জ্ঞানউপুড় পোস্ট ঢালি আমরা।রাষ্ট্রব্যবস্থা সমাজব্যবস্থা সব নিয়েই কী অগাধ পাণ্ডিত্য! আদালতের ভারডিক্ট, তার ঠিক ইন্টারপ্রিটেশন ভুল ইন্টারপ্রিটেশন...সমীহ জাগে আর তখনই জেগে ওঠে শাঁখা সিঁদুরজনিত অন্য অন্ধকার। হ্যাঁ। আমাদের আলো-পাওয়া চোখ, ইন্টেলেকচুয়াল বিভা,বন্ধনমুক্তির জন্য কোমরের জোর, শাঁখা সিঁদুর ইত্যাদি বিবাহচিহ্ন মুছে ফেলার জোর যোগায় বই কী! ... ...
(এই প্রবন্ধ কোনও তাত্ত্বিক উপস্থাপনা নয়, এই প্রবন্ধে কেবল উদাহরণ দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে মানুষের স্বাস্থ্য কি ভাবে উন্নয়ন বা অপউন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত।)জনস্বাস্থ্য বলতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বোঝানো হয় "the science and art of preventing disease, prolonging life and promoting health through the organized efforts and informed choices of society, organizations, public and private, communities and individuals" (1920, C.E.A. Winslow)। কিন্তু এই আলোচনায় আমরা জনস্বাস্থ্য বলে জনগণের স্বাস্থ্য ... ...
ব্রজরাজ নন্দ, তাঁর দুই রাণি – রোহিণী ও যশোদা, বলরাম (যিনি বিষ্ণুর অংশ-অবতার) এবং ব্রজের সকল গোপ ও গোপীগণ স্বর্গ থেকে আবির্ভূত, তাঁরা কৃষ্ণের আগে জন্ম নিয়েছিলেন, শিশু ও বালক কৃষ্ণকে লালন-পালনের জন্য। রাজা কংসের চোখে ধুলো দিতে, কৃষ্ণের সঙ্গে একই সময়ে আবির্ভূতা হয়েছিলেন, দেবী যোগমায়া। দেবরাজ ইন্দ্র স্বর্গের এই সব সংবাদ কিছুই জানতেন না? কেমন দেবরাজ তিনি? নাকি পুরাণকারেরা কাহিনী কল্পনার সময়, এই দিকটি খেয়াল রাখেননি? নাকি অনার্য বা হিন্দু দেবতার কাছে বৈদিক দেবরাজের লাঞ্ছনার ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত ভাবেই উপস্থাপিত করেছেন? ... ...
বিল গেটস এক নতুন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পরের প্যান্ডেমিক বা অতিমারীর জন্যে ভারত প্রস্তুত থাকবে, এবং লক্ষ লক্ষ এম-আরএনএ ভ্যাকসিন ভারতে তৈরী হবে। ... ...
প্রথম পর্ব, প্রথম অধ্যায়:পুরনো পথ সাদা মেঘ - বুদ্ধের পথে পথ চলাপ্রথম খণ্ডপ্রথম অধ্যায়শুধু হাঁটার জন্যই হাঁটা(img)স্বস্তি নামে একজন তরুণ ভিক্ষু বাঁশগাছের ছায়ায় হাঁটু মুড়ে বসে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের ধ্যান করছিল। এই বাঁশবন মঠে দেখতে দেখতে তার ঘন্টাখানেক ধ্যান হয়ে গেল, আরো কয়েকশো ভিক্ষুও অন্যান্য বাঁশগাছের ছায়ায় নয়ত তাঁদের নিজের কুটিরে ধ্যান করছিলেন। মহাগুরু গৌতম, লোকে যাঁকে বুদ্ধদেব নামে জানে, তিনি এই মঠটিতে প্রায় চারশো শিষ্য সহ বসবাস কর ... ...
অর্থনীতিবিদ অরুণ কুমারের একটি সাক্ষাৎকার সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ইন্ডিয়া লিগাল নামক একটি পত্রিকায়। অধ্যাপক অরুণ কুমারকে কালো টাকার অর্থনীতি সম্পর্কে একজন বিশেষজ্ঞ বলেই মনে করা হয়। ১৯৯৯ সালে পেঙ্গুইন প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছিল তাঁর আলোকসম্পাতী বই দ্য ব্ল্যাক ইকনমি ইন ইন্ডিয়া। এই সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক অরুণ কুমার জানিয়েছেন•বিমুদ্রাকরণ এর আগে অর্থনীতির স্বার্থে কয়েকবার করা হয়েছে, কিন্তু কালো টাকা উদ্ধারের জন্য কখনোই তা করা হয় নি। যখন মুদ্রা তার মূল্য হারিয়ে ফেলেছিল, তখনই এটা করা হয়েছিল। সোভিয়েত ইউন ... ...
কারা যেন রাতের বেলা কথা বলে বারান্দায় কাঁচের ঠোকাঠুকি শুনি মাঝে মাঝে ক্লান্ত হাসি সকালের অপেক্ষা করে চোখের কোণের কালি তবু চাঁদের আলো শুধু প্রেমের গানই শোনায় ... ...
ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের নানান প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে দেশী, বিদেশী সংবাদ মাধ্যমে। সম্প্রতি বিবিসি একটি তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন বের করেছে, যেখানে প্রতিবেদকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে আমেরিকা, ব্রাজিল এর পরে করোনার পরবর্তী হটস্পট হয়ত ভারত। আমরা বিভিন্ন তথ্যের আলোতে এই প্রশ্নটারই উত্তর খুঁজব, একই পরিসংখ্যানে আলো ফেলব বিভিন্ন কোন থেকে। আগেই বলে রাখি, এই লেখা পড়ে আপনি যদি ভারতে পরিস্থিতি খুব ভালো বা খুব খারাপ, এই জাতীয় সিদ্ধান্তে আসার আশা রাখেন, তাহলে হতাশ হবেন। আমি শুধুমাত্র ভাবার চেষ্টা করছি, আপনাদেরও ভাবানোর চেষ্টা করছি। আজ প্রথম কিস্তি। ... ...
স্মরণজিৎ চক্রবর্তী লিখিত দোয়েল সাঁকো বইটির আলোচনা। ... ...
পাকিস্তানীরা যাওয়ার আগে আক্ষরিক অর্থেই সমস্ত কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছিল। একটা জাতি স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ করছে, এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কত বড় অর্জন তা আমাদের বুঝা উচিত। কত শঙ্কা, কত বাধাবিপত্তি পারি দিতে হয়েছে। ধ্বংস হয়ে যাবে, হারিয়ে যাবে, ভারত নিয়ে নিবে, পাকিস্তানের হাত থেকে ভরতের খপ্পরে পড়ল বাঙালি, এদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না, ঋণের তলেই অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যাবে, এরা খেলাধুলা পারে না, দুর্বল জাতি, অপুষ্টিতেই বেশি ভুগে এরা, বন্যায় শেষ করে দিবে এদের, এত জনসংখ্যা এদের যে এর চাপেই শেষ হয়ে যাবে এমন হাজারো কথা বলা হয়েছে আমাদের নিয়ে। পঞ্চাশ বছর, কী অপূর্ব একটা মুহূর্ত! আমরা আমাদের পরিচয় দিতে পারি এখন। কত কমতি আছে তার হিসাব না হয় আজকে আর নাই নিলাম। কোথা থেকে কোথায় আসছি তার দিকে কি নজর দিব না আমরা? ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখির মত উত্থান না আমাদের? যুদ্ধ পরবর্তীতে আমাদের কী ছিল? কিচ্ছু না, একেবারে খাটি বাংলায় বললে বলতে হবে যে আমাদের কিচ্ছু ছিল না, সোজা কিচ্ছু ছিল না। অর্থনীতি বলতে কিছু ছিল না। আজকে আমরা কই? আমাদের অর্জন গুলা আমরা আজকে গর্ব করে বলব না? হানাহানি, দলাদলি তো করছিই প্রতিনিয়ত, আজকেও কেন আমরা তাই করব? আজকে তো গর্বের দিন। বেঁচে থাকলে আবার হীরক জয়ন্তী করবেন, প্লাটিনাম জয়ন্তী করবেন। আজকে সুবর্ণ জয়ন্তী পেয়েছি আমরা আমাদের মাঝে, তা আমরা উদযাপন করব না? ... ...
তাঁরা দুঃখেষু অনুদ্বিগ্নমনা সুখেষু বিগতস্পৃহঃ। চা খেতে খেতে তাদেরই এক জন বললেন, "ইহার পূর্বে কি কোনও কেলেংকারি ঘটে নাই এই দেশে ? রাজনীতিকরা কি অভিযুক্ত হন নাই পূর্বে ? সে সকল লইয়া প্রবল তদন্ত হইয়াছে এবং তাহা যে অতি বৃহৎ গ্রিন ব্যানানা ব্যতীত অন্য কিছু প্রসব করে নাই, তাহা বুঝিতে চিন্তন বৈঠক নিষ্প্রয়োজন। অতয়েব, হে অর্বাচীন, তুমি নিশ্চিন্তে পানভোজনে নিরত থাক এবং বাহুমূলকে বাদ্যযন্ত্র রূপে ব্যবহার কর।’’ ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
ধিন-তা-ধিনা, পাকা নোনা ( ডিঃ কোন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে আহত করা উদ্দেশ্য নহে, কোন চরিত্রের সঙ্গে মিল প্রতীত হইলে উহা নেহাৎই কাকতালীয়।) (১) মহাশিবরাত্রির সকাল। রায়পুর শহরের ফুলচৌক থেকে আর গাড়ি এগুতে পারছে না। বিশাল ট্র্যাফিক জ্যাম। পাঁচটাকা ভাড়ার সওয়ারি অটোতে মাঝবয়েসি ভদ্রলোক খিঁচিয়ে ওঠেন। কি মুশকিল! আমাকে রোগীর খাবার নিয়ে সরকারী হাসপাতাল যেতে হবে। পেশেন্ট সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে, আজ জেনারেল ওয়ার্ডে দেবে। তার আগে আমাকে বিল ... ...
সর্বজয়া ভৈরবী সুরের সেদিন যে কি সর্বগতা রূপ দেখেছিলাম -- আজ সকালে কেন জানি মনে পড়ে গেল। 'ফেড আউট' হতে চলা স্মৃতিকে অজস্র ধন্যবাদ তার জন্য। ... ...
আমি এক ঝটকায় সব ছেড়ে দিলাম। সোজা আব্বার পাশে। শুরু হল আমার সংগ্রাম। আমার মনে হয়েছে আমি লোক রেখে আমার মন মত সেবা আমার বাবাকে দিতে পারব না। আমার মনে হয়েছে এখন আমার বাবা উনার পাশে উনার কাছের একজনকে খুঁজবে। এখানে বলে রাখা ভাল যে আমার মা মারা গেছেন ২০১২ সালে। এবং তখন থেকেই আমি বুঝতেছিলাম যে আমাদের এই বিশাল ভাই বোনের পরিবারে আমি আর আমার বাবা এখন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। দুইজনই ব্যাচেলর। সবাই যার যার সংসারের নানান সমস্যায় জর্জরিত। তাদের চিন্তার, তাদের কাজের সেন্টার অফ গ্রেভেটি পরিবর্তন হয়ে গেছে। তাদের বৃত্তের কেন্দ্র এখন আমার বাবা না। সন্তান, স্বামী তারপরে হয়ত শ্বশুরবাড়ি তারপরে আব্বা। কাজেই চাইলেও তারা পারবে না পুরোপুরি সময় দিতে। কাজেই এ কাজ যে আমার তা আমি পরিষ্কার বুঝতে পারেছিলাম। ... ...
পুরোন জিনিষ বাতিল হোক, বিক্রি করে দেওয়া যাক পুরোন কাগজ, পুরোনো বই, আর হ্যাঁ মেরুদণ্ডগুলোও। ... ...
আঠারোমুড়া পাহাড়ের গায়ে সোনালী সোনালী খোড়ো ঘর। জুমিয়াদের গ্রাম। শীত নেমেছে কুয়াশা জড়িয়ে। জম্পুইএর কমলা ঝুড়ি ভরে একটু করে সীম বেগুন লাইপাতা ঢেঁকী শাকের পাশে বসে বাজারে কমলা রঙের আভা ছড়াচ্ছে। পৌষ মাস - সংক্রান্তি আছে। মুগের পিঠা মাছের পিঠা একঘরে কেউ যদি করে সব ঘরের বাচ্চারা ভাগ পায়। দুধের বাচ্চাগুলোরও ফর্সা গালে লালি গুড়ের লাল ছোপ ছোপ, মায়ের পিঠে কাপড় দিয়ে বাঁধা। ঘুমোচ্ছে আর জিভ দিয়ে গাল চাটছে। মায়ের মাথায় কনকের কি বয়রা লাকড়ীর বোঝা। বড় রাস্তার ধারে বাস ট্রাকের মালিকেরা দাম দিয় ... ...