ঋণঃ সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘গোরু রচনা’ চরিত্র গোষ্ঠঃ নগন্য এক শ্যামলী গাই, চাকরবিশেষ (ধুতি-ফতুয়া-খালি পা) গোপালঃ শ্যামলী রাষ্ট্রপ্রধান (ধুতি-পাঞ্জাবি-উত্তরীয়)গোয়েবলসঃ ধবলী বিদেশসচিব (কোট-শার্ট-টাই-জিনস) জার্সিঃ ধবলী শিল্পপতি (জার্সি-জিনস-মাথায় বেসবল ক্যাপ)[মাউথ অর্গ্যান বা এসরাজ বা বাঁশিতে ‘আমরা সবাই রাজা’র সুর বাজে][মঞ্চের ওপর একটা বড় টেবিল, একদিকে একটি ও অন্যদিকে দু’টি চেয়ার রাখা, গোলটেবিল বৈঠকের ঢঙ এ সা ... ...
আরেকটুপ্রতিদিনের মতো আজো অটোর লাইনে দাঁড়িয়ে বিরক্তি লাগছিল | আমার এক সুপার সিনিক বন্ধুর কথায় নাকি দূর থেকে সাদা জামা কালো প্যানট পড়ে আমাদের সবাইকে একেকটা পেঙ্গুইন এর মত লাগে | বউ আমার থেকেও আগে বেরিয়ে যায় অফিসে , নিজেকে নিজেই খিস্তি করছিলাম অগত্যা |এই বয়সেই বুড়ো? এত আলসে হয়ে গেলে চলে? একটু আগে ঘুম থেকে উঠলেই লাইন এ দাঁড়াতে হতনা | এইসব আত্মসমালোচনা করতে গিয়ে অফিস পৌছাতে একটু দেরীই হয়ে গেল | ঢুকতেই অভ্রদার সাথে দেখা | সোমবার ও সাধারনত ব্যান্কার্স শার্ট পরে আসে, আজ ও ব্যতিক্রম নেই| আমাকে দে ... ...
আমরা যখন ভারতের কোন রাজ্যে কত ধান চাষ হয় আর কোন অঞ্চলে কোন আকরিক পাওয়া যায় তাই মুখস্থ করছি, তখন সিলেটি কাকু ঠোঙা ভর্তি মুড়ি আর আলুর চপ নিয়ে মাটিতে আয়েশ করে বসে বলতেন - বল তো রবিন হুড কোন জঙ্গলে ডেরা বেঁধেছিলো? আমাদের যখন মুঘল সাম্রাজ্য পতনের সতেরোটি কারণ গলাধঃকরণ করতে গিয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত তখন কাকু কানে কানে ফিস ফিস করে বলতেন রামায়ণের বিভীষণ কিন্তু অমর ছিল, মনে আছে তো? বিভীষণ এখন বি বি সেন নামে পরিচয় দেয়, বৌবাজারের ওদিকে থাকে। বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর ফোকাস করার জন্য বড়োরা যখন গম্ভীর উচ্চস্বরে বলতেন - "না না ওসব ভূত টুত সব বাজে কথা ভূত বলে কিছু নেই" তখন সিলেটি কাকু গলা নামিয়ে বলতেন - কে বলে ভূত নেই? আলবাত ভূত আছে। এই তো আমার বাড়ির পাশের কবরখানার ভূত মেরি তো রোজ আমার সাথে কথা বলে.... আর জানো না ভুলভুলাইয়ার গোলক ধাঁধা থেকে কে বার করে নিয়ে এসেছিলো হাসিনা খাতুন আর ক্যাপ্টেন আওকে? হাসিনা খাতুন আর ক্যাপ্টেন আও কারা কাকু?" "ক্যাপ্টেন আও একজন নাগা সৈনিক আর হাসিনা খাতুন ট্রেনে ট্রেনে গান গায় ... ... ...
ছেলেটি ঘামছিল দরদর করে, মাঝে মাঝে রুমাল দিয়ে মুছে নিচ্ছিল মুখমন্ডল, সারা শরীর যেন ভেঙ্গে পড়ছে ক্লান্তিতে, তবু উঠার নামগন্ধ নেই। তার সামনে একটি টেবিল, একটি ল্যাপটপ, আর এক গাদা কাগজপত্র। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এসেছিল, আর এই অজ পাঁড়াগায়ে বিদ্যুত পৌঁছুলেও খেয়াল খুশীমত সে আসা যাওয়া করতো, তাই যখন পাশেই রাখা বিশাল স্ট্যান্ড ফ্যানটা ঠায় দাঁড়িয়েছিল নির্বাক, নিঃশব্দ, সামনে-পেছনে-ডাইনে-বায়ে গোল হয়ে দাঁড়ানো প্রায় জনা ষাট-সত্তর মানুষ, তাদের মধ্যে ছেলে-বুড়ো-বউ-ঝি কেউই বাদ পড়েনি, একটুও কুন্ঠিত হচ্ছিল না, ব্যাপারটা তাদের এতটাই গা সওয়া - বরং তারা প্রবল আগ্রহ নিয়ে দেখছিল ছেলেটির কাজকর্ম, তাদের জন্য আজ এক বিষ্ময়ের দিন, আজ নাকি তাদের ব্যাংক হিসাব খোলা হবে! ... ...
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমাদের এই নিবেদন ... ...
“ও আলোর পথ যাত্রী...এযে রাত্রি...এখানে থেমো না...”এমনিতেই পড়াশুনো আমার ধাতে সয় না। তার ওপর গরমের ছুটি। সকালে একপাতা হাতের লেখা আর সন্ধ্যেবেলা ঢুলতে ঢুলতে দাদার পাশে বসে কোনো মতে কয়েকটা ভাগ, দুই তিনটে যোগ আর মুষ্টিমেয় আনা খানেক গুণ করলেই আমাকে আর দেখে কে। মা সরস্বতী তখন আমার এ্যালুমোনিয়ামের পড়ার বাক্সে বন্দি। আর নকশাল তখন গরমের চোটে নীচের বারান্দায় নামা দূর অস্ত, দানা পানি খেতেও ভুলে যায়। কন্টিদের বাড়ির ছোটো পেয়ারা গাছটার ওপর বসে থাকে। আর মাঝে মাঝে একটু একটু উড়ে গিয়ে পুকুরপাড়ে বিজয় কাকু ... ...
...পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, নাস্তিকতার অভিযোগ এনে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্যরা, অর্থাৎ এ মামলার অভিযুক্তরাসহ মূল হামলাকারীরা সাংগঠনিকভাবে অভিজিতকে নৃশংসভাবে হত্যা করে । স্বাধীনভাবে লেখালেখি ও মত প্রকাশের জন্য তাকে নিজের জীবন দিয়ে মূল্য দিতে হয়। অভিজিতকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল, মত প্রকাশের স্বাধীনতার পথ রুদ্ধ করা। আর সে কারণে এ মামলার আসামিরা কোনো সহানুভূতি পেতে পারে না।... ... ...
নীলমাধব বৃদ্ধ হয়েছেন। নিজে গোলযোগ সইতে পারেন কি না, জানিনা। তবে তাঁকে নিয়ে অভ্রভেদী কোলাহল শুরু হয়েছিলো সেই কবে। উনিশ বছর পরে কায়াপলট হবে দেবতার। তাই গত বছর তিনেক ধরে সাজো সাজো প্রস্তুতি চলেছিলো চারদিকে। পুরীর জগন্নাথদেবের নবকলেবর হলো গত বছর রথযাত্রার সময়। যে শহরের স্থায়ী লোকসংখ্যা পঞ্চাশ হাজারও নয়, সেখানে পঞ্চাশ লাখ লোক এসে পুণ্য করে গেলেন। কোনও বড়োসড়ো দুর্ঘটনা হলোনা। পণ্ডাসমাজ বনাম ব্যুরোক্রেসি, নানা নাটকনবেল, মুর্গি লড়াই হলো। নবীনবাবুর আশীর্বাদে বাবুরা জয়ী হলেন। জনতাও বাবুদের সঙ্গে ছিলো। একুশ ... ...
অন্তরীক্ষে এই ঊষাকালে অতসী পুষ্পদলের রঙ ফুটি ফুটি করিতেছে। অংশুসকল ঘুমঘোরে স্থিত মেঘমালায় মাখামাখি হইয়া প্রভাতের জন্মমুহূর্তে বিহ্বল শিশুর ন্যায় আধোমুখর। নদীতীরবর্তী কাশপুষ্পগুচ্ছে লবণপৃক্ত বাতাস রহিয়া রহিয়া জড়াইতে চাহে যেন, বালবিধবার কুঞ্জে কিশোর রাখালিয়া। থাকিয়া থাকিয়া এমন শরতের নদী, বাতাস তাহার অববাহিকায় অস্ফুট জড়িমা, আমাকে যদি চাহ তবে মুখ ফুটিয়া কহো, দাও, নচেৎ পাপড়ি ছিঁড়িয়া করতলে পিষ্ট করিয়া শুঁকিয়া দেখ, শুঁটকি মাছের ঘ্রাণের ন্যায় সামুদ্রিক নির্বিকল্প। ... ...
গতকাল ফেসবুকে এই লেখাটা লিখেছিলাম বেশ বিরক্ত হয়েই। এখানে অবিকৃত ভাবেই দিলাম। শুধু ফেসবুকেই একজন একটা জিনিস শুধরে দিয়েছিলেন, দশ মহাবিদ্যার অষ্টম জনের নাম আমি বগলামুখী লিখেছিলাম, ওখানেই একজন লিখলেন সেইটা সম্ভবত বগলা হবে। ------------- ধর্মবিশ্বাসী মানুষে নিজের ধর্ম নিয়ে আমার মত ঈশ্বরঅবিশ্বাসী লোকের থেকেও কত কম জানে দেখে খুবই আশ্চর্য ও অবাক হই।একে তো চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠীর আগে মহা জুড়ে দেওয়া এখন প্রায় সার্বজনীন রোগের পর্যায়ে, তারপর কয়েকদিন আগে নবদুর্গা নিয়ে এক আলোচনায় দেখছ ... ...
একশাফাকাত আলী অনেক আগে গ্রাম ছেড়েছিলেন। এখন ষাটোর্ধ্ব বয়সে তিনি আবার গ্রামে ফিরলেন। না ফিরে উপায় ছিল না। শহুরে দুনিয়ার অবস্থা ভালো না। যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি চারিদিকে। বিশ্ব পরিস্থিতিও খারাপ, একেক দেশ তাদের মানববিধ্বংসী অস্ত্র নিয়ে উন্মত্ত শিং উঁচানো ষাঁড়ের মতো লাফাচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন আরেকটা বড় যুদ্ধ এবার হবেই। শাফাকাত আলী ভয়ে ফিরে এসেছেন প্রত্যন্ত গ্রামে এমন ভাবার কোন কারণ নেই। ভয়ে তিনি আসেন নি। এসেছেন সামাজিক ও পারিবারিক অমানবিকতায় ক্ষুব্ধ হয়ে। তার পুত্র কন্যা সবাই বিদেশ ... ...
প্রথমেই স্বীকারোক্তি থাক যে ফুরসতনামা কথাটা আমার সৃষ্ট নয়। তারাপদ রায় তার একটা লেখার নাম দিয়েছিলেন ফুরসতনামা, আমি সেখান থেকে স্রেফ টুকেছি।আসলে ফুরসত পাচ্ছিলাম না বলেই অ্যাদ্দিন লিখে আপনাদের জ্বালাতন করা যাচ্ছিলনা। কপালজোরে খানিক ফুরসত মিলেছে, তাই লিখছি, অতএব ইহা ফুরসতনামা। টোকার কথা হচ্ছিল, আম্মো আমার ভাই অর্কের খান কতক গপ্পো টুকে দিই। অর্ক কে মনে আছে কি? আমার সেই ভাইরত্নটি যে কিনা ক্লাসিকাল গাইয়ে (এর চেয়ে বেশি ইন্ট্রো চাইলে অর্কের গানের রেওয়াজ চলার সময় সামনে বসিয়ে দেবো)।অর্কের মত ... ...
নামদাফা টাইগার রিজার্ভ - অভয়ারণ্যের নাম এটাই। ব্যপ্তি মিশমি পাহাড়ের দাফা-বাম রেঞ্জ আর পাটকাই রেঞ্জের মাঝের পুব পশ্চিমে বিস্তৃত প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার এলাকা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ৬৫৬ ফুট (২০০ মিটার) থেকে ধাপে ধাপে বেড়ে প্রায় ১৫০০০ হাজার ফিট (৪৫৭১ মিটার) অবধি উঠেছে। বলা হয় যে এই অঞ্চলের উদ্ভিদসম্পদের পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা করতে কমবেশী ৫০ বছর সময় লাগবে, এত বহুল ব্যপ্ত এর উদ্ভিদবৈচিত্র। মিশমি-তিতা বা কপতি-তিতা নামের ভেষজ উদ্ভিদ নামদাফার গহীনেই একমাত্র পাওয়া যায়। স্থানীয় জনজাতির মানুষেরা এই ভেষজ উদ্ভিদ তাঁদের প্রায় সবরকম অসুখ বিসুখেই ব্যবহার করেন। এই উদ্ভিদের রপ্তানী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এখানে বলে রাখি ডিব্রুগড়ে নেমে ঈপ্সিতার সাথে কথা বলার সময় ঈপ্সিতা বলেছিল নামদাফায় গিয়ে লোকজনকে জিগ্যেস করতে যে জ্বর টর হয় কিনা। তা,আমি জিগ্যেসও করেছিলাম, শুনলাম না না জ্বর হয় না তো। হলে ঐ লতা পাতা বেটে খেলেই কমে যায়। কী পাতা? শুনলাম জংলী পাতা এই জঙ্গলেই পাওয়া যায়। পাতা মানে তাহলে হয়ত মিশমি-তিতার কথাই বলছিলেন ওঁরা। ‘নামদাফা’ শব্দটা দুটো সিংফো শব্দের মিশ্রণে তৈরী। নাম হল জল আর দাফা মানে উৎস। দুইয়ে মিলে দাফা-বাম হিমবাহে উৎপন্ন নদীকে বোঝানো হয়। নদীর নামটাও ভারী মিষ্টি – নোয়া ডিহিং’ ... ...
তার এককোণে একটা টলটলে চৌবাচ্চা, আর কলাফুলের গাছ। উঠোনের তিনদিকে টুকটুকে লাল পথ ছিল, সেই পথ গিয়ে মিশত একটা সবুজ বাগানে। বাগানে না আসলে দালানে - ঘন সবুজ ঘাসের মত মখমলি, মাটির দাওয়ার মত শীতল এক দালান। সে দালান যেমন বড়, না ঠিক বড় নয়, মানে যেন অতল গভীর, মানে ঠিক গভীর নয়, ঠিক কেমন বলতে ঠাহর পাইনা। তবে যেমনই হোক, খুব আপন আপন। আমি যেদিন প্রথম সেখানে গিয়েছিলাম, তখন সবে কুঁড়ি ফুটেছি, অমন কুঁড়ি পাঠশালে কেউ নেয়না। সেদিন সেই দালানে গিয়ে শুয়ে পড়লাম, ঘুম এসে গেল। চোখ খুলে দেখি দালানে একজন মা রয়েছেন। তিনি কে তো জানিনা, মনে হল মায়ের মতো। মা বলল, উনি সবার মা, মায়েরও মা, আমারও মা। ... ...
স্বপ্নস্বাদআমাদের ছোটবেলায় চকোলেট ছিল বেশ দুর্লভ একটা জিনিস, লেবু লজেন্স, টিকটিকি লজেন্সের স্বাদে আমোদিত দিনগুলোয় একটা ডেয়ারী মিল্কের বার হাতে পাওয়া মানে চাঁদ পাওয়ার চেয়ে কম কিছু ছিলনা। সেই বার রাখা থাকত তালাবন্ধ মীটসেফের কোনে। মন দিয়ে পড়ে বাবা মাকে খুশি করতে পারলে তবেই মিলত সেই বারের একটা টুকরো। তাই চকোলেট জিনিসটা দেবতার খাদ্য ছাড়া কিছু ভাবতেই পারিনি। প্রবাসী আত্মীয় দেশে ফেরার সময় নিয়ে আসতেন টবলেরোনের ত্রিভুজ, সে জিনিস আবার অমৃতের কাছাকাছি, টোবলেরোনের খালি খোল সংগ্রহ করে স্কুলব্যাগে ক ... ...
ব্যাঙ্গমা কয়, “ব্যাঙ্গমী,ডিঙ্কা ঝিকা ল্যাঙ্গমী,লিচির পিচির বঞ্চনা,লেপ্তো বুও পঞ্চোনা,কুঁচকি কুচুর কিচ কিশিং,হাঁচ্ছি মাছি পুঁচকি চিং?”বাংলা করে, অর্থটা – “ব্যাঙ্গমী গো, গর্তটা,শাবল দিয়ে গোল করেনিম বেগুনের ঝোল ভরে,আস্ত দু’খান ছাগ ফেলে,মাচিস মেরে আগ জ্বেলে,কোদাল দিয়ে মাঠ কেটেযেমনি নিলুম খাট পেতে,ওমনি কেন ডান দিকেদেখছি কেবল ঠানদি কে?”ব্যাঙ্গমী কয়, “ব্যাঙ্গমা,চাকুম চুকুম চ্যাঙ্গমা,ক্যাঁচর ম্যাচর পাঁচকু ... ...
(পর্ব ১ এর পর ) কালচারাল আর্যঃ দ্বিতীয় সম্ভাব্য উত্তরটা হতে পারে আর্যদের ডিফাইন করা একটা কালচার ( মানে কিছু স্পেসিফিক কালচারাল বৈশিষ্ট্য) দিয়ে। কিন্তু এইটা কি আমরা প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপিয়ান কালচার দিয়ে করতে পারি? মানে সেই থেকে ডিরাইভড কোন একটা কালচারকে আর্য কালচার বলব, এটা কি পারি? এতে দুটো মুশকিল, এক হল প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপিয়ান কালচার সম্পর্কে আমরা আদৌ জানব কিকরে? ভাষাটার অস্তিত্ব লজিকালি ডিরাইভ করেছি ( এখনো করিনি, আপাতত ধরে নিতে বলেছিলাম, আরও কিছুক্ষণ ধরে থাকুন ), কিন্তু আদ ... ...
বইয়ের রিভিউ ফেসবুকে কীভাবে লিখবেন (অথবা লিখবেন না)। ... ...
ক্লাস সেভেনের সুচরিতা মাঝি।বাবা অন্যত্র থাকেন।হত দরিদ্র সংসার।সেদিন দুপুরে মিড ডে মিলের পর ছুটি চাইলো।আমি ছুটি দেবোনা।সুচরিতা খুব ঠান্ডা মেয়ে।তবে সেদিন অবুঝের মত জেদ ধরলো যে সে যাবেই।আমি রেগে যাচ্ছিলাম।তবে জেদ ধরাতে যেতে দিতে বাধ্য হলাম।আমার স্কুলের এক নন টিচিং স্টাফ,মদন বাবু আমাকে অফিসের জানালা দিয়ে তাকাতে ইশারা করলেন।তাকিয়ে দেখলাম যে সুচরিতা তপ্ত রোদে পিঠে ছেঁড়া বই এর ব্যাগ আর হাতে ভাতের থালাটা নিয়ে কম পক্ষে দুকিলোমিটার দূরে বাড়ির দিকে হাঁটছে।বুঝলাম।মদন বাবু জানালেন যে সুচরিতা ম ... ...