ঘনঘন টিভির পর্দায় ভেসে উঠছে, "লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা"।বিশ্বের ধনী, শক্তিশালী দেশ গুলি কুপোকাত, বিশ্বের অর্থনীতি দিশাহীন, কি হবে আগামী দিনগুলোতে এই চিন্তায় মানুষের ঘুম ছুটে গেছে... ঠিক এমনই সময় আপনার মুঠো ফোনে ভেসে উঠলো করোনা কে নিয়ে একটা কৌতুক ম্যাসেজ!!! মৃত্যুর আবহে কৌতুক?? এও কি সম্ভব? ... ...
"ব্যবসা চলে না একেই, নিজের সংসার চালাতে...ছিঁড়তে হয়, আবার টাকা ধার দেবে। তোমরা মেয়ে মানুষ, আর কিছু না হোক শরীর বেচে খেতে পারো। আমরা পুরুষরা কি বেচে খাব?" ... ...
টিভি চালাই। খবর দেখি। একদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী বিচিত্র সব শিরোভূষন শিরোধার্য করে এদিক ওদিক ঘুরে লাফিয়ে লাফিয়ে চিত্কার করে অন্যের অকর্মণ্যতা প্রচার করছেন। কখন কোন জাদুবলে ভারতের গৌরব সেনাবাহিনীকে নিজের দলের প্রচারের হাতিয়ার করে উঁচিয়ে ধরছেন। এক এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আঙুল উঁচিয়ে সমান চিত্কারে পাল্লা দিচ্ছেন। কে কত গর্জনশীল তার ওপর ভোট নির্ভর করছে। বিরোধী মানেই দেশদ্রোহী এটা আগে বিশেষ কেউ শেখায়নি। এবারে শিখলাম। আগে গ্রামগঞ্জের মহিলারা প্রার্থী মহিলাদের দেখতেন মোটামুটি নিজেদের একজন হিসেবে। ... ...
সুফি আজকাল লোকনাথ বাবার স্টাইলেই বেশিরভাগ সময় বসে থাকেন। বসেন লোকনাথ বাবার মতো কিন্তু শয়তানি বুদ্ধি লুসিফারের মতো। আমি প্রায়ই ওর অত্যাচার আর সহ্য করতে না পেরে বলি, বেরিয়ে যা ... ...
এই লৌহস্তম্ভ রয়েছে দিল্লীর কুতুব কমপ্লেক্সে। বর্তমানে বললাম এই জন্যই যে, এই স্তম্ভ দিল্লীতে চিরকাল ছিল না। মালটা প্রথমে কোথায় ছিল সেটা নিয়েও বিতর্ক আছে - তবে মোটামুটি সব বিজ্ঞরা আজকাল এই সিদ্ধান্তে এসে পোঁছেছেন যে, এই স্তম্ভ প্রথমে খাড়া করা হয়েছিল বর্তমান উদয়গিরি-তে, ওই ৪০০-৪৫০ খ্রীষ্টাব্দ নাগাদ। তারপর সেখান থেকে দিল্লীতে আসে। যদি ধরে নেওয়া হয় যে এই স্তম্ভ সত্যিই ১৬০০ বছরের পুরানো, তাহলে বছরের হিসাবে দেখতে গেলে দিল্লীতে এর ঠাঁই শেষ আটশো বছরের মত। কিন্তু লৌহস্তম্ভটি ক্ষয়ে যাচ্ছে না কেন? যেখানে আমাদের বারান্দার গ্রীল বছর চারেক রঙ করে মেনটেন না করলে ক্ষয়ে গিয়ে দফারফা, সেখানে আজ প্রায় ১৬০০ বছর ধরে এই লৌহ স্তম্ভ কি ভাবে না ক্ষয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে! এর পিছনের রহস্য কি? কোন বিশেষ ধরণের লোহার ব্যাবহার, নাকি বানানোর বিশেষত্ব, নাকি মৃদু আবহাওয়ার প্রকোপ? ... ...
হাতে আসা একটি বই পড়ার সুত্রে আসা কিছু ভাবনা। প্রধানত, যূথবদ্ধতার প্রতি আমাদের সামাজিক আকর্ষণ এবং কিভাবে তা পালটে যাচ্ছে প্রযুক্তির হাওয়ায় -- এই সব নিয়ে আপাত বিচ্ছিন্ন কিছু চিন্তাভাবনা। ... ...
ভূত সম্বন্ধে দু-চার কথা যা আমি জানি। ... ...
তোমার কথা আমার কথা বললে জোরে শুনবে লোক; ভারত চালায় আম্বানি আর মৌলবাদী আহাম্মক। ... ...
আপাতত মাথায় রাখা যাক যে, ফ্রিজ থেকে বেরিয়ে সেই পচে-যাওয়া-রোগ ড্রয়িংরুমের চেয়ারটাকেও খেতে শুরু করেছিল। আর বইয়ের তাকটাও সেখান থেকে খুব বেশি দূরে নয়। তাছাড়া গোটা ড্রয়িংরুমের মেঝে পাঁকের মতো আঠালো হয়ে আসছে ক্রমশ। ঘরে হাঁটা দায়। সেন্টার টেবিল থেকে ডাইনিং টেবিলে পৌঁছতে প্রায় ঘন্টাখানেক সময় লেগে যাচ্ছিলো প্রতিবার। এই ঘরটা শেষ হলে বাকি থাকবে বেডরুম আর বাথরুমগুলো খাওয়া। ... ...
শত্রুপক্ষের ওরা আমাদের চারিদিক থেকে ঘিরে ধরেছিল – আমরা গিয়ে আশ্রয় নিলাম জঙ্গলের মধ্যে সেই বিস্তীর্ণ জলাভূমিতে। একটানা সারাদিন, এমনকি গোটা সপ্তাহ ধরেও এক গলা জলে দাঁড়িয়ে থাকা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। আমাদের দলে ছিল একজন রেডিও অপারেটর মেয়ে যে মাত্র কয়েকমাস আগে মা হয়েছে। সেই বাচ্চার তখনো স্তন্যপান করার বয়স, কিন্তু ওদিকে মেয়েটির বুকে দুধ নেই – খেতেই পাচ্ছি না আমরা দিনের পর দিন তো কি করে বুকে দুধ আসবে! আর তাই দুধ না পেয়ে বাচ্চাটা মাঝে মাঝেই কেঁদে উঠছিল। কিন্তু তখনকার পরিস্থিতিতে বাচ্ছার কান্না ছিল আমাদের কাছে অত্যন্ত বিপদজনক – কারণ শত্রুপক্ষ যদি একবার কান্না শুনতে পেয়ে যায় তাহলে কেউই বাঁচব না আর – আমাদের তিরিশ জনের দলের একজনও নয়। আলোচনা করে নিজেদের মধ্যে এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হল – গেলাম সেই মেয়েটির কাছে – তার দিকে তাকালাম – কিন্তু আমাদের মধ্যে কেউই মুখ ফুটে বলতে পারল না কমান্ডারের সিদ্ধান্তের কথা। কিন্তু মেয়েটি ততক্ষণে নিজেই বুঝতে পেরে গিয়েছিল – বাচ্চাটিকে যাতে করে বেঁধে সে বহন করছিল সেটা ধীরে ধীরে নামালো – ... ...
কিউবা বেড়াতে গেছিলাম বলে দাবি করছিনা যে কিউবা দেখে ফেলেছি। সমাজতান্ত্রিক একটা দেশ দেখা বলতে যেরকম দেশটার মেঠো পথে পথে ঘুরে বেড়ানো বোঝায় , মানুষ কে ছুঁয়ে দেখা বোঝায় , সংস্কৃতিকে নেড়েঘেঁটে দেখা বোঝায় , বিশেষ করে এমন একটা দেশে , যেখানকার বৈশিষ্ট-ই পশ্চিমি বাজারসভ্যতার সঙ্গে ছুঁতমার্গ , তার আমি কিছুই করিনি। কিউবা বললেই আমাদের মতো আশি/নব্বই-এর দশকে বামপন্থী রাজনীতি করা বা বিশ্বাসকরা মানুষ যেমন করে রুকস্যাক কাঁধে মোটরসাইকেলে চে-গেভারার মেঠো পথে ঘুরে বেড়ানো মনে করে , সেরকম কোনো তীর আমি মারিনি। আমি ... ...
করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কনস্পিরেসি থিওরি ও সেই সংক্রান্ত ডিসকাশন! একদিন আপনি, মানে সুধী পাঠক, দীনের কুটিরে পদার্পণ করলেন এবং ড্রাগন-দর্শনের অভিলাষ প্রকাশ করলেন | আমি আপনাকে গ্যারাজে নিয়ে গেলাম, আপনি বললেন, "ড্রাগন কই?" আমাদের বাড়ির গ্যারাজে একটা ড্রাগন আছে ... ...
আমাদের ঘুরে বেড়ানো। ... ...
বাবরি মসজিদ আপনাআপনি ভেঙে পড়েছে। কেউ পরিকল্পিত ভাবে ভাঙেনি। ঠিক যেমন মনীষা বাল্মীকিকে হয়তো কেউ ধর্ষণ করেনি। বা ধর্ষণ করেছে। মনীষা এবং বিচারব্যবস্থাকে। ... ...
ছকটা সহজ, সেই কারণেই এই ছক ভাঙাটা খুব কঠিন। বিজেপি কোন গোপন তাস আর খেলছে না। তারা সরাসরি আমাদের ভিতরের লুকানো ফ্যাসিস্ট প্রবৃত্তিকে বাইরে আসার আহ্বান জানাচ্ছে। আমাদের ভিতরের শয়তানকে জল বাতাস দিয়ে জাগিয়ে তুলছে। শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পারব আমরা? লড়াইটা কিন্তু আমাদের নিজেদের সঙ্গেই ... ...
আঙিনা পেরিয়ে চলে গেছে তারা কবে, / অন্দর জুড়ে কালবৈশাখী ঝড়! ... ...
আমার শৈশবের অনেকখানি আর কৈশোর ছিল ভারী একলামত| আমি যখন আট নয় বছরের মেয়ে, তখনই আমাকে প্রায় পূর্ণবয়স্ক মানুষ হিসেবে গণ্য করা হত| প্রায় বললাম, কারণ পূর্ণবয়স্ক মানুষের মত আমার মতামত গ্রাহ্য করা হত না, কিন্তু কাজকর্মে, আচার আচরণে পূর্ণবয়স্ক মানুষের মত ব্যবহার আশা করা হত| আমি বুঝতে শুরু করেছিলাম ভাইয়ের আগে জন্মানোয় আমাদের প্রাচুর্য্যের সময়ের পুরোটা, আট বছর ধরে আমি ভোগ করেছি, কিন্তু ভাই মাত্র দুই বছর ----- তাই এখন আর আমার কিছুই প্রাপ্য নয়| নয় বছর বয়সেই আমার পাড়ার মাঠে খেলাধুলো একদম বন্ধ ক ... ...
সন্ধ্যায় কতগুলো লোক জোর করে বাড়িতে ঢুকলো । কেউ চেনা, কেউ অচেনা। ফ্রিজ থেকে মাংস বের করে লোকগুলো চিৎকার করে বললো, এগুলো গরুর মাংস। রান্নাঘরের দরজার আড়ালে ভয়ে তখন কাঁপছিল আঞ্জুমান। ... ...