ভরা জৈষ্ঠ্যের গরমে খানিক উনুন সেঁকা ফিলিং আসছে ক'দিন, সাথে মাঝে মাঝেই আঁচে নব্বইকালীন বেড়ে ওঠার সূক্ষ্ম রোম্যান্টিসিজমে কয়লার গুল দেওয়া উল্টেপাল্টে ঘামাঘামি ট্র্যাপিংস। জনগণের সিকিম-দার্জিলিং ডায়েরির নামে বরফে ঢাকা ছবির গায়ে লাইক পুজো পেত্যয় দিতে গিয়ে মানসচক্ষের ঠান্ডায় যখন হ্যাঁচ্চো তোলার জোগাড়, ওদিকে আঙুল, ভিরমির নামে ফ্রেমে লটকানো মালা গলায় তোলার জোগাড় ঠিক তখনই এই ১৫ ঘন্টা পেটের ইঁদুরকে র্যাটাটুলের রেমি বানানোর মাসিক উৎসবকালে উপায়ান্তর না দেখে সোজা পাড়ি দিয়েই দিলাম জাকারিয়া স্ট্রিট। ... ...
সেদিন বুঝেছিলাম সিঁদুর নিয়ে স্বীকৃতির যে চাহিদা মনে মনে লালন করি যা নিয়ে আগের দিন অত মনখারাপ, তা আসলে বহুগামিতার মাঝে ভালবাসার স্বীকৃতি । এ সমাজে বহুগামিতা অনেক বেশি সহজ, না আছে আইনি দায়, না আছে সন্তানধারণের দায় না আছে সামাজিক দায়। শুধু মাত্র মনটাই সব নয়, আজকের কুসুমদের শরীর দিয়েও তো ভালবাসা মেলে না। সুখের লাগি প্রেম চাইলেও প্রেম মেলেনা শুধু সুখ চলে যায়। তাই ভালবাসার মানুষকে শুধুই ভালবাসায় আগলে রাখা যায় নিজের মধ্যে এ বিশ্বাস আনা বড় কঠিন। তবে কোথাও যেন একটা জেদ তৈরী হচ্ছিল মনে মনে। কেউ জানতে চাইলে চোখে চোখ রেখে উত্তর দেওয়াটা ততদিনে অভ্যেস হয়ে গেছে। কোলকাতার আশে পাশে কাজ করা সংগঠনগুলোর সাথেও একটা বন্ধুত্ব হয়েছে কাজের সুত্রে। রিকির সূত্রে আলাপ হয়েছে সমকামী মহিলাদের নিয়ে কাজ করা পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র সংগঠন "স্যাফো" র সাথে। বইমেলায় হাতে এসেছে স্যাফোর প্রকাশিত "স্বকন্ঠে" পত্রিকা। ওদের দেখেছি সারা বইমেলার মাঠ ঘুরে ঘুরে মানুষের সাথে কথা বলে তাদের কাছে "স্বকন্ঠে" পৌঁছে দিতে কতটা কষ্ট করতে হচ্ছে। অনুভব করতে পারছি ক্রমশঃ ভালবাসার জন্য জীবনের জন্য প্রতিটা মানুষের পথ চলা। আর সে পথে শরিক হয়ে গেছি নিজের অজান্তেই। ... ...
আম্ফান পরবর্তী করোনাকালীন । সমসাময়িক ভারতবর্ষের কিছু গল্প। আস্তে আস্তে অন্ধকার সরে যাচ্ছিল।ভোর হবার একটু আগে দুধের সরের মতো সাদা অন্ধকার যেন লেগে আছে চারপাশে।বাড়িঘর।গাছপালা।যেন কিছু নেই।পাখির ডাক সাধারণত এই সময় থেকে শোনা যায়।বিশেষ করে এই অঞ্চল বেশ সবুজ।কিন্তু আজ কোনো পাখি ডাকছে না এখন। মৃতের শহর।মৃত্যুনৈঃশব্দের ভোর।একটা অতিপ্রাকৃতিক নৈঃশব্দ্য যেন চেপে বসেছে চারদিকে। শুধু শন শন হাওয়ার তুমুল তাণ্ডব এখনো পাক খেয়ে খেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ... ...
মেয়েটা বড় হয়ে গিয়ে বেশ সুবিধে হয়েছে। "চল মাম্মা, আজ সিনেমা" বলে দুজনেই দুজনকে বুঝিয়ে টুক করে ঘরের পাশের থিয়েটারে চলে যাওয়া যাচ্ছে।আজও গেলাম। বিশাল ভরদ্বাজের "পটাকা"। এবার আমি এই ভদ্রলোকের সিনেমাটিক ব্যাপারটার বেশ বড়সড় ফ্যান। এমনকি " মটরু কে বিজলী কা মনডোলা"ও আমার দারুণ লেগেছিল। একটা দেশি, স্ট্রীট থিয়েটার ব্যাপার থাকে।একটা "Willing suspension of disbelief" ঘিরে ফেলে। এই সিনেমাতেও তাই! প্রথমেই মনে হয়, দুই বোন এত লড়াই কেন করে। যত সিনেমা এগোয়, কেন করে ভুলে গিয়ে, এবার কি করবে ভাব ... ...
ধারাবাহিক - ওয়ার্ক ফ্রম হোম ইজ ওভারওয়ার্ক অ্যাকচুয়ালি। সকাল। দুপুর। রাত। যে কোনো সময় মিটিং বসছে। অ্যাকাউন্টস। মার্কেটিং । ম্যানেজমেন্ট । সকাল। দুপুর । রাত। অন্তহীন মিট টু প্রোমোট কনসিউমারিজম। ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন ত্রিদিব । ... ...
(গত ৫ জুন পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এই এই সিরিজের প্রথম পর্বটি লিখেছিলাম। সিরিজের বিষয়বস্তু হিসেবে প্লাস্টিককেই চিহ্নিত করি কারণ প্লাস্টিক দূষনই ছিল এই পরিবেশ দিবসের প্রধান ফোকাস। এরই ধারাবাহিকতায় এখন দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হচ্ছি। যাই হোক, গত গত পর্বের লেখাটায় আমার শেষ কথাটি ছিল "গবেষণা এও বলছে যে, যদি এর প্রতিকারের জন্য কিছুই না করা হয়, বা এখন যা চলছে তেমনি যদি চলতে থাকে, তাহলে সামনের ১০ বছরের মধ্যে মহাসাগরে প্লাস্টিকের পরিমাণ তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে, আর ২০৫০ সালে এই প্লাস্টিকের ভর সকল সামুদ্রিক মাছের ভর ... ...
শোনা যাচ্ছে এক ভারত লড়ছে 'কোভিড ১৯' এর বিরুদ্ধে। আর দেখা যাচ্ছে আরেক ভারত লড়ছে খাদ্য সংকটএর সাথে... ... ...
প্রথম যন্ত্রচালিত গাড়ি ছিল ইলেকট্রিকের। আবার সে এসেছে ফিরিয়া। ... ...
করোনা দ্বিতীয়বার ফিরে আসার পর ভারতবর্ষের কিছু জায়গায় কিছু চরিত্র কিছু ঘটনা। ... ...
রণকে ভালবেসে ওর কাছে বারবার দৌড়ে গেলেও ওর বিয়ের পর থেকে পারতপক্ষে শারীরিক সম্পর্কটা আমি এড়িয়ে চলতাম৷ খালি মনে হত আমি রণ-র কেউ না। আমি কি রণ-র রক্ষিতা না ভালবাসা ! রণ বোঝাতে চাইত সমাজ না মানলেও আমিই আসলে রণ-র সব। বিশ্বাস করতে পারতাম না কিছুতেই। বিয়ের আগে কোনও একদিন মজা করে রণ সিঁদুর পড়িয়ে দেখতে চেয়েছিল আমায় কেমন লাগে। এ মজায় সেদিন সাধ দিইনি। ঠাসিয়ে একটা চড় মেরে বলেছিলাম," আমি তো তথাকথিত বৌ হতে পারব না তবে কেন এ প্রহসন ! " অথচ মনে মনে কতবার নিজেকে সিঁদুর পড়ে দেখতে চেয়েছি সে তো কেবল আমিই জানি। আজন্ম লালিত সংস্কারের সিঁদুর আসলে যে মর্যাদার পরিচয় বহন করে সে মর্যাদা পেতে চেয়েছিলাম মনে মনেই... ... ...
শিবপালগঞ্জ গাঁ বটে, কিন্তু বসেছে শহরের কাছালাছি বড় রাস্তার ধারে। অতএব বড় বড় নেতা ও অফিসারকুলের এখানে আসতে কোন নীতিগত আপত্তি হওয়ার কথা নয়। এখানে শুধু কুয়ো নয়, টিউবওয়েলও আছে। বাইরে থেকে দেখতে আসা বড় মানুষেরা তেষ্টা পেলে প্রাণসংশয় না করেই এখানকার জল খেতে পারেন। এইসব ছোটখাট অফিসারের মধ্যে কোন না কোন এমন একজন দেখা দেন যে তাঁর ঠাটবাট দেখে স্থানীয় লোকজন বুঝে যায় যে এ এক্কেবারে পয়লা নম্বরের বেইমান। ... ...
‘একটা ঘুমের ওষুধ বলবি বাবা? প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল ছেলেটা ঘুমোয়নি ঠিক করে, পড়াশুনোও তো করতে পারছে না কিছুই’পাড়ার এক কাকুর ফোন। আমাকে যতটা স্নেহ করেন, আমি প্রায় তার কাছাকাছিই স্নেহ করি তাঁর ছেলে প্রবীরকে—এ বছরের রাজ্যের ছিয়াত্তর হাজার জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন। গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকের সাথেই একবার জয়েন্ট দিয়েছিল—মেডিক্যালে দু’হাজারের আশেপাশে র্যাঙ্কও আসে—সিদ্ধান্ত নেয় আবার একবার বসবে জয়েন্টে। পাড়াতেই ছোট্ট ভুষিমাল দোকান বাবার, ছেলে স্বপ্ন দেখে স্টেথো গলায় ঝুলিয়ে পাড়ার সব ... ...
কিছুদিন ধরে হুট করেই যেন ধর্ষণের খবর খুব বেশি পাওয়া যাচ্ছে। যেন হুট করে কোন বিষাক্ত পোকার কামড়ে পাগলা কুকুরের মত হয়ে গেছে কিছু মানুষ। নিজের খিদে মিটাতে শিশু বৃদ্ধ বাছ বিচার করারও সময় নাই, হামলে পড়ছে শুধু। যদি বিষাক্ত পোকার কামড়ে হত তাহলে এই সমস্যার সমাধান করা সহজ হত, কিন্তু আফসোস সমস্যা এত সহজ না। আমরা কোন দিন এই সমস্যার গভীরেই যেতে চাইনি, নিষিদ্ধ বস্তু, সামাজিক ধর্মীয় ট্যাবু বানিয়ে রেখেছে এই জিনিসকে, যৌনতাকে। এ নিয়ে কথা বলা যাবে না, শোনা যাবে না কিন্তু আমরা ধরে নিব সবাই সঠিক জ্ঞানে জ্ঞানী হচ্ছে ... ...
আতংকিত, মানুষ অসহায়। যেন এক যুদ্ধ পরিস্থিতি! যেকোন মুহূর্তে সব তছনছ হয়ে যেতে পারে। আমার এতদিনের সযত্নে লালিত সংসার এক মুহুর্তে ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে পারে। এখন শত্রু আর ওইখানে কোথাও নেই, শত্রু আছে আকাশে-বাতাসে, মানুষের মধ্যে মিশে! তাই মানুষ মানুষকে সন্দেহ করছে। সামাজিক দূরত্ব রাখতে মানুষ মানুষের থেকে দূরে থাকতে চাইছে। সন্দেহ হলেই অপরকে দূরে সরিয়ে দিতে চাইছে। করোনা-কেন্দ্রিক এক জীবন গড়ে উঠেছে আমাদের। এক মৃত্যু-মুখী চেতনার জীবন। ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া জীবন। "এরা ভিড় বাড়াচ্ছে, ওরা মাস্ক পরছে না" – এইসব নিয়ে অপরকে দোষারোপ করা একাকীত্ব যাপন। ... ...
বর্ষাকাল। তিনদিন ধরে ঝমঝম করে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। আমাদেরও ইস্কুল টিস্কুল বন্ধ। রাস্তায় এক হাঁটু জল। মায়েরও আজ অফিস যাওয়ার উপায় নেই। কি মজা। যদিও পুরোনো বাড়ির ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে, ঘরের মেঝেতে ড্যাম্প, জামাকাপড় না শুকিয়ে স্যাঁতস্যাঁত করছে, কিন্তু তাতে আমাদের কি? ওইসব বাবা-মাদের চিন্তা। আমরা জানলার ধারে বসে ভাইবোনে মনের আনন্দে কাগজের নৌকো বানাচ্ছি আর রাস্তায় ফেলছি। মা বারদুয়েক বারণ করে গেছে। বৃষ্টির ছাঁট গায়ে লাগলে জ্বর আসতে পারে। কিন্তু হু কেয়ারস? এমন বৃষ্টি কি আর রোজ রোজ হয়? এমন দিনেই তো চাই কাগজের ... ...
-দিদিভাই।দিদিভাই। ও দিদিভাই। দিদিভাই। দিদিভাইইইইইইই!- আঃ! ধাক্কাচ্ছিস কেন?- ধাক্কা কোথায় দিলাম? চ্যাঁচালাম তো।- ঐ হলো। আমার কানে ধাক্কা লাগলো।- তা,আর কি করব?সেই কখন একটা প্রশ্ন করেছি,তুমি জবাব দেওয়ার বদলে তেপান্তরের দিকে তাকিয়ে রয়েছ। রয়েছ তো রয়েইছ।তাই চ্যাঁচাতেই হল। এবার বলতো..- কি বলব?- আবার? কী জানতে চাইলাম?- কী জানতে চাইলি?- তুমি কি নারীবাদী? মানে ফেমিনিস্ট? নারীবাদটা কি ব্যাপার বলতো?-......- আবার চুপ! ঠিকাছে, বলতে হবে না। তুমি আমাকে ওসব আলোচন ... ...
অনেকেই খুব বেশি চমকে গেলেও আমার কাছে খুব একটা চমকে যাওয়ার মত মনে হয়নি এবারের অস্কার মনোনয়ন। খুব প্রত্যাশিত কিছু ছবিই মনোনয়ন পেয়েছে। তবে কিছু ছবি ছিল যারা মনোনয়ন পেতে পারত কোন সন্দেহে ছাড়াই। কিন্তু যারা পাইছে তারা যে যোগ্য হিসেবেই পেয়েছে তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। শেপ অফ ওয়াটার সেরা ছবি, পরিচালক, চিত্রনাট্য, অভিনেত্রী এবং পার্শ্ব অভিনেত্রী সহ সর্বোচ্চ ১৩টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে। এতখানি না হলেও এটা মোটামুটি অনুমিতই ছিল।বোবা এক মেয়ে আর এক জলদানবের মাঝের প্রেম কাহিনী দিয়ে ডেল টোরো সেরা প ... ...
রাতের আকাশে ক্ষণস্থায়ী এক উল্কার মতো বাংলার সমাজে জন্মগ্রহণ করেছিলেন হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও (১৮০৯-৩১), সূত্রপাত করেছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দের প্রথম পাদে এই পরিচিত বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষের মাটিতেই এক বিরাট সম্ভাবনাময় মুক্তবুদ্ধি আন্দোলনের। আর তার ঊর্মিমালা সেদিন সমসাময়িক ঐতিহ্যবাদী ও সনাতনপন্থী চিন্তাধারার মেদ-মেদুর শরীরে প্রবল আঘাত করেছিল। সেই অভিঘাতের কাহিনি স্মরণ করলে এটা খুব বিস্ময়ের যে আমরা একশ বছর যেতে না যেতে তাঁকে প্রায় ভুলেই গেছি। রাম মোহন রায় (১৭৭২-১৮৩৪) বা ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের (১৮২০- ... ...
রামমোহন রায়ের বাড়ির অনুষ্ঠানেই ভারতবিখ্যাত নিকি বাইজি এসেছিলেন, ফ্যানি তাঁর পোশাকেরও বর্ণনা দিয়েছেন। সাটিনের পোশাক (শাড়ি নয়), সঙ্গে পাজামা। এবং সঙ্গে মাতাল করা নাচ। সে নাচ নাকি এতই উদ্দীপক, যে, বিলিতি মহিলারাও ওই পোশাক পরে নিজেদের জমায়েতে ওই নাচ নাচার চেষ্টা করতেন। এবং গরমের দেশে গলদঘর্ম হয়ে, কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তেন। এতই গুরুতর বিষয় হয়ে গিয়েছিল, যে, এই পোশাক পরতে বারণ করে একটি নোটিসও জারি হয়েছিল। ... ...
স্টেশনের নাম নিশ্চিত পুর...ট্রেন টা রওনা দিয়েছে কিছুক্ষণ আগে...যারা এইমাত্র নামল, তারা সবাই ব্যস্ত-সমস্ত হয়ে বাড়ির দিকে পা বাড়িয়েছে...অমলীন কৈশোরের ভাঁজে ভাঁজে যে কুয়াশার ওম জড়ানো থাকে, সেই ওমে ভিজে আছে এই কনে দেখা আলোর মাঝে একা দুটি সমান্তরাল ট্রেন লাইন...এর ফাঁকে ফাঁকে এক ঝাঁক পায়রা উড়ে উড়ে বসছে, আবহমান কাল জুড়ে তারা খেলা করছে ওই ইস্পাতের লাইনজুড়ে...খুঁটে খুঁটে কি যেন খায় ওরা...পথচারীদের পায়ের শব্দে একবার উড়ে গেল, আবার এসে বসবে...যুবক ... ...