিনি। ছোটবেলার দিনগুলি থেকে শুরু করে, বড় হয়েও শুধু গান শুনেছি আর গেয়েছি। কোনো সঙ্গীত-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গান শিখবার সৌভাগ্য আমার অদৃষ্টে কখনও জোটেনি।'' ১৯১১ সালে 'রবিবাবুর গান' শোনার সুযোগ যাঁরা পেতেন, তাঁরা আলো ... ...
হিন্দি গদ্যরচনার একটি শ্রেষ্ঠ সাহিত্য কর্ম। ব্যঙ্গাত্মক শৈলীতে লেখা। আজও গোবলয়ের সামাজিক রাজনৈতিক মূল্যবোধে কতটু্কু পরিবর্তন হয়েছে সে বিচারের ভার পাঠকের উপরে। ... ...
সুন্দর ব্যাপারটা আপেক্ষিক – কারণ আমার চোখে যা সুন্দর, তা আপনার কাছে লাগতে নাও পারে! তবে কিনা একটা ব্যাপার থাকে – যেমন ঐশ্চর্য্য রাই সুন্দর, এ নিয়ে মনে হয় না তেমন কেউ দ্বিমত হবেন। তাই যদি কেউ ভিয়েতনাম ঘুরে এসে থাকেন এবং এই শহরে সময় কাটিয়েছেন এমন থাকেন, তাহলে মনে হয় তাঁরা আমার সাথে একমত হবেন যে, ভিয়েতনামের সবথেকে সুন্দর শহর খুব সম্ভবত ‘হোই-আন’। ভিয়েতনামের দক্ষিণে হো-চি-মিন সিটি থেকে উত্তরে হ্যানয় যেতে পারেন বা ভাইস ভার্সা। কিন্তু ভিয়েতনামের মধ্যভাগটা যেন কোন ভাবেই মিস করবেন না – মধ্য ভিয়েতনামেই আছে, হুয়ে, মাই-সন, হোই-আন, ডা-নাং এই সব সুন্দর জায়গা গুলি। একে একে লিখব যদি সময় পাই বা উৎসাহ থাকে। আজকে একটু হোই-আন নিয়ে ফিরে দেখা যাক। ... ...
নোভেল করোনাভাইরাস নিয়ে অনেক রকম মিথ, মিসইনফরমেশন চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে সবচেয়ে এক্সাইটিং মিথটা ছিল যে এই ভাইরাসটা আসলে একটা বায়োউইপন বা জৈব-অস্ত্র, যা চীনের ল্যাবরেটরি থেকে বাইরে বের হয়ে গেছে, আর তার ফলে তৈরি হয়েছে এই প্যান্ডেমিক। ... ...
গতকাল হাঙ্গেরিতে ভিকতর অরবান এবং সার্বিয়াতে আলেকজান্দার ভুচিচ যথাক্রমে প্রধান মন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হলেন। এই সেই অরবান যিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সকল আইনকে কলা দেখিয়ে আপন রাজনীতি করেন। আলেকজান্দার ভুচিচ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোন স্যাঙ্কশনের বিরোধী , যদিও তিনি ইতিমধ্যে ই উ তে ভর্তি হবার দরখাস্ত করেছেন। তাঁর মতে এ দুটি স্বতন্ত্র ব্যাপার। এঁরা শ্রী পুতিনের প্রিয়জন - তিনি দুজনকেই আজ সকালে আশীর্বাদ জানিয়েছেন। তারতুর ক্রিসটা, কাউনাসের এভেলিনার কাছে শুনি আগামী মে মাসের ন তারিখে একটি সংঘর্ষের বিপুল সম্ভাবনা। সোভিয়েত আমল থেকে প্রতিবছর সেই দিনটি পালিত হয় মহান দেশপ্রেমিক জনযুদ্ধের বিজয় দিবস রূপে। ইউক্রেনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বালটিক দেশগুলির সরকার এই দিবসটিকে পূর্ণ সমারোহে উদযাপন করার অনুমতি নাও দিতে পারেন। তখন কি হবে? রাশিয়ানরা প্রবল বিক্রমে পথে নামবেন ইউক্রেনে যুদ্ধের সমর্থনে। এই জল তরঙ্গকে রুধিবে কে? ... ...
ওড়িশার হেরিটেজ গ্রাম রঘুরাজপুরে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করে পটচিত্র তৈরী হয়। পুরানো কাপড়ের টুকরো তেতুলের বীজের গুঁড়ো ও কৎবেলের আঠার মিশ্রনের মাধ্যমে বিশেষ ভাবে তৈরী পাট্টার উপর প্রথমে চক এবং আঠার মিশ্রণে আঁকা হয় । ... ...