বক্স অফিস চুরমার করে দিতে, জানা ইতিহাসকে ঘেঁটে ঘ করে দিতে, পাঠ্যবই নতুন করে লেখার দাবী তুলে, এপ্রিল ফুলের আগাম শুভেচ্ছা সহ আসছে মননশীল ঋদ্ধ তথ্যচিত্র বামৈস্লামিক। একটুও গ্যারান্টি না দিয়ে দিয়ে একথা নিশ্চিন্তে বলা যায়, যে, গোদারের পর এভাবে রিয়েলিটিকে কেউ পাছা ওল্টাতে বাধ্য করেননি, ফারেনহাইট ৯১১ ছাড়া আর কোনো তথ্যচিত্র এমন নাটকীয় হয়নি, পথের পাঁচা৯র পর আবহসঙ্গীতের এমন প্যাঁচ আর কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি। এ জিনিস দেখলে মানব চোখে সর্ষেফুল দেখবে, মানবীর গায়ে কাঁটা দেবে, শিশুর বাসযোগ্য হয়ে উঠবে পৃথিবী, আর ... ...
মানস চক্রবর্তীকবিতা কি বিনােদনসামগ্রী? তর্ক এ নিয়ে আপাতত নয়। কবিতা কি আদৌ কোনাে সামগ্রী? কোনাে কিছুকে পণ্য হয়ে উঠতে হলেও তার একটা যােগ্যতা দরকার হয়। আজকের দিনে কবিতা সে-অবস্থায় আদৌ আছে কি না সবার আগে স্পষ্ট হওয়া দরকার। কবিতা নামে একটা ব্যাপার আছে, এটুকু সাধারণভাবে স্বীকৃত। স্বীকৃত বলেই নিউইয়র্ক টাইমস-এর গত নভেম্বরের বেস্টসেলার লিস্টে তিন নম্বরে ছিল কানাডার পাঞ্জাবি বংশােদ্ভূত কবি রুপি কউর-এর অক্টোবর ২০১৭-য় প্রকাশিত দ্য সান অ্যান্ড হার ফ্লাওয়ারস কবিতার বইটি। অর্থাৎ, মানুষ কবিত ... ...
একটা অসমাপ্ত নকশা তৈরি হত, বদলেও যেত প্রতিদিন- এই সব হিসেব না মেলা সংখ্যাদের জ্যান্ত দেখাতো- আলাদা রং, আলাদা শেপ- যেন একটা বোর্ড গেমের ঘুঁটি সব- খেলার নিয়ম তৈরি হওয়ার অপেক্ষা করছে; মনে হত, আমাকেই এই গেমের রুল ঠিক করতে হবে- তার আগে নকশাটা চিনে নেওয়া খুব জরুরী । নকশা বা একটা গল্প -স্পাই বলেছিল। ... ...
নিউ ইয়র্কের জেএফকে এয়ারপোর্টে যখন নেবেছি তখন বেলা প্রায় দেড়টা। নাবার কথা ছিল সকাল নটায়। স্যান ফ্র্যান্সিসকো থেকে সোজা নিউ ইয়র্ক। বাজে আবহাওয়ার জন্যে প্লেন ঘুরে এল ডেনভার দিয়ে। ব্যস সাড়ে চার ঘন্টা মায়া। আমরা যাব নায়াগ্রা ফলস। এয়ারপোর্ট থেকে সময় লাগবে সাত ঘন্টা। নটায় নাবলে পথে থেমে-টেমেও ছটার মধ্যে হোটেলে ঢুকে যাবার কথা। হতচ্ছাড়া শীতকাল।অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল শীতের মাঝে একবার নায়াগ্রা ফলস দেখতে যাব। চতুর্দিক সাদা, নায়াগ্রারও অনেক অংশ জমে গেছে, তারই মাঝে সে ঝিরঝিরি বয়ে আচমকা দেড়শো ফুট ঝাঁপ দ ... ...
খুব গরম। দুপুরের ঘুম ডাকাতে নিয়ে গেছে। মনে পড়লো গতকাল অর্থাত্ হারবিষুর দিনে তেতো খাওয়া। আগের দিন বিকেলে আমার বিশালাক্ষী, চোপায় খোপায় সমান ঠাকুরমা আমাকে ভীষ্ম আর হারুকে নিয়ে সরজমিন তদন্তে নেমেছেন,--- গাঙ্গের তলে (চৈত্রের গরমে জল নেমে যাওয়া নদীর ঘাটে) দেখছিলাম রাইজ্যের গিমা শাক, চল্ কয়ডা তুইল্যা আনি। প্রাক্তন ডাকাত জব্বর আলি এখন আজ্ঞাবহ মুনিশ। জব্বর, বাপ্ যাওসেন সতু রুনুরার বাগানো গিয়া কয়ডা বন জামিরের পাতা ছিঁড়া আনসেন। ভীরু চোখে তাকায়, আমতা আমতা করে প্রাক্তন ডাকু, জেডিমা সকালে তিতা ন ... ...
গুরুচণ্ডালীতে একজন লিখেছিলেন হুমায়ুন আহমেদ মৃদু মানুষের ঈশ্বর। উপযুক্ত বিশেষণ। নারায়ণ সান্যালের অবশ্য সেরকম কোনো বিশেষণ নেই। ইনি হুমায়ুনের তুলনায় বেশ খানিকটা কম জনপ্রিয়। সম্ভবতঃ একটি বিশেষ প্রকাশনা গোষ্ঠীর কাছে মাথা নত না করতে পারায় তাঁর লেখার প্রাপ্য প্রচারে অনেকটা খামতি থেকে গেছে। ‘বিশ্বাসঘাতক’ এখনও প্রচুর বিক্রি হয়। কিন্তু ‘আনন্দে’ না থাকতে পারলে ‘টপ টেনে’ টিকে থাকা বড়োই মুশকিল। নারায়ণ সান্যালের অনেকগুলো স্টাইলের মধ্যে একটি অনবদ্য স্টাইল ছিল - যেটা কিছুটা ইতিহাস, কিছুটা কল্পনা। এই স্টাইলটাকে সঠিকভাবে ভাষায় বর্ণনা করা মুশকিল। চেষ্টা করছি। এককথায় বলতে পারেন ইতিহাসের শূন্যস্থান পূরণ। ইতিহাসের বিকৃতি বলবেন না, প্রেম আর যুদ্ধের থেকেও সাহিত্যে গণ্ডি বেঁধে দেয়া আরো বেশি কষ্টকর। এবারের লেখা নারায়ণ সান্যালের সেই স্টাইলে। স্টাইলের নাম? – ওই যে বললাম 'ইতিহাসের শূন্যস্থান পূরণ'। ... ...
সামনের জলে সেই প্রতিফলনের ছবি সুস্পষ্ট! চৌখাম্বা, মন্দানি, সুমেরু, খর্চাকুন্ট আর কেদার – বাকি শৃঙ্গরা ঢাকা পড়েছে ওক, দেওদার, রডোডেনড্রনের বনানীর পেছনে, তার-ও ছায়া জলে। আমাদের দেখাদেখি আরও চার-পাঁচজন পর্যটক এসে জড়ো হন সেই জায়গায়। সকলেই আমরা নিস্তব্ধ প্রকৃতিতে সেই স্নিগ্ধ ভোরের অলৌকিক দৃশ্যটুকু শরীর-মনের অলিন্দে পূর্ণ করে নিতে থাকি। তবু এই পূর্ণতার কি সীমা আছে! না শেষ আছে! “অসীম কালসাগরে ভুবন ভেসে চলেছে। অমৃতভবন কোথা আছে তাহা কে জানে।। হেরো আপন হৃদয়মাঝে ডুবিয়ে, একি শোভা! অমৃতময় দেবতা সতত বিরাজে এই মন্দিরে, এই সুধানিকেতনে।।“ ... ...
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার হেফাজতে ইসলামের একের পর এক মৌলবাদি দাবীর সামনে ক্রমাগত আত্মসমর্পণ করছেন। গোটা উপমহাদেশ জুড়ে ধর্ম ও রাজনীতির সম্পর্ক শুধু তীব্রই হচ্ছে না, তা সংখ্যাগুরু আধিপত্যর দিকে এক বিপজ্জনক বাঁক নিচ্ছে। ভারতে মোদি সরকারের রাষ্ট্র সমর্থিত সংখ্যাগুরু সাম্প্রদায়িকতার নানা বিপজ্জনক প্রবণতা সামনে আসছে। বাংলাদেশে তারই এক অন্য ভয়াবহ সংস্করণ আমরা প্রত্যক্ষ করছি সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে। শাহবাগ আন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে ২০১৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ব্লগার মুক্তচিন্ ... ...
তখন আমি এফডি ব্লকে মুস্তাফির নেটে খেলতে যাই। আমার নিজের কোন ব্যাট ছিল না। ইংলিশ উইলো আর কোত্থেকে পাব! বাবা কাশ্মীরে কাজে গেছিল। একটা কাশ্মীর উইলোর ব্যাট এনে দিয়েছিল। সে ব্যাটে খেলা হয়নি। আসলে ব্যাটটা একেবারে কাঁচা, কারখানা থেকে কেনা। দেশের সব ভাল ব্যাট কাশ্মীরে তৈরি হয়। সেখান থেকে বম্বে-দিল্লি-কলকাতায় গিয়ে মহাজন কি সাইমন্ডস ব্র্যান্ডে বিক্কিরি হয়। বাবা জানত না যে ব্যাটে তখন অয়েলিং-ও হয়নি। অয়েলিং করে নকিং করে খেলব, এই ছিল বাসনা। সে সব আর করে ওঠা হয়নি। কাজেই একেবারে আনকোরা, নতুন অবস্থাতেই ওটা ছিল। ... ...
এবার এরা পড়েছে টিপু সুলতানের পিছনে। খুব স্বাভাবিক, যাদের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কোনো ইতিহাস নেই, যাদের জন্ম হয়েছিলো সাহেবদের দালালি করার জন্যে, সেই জগৎ শেঠদের রক্ত যারা ধমনীতে বয়ে নিয়ে চলেছে, তারা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করা টিপু সুলতানকে সম্মান করবে তা কল্পনাই করা উচিত না। এরপর বাহাদুর শাহ জাফরকে ধরে টানবে। তারপর আকবর, জাহাঙ্গীর, শাহ জাহান, কুতুবুদ্দিন - একে একে কবর থেকে টেনে বের করা হবে, ক্ষতবিক্ষত করা হবে। অস্বীকার করা হবে ভারতের সুবিশাল ঐতিহ্যকে, মুছে ফেলা হবে ৬০০-৭০০ বছর ... ...
রুমা মোদক-এর গল্প : প্রসঙ্গটি বিব্রতকর(রুমা মোদক বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক। নাট্যকার। অভিনেত্রী। সংসারী মানুষ। থাকেন মফস্বলে। তার পঠন- পাঠনও ঈর্ষণীয়। নানাবিধ ব্যস্ততার মধ্যে নিয়মিত গল্প লিখছেন। নিচে গল্পটি পড়ুন)-----------------------------------------------------------------------------------রুমা মোদক-এর গল্প : প্রসঙ্গটি বিব্রতকর---------------------------------------সেইবার ভোটাভুটি হয়েছিল। সেইবার? সেইবার মানে কোনবার? এতো দিন তারিখের হিসাব তাদের জানার দরকার কী বাপু? ব ... ...
চামেলিপিসিদের খাটের নীচে কী আছে সেটা দেখতে খুব ইচ্ছে করে, কিন্তু জিজি মানা করেছে। অন্যদের বাড়ি গিয়ে তাদের জিনিষপত্রের দিকে তাকানো নাকি ভারী অসভ্যতা। ওদের চৌকির তলায় এত এত জিনিষ যে কখনো পাশ দিয়ে অসাবধানে যেতে গেলেও পায়ে গুঁতো লাগে শক্ত বস্তামত কীসবের সাথে। চামেলিপিসির বাড়ি থেকে ফেরার সময় প্রথমদিন অত লোককে রাস্তায় লাইন করে বসে খেতে দেখে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম। অনেকেই কেমন নোংরা কালো জামা পরা, একদম সামনে যে তার শার্টের কাঁধে এত্তটা ছেঁড়া! ওদের মায়েরা বকে না জামা নোংরা করলে? জিজি তাড়াতাড়ি হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে, ওদের নাকি বলে কাঙালি। শ্রীহরি ওদের ভোজন করায়। রোজ রোজ লুচি ছোলারডাল খেতে পায় কী মজা! মা বোঝায় না মোটেই মজা নয়, সারাদিনে ওরা অনেকেই হয়ত আর কিচ্ছুই খেতে পাবে না। ওরা রাস্তায়ই থাকে, অনেকের মায়েরাও হয়ত ওই লাইনেই বসেছে। আমার খটকা যায় না, রাস্তায় থাকাটা কি খুব খারাপ ব্যপার? কেমন ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়াতে পারে। ... ...
সকালে উঠে মশারি সরিয়ে নামতেই চোখ গেল সামনে রাখা টেবিলের দিকে। আর যেতেই মাথাটা গরম হয়ে গেল অবিনাশবাবুর। কাল একটু রাতের দিকে মাসকাবারি মুদির জিনিসপত্র ডেলিভারি দিয়েছিল। তুলে রাখার ইচ্ছে হয় নি বলে টেবিলের ওপর সব রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সানলাইট সাবান ছিল, মশলা, তেল আর তার সঙ্গে পাঁচ কেজি চাল। বাকি সব ঠিক থাকলেও চালের প্যাকেটের প্লাস্টিক কুটিকুটি করে কাটা, চাল ছড়িয়ে আছে টেবিলের ওপর যার কিছুটা মেঝেতেও গড়িয়ে নেমেছে। ইঁদুর! ... ...
ফাতেমা। আম্মির কাজে হাত লাগায় যে, যাকে আমি 'আপা' বলি, তার মেয়ে। ক্লাস সেভেনে পড়ে। মা দু'বাড়ি কাজ করে আর বাবা ভ্যান চালায়। ভাই-বোন-বাপ-মা মিলিয়ে জনা পাঁচেকের সংসার। গেল মাসে, সেই আপার হঠাৎ পেটে ব্যথা। ডাক্তার জানালো, অ্যাপেন্ডিক্স। পয়সা-কড়ি , সবাই মিলে জোগাড়ও হল। ঝামেলা বাঁধল, বাড়ি নিয়ে আসার পর। একার সংসার, আপাই এতদিন দায়িত্ব নিয়ে বারান্দায় ন্যাতা দিয়েছে, কুটোটা কেটেছে, বাসন-কোসন সব পাট পাট করে মেজে, তুলে রেখেছে শোবার ঘরের তাকে। এখন ডাক্তারের দাওয়াই, দু'মাসের বেডরেস্ট, কারণ ইতিমধ্যেই বাড়ি ফি ... ...
বাসুকির ব্যথা-------------------তখন সবে সন্ধে দশটা বাজছে ।সারাদিন সূর্যের চুয়াল্লিশ ডিগ্রি উষ্ণতার স্নেহে আমরা গদগদ হয়ে গলেই পড়েছি । শুধু নারদের কমন্ডলুটি নেই । শরীরটা যে এখনও পুরোপুরি ত্যাগ করা যায়নি তার কিছু লক্ষণ অবশ্য টের পাওয়া যাচ্ছে ।আমার লেখালিখি এমনিতে ডেস্কটপেই । কিন্তু যে ঘরটিতে ঐ বস্তুটি রয়েছে‚ সেখানে শীতযন্ত্র নেই । এমতাবস্থায় যতোটুকু দম বেঁচে থাকে তার সদ্ব্যবহার ল্যাপটপের পঞ্চমুন্ডিতে বসেই সারার চেষ্টা করি‚ শোবার ঘরে‚ গদিতে আধশোয়া হয়ে । সদ্য সদ্য ভ ... ...
মেয়েটি আর তার জুতো! নতুন কিছু বার্তা দেবে কী? ... ...
NH 31 C থেকে রাস্তাটা ডানদিকে বেঁকে যায়। সরু, ছোট্ট রাস্তা। ধুলো-ওড়ানো । শুকনো হলং নদীর ওপরে একটা কাঠের ব্রীজ আছে। সেই ব্রীজ পেরিয়ে মাদারিহাট ট্যুরিস্ট বাংলো। কাঠের ব্রীজ চোখে এলেই-আর ঐ লাল-নীল পতাকাগুলো,- ঘরে ফেরার শান্তি হয়। অথচ এর আগে একবারই তো এসেছি। মাত্রই একবার। আসলে জঙ্গল। ডুয়ার্স। তবে বাংলোটাকেও বড় ভালো লেগে গেছিল।এবার এসেছি কড়া দুপুরের মধ্যে। প্রথমবার, মনে পড়ে, সকাল তখনও নরম ছিল। এবার পাহাড় থেকে নেমে আসা। কোলাখাম থেকে লাভা এসে একপ্রস্থ দাঁড়িয়ে থাকা। পাহাড়ী ড্রাইভাররা কেউই সমতলে ... ...
কেন যেতে চাইবঃ পাহাড় পর্বতের নীচের দিককার ও মাঝারি উচ্চতার কিছু কিছু অংশে শহরের মানুষ গাঁটের কড়ি ফেলে পৌঁছে যায় খেয়াল খুশি মত। পাহাড়ের দেওয়াল কেটে, ডিনামাইট দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে, পাহাড়ি ঝর্নার উপরে সেতু বেঁধে নয়নাভিরাম সব জায়গা গুলিতে ক্যামেরা নিয়ে পৌঁছে যাবার সুবন্দোবস্ত করা আছে। কিন্তু সেই ভাবে পাহাড় চড়ার একটাই সমস্যা। যে শব্দ ও দৃশ্য দূষণ এবং তার আনুষঙ্গিক বাতাবরণের বিষ-বাষ্প থেকে মুক্তি পাবার আশে পাহাড়ে যাওয়া, বাসে-ট্রাকে-এরোপ্লেনে চেপে সেই দূষণ পাহাড়েও পৌঁছে যায়। ন ... ...
সে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় একহাজার বছর ধরে। একভাবে, ত্রিভঙ্গমুদ্রায়, একটা সাজানো কুলুঙ্গির ফ্রেমে। দু'হাত মাথার উপর, ধরে আছে বৃক্ষশাখা। ওষ্ঠাধরের হাসিটি লিওনার্দো কোনওদিন দেখতে পেলে মোনালিসা আঁকা ছেড়ে দিয়ে পায়রা পুষতেন। তাহার নামটি শালভঞ্জিকা। তার চারপাশে অজস্র নায়িকা, যক্ষী, সুরসুন্দরী নিরীহ দর্শকদের বেঁধে রাখে মোহমদির অপাঙ্গমায়ায়। দেবা না জানন্তি, আপ্তবাক্যের একটি পাথুরে প্রমাণ। মন্দিরটা তৈরি হয়েছিলো একাদশ-দ্বাদশ শতকে। কলিঙ্গ শিল্পস্থাপত্যের শেষ উজ্জ্বল নিদর্শন এবং একটি ব্যতিক্রমী সৃষ্টি। ... ...