ধরুন আপনি আঁকতে শিখছেন। আবার ধরুন আপনি বেড়েপাকা। তাই ধরে ধরে আইডিয়াল ঘোড়া না এঁকে একেবারে চক্ষু মুদে আঁকতে গিয়ে খচ্চর এঁকে বসেছেন। আবার ধরুন আপনি গান গাইতে চান। কিন্তু সারেগামা না সেধে একেবারে খাম্বাজ রাগিণী ধরতে গিয়ে এবারে স্টেজের উপর টম্যাটোর দোকান বসিয়ে দিলেন। কিংবা ভাবুন আপনি কর্পোরেট থ্রিলার লিখতে চান। অনেক আগে জয়েস পরেছিলেন। ইদানিং ম্যান্টল। তারপরেই কেমন গা ঘুলিয়ে উঠে ভক করে নামিয়ে ফেললেন সাহিত্যিক উদবমন। একবারে নয়। কিস্তিতে কিস্তিতে। ... ...
সত্যজিৎ রায় এবং ঋত্বিক ঘটকের ছবি নিয়ে অল্প সময়ের কথা ... ...
যেদিন সুনীল জলধি হইতে হিমালয় পর্বত মাথা চাড়া দিয়েছিল, সেদিন তার সাথে জন্ম তিব্বত মালভূমিরও। এই বিস্তৃত মালভূমির চারিদিকে বিশাল বিশাল পর্বতমালা। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। শনশন করে হাড় কাঁপানো হাওয়া বয়। কেমন করে ওখানে জীবন ধারণ করে মানুষেরা? কেমন করে শুরু হয়েছিল সভ্যতার? ... ...
সত্যজিতের ঈশ্বরে বিশ্বাস-অবিশ্বাস কতটা তাঁর কাজে বা পাবলিক স্ফিয়ারে ধরা পড়েছে? ঈশ্বর বলতে এখানে অতিপ্রাকৃত, আধিদৈবিক সবই ধরছি। ... ...
অত:পর বিরিঞ্চিবাবা দুই বাহু প্রসারিত করে সূর্যকে নির্দেশ দিলেন, "ওঠ্, ওঠ্, ওওওওঠ্"। সূর্যবিজ্ঞান যাঁর হাতের মুঠোয়, তাঁর আহ্বানে অতএব সূর্যোদয় হল! ঐ বেথারটোলির উপর দিয়েই নন্দাদেবী, বেথারটোলি, নন্দাঘুন্টি, ত্রিশূল, দুনাগিরিকে সাক্ষী রেখে শতসহস্র উজ্জ্বল রশ্মির দ্যুতির সপ্তাশ্বরথে চড়ে তিনি আবির্ভূত হলেন। আর আমরা চন্দ্রশিলায় উপনীত মর্ত্যলোকের কীটপতঙ্গ সমুদয় চর্মচক্ষে সেই স্বর্গীয় দৃশ্য প্রত্যক্ষ করলাম! ... ...
পদ্মাবতী ডিবেটের সূত্রে একটা কথা চার পাশে শোনা যাচ্ছে, যে এ সব পদ্মাবতী ইত্যাদি দেশের আসল ইস্যু নয়। এই মুহূর্তে দিল্লির কৃষক বিক্ষোভটাই দেশের সমস্যা, সেখান থেকে নজর ঘোরাতেই রাষ্ট্র ও মিডিয়া পদ্মাবতীর মত উল্টোপাল্টা ফিল্মি ইস্যু বানানোর কারসাজি করছে। আমি এই ধরনের গোদা বাইনারি সেট করে কৃষক ও পদ্মাবতী দু' তরফকে লড়িয়ে দেওয়ার বিরোধী। বরং দু' ধরনের সমস্যারই একটা নিজস্ব চরিত্র রয়েছে, যা কাজে লাগালে সামগ্রিক লড়াই অনেক জোরদার হয়ে ওঠে। ... ...
মোদ্দা কথা টাকা থাকলেই আসবে ক্ষমতা – এবার সেই ক্ষমতা নিয়ে আপনি কি করবেন সেটা আপনার ব্যাপার। টাকা আর ক্ষমতা কাছে চলে এলে আপনি আপনার চারিদিকে যে পাবলিক ঘুরঘুর করছে তাদের কন্ট্রোল করতে পারবেন – এবং তারা আপনার জন্য আপনার চাদিকের পৃথিবী পালটে দেবার চেষ্টা করবে আপনার পছন্দ মত। এবং সেই ক্ষমতা বাড়তে বাড়তে একসময় এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে আপনি চারপাশের ‘বাস্তবতা’ নিজে ইচ্ছে মত তৈরী করে নিতে পারবেন! এই পর্যায়ে আপনাকে আর সত্যের বিকৃতি ঘটাতে হবে না টাকা উপায়ের জন্য, টাকাই আপনার জন্য সত্যের বিকৃতি ঘটিয়ে দেবে! ... ...
মেয়েটা বড় হয়ে গিয়ে বেশ সুবিধে হয়েছে। "চল মাম্মা, আজ সিনেমা" বলে দুজনেই দুজনকে বুঝিয়ে টুক করে ঘরের পাশের থিয়েটারে চলে যাওয়া যাচ্ছে।আজও গেলাম। বিশাল ভরদ্বাজের "পটাকা"। এবার আমি এই ভদ্রলোকের সিনেমাটিক ব্যাপারটার বেশ বড়সড় ফ্যান। এমনকি " মটরু কে বিজলী কা মনডোলা"ও আমার দারুণ লেগেছিল। একটা দেশি, স্ট্রীট থিয়েটার ব্যাপার থাকে।একটা "Willing suspension of disbelief" ঘিরে ফেলে। এই সিনেমাতেও তাই! প্রথমেই মনে হয়, দুই বোন এত লড়াই কেন করে। যত সিনেমা এগোয়, কেন করে ভুলে গিয়ে, এবার কি করবে ভাব ... ...
প্রতি অমাবস্যায় সনাতনের ঋতুস্রাব হয় এবং দুয়েক দিন আগে পিছে করে সনাতন একসময় পূর্ণচাঁদেও ঋতুমান হয়। এটা সনাতনের সোজাসুজি বিশ্বাস। এর প্রমাণ সম্পর্কে সে সচেতন। সনাতন যদিও কাউকেই এতদিন নিজের এই ব্যাতিক্রমী বৈশিষ্টটি বলেনি, বলাবাহুল্য লোকলাজ ও সংকোচে। এও ঠিক যে, সনাতন এটিকে ব্যাতিক্রম হিসেবে ভাবেনা। রোজ সকালে শুঁটকিপোড়া দিয়ে পান্তাভাত খেয়ে যেভাবে মাতলার পাড় ধরে ধরে এক কুড়ি দু কুড়ি কাঁকড়া ঝাঁকিতে ভরে গঞ্জের হাটে ফড়েকে দিয়ে আসে ... ...
...অথচ শুরু থেকেই এটি অপহরণের ঘটনা হিসেবে আমলে নিয়ে তদন্ত করলে হয়তো কিশোরী পাহাড়ি মেয়ে লাকিংমের সন্ধান পাওয়া যেত, অপহরণের পর ১১ মাস ধরে মেয়েটিকে কিভাবে কোথায় কোথায় রাখা হয়েছে, কিভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে তার ধর্ম, ভূয়া জন্ম সনদে কিভাবে বাল্যবিবাহে বাধ্য করা হয়েছে সবই বেরিয়ে আসতো। হতভাগ্য মেয়েটিকেও হয়তো এভাবে জীবন দিতে হতো না। সবচেয়ে বড়কথা, ১২ দিন আগে সন্তানের জন্ম দিয়েই একটি মেয়ে তুচ্ছ পারিবারিক কলহের জেরে বিষপানে আত্মহত্যা করবে, বিষয়টি মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয়! ... ... ...
প্রিয় মিশ্রাজি (পরিচালক – দীপক কুমার মিশ্রা) … এই যে প্রশ্নপত্র হাতে আমাদের দাঁড় করিয়ে গেলেন আশাকরি তার উত্তর শীঘ্রই পাব পঞ্চায়েত ৩ এ। ততদিন মনের মনিকোঠায় লুকোনো থাক ফুলেরা গ্রামের গল্পরা … ... ...
রালফ আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স তো এদেশের ? তাহলে নির্ঘাত জানেন থিওরেটিকাল ট্রেনিঙের সময়ে পথের নিয়ম কানুন শেখানোর সঙ্গে শিক্ষকরা আরও একটি সতর্কতা বাণী দিয়ে থাকেন- মনে রাখবেন জার্মানিতে বহু নারী পুরুষ অনিদ্রায় ভোগেন এবং জানলার পাশে বসে দুনিয়ার খবরদারি করে থাকেন । তেমনি একজন সে রাতে পুলিশকে ফোন করে জানিয়েছেন অমুক নম্বর প্লেট ওলা পরশে গাড়ি থেকে একজন টলোমলো পায়ে নেমে উলটো দিকের এত নম্বর বাড়িতে ঢুকেছেন। পথে ঘাটে নয় , নিজের বাড়িতে বসে ড্রিংক ড্রাইভিং টেস্টে ফেল করেছে মাথিয়াস! বিস্মিত হবেন না । শিব ঠাকুরের না হোক কান্ট হেগেল মার্কসের আপন দেশে পার্ক করা গাড়িতে বসেও ড্রাইভিং লাইসেন্স হারানো সম্ভব । পরবর্তী ভ্রমণের সময়ে মনে রাখবেন। ... ...
সম্ভবতঃ এটি সরকারী সাবতাজ প্ল্যানের অঙ্গ হিসাবেই সাধিত হয়েছে - কিন্তু তা হয়ে থাকলে সেটা এ বিরাট ব্যাকফায়ার করেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। প্রজাতন্ত্র দিবসে সাধারণ প্রজারা গিয়ে আইন অমান্য করে লালকেল্লায় নিজেদের ঝান্ডা উড়িয়েছে জাতীয় পতাকার নীচে - বিবিধের মাঝে মিলন মহানের এর চেয়ে বড় প্রতীকি বিজ্ঞাপন আর কী হতে পারত সেদিন? ... ...
গণতন্ত্রে শেষ কথা বলে জনতাই। একুশের বাংলার নির্বাচন এই সত্যিটাই আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল। ঝুড়ি ঝুড়ি টাকা ওড়ালে বা ধর্মের চোনা দিয়ে গোমূত্র খেলে বাংলাকে জেতা যায় না। মাছ প্রিয় বাঙালি ধোকলাকে ডাবল ইঞ্জিনে চাপিয়ে সোজা পগারপার করিয়ে তবে ছেড়েছে। বাঙালির সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়া কী এতই সহজ! ... ...
মেনকা নিশ্চয় হ্যালুসিনেট করছিল। এইসব ডিজিটাল সহকারীদের মাঝে মাঝে গল্প বলতে বললে একদম বানিয়ে বানিয়ে এসব গাঁজাখুরি গল্প বলে। ... ...
ভালোমানুষির ফাঁদ------------------------------------------------------------প্রায় মাসখানেক আগে থেকেই পরিকল্পনাটা চলছিলো মেজোর মাথায়। আর মা এবং টাকলুও ব্যাপারটায় মদত দিচ্ছিলো। প্রায় সারাবছরই বাড়ির আশেপাশে আহত পশুপাখির আনাগোনা থাকেই। তাদের ধরে সুস্থ করা না পর্যন্ত মেজোর নিস্তার নেই। শালিখটা রোজ আসতো আমাদের উঠোনের পেয়ারা গাছটার নিচে। পাখিদের জন্য মুড়ি, খুদ ইত্যাদি ছড়ানোই থাকে। অন্য পাখিদের মতোই সেও খুঁটে খেতো। কিন্তু আর পাঁচটা পাখির থেকে এই শালিখটা আলাদা। কোনো দুর্ঘটনাজনিত কারণে ... ...
ঘুরে ফিরে আবার সেই সরস্বতী পূজো চলে এলো। ইস্কুল জীবন শেষ হবার পর বিশেষ একটা মাথা ঘামাই নি কবে বা কিভাবে সরস্বতী পূজা হবে সেই সব নিয়ে। পূজো বিষয়ে আমার জীবনের রেফারেন্স পয়েন্ট ছিল বলতে গিয়ে দূর্গা পূজা। দেশে কবে ফিরব এবং দেশ থেকে কবে আবার বিদেশে ফিরে যাব, কেনাকাটা কবে হবে, কার সাথে দেখা হবে – সেই সবই মাপা হত সপ্তমী বা দশমীর দিন থেকে। এর প্রধান কারণ ছিল আমার বাড়িতে দূর্গা পূজো হওয়া। ওই এক সময় গেলে সবার সাথে দেখা – বৃহত্তর পরিবারের আরো বিস্তৃত আত্মীয় পরিজনের সাথে দেখা করতে গেলে তার থেকে ভালো সুযোগ আ ... ...