একমাস আগের কথা।তারিখটা স্পষ্ট মনে আছে - মার্চের ২৬। সেদিন ঠিক বেলা একটার সময় আমার কাছে একটা ফোন এসেছিল।- ওয়াচ অ্যান্ড সিকিউরিটিজ? বিলাসপুর, লিংক রোড?-জী হ্যাঁ, বোল রহা হুঁ। - মিঃ কোসলে? ডায়রেক্টর?- না, আমি ওঁর অ্যাসিসট্যান্ট বিশ্বাস বলছি।উনি একটা কাজে একটু বাইরে গেহেন। কাল রাত্তিরে ফিরবেন।-- সৌরভ? সৌরভ বিশ্বাস? বাবুমোশায়? জাস্ট দ্য ম্যান আই ওয়ান্ট!--জী হ্যাঁ, আপ কৌন?-- কাজের কথাটা আগে শুনে নিন। আগামীকাল আপনাকে ইন্দোর এক্সপ্রেসে বুড়ার যেতে হবে। বুড়ার হোল জবলপুর লাইনে শাহডোলের আগের স্টেশন। পরশুদিন বিকেলে একই ট্রেনে করে ফেরতের ব্যবস্থা। টিকিট, অন্য খরচা এবং কিছু অ্যাডভান্স একটু পরে আজ রাত্তির আটটার মধ্যে আপনাদের ... ...
হ্যাঁ, কথা আছে।অনেকদিন কোনো কথা না থেকে থেকেই ‘ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন বাংলার মানুষ’। আর দিনে দিনে নিঃশব্দে ঝরে গেছে আমাদের শিরদাঁড়াগুলো।এখন ‘মেয়েটির বাবা’ কী বলল তাই নিয়ে বহু মানুষের বহু চিন্তা বিশ্লেষণ। আর দুদিন আগে তিনি যা বলেছিলেন, সেইসব কথা? শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিল যে ছাত্রী, যে অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী তুলতে গিয়ে মার খেল তার সহপাঠীরা, সেই অভিযোগ? সেই মারগুলো?কোলকাতার রাজপথে লক্ষ পায়ের দাপ দেখে তড়িঘড়ি একটা শিক্ষামস্তান সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত ... ...
মগলাকে দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যাতে সানথাল, দেখতে শুনতেও মানুষ। কিন্তু মানুষ না। ওর পূর্বপুরুষরা ছিল ম্যাস্টোডন। হাতিদের সঙ্গেই ওঠাবসা। হাতিদের মতই দিনে চার ঘন্টা ঘুমোয়, কুড়ি ঘন্টা দাঁত নাড়ে। অবশ্য, শুধু হাতি নে, জঙ্গল আর জঙ্গলের সমস্ত প্রাণীর জন্যই মন কাঁদে মগলার। জানোয়ার জঙ্গল ছাড়া কিছুই ভাবতে পারে না। অথচ, এই মগলাকেই কিনা মালখানকে মারতে সুপারি দিয়েছে মোলাম সিং! কে মালখান? আগে মালখানের কথাই বলি। মালখান এখন জঙ্গলের বস। ওর সঙ্গে রাকা, সলোমন, হুরিয়া ----- আরও তিন মাস্তান। ... ...
স্মৃতির পটে জীবনের ছবি যে আঁকে সে শুধু রঙ তুলি বুলিয়ে ছবিই আঁকে, অবিকল নকল করা তার কাজ নয়। আগেরটা পরে, পরেরটা পরে সাজাতে তার একটুও বাঁধেনা। আরো অনেক সত্যের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনস্মৃতির আরম্ভেই এই ধ্রুব সত্য মনে করিয়ে দিয়েছেন। কথাটা মনে রেখেই শৈশবস্মৃতির প্রথম ছায়া -আভাসে সাঁতার কাটতে চেষ্টা করছি। তখন কি আর সন তারিখ জানি? নিজের বয়স কতো জানি? উঁহু, না, কিছুই বুঝি না। এখন একটু হিসেব করি, মনে হয় তিন বছর কি সাড়ে তিন বছর হবে হয়তো। ঝাপসা মনে পড়ে বিজন দুপুরে কি ঘুমছুট শেষরাতে। ... ...
জনা পনেরো ডাক্তার-নার্স-আয়া-ওয়ার্ডবয়ের 'টিপিন' মাখতেন হাসিমুখে। একেবারে শেষ পর্যায়ে তিনি বাড়ি থেকে নিয়ে আসা 'কিছুমিছু' আচারের তেল আর পেটমোটা লংকার অন্তর্বাসী মশলা (উনি হেসে বলতেন "মশল্লা") মেশাতেন - অতো জোড়া উৎসুক, খিদে খিদে দৃষ্টির সামনে। তারপর... যাহ্ , লঙ্কা আনা হয়নি ! ... ...
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে অমলবাবু বুঝলেন মনটা বেশ ফুরফুরে লাগছে। আসলে এটা কাল রাতের রেশ। রাত তখন প্রায় বারোটা। হাই উঠে গেছে গোটা পাঁচেক, ঘুম ঘুম পাচ্ছে। এমন সময় এল। কবিতার লাইন। কবিতা যারা লেখেন তাঁরা জানেন, কবিতা খুব মারাত্মক জিনিস। একবার এলে, যতক্ষণ না লিখে ফেলা হচ্ছে, পেটের ভেতরটা গুড়গুড় করে, মন আনচান। লিখে ফেললে তবে শান্তি। অমলবাবুও দেরি করেন নি। স্ত্রী সুরমা ততক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছেন। চট করে কবিতাটা লিখে ফেলেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট। কিন্তু কটা লাইক পড়ল সেটা দেখার জন্য বেশিক্ষণ জেগে থাকতে পারেন নি অমলবাবু। ঘুমে চোখ জড়িয়ে এসেছিল। কটা লাইক পড়ল সেটা দেখার জন্য আজ একটু তাড়াতাড়িই ঘুম থেকে উঠে পড়েছেন। ... ...
হিন্দি সিনেমার গান শুনে বাঙালি কেন উলুতপুলুত হয়, আপাতদৃষ্টিতে বোঝা মুশকিল। যে ঘরানার গানের শ্রেষ্ঠ লিরিক নাকি 'মেরা কুছ সামান তুমহারে পাস পড়া হ্যায়', অর্থাৎ কিনা 'আমার কিছু মালপত্তর তোমার কাছে পড়ে আছে' আর দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ লিরিক তর্কযোগ্যভাবে 'বিড়ি জ্বালাইলে', অর্থাৎ কিনা 'সিঁড়ির নিচে বিড়ির দোকান', সে গান শুনলে এমনিই ভদ্রজনের মাথা হেঁট হয়ে যাবার কথা। হিন্দি বলয়ের কথা আলাদা, ওদের এরকমই কপাল। ইউপি-বিহারে আধুনিক কালে কোনো জীবনানন্দ জন্মাননি। আর অতীতের গৌরব যা ছিল, সেসব স্টিমরোলার চালিয়ে কবেই ফ্ল্যাট ... ...
"তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে ?আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে ..."সেই অক্ষরগুলোকে ধরার আরেকটা অক্ষম চেষ্টা, আমার নতুন লেখায় ... এক বন্ধু অনেকদিন আগে বলেছিলো, 'আঙ্গুলের গভীর বন্দর থেকে যে নৌকোগুলো ছাড়ে সেগুলো ঠিক-ই গন্তব্যে পৌঁছে যায়' .. সেই বন্দরের দিকে তাকিয়েই ভাসিয়ে দিলাম এই লেখাটাও !(বিধিসম্মত সতর্কীকরণঃ এই গল্পের সমস্ত ঘটনা কাল্পনিক, মনগড়া, আজগুবি এটসেটেরা। আসলে বাংলা মিডিয়ামের ছেলেরা আদৌ আমার মতন ল্যাদাভ্যারুস না, বরং অনেক স্মার্ট হয় ! কাউকে কাউ ... ...
[১] উপেক্ষিত নায়কমানবেন্দ্রনাথ রায় (১৮৮৭-১৯৫৪) বিংশ শতাব্দের একজন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও দার্শনিক। প্রথমেই স্বীকার করে নেওয়া ভালো, মৃত্যুর ষাট বছর পরে শুধু নয়, অনেক আগে থেকেই তাঁর সম্পর্কে আমরা, একালের প্রগতি শিবিরের লোকেরা, খুব ভালো করে জানি না। নামটা হয়ত অনেকেরই জানা রয়েছে। কিন্তু তাঁর চিন্তা ও কর্মের সাথে আমাদের পরিচয় প্রায় নেই বললেই চলে। কিংবা বলা ভালো, পরিচয় রাখার চেষ্টাও কোথাও নেই।তাঁর রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে আমি যতটা যা জানি তা সংক্ষেপে এইরকম: তিনি তাঁর বিপ্লবী জীবন শুরু ক ... ...
ফেরার গল্প শোনো। ভোরে উঠে ট্যাক্সি করে চিৎপুর স্টেশনে চলে গেলাম আমরা। এখান থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকার উদেশ্যে ছেড়ে যায়। ট্রেনে যাত্রা বেশ আরামদায়ক। সবচেয়ে বড় আরাম হচ্ছে সীমান্তে আমাদের কোন দৌড়াদৌড়ি করতে হয় না। এই স্টেশনে আমাদের সমস্ত ইমিগ্রেশন, কাস্টমসের কাজ শেষ করে ট্রেনে তুলে দিবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ, আবার ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে( ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন! তুমি এখান থেকে রাজশাহীর ট্রেনে উঠতা!) নামার পরে ঢাকার কাস্টমস অফিসাররা বাংলাদেশের অংশের কাজ কাম শেষ করে মুক্তি দিবে আমাদের। সহজ না? ... ...
নিউ জিলান্ড নিয়ে কয়েকটি এলোমেলো কথা - মাউই এর মায়ের নাম "তরঙ্গা", আমার কাছে বেশ লাগে ভাবতে যে সমুদ্রের ঢেউ (আমাদের তরঙ্গ?) নাকি মাউই কে বড় করেছে। ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
স্বাধীনতা, রাজনীতি, সং-এর গঠন, পিওর কটন, ইত্যাদি - স্বাধীন চলচ্চিত্র সংসদ বিষয়ক কিছু চিন্তা (২)এই লেখার উদ্রেক-এর কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে। উদ্রেকই বলবো, কারণ নিতান্তই উদ্রেক না হলে লিখতাম না। লেখার সময় বিশেষ নেই এই মুহূর্তে হাতে। কিন্তু এই লেখাটা লেখা গত দুদিনে খুবই জরুরী হয়ে উঠেছে। প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো যে এই লেখা একাধারে একজন ব্যক্তিমানুষের এবং অপরদিকে একজন সংগঠকেরও বটে। ফলতঃ কিছু কথা আসবে ব্যক্তিমানুষের তরফে এবং কিছু কথা সংগঠকের দিক থেকে। আশা করি পাঠক এই দু'ধরণের মন্তব্যের কোনটি কার ... ...
জীবনের নানা ওঠাপড়া যেন সহজে গায়ে না লাগে বিষাণ বসুবইমেলা লোকারণ্য, মহা হইচই।মুখোমুখি রণংদেহি ফিশফ্রাই-বই।।লেখকের ভিড় ঠেলে বই পাও যদি।ফ্লেক্সবোর্ডে উজ্জ্বল সহাস্য সেই দিদি।। সেনচুরি ছুঁয়ে যেতে আর বাকি তেরো।হেনকালে সিবিআই বাধালেন গেড়ো।।ব্রিগেডের প্রেরণায় ডিম নাকি ভ্রম।মঞ্চে ঝলমলে দেবলীনা হেমব্রম।। (আহা) আজ শুধু বইমেলা সেই কথা হোক।বাকি মাস সিরিয়াল (কিন্তু) মেলাতে পাঠক।।অপ্রিয় কথাটি নাই বা আজ তু ... ...
বাবু বিলাসের মধ্যমণি রায় দিলেন : দোয়াতদানি বরফ জলে চুবিয়ে আনা হোক... তারপর সেই বিকচ স্ফটিক-সম দ্রাক্ষারিষ্ট ঢেলে দেওয়া হলো তাতে। যেন বৃষ্টি ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ জল-বারান্দায় বসা মানুষ জনের শহুরে বোধের মরম ছুঁয়ে গেল ! এলো ইলিশ-কেভিয়ার ! নাহ, সেই Royal Mother Of Pearl এর চামচ দিয়ে নয় -- দু আঙ্গুলের মধ্যে নিয়ে তাকে চেখে দেখার নিদান দিলেন সেই ঋজু-পুরুষ । স্বাদ কোরক গুলি বুঝি এক অজ্ঞাতপূর্ব আশ্লেষে... আবেশে অশেষ হয়ে উঠেছিল সেই প্রথম পরশনে... দরশনেও বটে ! ইলশে গুঁড়ির আনন্দে ততক্ষণে বারান্দার মেহগিনি কাঠের রেলিং সেজে উঠেছে - "রোদ্দুরে রিমঝিম"। সেই মাটির পাত্র যখন স্বাদে -আনন্দে - সুরে আর সুরায় উচ্ছল, লালাদা কেন জানি গেয়ে উঠেছিলেন -- : বেদনায় ভরে গিয়েছে পেয়ালা -- পিয়ো হে পিয়ো। : গান শেষে চোখ মুছে বললেন : : এটা কেন গাইলাম ? ইলিশ মাছের "এলিজি " ! এই মানুষ "কোয়েলের কাছে" লিখবেন না তো কে লিখবে ? ... ...
আউটলুকের প্রাক্তন এডিটর, কৃষ্ণ প্রসাদ গতকাল (সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৭) একটি লেখা শেয়ার করেছেন ফেসবুকে। তাঁর অনুমতি নিয়ে আমি লেখাটার বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করলাম। বন্ধু বোধিসত্ত্ব মাইতিকে বিশেষ ধন্যবাদ, অনুমতি জোগাড় করে দেবার জন্য। গৌরী লঙ্কেশ খুব নিয়মিত ফোন করতেন না। কিন্তু যেদিন করতেন, বেশ রাতের দিকে করতেন আর সহজে ছাড়তেন না ... ...
আজ ঝুলন| ছোটবেলায় আমাদের বাড়ীতে এই ধরণের অনুষ্ঠানগুলো পুরোপুরিই ছোটদের খেয়ালখুশীর ছিল - এর কোন ধর্মীয় অনুষঙ্গ যে আদৌ আছে তাও জানতাম না| শুধুই আমাদের হাতে ছিল বলে, মজা ছিল অফুরান| তবে সম্বল খুবই কম| বিনাকার সঙ্গে পাওয়া সেই মিনিয়েচার জন্তুদের কথা অনেকেরই মনে আছে হয়তো | যখনই নতুন পেস্ট আসত, সযত্নে তাদের বার করে , তুলে রাখতাম একটা হরলিকসের ফাঁকা কৌটোয়| গন্ডারের সঙ্গে সিংহ, সিংহের সঙ্গে হরিণ সবাই মিলেমিশে সারাবছর থাকত সেই কাঁচের জারে| আর ছিল পুতুলের ঝুড়িতে মেলার থেকে কেনা পেটটি-নাদা বুড়োবুড়ি, আধবি ... ...
যুদ্ধ নিয়ে শেষ কথা হচ্ছে যারা যুদ্ধ করে তাঁরা যুদ্ধ চায় না, যারা বা যাদের যুদ্ধে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই তাঁরাই যুদ্ধের পক্ষে রায় দেয়। সোজা এবং সরল কথা এটা। কয়েকদিনের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের উত্তেজনায় এ কথা আরও বেশ ভাল ভাবে প্রমাণ হয়ে গেছে।ভারতীয় জনগণ কেন যুদ্ধ চায় তার হয়ত নানা ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে, পাওয়া যাবে পাকিস্তানের পক্ষেও। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে বাংলাদেশের মানুষ কেন এই অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধ চাচ্ছে তার কোন উত্তর নেই। উত্তর বোধহয় উপরের কথাটাই, যাদের যুদ্ধ করার সম্ভাবনা নাই তাঁরাই যুদ্ধ চায়… ... ...
কাল একটা নাম প্রকাশ হতেই রে রে করে তেড়ে এসেছিল কিছু চাড্ডি, সে আসবেই জানা কথা। কেউ কেউ তো প্রমাণ না দিয়ে লিখেছি বলে পুলিশ টুলিশের ভয়ও দেখালো। তা সে দেখাক গে। কি আর করা যাবে। ধরে ফরে নিয়ে গেলে কদিন বিনি পয়সায় লপসি খাওয়া যাবে। কিন্তু একটা প্রশ্ন, নাম ভুল, নামের মধ্যে আমরা হিন্দুত্ব খোঁজার চেষ্টা করছি সেসব মেনে নিলাম। কিন্তু প্রশ্নটা হলো ঠিক নির্বাচনের পরপরই দিল্লির এই দাঙ্গা কেনো? আর দাঙ্গাই যদি হলো তাহলে বেছে বেছে ইস্ট দিল্লিতে কেনো? ইস্ট দিল্লির চেয়ে অনেক বেশি মুসলমান দিল্লির অন্যান্য অংশে আছে, সবচেয়ে বড়ো কথা শাহিনবাগেও হতে পারত দাঙ্গা, কিন্তু না হলো ইস্ট দিল্লিতেই। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, ভোট পরপরই দাঙ্গা কেন? দাঙ্গার কারণ আদৌ দিল্লি তো, দাঙ্গার মোড়কে আসল লক্ষ্যটা পশ্চিমবঙ্গ নয়ত? একটু খতিয়ে দেখা যাক না হয়। ... ...
কয়লা নয় তেল নয় গ্যাস নয় এমনকি আণবিক রিঅ্যাক্টর নয়। ফেলডহাইমের বাতি জ্বলে এমন শক্তি দিয়ে যা জীবাশ্ম জ্বালানির মতন এক দিন ফুরিয়ে যাবে না । এই পৃথিবীর ভু রাজনীতি যে বা যারা সঞ্চালন করুন না কেন, ফেলডহাইমের শক্তির উৎস বইবে অনন্ত কাল কারণ তার মৃত্যু নেই । পুড়িয়ে ভস্মীভূত অথবা শস্ত্র দিয়ে ছেদ করা যায় না তাকে। সেই উৎস চিরন্তন, এই পৃথিবীর মতন। ... ...