(সতর্কীকরণঃ এই পর্বে দুর্ভিক্ষের বীভৎসতার গ্রাফিক বিবরণ রয়েছে।) ১৯৪৩-এর মে মাস নাগাদ রংপুর, ময়মনসিংহ, বাখরগঞ্জ, চিটাগং, নোয়াখালি থেকে অনাহারে মৃত্যুর খবর আসতে থাকল। 'বিপ্লবী' পত্রিকার ২৩ শে মে সংখ্যায় মেদিনীপুরে ৫টি অনাহারে মৃত্যু আর ৮টি ধান লুঠের খবর বের হল।জানানো হল-প্রতিদিন ছ' থেকে সাতশো মানুষ তমলুক থেকে রেলে চাপছে ওড়িশায় গিয়ে সস্তায় চাল কিনবে বলে। বহু মানুষ তাদের ঘটিবাটি বেচে দিয়ে কলকাতার দিকে রওনা হয়ে যাচ্ছে-স্রেফ দুমুঠো খেতে পাবে এই আশায়। পাবনা থেকে খবর এল ... ...
মহাকালের এই সাময়িক বিচ্যুতির সুযোগে লিপযিগ গ্যালাক্সির ষষ্ঠ গ্রহের এক বনে একটা হাওয়া পাক দিয়ে উঠল। ঝোড়ো নয়, হালকা হাওয়া। এই হাওয়া কিন্তু গল্পের শুরু নয়, শেষও নয়। কিন্তু একে একরকমের শুরু বলাই যেতে পারে। হাওয়া পাক দিল ঘন বনের পাশ দিয়ে, উপলখণ্ডের উপর দিয়ে, খেত খামার ছাড়িয়ে – এক ছোট্ট বাড়ির উঠোনে। এই পরিবারের জীবনে এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিন বোধহয় আর কখনো আসেনি... ... ...
রবি ঠাকুরের গান বাণীপ্রধান - এরকম একটা ধারণা চালু আছে। কিন্তু গানের প্রাণ হলো সুর। রবিগানেরও। তাঁর অলৌকিক বাকবিভূতি বাণীকে সুরের দোসর করেছে। এই লেখায় কিছু রবীন্দ্রসংগীত - যা ভারতীয় রাগসঙ্গীত আশ্রিত- আর লিখিয়ের ব্যক্তিগত সংলাপ। ... ...
এই তো বাংলার Socialism। এই Socialism – এর জন্ম কার্ল মার্ক্সের পুঁথিতে নয়। এই Socialism এর জন্ম ভারতের শিক্ষাদীক্ষা ও অনুভূতি হইতে। যে গণ-আন্দোলনের সূচনা বিবেকানন্দের উক্তির মধ্যে পাই তাহা আরো পরিস্ফূট হইয়াছে , দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের বাণী ও সাধনার মধ্যে। দেশবন্ধু বলিয়াছেনঃ মনে করিয়ো না শুধু তোমার মধ্যে ও আমার মধ্যে নারায়ণের বিরাজ। সে অহঙ্কার একেবারে ছাড়িয়া দাও। যাহারা দেশের সারবস্তু , যাহারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া মাটি কর্ষণ করিয়া আমাদের জন্য শস্য উৎপাদন করে – যাহারা ঘোর দারিদ্র্যের মধ্যেও মরিতে মরিতে দেশের সভ্যতা ও সাধনাকে সজাগ রাখিয়াছে, যাহারা সর্বপ্রকার সেবায় নিরত থাকিয়া আজিও দেশের ধর্মকে অটুট ও অক্ষুণ্ণ রাখিয়াছে- যাহারা আজিও , শুদ্ধ চিত্তে সরল প্রাণে, মর্মে মর্মে দেশের মন্দিরে মন্দিরে পূজা দেয়, মসজিদে মসজিদে প্রার্থনা করে- যাহারা জাতির জাতিত্বকে জ্ঞান কি অজ্ঞানে সাগ্নিকের অগ্নির মতো জ্বালাইয়া, জাগাইয়া রাখিয়াছে- যাহারা বাস্তবিকই এদেশের একাধারে রক্তমাংস ও প্রাণ- ‘উঠ, জাগ জাগ’- তাঁহাদেরই মধ্যে ‘নর-নারায়ণ’ জাগ্রত হউক। ... ...
তথাকথিত শিশু-কিশোর সাহিত্য, যদি সত্যিকারের সাহিত্য হয়, তবে তার একটা স্তর থাকবেই, যেটা বড়োদের জন্য। ছোটোদের জন্য লেখা কিছু গল্প আর একটা উপন্যাসের সাহায্যে সেই hidden adult theme খোঁজার চেষ্টা করেছে এই রচনা। ... ...
রবীন্দ্রনাথের কথায় আমরা কান দিই নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি ঠিকঠাক আমরা মনে রাখতে পারলাম শহিদদেরও? ... ...
আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। মধ্য কলকাতার এক ব্যস্ত রাস্তা। অবশ্য শুধু এটুকু বললে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সম্পর্কে প্রায় কিছুই বলা হয় না। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটকে পশ্চিমবঙ্গ চিনেছে অন্যভাবে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন এই ৩১ নং আলিমুদ্দিন স্ট্রিটেই রয়েছে রাজ্য বামফ্রন্টের সদর দপ্তর।যেখানে বসে বিগত চৌত্রিশ বছর রাজ্য-রাজনীতির ভাগ্য নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করেছেন বামফ্রন্ট নেতৃবর্গ। এ তো গেল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের প্রাথমিক পরিচয়। কিন্তু কে এই আলিমুদ্দিন? ... ...
১৯৩৪ থেকে জয়যাত্রা শুরু হয় সুলেখা কালির যা স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও অব্যাহত। এতদিনে ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে "সুলেখা ওয়ার্কস লিমিটেড"-এর। পশ্চিমবঙ্গ সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন রাজ্যে সুলেখা এখন একটি পরিচিত ব্র্যান্ড। যা আমাদের সবার অজান্তে ইতিহাসের পাতায় নথিভুক্ত করে ফেলেছে যাদবপুরের সুলেখা মোড়ের নামও। ... ...
নামিবিয়ার নোমাডদের আশ্চর্য মনঃসংযোগ ... ...
অতি-বৈষম্যই কি ধ্বংস ডেকে আনবে? ... ...
ফুচকা…আহা, গোল ওই কুরমুরে বস্তুটি আলুমাখা ঠেসে যখন তেঁতুল জলে ডুব দেয় তখনই আমার মন গেয়ে ওঠে, “মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরতরে কেন পাইনা”… আসলে “দেখা”র জায়গায় একটু কষ্ট করে “খেতে” পড়ে দেখুন, কি এক আশ্চর্য ভালোলাগা আপনাকে মুহুর্তে ঘিরে ধরবে। ... ...
এর মধ্যেও দুই তিনদিন সাড়ে দশটায় বাস ধরতে হয়েছে আর দিদিটাও সমানে ব্যাটারি ব্যাটারি করে গেছে। এখন আবার ওর সঙ্গের আরো দুটো দিদিও হাসে আর চোখের সামনে কিলবিলিয়ে আঙুল নাচায়। ইচ্ছে করে ঘ্যাঁক করে কামড়ে ধরি একটা আঙুল। কিন্তু ঠিক সাহস হয় না। খালি মনে মনে ভাবি দাঁড়াও না মা বলেছে চশমা পরলে আর চোখের নড়াচড়া টের পাওয়া যাবে না, আসুক আমার চশমাটা তৈরী হয়ে। কিন্তু অনেক ছোট একটা মেয়েকে অবাধে লাঞ্ছনা করার এমন সুযোগ ওরা ছেড়ে দেবে কেন? কাজেই প্রথম যেদিন চশমা পরে বাসে উঠলাম ওরা একেবারে হইহই করে উঠল ‘আরে আরে দেখ ব্যাটারির চারচোখ’। এবারে নতুন খেলা, চোখ থেকে চশমাটা খুলে নিয়ে জানলার বাইরে হাত বের করে ঝুলিয়ে রাখা ‘এই ফেলে দিলাম ফেলে দিলাম’। ভয়ে কাঠ আমি, চশমা ভেঙে গেলে বা হারিয়ে গেলে মা হয়ত মেরেই ফেলবে আমাকে, বারেবারে বলে দিয়েছে সাবধানে রাখতে। হোঁচট খাচ্ছিলাম বলে বকেছে পড়ে যেন চশমা না ভাঙে। ... ...
জর্জ সোরেল গত শতাব্দীর একজন বর্ণময় সমাজতত্ত্ববিদ। তাঁর লেখা থেকে একদিকে যেমন ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীরা প্রেরণার উৎস খুঁজেছেন, অন্যদিকে আন্তোনিও গ্রামশ্চির মত মার্কসবাদী বিপ্লবী ও চিন্তানায়ক বিপ্লবের প্রাণশক্তির উৎসসন্ধানে সোরেলের চিন্তার গুরুত্বের কথা জোর দিয়ে বলেছেন। বিশিষ্ট রাজনৈতিক তত্ত্ববিদ ইশাইয়া বার্লিনের সোরেল সম্পর্কিত একটি দীর্ঘ নিবন্ধকে সামনে রেখে আমরা এই লেখায় সমসাময়িক পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে বামপন্থার রক্তশূণ্যতার কারণ নিয়ে আলোচনা করবো। ... ...
"তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে ?আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে ..."সেই অক্ষরগুলোকে ধরার আরেকটা অক্ষম চেষ্টা, আমার নতুন লেখায় ... এক বন্ধু অনেকদিন আগে বলেছিলো, 'আঙ্গুলের গভীর বন্দর থেকে যে নৌকোগুলো ছাড়ে সেগুলো ঠিক-ই গন্তব্যে পৌঁছে যায়' .. সেই বন্দরের দিকে তাকিয়েই ভাসিয়ে দিলাম এই লেখাটাও !(বিধিসম্মত সতর্কীকরণঃ এই গল্পের সমস্ত ঘটনা কাল্পনিক, মনগড়া, আজগুবি এটসেটেরা। আসলে বাংলা মিডিয়ামের ছেলেরা আদৌ আমার মতন ল্যাদাভ্যারুস না, বরং অনেক স্মার্ট হয় ! কাউকে কাউ ... ...
বাহাদুর বেড়াল ও Korky the cat. ... ...