হিংসার ঘটনা এই তো প্রথম নয়। ২০১৭ ফেব্রুয়ারীতে টাউনহল খাপ পঞ্চায়েত বসিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের ম্যানেজমেন্ট কে তুলোধোনা করার পর রাজ্যে ১ নতুন ক্লিনিক্যাল এস্তব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট চালু হয়েছিল। বলা হয়েছিল বেসরকারি হাসপাতাল গুলি র রোগী শোষণ বন্ধ করার জন্য, সেগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নাকি এই আইন। কিন্তু আইনের বলে যে রেগুলেটরি কমিশন তৈরি হলো তার শীর্ষে রইলেন বেসরকারি হাসপাতালে র ডাক্তাররা। আর বেসরকারি হাসপাতাল কে নিয়ন্ত্রণ করার বদলে কমিশন ভিক্টিমাইজ করতে লাগলো ব্যক্তি ডাক্তারদের। পাশাপাশি ডাক্তার ও চিকিৎসা কর্মীদের ওপর আক্রমণের ঘটনা কয়েকগুণ বেড়ে গেল। ডাক্তারদের যুক্ত মঞ্চ জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস পরিসংখ্যান বলে গত আড়াই বছরে হিংসার ঘটনা ঘটেছে প্রায় ২৩৫ টি। এর মধ্যে অধিকাংশই কিন্তু সরকারি হাসপাতালে। ... ...
সবচেয়ে যে ভাল ছাত্র তাকেই অভিভাবকরা ডাক্তার বানাতে চায়। ছেলে বা মেয়ে মেধাবী বাবা মা স্বপ্ন দেখে বসে থাকল ডাক্তার বানানোর। ছেলে হয়ত প্রবল আগ্রহ নিয়ে বসে আছে ইঞ্জিনিয়ারিঙের কিন্তু বাবা মা জোর করে ডাক্তার বানিয়েছে এমন উদাহরণ খুঁজতে আমাকে বেশি দূর যেতে হবে না, অহরহ আছে এমন ঘটনা। আমার যেটা প্রশ্ন তা হচ্ছে প্রচণ্ড মেধাবী এরা ডাক্তারি পাশ করেই কী বদলে যায়? দেশের সিংহভাগ মানুষ ডাক্তার বলতেই কেন খুব কুৎসিত মনোভাব পোষণ করে? ডাক্তাররা ভাল না খারাপ সেই প্রসঙ্গে একটু পড়ে আসছি। আমরা কতটুকু ভাল মানুষ ... ...
১৯৭৯-এর শেষার্ধে মেডিকাল কলেজ ছাত্র সংসদ ও সেই সময় ছাত্র সংসদে আসীন মেডিকাল কলেজ ডেমোক্রাটিক স্টুডেন্টস’ অ্যাসোশিয়েসন-এর উদ্যোগে হাসপাতালে এক অনুসন্ধান চালানো হয়। দেখা যায়- হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে সিনিয়র অফিসার অন ডিউটি-র পদ সাতটা, তার মধ্যে তিনটে পদ খালি। হাউসস্টাফদের ওপর বিরাট কাজের চাপ থাকা সত্ত্বেও তাদের দিয়ে জোর করে জুনিয়র অফিসার অন ডিউটি-র কাজ করানো হয়। গত এক মাস ধরে ইসিজি মেশিন খারাপ, হার্টের রোগীদের চিকিৎসা না করে পাঠাতে হয়েছে অন্য হাসপাতালে, রাস্তায় মারা গেছেন কিছুজন। ... ...
(ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় লেখাটি তৈরী। ভিন্ন মত ও সুস্থ আলোচনায় ডাক্তার-রোগী সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান অসুস্থতায় পরবর্তীকালে আরও উপযোগী প্রেসক্রিপশন লিখতে পারবো, এই আশা রাখি ১. অভয় দা কে আমি চিনি না। আরও যারা চেনেন না, তাদের জন্য বলি, অভয় দা S.S.K.M এ Orthopaedics এর পিজিটি। কাল এক অ্যাক্সিডেন্টের রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শাসকদলের এক নেতার মদতপুষ্ট গুন্ডাবাহিনী তাকে ওয়ার্ডের মধ্যেই মেরে, হাত পা ভেঙে ফেলে রেখে যায়। খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। আমরা কেউ অভয় সরকারকে চিনি না। ... ...
সবার জন্য স্বাস্থ্য - একটি আন্দোলন, আন্দোলকেদের কথায় একটি স্বপ্ন যা সত্যি করা যায়। ঠিক এই নামেই আজ ওয়েস্ট বেঙ্গল ভলান্টারি হেলথ এসোসিয়েশন কেন্দ্রে ডঃ পুণ্যব্রত গুণের সম্পাদনায় প্রকাশিত হল একটি বই - সবার জন্য স্বাস্থ্য। গুরুচণ্ডা৯ এবং সবার জন্য স্বাস্থ্য কমিটির যৌথ প্রয়াসে। একগুচ্ছ লেখা রয়েছে নিবেদিতপ্রাণ স্বাস্থ্যকর্মীদের। বইপ্রকাশের সঙ্গে কনভেনশন। সেখানে লেখকদের সঙ্গে উপস্থিত প্রত্যন্ত গ্রামের ডেলিগেটরা। হাতে হাত বেঁধে থাকা এইসব মানুষগুলির কথায় বাস্তব হয়ে উঠে আসে এমন এক দেশের কথা ... ...
আজকাল হ্যাজ দিতে ভালো লাগেনা। সামাজিক অসামাজিক রাজনৈতিক প্রাকৃতিক পারিবারিক - কিচ্ছুর ওপর না। পুরো "ভাড় মে যায় দুনিয়া হাম বাজায়ে হারমুনিয়া" মোডে থাকি। তবু, তবু, তবু দু একটা জিনিস নিয়ে না লিখলে ব্রেন থেকে চোঁয়া ঢেকুরের আওয়াজ আসে। বাধ্য হয়ে এই ক্যাচাল লেখাটা নামাতেই হচ্ছে। আমার লেখার নাম: ভালো গরু খারাপ গরু । ঘটনা হচ্ছে এই যে কলকাতা শহরে একটা "বিফ ফেস্টিভাল " হওয়ার কথা ছিলো। মেনুতে কি পাওয়া যাবে জানতাম না তবে মনে হচ্ছিলো গরুর রকমারি পদ থাকবে আর ব্যাপারটার মধ্যে বেশ এক ... ...
বিগত কয়েকদিন ধরে "চলো পাল্টাই" নামক বঙ্গভাষীদের একটি আন্দোলনের নাম সামাজিক মাধ্যমের ইতিউতি কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। এও শোনা যাচ্ছে, এ নিয়ে আসাম উত্তাল। যদিও পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গভাষীরা এ নিয়ে খুব বেশি ওয়াকিবহাল, একথা বলা যায়না। কী নিয়ে এই আন্দোলন? খুব বড় কিছু না। দলীয় রাজনীতির সঙ্গে তেমন ভাবে সংযুক্তও না। আসামে প্রচুর বাংলাভাষী আছেন, ২০২১ সালের জনগণনায় এঁদের সকলকে নিজের মাতৃভাষা হিসেবে বাংলা কে নথিভুক্ত করতে ডাক দেওয়া হয়েছে এই আন্দোলন থেকে। অর্থাৎ, সরকারি খাতায় আসামের বাঙালির মাতৃভাষা ... ...
মেডিক্যাল কলেজে আমি ১৯৭৮-এর ব্যাচ। ক্লাস শুরু হয়েছিল ১৯৭৯-এর জানুয়ারীতে। শুরু থেকেই আমি মেডিক্যাল কলেজ ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস’ অ্যাসোশিয়েসনের সদস্য। এমসিডিএসএ ১৯৭৭-এ গড়ে উঠছিল আভ্যন্তরীণ জরুরী অবস্থার অবসানে, কলেজের গণতান্ত্রিক ও সমাজ-পরিবর্তনকামী ছাত্র-ছাত্রীরা এই সংগঠনের সদস্য। ’৭৭ থেকে ’৮৩ ছাত্র-সংসদ ছিল এমসিডিএসএ-র নেতৃত্বে। ’৭৯-এর এপ্রিলের ছাত্র-সংসদ নিরবাচনে জিতে আমি ক্লাসের পাঁচজন শ্রেণী-প্রতিনিধির মধ্যে একজন। ১৯৭৯-এর শেষার্ধে মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র সংসদ ও এমসিডিএসএ-র উদ্যোগে ... ...
ভণিতা করার বিশেষ সময় নেই আজ্ঞে। যা হওয়ার ছিল, হয়ে গেছে আর তারপর যা হওয়ার ছিল সেটাও শুরু হয়ে গেছে। কাজেই সোজা আসল কথায় ঢুকে যাওয়াই ভালো। ভোটের রেজাল্টের দিন সকালে একজন আমাকে বললো "আজ একটু সাবধানে থেকো"। আমি বললাম, "কেন? কেউ আমায় ক্যালাবে বলেছে নাকি"? সে বললো, " না, বলা তো যায় না আজ কে কাকে ক্যালাবে... তাই..." এইবার কথা হচ্ছে, ফাটা দু'রকমের হয়। এক হলো ভয়ে ফেটে যাওয়া, আর দুই, প্রকৃত অর্থেই ফাটা, অর্থাৎ যখন কিনা চচ্চড় করে শব্দ বেরোয়। প্রথমে আমরা দ্বিতীয় রকমের ফাটার কথা ... ...
ধর্ষণের মামলায় ফরেন্সিক ডিপার্টমেন্টের মুখ বন্ধ খাম পেশ করা হল আদালতে। একটা বেশ বড় খাম। তাতে থাকার কথা চারটে ছোট ছোট খামে খুন হয়ে যাওয়া মেয়েটির চুলের নমুনা। ঘটনাস্থল থেকে সিট ওই নমুনাগুলো সংগ্রহ করেছিল। সেগুলোর ডি এন এ পরীক্ষাও করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কোর্টে পেশ করার পর খাম খুলে দেখা গেল সব ফক্কা। ... ...
প্রিয় শিল্পী হয়ে ওঠার অবশ্যই কিছু ব্যাকরণ থাকে। কিন্তু শিল্পী যখন বন্ধু হয়ে ওঠেন, তখন তাকে যুক্তিগত ব্যাকরণের বাইরে একটা নৈসর্গিক মাত্রা ছাড়া আর কিছু বলা যায়না। সত্যিকথা বলতে কী, 'রবীন্দ্রসঙ্গীত' ছাড়া আর কিছু না গেয়ে (অন্যগানগুলি না গাইলেও কোনও ব্যাসকম হতোনা) বাঙালি শ্রোতার অস্তিত্ত্বের এতো গভীরে শিকড় নামিয়ে দেবার শক্তি ... ...
ছোটবেলায় বিজাতীয় খানা বলতে মাঝে সাঝে ছপ্পর ফুঁড়কে মিলে যাওয়া সাবিরের রেজালা আর ফিরনি-ই মনে পড়ে। উত্তর কলকাতা থেকে মধ্য কলকাতায় পাড়ি দিয়ে সেই খেতে আসাটাই একটা বেশ বড় সড় ঘটনা ছিল তখন। অথচ কি অবাক কান্ড। তারই কাছে অলি-গলির পেটের মধ্যে সেঁধিয়ে আছে আরেক কলকাতা সেটা জানতে আমাকে দু-কুড়ি পাঁচেরও বেশি বছর পেরোতে হল। সৌজন্যে কুণাল বসু। কালকুত্তার দৌলতে চিনলাম এক অজানা পৃথিবী। মনে আছে বইটা পড়ে নরেন্দ্রনাথ মিত্রের লেখা প্রথম পড়ার সময় যে শিহরণ জাগত ... ...
ফেব্রুয়ারী মাস প্রেমের মাস, ভাষারও মাস । শুধুই প্রেমের কুহুতান নয়, "অমর একুশে" ডাক দেয় এ মাসেই । আমার ভায়ের রক্তে রেঙে লাল হয়েছে ঢাকার রাজপথ, অমর একুশেই । হোক না পদ্মার ওপারের গল্প, তবুও বরকতরা তো আমারই ভাই, আমারই রক্ত । যে ভাষার জন্য তাদের আন্দোলন সেটা আমারই মায়ের ভাষা, যে সংস্কৃতির জন্য তাদের লড়াই সেটা আমারই সংস্কৃতি । অনেক লম্বা সে প্রেক্ষাপট । স্বাধীনতা-উত্তর দূর্বল রাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্র (পশ্চিম পাকিস্তান) চেয়েছিল "পূর্ব পাকিস্তানের" উপর সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখতে । ... ...
আজ আমি প্রায় সারাদিন ধরে লিখছি বলা চলে। এরপরও যদি বিপ্লব না হয় আমার কিছু করার নেই। প্রথমেই সেই অমোঘ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফেলা যাক, যে পর্ব ৬ লেখার পর হপ্তাদুয়েক ঘাপটি মেরে থেকে আজ হঠাৎ ফিরে এসে আমি পর্ব ১০ লিখতে বসলাম কেন! জানিয়ে রাখা যাক যে এসব পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে না, নিয়তিদেবী করিয়ে নিচ্ছেন। হয়েছে কি, আমি "পর্ব ৭" লিখছিলাম দুপুর থেকে সন্ধ্যে অবধি, সেটা পোস্ট করতে গিয়ে উড়ে গেলো। তারপর ঘন্টাদুয়েক বাদে মনের জোর সংগ্রহ করে এসে "পর্ব ৭ অথবা ৮" নাম দিয়ে লিখতে গেলাম, সেটাও তলিয়ে গেলো সার্ভারের গর্ ... ...
বেশ কয়েক বছর আগের কথা; পলিমার সোসাইটি-র একটা আলোচনাসভায় পলিমারবিজ্ঞানী প্রফেসর অনিল ভৌমিক-এর বক্তৃতার বিষয়বস্তু ছিল ‘আরো বেশি প্লাস্টিক ব্যবহার করুন’। পৃথিবীর নানারকম সমস্যার সমাধানে প্লাস্টিক কিভাবে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে, তা সেই আলোচনায় ব্যাখ্যা করা ছিল। আর গত ৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে খবরের কাগজ থেকে শুরু করে সেই দিনের যাবতীয় কার্যকলাপের দিকে চোখ রেখে মনে হল পরিবেশ মানে শুধু দূষন আর বিশেষভাবে প্লাস্টিক দূষণ, আর ৫ই জুন আসলে প্লাস্টিক বিরোধি দিবস; তাই সমস্ত আলোচনা-পদক্ষেপ সবই প্লাস্টিক দ ... ...
পুরোপুরি সেজেগুজে পাত্রপক্ষের সামনে যাওয়ার আগে ভাবী চোখ থেকে চশমা খুলে রেখে বললো, পাত্রপক্ষের সামনে চশমা পরে যাওয়ার দরকার নাই। এমনিই যাও। আমি গেলাম। বসার ঘরে অনেকে বসে আছেন। বয়স্কা কেউ একজন বলে উঠলেন, মা! ছেলের পাশে বসো। আমি বসে পড়লাম। সেই ভদ্রমহিলা আবার হায়হায় করে উঠে বললেন, আরে আরে! এইটা তো ছেলের চাচা! ছেলের পাশে বসো মা। আমি বলতে যাচ্ছিলাম, আমি দেখতে পাচ্ছি না ছেলে কোনটা। কার পাশে বসবো একটু দেখিয়ে দেন। এমন সময় ভাইয়া আমার হাত ধরে ... ...
দুইবার এসএসসি ফেইল আর ইন্টারে ইংরেজি আর আইসিটিতে পরপর তিনবার ফেইল করার পর আব্বু হাল ছেড়ে দিয়ে বললেন, "এই মেয়ে আমার চোখে মরে গেছে।" আত্নীয় স্বজন,পাড়া প্রতিবেশী,বন্ধুবান্ধব সবাই একএক করে ধিক্কার জানিয়ে বলে গেল, তোর জীবনে কি হবে? তোর ভবিষ্যত অন্ধকার! সমবয়সী কাউকেই তাদের বাবা-মা আমার সাথে মিশতে দেয় না। বলে, ঐ গাধার সাথে মিশলে ওর মতো হয়ে যাবি। বড়বোনের বাচ্চা হবে। সে একদিন আমাকে কঠিন গলায় বললো, তুই আমার আশেপাশে আসবি না। বাচ্চা পেটে থাকতে মা যার সংস্পর্শে বেশী ... ...
কিছু টাকা তোলার চেষ্টা কিরছি আমার মামার ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য।রোগটি জটিল ও ভীষণ ব্যয় সাপেক্ষ। আর্থিক অসঙ্গতির জন্য প্রথমে সরকারি হাসপাতালে (নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ) চেষ্টা করা হয়রছিল কিন্তু রোগীর শারীরিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় আমরা বাধ্য হয়ে নিউটাউন টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালের দ্বারস্থ হয়।ওনারা যা এস্টিমেট দিয়েছেন তাতে চিকিৎসার খরচ প্রায় ৫ লাখ(সমস্ত মেডিকেল চেকআপ, সিটিস্ক্যান, এম আর আই যা এস্টিমেশনের মধ্যে ধরা নেই)এখনো অবধি আমরা সমস্ত রকম ব্লাড টেস্ট, সিটি স্ক্যান এম আর আই, কোলনস্ ... ...
(গত ৫ জুন পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এই এই সিরিজের প্রথম পর্বটি লিখেছিলাম। সিরিজের বিষয়বস্তু হিসেবে প্লাস্টিককেই চিহ্নিত করি কারণ প্লাস্টিক দূষনই ছিল এই পরিবেশ দিবসের প্রধান ফোকাস। এরই ধারাবাহিকতায় এখন দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হচ্ছি। যাই হোক, গত গত পর্বের লেখাটায় আমার শেষ কথাটি ছিল "গবেষণা এও বলছে যে, যদি এর প্রতিকারের জন্য কিছুই না করা হয়, বা এখন যা চলছে তেমনি যদি চলতে থাকে, তাহলে সামনের ১০ বছরের মধ্যে মহাসাগরে প্লাস্টিকের পরিমাণ তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে, আর ২০৫০ সালে এই প্লাস্টিকের ভর সকল সামুদ্রিক মাছের ভর ... ...
মামাতো ভাই ইমুর নামে প্রায়ই উল্টাপাল্টা কথা শুনি। পাশের বাসার আন্টি প্রায় রোজই আমাকে দেখলেই বলেন, তোমার ভাই এত বেসন কেনে কেন? পাড়ার দোকান থেকে যখনই দেখি বেসন কিনছে। আর বারবার বলে বেসনের দাম এত বাড়াইছেন,আব্বার কাছ থেকে টাকা নেয়াই ঝামেলা। এত বেসন সে কি করে? তোমরা কি ভাজাভুজির ব্যবসা শুরু করেছো?ব্যাপারটা বুঝে নিয়ে আমিও হালকা হেসে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে করতে বলি,রোজার মাসতো আন্টি! বেসন একটু বেশী লাগে। তাছাড়া আমাদের বাসার সবার চপ,পেঁয়াজু এসব একটু বেশী পছন্দ।কিন্তু ভ ... ...