এটা একটা গল্প। একটাই গল্প। একেবারে বানানো নয় - কাহিনীটি একটু অন্যরকম। কারো একান্ত সুগোপন ব্যক্তিগত দুঃখকে সকলের কাছে অনাবৃত করা কতদূর সমীচীন হচ্ছে জানি না, কতটুকু প্রকাশ করব তা নিজেই ঠিক করতে পারছি না। জন্মগত প্রকৃতিচিহ্নের বিপরীতমুখী মানুষদের অসহায় আত্মধ্বংসের গল্প এটি, আমাদের কাছে যাঁদের একটু সহমর্মিতা প্রাপ্য ছিল। পরিপার্শ্বের বিড়ম্বনায় ক্লিষ্ট মানুষ একটু সম্মান আশা করতে পারতো। মানুষ না মানুষী নিছক প্রকৃতিনির্দিষ্ট এই চিহ্নের বাইরে উড়তে চাওয়া এমনই মানুষের, প্রতিভার অকাল সমাপ্তির এই আখ্য ... ...
এটা আজকাল প্রায় সবাই জানেন যে ইংল্যাণ্ডের ন্যাশেনাল ডিস্ কিন্তু ফিস্ এ্যাণ্ড চিপস্ নয়, ওটা হল চিকেন টিক্কা মশালা। ভারতীয় সভ্যতায় ইংরেজদের অবদান নিয়ে জাদুঘর ভর্তি বই আছে এবং ইদানিংকালের পণ্ডিতরা প্রায় সবাই একমত হয়েছেন যে, বৃটিশ সভ্যতায় আমাদের মূল অবদানই হল নানাবিধ ‘কারি’। যেটুকু দ্বিমত তা ওই টিক্কা মশালা নাকি চিকেন মাদ্রাস কোনটা ন্যাশেনাল ডিস্ হওয়া উচিত তা নিয়ে। আমি এত রকমের ‘কারি’র নামই শুনিনি ইংল্যাণ্ড আসার আগে – তবে ব্যাপার হল গিয়ে অন্য যে কোন বিষয়ের মতই এর ভিতরেও প্রচুর জল আছে। এমন সব খাব ... ...
[তুরু তুরু তুরুরু বাজি বাজেনেই, পারায় পারায় বেরেবং বেক্কুন মিলিনেই...এচ্চ্যা বিঝু...বিঝু...বিঝু....এচ্চ্যা বিঝু..বিঝু বিঝু..বেক্কুনরে বিঝুর পাত্তুরুতুরু...]চাকমা ভাষায় ‘ফেগ’ কথাটির মানে হচ্ছে পাখি। বিঝু পাখি আমি কখনো দেখিনি, তবে শুনেছি, ছোট্ট এই রঙিন পাখিটি নাকি বিঝুর সময় অবিকল ‘বিঝু-বিঝু’ করে ডেকে ওঠে। তাই চাকমা লোকগানে গুনবন্দনা করা হয়েছে এই পাখির। তখন নাকি দূর পাহাড়ে পাপড়ি মেলে বিঝু ফুল।ওহ, বলতে ভুলে গেছি, বিঝু হচ্ছে চাকমাদের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বা ... ...
সারাদিন পাহাড়পথ ভেঙে আপনি ক্লান্ত। আরাম করে বসুন এই ছোট্ট ক্যাফেটায়, আমার উল্টো দিকের চেয়ারে। টেবিলে দু'টো বিয়ারের বোতল। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে হিমালয়ান্ ব্লুজ। ... ...
ঢোল সহরত করে ইয়েল-দিদিমণি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে পাসপোর্ট পাওয়ার পদ্ধতি এখন ভারতীয় নাগরিক দের কাছে মাখনমসৃণ। ফলে আজ যখন গুটি গুটি পায়ে বারাণসী'র পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র'র দিকে রওনা দিলুম পরেড কোঠি থেকে, নিশ্চিত ছিলুম মাখন না হোক মার্জারিন কোমল ব্যবহার পাবো। তাছাড়া, আমার ক্ষেত্রে, এটি পাসপোর্ট নবীকরণ মাত্র, এবং ঠিকানা না পাল্টেই - সুতরাং সহজতম পদ্ধতিতে ন্যূণতম সময়েই হওয়া উচিত।পৌঁছেই ধাক্কা খেলুম। ই কি রে বাবা ! এ কোথায় এলুম ! একটা উড়ালপুল এর নীচে, বিচ্ছিরি রকমের জল কাদা পাঁক এর মধ্যে শয়ে ... ...
ভদ্রলোকের সঙ্গে ট্রেনে আলাপ হয়েছিল। সেটা নব্বই দশকের প্রথমদিক। আমাদের তখন কলেজে ফাইনাল ইয়ার। ষোলজনের দল গেছিলাম বম্বে-পুনা-গোয়া। ফেরার সময়ে বম্বে থেকে ট্রেন ধরেছি। একসঙ্গে সব জায়গা পাওয়া যায়নি। আমি, অসীম আর শেখর আলাদা হয়ে গেছি বাকি তেরজনের থেকে। টু-টিয়ার কামরায় আমাদের সঙ্গে ওই ভদ্রলোক । মিস্টার সেনগুপ্ত। মাঝবয়েসী, বছর পঁয়তিরিশ বয়েস। ব্যবসার কাজে বম্বে গেছিলেন, ফিরছেন। খুব মাইডিয়ার লোক। তখন আমাদের যা বয়েস তাতে কেউ বড়দের মতন ব্যবহার করলে কি সিগারেট অফার করলেই দারুণ ভাল লেগে যায়। সেনগুপ্তবাবু সেসব ... ...
সেই ঘনায়মান আঁধারে এক সময় বালুদা এসে বসে ছিল আমার পাশটিতে। নেশা মেশানো নীচু গলায় বলেছিল : দাদাবাবু, আমার বড় সপপন ছিলো লালন মুর্দাফরাশ হবে না। জিন্দা আদমি তুলবে... ইলাজের জন্য হাসপাতাল আনবে এম্বুলেন্স চাপিয়ে। .... হল না । শালা মর্গে ডিউটি পেল -- অ্যানাটমি ঘরেও নয়। সবাই বলে ওখানে পয়সা আছে। ডেড দের গায়ের আংটি-হার ঘুরিয়ে দিলেই হলো। আমি লেকিন হেরে গেলাম দাদাবাবু। ..... মুর্দাফরাশের বেটা ডাক্তার হবে তো ভাবলাম না -- এটেন্ড্যান হবে... এটা তো ভাবা যায় বলুন? লালন তো ইন্টার পাশ ভি করল! তবুও.... "। স্তোকবাক্য শুনিয়েছিলাম বালুদাকে। বলেছিলাম : আরে, লালনের বিয়ে হবে... ছেলেমেয়ে হবে...তাদের ভালোভাবে পড়িয়ো... হয়ত একদিন কেউ ডাক্তারই হবে ! সেদিন যেন জানাতে ভুলোনা দাদা! " বালুদা ম্লান হেসে বলেছিল : দাদাবাবু, আর একটু মানসু নিতেই হবে লেকিন । ... ...
দাঙ্গাশ্রান্ত ভারতে বসন্ত এসে গেছে। চাঁদের নিজের কোন আলো নাই বলিয়া তাহার হসন্ত উড়ে গেছে। চারিদিক কড়া ও কনফিউজড রোদ্দুর। জবানিতে। জবানি ছাড়িয়ে শরীরে। উদ্ভিন্ন যৌবনা মেয়েদের পিঠে। এভাবে শুরু হতেই পারত। কিন্তু প্রভূত ফেসবুকীয় আভালানসের পর কিন্তু শুরুতেই প্রশ্ন এসে যাচ্ছে। এলিট নয়, মজুর নয় এমন কে বা কারা সমাজকে মাঝের আঙুল দেখাতে চেয়েছে। গেল গেল, ধর ধর তো হবেই। হোকনা তারা রেবেল উইদাউট আ কজ। না বুঝে করেছে। কাউন্টার কালচার জানেনা। আ্যন্ডি ওয়রহোল দেখে উজ্জিবীত হয়নি কখনও। ফেমিনিজম মেনে পরিকল্পনা করেনি। হয়ত, ডেঁপো। ঈষৎ পেছনপাকা। নেহাত-ই ফক্কর। কথা হচ্ছে, আপনি যাই বলুন ঘটনা কিন্তু ঘটে গেছে। এখন যতই তর্জনী তুলুন, মাঝের আঙুলটা তারা এই বঙ-সমাজকে সপাট দেখিয়ে দিয়েছে। ... ...
কেলেভূতকে (আমার কন্যা) ঘুড়ির কর (কল ও বলেন কেউ কেউ) কি করে বাঁধতে হয় দেখাচ্ছিলাম। প্রথম শেখার জন্য বেশ জটিল প্রক্রিয়া, কাঁপকাঠি আর পেটকাঠির ফুটোর সুতোটা থেকে কি ভাবে কতোটা মাপ হিসেবে করে ঘুড়ির ন্যাজের কাছের ফুটোটায় গিঁট বাঁধতে হবে - যাতে করে কর এর দুদিকের সুতো সখৎ সাম্যবাদী হয়ে উঠবে এবং আকাশে উঠে ঘুড়ি আচরণ করবে সুশীল সমাজের মতো মধ্যপন্থায় থেকে - সেই সূক্ষ্ম হিসেব অনেকটা রান্নায় নুন দেওয়ার মতোই।এখন তার বয়েস দশ হতে চললো, কিন্তু কেলে যখন নিতান্তই শিশুমাত্র তখন থেকেই আমার একটা চেষ্টা ছিল ... ...
বইমেলা বইমেলা▶️পরমেশ জোয়ারদারের আমাশা কোনোকালে ছিল না। কখনও কবিতা লেখেননি এবং দুই হাতের দশ আঙুলে সর্বসাকুল্যে আটটি জিএসআই সার্টিফায়েড মহার্ঘ পাথররাজি। পরমেশ বাবু কোল ইন্ডিয়ার অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্ট থেকে অবসর নেওয়ার কিছুদিন আগে মরিয়া হয়ে ছত্রিশ বছরের বিবাহিত পত্নীর সঙ্গে সেক্স করার চেষ্টা করেছেন। চাহিদা ও জোগানের সূত্র ব্রেকডাউন করে একটু দরকচা টাইপ হলেও, আদতে খুব একটা মন্দ ছিল না কম্মোটি। যদিও পত্নী সংযুক্তা দেবী এর জন্য তাঁকে বিস্তর বকাঝকা করেছেন, 'বুড়ো ভামের ... ...
প্রথমেই বলে নেবো, আমি এখানে ও অন্যত্র যা লিখছি তার সবই শ্রমজীবী বিদ্যালয় (আমার ব্লগ পড়লে এবিষয়ে প্রায় সব প্রাথমিক ঘটনাক্রম জানতে পারবেন), এবং অতীতে অন্য কিছু জায়গাতে একই ধরণের কর্ম-প্রয়োগে সঞ্চিত সদর্থক ও নঞর্থক অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। সেই কারণে আমার সব বক্তব্যই শ্রমজীবী বিদ্যালয় সংক্রান্ত পরিস্থিতিকে জড়িয়েই বলা হচ্ছে।প্রধানত, দুটি বই থেকে আমাদের অভিজ্ঞতা আহরণ-প্রচেষ্টার সূত্রপাত। “আপনাকে বলছি স্যার ।। বারবিয়ানা স্কুল থেকে” আর পাউলো ফ্রেইরের লেখা “পেডাগজি অব দ্য অপ্রেসড”, “কালচারাল অ্যাকশন ফর ... ...
রোববার সকাল।খুসি’র সকাল।খাসি’র সকাল।তাই কালামের কাছ থেকে কেজি খানেক খাসি’র মাংস কিনে এনেছিলাম।যদিও ডাক্তার রা আমায় রেড মিট খেতে বারণ করেছে।কিন্তু ডাক্তার রা যতই চক্রান্ত করুক,খাসির প্রতি আমার ভালোবাসা কমাতে পারবেনা। দুনিয়ার খাসীদের প্রতি এ আমার তীব্র অঙ্গীকার।যাই হোক,খাসির মাংস আনার পর থেকেই মনটা হেব্বি খুশ ছিল।আচমকা শুনতে পেলুম,আমার ভাগ্নে দুপুরে খেতে আসছে। খুব রাগ হল।হতভাগা জানিয়ে আসতে পারেনা।এক কেজি খাসির মাংসে চারজনের খাওয়া হয়?? যদিও আমি অ্যাখন বড্ড কম খাই।বছর তিনেক আগেও ভাতের সাথে কেজি খান ... ...
ইউক্রেনিয়ান হাব নামক একটি শরণার্থী সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে নিকটবর্তী উওকিং শহরে । প্রতি সোম ও বুধবার সারেতে সদ্য আগত ইউক্রেনিয়ানরা সমবেত হন । তৈল তণ্ডুল লবণের প্রবন্ধ , স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা, ডাক্তারের খোঁজ, জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পে যোগদানের পন্থা, ইংরেজি আচার আচরণের ব্যাখ্যা সবই তাঁদের দেওয়া হয়। তার সঙ্গে চলে এক ঘণ্টার ইংরেজি শিক্ষার ক্লাস , বিশেষ করে মায়েদের জন্যে । দেখা যাচ্ছে অল্প বয়েসি ছেলে মেয়েদের ইংরেজির মান চলনসই , তাদের নতুন স্কুলে মানিয়ে নেওয়া খুব শক্ত হবে না। তবে হয়তো এক দু ক্লাস নিচে ভর্তি হতে হবে । এটাও জানানো হয় সব ছেলে মেয়ে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে পদব্রজে পাড়ার স্কুলে যেতে পারবে এ আশা অবান্তর । স্কুলটা অন্য পাড়ায় জুটতে পারে। একটা সুবিধে এই যে সামনে গরমের ছুটি পড়ছে । বিদ্যাশিক্ষার ব্যাপারটা মুলতুবি রেখে ইউক্রেন ফুটবল টিমের অগ্রগতির তত্ব তাবাশ করাই শ্রেয় । হিথ হুকে এদেশের দীর্ঘদিনের অধিবাসী সাইমন এবং ইরিনার বাড়িতে এক সন্ধ্যায় ডজন দেড়েক ছেলে মেয়ে কাতারের বিশ্বকাপে যোগদানের যোগ্যতা অর্জনের পালায় ইউক্রেন বনাম স্কটল্যান্ডের খেলা দেখতে একত্র হয় । ইউক্রেন ১-০ গোলে জেতার পরে এক সমবেত উচ্ছ্বাস, আনন্দ অন্তত কিছুক্ষণের জন্য খারকিভ মারিউপোল খারসন লভিভের ধ্বংসস্তূপ , ঘরছাড়া হবার যন্ত্রণাকে ভুলিয়ে দিলো। ... ...
কুলদা রায়গোলরুটির চেয়ে গোলারুটিই বেশি মজার। বড় মামী এ ব্যাপারে ফার্স্টক্লাশ। নানারকমের গোলারুটি বানাতে তার জুড়ি নেই। আটা গুলে তার মধ্যে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে পিয়াজ রুটি। কাঁচা মরিচ দিয়ে মরিচ রুটি। আর কালো জিরা দিলে বেশ টোস্ট টোস্ট ভাব আসে।আজিমার পছন্দ শুকনো মরিচ। এটা ছোটোদের জন্য একেবারে নো। তাদের জন্য গুড়ের ঢেলা। না পেলে ছেঁচকি শাক। কখনো পুঁই রুটি। পুঁইশাক কেটে গোলা রুটির মধ্যে ছেড়ে দেবেন। ভাপে সিদ্দ হবে। তার বর্ণ দেখে দেখে, ওগো মা, আঁখি না ফেরে।এ বাড়ির পুরন ... ...
ডিসক্লেমারঃ দৃশ্যম আর্গুএবলি টাবুর সবচেয়ে খারাপ অভিনয়ের সিনেমা। এত্ত চান্স পেয়ে এত্ত ঝুল – চোখে দেখা যায় না মাইরি! কী খারাপ ভাবে ঘুরছিল, ঘোরাচ্ছিল চোখ। -----------------------------------------------------------------------------------------------------------সিনেমার সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ইন্টারেস্টিং কথা ছিল টাব্বুর জবানিতেই। ভিস্যুয়াল কেন এবং কী ভাবে মস্তিষ্কে এবং মননে তার ট্রেস রেখে যায়, এ নিয়ে একটা মোটা ডায়ালগ আমরা শুনতে পাই। যেটা খুব জরুরি – এমনি তত্ত্ব হিসেবেও এবং ফিল্ম ... ...
সামান্থা ফক্সচুপচাপ উপুড় হয়ে শুয়ে ছবিটার দিকে তাকিয়েছিলাম। মাথায় কয়েকশো চিন্তা।হস্টেলে মেস বিল বাকি প্রায় তিন মাস। অভাবে নয়,স্বভাবে। বাড়ি থেকে পয়সা পাঠালেই নেশাগুলো চাগাড় দিয়ে ওঠে। গভীর রাতের ভিডিও হলের চাম্পি সিনেমা,আপসু রাম আর ফার্স্ট ইয়ার কোন এক শক্তপোক্ত ছানার হাতে ফাইন করে বেটে দেওয়া গাঁজা। মাসের সাত দিনের মাথায় বাড়িতে পোস্ট কার্ড, " পড়াশোনার চাপ বেড়েছে, একটু দুধ ডিমান্ড করিতেছে মগজ, ক্যাম্পাস এর মধ্যেই ভজুয়ার গরুর চাষ আছে। ওর তিনটি গরু এবং একটি পাতকুয়া সমগ্র ক্যাম্পাস এ মাসে মাসে ... ...
পর্ব-১কিয়ৎ দিন পরে কণ্ববাবু হরিদ্বার তীর্থ হইতে প্রত্যাগমন করিলেন। একদিন তিনি বারান্দায় বসিয়া চা পান করিতেছেন এমন সময় একটি উড়ো SMS আসিল। 'কন্বদা, NRI দুষ্মন্ত বসু শীতকালে দেশে আসিয়াছিলেন, শকুন্তলার সহিত তাহার নলবনে আলাপ, ফোন নম্বর চালাচালি, ভিক্টোরিয়ায় গমন, বকখালি ভ্রমন, এবং কালিঘাটে গিয়া মালাবদল সকলই সম্পন্ন হইয়াছে অতি দ্রুত। শকুন্তলা তৎসহযোগে প্রেগন্যান্ট ও হইয়াছেন।'কণ্বদা ইহা অবগত হইয়া এবং তাহার অগোচরে ও সম্মতি ব্যতিরেকে বিবাহ কার্য্য সম্পন্ন ... ...
আমেরিকায় গত কয়েক বছর ধরে একটা আন্দোলন হয়েছিল, "ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার" বলে। একটু খোঁজখবর রাখা লোকমাত্রেই জানবেন আমেরিকায় বর্ণবিদ্বেষ এখনো বেশ ভালই রয়েছে। বিশেষত পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গদের হেনস্থা হবার ঘটনা আকছার হয়। সামান্য ট্রাফিক ভায়োলেশন যেখানে শ্বেতাঙ্গদের সতর্ক করে বা সামান্য জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয় সেখানে কৃষ্ণাঙ্গদের গ্রেপ্তার করা, কৃষ্ণাঙ্গ কেউ দামী গাড়িতে গেলে চোর সন্দেহে তার কাগজপত্র চেক করা এসব তো রয়েইছে, ২০১৩ সালে এক কৃষ্ণাঙ্গ নাবালকের পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর পর আন্দোলনের তীব্রতা আরো ... ...
স্বাস্থ্য মানেই চিকিৎসা নয়—একথা সত্যি, কিন্তু অসুখ হলে চিকিৎসা দরকার, আর সেই চিকিৎসায় বড় ভূমিকা ওষুধের। খরচের হিসেবে যদি দেখি--চিকিৎসার মোট খরচের একটা বড় অংশ (৭০ থেকে ৮০%) জুড়ে থাকে ওষুধের দাম। চিকিৎসার খরচ যোগাতে দারিদ্রসীমার নীচে নেমে যায় রোগীর পরিবার।ওষুধ একটা পণ্য, ওষুধ-কোম্পানী ওষুধ তৈরী করে মুনাফার জন্য। কিন্তু অন্য পণ্যের সঙ্গে এ পণ্যের ফারাক হল ক্রেতা (অর্থাৎ রোগী) পণ্যটাকে নির্বাচন করেন না। রোগীর হয়ে পণ্যটাকে নির্বাচন করে দেন অন্য কেউ অর্থাৎ ডাক্তার। তাবলে ওষুধ সম্পর্কে সাধারণ ... ...
লম্ফ-ঝম্ফ বিনা এই নিমিত্ত পুস্তকমেলা লইয়া কী করিব?বই বেরোনোর মেলা ঝক্কি। আগে ও পরে। আমি বেচে বেচে সারা। আর অই পুস্তকমেলা। সে যে কেন আসে, বিটকেল, হাঁড়ি হাঁড়ি মুখ আর কবিগণ। কদাচ ডিগবাজী সহ বাংলা। হুডিনিরা রনক্লান্ত অত এব এ পুস্তকমেলা লইয়া কী করিব? এই বছর একটা বই আছে মেলায়। বিশুদ্ধ নিত্যকর্ম পদ্ধতি। মাসাধিক কাল আর প্রেমো দিচ্ছি ফেসুতে। লোকে সাজু গুজু করছে, জুতো গয়না কিনছে। প্রেসে গিয়ে এ যাবৎ কাবলিদাকে সদ্য ফোটা দুপুরে মিস করছি। অনুপান সহ। ছাপা চলছে, মৃদু গন্ধ, হিসি ছাপিয়ে কাগজের, আহা , বি ... ...