বেশ্যাদ্বার (প্রথম পর্ব)প্রসেনজিৎ বসুরামচন্দ্র দুর্গাপুজো করছেন। রাবণবধের জন্য। বানরসেনা নানা জায়গা থেকে পুজোর বিপুল সামগ্রী জোগাড় করে এনেছে। রঘুবীর পুজো শুরু করেছেন। ষষ্ঠীর বোধন হয়ে গেছে। চলছে সপ্তমীর মহাস্নান। দেবীস্বরূপা সুসজ্জিতা নবপত্রিকাকে একেকটি মন্ত্রে একেকটি দ্রব্য দিয়ে স্নান করাচ্ছেন রাম। নদীজলে, শঙ্খজলে, গঙ্গাজলে স্নান হল। উষ্ণজলে, গন্ধজলে, শুদ্ধজলে স্নান হল। কুশজলে, পুষ্পজলে, ফলজলে স্নান হল। শিশিরজলে, সাগরজলে,ওষধিজলে স্নান হল। তীর্থজলে, বৃষ্টিজলে, ঝর্ণাজলে স্নান হল। ... ...
সোফায় পা গুটিয়ে বসে গুছিয়ে ভাট শুনবেন যাঁদের এমন বাঙালী আইকনিক আঁতেল এখন বিলুপ্তপ্রায়। কিন্তু আঁতেল আইকন সামনে না থাকলে কি নিয়ে দিন কাটবে সেই চিন্তা থেকে ঋতুদা চলে যাবার পর চন্দ্রিলের আশ্রয়ে ছিলাম। তবে সেবারে ‘ক্যালকাটা লিটারেরী ফেষ্টিভ্যাল’ না কিসে যেন একটা চন্দ্রিলের বক্তৃতায় গোদার, বার্তোলুচি, বেলা লুচি, ফালুদা, ভারমিচিলি কি সব ঢুকে যাবার পর বুঝতে পারলাম চন্দ্রিল-দা আমার নাগাল ছাড়িয়ে এগিয়ে গেল – মধ্যবিত্ত আঁতেল থেকে উচ্চবিত্ত আঁতেল পর্যায়ে উন্নিত হয়েছেন দাদা। ফলে আমি আবার মধ্যবিত্ত আইকন খুঁজতে বসলাম – মার্কেটের অবস্থা খুব খারাপ। শেষে স্মরণাপন্ন হতে হলে শান্তনু মৈত্র মানে আমাদের সবার প্রিয় জি বাংলা সা রে গা মা পা-র শান্তনু-দা। তো শান্তনু-দাকে ফলো করেই আমার সেই কনফারেন্স কাঁপানো - ... ...
সেক্স একটি অতি সেক্সি বিষয়। কিন্তু সেক্সের কোনো বাংলা নেই। ... ...
এসে গেল গুরুর ব্লগপাতা, জনতার নিজস্ব খেরোর খাতা। এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা।পড়তে থাকুন রোজরোজ। প্রবেশ(লগ-ইন) করে দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। প্রবেশ সম্পর্কিত কিছু তথ্যঃ* গুরুর সাইটে প্রবেশ করতে হলে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধীকরণের প্রয়োজন নেই। আপনার গুগল কিংবা ফেসবুক অভিজ্ঞান (আইডি) ব্যবহার করেই সেটি করতে পারবেন।* লগ-ইন পদ্ধতিটি সম্পূর্ণভাবেই গুগল বা ফেসবুক দ্বারা নি ... ...
এই কন্যাটি অনর্গল ইংরাজী আর ফ্রেঞ্চ বলতে পারে , আর ফ্রেঞ্চ নিয়ে পড়ে সে পেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের সর্বোচ্চ নম্বর । নিয়মগত কারণে প্রেস্টিজিয়াস ঈশান স্কলারশিপ পেল না বটে, কিন্তু তাতে তো তার কৃতিত্ব খাটো হয় না। কন্যাটির নাম লিলিয়ান পালিত, বন্ধুরা ডাকে লিল বলে। ... ...
মঙ্গলবার সকালে গাড়িতে পেট্রোল ভরলাম ১১৪ টাকা ২২ পয়সা দরে। আজ সকালে দেখলাম কলকাতায় পেট্রোলের লিটার আরও বেড়ে ১১৫ টাকা ১২ পয়সা। খবরের কাগজ বলছে, "এখনও পর্যন্ত এটাই তার সর্বোচ্চ দর"। এই পর্যবেক্ষণ বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে নেহাতই অসার। সংসদে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার গলা টিপে দেওয়া হচ্ছে। তবু এই পরিস্থিতেও জনজীবনে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সোচ্চার প্রতিবাদ টের পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যক্তিগত অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার মরীয়া তাগিদে বিনা প্রশ্নে, বিনা প্রতিবাদে, পরিস্থিতির সঙ্গে আপস করে সব কিছু মেনে নেওয়াই বোধ হয় ভবিতব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে বা যাঁরা এই পরিস্থিতির জাঁতাকলে পড়ে সহ্যের শেষ সীমায় চলে যাচ্ছেন, তাঁরা মর্মান্তিক ভাবে চরম পদক্ষেপ বেছে নিচ্ছেন। সস্তা-গন্ডার দিনকালের কথা পাওয়া যায় সুরসিক যম দত্তের রম্যরচনাতে -- "আশু মুখুজ্জে মহাশয় যখন ভীমনাগের দোকান হইতে রোজ রোজ করিয়া সন্দেশ খাইতে আরম্ভ করেন, তখন সন্দেশের সের চোদ্দ আনা দাঁড়ায় আর এখন?... " সন্দেশের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তিনি বাঙালির মেধা ও বুদ্ধিবৃত্তির চূড়ান্ত চাঞ্চল্যকর তুলনা করেছেন। তাঁর ভাষাতেই ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করা যাক -- "যখন সন্দেশের সের দুই আনা তিন আনা তখন দেশে রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্মাইয়াছেন, যখন সন্দেশের দর চার আনা ছয় আনা তখন দেশে বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ জন্মাইলেন, যখন সন্দেশের সের এক টাকা, দেড় টাকা তখন দেশে সুনীতি চাটুজ্জে, সত্যেন বসু, মেঘনাদ সাহা জন্মাইয়াছেন; যখন সন্দেশের সের দুই টাকা, আড়াই টাকা তখন শ্যামাপ্রসাদ, সুভাষ বসু জন্মাইয়াছেন। আর এখন ছয়, সাত টাকা সের সন্দেশ কয়জনেই খাইবে?...বাঙালি মরিয়া গেল।" ... ...
স্বাধীনতা উৎসবে দেখলাম অনেক তরুণ উজ্জ্বল মুখ । তারা বাড়ির কাছে না হলেও স্থানীয় স্কুলে জায়গা পেয়েছে। গ্রীষ্মের ছুটি শেষ হলে পুরো দমে লেখা পড়া শুরু হবে, ইংরেজি শেখানোর স্পেশাল ব্যবস্থা সহ। ইতিমধ্যে কোন কোন স্কুল বা পৌর সভা তাদের নানান ক্যাম্পে নিয়ে গেছে – সমুদ্রের ধারে অথবা বনের ভেতরে সেখানে তারা এ দেশের ছেলে মেয়েদের সঙ্গে মেলা মেশা করার সুযোগ পায় বাধ্য হয় ইংরেজিতে বাক্যালাপ করতে । তারা ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে। মায়েরা সংসারের । এই কলরব মুখরিত হলঘরে , ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসের উৎসবে অনুপস্থিত পুরুষেরা । স্বামী বাবা ভাই কাকা ইউক্রেনের কোথাও অস্ত্র হাতে বনে বাদাড়ে শত্রুর মুখোমুখি হয়েছেন , কেউ ট্যাঙ্ক বা সাঁজোয়া গাড়ি চালাচ্ছেন। নিয়মিত খবর জোটে না। ... ...
কবি অনেকদিন হতেই “জীবনের ধন কিছুই যাবে না ফেলা” বলে আশ্বাস দিয়ে এলেও ছোটবেলায় হালকা ডাউট ছিল কবি কোন ধনের কথা বলেছেন এবং ফেলা অর্থে কোথায় ফেলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন? ধন যে ফ্যালনা জিনিস নয়, সেটা আবার নিমোর ছেলেদের থেকে ভালো কে বুঝত! কিন্তু সেই নিয়ে কাব্যি করার জন্যি কনফিউশনটা তৈরী হয় আমাদের মধ্যে। যত দিন যায় ক্রমশঃ ততরূপে ধন আমাদের সামনে পরিস্ফুট হয়। এমন ভাবেই নিমো উন্নত অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক অবস্থা পার করা এবং ক্লাস ফাইভে মেমারী বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দিরে উঠে সি এ টি – ক্যাট বলে ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ১৬ … বিলুর সাথে ঘুরতে ঘুরতে যা দেখেছিলাম চিটপ্যাডে শর্টে রানিং নোট নিয়েছিলাম। অনেক জায়গাতেই কিছু লেখা নেই, দিক নির্দেশও নেই। ও না থাকলে বাঁশবনে ডোম কানা হয়ে ঘুরে মরতাম। সন্ধ্যায় লজে এসে শর্টহ্যান্ড নোট থেকে একটু গুছিয়ে লিখে বুঝলাম ও আমায় গোটা তিরিশেক দ্রষ্টব্যস্থানে নিয়ে গেছিল। বিলু না থাকলে বেশ চকমা খেতাম। বিরাট এলাকা, কত কী রয়েছে, ভুলভুলাইয়া টাইপের ব্যাপার। ওর বদান্যতায় মোটামুটি দেখা হোলো। শেষ দ্রষ্টব্য ছিপ মহলে এসে ওকে বলেছিলাম, এবার তুমি গেটে গিয়ে বসতে পারো, এখান থেকে আমি ঠিক চলে যাবো। ওকে কিছু বখশিশ দিই। ও নমস্কার করে চলে যায়। কিছুক্ষণ বসে থাকি বৃষ্টিভেজা নির্জন কেল্লায়। পাঁচটা নাগাদ নামতে শুরু করি নীচে। ... ...
কান্না ~ শর্মিষ্ঠা নাহা ইউটেরাস বাদ দেওয়া এখন মামুলি ব্যাপার । পেট কাটার তো কোনও ব্যাপারই নেই, ফুটোও করতে হয় না। শরীরের ওপর ধকল প্রায় নেই বললেই চলে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর একা একা বাড়ি যাওয়াটা কোনও ব্যাপার নয়। শুধু হাসপাতালের রেজিস্টারে সই করে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য একজন পেশেন্ট পার্টি দরকার, তাই অফিস কলিগ দেবযানীদিকে ডেকেছিল তনিমা। সব ফর্মালিটি মিটিয়ে বেরিয়ে দেখে দুটো লিফট ই অকেজো। অগত্যা আস্তে আস্তে সিঁড়ি বেয়েই নামা। ... ...
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে সাগর পারের পর্যটন নগরী কক্সবাজার। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, টানা ১৫৫ কিলোমিটার (৯৬ মাইল) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এই সমুদ্রপাড় থেকে একইসঙ্গে বিস্ময়কর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়, যা এই বঙ্গোপসাগরের বালুকাভূমিকে দিয়েছে অনন্য বৈশিষ্ট্য। প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের নাম এখন বিশ্ব পর্যটনের ভূচিত্রে খুবই উজ্জ্বল নক্ষত্র।আরো বিস্ময়কর এই যে, এই কক্সবাজার জেলাতেই হাজার হাজার বছর ধরে বাস করছেন ভিন্ন ভাষাভাষী রাখাইন জাতিগোষ্ঠী, যাদের রয়েছে অতি সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি, ... ...
ওয়েবসাইটে জ্যামিতির বনিয়াদ নিয়ে আমার এই লেখাটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে...এখানে লেখাটা প্রায় একই ভাবেই দিলাম... আমার ব্যক্তিগত অনুরোধ, আমার লেখাটা না পোষালেও ওয়েবসাইট টায় ঘুরে আসতে ভুলবেন না...আজ পঞ্চম পর্ব, যা ৩রা জুন, ২০১৭ ( ইংরাজি সন) এ প্রকাশিত হয়েছিল...জ্যামিতির গোড়ার কথা : ইউক্লিড থেকে রীমান ( পঞ্চম পর্ব ) ... ...
যুগাবতারদের কর্মকাণ্ড ... ...
বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি খুব স্পষ্ট করে দেখিয়ে দেয়, যে, ধর্ষকরা পরিষ্কারভাবেই দুই গোত্রের। এক দল নির্ভয়াকান্ডের ধর্ষক, বা হায়দ্রাবাদ কান্ডের অভিযুক্ত, যারা নিন্দিত, ধিকৃত, দেশজুড়ে ঘৃণার পাত্র। জেলের কয়েদিরাও তাদের পিটিয়ে দেয়, পুলিশ পারলে এনকাউন্টার করে দেয়। পাবলিক রাস্তায় নামে, পারলে থুথু দেয়, এবং দেশজোড়া উল্লাসের মধ্যে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, খুব এবং ধর্ষণে অভিযুক্তদের। আর আরেকটা গোত্র হল কাঠুয়াকান্ড বা বিলকিস বানোর ধর্ষকরা। তাদের সমর্থনে মিছিল হয়, পারলে বেকসুর খালাসই করে দেওয়া হত। কোনোক্রমে কারাগার অবধি পৌঁছলে সেখান থেকে কায়দা-কানুন করে ফিরিয়ে আনা হয় এবং ফিরলে ফুলমালা দিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। ... ...
জেনিফার যেরূপ বলিয়াছিল শশী সেইরূপ সাজিয়া আসিয়াছেন। বিশুদ্ধ বাঙালির বেশ। গিলে করা সাদা পাঞ্জাবি ও সঙ্গে ধুতি। বাড়তি, একটি ওড়নাসম রঙিন উত্তরীয় রহিয়াছে।জেনিফারের অদম্য বায়না শশীকে শুনিতেই হয়। চলো শশী, কতকাল ক্যালকাটা যাই নাই। মনে পড়ে শশী, ওখানেই প্রথম দেখা, সেই স্টেজ, সেই গ্রিনরুম, যেখানে দোঁহে প্রথম দৃষ্টিপাত। কী করে জানিলে ডিয়ার, আমার প্রিয় ফুল, প্রিয় রঙ, প্রিয় চকোলেট ও কেক। বড় মিস করি শশী সেসব দিন। চলো, এইবেলা ক্যালকাটা যাই। জেনিফারের কথা ফেলিতে পারা যায় না। তথাপি ... ...
আমাকে এই বিখ্যাত সী-ফুড রেষ্টু্রান্টে এনে মেনু কার্ড দিয়ে বলা হল কি খাবে? ইংরাজীতে লেখা থাকলেও একটা খাবারের নাম বুঝতে পারলাম না! কিন্তু চাষার ছেলে হলেও বুদ্ধি খাটিতে চাল দিলাম ভাঙলেও মচকাবো না এই টাইপের। বললাম, "তোমরা যা রেকমেন্ড করবে তাই খাবো" বিশাল ভুল করলাম! এটা শুধু ঐতিহাসিক নয়, একেবারে প্রাগঐতিহাসিক ভুল যাকে বলে প্রায় কাঁচা চাল। দাঁতে কেটেই পাশের জনকে - চাল তো সেদ্ধ হয় নি! - মানে? আবার আমার অ্যান্টেনা সংকেত পেল। কিছু না বলে সেই প্রায় কাঁচা চাল খেলাম, মাঝে মাঝে চিঙড়ি, শামুক এই সব মুখে এল রিসোত্তো না কি যেন একটা নাম বলল! বিখ্যাত ইতালিয়ান ডিস নাকি এটা! ইতালিতে কি আগুনের অভাব নাকি যে ব্যাটারা চাল সিদ্ধ করে না! ... ...
জ্বর বন্দী ঘর বন্দী....এমন দিনে লোকে কিই বা করতে পারে জানলা দিয়ে বৃষ্টি দেখা ছাড়া। তাও মা চান করতে গেছে বলেই, নইলে জোলো হাওয়া লাগাচ্ছি দেখলেই চেঁচিয়েমেচিয়ে এক করতো। সকালে উঠে ফের ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, ঘামে বালিশ চাদর তোশক সব নাকি ভিজে গেছে, কি আশ্চর্য ব্যাপার আমি জানবো কি করে! আমি তো শূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছিলাম। জ্বর হলে কষ্টের মাঝেও এই যে ঝিমঝিম ভাব এটাই ভাল্লাগে খালি, স্বপ্ন আর বাস্তব বড় গোলমাল হয়ে যায়। ছোটবেলায় একবার প্যারাটাইফয়েড হয়েছিলাম সেবার প্রথম এই শূন্যমার্গ ভ্রমন হয়েছিলো, সাঁইসাঁই করে কন্ট্রোল ... ...
অনেকেই ভাল কোম্পানি পেয়েছে। ভাল আছে তারা। কিন্তু আমি যা দেখছি তাই বললাম। এখন আমি একটা ওষুধ কোম্পানিতে আছি। এই কোম্পানির মাথায় আছে ইরাক, সিরিয়ার কিছু মানুষ। যারা এত বছরেও ইউরোপিয়ান হয়ে উঠতে পারে নাই। অথচ তাদের কোম্পানিতে কাজ করা রোমানিয়ানরা আমাদেরকে বুকে টেনে নিয়েছে আপন করে! এদের জন্যই ভাল আছি। উপরের লোকজনের সাথে কথাবার্তা হয় সামান্য। যাদের সাথে কাজ করি, কাজ করাই তারা অসম্ভব ভাল, এইটাই এখন পর্যন্ত ভাল কিছু ঘটেছে আমার রোমানিয়া আগমনের পরে। ... ...
তারপর সেই ভয়ানক দিন আসিয়া পড়িল। চন্দ্রবিন্দু কে তলব করা হইল 'আমার ভিনদেশী তারা' গানটি গাওয়ার অপরাধে। স্পষ্টতই ভিনদেশী বলিয়া কোনও শব্দ যে নাই এবং থাকিলেও তাকে আমার বলিয়া সম্বোধনের অপরাধ যে ক্ষমার অযোগ্য, তাহা বুঝাইয়া দিয়া হইল। চন্দ্রিল তাহার শেষ দু ছক্কা পাঁচ এ লিখিলেন, 'আমরা সক্কলে আ-মোদিত। সরকার চন্দ্রবিন্দু প্রাপ্ত হইয়াছে।' এতে চটিয়া গিয়া এক পাব্লিক চন্দ্রিলকে উদ্দেশ্য করিয়া একটি কড়া চিঠি লিখিল আনন্দবাজারে। তার শুরুটা হইল, 'আপনার মত আঁতেল যে ভিনদেশকে আমার বলিবেন এতে আর আশ্চর্য কী? আপনি এদেশের ... ...
" সম্ভবত আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে টালমাটাল সময়ে, ১০ আগস্ট ১৯৪৭-এর সকালে আমি দিল্লি পৌঁছলাম। ২০০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের শেষে হিন্দোস্তান আর পাকিস্তান নামের দুটি স্বশাসিত ডোমিনিয়নে চিরতরে ভেঙে যাওয়া ভারত ১৯৪৭-এর ১৫ আগস্ট নিজের প্রথমতম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য অস্থির উদ্দীপনা নিয়ে অপেক্ষা করছিল। আমিও অবশ্য ভাঙছিলাম...।আমি ভাঙছিলাম আমার সুরক্ষিত আর গতানুগতিক জীবনের সমস্ত শিকলগুলোকে। ... পরিবারের তামাম তির্যক কানাঘুষো, সমাজের সব নিষ্ঠুর নিন্দামন্দ আর লখনৌয়ের স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনের যাবতীয় অভ্যেসের বন্ধন ভেঙেছিলাম আমি আর পুরুষের কোনরকম সহায়তা আর অনুমোদন বিনে আমার জীবনটাকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য বেরিয়ে এসেছিলাম একদম একলা। আশ্চর্য ধৈর্য্য আর সহিষ্ণুতা দিয়ে আমার ঘটানো এমন অভূতপূর্ব কান্ডকে পারিবারিক আর সামাজিকভাবে সামলানোর জন্য আমি আমার মা আর শাশুড়ি মায়ের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব...।" কেবল এই দেশই নয়, পৃথিবীর প্রথম পেশাদার মহিলা সংবাদপাঠক সাঈদা বানোর আত্মজীবনী 'ডগর সে হঠ কর'-বইটির কয়েক লাইন দিয়েই না'হয় শুরু হোক এই লেখা...। ... ...