১৯৮৬ সালের নম্ভেম্বর মাস – ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব লীগের নীচের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে টালমাটাল অবস্থায় আছে। চট করে কিছু চেঞ্জ না আনলে আরো নিচের লিগে অবনমন হয়ে যেতে পারে। কি করবে তা হলে ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেড? বাকি সব ফুটবল ক্লাব যা করে তারাও তাই করল্ম পাল্টাও কোচ। নিয়ে আসা হল আবেরডীন ফুটবল ক্লাব থেকে আলেক্স ফার্গুসেনকে যে সেখানে ছয় বছরে দশটা ট্রফী জিতেছে, তার মধ্যে একটা ইউরোপীয়ান কাপও আছে রিয়েল মাদ্রীদ কে হারিয়ে। বাকিটা ইতিহাস। ... ...
পরে অবশ্য জানা যায়, যে, হেলিকপ্টারে আদৌ মৃতদেহ ঝুলছিলনা। কান্দাহারের প্রশাসক-ভবনের পাশে লম্বা কিছু পতাকার খুঁটি ছিল। হেলিকপ্টারে ঝুলে একজন তালিবান কর্মী তাতে তালিবান পতাকা লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা ব্যাপারটি জানান। পরে একটি ভিডিওও আসে। দুনিয়া জুড়ে সংবাদমাধ্যমের বিখ্যাত ব্যক্তিরা, যাঁরা খবরটি ছড়াচ্ছিলেন, তাঁদের কেউ-কেউ নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে করা পোস্ট মুছেও দেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমগুলি, যারা সোৎসাহে খবরটি ছাপছিল, তাদের কাউকে সেভাবে ভুল স্বীকার করতে দেখা যায়নি। ... ...
ছোটবেলায় বেশ একখানা খেলনা রেলগাড়ী ছিল। প্রথমে লম্বা মইয়ের মতন ট্র্যাকখানা পেতে তারপর চাবি ঘুরিয়ে তিন কামরার গাড়ীটা ছেড়ে দিলেই বেশ ঘসঘসিয়ে সেটি দম ফুরোনো অব্দি হেলতে দুলতে ঘুরপাক খেত ট্র্যাকে। যখনই কান্নাকাটির জন্য ওয়ার্ম আপ করব ভেবে হাত-পা গোটাতে শুরু করতাম ঠিক সে সময়ই আম্মি আলমারির মাথা থেকে টেনে সটান মেঝেতে বসিয়ে দিত গাড়ীটা। আমি তখন চুপ, দুনিয়া রসাতলে গেলেও ঘাড় ঘুরিয়ে জায়গা বদলে মিনি পুশ-আপ দেওয়ার কথা কস্মিনকালে ভাবার আলসেমি করতাম না। তা আমাদের এখনকার দশা হল ঠিক সেই ছোটবেলা মার্কা। রেলগাড় ... ...
দি গ্ল্যামার অফ বিজনেস ট্রাভেল।আরোরা সাহেব।সাল টা ১৯৯৩ / ৯৪।সদ্য বছর ৩ কলেজ ছেড়ে মাল্টিন্যাশনাল চাকরি, চরকির মত সারা দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি। সকালে দিল্লী, বম্বে, মাদ্রাস (তখনো মুম্বাই / চেন্নাই হয় নি) গিয়ে রাতে ফিরে বাড়ির ভাত খাওয়া তখন এলি তেলি ব্যাপার আমার কাছে।পাড়ার বন্ধু বান্ধবের কাছে কেতাই আলাদা। নিজেও ভাবতাম কি না হনুর চাকরি করছি। বয়স বাড়ার পর বুঝেছি ওই সময় যে কাজটা করতাম, ওই হিল্লী দিল্লী করে সেটা আসলে সিনিয়র দের খুব একটা পছন্দের ছিল না। আমি সবচেয়ে জুনিয়র বলে আমার ... ...
তিনি হাতে ডু-অ্যাণ্ড-ডোন্ট লিস্ট ধরিয়ে দিলেন। তাকিয়ে দেখলাম ‘ডু’ তাতে বিশেষ কিছু নেই, কেবল ‘ডোন্ট’ আর ‘ডোন্ট’। ১) কম করে ছ-মাসের আগে ঘর ছাড়া চলবে না, ২) ঘরে বান্ধবী টান্ধবী আসা চলবে না, ৩) ভোজন চলতে পারে, তবে পান চলবে না, ৪) বেশি রাত অবধি আলো জ্বালিয়ে রাখা চলবে না, ৫) ভাড়া তিন তারিখের বেশি বাকি রাখা চলবে না, ৬) ১১-টার বেশি রাত করে ঘরে ফেরা চলবে না, ৭) ঘরের দেওয়ালে পেরেক টেরেক পোঁতা চলবে না, ৮) ইত্যাদি আরও অনেক কিছু চলবে না... ... ...
অতএব পেনসিল কী বলে দেখা যাক। পেনসিলের কাজ হিসাব করা - সেই কারণে সাট্টার হিসাবরক্ষককে পেনসিলার বলা হয়। তা পশ্চিমবঙ্গে যে সাট্টা খেলাটা হল, তার হিসাব তাহলে কী দাঁড়াল? নাটশেলে - ১। তৃণমূল কংগ্রেস সমস্ত অ্যান্টি ইনকাম্বেন্সির প্রেডিকশন তুচ্ছ করে বিপুল ভোটে জয়ী; ২। বিজেপি প্রবলভাবে পরাজিত হয়েও প্রধান বিরোধী শক্তি, বস্তুত একমাত্র বিরোধী শক্তি (বিধানসভায়); ৩। বামেরা, সিপিএম এবং জোটসঙ্গীরা আরও একবার প্রত্যাখ্যাত - এবারে সম্পূর্ণভাবে। অঙ্ক সহজ এবং ম্যান্ডেট এতটাই স্পষ্ট যে মেনে না নিয়ে আমার মত ঘোর সিপিএম সমর্থকেরও উপায় নেই। ... ...
জানি অস্ট্রেলিয়ার সমর্থক গুটি কয়েক। কিন্তু আমি সরলীকরণের কারণে এইটা বললাম। আমাদের এখানে ভারত বিরোধিতা কই থেকে আসে এইটা পাগল আর শিশু ছাড়া বাকি সবাই জানে। এত পুরনো ইতিহাস যে বাংলাদেশি না এমন কাওকে বুঝানো মুশকিল যে এখানে আসলে কী চলে! প্রতিনিয়ত বেশ বড় একটা দল বা একটা গোষ্ঠী ইচ্ছামত ভারত বিরোধী কার্ড খেলে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ, সহজ সরল মানুষ যারা অত প্যাঁচ বুঝে না তারা নিয়ম করে এই ফাঁদে পরে! বুঝে না বুঝে ভারত সব শেষ করে দিল বলে বসে থাকে। পরাষ্ট্রনীতির প- ও জানি না, কিন্তু মন্তব্য করতেছি বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে। এই দেশের রাজনীতিতে ভারতের সমর্থন আর ভারত বিরোধিতা দুইটা বড় একটা অস্ত্র। ভারতের যারা ভারত বিরোধিতা দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছে তারা বিষয়টা গভীর করে ভাবছে না। এই দেশে সামনে নির্বাচন, এই সময় যে ভারত বিরোধিতা বাড়বে বা বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে এইটা খুব সহজ হিসাব। কিন্তু ওই যে বললাম যারা বাংলাদেশি না তাঁদের পক্ষে এইটা বুঝা মুশকিল। তবে তাঁদেরও আসলে কষ্ট পাওয়ার কিছু নাই, কারণ আমাদের ভারত বিরোধিতাও ওই মুখে মুখেই। পেট মোচড় দিলেও চিকিৎসার জন্য ভারত যায় এই দেশের বহু লোক। ... ...
কী করব বলুন, আদতে বীরভূম জেলার লোক তো, ঢেঁকিতে চড়ে সেখানকার আকাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ে নারদ মুনির কী অবস্থা হয়েছিল জানেনই তো। অ, জানেন না, তাইলে শুনুন। বেলা তখন দশটা হবে। প্রভু নারায়নের নাম জপতে জপতে বীরভূমের ওপর দিয়ে যাচ্ছেন নারদ। হঠাৎ সোঁ সোঁ করে একটা অদ্ভুত শব্দ। কী ব্যাপার? মেঘ করল নাকি? ঝড় এল? না তো, আকাশ দিব্যি পরিস্কার। ওদিকে সোঁ সোঁ আওয়াজটা হয়েই চলেছে। ভয় পেয়ে স্পিড বাড়িয়ে দ্রুত চলে গেলেন নারদ। নারায়নের কাছে গিয়ে সব খুলে বলে জিজ্ঞেস করলেন, “ওটা কিসের শব্দ ছিল?” ... ...
ছোট খাটো মুদিখানা বা কিউবান মেমেন্টো বিক্রির হকারি মার্কা দোকান ছাড়া কিউবাতে ব্যক্তিগত মালিকানায় কোনো ব্যবসা নেই। এটা নিয়ে অবশ্য কারো সন্দেহের অবকাশ থাকার কথা নয় , কারণ এটাই নিয়ম হওয়ার কথা। আমরা অবশ্য বাজারহাট , কপোরেটিভ স্টোর সেরকম করে দেখিনি। জামা কাপড়ের দোকান-ও দেখিনি। তবে বড়োবাজারী মাড়োয়ারি-র গদি-র মতো কোনো দোকান যে নেই তা নিশ্চিত। এমনকী ওই কনসিয়ারজবাবু-ই বললেন , বিদেশিদের পাসপোর্ট ছাড়া ট্যাক্সি-তে নেওয়াও বারণ ছিল এই সেদিন পর্যন্ত। কারণ দুটো , এক বিদেশী নাগরিকদের নিরাপত্তা আর দুই , ট্যাক ... ...
#বিন্দাস আন্টির মেয়েকে বললাম - "বিয়ে হোক বা না হোক ষষ্ঠীতে তো ডেকে খাওয়াতে পারিস।"সাথেসাথেই কেমন এক অস্বস্তিকর আবহাওয়া ঘিরে ধরলো ওকে। ও আমার সাথে প্রেম করে কিন্তু বাকি বান্ধবীদের মতো বাড়িতে বলতে পারে না। #বিন্দাস আন্টি ঘোর 'মোছলমান' বিমুখী। তিনি জানলে মেয়ের 'যবন প্রেম' ঘুচিয়ে দেবেন। এমনকি বাইরে বেরোনোও বন্ধ হয়ে যাবে।#বিন্দাস আন্টির মেয়ে জানে আমি খেতে খুব ভালোবাসি এবং খাওয়ার ব্যাপারে আমার বেশ বদনাম আছে। বন্ধু মহলে কেউ কেউ ভুখা-নাঙ্গা মনে করে। যাই হোক, সে বেচারি নিজে কচুপোড়া ছাড়া কি ... ...
আবার একটি নৃশংস ধর্ষণ। আবারো একটি ভুল কারণে সংবাদের শিরোনামে রাণাঘাট – নদিয়া – পশ্চিমবঙ্গ – ভারতবর্ষ – আমরা। এবং আরো একবার এই ধর্ষকদের শাস্তির দাবীতে গর্জে উঠলেন বহু মানুষ যা এই আকালেও একটু স্বপ্ন দেখালো। আরো একবার ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হলেন প্রশাসন অ সরকার – হতাশা বাড়ালো। কিন্তু এই সব ভালো লাগা-খারাপ লাগা, ক্রোধ-হতাশা ও আশার আলোর মাঝে দু-একটা কথা বলে নিতে চাই। ঠিক দুটো কথা। বিতর্কিত কথা। এক, ধর্ষণ বিষয়টাকে আমরা প্রয়োজনের চেয়ে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছি। দুই, ধর্ষণ এই মুহুর্তে পশ্চ ... ...
২০১১ সালে সালাউদ্দিনের খুনের পর পেরিয়ে গিয়েছে সুদীর্ঘ নয়টি বছর। গতকালই সালাউদ্দিন খুনের মামলার রায় ঘোষণার করেছে কোর্ট। বিচারে বাপি এবং মিলি উভয়কেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে দেখতে গেলে ত্রিকোণ প্রেমের জন্য এই খুন এবং তার তদন্ত হয়তো খুব জটিল ছিল না তদন্তকারীদের কাছে। কিন্তু ডিএনে পরীক্ষার হাত ধরে অপরাধী শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে এ এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন। ... ...
শীত ভাল করে পড়তে না পড়তেই মেলার সীজন শুরু হয়ে গেছে। গুরু এবারে ওমনিপ্রেজেন্ট – গাদাগুচ্ছের মেলাতে অংশ নেবার মনস্থ করেছে। একেবারে সূচনাপর্বেই সোনারপুর মেলা – বোতীনবাবুর দৌলতে তার কথা এখন এখানে অনেকেই জানেন। তো সেই সোনারপুর বইমেলাকেই পদধূলি দিয়ে ধন্য করব এরম একটা সুদুদ্দেশে শনিবার সন্ধ্যেবেলা বেরিয়েছিলাম। মারিয়া আগেই হাত তুলে রেখেছিল, তাই মারিয়ার সাথে গড়িয়ার মোড়ে দেখা করাই সমীচিন মনে করলাম। মারিয়া কামস টু গড়িয়া, সেথা হতে সোনারপুর অটো করিয়া, এই হল গে পেলান। ... ...
ইতিহাস ঘেঁটে এই ফিকশন তৈরী। এখানে অনেক মশলা দেওয়ার চেষ্টা করবো। ... ...
শত্রুপক্ষের ওরা আমাদের চারিদিক থেকে ঘিরে ধরেছিল – আমরা গিয়ে আশ্রয় নিলাম জঙ্গলের মধ্যে সেই বিস্তীর্ণ জলাভূমিতে। একটানা সারাদিন, এমনকি গোটা সপ্তাহ ধরেও এক গলা জলে দাঁড়িয়ে থাকা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। আমাদের দলে ছিল একজন রেডিও অপারেটর মেয়ে যে মাত্র কয়েকমাস আগে মা হয়েছে। সেই বাচ্চার তখনো স্তন্যপান করার বয়স, কিন্তু ওদিকে মেয়েটির বুকে দুধ নেই – খেতেই পাচ্ছি না আমরা দিনের পর দিন তো কি করে বুকে দুধ আসবে! আর তাই দুধ না পেয়ে বাচ্চাটা মাঝে মাঝেই কেঁদে উঠছিল। কিন্তু তখনকার পরিস্থিতিতে বাচ্ছার কান্না ছিল আমাদের কাছে অত্যন্ত বিপদজনক – কারণ শত্রুপক্ষ যদি একবার কান্না শুনতে পেয়ে যায় তাহলে কেউই বাঁচব না আর – আমাদের তিরিশ জনের দলের একজনও নয়। আলোচনা করে নিজেদের মধ্যে এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হল – গেলাম সেই মেয়েটির কাছে – তার দিকে তাকালাম – কিন্তু আমাদের মধ্যে কেউই মুখ ফুটে বলতে পারল না কমান্ডারের সিদ্ধান্তের কথা। কিন্তু মেয়েটি ততক্ষণে নিজেই বুঝতে পেরে গিয়েছিল – বাচ্চাটিকে যাতে করে বেঁধে সে বহন করছিল সেটা ধীরে ধীরে নামালো – ... ...
একা থাকতে কিছুটা ভয়ই পাই আমি। আকাশপাতাল চিন্তা করতে একেবারে ভালবাসি না, তবু ফাঁকা ফ্ল্যাটে একা থাকলে সেসব কীভাবে যেন এসেই যায়। তাদের থেকে পালাতে চাইলেই আমি বাইকে উঠে বসে এক্সিলারেটর ঘোরাই। গ্যারেজ থেকে বেরিয়ে গলিতে আসতে না আসতেই বুঝতে পারি আমি পালাতে সক্ষম। কারণ বাইক চালাতে চালাতে অন্য কোন চিন্তা মাথায় আসে না। আসা সম্ভব নয়। এলে, দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। ... ...
"কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে” – এই জাতীয় প্রশ্ন মনে হয় কবি আমার মত পাবলিকদের উদ্দেশ্যেই ছুঁড়ে দিয়েছিলেন সেই কবে। আর তারও আগে থেকে আমার মত পাবলিকদের মায়েরাই ‘সুখে থাকতে ভুতে কিলোয়” বাগধারাটিকে শুধু টিকিয়ে নয় বরং জাগ্রত করে রেখেছেন আমাদের বিদ্ধ করে করেই। সেই দিন ভোর বেলা নাগাদ ফুরফুরে হাওয়ায় বারান্দায় চা খেতে গিয়ে বাঁদরের নাচানাচি এবং পাখির ডাক শুনতে শুনতে ভুতে কিলোনোর ব্যাপারটা আবার চাগাড় দিয়ে উঠল। প্রায় সবার ডাকনাম আছে, কিন্তু আমার কেন নেই – তার মানে কি আমার দিকে ঠিক মত নজর দেওয়া হয় ... ...
..."এবার জ্যোৎস্নায়সেইপথে বসন্ত আসবে, দু-এক রক্তের বিন্দু লেগে থাকবে গায়ে।"চওড়া, পাকা ব্রিজ পেরিয়ে একটা মোড়। এককোণে বিজ্ঞাপণ, মুখ্যমন্ত্রী হাসছেন। অন্যকোণে বহুতলের বিজ্ঞাপণ, টিবিএইচকে, থ্রিবিএইচকে, সুইমিং পুল। ডানদিকে ঘুরলে নালার পাশ দিয়ে রাস্তা, তাও মোটের ওপর খুব সরু না। দুটো গাড়ি পাশাপাশি আসা যাওয়া করে। বাস যায়। মন্দির, কারখানা, ভাটিখানা ও ইশকুল। পলিটেকনিক কলেজ, বাঁয়ে সরু রাস্তা, দেড়খানা গাড়ির বেশি জায়গা নেই। কোথাও হয়ত একটু চেপে এলো, কোথাও অল্প হাঁফ ছাড়ার মত চওড়া। তারপর আবার বাঁ ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ৬ - - - তেমাথায় দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক দেখছি। কী খুঁজছেন? কমল মিত্রর মতো রাশভারী গলা শুনে ঘুরে তাকাই। বছর পঞ্চাশের প্রশ্নকর্তার লম্বা চওড়া সুঠাম চেহারা, ব্যক্তিত্বময় মুখ, মর্মভেদী দৃষ্টি। বলি, হনুমান মন্দির। কোত্থেকে আসছেন? নিক্ষিপ্ত হয় দ্বিতীয় প্রশ্নবাণ। কলকাতা। ধেয়ে আসে তৃতীয় মিসাইল, ওখানে কী দরকার? অচেনা কারুর এহেন অবাঞ্ছিত প্রশ্নমালা শুনে ভ্রু কুঁচকে যায়। ভাবি ইনি কেন এতো সওয়াল করছেন? মন্দিরে কেন যায় লোকে? বাজার করতে নিশ্চয়ই নয়। কিন্তু তখনই একটু খটকা লাগে। অজনবীর ভাবিত মুখে পড়েছে অন্য ছায়া - স্বগতোক্তির ঢঙে বিড়বিড় করেন, ক ল কা তা! পরক্ষণেই আবার দারোগার মতো সওয়াল, আপনি কী বাঙ্গালী? ভাবি কলকাতা কী কিরিবাতি আইল্যান্ডের মতো দূরবর্তী না বাঙ্গালী নর্থ সেন্টিনেলীসদের মতো দুর্লভ? কলকাতা শুনে, বাঙ্গালী ভেবে অবাক হওয়ায় কী আছে? সাহারা থেকে সাইবেরিয়া - খুঁজলে দু এক পিস বাঙালি কোথায় নেই। সম্মতিসূচক মাথা নাড়ি। প্রশ্নকর্তার দৃষ্টি নরম হয়। এগিয়ে আসে একটা বলিষ্ঠ হাত। ... ...
হিংসার ঘটনা এই তো প্রথম নয়। ২০১৭ ফেব্রুয়ারীতে টাউনহল খাপ পঞ্চায়েত বসিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের ম্যানেজমেন্ট কে তুলোধোনা করার পর রাজ্যে ১ নতুন ক্লিনিক্যাল এস্তব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট চালু হয়েছিল। বলা হয়েছিল বেসরকারি হাসপাতাল গুলি র রোগী শোষণ বন্ধ করার জন্য, সেগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নাকি এই আইন। কিন্তু আইনের বলে যে রেগুলেটরি কমিশন তৈরি হলো তার শীর্ষে রইলেন বেসরকারি হাসপাতালে র ডাক্তাররা। আর বেসরকারি হাসপাতাল কে নিয়ন্ত্রণ করার বদলে কমিশন ভিক্টিমাইজ করতে লাগলো ব্যক্তি ডাক্তারদের। পাশাপাশি ডাক্তার ও চিকিৎসা কর্মীদের ওপর আক্রমণের ঘটনা কয়েকগুণ বেড়ে গেল। ডাক্তারদের যুক্ত মঞ্চ জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস পরিসংখ্যান বলে গত আড়াই বছরে হিংসার ঘটনা ঘটেছে প্রায় ২৩৫ টি। এর মধ্যে অধিকাংশই কিন্তু সরকারি হাসপাতালে। ... ...