পশ্চিমি রূপকথা জগতে সবচেয়ে চেনা যে মেয়ে, তাকে নিয়েই প্রচুর কথাবার্তা আর আলোচনা। বারবার বদলে গেছে সে। কেন? কী কারণে? তাই নিয়েই আমার ভাবনা। ... ...
এবার একজোট হয়েছেন শ্রীরামপুর শহরের সাংস্কৃতিক কর্মী, নাট্যকর্মী থেকে কবি, সাহিত্যিক, সমাজকর্মী সকলেই। লক্ষ্য একটা অভিন্ন মত নির্মাণ করে শ্রীরামপুরের সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রগুলোর আধুনিকীকরণ এবং মুক্তমঞ্চ ও আধুনিক মঞ্চ তৈরির উদ্যোগে প্রশাসনকে সামিল করা। এমনতর উদ্যোগ এর আগে কোনও শহরে হয়েছে বলে শোনা যায় নি। ... ...
সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগেও দুর্গাকে মা রূপে পুজোর প্রচলন ছিল। সেই সময় থেকেই দুর্গা হয়ে ওঠেন একপ্রকার 'গার্ল নেক্সট ডোর' অর্থাৎ পাশের বাড়ির মেয়ে। ইংরেজ শাসনকালে পরিবর্তন এল দুর্গাপুজোয়। দুর্গাপুজো ব্যবহৃত হতে থাকল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে। এমনকি ঠাকুরবাড়ির দুর্গাপুজো এর ব্যতিক্রম ছিল না। মুর্শিদাবাদ বা লখনৌ থেকে নাচিয়েরা এসে আসর জমিয়ে গেছেন, ঠাকুরবাড়িতে রয়েছে এমন উদাহরণও। তবে ইংরেজদের চাটুকারিতার উদ্দেশ্যে আয়োজিত দুর্গাপুজোর ইতিহাসে যবনিকা পড়ল ঊনবিংশ শতকের উত্তাল সময়ে। দুর্গা তার চিরাচরিত মাতৃরূপ থেকে হয়ে উঠলেন ইংরেজ বিতাড়নের অন্যতম অস্ত্র। ... ...
দুটো রোমান মিথকে একসঙ্গে করে, দু'বছর আগে লিখেছিলাম গল্পটা। এই গল্পে ব্যবহৃত ঘরবাড়ি, খাবার, জীবনযাত্রা, কবিতা সবই ইতিহাস থেকে নেওয়া। বানাইনি। এমনকি, পাস্তুমিয়ার চুটকিটাও দু'হাজার বছর আগেকার! যাঁর কবিতা অনুবাদ করেছি, সেই অসামান্য ক্ষমতাশালিনী, সাফো সমপ্রেমী ছিলেন। ... ...
বাবার কথা মনে পড়লেই একটা গন্ধ নাকে আসে অবিকল ... সদ্য জ্বালানো উইলস ফ্লেকের গন্ধ, আমি চিনি ... আবছা একটা ছবি ভেসে ওঠে - বাইরের পেশেন্ট দেখার ঘরের কাঠের চেয়ার, জানলার ঠিক ধারেই, বাবা মুখের সামনে লাইব্রেরী থেকে আনা একটা বই ধরে আছেন ... মুখ দেখা যাচ্ছে না, শুধু রেক্সিনের বাঁধাইয়ের আড়াল থেকে এক-একটা রিং উড়ে উড়ে জানলা দিয়ে বেরিয়ে মেঘ হয়ে যাচ্ছে ... ... ...
সারাদিন জঙ্গ লড়ার পর খুনখারাপিতে আকাশ ছিঁড়ে ফালা ফালা করে আফতাব আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পশ্চিমে ঢলে পড়বে। এই রঙ্গীন আকাশটা ঢেকে যাবে হিজাবে। সুর্মা পরা চোখের মতো আসমানে তখন ঝিকমিক করবে সিতারার চুমকি। তখন এই ঘাসের উপর বসে কারোর চোখে কী চিকচিক করবে আতর? ... ...
আমি আগ্রহ আরও হারিয়ে ফেললাম কারণ তিনি তখন মরিয়া হয়ে প্রথা ভাঙতে চাচ্ছেন। মৌলবাদের প্রতি প্রচণ্ড আক্রোশ তৈরি হয়েছে, ফলে ধর্মকে নানান ভাবে আঘাত করছেন, আঘাতের অস্ত্র সব সময় সুবিধার না। গাছে মাছে আক্রমণ চলছে তখন। এবং তখনই সম্ভবত দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। ধর্মকে আক্রমণ করে এর আগেও অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। তাদের প্রতি মানুষ এই রকম বিরক্ত হয়নি। তাদের কথা পছন্দ হয়নি, হয়নি, চুপ করে থেকেছে। কারণ তাদের বলার ধরন অন্য রকম ছিল, তাতে সম্ভবত সাহিত্যের গুণাগুণ বেশি ছিল। তসলিমা নাসরিন কোনমতেই আহমেদ শরীফের চেয়ে বড় নাস্তিক ছিলেন না, হুমায়ুন আজাদের চেয়ে কঠোর কথা তিনি বলেন নাই তাও হয়ত বলা চলে। এরপরেও তাঁকে এঁদের চেয়ে বেশি গালাগালি শুনতে হয়েছে। এর কারণ এক যা বললাম, বলার ধরন অনেকের পছন্দ হয়নি আর দ্বিতীয়ত তিনি নারী! নারীর মুখে এই সব শুনতে আমরা রাজি না। ... ...
আচ্ছা, বয়স্ক লোকগুলো কি একটু বোকা হয়? সবার কথা বলছি না, আমার বাবা মোটেই বোকা ছিলেন না। মঙ্গলা পঞ্চায়েতের কত লোকজন ওনার কাছে পরামর্শ নিতে আসে। কিন্তু যারা একটু ফ্রাস্টু গোছের? যেমন ধরুন গ্রামীণ ব্যাংকের সকরী শাখার হেড ক্যাশিয়ার বিনোদ আংকল? ... ...
কিন্তু সবথেকে আশ্চর্য লাগতো এইটা দেখে যে বাকি সব পুজো-পার্বণ এদিক-ওদিক গড়াগড়ি খায়, কিন্তু ওই এক বিশ্বকর্মা পুজো নট-নড়নচড়ন, ফি বচ্ছর ১৭-ই সেপ্টেম্বর বাঁধা। সেই দমদম জংশনের প্ল্যাটফর্মে যেমন সদর্পে ঘোষণা থাকতো, 'সব জ্যোতিষী বারবার, অমৃতলাল একবার!' (বলাই বাহুল্য, অমৃতলালের কেরিয়ার নিয়ে সেই থেকে কিছুটা সংশয় এযাবৎ রয়েই গেছে)। তো এবারের গল্প, থুড়ি, রচনা আমাদের সেই 'নিষ্পাপ' ছোটোবেলার একমাত্র ফিক্সড পয়েন্ট নিয়ে, যার নাম ১৭-ই সেপ্টেম্বরের আকাশ, ধারকাছ দিয়ে গেলে সাবধান, এই বয়সে ভোঁকাট্টা হলে দায়িত্ব কিন্তু কর্তৃপক্ষের নয়। ... ...
পরে অবশ্য জানা যায়, যে, হেলিকপ্টারে আদৌ মৃতদেহ ঝুলছিলনা। কান্দাহারের প্রশাসক-ভবনের পাশে লম্বা কিছু পতাকার খুঁটি ছিল। হেলিকপ্টারে ঝুলে একজন তালিবান কর্মী তাতে তালিবান পতাকা লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা ব্যাপারটি জানান। পরে একটি ভিডিওও আসে। দুনিয়া জুড়ে সংবাদমাধ্যমের বিখ্যাত ব্যক্তিরা, যাঁরা খবরটি ছড়াচ্ছিলেন, তাঁদের কেউ-কেউ নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে করা পোস্ট মুছেও দেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমগুলি, যারা সোৎসাহে খবরটি ছাপছিল, তাদের কাউকে সেভাবে ভুল স্বীকার করতে দেখা যায়নি। ... ...
ফলত, এই ২০১১ থেকে আফগানিস্তানের দুর্গম গ্রামগঞ্জ ভরে যেতে শুরু করে খোঁড়া, কানা, বিকলাঙ্গ মানুষে। এছাড়াও মাটির নিচে জমতে থাকে লাশ। আর কচি কচি বাচ্চারা ফুঁসতে থাকে প্রতিশোধের আকাঙ্খায়। তালিবান এদের হাতে অস্ত্র দিয়েছিল। মার্কিন বাহিনীর প্রতিটি বন্দুকের গুলি, প্রতিটি খুন, প্রতিটি সম্পত্তি নষ্ট, প্রতিটি ড্রোন আক্রমণ, এভাবেই জন্ম দিতে থাকে আরও অনেক অনেক তালিবানের। তারা তখন লড়ছিল প্রতিশোধের লড়াই। আর মার্কিনীরা কোনোক্রমে স্থিতাবস্থা বজায় রাখছিল। ... ...
কবিতা ... ...
মেকিয়াভেলির দর্শন আর আমাদের পঞ্চতন্ত্রের রাজনীতি চিন্তার মধ্যে একটা বিস্ময়কর সাদৃশ্য দেখা যায়। অথচ, ফ্লোরেন্সের নবচাণক্য ভারত বা পঞ্চতন্ত্র সম্বন্ধে কিছুই জানতেন না। কীভাবে এল এই মিল? এই লেখা উত্তর খোঁজে। ... ...
বিল গেটস এক নতুন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পরের প্যান্ডেমিক বা অতিমারীর জন্যে ভারত প্রস্তুত থাকবে, এবং লক্ষ লক্ষ এম-আরএনএ ভ্যাকসিন ভারতে তৈরী হবে। ... ...
কুষ্টিয়া হাউজিংয়ের দূরত্ব বেড়ে গিয়েছে, এখন। যে কোনও সময়ে ডায়াল করার মতই আজও অবশ্য মনে রয়ে গেছে দেখছি ৪৩৮৩৭৪। তার পর এর আগে ২ লাগবে, তার আগে আবার কী যেন! ... ...
ইতিহাস আশ্রিত এই গল্পটায়, যেটুকু কল্পনা মিশেছে, তাতে মানুষের নিজের পরিচিতি খোঁজাকে বুঝতে চেয়েছিলাম। খুব উঁচুদরের সাহিত্যকর্ম নয়। একটা প্রচেষ্টা মাত্র। ... ...
সত্যিটা কী? চারদিকে যা দেখছি, যা শুনছি? কিন্তু চোখ তো মরুভূমিতে জল টলটল সরোবর দেখে, কান যে কখনও কখনও স্বপনপারের ডাক শোনে যা অন্য কেউ শুনতে পায় না। তবে কি বোধবুদ্ধি বা অনুভব? জেগে স্বপ্ন দেখছি, নাকি স্বপ্নে জেগে আছি? দুটোর মধ্যে তফাৎ কী? আছে, তফাৎ আছে। স্বপ্নে গেলাস গেলাস এক কুঁজো জল খাও ঢক ঢক করে খাও বা যেমনই ইচ্ছে, তেষ্টা মেটে না। তাহলে আমার যে সারাজীবন তেষ্টা মেটেনি, তবে আমি কি স্বপ্ন দেখছি? স্বপনে রয়েছি গো সখি, আমারে জাগায়ো না। ... ...
বাংলা শিশু-কিশোর সাহিত্যে রবি ঠাকুরের শ্রেষ্ঠ অবদান কী? আমার মতে তাঁর কবিতা। তাই নিয়েই দু'চার কথা লিখে রাখলাম এখানে। ... ...