অ্যাদ্দিনে মোক্ষম অস্তরটা সামনা-সামনি চলে এল। 'বাঁকা' ছেলে-মেয়েদের 'সোজা' করতে এর চেয়ে ভাল উপায় আর কীই বা ছিল? তাতে এত হইচই হল্লাগোল্লার কী আছেটা শুনি? সেই কবে থেকেইতো বিভিন্ন 'বিদঘুটে অসুখ' সারাতে মাঝে মাঝে বাড়ির লোকজন 'সংশোধনী ধর্ষণ' করেই আসছে। আজ না হয় খবরের কাগজওয়ালাগুলোর হেব্বি পিনিক জেগেছে, আর তাই নিয়ে পাতা ভরিয়েছে। আর ফেসবুক করনেবালাদের দেখ! জীবনে লোকের পিছনে কাঠি করা ছাড়া বিশেষ কোনও কাজই নেই ,তাই এখন এই আদ্দিকালের খবর শেয়ার করার ধুম পড়েছে। আরে বাপ, ঘরের ছেলে, মেয়ে বিগড়োলে সামলাবেটা কে? ... ...
সে এক অদ্ভুত জিনিস। ছোট। গোল। কমলা। চকচকে। আর তার গায়ে আলো পড়লেই চারদিক কমলা হয়ে যায়। হাওয়ার সংস্পর্শে এলে সে জিনিস সবার গলা থেকে বেরোতে শুরু করে সাপের বাঁশির মতো সুর। কানের পাশ দিয়ে হাওয়া বয়ে গেলে তখন হিসহিসে শব্দ হয়। ক এইবার জিনিসটা হাতে নিয়ে দেখতে পারলো। ... ...
ভবেশ দেখছিলো শীতের সূর্যের আলোয় বাবার পিঠের চামড়ায় একটা ধাতব আঁকশি চকচক করে উঠছে। ভবেশের অবাক লেগেছিলো। পরে একদিন রাত্রিবেলা বাবার পাশে শুয়ে ভবেশ বাবাকে জিজ্ঞেস করে আঁকশিটার কথা। বাবা প্রথমে অস্বীকার করে যায় ব্যাপারটা, যেন কিছুই জানে না। যেন ভবেশ ভুল দেখেছে, আর গোটাটাই তারই ভ্রম। কিন্তু ভবেশ ছাড়েনি। সে বাবার পিঠের আঁকশিটায় হাত রেখে বলে, "এই যে, এইটা। এইটা কী?" --- বাবা থমকে যায়। যেন এইটুকু একরত্তি ছেলে হয়ে ভবেশ আঁকশিটা দেখে ফেলবে এটা বাবা ভাবতে পারেনি। কিন্তু তারপরও উত্তর দেয়নি বাবা। হেসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিলো। আর বলেছিলো, "তুই ঘুমো। কাল সকালে নইলে প্রেয়ার লাইন মিস হয়ে যাবে।" ... ...
'.. ফেরার পন্থা বন্ধ করে আপনি বাঁধো বাহু ডোরেওরা আমায় মিথ্যে ডাকে বারে বারেজানি নাই....' রবীন্দ্রনাথকে 'এলিটিস্ট' বলার প্রথাটি আধুনিক বাঙালি, অর্থাৎ বঙ্কিমপরবর্তী যুগের নব্যশ্রেণীর নাগরিক সমাজের কাছে একধরনের সেরিব্রাল কণ্ডূয়ণ হয়ে উঠেছে দীর্ঘকাল ধরে। হয় এই সৃষ্টিটিকে ‘ফুলের মালা, দীপের আলো, ধূপের ধোঁয়া’দিয়ে পুজোআচ্চা অথবা সঙ্গীতবোর্ডের সংরক্ষণ দিয়ে দিয়ে আবেষ্টিত রাখা হবে। নয়তো মাঠময়দান, চা'য়ের ঠেকে চীৎকৃত নানা অগভীর যুক্তিঝঞ্ঝায় ... ...
মনে পড়ে যায়, সেই কবেকার কথা ... বড়মাসীর গাড়িতে করে বালী ব্রিজ পার হওয়া, আবার ফিরে এসে আবার আবদার, চল না দিদি, আর একবার! দিদি, যিনি আমাদের আদর দিয়ে বাঁদর তৈরির চেষ্টাতে কোনো কসুর করেননি, চট করে রাজি হয়ে যেতেন, আর আবার পেরোনো হত ব্রিজ। আর যেদিন গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে ব্রিজে ট্রেনও ছুটতো সেদিন আমাদের আহ্লাদের আর শেষ থাকতো না। তারপরে, মন্দির চত্বরে গিয়ে আমরা দেখার চেষ্টা করতাম, পঞ্চমুণ্ডির আসনে কোনো একটি মুণ্ডের অধিকারীকে উঁকিঝুঁকি মারতে দেখতে পাওয়া যায় কিনা। অনেক পরে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমরা সদলবলে ... ...
“যে ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করা সার্থক, তেমন কোনো ভবিষ্যতে যদি আমাদের পৌঁছাতে হয় তাহলে ন্যূনতম মানবাধিকারগুলির সংস্থান ও সুরক্ষা তার সর্বপ্রথম শর্ত।“ ... ...
খবরটা একটু পুরনো হয়ে গেছে, কিন্তু এর গুরুত্বের কারণেই এতদিন পর লিখছি। খবরটা Lora DiCarlo নামে একটি কোম্পানি থেকে আবিষ্কার করা "Osé personal massager" নামক একটি নারী-কেন্দ্রিক সেক্স টয় বা যৌন খেলনা নিয়ে। এই সেক্স-টয়টি মানুষের মুখ, জিহ্বা, আঙ্গুল এর অনুভূতিকে অনুকরণ করতে পারে, যা আগে কোন সেক্সটয় করে দেখাতে পারেনি। যন্ত্রটির আবিষ্কর্তাদের মধ্যে প্রায় সকলেই নারী। কনজিউমার ইলেকট্রনিক ... ...
ছোটো বেলায় থাকতাম মানিকতলা পোস্ট অফিসের কাছে। অসুখ-বিসুখে এলাকার মানুষের সম্বল ছিলেন ডা হরিসাধন বন্দোপাধ্যায়, তাঁর বিবেকানন্দ ফার্মেসি মানিকতলা মোড়ের কাছে, এখন যেখানে সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাংক তারই পাশে। বিশাল ডাক্তারখানা, একটা ঘরে রোগীরা বসে আছেন, অন্য ঘরে ডাক্তারবাবু রোগী দেখছেন, আরেকটা ঘরে কম্পাউন্ডাররা ওষুধ দিচ্ছেন—বড়ি, বড়ি গুঁড়িয়ে পুরিয়া, বড় ওষুধের বোতল থেকে ছোট কাঁচের বোতলে, বোতলের গায়ে কাগজে মাত্রা বোঝানো। জ্বর হলে অ্যালকালি মিকশ্চার, বদহজমে কার্মিনেটিভ মিক্সচার। আজ যেমন বুঝি, ডাক্তারবাবুর ... ...
ট্রেন থেকে কিছুই মরুভূমি দেখা গেল না। স্টেশন থেকে বেরোতেই যেটা সহজেই বোঝা গেল - জায়গাটা বেশ নোংরা। অথচ জয়পুর উদয়পুরের মত এখানেও প্রচুর জার্মান আর অন্যন্য ইউরোপীয় পর্যটকদের ভিড়। সকালবেলা রাস্তাঘাট সরু , নোংরা এবং ঘিঞ্জি। কিছুদূর হেঁটে গেলে যোধপুরের বিখ্যাত ঘন্টাঘর। তাকে ঘিরে যোধপুরের প্রধান বাজার। সকালবেলা পেঁয়াজ কচুরি আর দুধের চা। কচুরির পুরের ভেতর পেঁয়াজ ছড়ানো থাকে বলে এরকম নাম। ... ...
চলে গেলেন মহাশ্বেতা দেবী। নব্বই বছর বয়েসে বাংলা সাহিত্যের এই প্রবাদপ্রতিম লেখিকার জীবনাবসান হল। শুধু সাহিত্যিক হিসেবেই নয়, নিম্নবর্গের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করা এক অবিস্মরণীয় সমাজকর্মী এবং প্রতিবাদী রাজনৈতিক চরিত্র হিসেবেও উত্তরকাল তাঁকে মনে রাখবে।মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম হয়েছিল ১৪ জানুয়ারী, ১৯২৬ এ। বাড়িতে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশ। বাবা মণীশ ঘটক ছিলেন সেকালের প্রখ্যাত সাহিত্যিক, যিনি লিখতেন যুবনাশ্ব ছদ্মনামে আর আলোড়ন ফেলেছিলেন ‘পটলডাঙার পাঁচালি’ নামক কালজয়ী রচনার মধ্যে দিয়ে। সম্পাদনা করতেন বর্ত ... ...
এই বাংলার বুকেই একসময় দেওয়া হতো প্রকাশ্যে ফাঁসি আরও ভালোভাবে বলতে গেলে একসময়কার ভারতের রাজধানী কলকাতার বুকে প্রচলন ছিল এই প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার। হ্যাঁ চমকে ওঠার মতোই ঘটনা বটে, প্রকাশ্যে ফাঁসি তাও আবার খোদ কলকাতার বুকে! ... ...
এত্তো ভুলভাল শব্দ ব্যবহার করি আমরা যে তা আর বলার নয়। সর্বস্ব হারিয়ে বা যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে যে প্রাণপণ চিৎকার করছে, তাকে সপাটে বলে বসি - নাটক করবেন না তো মশাই। বর্ধমান স্টেশনের ঘটনায় হাহাকার করি - উফ একেবারে পাশবিক। ভুলে যাই পশুদের মধ্যে মা বোনের বাছাবাছি আছে। মা বলে ডেকে ভুলিয়েভালিয়ে অন্ধকার কোণে ফুসলে নিয়ে যাওয়া নেই। বাগড়ি মার্কেটের সবহারা ব্যবসায়ীর কান্না দেখে আমাদের নিজস্ব মন্ত্রীমশাইয়ের প্রতিক্রিয়া শুধু নয়, উত্তর প্রদেশের সবার বড় মুখিয়াও একই কথা বলেছিলে ... ...
যৌনতা যৌনতা যৌনতা ... ...
ছোটবেলার বড়দিনের আর একটা স্মৃতির জলছবি রয়েছে এক্কেবারে নিভাঁজ....পষ্ট -- " ভেট "! বিলিতি কম্পানির বড় সাহেবদের জন্য সাপ্লায়ার সমূহ প্রেরিত " ডালা "। যত বড় সাহেব ততো বড়ো চ্যাঙারি। তাতে বাছাই করা ফল- বাদাম - বিস্কুট - চকলেট - রসে ডোবানো আনারসের " সুদর্শন " চক্র যেমনি থাকতো... থাকতো Gold Coin Apple Juice, সোডাপানি আর লাঠি হাতে বুড়ো ছাপ কালো বাক্সের লালজলের বোতল। কেন জানি সেটা দেখলেই আমার ' আবোলতাবোল 'এর 'কাঠবুড়োর' কথা মনে হতো ! ... ...
রাস্তাটার একদম শেষে একটা পুকুর, টলটলে। দুইপাশে জংলা ঘাস, কুচো কুচো তারা ফুল। পুকুরটাকে জাপটে ধরে আরেকটা রাস্তা, রাস্তার শেষে নিমোর বাড়ি। আমি তাই জানি, কারণ ঐ রাস্তা দিয়েই লাফাতে লাফাতে আসে। আমাদের পুকুর এক , শুধু রাস্তা আলাদা। ... ...
ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে জাতপাতের গুরুত্ব নিয়ে আমি রোজই বেশি বেশি করে সচেতন হচ্ছিলাম। বইয়ে পড়া চার বর্ণের সাদাসিধে হিসেবটা পড়েই ভাবতাম ভারতের জাতের ব্যাপারটা আমি জানি। আস্তে আস্তে জানলাম এই সব জাত আবার মোটামুটি আড়াই হাজারের মত আলাদা আলাদা সম্প্রদায়, গোষ্ঠী এসবে ভাগ করা - তাদের বিয়ে টিয়ের অতি জটিল এবং সুনির্দিষ্ট নিয়ম কানুন, আচার, সংস্কার আছে। প্রতিটি জাত অন্য জাতের সঙ্গে কীভাবে আর কতদূর সম্পর্ক রাখতে পারবে তার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সোমরি বলেছিল জেলের বাইরে ও ব্রাহ্মণ বা নিজের জাতের বাইরে কারো রান্না করা ভাত খেতে পারে না, কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু জাতের তৈরি অন্য কিছু কিছু শুকনো খাবার খেতে পারে। ... ...
একটা ছেলে বাসা খুঁজতে গিয়ে অন্য বাসায় ঢুকল বাড়িওয়ালা বলল, - দেখ বাছা, ঘর আছে তবে দরজা নাই, তার ওপর ওপরেতে ছাদ, জলও পড়তে পারে টুপটাপ্ বাকি ভাড়া বলতে অ্যাডভান্স – ঝক্কি তো নেওয়া যায়না, কে কখন ফুরুত হয়ে যায়. ... ...