দুয়ারে ভোট, তাই ঝুলি থেকে বেরিয়েছে দাঙ্গার বেড়াল - ১৯৮৪ আর ২০০২। দুই প্রধান দলের মধ্যে তুই বেড়াল না মুই বেড়াল চলছে* - তর্জন-গর্জন আক্রমণ, ক্ষমা চাওয়া-না-চাওয়ার প্রতিযোগিতা। ১৯৮৪ সালে দুই শিখ দেহরক্ষীর হাতে ইন্দিরা গান্ধী হত্যা হবার পর দিল্লী ও উত্তর ভারতের কয়েকটি শহরে শিখ নিধন চলেছিল কয়েক সপ্তাহ ধরে। শুধুমাত্র দিল্লীতেই প্রায় তিন হাজার নারী পুরুষ শিশু খুন হয়। গোধরায় করসেবকদের পুড়িয়ে মারার পর গুজরাটে মুসলমান নিধন চলে মাসাধিক কাল। হতাহতের সংখ্যা স্বভাবতই কয়েকগুণ বেশি। সংখ্যার বিচার এখান ... ...
১.ঘুম চোখে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দাঁতে ব্রাশ ঘষতে ঘষতে ভালো করে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলো অনামিকা, চোখের তলায় কালী জমেছে। রাতে ভালো ঘুম হয়নি, রাত তিনটেয় প্যাকআপ করে ক্লান্তিতে নুইয়ে আসা শরীর টা কোনো মতে বিছানায় এলিয়ে দিয়েছিলো। আজ আবার সকাল থেকে শুট আছে। আজ আজই তার পিরিওডস হওয়ার ছিল। তলপেট ব্যথায় ছিঁড়ে যাচ্ছে। ব্রেকফাস্ট করেই একটা পেইনকিলার খেতে হবে। সারা দিনের শুট, ওই ভারি ক্যামেরা নিয়ে দৌড়োদৌড়ি অসম্ভব না হলে। কেনো যে প্রতিমাসের এই যন্ত্রণা। অসহ্য লাগে। এই পিরিওডস তার মতো মেয়ের কাছে ... ...
আমার বন্ধুবান্ধবদের তুলনায় আমার কৈশোরটা এক্কেবারে আলাদা ছিল। বিশেষত সেন্ট থমাস' বা সেন্ট জেভিয়ারসের বন্ধুদের তুলনায়। মফঃস্বলে বড় হয়েছি বলে। এটা আমার একটা একান্তই অহংকারের জায়গা। পুরো কৈশোর নিয়ে গুছিয়ে লিখতে সাঙ্ঘাতিক ক্ষমতা এবং ধৈর্য দরকার, যে দুটোর কোনটাই আমার নেই, এবং সেই বিষয়ে কোন সন্দেহও আমার নেই। তাই ভাবছি টুকরো টুকরো করে, মানে বুলেট পয়েন্টস করে ব্যাপারটা ধরার চেষ্টা করব। ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও, ইত্যাদি... যাই হোক! লিস্টে আসা যাক। ... ...
রোহিত ভেমুলা নিয়ে সর্বত্র কথা হচ্ছে। এক দিকে রোহিতের বিচার চেয়ে চলছে আন্দোলন এবং অন্যদিকে রোহিতের বিরুদ্ধে উঠে আসছে কিছু অভিযোগ। ওই অভিযোগগুলো একটু দেখা যাক। নানান জায়গায় রোহিতের ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিন-শট দেখছি এবং তাই উৎসাহিত হয়ে তার ফেসবুক ওয়ালে বেশ কিছু সময় ধরে গত রাতে ঘুরে বেড়ালাম।সবথেকে গুরুতর অভিযোগ হলো, রোহিত 'দেশদ্রোহী'। এই অভিযোগের পিছনে কারণ কী? কারণ হলো, তিনি ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির বিরোধিতা করেছিলেন। অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে তার একটি ফেসবুক পোস্ট অনেকেই তুলে ধরছেন। কী সেই পোস্ ... ...
২০১৬ সালে ইথিওপিয়ার গোদায়া উপত্যকায় একটা মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়েছিল, পরে জানা যায় এটি Australopithecus anamensis প্রজাতিটির। গবেষকগণ এটা দেখে তো অবাক। কেন অবাক হবেন না বলুন, আজ পর্যন্ত যে প্রজাতির ভাঙ্গা কিছু হাড়, ভাঙ্গা দাত, আর চোয়ালের হাড়ের টুকরো ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় নি, এবারে কিনা পাওয়া গেল তার আস্ত একটা মাথার খুলি! গবেষকরা তো সব হুমরি খেয়ে পড়লেন সেই খুলিটির উপর। শুরু হল গবেষণা, তো এই ২৮ তারিখ এটি নিয়ে দু-দুটো গবেষণাপত্র নেচার জার্নালে এলো। আর সেটা দেখে সবাই আরও অবাক? কেন ... ...
অনেকদিন আগে , প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে এই গেঁয়ো মহারাজ , তখন তিনি আরোই ক্যাবলা , আনস্মার্ট , ছড়ু ছিলেন , মানে এখনও কম না , যাই হোক সেই সময় দেশের বাইরে যাবার সুযোগ ঘটেছিলো নেহাত আর কেউ যেতে চায়নি বলেই । না হলে খামোখা আমার নামে একটা আস্ত ভিসা হবার চান্স নেই এ তো আপনারা জানেনই । তুতলে তুতলে ইংরিজি বলি , কুতরে কুতরে কোড করি , সে হেন আমার বিদেশ যাত্রায় কলেজের সহপাঠী/পাঠিনী, দূর সম্পর্কের আত্মীয় প্রায় সামনা সামনি বলেই দিয়েছিলো , ওও বিদেশ যাচ্ছে ! সত্যি বিদেশ গুলোর আর জাত রইলো না। তা সত্যি বলতে সে কথা আম ... ...
উঠে দাঁড়ালেন যেমন দাঁড়ান ইরফান হাবিব শ্রদ্ধাভাজনেষু আপনার ছবিটা দেখছিলাম। কেরলের রাজ্যপাল, আদার ব্যাপারী তো, নামও মনে থাকে না ছাই, বলতে উঠে যথারীতি কী সব ভুংচাং দিচ্ছেন, আর পাশে আপনি। দাঁড়িয়ে। ঋজু, সটান, স্পর্ধিত। তার পর গোটা দেশ জুড়ে কী হইচই, রাজ্যপাল টুইট করলেন, আপনি না-কি ওঁকে মারধোর করতে গিয়েছিলেন। তাই, ইরফান হাবিব? সালাম রইল। আপনার ইতিহাস-ভাবনা, বোঝেনই তো একুশ শতকের মেট্রো সিটির ছেলেছোকরাদের ব্যাপার, ব্যাকডেটেড হিসেবে গণ্য করা হয় ইদানীং ক্লাসঘরে। ... ...
ট্রান্সজন্ডার কমিউনিটি মোদী আমলে পাশ করা বিল নিয়ে এমনিতেই মহা খাপ্পা হয়ে আছে। কারণ নালসা জাজমেন্ট যা একজন রূপান্তরকামীর নিজের শরীর সম্বন্ধে শেষ কথা বলার অধিকার রূপান্তরকামীকেই দেয়, তার বিরুদ্ধে কথা বলে এই বিল, যাকে দ্রুত পাশ ক'রে আইনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এক তো বিল পাশ করার সময় এই কমিউনিটির মানুষজনকে ডাকা হয়নি, এক্ট হবার পর জানা গেল তাদের জেন্ডার কী সেটা ঠিক করে দেবে নাকি সরকারি স্ক্রিনিং কমিটি। পিংকি প্রামাণিকের কেসটা আমরা কি ভুলে গেছি ? তার হেনস্থা, পুলিশ হেফাজতে তার 'অন্যরকম' শরীরের ... ...
তেরা দাড়ি উখার লুঙ্গা, বেইমান, হারামখোর ! রক্তচক্ষু পুলিশ চিৎকার করছিল ওমরের সামনে। লখনৌতে ক্যা এনার্সি বিরোধী আন্দোলন কাভার করতে আসা হিন্দু কাগজের সাংবাদিক ওমার রশিদ। তার অপরাধ তার সঙ্গে ক্যামেরা ছিল, স্থানীয় এক্টিভিস্ট সঙ্গী ছিল, কাশ্মীরি চেহারা ছিল। যোগীরাজ্যে এর সবগুলিই নেগেটিভ পয়েন্টস। ফলে যা হবার তাই হয়। দ্রোহকালের ইতিহাস লেখা হয় কি শুধু যূথবদ্ধতা আর সমূহ-কথায় ? ব্যক্তির অভিজ্ঞতা, চেনা ছকের বাইরে গিয়ে বিশাল হয়ে ওঠা, এইসবও ইতিহাসের উপাদান হয়ে ওঠে এইরকম দেখা ... ...
আমি, দিপু, অপু আর বিপ্রদাশ; চার বন্ধু একসাথে মিলে সন্ধ্যার পরে চা খাই আর জগতের নানাবিদ বিষয় নিয়া আলোচনা করি। আমাদের জীবন প্রায় নিস্তরঙ্গ, তাতে বিশেষ কোন চড়াই উৎরাই নাই। ফলে আমরা জগত সংস্লিষ্ট আলাপের ফুসরত পাই এবং আমাদের মনে হয় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন এক কাজ। এইসব আলাপের চরিত্র কীরকম হয়, তা হয়ত আপনাদের অনেকেই বুঝতে পারছেন। পরিচিত, দূর পরিচিত মহিলা ও পুরুষদের বিষয়ে, ছেলে ও মেয়েদের বিষয়ে, নানা রাজনৈতিক বিষয় নিয়া, কখনো কখনো হালকা দার্শনিক বিষয়াবলীও আমাদের আলোচনায় চলে আসে। কিন্তু কোন আলাপই আম ... ...
রামলাল রাস্তা পার হইতে যাইবেন, কিছু গেরুয়া ফেট্টি বাঁধা চ্যাংড়া যুবক মোড়ে বসিয়া তাস পিটাইতেছিল— অকস্মাৎ একজন তাহার পানে তাকাইল। রামলাল সতর্ক হইলেন। হাত মুষ্টিবদ্ধ করিলেন, তুলিয়া, ক্ষীণকন্ঠে বলিলেন, 'জ্যায় শ্রীরাম।'পূর্বে ভুল হইত। অকস্মাৎ কেহ না কেহ পথের এক মোড় হইতে অন্য মোড়ে অব্যর্থ ডাকিত, 'কে যায়?' সম্বিৎ ফিরিয়া রামলাল উচ্চারণ করিতেন, 'জয় শ্রীরাম।' দুর্বল শরীর, প্রখর গ্রীষ্মেও একটি গেরুয়া উত্তরীয় সর্বদা গলায় জড়াইয়া রাখিতেন। উহা একটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কবচ। প্রখর গ্রীষ্মের হাল্কা ... ...
রাতের আকাশে ক্ষণস্থায়ী এক উল্কার মতো বাংলার সমাজে জন্মগ্রহণ করেছিলেন হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও (১৮০৯-৩১), সূত্রপাত করেছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দের প্রথম পাদে এই পরিচিত বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষের মাটিতেই এক বিরাট সম্ভাবনাময় মুক্তবুদ্ধি আন্দোলনের। আর তার ঊর্মিমালা সেদিন সমসাময়িক ঐতিহ্যবাদী ও সনাতনপন্থী চিন্তাধারার মেদ-মেদুর শরীরে প্রবল আঘাত করেছিল। সেই অভিঘাতের কাহিনি স্মরণ করলে এটা খুব বিস্ময়ের যে আমরা একশ বছর যেতে না যেতে তাঁকে প্রায় ভুলেই গেছি। রাম মোহন রায় (১৭৭২-১৮৩৪) বা ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের (১৮২০- ... ...
দেশের মধ্যে আসামে এনার্সি হয়েছে। বারো লক্ষ মানুষ রাষ্ট্রহীন । তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো শুরু হয়েছে নারীপুরুষ বাছাই না করেই। গতকালের টেলিগ্রাফ লিখেছে এই ক' মাসেই ডিটেনশন ক্যাম্পে মৃতের সঙখ্যা ছাব্বিশ ছাড়িয়ে গেছে। সারা দেশে লাগু হলে এ সংখ্যা কতো হবে সহজেই অনুমান করা যায়। কিন্তু যেটা দূরে বসে অনুমান করা কষ্ট সেটা হলো এনার্সির চাপে মেয়েদের অপরিসীম দুর্দশা। লোক আদালতের বিচারক হিসেবে ঘন ঘন কলকাতা কর্পোরেশনে যেতে হয়। ... ...
বিভা চৌধুরীকে নিয়ে আমার আগ্রহ অনেক দিনের। আগ্রহের সুচনা কেন্দ্র অবশ্যই তাঁর বিজ্ঞানচর্চা । বৈজ্ঞানিককে তার বিজ্ঞান ছাড়া ধরা যায় না। তবে তিনি যখন বিজ্ঞান সাধনায় নামেন , তখন সে জগত এক অবিচ্ছিন্ন জ্ঞানের জগত, আমার বিজ্ঞানের যে সীমিত জ্ঞান তাই দিয়ে তাঁকে আবছা বোঝা গেলেও , পুরোটা ধরা মুশকিল-ই।আগ্রহের শুরুটা একটু অদ্ভুত ভাবে। ফেমিনিজম নিয়ে পড়াশুনা করছিলাম। দেখলাম কট্টর নারীবাদীরা বলেন যে ক্লাসিক্যাল ফিজিক্স যেভাবে গোটা বিশ্ব ব্রহ্মান্ডকে objectifiable আর knowable বলে সেটাই নাকি গণ্ডগোলের। ... ...
লাল রঙের বড় বাড়িটার সামনে দিয়ে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার হেঁটে গেছে রাজিয়া। কখনো একা। কখনো ওর দলের সঙ্গে। কিন্তু কখনও ভেতরে ঢোকার সাহস হয় নি। বাড়িটার সামনে দুদিকে দুটো রোয়াক। তাতে অলস দুপুরে রিকশাওয়ালারা গামছা ঘুরিয়ে হাওয়া খেতে খেতে বিশ্রাম নেয়, অন্য সময়ে কুন্ডলী পাকিয়ে ঘুমোয় রাস্তার নেড়িগুলো। দুটো রোয়াকের মাঝখানে একটা সবুজ রঙের কারুকাজ করা কাঠের দরজা। এত ভারী যে ছোটবেলায় রাজিয়ার ওগুলোকে লোহার বলে মনে হত। সেই বিরাট দরজাটা ডান পাশে আটকানো একটা শ্বেতপাথরের নামফলক। তার ওপর কালো দিয়ে প্যাঁচ ... ...
বন্ধুরা, রাগ করবেন না, এমন উত্তাল সময়ে ঠাট্টা করছি ভেবে। যথেষ্ট চিন্তার মধ্যেও, টেনশনের মধ্যেও, চিরকাল ঠাট্টা করতে করতেই বড়ো হয়েছি। তাই এই দুঃসময়ে এই পোস্ট দেখে মনে হবে ঠাট্টা। কিন্তু পড়ুন, যদি ধৈর্যে কুলোয়। ব্যাপারটা হলো– অনেকদিন অর্থমন্ত্রকের সংবাদ পাচ্ছি না। নানা বিশিষ্ট জনের লেখা, ট্যুইট ইত্যাদি পড়ে জানতে পারা যাচ্ছে, তিনি, অর্থাৎ এই ভারতীয় অর্থনীতি, এখন নাকি আই সিএইউ তে। ফলে দুশ্চিন্তা ব্যাপারটা বেড়ে গেলো। ফলে কেসটা ঠাট্টা নয়। আমরা এক সময়ে অর্থমন্ত্রক বলতে একটা জটিল ব্যাপার বুঝতাম ... ...
মহামহিম মোদী নিঃসন্দেহে ইতিহাসে নাম তুলে ফেলেছেন। আজ থেকে পাঁচশো বছর পরে, ইশকুল-বইয়ে নিশ্চয়ই লেখা হবে, ভারতবর্ষে এমন একজন মহাসম্রাট এসেছিলেন, যিনি কাশ্মীরে টিভি সম্প্রচার বন্ধ করে কাশ্মীরিদের উদ্দেশে টিভিতে ভাষণ দিতেন। যিনি উত্তর-পূর্ব ভারতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতবাসীকে টুইট করতেন। যিনি বাংলায় দশ কোটি লোককে রাষ্ট্রহীন করার কল বানিয়ে, তারপর তাদেরই রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নষ্ট না করার উপদেশ দিতেন। ... ...
শীত ভাল করে পড়তে না পড়তেই মেলার সীজন শুরু হয়ে গেছে। গুরু এবারে ওমনিপ্রেজেন্ট – গাদাগুচ্ছের মেলাতে অংশ নেবার মনস্থ করেছে। একেবারে সূচনাপর্বেই সোনারপুর মেলা – বোতীনবাবুর দৌলতে তার কথা এখন এখানে অনেকেই জানেন। তো সেই সোনারপুর বইমেলাকেই পদধূলি দিয়ে ধন্য করব এরম একটা সুদুদ্দেশে শনিবার সন্ধ্যেবেলা বেরিয়েছিলাম। মারিয়া আগেই হাত তুলে রেখেছিল, তাই মারিয়ার সাথে গড়িয়ার মোড়ে দেখা করাই সমীচিন মনে করলাম। মারিয়া কামস টু গড়িয়া, সেথা হতে সোনারপুর অটো করিয়া, এই হল গে পেলান। ... ...
বাঙালি মধ্যবিত্তের মার্জিত ও পরিশীলিত হাবভাব দেখতে বেশ লাগে। অপসংস্কৃতি নিয়ে বাঙালি চিরকাল ওয়াকিবহাল ছিল। আজও আছে। বেশ লাগে। কিন্তু, বুকে হাত দিয়ে বলুন, আপনার প্রবল ক্ষোভ ও অপমানে আপনার কি খুব পরিশীলিত, গঙ্গাজলে ধোওয়া আদ্যন্ত সাত্ত্বিক শব্দ মনে পড়ে? না প্রাণভরে বেশ খারাপ খারাপ কথা উচ্চারণ করতে মন চায়? আপনি কি কিশোর বয়সে, তরুণ বয়সে একটিও খারাপ উচ্চারণ-অযোগ্য অসাংবিধানিক অমার্জিত শব্দ বলেন নি? ঠাট্টাছলেও বলেন নি? বেশ, যদি একদমই না বলে থাকেন তাহলে তো আপনি প্রায় বোধি গাছের তলায় বসে আছেন, চরাচর আপনার ... ...
যেকোন নারকীয় ধর্ষণের ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়ে সামনে আসার পর নাগরিক হিসাবে আমাদের একটা ঈমানি দায়িত্ব থাকে। দায়িত্বটা হল অভিযুক্ত ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তির দাবি করা। কঠোরতম শাস্তি বলতে কারোর কাছে মৃত্যুদন্ড। কেউ একটু এগিয়ে ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার কথা বলে। আবার কেউ আরও একটু এগিয়ে ধর্ষককে কুচিকুচি করে কেটে নুনলঙ্কা মাখানোর বিধান দেন । কাল একটা গ্রুপে দেখলাম একজন অতি দরদী নাগরিক বলেছে "শ্লা রেপিষ্টের মা বোনকে রেপ করা হোক, তবেই রেপিষ্ট বুঝবে জ্বালা"। ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর 'প্রতিবাদ' করতে গ ... ...