তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার শুরু হয় সপ্তম শতাব্দীতে রাজা স্রোংচান গামপোর পৃষ্ঠপোষকতায়। তারপর রাজা ত্রিসোং দেচেনের রাজত্ব কালে আচার্য শান্তরক্ষিত এবং গুরু পদ্মসম্ভবের সাহায্যে স্থাপিত হয় প্রথম মঠ - সাময়ে। তিব্বতের ইতিহাস তার আগে রহস্যাবৃত, উপকথায় ভরপুর। তিব্বতের সেই ধূসর ইতিহাস নিয়েই এই লেখা। ... ...
তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার শুরু হয় সপ্তম শতাব্দীতে রাজা স্রোংচান গামপোর পৃষ্ঠপোষকতায়। তারপর রাজা ত্রিসোং দেচেনের রাজত্ব কালে আচার্য শান্তরক্ষিত এবং গুরু পদ্মসম্ভবের সাহায্যে স্থাপিত হয় প্রথম মঠ - সাময়ে। তিব্বতের ইতিহাস তার আগে রহস্যাবৃত, উপকথায় ভরপুর। তিব্বতের সেই ধূসর ইতিহাস নিয়েই এই লেখা। ... ...
".... সামান্য তলিয়ে ভাবলেই বোঝা যাবে যে দেশের মানুষরা যে কর্মসূচিগুলি পালন করলেন; পরোক্ষে তা হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পালনীয় ধর্মীয় উৎসবের কিঞ্চিৎ রূপান্তর মাত্র। সর্বোপরি রামনবমীর ঠিক পরেই রাত "নটায়", "নয় মিনিট" আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালানোর প্রসঙ্গ এলে দুর্জনে তো একটু নিন্দেমন্দ করবেই।...." ... ...
দীপেন ভট্টাচার্য’র লেখা নিয়ে সম্প্রতি গুরু’তে আলোচনা, চালাচালি পড়লাম। তার “মাউন্ট শাস্তা” গল্পটি আমি রিভিউ করেছিলাম, ২০১৬ নাগাদ। বিজ্ঞানী/লেখক দীপেন ভট্টাচার্য কে পড়া হয়েছে অবিশ্বাস্য কম। এটা দুর্ভাগ্য। আর সৌভাগ্য হচ্ছে, এতে দীপেন ভট্টাচার্য দ্বিগুণ স্থিতিশীলতায় নতুন নতুন ফর্মের সন্ধান করার অবকাশ পেয়েছেন, কোন বিপুল, চটুল জনপ্রিয়তার দায়ে একমুখী সফল সন্ধান নিয়ে ব্যস্ত থাকেননি। ... ...
"যদি বেঁচে যাও এবারের মতো যদি কেটে যায় মৃত্যু ভয়, জেনো বিজ্ঞান একা লড়েছিল মন্দির মসজিদ নয়" কথা গুলো নিয়ে অনেকের আপত্তি আছে। অনেকে একে ব্লাসফেমি মনে করছে, উদ্ধত্য মনে করছে এই উক্তিতকে। আসলেই কী তেমন মনে করার সুযোগ আছে? আমার মনে হয় না। তবে কথাটা আমার কাছে সম্পূর্ণ মনে হয়নি। বিজ্ঞান একা লড়েছে ঠিক আছে, তবে মসজিদ মন্দির একাই যে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে তা না, লড়াই শব্দটার সাথে যা যা জড়িত সেই সবও তাকিয়ে দেখছে শুধু। কোটি কোটি ডলারের মারণাস্ত্র, নিমিষে দুনিয়া ধ্বংস করে দেওয়ার মত পারমানবিক বোমা, যুদ্ধ বিমান, যুদ্ধ জাহাজ, কামান, গোলা- বারুদ এই সমস্ত কিছুও অকেজো হয়ে পরে রইছে। ... ...
নিজের চারদেওয়ালের স্বপ্ন দেখা এক মানুষের বড় হয়ে ওঠার টুকরো টাকরা। ... ...
লোকসভা,পুলওয়ামা,সবজায়গাতেই এই জনতা- জনার্দন লড়েছি,লড়ছি,প্রাণ দিয়েছি,দিচ্ছি। আমাদের কারও মায়ের বুক ফাঁকা হয়,কারও স্বামী, কারও ভাই হারিয়ে যায় চিরদিনের মত। আমাদের মালিকদের কিছু ক্ষতি হয়েছে! হয়নি, হয়না।ওরা আসরের পেছন কোটি-কোটি টাকার খেলা খেলে।ওদের লাভ হয় কারও ছেলে BCCI এর সচিব হয়,কারও ভাইপো কোটিকোটি টাকার মালিক হয়,কারও ছেলে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসে, কেউ ভারতের সেরা ধনী হয়,মন্দির -মসজিদ গুলোতে হাজার-হাজার কোটি টাকা আয় বাড়ে,কেউ আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পালায়। ওরা শুধু অপেক্ষায় থাকে আমাদের লড়াইয়ের। ... ...
করোনা যেমন একদিকে মৃত্যু মিছিল শুরু করেছে, পাশাপাশি নগ্ন করে দিয়েছে আমাদের শিক্ষাকেও। আমরা সমাজের তথাকথিত ভদ্রলোক, আমরা পোষাক পরি, মার্জিত কথা বলি সেটাই আমাদের পরিচিতি। মান আর হুঁশ। কিন্তু ভেতরের নগ্নতাকে ঢাকার মতো পোষাক আমরা এখনো তৈরি করে উঠতে পারিনি। ... ...
ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের বিশাল মিছিলে জেনারেল আইয়ুব বিরোধী সেই সময়ে একজন মুসলিম তরুণী প্রকাশ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, দুই হাত মুখের কাছে গোল করে লিড শ্লোগানারের ভূমিকা পালন করছেন, ভাবা যায়? ... ...
এক লোক হাটে যাচ্ছিল। রাস্তায় ছেলের শ্বশুর বাড়ি পড়ায় সেখানে একটু ঢুকছে। খালি মুখে আলাপ চলল কিছুক্ষণ। পরে বেয়াই যখন উঠতে যাচ্ছে বেয়াইন তখন বলছে যদি পান থাকতো, নাহয় সুপাড়িটা অন্য কারো থেইকা আইনা দিতাম। কিন্তু চুন-ই তো নাই! সব দোষ হচ্ছে চুনের! আসলে কিন্তু কিছুই নাই। করোনা মোকাবেলা বাংলাদেশের অবস্থা এখন অনেকটাই এমন। কোন পরিকল্পনা খুঁজে পাওয়া যায়নি, নিরাপত্তা সরঞ্জামের তীব্র অভাব, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব। কিন্তু দোষ সব গিয়ে পরছে চুনের ওপরে মানে ডাক্তারদের ঘাড়ে! আসলে আমাদের পান সুপারি ও চুন কোনটাই নাই! ... ...
'সামাজিক দূরত্ব' যদি চা বাগানে কোথাও থেকে থাকে, তাহলে সেটা আছে এখানেই। সঙ্কটগ্রস্ত শ্রমিক আর সুরক্ষিত মালিকের দূরত্ব। ক্ষুধার বাধ্যতা আর লাভের বিলাসিতার দূরত্ব। ১৭৬ টাকার খাদ আর অকশনের পাহাড়চূড়ার দূরত্ব। বেহাল স্বাস্থ্যব্যবস্থা আর মহার্ঘ স্বাস্থ্য পরিষেবার দূরত্ব। করোনার বিপদ নিয়ে অজ্ঞানতা আর সুরক্ষিতভাবে লাভের গুড় খাওয়ার জ্ঞানের দূরত্ব। ... ...
ভারতবর্ষের দারিদ্রসীমার নিচে থাকা সেই বিপুল সংখ্যক জনতা যদি আদিম হুঙ্কারে গর্জন করে যে - ভাত চাই ! তবেই লক ডাউন মানব ! না হলে আমরা এমনিও মরি অমনিও মরি, করোনায় আমাদের কি যায় আসে হে? ... ...
আমাদের ভোঁদাদার সব ভাল, খালি পয়সা খরচ করতে হলে নাভিশ্বাস ওঠে। একেবারে ওয়ান-পাইস-ফাদার-মাদার। নিজে নাহক ভাল কাজ করে। শুধু পয়সাই নয়, অঢেল সময়ও হাতে। বাড়িতে শুধু আপনি আর কপনি - ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, বেয়াই-বোনাই, জগাই-মাধাই কেউ নাই। কাজেই ভোঁদাদা বই পড়ে। বাছবিচার নেই, বই পেলেই হল। আর এই বই পড়ে পড়ে বিচিত্র সব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেছে। ভাসা-ভাসা নয়, একেবারে গভীর সুচিন্তিত জ্ঞান। ভোঁদ্দা আজ এর সঙ্গে ভ্যালু ইনভেস্টিং নিয়ে আলোচনা করল, তো ওর সঙ্গে প্রাচীন মোঘলাই রন্ধনপ্রণালী নিয়ে; কার সঙ্গে দেখলাম গভীর তর্কা ... ...
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে সাগর পারের পর্যটন নগরী কক্সবাজার। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, টানা ১৫৫ কিলোমিটার (৯৬ মাইল) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এই সমুদ্রপাড় থেকে একইসঙ্গে বিস্ময়কর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়, যা এই বঙ্গোপসাগরের বালুকাভূমিকে দিয়েছে অনন্য বৈশিষ্ট্য। প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের নাম এখন বিশ্ব পর্যটনের ভূচিত্রে খুবই উজ্জ্বল নক্ষত্র।আরো বিস্ময়কর এই যে, এই কক্সবাজার জেলাতেই হাজার হাজার বছর ধরে বাস করছেন ভিন্ন ভাষাভাষী রাখাইন জাতিগোষ্ঠী, যাদের রয়েছে অতি সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি, ... ...
আগামীকাল থেকে সমস্ত গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যাপারে সরকারের দায় আরও বেশি। এবং সেই দায় সরকার কোন ভাবেই এড়াতে পারে না। যদিও উভয় সঙ্কট পরিস্থিতি তবুও বিকল্প কোন পন্থা খুঁজে বের করা উচিত ছিল। যারা ক্রয়াদেশ বাতিল করেনি তারা তাদের পণ্য তৈরি চাইতেই পারে। সেক্ষেত্রে কারখানা খোলা রাখতে হবে। আবার বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন ভাবেই কারখানা চালু রাখার সুযোগ নাই। কিন্তু সরকার কাল থেকে কারখানা চালু করে দিচ্ছে এবং বিজিএমইএ কারখানা খুলে দিতে সম্মত হয়েছে। এতে যে এক দেশে দুই নীতি চালু হল তা কি কেউ খেয়াল করে দেখেছে? শ্রমিকদের জীবনের মূল্য নাই? সবাই নিরাপদ থাকার জন্য, নিরাপদ রাখার জন্য ঘরে বসে থাকার সুযোগ পাচ্ছে কিন্তু শ্রমিক নামক এই প্রাণীদের আজকে ঠেলে দিলাম আমরা জীবনের ঝুঁকি নিতে! বলা হচ্ছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে কারখানা চালু রাখবে! কীভাবে সম্ভব এই জিনিস? যারা বলছে তারা কোনদিন একটা তৈরি পোশাক কারখানা ঘুরে দেখেছে? কীভাবে কাজ করে আর কীভাবে খাওয়া দাওয়া করে? তারা কোনদিন শ্রমিকরা কে কীভাবে থাকে তা জানে বা জানার চেষ্টা করেছে কোনদিন? সম্ভবত না। যার কারনেই এমন জিনিস কল্পনা করে বলতেছে যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে কারখানা চালু করতে। স্বাভাবিক সময়েই আমাদের শ্রমিকরা কত ভাল থাকে তা আমরা জানি, এই দুঃসময়ে তারা খুব ভাল আর নিরাপদে থাকবে তেমন আশা করি কোন যুক্তিতে? ... ...
নূতন বছরের শুভেচ্ছা - দুর্দিন কেটে যাবে, একদিন। ... ...
ভয়ংকরী কালী সঙ্গে সারা শরীরে শাদা রঙ মাখা জটাধারী শিব সঙ্গে কিছু অনুচর। ড্যা ড্যাং ড্যাং ঢাকের বাদ্যি। একটু রাত করে শিব কালীর তুমুল নাচন। একটু ভয় করে, মজা ও হয়। সিধা দেওয়া হয়, চাল, ডাল, তেল, নুন, আলু আর পয়সা। ঠাম্মা কটা বাতাসা দেন। খুশিতে শিবঠাকুর কালীঠাকুর দুজনেই আটখানা। আরো নাচতে চায়। কেউ প্রশ্রয় দেয়না বেশি। ঢাকি নাচ বেশি ক্ষণ ধরে হলে নাকি বাড়িতে চুরি হয়, শিবের ভূতরা অন্ধিসন্ধি দেখে যায় পরে শিবঠাকুরের সঙ্গীরা সিঁদ কাটে। চোর কি আর সাধারণ চোর? রাত জেগে পড়ছে কোনো পরীক্ষার্থী, লাগাবে ধমক। ওদের কাজের অসুবিধা হচ্ছে যে। ... ...
সেই ১৮৩২ সাল নাগাদ ফ্যারাডে যখন ইলেক্ট্রোমেকেষ্ট্রির জনক হতে যাচ্ছেন তখন তিনি লণ্ডন রয়েল ইনষ্টীটিউটশনে – নিজের প্রথাগত শিক্ষা না থাকায় আত্মবিশ্বাস কিছু কম। তাই তিনি চিঠি লিখছেন হুইওয়েল-কে এই জানতে যে অথোরিটি এই ব্যাপারে কি মনে করে। ফ্যারাডে পজিটিভ এবং নেগেটিভ দিকের জন্য ঠিক কি নাম ব্যবহার করা ঠিক হবে সেই বিষয়ে পরামর্শ চাইছেন। এই সব চিঠি বাইরে রাখা থাকে না পাবলিক প্রদর্শনীর জন্য। আমাদের প্রোফেসর ট্রিনিটি কলেজের লাইব্রেরীয়ানকে বলে বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন। লাইব্রেরীয়ান ভল্ট থেকে আসল চিঠি পত্র নিয়ে সে দেখালেন – সে অনেক চিঠি, সুন্দর করে রাখা আছে। বাঁধানো বইয়ের মত করে পাতায় পাতায় চিঠি গুলো আটকানো আছে। প্রথম দিকে ফ্যারাডের চিঠি এবং শেষের দিকে সেই চিঠির প্রেক্ষিতে হুইওয়েল এর উত্তর। এই চিঠি সব ব্যাখা করছিলেন লাইব্রেরীয়ান, কারণ সেই হাতের লেখা পড়া খুব দুঃষ্কর। এই ভাবেই দেখা গেল ১৮৩৪ সাল নাগাদ প্রথম প্রস্তাব করলেন হুইওয়েল ‘ক্যাথোড’ এবং ‘অ্যানোড’ শব্দের ব্যবহার। আরো বেশ কিছু ক্ষণ সময় কাটালাম – ... ...