বাচ্চাটা "একটা বাচ্চা ছেলে। বাচ্চা। চার পাঁচ বছর বয়স। সে ...সে সব সব সময়,মানে আমি তাকে সব সময় দেখি।"ডাক্তার সামন্ত চুপ করে থাকলেন। কৈশোরের এই বয়সে হরমোনের উচ্ছ্বাসে ভরে যায় দেহ মন। হ্যালুসিনেসন । এই বয়সে খুব বিস্ময়কর কিছু নয়। রন চুপ করে থাকলে তিনি আবার প্রশ্ন করেন " কোথায় দ্যাখো? কখন ? লাস্ট কবে দেখেছো ...এই সব বলো ""লাস্ট? লাস্ট দেখলাম স্কুলে যাবার সময়। পর্শু। চৌমাথার রাস্তা ক্রস করবার সময় পিছন ফিরে দেখি দাঁড়িয়ে আছে। এক ঝলক । রাস্তা ক্রস করে ফুটপাথে উঠে আবার দেখলা ... ...
ফাগুনের শুরু হতেই.......----------------------------আবার বছর ত্রিশ পরে তার কথা লেখা হয় যদি,আবার বছর ত্রিশ পরে................একটা বিয়ের আমন্ত্রণপত্র ছাপা হয়েছিলো ঠিক তিরিশ বছর আগে । শুরুতে ছিলো প্রিয় কবির এই কবিতাংশটি , " সবিতা, মানুষজন্ম আমরা পেয়েছি, কোনও এক বসন্তের রাতে...." ; যাঁরা বুঝেছিলেন, তাঁরা জানতে চাননি, কেন এই কবিতাটি এলো । বাকি কিছু লোকজন হয়তো ভেবেছিলেন এই সব কবিটবির কারবারই আলাদা, না বোঝাই ভালো । অল্প কয়েকজন বয়স্য জানতে চেয়েছিলো, " এই সব ... ...
... ... ...
অনেক কিছু স্মৃতি উঠে আসছে – ২০০০ সাল অবধি তেমন ভাবে ‘কবিতা’ নিয়ে চর্চা বা ভাবনা হয়ে ওঠে নি। ওই গোঁফ ওঠার বয়সে যা ছড়া/কবিতা লেখে সবাই তেমন কিছু ছাড়া। আর সব প্রচলিত বিখ্যাত কবির কবিতা পড়া – সেই সময় ছিল সমকালীন জয় গোস্বামী টাইপের ইত্যাদি। এমন এক সময়ে পরিচয় হয়ে যায় এক অদ্ভুত ওয়েবসাইটের সাথে – মনে রাখতে হবে তখনো ইন্টারনেট এমন প্রচলিত হয়ে ওঠে নি, ব্রড ব্যান্ড ইত্যাদি তো দূরের কথা – অর্কূট, ফেসবুক, ইউটিউব কিছুই নেই। এমন ভাবে নিরলস কবিতার সাধনা করে যাওয়ার সাইট বিরল। দুই বাংলার অনেক এখনকার চেনা এবং জনপ্রিয় কবি এই সাইটে হাত পাকিয়েছিলেন এখানে। ভাবছি তেমন কারো কারো দের দিয়েই কিছু লেখা যাক টুকটাক। ... ...
দি গ্ল্যামার অফ বিজনেস ট্রাভেলদুধেতে পটিতে*******************“স্যার , আর ইউ শিওর ইউ ওয়ান্ট টু টেক দিস সীট ?”“কি ব্যাপার বলুন তো ? আমি সবসময়েই টিকিট বুকিং এর সময় ওই সীট টাই চাই। লম্বা লম্বা পা গুলো ছড়িয়ে বসা যায়। এত লম্বা ফ্লাইটে খুবি সুখকর। কোনবারেই টিকিট বুকিং এর সময় আপনারা এই সীট গুলো ফ্রী রাখেন না। আর এয়ারপোর্টে এসে কোনবার পাই ও না। তা এবার যখন খালি আছে, বারবার জিজ্ঞাসা করছেন কেন ?”“ না স্যার, আসলে আপনার পাশের সীট টা এক ইনফ্যান্ট ফ্লাই করছে, মা আছে অবশ্ ... ...
লকডাউন উঠে গেলেই কি করোনা ফিনিশ? স্পষ্ট করে প্রথমেই বলে নেওয়া দরকার, না। এই ধুন্ধুমার লকডাউন উঠে গেলে পৃথিবী আদপেই পৃথিবী করোনামুক্ত হবেনা। একবার যখন এসে পড়েছে, ভাইরাসটি আছে এবং থাকবে। নির্মূল হবেনা। সে চেষ্টাও পৃথিবীর কোনো দেশের কোনো স্বাস্থ্যসংস্থা বা সরকার করছেনা। অতএব, যদি নেহাৎই প্রশান্ত মহাসাগরের কোনো দ্বীপে গিয়ে একাকী বসবাস না করতে পারেন, আজ হোক বা ছমাস পরে, এর সংস্পর্শে আপনি আসবেনই, যদি না ইতিমধ্যেই এসে গিয়ে থাকেন। তার মধ্যে কোনো টিকা বেরিয়ে যাবার সম্ভাবনা খুবই কম। (যখন বেরোবে তার পরেও, ফ্লুয়ের মতোই ভাইরাসের নতুন কোনো গোষ্ঠী সম্ভবত উদয় হবে, টিকা যার কোনো প্রতিষেধক নয়।) ফলে ভাইরাস নাকের ডগায় এলে আপনার ভরসা আপনার প্রতিরোধক্ষমতা। কোনো লকডাউন, কোনোভাবেই আপনাকে তার থেকে বাঁচাবেনা। ... ...
১মেসোপটেমিয়া ও নীলনদের মতো দুই বিখ্যাত সভ্যতাভূমির মাঝের অঞ্চলে ইজরায়েলের আদিম অধিবাসীরা বসতি স্থাপন করেছিল। তারা নিজেদের জেকবের উত্তরসূরী বলত। প্যালেস্টাইনের হার্বন নগরীকে কেন্দ্র করে তাদের বসতি গড়ে উঠেছিল। ইহুদী বাইবেলের মতে জেকবের বারোজন পুত্র ছিল এই পুত্রদের থেকে এক একটি গোত্রর জন্ম হয়েছে। এক বিরাট দুর্ভিক্ষের পর জেকব ও তার পুত্ররা সঙ্গীসাথীদের নিয়ে ইজরায়েল ত্যাগ করে মিশরে চলে যেতে বাধ্য হয়। তাদের উত্তরাধিকারীরা কালক্রমে মিশরে দাসের মতো জীবনযাপনে বাধ্য হয়। চারশো বছরের দাসত্বের পর ইজরায়ে ... ...
উত্তর আফ্রিকা ঃ বিশ্বযুদ্ধের এক সাইড শোহাল্লা চলেছে যুদ্ধে।।।।********************************প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আফ্রিকা মহাদেশে লড়াই প্রায় বিশ্বযুদ্ধের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছিলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কিন্তু তেমনটা হয় নি। ইউরোপে যুদ্ধ শুরু হবার প্রায় বছর খানেক আফ্রিকা মহাদেশে, যুদ্ধের কোনো তেমন ইমপ্যাক্ট ছিলো না। উত্তর আফ্রিকায় ,লিবিয়া ছিলো ইতালীর দখলে আর ইজিপ্ট বৃটীশের অধীনে। তো দু একটা খুচখাচ সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছিলো কিন্তু সেগুলি নেহাতই ছোটোখাটো আঞ্চলিক লড়াই। ... ...
তা ব্রজেন বাবু হেল্প করলেন। উনার কথাতেই অন্নপূর্ণা যাত্রা অপেরা ডেকে পাঠালো অরুণ কুমারকে একদিন। অরুণকুমার গিয়ে দেখলেন একদমই নতুন ধরণের যাত্রা – নাম “শের আফগান”। সেখানে আলি কুলী খাঁ-য়ের চরিত্রে অভিনয় করছে কম বয়সী, কিন্তু তুখড় একজন ছেলে। সেই ছেলেই পরে শান্তিগোপাল নামে বাংলার ঘরে ঘরের নাম হয়ে ওঠে। অরুণের জন্য ওঁরা ভেবেছিলেন কুতুবউদ্দিন কোকা-র চরিত্র। তবে চরিত্রে ফাইন্যাল করার আগে যাত্রার পরিচালক অরুণকুমারকে টেষ্ট করে নিতে লাগলেন – একটা অন্য কোন যাত্রাপালা থেকে বড় ডায়লগ তাঁকে পড়তে দিলেন, আরো বললেন অভিনয় করে দেখাতে। ... ...
বর্তমানে ৬ কোটির বেশি শিশু শ্রমিক ভারতে কৃষি,শিল্প আর বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে।প্রতি তিনটি শিশু শ্রমিকের মধ্যে দুটি শিশু শ্রমিক শারীরিক নিগ্রহের শিকার হয়।পঞ্চাশ শতাংশের বেশী শিশু যৌন হেনস্থার শিকার হয়।The Child Labor Act of 1986 নামের একটা ভাঁটের আইন আছে বটে,তবে তা নেহাতই কাগজে কলমে।চাইল্ড লেবার বা শিশু শ্রমিক নিয়ে পাতার পর পাতা বকে যাওয়া যায়,তবে তা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সেমিনার কক্ষে পারফিউম চর্চিত লোকেরা যথেষ্ট করে থাকেন।তাদের দলে ভিড়তে গেলে অমুক কমিটি বা তমুক আকাদেমি’র একখানা শ ... ...
আচ্ছা আপনি কি ভারতবাসী? না মানে সেটা ততটা জরুরী নয় – মানে আপনি কি দেশপ্রেমিক? না না সেটাও ততটা জরুরী নয় – মানে আপনি কি জাতীয়তাবাদী? ইয়ে, মানে এমনকি সেটাও বেশী জরুরী নয় – কথাটা হল, আপনি কি একজন ভক্ত? যদি হন, তাহলে আপনি নিশ্চয় বিশ্বাস করেন যে আচ্ছে দিন এসে গেছে? কী বললেন, টের পাচ্ছেন না? আপনি সেকু মাকু নয় তো? না হয়ে থাকলে টের পাবেন অবশ্যই। অবশ্য সেকু মাকুরাও টের পাবেই – একদম হাড়ে হাড়ে টের পাবে যে আচ্ছে দিন কাকে বলে। পাইয়েছি টের ওই অতুল মঞ্জরেকরকে – কত্তবড় সাহস, গান ছেড়েছে কি না “আচ্ছে দিন কব আয়েঙ্ ... ...
মনে পড়ে ... ...
বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানবাজারের অঘটনের পর গতরাতে ভক্তদের সারারাতব্যাপী মিটিং চলছে। মিটিংএ নাকি ব্যাপক গোলযোগ। এর সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। গত সপ্তাহের শেষেও আসন্ন যুদ্ধ নিয়ে ভক্তদের এক গোপন মিটিং হয়। আশ্চর্য হলেও সত্যি, যে, গুজরাত থেকে আসা এক নেতা মিটিংএর শুরুতে মনুস্মৃতির বদলে মোল্লা নাসিরুদ্দিনের সেই বিখ্যাত গল্প পড়ে শোনান, যে গল্পে মোল্লা রাত্রিবেলা তাঁর হারিয়ে যাওয়া পয়সা খুঁজছিলেন । পয়সা হারিয়েছিল নদীর ধারে, কিন্তু খুঁজছিলেন রাস্তার মোড়ে। কেন? জিজ্ঞাসা করলে মোল্লা বলেন, নদীর পাড়ে তো ... ...
কালো টাকার বিরুদ্ধে “জাতীয় জেহাদ” চতুর্থ দিনে পা দিল। প্যান্ডেমোনিয়ম অব্যাহত। মানুষ রেগে যাচ্ছেন, আবার অনেকে এটা সাময়িক অসুবিধা যাকে বৃহত্তর স্বার্থে মেনে নেওয়া যায় বলে নিজেদের সংযত রাখছেন। মোদীভক্তেরা ধন্য ধন্য করছেন একটা সাহসী পদক্ষেপের জন্য – আর মোদী এপোলজিস্টরা ঘন্টায় ঘন্টায় নতুন নতুন কারণ খুঁজে বার করছেন কেন এ কাজ সেরা তা প্রতিষ্ঠা করতে। এই সব নিয়ে চতুর্দিকে আলোচনা হচ্ছে – এখানে আরো একটা সরেস আলোচনা হতেই পারতো – কিন্তু আপাততঃ আমরা কিছু মুখরোচক অংশ বাদ দেব।ঘটনা হচ্ছে মানুষ বেশ ভালোমত অস ... ...
হামাস অবশ্যই সন্ত্রাসী। তাদের জন্যে আমার কোনো সহানুভূতি নেই। তবে, মার্কিনি ও ব্রিটিশদের অন্ধ সমর্থন ছাড়া আজ এ অবস্থার সৃষ্টি হতোনা। সেটাই আসল ইতিহাস। ... ...
আটই নভেম্বর রাতের সেই ঐতিহাসিক ঘোষণার পরে বিভিন্ন সোশাল মিডিয়াতে যে বিভিন্ন ধরণের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত হয়েছে, আমরা সেগুলো এখানে একত্র করে রাখলাম। এই সময়ের একটা দলিল হয়ে থাকুক লেখাগুলো। ========================================================অথশৌচালয়গাথা কনিষ্ক ভট্টাচার্য১ মায়ামুক্ত... তারপর তো সরকারের ঘর থেকে ‘অব তক ছপ্পন’ শতাংশ ডিএ কম পাওয়া বাবু, মুহম্মদ নরেন্দ্র বিন তুঘলক মোদীর ছাপ্পান্ন ইঞ্চির মুদ্রাবিপ্লব ঘোষণার চারদিন পরেই, পকেটে টান পড়ায় চলল ... ...
রোমানিয়া শেঙ্গেনে ঢুকে যাচ্ছে মার্চ মাসে। এখন প্রতিনিয়ত আমাকে শুনতে হয় যে আমি কেন ফিরে যাচ্ছি না! আমি যে সমস্যায় পড়ে ফিরে এসেছি তার কোন সমাধান হয়নি। তাই ফিরে যাওয়ার আশা করা দুরাশা আমার জন্য। আমার খালাত বোন যে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক, সে আমাকে বিসিবির যে প্রধান ডাক্তার ডাক্তার দেবাশিষের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। তিনি এই সব ব্যাপারে সেরা ডাক্তারের মধ্যে একজন। জ্যোতির সাহায্য ছাড়া উনার অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাইতে অন্তত দুই মাস অপেক্ষা করতে হত আমার। তিনি আমাকে অনেকখন সময় নিয়ে দেখছেন। একটা থেরাপি দিয়েছিলেন। তাতে খুব একটা কাজ হয়নি। এবং তিনি আমাকে শেষ কথা বলে দিয়েছেন যে আমার পক্ষে লম্বা সময় দাঁড়িয়ে থাকা হার্ড ওয়ার্ক ইত্যাদি কাজ আর করা সম্ভব না। পায়ের অবস্থা তিনি দেখে চমকে গিয়েছিলেন। উনি স্টেরয়েড দিতে চেয়েছেন কিন্তু আমি এখনও ওইটা দিব কি না সিদ্ধান্ত নেই নি। বাড়িতে থেকে ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে, যার কারণে পায়ের ব্যথাও বেড়েছে! ব্যায়াম দিয়েছি কিছু, ওইটা করলেই একটু আরাম হয়, কুশন দেওয়া জুতা পরতে হচ্ছে। এই ভাবেই চলতে হবে আমাকে। আমি অপারেশনের কথা বলে ছিলাম। তিনি এক বাক্যে না করে দিয়েছেন। এই না আমাকে রোমানিয়ান ডাক্তারও করে দিয়েছিল। আমি দেশে চিকিৎসার জন্য চলে আসব শুনে উনি বলেছিলেন যে আমি জানি না তোমার দেশের চিকিৎসার অবস্থা কেমন, কিন্তু আমি তোমাকে সাবধান করে দিচ্ছি যে কোনমতেই তুমি অপারেশনের দিকে যেয়ও না। আর আমি আসলে দেশে অপারেশনের জন্যই আসছিলাম। মনে করছিলাম বিদেশিরা এগুলা করতে ভয় পায়, আমাদের এখানে ঠিকই করে ফেলবে কিছু একটা। তো, এই হল আমার সর্বশেষ অবস্থা। আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা অনেকেই আমার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, তাদেরকে এই সুযোগে জানিয়ে দিলাম আমার অবস্থা। ... ...
সেদিন নৈহাটি থেকে বেশ দেরী করেই আনন্দবাজারের অফিসে ঢুকলেন সমরেশ বসু। দেশ পত্রিকার সেকশনে ঢুকতেই সাগরময় ঘোষের সাথে দেখা। সাগরবাবু মাত্র কিছু দিন আগেই দেশ-এর সাব-এডিটরের দায়িত্ব থেকে প্রধান সম্পাদক হয়েছেন। তবে সাব-এডিটর থাকা কালীনও দেশ-র বেশীর ভাগ সিদ্ধান্তের পিছনে সাগরবাবুই ছিলেন শেষ কথা। সমরেশ বাসুর সাথেও তাঁর চেনা শুনে বহু বছর ধরেই – আজ পুরী, কাল কুম্ভ মেলা, পরশু কেঁদুলি – এই সব জায়গায় সমরেশ বাবুকে ঠেলেঠুলে তিনিই পাঠাতেন লেখা বের করার তাগিদে। ... ...