অত্যন্ত ভয়ে ভয়ে ‘কাদম্বরী’ দেখিলাম। একা দেখি নাই অবিশ্যি। সঙ্গে পাড়ার হুলো মস্তানটিকে লইয়া গিয়াছিলাম। কেন? লোকমুখে শুনিয়াছি উহার নাকি একটি ‘আনলাইসেন্সড রিভলবার’ আছে। একেই ‘বম্বকেস’ বাবুর বম্ব খাইয়া হিরোশিমা-নাগাসাকির মত ‘থ’ কেস খাইয়া বসিয়াছি। তাহার পর ‘কাদম্বরী’র সাইড এফেক্টে কী হইবে কে জানে। গঙ্গা যদি কোলে তুলিয়া না লন্, তবে হুলোর রিভলবারই সই! ‘মরিব মরিব সখী, নিশ্চয়ই মরিব-ও-ও-ও-ও...!’ ইয়ে, মানে সব ফিলিমকে খারাপ বলিলে লোকে আমাকে নিন্দুক বলিবে। তাই ‘কাদম্বরী’কে খারাপ বলিব না! ভালোই হইয়াছে। ... ...
এই লেখা রামকৃষ্ণ কথামৃতের ভক্তদের জন্য নয়। তাঁরা দয়া করে এই লেখাটি পড়বেন না। কারণ এই লেখা সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে উৎসারিত। সেই একই কারণে এই লেখা রামকৃষ্ণ দর্শনের প্রতি অকারণ বিদ্বেষবশত কোনো কুৎসামূলক লেখাও নয় । কারণ বর্তমান লেখক মনে করেন যে রামকৃষ্ণদেবের মত সরলহৃদয়, সুরসিক, তত্বজ্ঞানী এবং বিরাট ব্যক্তিত্বের অধিকারী ধর্মপ্রচারক বাংলায় চৈতন্যদেবের পর খুব বেশি আসেন নি। বিশেষত পরধর্ম সহিষ্ণুতার ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য বাংলার মাটি থেকে উঠে আসা ঔদার্যের পরাকাষ্ঠা। তবে রামকৃষ্ণদেবের ‘কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ’ তত্ব নিয়ে আমার বহু প্রশ্ন চিরকাল ছিল। সময়ের সঙ্গে সেই সংশয়ের অবসান তো হয়ই নি, আরো বেড়েছে বরং। এখন ভক্তকুলের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর চাওয়া বৃথা। কারণ রে রে করে তেড়ে আসা ছাড়া বা অধিকারীভেদের কথা বলে প্রশ্নের পথ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া তাঁদের কাছে যুক্তিসমৃদ্ধ তর্ক কিছু পাই নি। তাই এক অর্থে এই লেখা শুধুমাত্র সেই মানুষদের জন্য, যাঁরা আমার মত সাধারণ, অতি সাধারণ জিজ্ঞাসু। ... ...
এক যে ছিল দেশ, যদিও দেশের শাসক বিদেশী, তবুও দেশের বাসিন্দারা বেশ মিলেমিশে থাকত। হঠাৎ কি হল, বিদেশীর যখন সরাসরি হস্তক্ষেপ করা বন্ধ করে দিল, তখনই কিছু বাসিন্দার মনে হল তারা তাদের ন্যায্য অধিকার পাচ্ছেনা। ব্যস আর কি চাই, তারা নতুন দেশ দাবি করে ফেলল। নতুন দলের সবাই মিলে দেশের একটা অংশকে আলাদা দেশ হিসেবে পরিচালনা করতে লাগল। কিন্তু মুশকিল হল সীমান্ত নিয়ে, তুমুল ঝগড়া লাগল সীমান্তের লাইনটা ঠিক কোথায় হবে তা নিয়ে, ব্যস যুদ্ধ শুরু। প্রথমেই নতুন দেশের সৈন্যরা পুরনো দেশের একজন নিরীহ বাসিন্দাকে মেরে ফেলল, পুর ... ...
'মুসলিম তোষণ' তেমন কিছু জটিল ব্যাপার নয়। সারাবছর 'এ তারে ত্যালাইছে আর ও তার ভাগের মাখন ঝেঁপেছে' বলে ফুটেজ খাওয়ার আগে বেমক্কা কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি হলে 'ওজু ও হাতে'র আঙুল থেকে যে ক'ফোঁটা পানি ভোটের গামলায় পড়ে, তাহারে সজোরে লাথানোর ধক রাখে একমাত্র ভক্তদল। এনারা যতই হুপহাপ শব্দে হাততালি থুড়ি বগল বাজান না কেন, দেশে থেকেই দেশের লোককে চাবকে-ভয় দেখিয়ে-মুখে ঠুঁসো গুঁজিয়ে মাতারানীর শিং নাচিয়ে উদুম মারার পর দেশভক্তি শেখাতে আসতে খুলির ভেতর কিলোখানেক গোবরের সাথে কয়েক ছটাক গোমূত্রের সাথে মাস্তানির জম্পেশ কম্বি লাগ ... ...
বেশ কিছুদিন হল আমাদের বাঙ্গালিদের মূত্ররোগ ধরা পড়েছে। কিন্তু কন্ট্রোল নহি হোতা গোছের ব্যাপার আর কি। বাঙ্গালি বলতে এখানে আমি বাঙ্গালি পুরুষদের কথাই বলছি। কলকাতার যে কোনও রাস্তায় দিন বা রাতের যে কোনও সময়ে তাকাবেন দেখবেন critical ও strategic মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে নিজেকে মুক্ত করছে মূত্ররোগীরা, সব বয়সের পুরুষ ভদ্র অভদ্র চাকুরে ফুটপাথবাসী খুচরো ভেন্ডার থেকে মায় পুলিশ সিপাহী সব্বাই। আমার ছেলেবেলায় এসব মফস্বল বা পাড়াগাঁয় হত, শহরে খুব নির্জন গলি বা বেশি রাত দুপুরে কেউ দাগ রেখে যেত কিন্তু যখন তখন যেখানে সেখা ... ...
আসামের এন আর সি সংক্রান্ত আইন এবং অসংখ্য সাধারণ মানুষের তজ্জনিত হয়রানির বিরুদ্ধে নাগরিক অধিকার কনভেনশন হয়ে গেল গত শনিবার (৩০-০৩-২০১৯) ভারতসভা হলে। কনভেনার শ্রী প্রসেনজিৎ বোসের ডাকে এই সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখলেন ইতিহাসবিদ শ্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদ, অর্থনীতির অধ্যাপক শ্রী দেবর্ষি দাস, গুয়াহাটির আওনজীবি আমন ওয়াদুদ এবং জিন্দাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক মহসিন ভাট। বক্তারা তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী থেকে এই এন আর সি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের ... ...
ভোট বুথে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় না। বুথে। বুথ, একটা ঘেরা ঘর, সেখানে। ঘরে একটা যন্ত্র থাকে, যন্ত্রে বোতাম। খুব সাধারন যন্ত্র, গ্ল্যামার নেই, যন্ত্রে মিম বানানো যায়না, কারো বানানো মিম রিগ্রেসিভ না প্রোগ্রেসিভ তা নিয়ে তুমুল আলোচনাও করা যায়না। শুধু যন্ত্রের বোতাম টেপা যায়। টিপে, ক্ষমতাকে উল্টে দেওয়া যায়। মিম বানিয়ে, মিম নিয়ে পলিটিক্যাল কারেক্টনেস সংক্রান্ত আলাপ আলোচনা করে, কমেন্ট লিখে, বানী দিয়ে যা করা যায়না। করতে গেলে বোতাম টিপতে হবে।বোতাম টিপবেন। বুথে গিয়ে। ফেসবুকে নয়। বুথ, একটা ঘেরা ঘর, ... ...
আমার ছেলেবেলায় স্কুল-বাস ধরতে যাবার পথে একটি কাঠের-পুলের পাশে একটি পাগল বসে থাকতো।।।একবার দেখলাম পাগলটি চলে গেছে ।।কিছুদিন পর দেখলাম আবার সেই রিকশা স্ট্যান্ডের পাশেই একটি পাগলী এসে বসেছে।।।বাকিটা কল্পনা , গল্পের খাতিরে ... ...
সম্প্রতি 'পানি' ও 'দাওয়াত' শব্দদুটির ব্যবহার নিয়ে এপার বাংলায় অনাবশ্যক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই শব্দগুলি নিয়ে বর্ণহিন্দুর আপত্তি বা অস্বস্তি যে আজকের নয়, এর যে একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আছে- তার বিশ্লেষণ করাই এই লেখার মূল উপজীব্য। ... ...
অনলাইনঅভীক মুখোপাধ্যায়‘ধুস! এর চেয়ে ফ্লাইট – এ আসাই ভাল ছিল।’ একরাশ বিরক্তি ফুটে ওঠা মুখের প্রতিচছবি হাতে ধরা ট্যাবের স্ক্রীন – এ ফুটে উঠল অভিষেক – এর। দোষটা তারই। কি মরতে যে এই শিয়ালদা দুরন্ত এক্সপ্রেসের থ্রী-টীয়ার – এ আসার শখ জাগল তার? মনে হয় না টু-টীয়ার – এ বার্থ খালি হয়ে তার সিট টা আপগ্রেডেড হবে। সামনের বার্থের বিচ্ছু ছেলেটা এতো জ্বালাচ্ছে যে ল্যাপটপ- টাও অন করা গেল না। গাজিয়াবাদ পেরোনোর পর যখন ও ল্যাপটপ অন করতে গেল ছেলেটা এমন এসে হামলে পড়ল, যে ভেঙে যাবার ভয়ে ওটা রুকস্যা ... ...
সঠিক সংজ্ঞা গুলি মেনে নিলে আধুনিক সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম গণহত্যার কৃতিত্ব জার্মানদের প্রাপ্য। স্থান জার্মান দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকা, আজকের নামিবিয়া, কাল ১৯০৪। হেরেরো নামের স্থানীয় উপজাতির বিরোধিতায় ক্ষিপ্ত জার্মান সেনাপতি লোথার ফন ত্রথা নামের এক সেনাপতি লিখিত আদেশ দেন – "হেরেরো জাতিকে সমূলে বিনাশ করতে হবে, শুধু বন্দুকের গুলিতে নয়, তাদের ঠেলে পাঠাতে হবে এমন অঞ্চলে যেখানে জল নেই। "আশি হাজার হেরেরো নিধনের সা পরে জার্মান কাইজারকে লিখলেন, "যেসব পুরুষ নারী ও শিশুকে পেয়েছি তাঁদের নির্মমভাবে (গ্নাদেনলোস) হত্যা করেছি। এদের কারো কাছে অস্ত্র ছিল না।" ফিল্ড মার্শাল আলফ্রেড ফন শ্লিফেন সমর্থনে বলেন, "একটা জাতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই – তাদের বিনাশ আমাদের লক্ষ"। হিটলারের বয়েস তখন পনেরো, গোয়েরিঙের এগারো, দুনিয়ার আলো দেখতে আইখমানের দু বছর বাকি। ... ...
অ্যারেস্ট করবেন না প্লিজ্ -- ধর্মতলার মোড়ে ডিম-ভাতে সেই স্বাদ নেই, আজ আর নেই। / কোথায় হারিয়ে গেল জ্বালাময়ী ভাষণের খেই, আজ আর নেই। / টিকটিক ব্যান তাই নায়িকা-টাইকা সব– নেই তার আজ কোনো খবরে, / ... ...
দ্রোণ পর্ব ***************ভীষ্ম নিহত হলে, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের দশম দিনের রাত্রে, রণাংগন থেকে রাত্রি হলে সঞ্জয় কুরুক্ষেত্র থেকে হস্তিনাপুরে পৌঁছালেন ধৃতরাষ্ট্রের কাছে। ধৃতরাষ্ট্র সঞ্জয়কে প্রশ্ন করলেন ভীষ্মের মৃত্যু হলে দুই পক্ষে কে কী রকম আচরন করেছিলো?সঞ্জয় জানালেন ভীষ্মের নিধনের পরেই পান্ডবেরা প্রচন্ড হতোদ্যম কুরুসেনাকে ছাড়খাড় করে দিচ্ছিলো। কৌরব পক্ষের রথীরাও নিরাশ হয়ে পড়েছিলেন। বোঝাই যাচ্ছে কেনো ভীষ্মের মৃত্যুবার্ত্তা শুনেই দ্রোণ তখুনি যুদ্ধ বন্ধে ঘোষণা করেছিলেন। কৌরবের ... ...
শহীদ হলেন প্রবাদপ্রতিম কুর্দ কম্যান্ডার ‘ আবু লয়লা ‘ । সিরিয়ায় আইসিসের রাজধানী ‘ রাক্কা ‘ প্রদেশ মুক্ত করার লড়াই শুরু হয়েছে মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে । প্রায় ৩০০০০ কুর্দ এবং বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী নিয়ে গড়া SDF ২০১৪ সাল থেকে দখল করে রাখা ‘ রাক্কা ‘ শহর আইসিসের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার নির্ণায়ক লড়াই শুরু করেছে বিভিন্ন দিক থেকে । এই লড়াইয়ে সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ “ মানবিজ “ শহর থেকে আইসিস নির্মূল করার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন 'প্রবাদ প্রতিম 'কুর্দ কম্যান্ডার ‘ আবু ল ... ...
হিন্দি ভাষার বিখ্যাত কবি বিনোদ কুমার শুক্ল। প্রিয় কবিও। তাঁর এক স্বতন্ত্র কাব্যভাষা আছে কবিতা নির্মাণের। যা হিন্দি ভাষাটির অন্তরজাত। তাকে সরাসরি অনুবাদ করা, বা ভাষার সেই সৌন্দর্য কে অনুবাদে ধরে রাখা বেশ মুশকিল। ... ...
ধরা যাক আমি একজন দাস। সারা জীবন মন দিয়ে সেবা করতে লাগলাম এবং আমার ছেলেমেয়ে, নাতিপুতিদেরও উপদেশ দিয়ে গেলাম, আমার মতো সেবা করতে থাক, তাহলে নিশ্চয়ই আমাদের আবার স্বর্গে দেখা হবে। স্বর্গে গিয়ে দেখা হচ্ছিল কিনা জানার কোন উপায় নেই, কিন্তু এই বিশ্বাসে বিভোর দাসেরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম দাসই থেকে যাবে! তারা অন্য আর কিছু হয়ে ওঠার চেষ্টাই করবে না। এটাই মানুষের মনুষ্যত্ব ভুলে যাওয়া। আর এখানেই ব্রাহ্মণ্য দর্শনের সঙ্গে লোকায়ত দর্শনের সাংঘাতিক দ্বন্দ্ব। এবং বলা বাহুল্য এই দ্বন্দ্ব উচ্চস্তরীয় পরমমোক্ষ লাভের জন্যে নয়, খুবই নিচুস্তরের পার্থিব স্বার্থসিদ্ধির জন্যে। ... ...
দ্যাখছ লাকি লবাব… মুখুজ্জা বাড়িতে মাইয়া এসচে কলকেতা থিকে! — তোমার এত কিগো কত্তা— যুবক উত্তর দেয়— পূজাপাঠ নিয়ে থাক, কে কোথায় এল গেল তোমার তাতে কি! — যজ্ঞেশ্বর শিবের শ্বেত লিঙ্গের পাদদেশে জমে থাকা ফুল-বেলপাতা সাফ করতে করতে শীতলঠাকুর উত্তর দেয়— গাঁয়ে কি হল না হল দেখা পুরুতেরই তো কামকাজ। তাই ভাবলুম লবাব যদি দ্যাখে। — যুবক ফিচেল হেসে বলে তোমার লবাব কিছু নবাবপুত্তুর নয় যে মাইয়া এলেই দৌড়তে হবে। ... ...
রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস কথাটা বললে অনেকের রাগ হতে পারে। তবু ক্লাস সেভেনে পড়া ভাইকে পুলিশের রেইডের থেকে বাঁচাতে গিয়ে স্কুল-পড়ুয়া সোলিহা জান পেটে বুটের লাথি খেলেন। তারপর রক্ত বমি, জ্ঞান হারানো। হাসপাতাল বাস। দুসপ্তাহ লাগল শারীরিক সুস্থ হতে। মনের ভয় কাটে নি এখনো। আরেক কন্যা জানিয়েছেন, সকালবেলা উঠে তার দিন শুরু হয় সেনাদের উঁচানো বন্দুকের নল দেখে। বাড়ির পাশেই সেনা ছাউনী। তারপর সারাদিন বাড়ী থেকে যেতে-আসতে প্রতি বার জিজ্ঞাসাবাদ, খানাতল্লাশি। নোংরা দৃষ্টিও বাদ যায় না। এটাই তাঁদের নিউ নর্মাল। ... ...
আমার চোখে আধুনিক ভারতের যত সমস্যা তার সবকটির মূলেই দায়ী আছে ব্রিটিশ শাসন। উদাহরণ, হাতে গরম এন আর সি নিন, প্রাক ব্রিটিশ ভারতে এরকম কোনও ইস্যুই ভাবা যেতো না। কিম্বা হিন্দু-মুসলমান, জাতিভেদ, আর্থিক বৈষম্য, জনস্ফীতি, গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থার অভাব, শিক্ষার অভাব সব কিছুই ব্রিটিশ শাসনের ফলে এমন এক রূপে আমরা দেখছি যা আগয়ে অভাবনীয় ছিল। এর মধ্যে কয়েকটি জিনিস নিয়ে বিতর্ক আসতে পারে, যেমন হিন্দু-মুসলমান। কিন্তু, আমি যা সূত্র পাচ্ছি তা আজকের ক্ল্যাশ অফ সিভিলাইজেশনের বদলে দুটি গোষ্ঠীর আন্তর্সম্পর্ক বই কিছু ছিল না ... ...
[মূল গল্প – Sentry, লেখক – Fredric Brown, প্রথম প্রকাশকাল - ১৯৫৪] ..................... বাড়ি থেকে পঞ্চাশ হাজার আলোকবর্ষ দূরের এক গ্রহের মাটিতে কর্তব্যরত সে, জলে-কাদায় যতটা মাখামাখি, খিদে আর শীতে তার চেয়ে কিছু কম নয় ।এখানে আলোটা পাওয়া যায় এক বিদ্ঘুটে নীল রঙের সূর্য থেকে, আর মাধ্যাকর্ষণের যা দশা সে আর বলে কাজ নেই । সে যাতে অভ্যস্ত তার দ্বিগুণ মাধ্যাকর্ষণ এখানে, নড়াচড়া করাই দায় ।যুদ্ধের এমন কতকগুলো মৌলিক ব্যাপার আছে, লাখো বছরেও যার কোনও পরিবর্তন হয়না । যার ... ...