এক নতুন জগতের কল্পনা। এক অন্য ধরণের পৃথিবী। আগামী কি ভয়াবহ ? ... ...
এখন কত কূটকচালি ! একদিকে এক ধর্মের লোক অন্যদের জন্য বিধিনিষেধ বাধাবিপত্তি আরোপ করে চলেছে তো অন্যদিকে একদিকে ধর্মের নামে ফতোয়া তো অন্যদিকে ধর্ম ছাঁটার নিদান। দুর্গাপুজোয় এগরোল খাওয়া চলবে কি চলবে না , পুজোয় মাতামাতি করা ভাল না খারাপ ,পুজোর মত রিগ্রেসিভ ব্যাপারের সাথে কোনভাবে জুড়ে যাওয়া উচিত কি অনুচিত, উমার শ্বশুরবাড়ি থেকে আসার মত পিতৃতান্ত্রিক ব্যাপার নিয়ে আহ্লাদ আমোদ করা ঠিক না ভুল, পুজো নিয়ে, ঠাকুরদেবতা নিয়ে ইয়ার্কি মারা অনুভুতিতে আঘাত নাকি নয়, আঘাত হলেও কিছু আসে যায় নাকি যায়না, পুজো ... ...
মাজার সংস্কৃতি কোন দিনই আমার পছন্দের জিনিস ছিল না। বিশেষ করে হুট করে গজিয়ে উঠা মাজার। মানুষ মাজারের প্রেমে পরে সর্বস্ব দিয়ে বসে থাকে। ঘরে সংসার চলে না মোল্লা চললেন মাজার শিন্নি দিতে। এমন ঘটনা অহরহ ঘটে। মাজার নিয়ে যত প্রকার ভণ্ডামি হয় তা কল্পনাও করা যায় না। মাজার ভেদে লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা হয়। বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় মাজার সম্ভবত সিলেটের শাহজালালের মাজার। ওই মাজারের ব্যবসা দেখেই কিনা কে জানে, সিলেটে অলিতে গলিতে মাজার। চট্টগ্রামের অবস্থাও তেমনই। বায়জিদ বোস্তামির মাজার কে ঘিরে জমজমাট অবস্থা। আরেকটা ... ...
সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের সমস্যা অন্য রকম। মাত্র চল্লিশ বছরের পুরনো এই ব্যাঙ্কে আপনার আমার মতন সাধারণ নাগরিক খুব সামান্য টাকা রেখেছিলেন, মোট অঙ্কের দশ শতাংশও নয়। সেখানে যারা বৃহৎ অঙ্কের ডলার জমা রেখেছেন তাঁরা ব্যাংকিং জগতে হালে আবির্ভূত এক প্রজন্ম – এঁরা উদ্যোগী মূলধনের সরবরাহকারি – ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট। টাকার প্রকাণ্ড পোঁটলা নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন, আপনার আমার পাড়ায় নয়, সেই সিলিকন ভ্যালিতে যেখানে টেক জগতের অনেক উজ্জ্বল তারকা কিছু না কিছু নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন – তাঁদের মাথায় বুদ্ধি আছে, একটা দুর্দান্ত কিছু বানানোর পুরো ব্লু প্রিন্ট আছে। নেই শুধু অর্থ। তাঁদের মধ্যে কেউ না কেউ একদিন বিল গেটস হয়ে উঠবেন – এই উদ্যোগী মূলধনের মালিক আজকে তাঁদের শেয়ার সস্তায় কিনে নিয়ে অগ্রিম অর্থ সাপ্লাই করছেন। আশা রাখেন এই টেক তারকারা একদিন এমন কেরামতি দেখাবেন যে সে শেয়ারের দাম লক্ষ ডলার হবে। অবশ্যই দশ জন উদ্ভাবকের মধ্যে দু চার জন এলিজাবেথ হোমসের মতন টোটাল ফ্রড হবেন (উনিশ বছরে স্ট্যানফোরডের ড্রপ আউট এই বালিকা নয় বিলিয়ন ডলার মূল্যের কোম্পানি বানিয়ে ফেলেছিলেন - এক ফোঁটা রক্ত থেকে ১৮০ রকমের টেস্ট করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে - এখন হাওয়ালাতে আছেন) তাতে কি? জুয়ার সব দান সমান হয় না, তাহলে তো সব খিলাড়ি রকিফেলার হয়ে যেত ... ...
তাঁর চলে যাওয়ার দিনে, আজ, মনে আছে শহরে বৃষ্টি হয়েছিল খুব। মনে আছে, যে গাড়িতে শায়িত ছিলেন তিনি, জলের ধারা গড়িয়ে পড়ছিল তার কাঁচ বেয়ে। যেমনটা নিজেই লিখেছিলেন, নিজের মৃত্যুদিন জেনে যেতে পারেন নি তিনি; পারে না কেউই। কারণ, মৃত্যু তো আসলে তাঁদের যারা রয়ে গেল সেই খবর শোনার জন্য। ... ...
আমাদের ভোঁদাদার সব ভাল, খালি পয়সা খরচ করতে হলে নাভিশ্বাস ওঠে। একেবারে ওয়ান-পাইস-ফাদার-মাদার। নিজে নাহক ভাল কাজ করে। শুধু পয়সাই নয়, অঢেল সময়ও হাতে। বাড়িতে শুধু আপনি আর কপনি - ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, বেয়াই-বোনাই, জগাই-মাধাই কেউ নাই। কাজেই ভোঁদাদা বই পড়ে। বাছবিচার নেই, বই পেলেই হল। আর এই বই পড়ে পড়ে বিচিত্র সব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেছে। ভাসা-ভাসা নয়, একেবারে গভীর সুচিন্তিত জ্ঞান। ভোঁদ্দা আজ এর সঙ্গে ভ্যালু ইনভেস্টিং নিয়ে আলোচনা করল, তো ওর সঙ্গে প্রাচীন মোঘলাই রন্ধনপ্রণালী নিয়ে; কার সঙ্গে দেখলাম গভীর তর্কা ... ...
ঠিক যেমন কবিতা আসলে একটাই, আমরা কেবল নাম দিয়ে তাকে ভাঙি, পথকেও আমরা ভেঙে নিই বছরে। নতুন, পুরোনো, ইত্যাদিতে। কিন্তু তাতে পথের মনে হয় বিশেষ কিছু আসে যায় না। ... ...
[২] তুমি আর আমি . . .তাহলে, যুক্তিতর্ক এবং ইতিহাসের সাক্ষ্য, দুদিক থেকেই বোঝা গেল—কোনটা শেষ হলে কোনটা শুরু হয়। সুতরাং ধর্ম ঈশ্বর আত্মা ইত্যাদিকে আর বিজ্ঞানের উপরে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। থাকতে হলে পেছনেই অপেক্ষা করতে হবে। যে সমস্ত দূরদর্শী ধর্ম দার্শনিক এটা বুঝে ফেলেছেন, তাঁরা এর পর থেকে একটা নতুন বাণী শোনাতে লাগলেন: বিজ্ঞান আর ধর্মের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। বিজ্ঞান মানুষের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ইহজাগতিক বাস্তব জগতের শরীরের চাহিদা মেটায়; সুখ শান্তি এনে দেয়। জীবনকে উপভোগ্য করে তোলে। আর ধর্ম মানুষ ... ...
১ অদ্রিশদা যখন মারা গেলেন , কাগজে বেরোয় জনৈক পৌড় , সেই কাগজে যেখানে অদ্রিশদা অনেকদিন কাজ করেছেন, কবে যে পৌড় হয়ে গেলে আমার তো জানা হয় নি । অদ্রিশদা বললে আমার এখন মনে পড়ে মউ দি কে সামনে বসিয়ে সাইকেল করে আসছেন শ্রীরামপুর স্টেশনে । নিয়ম করে দেখা হত , আমি তখন কিছুই লিখতে পারি না , শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি এই অপরূপ দম্পতির দিকে । আর একবার লক্ষ্মীঘাটে কবিতা পাঠের আয়োজন হল , রমাদির একক কবিতা পাঠ , পাঠ শেষে , মউদি গান গাইল , প্রদীপের আলোই তার মুখে অন্ধকার খেলে বেড়াচ্ছে , কি করে জানব , কত ঝড় বৃষ্টি ... ...
বিভিন্ন সময়ে শুরু থেকেই পশ্চিমবঙ্গে এল জি বি টি সংগঠনগুলোর মধ্যে আর্থিক অনুদান পাওয়া নিয়ে রেষারেষি ছিলই। তখনও ভারতবর্ষে ৩৭৭ বিদ্যমান।এল জি বি টি ইস্যুতে আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাও তো তখন অনেক কম ছিল। এমনকি যে সংগঠন তথা নেটওয়ার্কটায় আমার কর্মজীবনের শুরু, আর্থিক সহায়তা পাওয়ার উদ্দেশ্যে রাতারাতি তা তৈরির ইতিহাসেও একে অন্যকে বঞ্চিত করার মতো অনেক “কালিমাযুক্ত ঢাকঢাক গুড়গুড়” ছিল যে পরবর্তী কালে পশ্চিমবঙ্গে এল জি বি টি সংগঠনগুলোর মধ্যে আর কখনো সদ্ভাব তৈরী হলো না। এমনকি আজ যে এল জি বি টি কমিউনিটির মানুষ একে অন্যকে বিশ্বাস করেননা তার কারণও এর পিছনেই নিহিত আছে বলে আমি মনে করি। আর তাই " না আঁচালে বিশ্বাস নেই" এই আপ্তবাক্যে বিশ্বাসী ছিলাম সকলেই কমবেশি। অথচ এইচ আই ভি এডসের বাইরে গিয়ে, সংগঠনের জন্য সরাসরি আর্থিক সহায়তা আসুক এটা আমরা সকলেই চাইতাম। ... ...
কিন্তু এটা কি করে হল? রবীন্দ্রনাথের গান এরকম একজন অন্য ভাবে অন্য কথায় অন্য সুরে বেমালুম গেয়ে দিলেন ! ... ...
বড়ি দেওয়ার কথা বলছি। এ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা মেদিনীপুর। অধুনা পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলাতে ঘরে ঘরে বড়ি দেওয়ার চল। বড়ির ডালের অনেক রকমফের। সে সব আপনারা আমার চেয়ে বহুগুণ বেশি জানেন। আপনাদের সঙ্গে সে ব্যাপারে পাঙ্গা নিতে গেলে আমি ভির্মি খাব। আমি অন্য কথা বলি বরং। শীত এল তো ঘরে ঘরে উসখুস মা কাকিমা জ্যেঠিমাদের মধ্যে। কেউ শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলেন। ... ...
কাউন্সেলিং নিয়ে ভাবনা আমার ছিলই নিজের সেক্সুয়্যালিটি নিয়ে বুঝতে পারার সময় থেকেই, আমার প্রথম সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর সেটা কতটা প্রয়োজন হাড়েহাড়ে টের পেয়েছিলাম, কেননা অন্য যৌনতা যাপন তখন আজকের মত সবাইকে বলা যেতনা , আজও অনেকেই বলতে পারেনা। এর সঙ্গে যোগ হল এইচ আই ভি যাপন। বুঝলাম আমাদের মত মানুষের পাশে পজিটিভ ভাবে থাকাটা আমার মত পজিটিভ লোকের ভীষণ জরুরি। আর তাই তো মনখারাপ, বিচিং বা কোনও নেগেটিভ ভাবনাকে পাত্তা না দিয়ে সবসময় ভাল থাকার অভিনয় করতে করতে কখন যেন ভালো থাকাটাই অভ্যেস হয়ে গেছে আমার । ভাল থাকা একটা আর্ট। ওটা রপ্ত করলেই হয়। আমি জানি জাতকের গল্পের মত একমুঠো সর্ষে কারও কাছে পাবনা যার খারাপ থাকা নেই। নিজেকে বোঝাই আমার মাথার ওপর বর্ষায় ছাদ আছে, দু'বেলা পেটপুরে খেতে পাই, শীতে গায়ে গরম পোষাক দিতে পারি, তাই বাকী দুঃখ নিয়ে ভাবনাটা বিলাসিতা! ... ...
আজকাল হ্যাজ দিতে ভালো লাগেনা। সামাজিক অসামাজিক রাজনৈতিক প্রাকৃতিক পারিবারিক - কিচ্ছুর ওপর না। পুরো "ভাড় মে যায় দুনিয়া হাম বাজায়ে হারমুনিয়া" মোডে থাকি। তবু, তবু, তবু দু একটা জিনিস নিয়ে না লিখলে ব্রেন থেকে চোঁয়া ঢেকুরের আওয়াজ আসে। বাধ্য হয়ে এই ক্যাচাল লেখাটা নামাতেই হচ্ছে। আমার লেখার নাম: ভালো গরু খারাপ গরু । ঘটনা হচ্ছে এই যে কলকাতা শহরে একটা "বিফ ফেস্টিভাল " হওয়ার কথা ছিলো। মেনুতে কি পাওয়া যাবে জানতাম না তবে মনে হচ্ছিলো গরুর রকমারি পদ থাকবে আর ব্যাপারটার মধ্যে বেশ এক ... ...
বহু সাধ্য সাধনার পর দেখার সুযোগ পেলাম ইরানি পরিচালক মাজিদ মাজিদির ঐতিহাসিক চলচিত্র “মুহাম্মদ।” মাজিদ মাজিদি হচ্ছে সেই সব পরিচালকদের একজন যার চলচিত্র শেষ পর্যন্ত আর চলচিত্র থাকে না অন্য কিছু হয়ে যায়, দামি শিল্পকর্মের মত কিছু। মাজিদ মাজিদির চিল্ড্রেন অফ হেভেন কেউ না দেখে থাকলে তা আমার মতে পাপের পর্যায় পরে। আর তার কালার অফ প্যারাডাইজ কিংবা সং অফ স্প্যারো জাস্ট মধু।মহানবী কে নিয়ে ছবি বানানো একটা দুঃসাহসিক কাজ নিঃসন্দেহে। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন। মহানবীর জীবনী নিয়ে ট্রিলজি বানাবেন তিনি। আর ... ...
পদ্মাবতী ডিবেটের সূত্রে একটা কথা চার পাশে শোনা যাচ্ছে, যে এ সব পদ্মাবতী ইত্যাদি দেশের আসল ইস্যু নয়। এই মুহূর্তে দিল্লির কৃষক বিক্ষোভটাই দেশের সমস্যা, সেখান থেকে নজর ঘোরাতেই রাষ্ট্র ও মিডিয়া পদ্মাবতীর মত উল্টোপাল্টা ফিল্মি ইস্যু বানানোর কারসাজি করছে। আমি এই ধরনের গোদা বাইনারি সেট করে কৃষক ও পদ্মাবতী দু' তরফকে লড়িয়ে দেওয়ার বিরোধী। বরং দু' ধরনের সমস্যারই একটা নিজস্ব চরিত্র রয়েছে, যা কাজে লাগালে সামগ্রিক লড়াই অনেক জোরদার হয়ে ওঠে। ... ...
আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চায় সব্যসাচী ভট্টাচার্য এক উল্লেখযোগ্য নাম। গবেষক লেখক শিক্ষক এবং শিক্ষা প্রশাসক হিসেবে তাঁর অবদান বিশেষ উল্লেখযোগ্য। সবসাচীবাবুর বিদ্যালয় শিক্ষা বালিগঞ্জ গভর্মেন্ট হাই স্কুলে। তারপর পড়তে আসেন প্রেসিডেন্সি কলেজের ইতিহাস বিভাগে। সেখানে তখন অধ্যাপণা করছেন প্রবাদ প্রতিম শিক্ষক সুশোভন সরকার। ইতিহাস কীভাবে পড়তে হয়, কীভাবে প্রশ্ন তুলতে হয়, সমস্যাকে বিশ্লেষণ করতে হয় সুশোভনবাবুর কাছ থেকে যোগ্য ছাত্র হিসেবে তা শিখে নিয়েছিলেন সব্যসাচীবাবু। পরবর্তীকালে দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ... ...
কৃত্যা : দ্বিতীয় পর্বপ্রসেনজিৎ বসুবাস্তবিকই রাজবধূর কেশাকর্ষণ ! বলপ্রয়োগ ! অন্যান্য সভাসদদের সানন্দ উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, ঠিক সেই সময়ে প্রচণ্ড এক চরণবিক্ষেপের সঙ্গে দ্বারপ্রান্তে দেখা যায় উজ্জ্বল শ্যামবর্ণা এক নারীকে।দৃপ্ত ভঙ্গিতে দণ্ডায়মানা। আকুলিত কুন্তলরাশি বিবরবিমুক্ত সর্পকুলের মতো ছড়িয়ে রয়েছে পৃষ্ঠে ও বাহুতে । পূর্ণযৌবনধন্য দেহখানি বেষ্টন করে রেখেছে একটিমাত্র পীত বসন যা দেখে সহসা বিভ্রম জাগে। কৃষ্ণবর্ণ ভস্মের কাজ পীত বর্ণের অগ্নিকে আচ্ছাদিত করা। এখানে বিপরীত ধর্ম প্র ... ...
আমার মায়ের দাদু ছিলেন গ্রামের মোড়ল। আমার মায়ের প্রপিতামহী গঙ্গাযাত্রা থেকে বেঁচে ফেরার পর সন্তান লাভ করেছিলেন । আজ থেকে অতগুলো বছর আগে ঠিক কোন শারীরিক ব্যাধির কারণে তাঁকে গঙ্গাযাত্রায় পাঠানো হয়েছিল তা আমি জানতে পারিনি। মাকেও জিজ্ঞাসা করিনি কখনো তাই সেটুকু আমার অজানাই রয়ে গেছে। তবে গ্রামের লোক অনেক পরেও গঙ্গাপুত্রের বংশ বলে মোড়লদের অভিহিত করতো সেটুকু আমি ছেলেবেলায়ও দেখেছি। মায়ের সেই বড়ঠাকুমার দান ধ্যানের গল্প আজও শোনা যায়। অত বছর আগে গ্রামীণ পাঠশালা তৈরির জন্য জমিও তিনি দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। সে পাঠশালা আজ প্রাথমিক ইস্কুলে পরিণত হয়েছে। কালের নিয়মে আজ সে সব কথা হারিয়ে গেলেও আজও কান পাতলে শোনা যায়। ... ...